প্যারা আর্চারী খেলাটি বাংলাদেশে বেশ সম্ভাবনাময় একটি খেলা। সোমবার রাজধানীর একটি পাচঁ তারকা হোটেলে এ খেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড আর্চারী ও এশিয়ান আর্চারী ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, প্যারা আর্চারী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক নতুন দিগন্তের শুভ সূচনা হলো। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। নিঃসন্দেহে এ ইভেন্ট আমাদের মেধাবী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের জন্য একটি দারুণ সুযোগ এনে দিবে। তারা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সমর্থ হবে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের মেধাবী অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়েরা আমাদের গৌরব। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তারা বিভিন্ন সময়ে স্পেশাল অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে ২১৬টি স্বর্ণ, ১০৯টি রৌপ্য ও ৮৪টি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে দেশকে সম্মানিত করেছে। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৮টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে সবকয়টিতেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিরল গৌরব অর্জন করেছে। মুজিব বর্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু চার-জাতি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০২২ এ বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। সর্বশেষ এসএ গেমসে বাংলাদেশ ১৯টি স্বর্ণপদকসহ ১৩৭টি পদক অর্জন করেছে। আর্চারীতে দশ এ দশ গোল্ড মেডেল অর্জনের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ন্যাশনাল প্যারালিম্পিক কমিটি অব বাংলাদেশ ইন্ট্যারন্যাশনাল প্যারালিম্পিক কমিটি কর্তৃক আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে যার ফলে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদরা এখন থেকে আন্তর্জাতিক সকল খেলায় অংশগ্রহন করতে পারবে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিবন্ধীদের জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে প্রায় ১৪ কোটি ব্যয়ে ৪.১৬ একর জমিতে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, যুব ও ক্রীড়া সচিব ড.মহিউদ্দীন আহমেদ সচিব, অতিরিক্ত সচিব (ক্রীড়া) নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আর্চারী ফেডারেশনের সভাপতি লেঃ জেনারেল অব: মাইনুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল উপস্থিত ছিলেন।