ক্রীড়া ডেস্ক : ৩৬ বছরের শিরোপা খরা ঘুচিয়ে বিশ্ব সেরার মঞ্চে বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে ছিলেন লিওনেল মেসিই । কাতার বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করা কিলিয়ান এমবাপের সম্ভাবনাও দেখছিলেন অনেকে। তাঁকে এবং আরেক ফরাসি তারকা করিম বেনজেমাকে হারিয়ে ২০২২ সালের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেন’স প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ জিতলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
এছাড়া সেরা কোচের পুরস্কার উঠেছে আলবিসেলেস্তেদের কোচ লিওনেল স্কালোনির হাতে। আর সেরা গোলকিপারের পুরস্কার পেয়েছেন আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় বিশ্বকাপ জেতাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখা এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দুই ফরাসি তারকা করিম বেনজেমা ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। বেনজেমা বিশ্বকাপে খেলতে না পারলেও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। এর সুবাদে ব্যালন ডি’অর জিতলেও সেটি মৌসুমের পারফরম্যান্স বিবেচনায়। ফিফা ‘বেস্ট’ পুরস্কারে দেখা হয়েছে বছরের পারফরম্যান্স। তাতে মেসি এ দুজনের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে পুরস্কারটি জিতেছেন।
মেসির হাতে সোমবার সেরার ট্রফি তুলে দেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। প্যারিসে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এমবাপ্পে উপস্থিত থাকলেও বেনজেমা যাননি।
২০১৬ সালে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ চালুর পর সে বছর ছেলেদের বর্ষসেরা হন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পরের বছরও পর্তুগিজ তারকাই পুরস্কারটি জেতেন। এরপর ২০১৮ সালে লুকা মদরিচের পর ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো ‘বেস্ট’ ট্রফি জেতেন মেসি। বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি গত দুই বছর পুরস্কারটি জেতেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় ফ্রান্সের প্যারিসে ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ নামের এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমেই প্রয়াত ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেকে স্মরণ করা হয়। এ সময় পেলের বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারের চুম্বকাংশ জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয়। ব্রাজিলিয়ান এক শিল্পী ‘ফুটবলের রাজা’কে উৎসর্গ করে একটি গানও পরিবেশন করেন।
পেলেকে স্মরণ শেষে ফিফার বর্ষসেরা নারী গোলকিপারের পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে ‘বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ শুরু হয়। এবার পুরস্কারটি জিতেছেন গত বছর ইংল্যান্ডের হয়ে ইউরোজয়ী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলকিপার মেরি আর্পস।
ফিফার বর্ষসেরা নারী কোচের পুরস্কার জিতেছেন ইংল্যান্ড নারী দলকে ইউরো জেতানো সারিনা ভিগমান।
জর্জিয়ান রাইটব্যাক লুকা লোশোভিলি জিতেছেন ‘ফিফা ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড’, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রিয়ার ঘরোয়া ফুটবল ম্যাচের মধ্যে চেতনা হারানো এক ফুটবলারের জীবন বাঁচান লোশোভিলি।