পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশিদের হজ খরচ দেড়গুণ নির্ধারণ করে হজে যাওয়ায় নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
বুধবার (১ মার্চ) এ নিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ। বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির অভিযোগ করে বলেন, হজ একটি ফরজ ইবাদত হওয়ার কারণে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ইচ্ছা থাকে চাকরি বা অন্যান্য সার্ভিস শেষে জীবনের শেষ সম্বল দিয়ে হজে যাওয়ার। কিন্তু এবছর সরকার যেভাবে হজযাত্রীদের খরচ নির্ধারণ করেছে তাতে ধর্মপ্রাণ মানুষের ইচ্ছে ও প্রাক নিবন্ধন করা থাকলেও তাদের পক্ষে হজে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, প্রাক নিবন্ধন করেও অতিরিক্ত খরচ নির্ধারণ করার কারণে হজে যেতে পারবেন না বলে এমন হজ যাত্রীরা এখন মনকষ্টে ভুগছেন।
বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের হজ যাত্রীদের খরচ যেখানে ৪ লাখ টাকা, আর ডলারের উচ্চ মূল্যে সংকটে থাকার পরও পাকিস্তানের হজ্জ যাত্রীদের খরচ ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। কিন্তু বাংলাদেশের হজ যাত্রীদের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা যেটা মেনে নেয়ার মতো নয়। ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের হজ যাত্রীদের খরচ দেড়গুণ বেশি কেন? দেশের জনগণ সরকারের কাছে জানতে চায়।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, বাংলাদেশের হজ যাত্রীদের খরচ ভারত ও পাকিস্তানের ন্যায় সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে। প্রয়োজনে হজ ফ্লাইট খালি না এনে সৌদি প্রবাসীদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে ন্যায্য খরচে দেশে আনা ও নেয়ার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, ধর্মীয় ইবাদত হজ, রমজান মাস ও কুরবানির সময়ে যেভাবে মূল্য বৃদ্ধি হয় তা দুঃখজনক। এক্ষেত্রে সরকার আগে থেকে সেনাবাহিনী বা অন্য কোন সংস্থাকে দায়িত্ব দিলে মার্কেট পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হবে না।