উৎপাদন খরচের প্রায় দ্বিগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি। খুচরা মূল্য ২০০ টাকা হলেই যদি লাভবান হন সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা, তবে কেনো ক্রেতাকে গুণতে হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা? এমন নানা যুক্তি-তর্ক উঠে আসে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বৈঠকে। তবে, মেলেনি দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ। কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর দাবি, মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট।
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সারা দেশে এখন ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধির সূচক ঊর্ধ্বমুখী। মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি দাম ১০০ থেকে ১১০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে খুচরা ও পাইকারি পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৈঠকের শুরুতেই উঠে আসে অব্যবস্থাপনার নানা চিত্র।
এরপর আলোচনা উৎপাদন খরচ বিবেচনায় খুচরা পর্যায়ে কত হতে পারে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম। কেনইবা ভোক্তাকে উৎপাদন খরচের প্রায় দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি? এমন প্রশ্ন ওঠে বৈঠকে। ক্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, একদিকে ঝরে পড়ছে প্রান্তিক খামারি, অন্যদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, বাজার কারসাজির হোতা খুঁজে বের করতে সুপারিশ করা হবে প্রতিযোগিতা কমিশনে। তবে, রমজানের আগেই বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে বলেও মনে করে অধিদপ্তর।