নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গাজী মাহবুব মুর্শিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং কলা অনুষদের ডিন ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী।
এসময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানসহ বিভাগের অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের আহবায়ক ছিলেন অধ্যাপক ড. সাইফুজ জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ। সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গাজী মাহবুব মুর্শিদ। সভা সঞ্চালনা করেন বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, একটি ভাষা একটি সমাজকে বিনির্মাণ করতে পারে। একটি কবিতা সমাজের বিশৃঙ্খলাগুলো নিঃশ্বেষ করে দিতে পারে। একটি অস্ত্র দিয়ে আপনি যেটা করতে পারবেন না, একটি সুন্দর কথার মাধ্যমে সেটা করা সম্ভব। একটি সুন্দর ভাষা একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে পারে। বর্তমানে শুধু বাংলাদেশই নয় বহিঃর্বিশ্বের অ্যালামনাইরা উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তারা তাদের প্রতিষ্ঠান বা বিভাগকে আর্থিকসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন।
এদিকে পুনর্মিলনীতে বাংলা বিভাগের ৩৩টি ব্যাচ অংশ গ্রহণ করে। পুনর্মিলনীকে ঘিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একইসাথে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠন করা হয়।
এর আগে গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন সংলগ্ন বাংলা মঞ্চে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। স্টলগুলোতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হরেক রকমের পিঠা বিক্রয় করা হয়। পিঠার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল পাকনা পিঠা, সামুছা, জর্দা, শাহী টুকরা, নারকেল পিঠা, বিস্কিট পিঠা এবং পায়েস।