ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দুইজন শিক্ষার্থীকে হামলার অভিযোগ উঠে স্থানীয় বখাটেদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শৈলকূপা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-১০। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেন শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম ঝন্টু ওরফে জাহাঙ্গীর হোসেন। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার এজহার সূত্রে, গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী শেখপাড়া বাজারস্থ পেট্রোল পাম্প হতে তেল আনতে যান। ফেরার পথে ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছাইলে আসামী আকাশ ও আলিমসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জন তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লাঠি দ্বারা শিক্ষার্থীদের পথ আটকিয়ে দেয়। কোন কিছু বলার আগেই খুন করার উদ্দেশ্যে আকাশ লোহার রড দিয়ে ছাত্র মোহাম্মদ ইসলাম জিসানের মাথায় আঘাত করলে সে মাথা সরিয়ে নেয়। ফলে রডের আঘাত তার ডান হাতে ও পায়ে লাগলে গুরুত্বর রক্তাত্ব ও জখম হয়।
এদিকে অন্য অজ্ঞাত আসামীরা অপর ছাত্র মেহেদী হাসান সুপ্তকে তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাত্ব ও জখম করে। এসময় আসামীরা তাদের এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি লাথি মারতে থাকে। মারামারির সংবাদ ক্যাম্পাসে পৌছালে ক্যাম্পাস হতে শতাধিক ছাত্র ঘটনা স্থলের দিকে রওনা দেয়। ফলে আসামীরা খুন-জখম করার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আহত ছাত্রদের উদ্ধার করে প্রথমে ইবি মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরে তাদের অবস্থা আশংকাজনক হলে চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সুপ্ত ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইসলাম জিসান।
এদিকে এ ঘটনায় আকাশ ও আলিমকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আসামী আকাশ ও আলিম উভয়ই শেখপাড়ার বাসিন্দা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ডক্টর শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনায় প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় গেট গুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া বাজার কমিটি ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে বসে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।