ক্রীড়া ডেস্ক : ৯ বছর পর কোপা দেল রে’তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। কার্লো আনচেলত্তির প্রথম মেয়াদে ২০১৪ সালে কোপা দেল রে’তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর দীর্ঘ ৯ বছর কোপার শিরোপা জিততে পারেনি রিয়াল।
২০তম কোপা দেলরে জয়ের পথে ওসাসুনা কিছু বুঝে ওঠার আগেই লিড নেয় আনচেলত্তির শিষ্যরা। দুই ব্রাজিলিয়ানের রসায়নে মাত্র ১০৭ সেকেন্ডে স্কোর শিটে নাম লেখান রদ্রিগো।
ফাইনালের মঞ্চে শুরুতেই পিছিয়ে পড়া ওসাসুনা এরপর গোল শোধ করার লক্ষ্যে বুক চিতিয়ে খেলতে থাকে। ২৬ মিনিটে গোল লাইন থেকে ওসাসুনার এজালজৌলির শট ফেরান দানি কারবাহাল। তার এক মিনিট আগেই প্রতি আক্রমণ থেকে করিম বেনজেমার জোরাল শট ঠেকান ওসাসুনা গোলকিপার সার্জিও এরেরা। তবে ভাগ্য সহায় হলে রিয়াল বিরতির আগেই আরও একটি গোল পেয়ে যেত। ৩২ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ডেভিড আলাবা একটুর জন্য গোল পাননি। বল পোস্ট লেগেছে।
বিরতির পর ৫৮ মিনিটে পাবলো তোরোর দুরপাল্লার শটে করা গোলে সমতায় ফেরে ওসাসুনা। কিন্তু দলটির বক্সে রিয়ালের খেলোয়াড়দের চাপসৃষ্টি দেখে বোঝা যাচ্ছিল ওসাসুনা বেশিক্ষণ সমতায় থাকতে পারবে না। রদ্রিগোর গোলটি সেই চাপেরই ফসল।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে আবারও প্রথম গোলের মতোই আক্রমণ রিয়ালের। ডিফেন্ডারদের এড়িয়ে ভিনিসিয়াসের বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢোকার পর তার ক্রস আরেক ডিফেন্ডারের পায়ে বাধা পায়। তবে পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেনি ওসাসুনা। টনি ক্রুসের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল পেয়ে যান রদ্রিগো, বাকিটা অনায়াসে সারেন এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
কিছুটা চোট থাকায় এদিন লুকা মদ্রিচকে শুরু থেকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন আনচেলত্তি। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল থাকায় ক্রোয়াট তারকাকে নামালেও সেটি বিরতির পর বলে মনে হয়েছিল। ৮২ মিনিটে টনি ক্রুসের বদলি হয়ে যখন মদ্রিচ নামালেন রিয়াল তখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে। বাকি সময়ে ব্যবধান বাড়ানোর ভালো দুটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি আলাবা ও বেনজেমা। যোগ করা সময়ে সুযোগ হারায় ওসাসুনাও। আর এরপরই শুরু রিয়ালের উৎসব।
চলতি মৌসুমে রিয়ালের লা লিগা শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা একরকম শেষই হয়ে গেছে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা টিকে আছে ভালোভাবে। আগামী মঙ্গলবার সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হওয়ার আগে এই জয় নিশ্চিতভাবেই বেনজেমা-ভিনিসিয়াসদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।