নিজস্ব প্রতিবেদক :

হজ প্যাকেজের বিমান ভাড়া দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) এ সম্পূরক আবেদন করেন এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী আশরাফ-উজ-জামান।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে নির্ধারণ করা হজের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা থেকে কমানোর নির্দেশনা চেয়ে গত ১২ মার্চ হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ-জামান।

এর মধ্যে ২২ মার্চ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা থেকে ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমিয়ে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা থেকে ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমিয়ে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে সৌদি আরব যেতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের অনুমতি পাবেন।

পরে ২ এপ্রিল হাইকোর্ট সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে ‘অতিরিক্ত খরচ’ নির্ধারণ করা সংবলিত প্রজ্ঞাপন জনস্বার্থ পরিপন্থী বলে কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না এবং প্রতিযোগিতামূলক বিমান ভাড়ার ভিত্তিতে বাংলাদেশ থেকে হজ যাত্রী বহনে সকল আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সকে সুযোগ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত।

চার সপ্তাহের মধ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান ও পর‌্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব,ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক এবং হজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে (হাব) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ রিট মামলায় বৃহস্পতিবার সম্পূরক আবেদন করেন আইনজীবী।

আইনজীবীর বক্তব্য হলো, বর্তমানে বাংলাদেশ-সৌদি-বাংলাদেশ রুটে প্লেন ভাড়া ৭৬ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা। প্রতি বছর দুই দেশের সরকার হজ যাত্রীদেরকে সৌদি ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকেট কিনতে বাধ্য করে। এ কারণে টিকেট কিনতে হজ যাত্রীদের স্বাধীনতা ধ্বংস হয়।