আটকের দুই ঘণ্টা পর জামায়াতের আইনজীবীদের ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার।
এর আগে আগামী ৫ জুন ঢাকায় বিক্ষোভের কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী; তার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিতে গিয়ে পুলিশ কার্যালয়ে দুই ঘণ্টা আটক ছিলেন দলটির চারজন আইনজীবী।
তাদের আটকে রাখা হয়েছিল বলে শুরুতে জামায়াতের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে পুলিশের ভাষ্য, আবেদন গ্রহণের আগে তাদের পরিচয় যাচাই করা হয়েছিল।
জামায়াতের চিঠি নিয়ে সোমবার বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে যান
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাইফুর রহমান, গোলাম রহমান ভুইয়া, আব্দুল বাতেন ও জালাল উদ্দীন ভুইয়া।
বিকাল ৪টার দিকে তারা ডিএমপি কমিশনারের দপ্তরে গেলে তাদের আটক করে রমনা থানায় সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেন।
জামায়াতের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ডিএমপি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ডিএমপি কার্যালয়ে স্ব-শরীরে আবেদন জমা দিতে গেলে জামায়াতের প্রতিনিধি দলকে ডিএমপি কার্যালয়ের গেট থেকে এডিসি হারুন অর রশিদ ও বিপ্লব কুমার সরকারের নেতৃত্বে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। ”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের নেতা আশরাফুল আলম ইমন বিকাল ৫টার দিকে বলেন, ‘বিকাল থেকে তাদের আটকে রাখা হয়েছে সেখানে।’
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার সালমান ফারসি বলেন, আটক ব্যক্তিদের পরিচয় ‘যাচাই-বাছাই’ করা হচ্ছে।
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার গণমাধ্যমকে জানান, আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করার পর আবেদন রেখে ওই চারজনকে ৬টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, জামায়াতের বিভিন্ন নেতার নামে নানা মামলা রয়েছে। যারা এসেছিলেন, তারা কোনো মামলার আসামি কি না, তাদের বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে কিছুটা সময় লেগেছিল। পরে তাদের আবেদন রেখে দেওয়া হয়। এরপর তারা চলে যান।
আগামী ৫ জুন বিকালে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চায় জামায়াত। সেই কর্মসূচি পালনে সহায়তা চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে ই-মেইলেও আবেদন পাঠিয়েছেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের অফিস সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন।