রবিবার, ১৩ অক্টোবর 2024 বাংলার জন্য ক্লিক করুন
  
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

   উপসম্পাদকীয়
  অপার সম্ভাবনাময় নদীপথকে যেকোন মূল্যে বাঁচাতে হবে
  19, June, 2023, 10:21:57:AM

 

সুধীর বরণ মাঝি
শিক্ষক
হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়
হাইমচর, চাঁদপুর।

পৃথিবীর সকল সভ্যতা, ইতিহাস, উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূলে রয়েছে নদী। নদী সভ্যতাকে আধুনিক করেছে। মানুষ অপার সম্ভাবনা নিয়ে বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলেছে। আজকের আধুনিক সভ্যতায় নদীর ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের ইতিহাস সভ্যতা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ, সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিরাট ভূমিকা রেখে চলেছে। নদী আমাদের বিশাল গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। এর অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ রেখে যেতে পারি।বাংলাদেশে নদীমাতৃক দেশ। নদীমাতৃক বাংলাদেশ উপাধি যেন আজ প্রহসন হয়ে দাঁড়িয়েছে! নদীগুলো অধিকংশই ‘ কঙ্কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষ নিজেদের সামান্য স্বার্থে অসেচেতন ভাবে সুদূও প্রসারী ক্ষতির চিন্তা না করে নদী খালগুলো ভরাট করে ফেলছি, দখলে নিয়ে নিচ্ছি। আমাদের হীন স্বার্থের মানসিকতার ভয়াবহ পরিণতি রেখে যাচ্ছি আমাদের আদরের আগামী প্রজন্মের জন্য। এদেশের আনাছে-কানাছে ছিল হাজারো নদী। একসময় এদেশে প্রায় ১২শ নদী ছিল। এখনা যা ২৩০ এ দাঁড়িয়েছে। যে নদীগুলোর জীবন প্রদীপ এখনো টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে, সেগুলো থেকে এখনো মানুষ পাচ্ছে কাঙ্কিত সুফল।
নদী আমাদের জাতীয় সম্পদ। একে রক্ষা করার দায়িত্ব আমার, আপনার, সরকার-রাষ্ট্র এবং সবার। প্রাচীন কাল থেকেই এদেশের মানুষের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম নৌপথ। যাতায়ত এবং পণ্য পরিবহনে নিরাপদ, সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী হওয়ায় মানুষ এই খাতকে বেছে নেয়। আমাদের নৌ পরিবহন খাত এক অমিত সম্ভাবনাময় খাত। সময়ের চাহিদা বিবেচনায় রেখে একে ঢেলে সাজানোর এখনিই উপযুক্ত সময়।
নৌপরিবহনকে সহজলভ্য, আরামাদায়ক, আধুনিকায়ন করতে এ খাতের ঝঞ্জাট দূর করা করা প্রয়োজন। স্বাভাবিক ভাবেই সড়ক পরিবহন থেকে নৌপরিবহন অনেক স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ, সাশ্রয়ী, আরামদায়ক এবং আনন্দদায়কও বটে। কোন এক দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং প্রকল্পে নীরব বিপ্লব ঘটাতে চলছে। ১৫টি নৌরুটে ৩১টি ড্রেজার খনন কাজে নিয়োজিত আছে। খননে ইতোমধ্যে মৃত নদীর নাব্য ফিরেয়ে আনা হয়েছে ১হাজার ৮০০কিলোমিটার নৌপথ। পাশপাশি নদীর খননে উত্তোলনকৃত মাটি দিয়ে ৫হাজার একর অকৃষি জমিকে কৃষি জমিতে রূপান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং প্রকল্পের পরিসর বৃদ্ধি করে খনন প্রক্রিয়া চলমান রাখতে পারলে একদিকে যেমন নদীর নাব্যতা সংকট দূর হবে তেমনি অন্যদিকে বৃদ্ধি পাবে আমাদের কৃষি জমির পরিমাণ, কৃষি উৎপাদন এবং নতুন নতুন কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হবে।
এই খাতের উন্নতি করতে পারলে আমাদের পর্যটনখাতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। ২৩৫৫জন দেশীয় জাহাজে এবং ৫৪৩৮ জন বিদেশী জাহাজে চাকুরীত আছেন। নৌ-কর্মকর্তা এবং নাবিকদের বেতন বাবদ দেশে বৎসরে প্রায় ২হাজার ৪শত তিয়াত্তুর কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। অভ্যন্তরীণ জাহাজে রিভারসিবল গিয়ার সংযোজন করে দুর্ঘটনা হ্রাস করা হয়েছে। নৌ-পরিবহন খাতে আমাদের সেবার মান নিশ্চিৎ করতে পারলে অভ্যন্তরীণ আয় আরও বৃদ্ধি পাবে এবং অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটবে। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌযানের সংখ্য্যা ১২৯৫৯টি। অভ্যন্তরীণ নৌ খাতে গত ৫বছরে নীট আয় করেছে ৫হাজার ১শ ছয় কোটি টাকার উপরে। বৈদেশিক পণ্য আমদানি কিংবা দেশিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চট্টগ্রামে ও মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অভ্যন্তরীণ নৌপথ এখনও প্রধান মাধ্যম। সারা দেশে জ¦ালানি তেল পরিবহনের ক্ষেত্রেও প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয় নৌপথ।
আমাদের প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্রও অভ্যন্তরীণ নৌপথকেই কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। যান্ত্রিক সভ্যতার চরম উৎকর্ষের এ যুগে গোটা বিশ^ যখন একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের বহুমুখি পথ খুঁজছে, তখন বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনার এক উর্বর ক্ষেত্র বাংলাদেশের পানি সম্পদ ও নৌ-পরিবহন খাত অনাদর, অবহেলা ও চরম উদাসীনতার শিকার। বহুজাতিক অটোমোবাইল কোম্পানিগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারনের স্বার্থে তাদের পৃষ্ঠপোষক বিশ^ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কুপরামর্শ, রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা এবং দুর্বৃত্তায়নের কবলে পড়ে শিল্পোদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহের কারণে নদী এবং নৌ চলাচল ব্যবস্থাসহ সামগ্রিক নৌখাত বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।
একদিকে বছরের পর বছর ধরে পলি জমে ও মারাত্মক দূষণে নদীগুলো স্রোতহারা হয়ে নৌপথের আয়তন আশংকাজনক হারে কমছে। অন্যদিকে অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়ন,পরিবেশবিনাশী প্রকল্প প্রণয়ন এবং নদীখেখো ও ভূমিদস্যুদের করালগ্রাসে অনেক নদী বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের নৌপথে এখনো বিদেশী কোন বিনিয়োগকারী নাই এবং এই নৌপথ এখনো দেশের অন্যতম অভ্যন্তরীণ আয়ের অন্যতম উৎস হতে পারে। এখানে আমাদেরকে অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হয় না। এতো প্রতিকূলতার মধ্যে আশার কথা যে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ও জাতীয় অর্থনীতি থেকে নৌ-পরিবহন খাত এখনো হারিয়ে যায়নি। চলতি শতকের প্রথমদিকে বিশ^ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ব্যবস্থার ওপর এখনও বাংলাদেশের ৩০লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। অভ্যন্তরীণ নৌপথে এখনও নিয়মিত ৩০শতাংশ যাত্রী চলাচল করে আর ২০শতাংশ পণ্য পরিবহন হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে গত দেড় দশকে নৌপরিবহন খাতের ওপর নির্ভরশীলতা আরো বেড়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সড়কখাতের তুলনায় নৌখাত আনুপাতিকহারে সরকারি আনুকূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নদ-নদী প্রকৃতির দান। তাই নৌপথ তৈরিতে আবাদি কিংবা বসতি জমি অথবা কোন স্থাপনা ধ্বংস করতে হয় না। নৌপথে যাতায়ত আরামদায়ক,ব্যয়সাশ্রয়ী ও পরিবেশেবন্ধব। দূর্ঘটনার ঝুঁকিও তুলনামূলক কম।
পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও সড়কপথের তুলনায় নৌপথে ব্যয় আরো কম। বৈদেশিক পণ্য আমদানি এবং দেশিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অভ্যন্তরীণ নৌপথ এখনও প্রধান মাধ্যম। সারা দেশে জ¦ালানিতেল পরিবহনের ক্ষেত্রেও প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয় নৌপথ। আর এই যোগাযোগের সহজতর মাধ্যমকে টিকিয়ে রাখার একমাত্র শর্থ হচ্ছে নদ-নদী রক্ষা ও নৌ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন। নদী রক্ষা না হলে নৌ পথ বিলুপ্ত হবে, নৌ চলাচল ব্যববস্থা মুখ থুবরে পড়বে, প্রাকৃতিক মৎস্য আহরণ কমে গিয়ে জেলে মৎসজীবী সম্প্রদায় এবং নৌযানের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে মাঝি-মাল্লারা বেকার হবে। এর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়বে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। যার আঘাত জাতীয় অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্থ করবে। এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলার জন্য নৌ খাতের সামগ্রিক উন্নয়ন অপরিহার্য। নৌ-পরিবহন খাতে সোনালী অতীত হারালেও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন ও সুযোগ একেবারে হাতছাড়া হয়ে যায়নি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ২০১৮-১৯অর্থ বছরে দেশের বিভিন্ন নৌরুটে ৩ কোটি ৪৫লাখ ৩০ হাজার যাত্রী চলাচল করছে এবং এ থেকে আয় ৩হাজার ১৪৫কোটি ৩লাখ টাকা। তাছাড়া৫৪৮৩৫ লাখ টন পণ্য পরিবহন করা হয়ছে। যা গত ১০ বছর আগেও ছিল এর এক-তৃতীয়াংশ কম। এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে প্রতিবছর যাত্রী সংখ্যা এবং পরিবহনের পরিমাণ বেড়েই চলছে।
বাজেটে সড়ক পরিবহনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্ব দিলেও কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রেলপথ এবং নৌপথকে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রেলপথ এবং নৌপথ, দুটি ক্ষেত্রেই। অথচ আামরা জানি, নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীপথেই বেশিরভাগ মানুষ চলাচল করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ধারণা, সড়ক পরিবহনের সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী বক্তিদের কারণেই হয়তোবা রেলপথ এবং নৌপথ এভাবে যুগের পর যুগ গুরুত্বহীন এবং অবহেলিত থাকার অন্যতম প্রধান কারণ। এ কথা বলার অঈেক্ষা রাখে না যে, ভৌগলিক সুবিধার কারণেও আমাদের দেশের প্রায় সব নদ-নদীই পণ্য পরিবহন এবং যাত্রীবাহী জলযান চলাচল করার উপযোগী কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এদিকটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিরদিন অবহেলিত থেকে গেছে। আমরা সবাই জানি, পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও সড়ক পথের চেয়ে রেল ও নৌপথ অনেক বেশি সাশ্রয়ী। এর পাশাপাশি আর যে বিষয়টি রয়েছে সেটি হলো সড়ক দুর্ঘটনা এখন অর্থাৎ এই সময়ে শুধু নয়, বিগত বেশ কযেক বছর ধরে রীতিমতো আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এমন কোন দিন নেই, যেদিন দেশের কোথাও না কোথাও দু-চারটা সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে না এবং তাতে হতাহতের সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে তুলনায় রেলপথ এবং নদীপথে চলাচল যাত্রীদের জন্য অনেক নিরাপদ।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশের নৌপথের দৈর্ঘ্য এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। কারণ যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়ক ও রেলপথের চেয়ে নৌপথ কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে যাই বলি যেভাবেই বলি আর যেভাবেই চিন্তা করি না কেন নৌপথ যাত্রীপরিবহন এবং পণ্য পরিবহনে অনেক নিরাপদ, অনেক সাশ্রয়ী, অনেক আরামদায়ক। দেশের চাহিদা বিবেচনা করে একে আরও বেশি গতিশীল করা এখন সময়ের দাবী। নদী ও নৌপথ সচল এবং পুনরুদ্ধার, নৌ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পর্যটন শিল্প বিকাশে নেওয়া পদক্ষেপ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। কোন অঞ্চলে কোন কোন সমস্যা সমস্যা সেটি চিহ্নিত করে রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে নদীর গতিপ্রকৃতি অব্যাহত রাখতে পারবো। নদীর গতিপথ বজায় রাখতে পারলে, নদীর পাড় সংরক্ষণ করা গেলে স্বাভাবিকভাবেই পর্যটনও গতি পাবে।
বাজেটে বরাদ্ধ বৃদ্ধি করে সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে তার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে । লঞ্চ টার্মিনালগুলো ঘাট শ্রমিকদের যে টর্সার তা বন্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। যাত্রীদের সাথে এদের প্রায়শ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এদের টর্সারের কারণে অনেক যাত্রীই নৌপথ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। টার্মিনালগুলোতে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। ভ্রাম্যমান নৌ আদালত কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালনা করা। নৌ দূর্ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের আওতাভুক্ত অঞ্চলে বিপদগ্রস্থ জাহাজ উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন করা। জলদস্যূ এবং অবৈধ কার্যক্রম রোধে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। অভ্যন্তরীণ নৌযানের সার্ভে এবং রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে।
কুতুবদিয়া , কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন বাতঘর পরিচালনার মাধ্যমে নৌযান সমূহকে দিক নির্দেশনা প্রদান ও রাজস্ব আদায় করা। আইএসপিএস কোড বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করা। নৌ দিবস উদযাপনের মাধ্যমে সচেতনা তৈরি করা। নৌকর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পর্যপ্ত সুযোগ সুবিধা বরাদ্ধ করা। অভ্যন্তরীণ নৌ-নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে নৌ পথে চলাচলকারী নৌযানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে কাগজপত্র সরজমিনে পরীক্ষা করা এবং এতদ্সংক্রান্ত বিধি লংঘনকরীদের বিরুদ্ধে মেরিন কোর্টে মামলা দায়ের করা, সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচলনায় সহায়তা প্রদান পরিদর্শনালয়ের মুখ্য দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই খাতের সকল দুর্নীতি রোধ করতে হবে। আমাদের চলাচলের জন্য যে কোন মূল্যে নদীপথকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নদীকে বাঁচাতে না পারলে আমরাও বাঁচতে পারবো না। প্রকৃতিও প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠবে। ফলে বৃদ্ধি পাবে, খড়া, বন্যাসহ নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ। নদী বাঁচাতে পারলে দেশ বাঁচবে। নদী আমাদের একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনা, অভ্যন্তরীণ আয়ের উৎস, বাণিজ্য সুবিধা, মৎস্য সমস্পদ, পর্যটন শিল্প আর আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায়। তাই অমিত সম্ভাবনা আমাদের নদীপথকে বাঁচাতে হবে যে কোন মূল্যে।



   শেয়ার করুন
   আপনার মতামত দিন
     উপসম্পাদকীয়
শৃঙ্খলার নিগূঢ় থেকে মুক্তিই প্রত্যাশা
.............................................................................................
প্রসঙ্গ স্বশিক্ষিত ও স্বল্প শিক্ষিত প্রার্থী
.............................................................................................
অপার সম্ভাবনাময় নদীপথকে যেকোন মূল্যে বাঁচাতে হবে
.............................................................................................
বাংলাদেশে রেলপথ বিকাশের ইতিহাস
.............................................................................................
কেন বাংলা টাইপিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না
.............................................................................................
আত্মহত্যা উদ্বেগ করণীয়
.............................................................................................
বিপণনের অভাবে ক্ষতির সম্মুখীন কৃষিখাত
.............................................................................................
দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ: তৃণমূল পর্যায়ে সুদের বিস্তৃতি
.............................................................................................
কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরিবারের দায়িত্বশীলতা দরকার
.............................................................................................
প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা
.............................................................................................
পুঁজিবাদী পশ্চিমা বিশ্ব বনাম সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার দ্বন্দ্ব
.............................................................................................
১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় জেল হত্যা ও গ্রেনেড হামলা
.............................................................................................
সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে উঠুক
.............................................................................................
মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু শারদীয় দুর্গোৎসব
.............................................................................................
জিপিএ ফাইভ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আর বিসিএসের নামই কি সফলতা!
.............................................................................................
আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মৃৎশিল্প
.............................................................................................
কেন ভর্তি হবেন ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগে
.............................................................................................
বাংলাদেশ ও জ্বালানি তেল
.............................................................................................
বিদ্রোহী কাজী নজরুল
.............................................................................................
চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও মানবাধিকার প্রদান করতে হবে
.............................................................................................
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : প্রজন্মে প্রজন্মের যাত্রা
.............................................................................................
২১ আগস্ট ১৫ আগস্টেরই ধারাবাহিকতা
.............................................................................................
পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে: নেপথ্যে কারণ...
.............................................................................................
ভয়াবহ একটি দিবস ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট
.............................................................................................
১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস : বাংলাদেশ উন্নত বিনির্মাণের প্রকৃত কারিগর যুবকেরা
.............................................................................................
বৃদ্ধাশ্রম নয় বরং প্রয়োজন সন্তানের ভালোবাসার
.............................................................................................
শত বাঁধা পেরিয়েও এগিয়ে যাচ্ছে জবি
.............................................................................................
নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ
.............................................................................................
গৌরব, আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাসের পদ্মা সেতু
.............................................................................................
আত্মহত্যাকে না বলি জীবনকে উপভোগ করতে শিখি
.............................................................................................
আত্মহত্যা নয়, বেঁচে থাকায় জীবন
.............................................................................................
আপোষহীন আবুল মাল মুহিত
.............................................................................................
প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা’
.............................................................................................
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু
.............................................................................................
জগন্নাথের গর্ব ভাষা শহীদ রফিক
.............................................................................................
ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এবং সম্ভাব্য প্রস্তুতি
.............................................................................................
দেশকে এগিয়ে নিতে ছিন্নমূল পথশিশুদের পুনর্বাসন করতে হবে
.............................................................................................
বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও ছাত্রলীগ একটি অপরটির পরিপূরক
.............................................................................................
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পূর্বশর্ত স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন
.............................................................................................
ইউপি নির্বাচন : দলীয় প্রতীক তৃণমূলে দলের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে!
.............................................................................................
টিকটক এবং সামাজিক অবক্ষয়
.............................................................................................
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প
.............................................................................................
করোনায় বেকারদের অবস্থা শোচনীয়
.............................................................................................
অবক্ষয়ের নতুন ফাঁদ ‌টিকটক
.............................................................................................
রাষ্ট্র, আইন এবং রোজিনারা
.............................................................................................
পথশিশুরাও মানুষ
.............................................................................................
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও চর উন্নয়ন
.............................................................................................
নির্ভীক পদচারণার ৫০ বছর
.............................................................................................
সর্বত্র জয় হোক বাংলা ভাষার
.............................................................................................
বাঙালির চেতনা ও প্রেরণার প্রতীক একুশে ফেব্রুয়ারি
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
    2015 @ All Right Reserved By dailyswadhinbangla.com

Developed By: Dynamic Solution IT