সারা দেশে তীব্র গরম পড়েছে। প্রতি বছরই এ সময় ফুড পয়জনিংয়ের কারণে ডায়রিয়ার রোগী বেড়ে যায়। ফুড পয়জনিং মূলত খাবার থেকেই হয়। ফলে বমি বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
গরমে বাড়ে প্রকোপ : গরমের সময় ফুড পয়জনিং বেশি হয়। এ সময় খাবার দ্রুত পচে যায় বলে এতে জীবাণু সহজে সংক্রমিত হয়। এজন্য বাসি বা পচা খাবার, গরমে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার খাওয়া উচিত নয়। পথেঘাটে তৈরি খাবার না খেয়ে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খেলে ফুড পয়জনিংয়ের আশঙ্কা কমে। কারো ফুড পয়জনিং হলে সময়মতো এর চিকিৎসা করা না হলে তীব্র পানিশূন্যতা, এমনকি রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি হয়ে জটিলতা বাড়তে পারে। পানিশূন্যতা রোধে ডাব, তরমুজ জাতীয় রসাল ফলমূল খাওয়া উচিত। এতে শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা হয়।
যা রাখতে হবে খাদ্যতালিকায় : ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্তকে দিতে হবে সহজপাঁচ্য আমিষ। হজমের সুবিধার জন্য মাছ-মাংসের কিমা, সিদ্ধ ডিম দেওয়া যেতে পারে। ডিমের সাদা অংশ, ঘোল ও পাকা কলা, কাঁচকলা ডায়রিয়ায় বেশ কার্যকর। তবে খাবারে ডাল না রাখাই ভালো। এ ছাড়া শিং, মাগুর ও কচি মুরগির মাংসের পাতলা ঝোল জাতীয় খাবার বেশ উপকারী। এতে আলু-পেঁপে-কাঁচকলা-লাউ অথবা আঁশ ছাড়া অন্য কোনো সবজি দিতে পারলে বেশি ভালো ফল পাওয়া যায়। এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। স্যালাইন, লেবুর শরবত, ফলের রস খেলেও পানিশূন্যতা রোধ করা যাবে।
যা এড়িয়ে চলতে হবে : খাবার যেন টাটকা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ডুবোতেলে ভাজা খাবার, মসলা ও ঝালযুক্ত খাবার, মিষ্টি, চাটনি, আচার, কাঁচা সবজি, আঁশযুক্ত খাবার, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, ভুসিযুক্ত রুটি, শসা, মাংস ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।
চিকিৎসা : ডায়রিয়া প্রতিরোধে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে এটি ভালো হয়ে যায়। রোগী মুখে না খেতে পারলে এবং জটিল পরিস্থিতি মনে হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অথবা ভালো কোনো হাসপাতালে ভর্তি করে শিরায় স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।