পবিত্র রমজান মাসের রোজা শেষ হওয়ার পর অন্যান্য নফল রোজার মধ্যে ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ রোজা হচ্ছে আশুরার রোজা। বিশ্বনবী (সা.) আশুরার রোজাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন সবসময়।
আশুরার রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ আছে—আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, রমজানের পর মহান আল্লাহর মাস মহররমের রোজা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/৩৬৮)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে রমজান ও আশুরায় যেভাবে গুরুত্বের সঙ্গে রোজা পালন করতে দেখেছি, তা অন্যসময় দেখিনি। (সহিহ বুখারি : ১/২১৮)
হযরত আলী (রা.)-কে একবার এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিলেন, রমজানের পর আর কোনো মাস আছে কি, যাতে আমাকে রোজা রাখার জন্য আদেশ করেন আপনি? তিনি বলেন, এই প্রশ্ন বিশ্বনবী (সা.)-এর কাছে জনৈক সাহাবি করেছিলেন, সেই সময় তার খেদমতে উপস্থিত ছিলাম আমি। জবাবে আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন, ‘রমজানের পর তুমি যদি রোজা রাখতে চাও, তাহলে মহররম মাসে রাখ। কেননা, এটি মহান আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যে দিনে একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন আল্লাহ তাআলা। আর ভবিষ্যতেও অন্যসব জাতির তওবা কবুল করবেন মহান আল্লাহ।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১/১৫৭)
আশুরার রোজা রাখার নিয়ম : মহররমের ১০ তারিখ রোজা রাখতে হয় আশুরার। এর সঙ্গে আরও একটি রোজা মিলিয়ে রাখার কথা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে হাদিসে। মহররমের ৯ ও ১০ বা ১০ ও ১১ তারিখ, এই দুইদিন রোজা রাখা উত্তম।
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, আশুরার দিন তোমরা রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদীদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখ তোমরা। (সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস : ২০৯৫)