প্রত্যয় স্কিম নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের বক্তব্য ‘নির্জলা অসত্য’: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
4, July, 2024, 10:22:54:AM
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ফুসে ওঠেছে বিশ^বিদ্যায়গুলো। শিক্ষকদের আন্দোলনকে যৌক্তিক দাবি করে শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করছে। প্রত্যয় স্কিমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অবমাননাকর, মর্যাদার পরিপন্থী এবং ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
একইসাথে প্রত্যয় স্কিম নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘স্কিমের আওতায় এলে কারো স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না এবং সুবিধা অক্ষুণ্ন থাকবে’ বক্তব্যকে অন্তত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ‘নির্জলা অসত্য’ আখ্যা দিয়েছে তারা।
বুধবার (৩ জুলাই) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৭ শিক্ষকের স্বাক্ষর সংবলিত এই বিবৃতি দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে প্রত্যয় স্কিম অগ্রহণযোগ্য হওয়ার ৪টি যুক্তি তুলে দেওয়া হয় এবং ৪টি দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য নতুন পেনশন ব্যবস্থা `প্রত্যয়` বাতিল করে বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে হবে, যাতে শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা বজায় থাকে।
শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধাবৃদ্ধির জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করতে হবে।
দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ শিক্ষার্থী-সহায়তা স্কিম অবিলম্বে চালু করতে হবে।
শিক্ষার্থীর সংখ্যার সঙ্গে আনুপাতিক হারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামো এবং গবেষণাগার তৈরি করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত মার্চে বাংলাদেশ সরকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর `প্রত্যয়` নামের একটি নতুন পেনশন ব্যবস্থা জোর করে চাপিয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অংশীজনের সঙ্গে কোনোরূপ আলোচনা-পরামর্শ ছাড়াই এই নতুন পেনশন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়া বর্তমান সরকারের স্বেচ্ছাচারী আচরণের আরও একটি নগ্ন প্রকাশ।
সরকার যে উন্নয়নের দাবি করে সেই দাবি সত্য হলে পেনশনের সুবিধা বাড়ার কথা, কমার কথা নয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিদ্যমান পেনশনের সুবিধা উঠিয়ে দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম নামের এক নতুন ব্যবস্থা চালু করা সরকারের আর্থিক ঘাটতি পূরণ করার অন্যতম একটি কৌশল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে শিক্ষকদের নতুন বেতন স্কেলের আন্দোলনে শিক্ষক নেতাদের কারো কারো ব্যক্তিগত স্বার্থে পুরো শিক্ষকসমাজের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়া হয়েছে। এটি ঘটনাক্রমে সরকারের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা সুসংহতকারী আমলাদের ক্ষমতা ও মর্যাদা বাড়িয়েছে।