বৈঠকে ফ্রান্সের জাতিসংঘের দূত নিকোলাস ডি রিভিয়ের, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির কারণে ডাকা নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশনে বক্তব্যের জন্য জাতিসংঘের প্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এছাড়া মহাসচিবের প্রতি ফ্রান্সের পূর্ণ সমর্থন ও আস্থা প্রকাশ করেছেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া, গুতেরেসের বিষয়ে ইসরাইলের সিদ্ধান্তকে ‘অনাকাঙ্খিত’ আখ্যা দেন। এছাড়া ইসরাইলের সিদ্ধান্ত এবং ‘শুধু জাতিসংঘের নয়, আমাদের সকলের (নিরাপত্তা পরিষদ) বিরুদ্ধে’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা পরিষদ এবং জাতিসংঘের সদস্যদের এই জঘন্য কাজের প্রতিক্রিয়া জানাতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
চীনের প্রতিনিধি ফু কং গুতেরেসের প্রতি বেইজিংয়ের ‘দৃঢ় সমর্থন’ ব্যক্ত করেছেন। এবং জাতিসংঘের প্রধানকে নিষিদ্ধ করার ইসরাইলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা প্রকাশ করেছেন।
মাল্টার দূত ভেনেসা ফ্রেজিয়ার, গুতেরেসের প্রতি ‘নিরবিচ্ছিন্ন এবং অটল সমর্থনের’ উপর জোর দেন। এছাড়া ‘এই কঠিন সময়ে সংস্থাকে পরিচালনায় তার অব্যাহত নেতৃত্ব এবং নৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য’ গুতেরেসকে ধন্যবাদ জানান।
স্লোভেনিয়ার ডেপুটি দূত, ওন্ডিনা ব্লোকার, জাতিসংঘের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এবং গুতেরেসের প্রতি ‘পূর্ণ সমর্থন’ ব্যক্ত করেছেন।
ব্লকার বলেন, ‘আমরা আজকের ঘোষণাটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য ইসরাইলের কাছে আবেদন করছি। এখন কূটনীতির ভূমিকা শক্তিশালী করার এবং শান্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার উপযুক্ত সময়’।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জুনকুক হোয়াংও ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য’ জাতিসংঘ মহাসচিবকে তার গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।