ইরানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় তাদের চারজন সেনা নিহত হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে শনিবার ইসরায়েল পাল্টা এই হামলা চালায়। খবর বিবিসির।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং তেহরান ও পশ্চিম ইরানের কিছু স্থাপনাকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার আছে এবং একইসঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতিও দায়িত্বের বিষয়টি তারা স্বীকার করে।
ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে এবার হামলা করেছে ইসরায়েল। এসব হামলা সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলার দাবি করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। একই সঙ্গে কিছু জায়গায় ‘সামান্য ক্ষতি’ হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
ইসরায়েলের হামলার পর ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত মিডিয়ায় বিভিন্ন শহরে স্বাভাবিক চিত্র আছে এমন দৃশ্য প্রদর্শন করেছে। স্কুল ও খেলাধুলাও স্বাভাবিক চলছে বলে এসব খবরে দেখানো হয়।
ইরানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পরপরই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাদের অভিযানের বিষয়টি ঘোষণা করে। আইডিএফ মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের আত্মরক্ষায়’ নিজেদের প্রস্তুতির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে তাদের সামরিক বাহিনী।
একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করে দেন যে ইরান নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করলে ‘ইসরায়েল জবাব দিতে বাধ্য হবে’।
তবে শনিবার ভোরে ইসরায়েলের হামলার কতটা সুনির্দিষ্ট ছিল কিংবা হামলার মাত্রা সম্পর্কে এখনো পরিপূর্ণ চিত্র পাওয়া যায়নি। ইরানের এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ফ্লাইট চলাচল অল্প সময়ের জন্য স্থগিত করে পরে আবার চালুর ঘোষণা দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে ৪২ বছর বয়স্ক কারখানা কর্মী হুমান বলছিলেন, শব্দের প্রতিধ্বনি হচ্ছিল....ভয়ানক ও ভয়ঙ্কর। এখন মধ্যপ্রাচ্যে একটি যুদ্ধ। আমরা ভীত যে আমাদের এর মধ্যে টেনে নেওয়া হবে।