স্টাফ রিপোর্টার:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলার আখাউড়া উপজেলায় মো: স্বাধীন নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় হত্যাকারী স্বপন চৌধুরী ও তার বড় ভাই শরীফ চৌধুরীকে হত্যার ৮ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তবে এ ঘটনায় হত্যাকারী স্বপন চৌধুরীর স্ত্রী ইতি বেগমকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর মসজিদের পাশে আবুল মিয়ার নার্সারী সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপর এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি তাৎক্ষনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করে এবং আসামিকে গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয়ে উঠে পুলিশ।

নিহত মো. স্বাধীন উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর (উত্তরপাড়া) গ্রামের মো. ফজল মিয়ার ছেলে। হত্যাকারী স্বপন চৌধুরি একই ইউনিয়নের রামধননগর গ্রামের চৌধুরী বাড়ির রোকন উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে।

প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, মসজিদের সামনে টাকা পাওনা ও দেনা নিয়ে স্বাধীন ও রামধননগর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের স্বপনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ২ জন মারমুখী হয়ে উঠে। কিছুক্ষণ পর আরো ৪/৫ জন যুবক এসে স্বপনের সাথে যুক্ত হয়ে স্বাধীনকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে স্বপন চৌধুরী-স্বাধীনকে ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে। সাথে সাথে স্বাধীন মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে স্বাধীনকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বাধীনকে মৃত ঘোষণা করে।

স্বাধীনকে মৃত ঘোষণাকারী কর্তব্যরত চিকিৎসক ফয়জুন্নেছা আমিন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা কিছু লোকজন মৃত অবস্থায় স্বাধীন নামে যুবকটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পেটে বড় ধরণের ছুরিকাঘাত রয়েছে। অনেক রক্তক্ষরণও হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর পর নিহত স্বাধীন মিয়ার বাবা ফজল মিয়া রাতেই ৫ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। প্রযুক্তি ব্যবহার ও সোর্সের মাধ্যমে রাত ৩টার দিকে জেলার নবীনগর থানাধীন নারুই গ্রাম থেকে স্বপন ও তার ভাই শরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বপনের বিরুদ্ধে থানায় পূর্বেও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।