প্রযুক্তির দুনিয়ায় নতুন সংযোজন ‘চ্যাটজিপিটি’
প্রযুক্তির দুনিয়ায় প্রতিনিয়তই আসছে নিত্য নতুন প্রযুক্তি। তবে কয়েক বছর ধরেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আলোড়ন সৃষ্টি করছে। বর্তমানে ওপেন এআই এর দুনিয়ায় সবচেয়ে আধুনিকতম সংযোজন হচ্ছে চ্যাটজিপিটি।
চ্যাটজিপিটি কি? চ্যাটজিপিটি হল জিপিটি (জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার) ভাষা মডেলের একটি সংস্করণ যা OpenAI দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।ChatGPTএকটি স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম, যা মানুষের করা প্রশ্নগুলির উত্তর স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদান করে। চ্যাটজিপিটি এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মানুষের মতো উত্তর তৈরি করে। এটি জিপিটি নামক একটি মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটি স্বাভাবিক ভাষা বুঝতে পারা এবং স্বয়ংক্রিয় ভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানাতে ডিজাইন করা হয়েছে। চ্যাটজিপিটি হলো একটি চ্যাট বট। এই চ্যাটবট মানুষের মতো টেক্সট তৈরি করতে সক্ষম। ব্যবহারকারী যে কোনও প্রশ্নের উত্তর খুব গঠনমূলক এবং সহজ ভাবে প্রদর্শন করে এই চ্যাটবট।
২০১৮ সালে, OpenAI GPT (জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার) চালু করেছিল যা ছিল একটি ভাষার মডেল যা বিভিন্ন সাধারন ভাষা প্রক্রিয়াকরণ কাজের জন্য ব্যবহার করা যেত। সর্বশেষ নভেম্বর ২০২২-এ চ্যাটজিপিটির একটি প্রোটোটাইপ প্রকাশ করেছে, যা বাক্যালাপমূলক তথ্য লেখার জন্য GPT-3.5 প্রায় নির্ভুল ভাবে তৈরি করা এক্সটেনশন।
চ্যাটজিপিটির সুবিধা হলোএআই মডেলের দ্বারা তৈরি চ্যাটবট সম্পূর্ণ নির্ভুল এবং যুক্তি-যুক্তভাবে রেজাল্ট প্রদর্শন করে। ফলে উক্ত ব্যবহারকারী বুঝতে সুবিধা হয়। এবং কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অর্থাৎ বিজ্ঞাপন ছাড়াই কাজ করে এই চ্যাটবট। এই চ্যাটবট আপনার পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর লিখে দিতে পারবে, আপনার জন্য কবিতা লিখে দিতে পারবে, অর্থনীতি-রসায়ন থেকে শুরু করে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম এই চ্যাটবট।
কিছু সুবিধা থাকলেও চ্যাটজিপিটির অসুবিধাও রয়েছে। মূলত, এই চ্যাট বটে কেবল টেক্সট রেজাল্ট পাওয়া যায়। ভিডিও বা ভিজুয়াল রেজাল্ট আসে না। শুধু এটা নয়, সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে এটি উত্তর দিতে সক্ষম নয়। কারণ এটির সিস্টেমে যে ডাটাবেস রয়েছে তা তুলনামূলক পুরোনো। তাছাড়া এটির সিস্টেমে যে ডাটাবেস রয়েছে সেই অনুযায়ী এটি উত্তর প্রদর্শন করে।
-সাকিবুল হাছান
ঢাকা কলেজ,ঢাকা
|
প্রযুক্তির দুনিয়ায় প্রতিনিয়তই আসছে নিত্য নতুন প্রযুক্তি। তবে কয়েক বছর ধরেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আলোড়ন সৃষ্টি করছে। বর্তমানে ওপেন এআই এর দুনিয়ায় সবচেয়ে আধুনিকতম সংযোজন হচ্ছে চ্যাটজিপিটি।
চ্যাটজিপিটি কি? চ্যাটজিপিটি হল জিপিটি (জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার) ভাষা মডেলের একটি সংস্করণ যা OpenAI দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।ChatGPTএকটি স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম, যা মানুষের করা প্রশ্নগুলির উত্তর স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদান করে। চ্যাটজিপিটি এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মানুষের মতো উত্তর তৈরি করে। এটি জিপিটি নামক একটি মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটি স্বাভাবিক ভাষা বুঝতে পারা এবং স্বয়ংক্রিয় ভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানাতে ডিজাইন করা হয়েছে। চ্যাটজিপিটি হলো একটি চ্যাট বট। এই চ্যাটবট মানুষের মতো টেক্সট তৈরি করতে সক্ষম। ব্যবহারকারী যে কোনও প্রশ্নের উত্তর খুব গঠনমূলক এবং সহজ ভাবে প্রদর্শন করে এই চ্যাটবট।
২০১৮ সালে, OpenAI GPT (জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার) চালু করেছিল যা ছিল একটি ভাষার মডেল যা বিভিন্ন সাধারন ভাষা প্রক্রিয়াকরণ কাজের জন্য ব্যবহার করা যেত। সর্বশেষ নভেম্বর ২০২২-এ চ্যাটজিপিটির একটি প্রোটোটাইপ প্রকাশ করেছে, যা বাক্যালাপমূলক তথ্য লেখার জন্য GPT-3.5 প্রায় নির্ভুল ভাবে তৈরি করা এক্সটেনশন।
চ্যাটজিপিটির সুবিধা হলোএআই মডেলের দ্বারা তৈরি চ্যাটবট সম্পূর্ণ নির্ভুল এবং যুক্তি-যুক্তভাবে রেজাল্ট প্রদর্শন করে। ফলে উক্ত ব্যবহারকারী বুঝতে সুবিধা হয়। এবং কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অর্থাৎ বিজ্ঞাপন ছাড়াই কাজ করে এই চ্যাটবট। এই চ্যাটবট আপনার পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর লিখে দিতে পারবে, আপনার জন্য কবিতা লিখে দিতে পারবে, অর্থনীতি-রসায়ন থেকে শুরু করে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম এই চ্যাটবট।
কিছু সুবিধা থাকলেও চ্যাটজিপিটির অসুবিধাও রয়েছে। মূলত, এই চ্যাট বটে কেবল টেক্সট রেজাল্ট পাওয়া যায়। ভিডিও বা ভিজুয়াল রেজাল্ট আসে না। শুধু এটা নয়, সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে এটি উত্তর দিতে সক্ষম নয়। কারণ এটির সিস্টেমে যে ডাটাবেস রয়েছে তা তুলনামূলক পুরোনো। তাছাড়া এটির সিস্টেমে যে ডাটাবেস রয়েছে সেই অনুযায়ী এটি উত্তর প্রদর্শন করে।
-সাকিবুল হাছান
ঢাকা কলেজ,ঢাকা
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা একটি নতুন টেক্সটভিত্তিক সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অ্যাপ নিয়ে কাজ করছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এটি টুইটার ও মাস্টডনের মতো সামাজিক সাইটের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে। মেটার একজন স্পোকপার্সন বিবিসিকে জানায়, ‘আমরা একটি স্বতন্ত্রধর্মী অ্যাপস নিয়ে কাজ করছি। যেখানে টেক্সভিত্তিক আপডেট শেয়ার করা যাবে’।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এতে ব্যবহারকারীদের নতুন এক ধরনের সুযোগ তৈরি হবে। যেখানে জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তাদের আপডেটগুলো আলাদা করে শেয়ার করতে পারবেন।
মূলত টুইটারও এ ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ফলে একই ধরণের অ্যাপ নিয়ে মেটা কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় দুই টেক জায়ান্টের মধ্যে এক প্রকার শীতল যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে বলেই ধারণা করছেন টেক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে কস্ট-কাটিংয়ের কারণে নানা ধরণের সমস্যায় রয়েছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টুইটার। মূলত এই সুযোগটিই নিতে যাচ্ছে মেটা।
মানিকন্ট্রোল এর প্রতিবেদন অনুসারে, নতুন অ্যাপসটির কোডনেম পি৯২। এটি ইনস্টাগ্রাম থেকেই লগইন করা যাবে। মেটা মূলত কমবয়সী ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে নতুন অ্যাপটি আনতে চাইছে।
তবে এটি এখনও স্পষ্ট নয়, মেটা কবে থেকে নতুন অ্যাপটি সবার জন্য উন্মুক্ত করবে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্যবহারকারীদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ইউটিউব নিয়মিত নতুন ফিচার আনছে। কিছুদিন আগেই শর্টস ভিডিও ও ওয়াচটাইমে পরিবর্তন এনেছে। এছাড়াও প্রিমিয়াম ভার্সনে কিছু চমক নিয়ে হাজির হয়েছে এই টেক জায়ান্ট। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নতুন একটি আপডেট আনছে প্রতিষ্ঠানটি।
জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব তাদের বিজ্ঞাপন নীতিতে পরিবর্তন আনছে। শিগগিরই বন্ধ হচ্ছে ইউটিউবের ওভারলে বিজ্ঞাপন। যা ভিডিওর নিচে বা উপরে পপ-আপ আকারে প্রদর্শিত হয়।
ব্যবহারকারীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৬ এপ্রিল থেকে এই ছোট বিজ্ঞাপনগুলো বন্ধ হচ্ছে।
ইউটিউব তাদের সাপোর্ট পেইজে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে বিজ্ঞাপনটি আপাতত মোবাইল ডিভাইস থেকে বন্ধ হচ্ছে। ডেস্কটপ ভার্সনে এটি আরও কিছুদিন চলবে।
যদিও ইউটিউব এই পপ-আপ বিজ্ঞাপন সরিয়ে নতুন কোন ধরনের অ্যাড প্রদর্শন করবে, যে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, প্রি রোল, মিড রোল ও পোস্ট রোল বিজ্ঞাপনের উপর প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে গুরুত্ব দিতে পারে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর শেরাটন হোটেলে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গত মার্চ ৫ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রবির ফ্ল্যাগশিপ ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম আর-ভেঞ্চারস ৩.০ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল। চূড়ান্ত বাছায়ের পর মোট ১১টি ডিজিটাল স্টার্ট-আপ প্রতিযোগিতাটির গ্র্যান্ড ফিনালেতে অংশ নেয়।
ফাইনালে অংশ নেওয়া নতুন উদ্যোক্তারা ৮ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়। এর মধ্যে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি আইটি কোম্পানি এবং আর-ভেঞ্চার প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ডের পৃষ্ঠপোষক রেডডট ডিজিটাল লিমিটেডের কাছ থেকে ২ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিনিয়োগ পেয়েছে ৪টি ডিজিটাল স্টার্ট-আপ। রেডডট ডিজিটাল লিমিটেড ছাড়া এসবিকে টেক ভেঞ্চারস এবং অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর, কানিজ আলমাস খানও সাড়ে ৩ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া স্টার্ট-আপগুলোতে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এবং আইসিটি বিভাগের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড মোট আড়াই কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্যোক্তাদের হাতে বিনিয়োগের চেক তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- রবির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ, রেডডট ডিজিটালের সিইও হাসিব মুস্তাবসির, আর-ভেঞ্চারস ৩.০-এর কর্মকর্তা, বিনিয়োগকারী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আর-ভেঞ্চারস ৩.০-এর ফাইনালের মাধ্যমে যেসব স্টার্ট-আপ আজ বিনিয়োগ পেয়েছেন এবং যারা পাননি সবাইকে অভিনন্দন। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপনাদের মতো উদ্যোক্তাদের ভুমিকা অতুলনীয়। আপনাদের উদ্ভাবনী ধারণার হাত ধরে বিশ্বপর্যায়ে আগামীতে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে রবি যেভাবে আমাদের পথচলায় বন্ধুর মতো ছিল, আমি আশা করি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারা একইভাবে আমাদের পাশে থাকবে।
ফাইনাল রাউন্ডে জায়গা করে নেওয়া সেরা ১১টি দলের মধ্যে ই-কমার্স ও রিটেইল থেকে ডিজি দোকান লিমিটেডে রবি, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড দেড় কোটি, ফিনটেক থেকে হিসাবপ্লাসে এসবিকে টেক ভেঞ্চারস, রবি এবং কানিজ আলমাস খান ১ কোটি ২৫ লাখ, জমাতে এসবিকে টেক ভেঞ্চারস ও রবি থেকে ২ কোটি, লিগ্যাল টেক থেকে উকিলে এসবিকে টেক ভেঞ্চারস ও কানিজ আলমাস খান ১ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া এসিস্টিভ টেকনোলোজি থেকে দৃষ্টিতে ২৫ লাখ, স্টার্টআপ বাংলাদেশ সফটওয়্যার অ্যান্ড টেকনোলোজি থেকে এএনটিটি রোবোটিক্সে ৫০ লাখ, কনজিউমার সার্ভিসেস থেকে ইয়োর-ক্যাম্পাসে ৫০ লাখ এবং গার্মেন্টস টেক থেকে ফ্যাব্রিক লাগবেতে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে রবি।
একইসঙ্গে গ্রিনটেক/মোবিলিটি থেকে মাইল, সার্কুলার ইকোনমি/ক্লিনটেক থেকে রিসাইকেল জার ইকোসিস্টেম এবং হেলথ টেক ইন্ডাস্ট্রি থেকে রিল্যাক্সি লিমিটেডসহ অংশগ্রহণকারী সব দলের প্রস্তাবে আইসিটি ডিভিশন থেকে ১০ লাখ টাকা করে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
প্রস্তাবগুলো বাছাই করা হয়েছে তাদের অনন্যতা, কার্যকারিতা, ব্যবসায়িক মডেল, প্রস্তাব জমা দেওয়া কোম্পানির কাঠামো, প্রযুক্তির ব্যবহার, আর্থিক বিশ্লেষণ ও সমাজে সামগ্রিক প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে।
রবি তার কর্মীদের মধ্যে ডিজিটাল উদ্যোক্তা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে আর- ভেঞ্চারসের প্রথম পর্ব আয়োজন করে। যার সাফল্যের ধারাবাহিকতায় কোম্পানিটি ২০১৯ সালে ডিজিটাল উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী সবার জন্য চালু করে আর-ভেঞ্চারস ২.০।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতে ২৯ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। বুধবার (১ মার্চ) মাসিক রিপোর্টে এই তথ্য দিয়েছে তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের অভিযোগ এবং ইরফরমেশন টেকনোলজি আইন ২০২১ অনুসারে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের মাসিক প্রতিবেদনে বলেছে, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ২৯ লাখ ১৮ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১০ লাখ ৩৮ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র বলেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপ্টেড মেসেজিং পরিষেবাগুলোর মধ্যে অপব্যবহার প্রতিরোধে সবার চেয়ে এগিয়ে। কয়েক বছর ধরে আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মে আমাদের ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষজ্ঞদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছি।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সৌদি আরবের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন আমের আল সোয়াহার মধ্যে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের লীপ ভিআইপি লাউঞ্জে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা দুই দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশ বিশেষ করে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে আইসিটি খাতে বিনিয়োগ ও যৌথ শিক্ষা সহযোগিতা, স্মার্ট সিটি স্থাপনে বিনিয়োগ এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), রোবোটিক্স, সেমিকন্ডাক্টর এবং ন্যানো প্রযুক্তির নিয়ে একসাথে কাজ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে "ডিজিটাল বাংলাদেশ" বাস্তবায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সার্বিক অগ্রগতি এবং ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপকল্প তুলে ধরেন। তিনি বলেন ভাতৃপ্রতিম সৌদি আরবের সঙ্গে ডিজিটাল রূপান্তর ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ নিয়ে একসাথে কাজ করতে চাই।
সৌদি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এ সময় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্র দূত ডঃ জাবেদ পাটোয়ারী, প্রতিমন্ত্রী একান্ত সচিব মুশফিকুর রহমান ও সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সৌদি অর্থমন্ত্রণালয়ের অধীনে পুঁজিবাজারে তালিকভূক্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এলম ইনফরমেশন সিকিউরিটি কোম্পানির সিইও ডঃ আব্দুল রহমান আল-জাদাইয়ের সাথে বৈঠকে বাংলাদেশে ‘স্মার্ট সিটি’গড়ার রূপকল্প নিয়ে বৈঠক করেন।
আলোচনায় স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরে আন্তর্জাতিক পর্যটন এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবায় সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই লক্ষ্যে আইসিটি নির্ভর স্মার্ট সিটি গঠনে এলম এর সঙ্গে প্রযুক্তি, আর্থিক এবং কৌশলগত চুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন উভয়েই। ডিজিটাল কোপারেশন অর্গানাইজেশন এর সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শীর্ষ পর্যায়ের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রীর ১০ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
|
|
|
|
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক : জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারের মালিকানা এখন ধনকুবের ইলন মাস্কের হাতে। টুইটার কিনে নিতে না নিতেই ঘোষণা দিয়েছিলেন কর্মী ছাটাইয়ের। শুক্রবার থেকে কর্মী ছাটাই শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে এর সব অফিস।
একটি অভ্যন্তরীণ নথির বরাত এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনার পর ছাঁটাইয়ের আগে টুইটারে কর্মীর সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৫০০ জন।
অভ্যন্তরীণ নথির বরাত দিয়ে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। পাশাপাশি কর্মীদের অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে প্রবেশের সুবিধাও বাতিল করা হয়েছে। গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার অঞ্চলের টুইটারের পাবলিক পলিসির পরিচালক মাইকেল অস্টিন বলেন, ঘুম থেকে উঠে খবর পেলাম যে আমার টুইটারে কাজ করার সময় শেষ হয়ে গেছে। আমার খুব মন খারাপ।
কেবল কর্মী ছাঁটাই নয়, টুইটারের ‘ব্লু-টিক’ বা ভেরিফিকেশনের জন্য মাসিক ফি নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন ইলন মাস্ক। তিনি জানান, এখন থেকে ব্লু-টিকের জন্য মাসে ৮ ডলার করে দিতে হবে টুইটার ব্যবহারকারীদের।
টুইটারের খরচ কমানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানায়, প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি অবকাঠামোগত খরচ সাশ্রয়ের উপায় খুঁজতে ইতোমধ্যে কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মাস্ক।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। প্রথম ও দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সক্ষমতা বাড়ছে। প্রস্তুত হচ্ছে তৃতীয়টিও। যোগ হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। বাড়ছে ব্যান্ডউইথ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা রপ্তানি করতে চায় সরকার। দেশজুড়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা ছড়িয়ে দিতে ২০০৯ সাল থেকেই ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে সাফল্যও এসেছে অনেক। প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রচেষ্টার যৌক্তিকতাও তুলে ধরছে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
গোটা প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে একাধিক সাবমেরিন কেবল ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। এসবের কল্যাণেই চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি ব্যান্ডউইথের মালিক এখন বাংলাদেশ। যা রপ্তানি করার লক্ষ্য সরকারের। কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় দেশের প্রধান দুটি ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে পাওয়া ব্যান্ডউইথ সীমিত পরিসরে রপ্তানি হচ্ছে। তবে আগামী কয়েক বছরে এ খাতের চাহিদা ও রপ্তানিতে নতুন বিপ্লব ঘটার প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
এশিয়াসহ আফ্রিকা ও ইউরোপের অনেক দেশ হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথের বড় ক্রেতা। এরই মধ্যে ভারত, সৌদি আরব ও ফ্রান্সে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি হচ্ছে। প্রক্রিয়ায় আছে মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশ। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানীর এমডি আজম আলী বলেন, “আমাদের ৯৫ শতাংশ ক্যাপাসিটি সিঙ্গাপুরে। ওইটা পড়ে থাকায় যখন কিছু সুযোগ পাই তখন কিছু রিচ দেওয়া যায়।”
বর্তমানে দেশে ব্যান্ডউইথের চাহিদা প্রায় ৪ হাজার জিবিপিএস। ২০২৫ সালে হবে ১৩ হাজার ২শ’ আর ২০৩০ সালে চাহিদা দাঁড়াবে ৩০ হাজার জিবিপিএসে। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয়টি বাদে এসময়ে শুধু তৃতীয় সাবমেরিন কেবল থেকেই মিলবে ১৩ দশমিক ২ টিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। আজম আলী আরও বলেন, “প্রথমে ছিল ৭.৫ জি সেটাই তখন এটা মনে হতো কিভাবে ব্যবহার হবে। তারপরে আসে ২.৩ ট্যারা, এখন আরেকটি এসেছে ১৩.২ ট্যারা।”
চাহিদা এবং দেশের স্বার্থরক্ষা করেই অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ রপ্তানিতে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমরা একটা ক্যাবলের পরিবর্তে দুটা ক্যাবল দিয়েছি। যাতে খরচ বেড়েছে ২শ’ কোটি টাকা কিন্তু ক্যাপাসিটি ডাবল হয়ে গেছে। এই ক্যাপাসিটি উন্নতি করাটা বাংলাদেশের ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ব্যান্ডউইথের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করতে পারবো।” ব্যান্ডউইথের সঠিক ব্যবহার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এগিয়ে নেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রচেষ্টাকেও। এমনটাই প্রত্যাশা বিশ্লেষকদের।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক ধ্বংসের জন্য এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গই দায়ী। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিল জর্জ এমন দাবি করেছেন।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে হার্ভার্ডের ওই অধ্যাপক বলেন, ‘আমি মনে করি, যতদিন উনি আছেন ফেসবুকের বিশেষ কোন উন্নতি হবে না। যে সব কারণে অনেকেই ফেসবুক ছেড়ে দিচ্ছেন, তার মধ্যে অন্যতম কারণ উনি নিজে। উনি সত্যিই দিগভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছেন।’ সম্প্রতি জর্জ তার ‘অথেন্টিক’ নামের বইয়ে দাবি করেছেন, যে ‘খারাপ’ বসদের জন্য প্রতিষ্ঠান ডুবে, তার অন্যতম উদাহরণ জুকারবার্গ।
মোট পাঁচটি ধরনের কথা তিনি বলেছেন। যার মধ্যে তিনটি ধরনই মিলে যায় জুকারবার্গের সঙ্গে। যার মধ্যে একটি ধরন হলো সবসময় ব্যর্থতার জন্য অন্যদের দায়ী করা। দ্বিতীয়টি হল, কারও পরামর্শ শুনতে না চাওয়া। তৃতীয়ত, নিজের পিঠ নিজে চাপড়ানো। অর্থাৎ সব সময় নিজেকে বড় করে দেখানো।
এত সমালোচনার মধ্যেও ভালো দিকটি হল, জুকারবার্গকে খারাপ বসদের সবকটি ক্যাটাগরিতে ফেলেননি ওই অধ্যাপক। জর্জ জানিয়েছেন, মার্ক চাইলে নিজেকে পালটে ফেলতে পারেন। যদিও এই বিপুল সাফল্যের পর তা করা কঠিন।
জর্জের পরামর্শ, সাময়িক ভাবে সবকিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে বিশ্রাম নিন জুকারবার্গ। সেই সঙ্গে নিজের মূল্যবোধ ও অন্য বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করুন। তারপর সব কিছু নতুন করে শুরু করতে হবে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক আশংকাজনকভাবে বেড়েছে পৃথিবীর গতি। ফলে ২৪ ঘণ্টার চেয়েও কম সময়ে দিন হচ্ছে। ২০২২ সালের ২৯ জুন দ্রুততম গতিতে এক পাক সম্পন্ন করে পৃথিবী। গত ২৬ জুলাইও ২৪ ঘণ্টার থেকে ১.৫০ মিলিসেকেন্ড কম সময়ে এক বার পাক খেয়েছে পৃথিবী। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২৯ জুন পৃথিবীর গতি এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ১.৫৯ মিলিসেকেন্ড কম সময়েই এক পাক ঘুরেছে পৃথিবী, সম্পূর্ণ হয়েছে এক দিন!
১৯৭৩ সাল থেকে পারমাণবিক ঘড়ির মাধ্যমে পৃথিবীর ঘূর্ণনে কতটা সময় লাগছে তা পর্যবেক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা। ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেম সার্ভিস’ বা ‘আইইআরএস’ নামক সংস্থার নেতৃত্বেই মূলত এই কাজ হয়। কয়েক বছর আগেও ‘আইইআরএস’-এর বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল ক্রমেই ধীর হয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর গতি। কিন্তু সম্প্রতি বদল আসতে শুরু করে সেই ধারণায়।
বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, দিনের দৈর্ঘ্য ক্রমশ ছোট হচ্ছে। ২০২২-এর ২৯ জুন দ্রুততম গতিতে এক পাক সম্পন্ন করে পৃথিবী। গত ২৬ জুলাইও ২৪ ঘণ্টার থেকে ১.৫০ মিলিসেকেন্ড কম সময়ে এক বার পাক খেয়েছে পৃথিবী।
বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন। কারও মতে মেরু প্রদেশের বরফের চাদর গলে যাওয়ার ফলে এমনটা ঘটছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, পৃথিবীর অভ্যন্তরের গলিত পদার্থ সরে যাওয়াই এর কারণ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রাতবেদক মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা দিতে ৬ মাসের মধ্যে গ্রাহক পর্যায়ে অপটিকাল ফাইবার নিশ্চিত করতে চায় বিতরণকারী কোম্পানিগুলো। বহাল থাকবে ‘একদেশ একরেট’ পদ্ধতিও। লক্ষ্যপূরণে কাজ চলছে পুরোদমে। গেল একযুগে ইন্টারনেট বদলে দিয়েছে দেশের চেহরা। সহজে ও নির্বিঘেœ যোগাযোগ, লেনদেন এবং ভার্চুয়াল দুনিয়ায় বিচরণ করার অপার সুযোগ করে দিয়েছে এই মাধ্যম। দ্রুততম সময়ে দেশ ও দেশের বাইরে অর্থাৎ গ্লোবাল ভিলেজের সুবিধায় সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে যুক্ত করতে দরকার কার্যকরি ইন্টারনেট।
ইতোমধ্যেই যুক্ত করা হয়েছে সরকারের প্রায় অধিকাংশ মন্ত্রণালয়। সুফল পাচ্ছে মানুষ। ফাইবার এ্যাট হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইনুল সিদ্দিকী বলেন, “প্রাইভেট সেক্টরের সঙ্গে সরকার যে প্রজেক্টটা করলো যার ফলে অনেকগুলো ইউনিয়ন কানেক্টেড। দুই-তিন লাখ কানেক্টিভিটির উদ্যোগ নেওয়া হলে বাকি গ্যাপটা কেটে উঠবে।” সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রান্তিকেও ছোঁয়া লেগেছে অপটিক্যাল কেবলের ইন্টারনেট। যাতে ঘরে বসে আয় করার সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষিত তরুণরা।
নিত্যনতুন অ্যাপ আর ডিভাইস তৈরি হচ্ছে। বিশ্ব প্রতিযোগিতায় নাম লেখাচ্ছে বাংলাদেশ। মাইনুল সিদ্দিকী আরও বলেন, “বিভিন্ন টেলিকম অপারেটর এবং আইএসপিতে বাংলাদেশের ছেলেরা আজ সিইও, সিটিও লেবেলগুলোতে কাজ করছে। একটা কিছু গুছিয়ে দিতে পারলে, পলিসি সাপোর্ট পেলে তারা এটা সুন্দর করে প্রমাণ করতে পারে।” তবে, এতসব সুযোগ গ্রামীণ জনপদে দিতে দরকার দক্ষ জনবল।
এ নিয়ে কাজ চলছে পুরোদমে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলম বলেন, “ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ডে একটা অবস্থা আছে আমাদের। তা খুবই সম্মানজনক অবস্থা। বাংলাদেশে আমরা যে কাজগুলো করছি, তা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা পরিবেশ তৈরি করছি। সুতরাং এটা একটা বড় জায়গা।” ক্রমবর্ধমান এই খাতই সমৃদ্ধ করবে বাংলাদেশকে। তবে সেজন্য আইসিটি খাতকে নিরাপদ রাখা জরুরি। জিয়াউল আলম বলেন, “প্রতি পদে পদে সিকিউরিটি আছে। এটা নিয়ে বেশি কাজ করছি।
সরকার এগুলোতে খুবই সাকসেসফুলভাবে ওভারকাম করছে।” আইসিটি খাতকে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে পরিণত করতে ইন্ড্রাস্ট্রি প্রমোশনকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক সাবমেরিন ক্যাবল রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য শুক্রবার রাতে ইন্টারনেটের ধীর গতি হতে পারে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) এই আভাস দিয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
শুক্রবার বিএসসিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) প্রভাস চন্দ্র ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সি-মি-উই-৫ কনসোর্টিয়াম ২৯ জুলাই দিনগত রাত ২টা থেকে ৩০ জুলাই সকাল ৭টা পর্যন্ত সাবমেরিন ক্যাবল রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হবে। উল্লিখিত সময়কালে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনে টার্মিনেটেড সব সার্কিট বন্ধ থাকবে। তবে সি-মি-উই-৪ সাবমেরিন ক্যাবলের সার্কিটগুলি যথারীতি চালু থাকবে।’
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক বছরের প্রথম তিন মাসে প্রায় ৩৫ লাখ বাংলাদেশি ডিভিও সরিয়ে ফেলেছে টিকটক। এসব ভিডিও প্রতিষ্ঠানটির সামাজিক নীতিমালার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। অশ্লীলতা, বর্ণবাদ, ধর্মীয় উগ্রতা ছিল এসবের মূল বিষয়বস্তু। সবচেয়ে বেশি ভিডিও সরানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে। মানুষ ঝুঁকছে ভার্চুয়াল জগতে। বিনোদন দেয়া কিংবা নেয়াই শুধু নয়, খুলছে আয়ের পথও। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সামাজিক বিনোদন-মাধ্যম টিকটক। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কমপক্ষে ১শ’ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে চীনের মালিকানাধীন টিকটকের। মূলত অভিনয় বা গানের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে ভিডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যম এটি।
অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো টিকটক ব্যবহারকারীদেরও মানতে হয় প্রতিষ্ঠানটির বেঁধে দেয়া নীতিমালা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এর ব্যত্যয় ঘটছে। প্রতিষ্ঠানটি সরিয়ে ফেলছে কোটি কোটি ভিডিও। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ১ কোটি ৪০ লাখ ৪৪ হাজার, পাকিস্তানের ১ কোটি ২৪ হাজারের বেশি ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে টিকটক। এ সময়ে বাংলাদেশি ডিভিও সরানো হয় ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার।
টিকটক কর্তৃপক্ষ বলছে, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী, বিকৃত বিনোদন, ধর্মীয় উগ্রতা ছড়ানো ও যৌনতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডের মতো সামাজিক নীতিমালা লঙ্ঘণের দায়ে এসব ভিডিও সরানো হয়েছে। এদিকে, টিকটকের মাধ্যমে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়ছে। নারী পাচার, মাদক, চোরাচালানসহ নানা অপরাধে জড়াচ্ছে অনেক টিকটকার। বিনোদনের নামে সামাজিক ভারসাম্য বিনষ্ট ও বিকৃত সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ছে।
টিকটকের মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানও হচ্ছে, তবুও ভিডিও নির্মাণকে কেন্দ্র করে মৃত্যু, সংঘর্ষ ও কিশোর গ্যাংয়ের উত্থানও ভাবাচ্ছে সমাজকে।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক বিশ্বের অন্যতম বড় ক্যামেরা ব্র্যান্ড নিকন ডিজিটাল সিঙ্গেল রিফ্লেক্স ক্যামেরা বা ডিএসএলআর ক্যামেরার বাজার ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মিররলেস ক্যামেরা খাতে সামনে মনোযোগী হবে প্রতিষ্ঠানটি।
স্মার্টফোন ক্যামেরার যুগে ঐতিহ্যবাহী ক্যামেরা নির্মাতারা যে বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, তার মধ্যে নিজেদের ব্যবসায়ীক নীতি পরিবর্তনের এ আভাস এসেছে নিকনের কাছ থেকে। নিকন যদি ডিএসএলআর ক্যামেরা তৈরি বন্ধ করে দেয়, তবে বাজারে এর বড় একটা প্রভাব পড়বে।
ঠিক কবে থেকে নিকন ডিএসএলআর তৈরি বন্ধ করবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে প্রতিষ্ঠানটির পরবর্তী সিরিজের পণ্যগুলো যদি মিররলেস প্রযুক্তির অংশ হয়, তবে সেটা একেবারেই বিস্ময়কর হবে না।
স্মার্টফোনে থাকা কমপ্যাক্ট ক্যামেরার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মিররলেস ক্যামেরাগুলোকেই সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বলে মনে করা হয়। সনি এবং ক্যাননের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও নিজেদের ব্যবসায়ীক নীতিতে পরিবর্তন এনে আগেই ডিজিটালের দিকে ঝুঁকেছে। এবার সে পথে হাঁটছে নিকনও।
প্রায় ৬০ বছর ধরে পেশাদার ফটোগ্রাফাররা নিকনের এসএলআর ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন। তবে বর্তমানে স্মার্টফোনগুলোতে ক্রমাগতভাবে শক্তিশালী ক্যামেরা যুক্ত হতে থাকায়, দাপট হারাচ্ছে নিকন। এখন নতুন কিছু করে সেই দাপট পুনরুদ্ধার করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
২০২০ সালের জুনে ফ্ল্যাগশিপ ডিসিক্স এসএলআরের পর নতুন আর কোনো মডেল বাজারে আনেনি নিকন। কমপ্যাক্ট ডিজিটাল ক্যামেরা তৈরিও ইতোমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটি মিররলেস ক্যামেরার দিকে ঝুঁকলেও বিদ্যমান এসএলআর মডেলগুলোর উৎপাদন ও বিপণন চালিয়ে যাবে তারা।
ক্যাননের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এসএলআর নির্মাতা হলো নিকন। একজন ফটোগ্রাফার ভিউফাইন্ডার দিয়ে যে ছবিটি দেখেন, এসএলআর ক্যামেরায় সেটি আসলে একটি আয়নার মাধ্যমে পাওয়া ছবিটির প্রতিচ্ছবি।
১৯১৭ সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি নিকন নাম নেয় ১৯৪৬ সালে। ১৯৫৯ সালে প্রথম এসএলআর বাজারে ছাড়ে নিকন। পেশাদার ফটোগ্রাফার এবং সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের পছন্দ এ ব্র্যান্ডটি।
১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে নিকন ডিজিটাল এসএলআর তৈরি শুরু করে। গতবছর প্রতিষ্ঠানটি ৪ লাখের বেশি এসএলআর বিক্রি করেছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক যারা গ্রামীণফোন ব্যবহার করছেন তাদের জন্য নতুন দুঃসংবাদ। দেশের বৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন রিচার্জের সর্বনিম্ন সীমা বাড়িয়েছে। এখন থেকে অপারেটরটির গ্রাহকদের সর্বনিম্ন ২০ টাকা রিচার্জ করতে হবে। এর আগে সর্বনিম্ন ১০ টাকা রিচার্জ করা যেত। গ্রামীণফোন গ্রাহকদেরকে এসএমএস দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন মুহাম্মদ হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের বিভিন্ন প্রোডাক্টের সুবিধা সরলীকরণ করার অংশ হিসেবে ফ্লেক্সিলোডের সর্বনিম্ন রিচার্জ ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ২০ টাকার কমে সুলভ মূল্যে ১৪ ও ১৬ টাকার মিনিট প্যাকগুলো এবং সব রিচার্জ কার্ডগুলো আগের মতোই চালু থাকবে।
২১ এবং ২৯ টাকা রিচার্জে দুদিন এবং তিন দিন মেয়াদে যেকোনো লোকাল নম্বরে গ্রাহকেরা বিশেষ কলরেট সুবিধা পাবেন বলেও জানান হাসান।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাবে, দেশে এখন ১৮ কোটি ৪২ লাখ সক্রিয় সিম রয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের সিম সংখ্যা ৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার। গ্রাহক সংখ্যা, রাজস্ব ও মুনাফার দিক দিয়ে গ্রামীণফোন বাংলাদেশের শীর্ষ অপারেটর। গত সপ্তাহে বিটিআরসি সেবার মান সন্তোষজনক নয় উল্লেখ করে গ্রামীণফোনের নতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এ বিষয়ে সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেছিলেন, সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে না গ্রামীণফোন।
তবে বিটিআরসির সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, গ্রামীণফোন বিটিআরসি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা আইটিইউর সেবার মানদণ্ড অনুসরণ করার পাশাপাশি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মানদণ্ড থেকেও এগিয়ে আছে। ধারাবাহিকভাবে নেটওয়ার্ক ও সেবার মানোন্নয়নে তারা বিটিআরসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অবাধ তথ্য প্রবাহের সুবর্ণ সময় অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। দেশে গণমাধ্যমের কার্যপরিধি এখন অনেক বিস্তৃত বলেও জানান তিনি। শনিবার বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি’র তৃতীয় সম্প্রচার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি’র তৃতীয় সম্প্রচার সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
এসময় শিরীন শারমিন বলেন, ‘‘২০১৯ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়ন, সুরক্ষা ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নে কাজ করে আজ তাদের সুন্দর অবস্থান নিশ্চিত করেছে। জনস্বার্থে সাংবাদিকতা-সংবাদকর্মীর সুরক্ষা প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজকের এ আয়োজন প্রশংসনীয়। এটি এমন একটি প্লাটফর্ম যা সদস্যদের কল্যাণ সাধন, দক্ষতা বৃদ্ধি, ঝুঁকি মোকাবেলা, কর্মক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি, গবেষণামূলক কাজে সাংবাদিকদের উৎসাহিত করাসহ নানামুখী কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এ ক্ষেত্রে পাঁচ ক্যাটাগরিতে বিজেসি এওয়ার্ড প্রদান গণমাধ্যমকর্মীদের জনস্বার্থমূলক কাজে অনুপ্রাণিত করবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘দৈনন্দিন জীবনের সাথে গণমাধ্যম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ডিজিটাল সুবিধা ও ইন্টারনেটের অবাধ প্রসারের কারণে সংবাদ জগতের সাথে সার্বক্ষণিক যুক্ত থাকা হচ্ছে। ব্রডকাস্ট তথা সম্প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বের ঘটনা প্রবাহ সকলে ঘরে বসে দেখতে পাচ্ছে। বিশাল কর্মযজ্ঞকে সামনে রেখে জার্নালিস্ট সেন্টার ট্রাস্টি বোর্ডও গঠিত হয়েছে, যা গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’’
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকবান্ধব নীতি, ওয়েজবোর্ড গঠনসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মক্ষেত্রে সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্র চর্চা ও বিকাশের সাথে সংবাদ পরিবেশন ও মিডিয়ার অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’
বিজেসি’র সভাপতি রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সদস্য সচিব শাকিল আহমেদসহ বিজেসি’র সদস্যবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
|
|
|