|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ইন্টারনেটে তথ্যপ্রবাহের দুনিয়া খুলে গেল
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা www ছিল আবিষ্কারের ইতিহাসে যুগান্তকারী এক উদ্ভাবন, যা বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের ক্ষেত্রে ও মানুষের বর্তমান জীবনধারায় এনেছিল বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ব্রিটেনের এক তরুণ কম্পিউটার বিজ্ঞানী টিম বার্নাস লি ১৯৮৯ সালে তৈরি করেন যোগাযোগের এই ইতিহাস সৃষ্টিকারী জগত।
ইউরোপের বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র সার্নে টিম বার্নাস লির সঙ্গে কাজ করতেন তার দুই সহকর্মী বিজ্ঞানী- বেন সিগাল আর জঁন ফ্রসোয়াঁ গ্রথ, যারা তার আইডিয়াকে বাস্তবে রূপ দিতে সাহায্য করেন। টিম বার্নাস লি চেয়েছিলেন এমন একটা মাধ্যম সৃষ্টি করতে, যা বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষকে সংযুক্ত করবে। ‘এ এক নতুন যোগাযোগমাধ্যম যে মাধ্যম মানুষকে আরও কার্যকরভাবে তার কাজ করার সুযোগ করে দেবে, যে মাধ্যমের অবাধ তথ্যভাণ্ডার ব্যবহারের জন্য মানুষকে কোন ভৌগলিক সীমারেখা মানতে হবে না,’ বলেছিলেন তিনি। তার এই সৃষ্টি ছিল ছাপখানা আবিষ্কারের মতোই বৈপ্লবিক। ‘একক ভাবনা, মহান সৃষ্টি’ মানুষের সঙ্গে বিশ্বকে এভাবে সংযুক্ত করার এমন মাধ্যম এর আগে কখনও সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি। নতুন এই জগত যেভাবে মানুষের জীবনকে বদলে দেয় তা একসময় ছিল মানুষের কল্পনাতীত।
বার্নাস লি বলেছিলেন তার আশা এই আবিষ্কার খুবই ইতিবাচক একটা জগত তৈরি করবে। এই গ্রহের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মানুষকে এটা একত্রিত করবে, কারণ এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে ভার্চুয়াল জগতে যোগাযোগ সম্ভব হবে। টিমের এক সহকর্মী বেন সিগাল বিবিসিকে বলেন, টিম যে কাজ করেছিলেন তা আগে কেউ করেনি। ‘এটা ছিল এক ব্যক্তির একক ভাবনা, মহান এক সৃষ্টি।’
‘টিমের ছিল ভিশন এবং সেই ভিশনকে বাস্তবে রূপ দেবার ক্ষমতা -যে দুয়ের সমন্বয় খুবই বিরল,’ বিবিসিকে বলেছেন তার আরেক সহকর্মী বিজ্ঞানী জঁন ফ্রসোয়াঁ গ্রথ। টিম বার্নাস লি যখন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব আবিষ্কার করেন, তখন কিন্তু তিনি ছিলেন জেনিভায় সার্নে কর্মরত অতি সাদামাটা একজন বিজ্ঞানী। ‘কল সারানোর মিস্ত্রি’র যুগান্তকারী উদ্ভাবন সার্নে কাজ করেন পৃথিবীর বিখ্যাত বাঘা বাঘা সব পদার্থবিদরা- যাদের গবেষণার বিষয়বস্তু বিজ্ঞানের জগতের বিশাল বিশাল প্রশ্নের উত্তর খোঁজা- যেমন পৃথিবী কী উপাদান দিয়ে তৈরি- কীভাবে কাজ করে এসব উপাদান? সেখানে এই পদার্থবিদদের কাজে প্রযুক্তিগত সাহায্যের জন্য নিয়োগ করা হয় কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের, যাদের ভূমিকা হল প্রয়োজনে হাজির থাকা। ‘কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা সেখানে অনেকটা কল সারানোর মিস্ত্রির মতো। তাদের দরকার আছে, কিন্তু বড় বড় গবেষণার কাজে তারা অত্যাবশ্যক নয়। তাদের ডাক পড়ে শুধু প্রয়োজনে। আমরা ছিলাম সেখানে কলের মিস্ত্রি। দরকারে হাজির হতাম,’ বলেন জঁন ফ্রসোয়াঁ গ্রথ।
তবে তিনি বলেন, নতুন ও উন্নত উপায়ে তথ্য সরবরাহের প্রযুক্তি খোঁজাও ছিল তাদের অন্যতম একটা কাজ।
‘ধরে নিন বেশ কিছু নতুন পাইপ বা পথ খুঁজে পেলাম। সেগুলো জোড়া লাগিয়ে তথ্য চলাচলের জন্য আরও উন্নত ও নতুন পথের সন্ধান করতাম আমরা, বলেন গ্রথ। বিজ্ঞানীদের জন্য তথ্য প্রবাহের এই সরবরাহ লাইন বা পাইপ উদ্ভাবকদের দলটির বৈপ্লবিক কাজে নেতৃত্ব দিতেন টিম বার্নাস লি। তিরিশের ওপর বয়স, চুপচাপ প্রকৃতির তরুণ, যাকে দেখে মনেই হতো না তার ভেতরে লুকিয়ে আছে এমন এক প্রতিভা। টিম ১৯৮৯ সালে সার্নে তার বসের কাছে নতুন এক প্রস্তাব নিয়ে হাজির হলেন। ‘প্রস্তাবটা ছিল একেবারে অভাবনীয়- আসল কাজের সঙ্গে এর কোনোই যোগাযোগ ছিল না,’ বলছিলেন বেন সিগাল। তিনি টিমের দলে সরাসরি কাজ করতেন না। কিন্তু টিমকে তিনি পছন্দ করতেন এবং তাকে সাহায্য করতেন, পরামর্শ দিতেন। ‘তিনি যে ছবিটা হাজির করলেন তা আজকের দিনে এই জগতের খুবই পরিচিত একটা ছবি- কিন্তু তখন তাকে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করতে হল কী তিনি করতে চাইছেন।’ তার ভাবনায় ছিল অনেক স্তরের হলোগ্রাফিক ছবি- তার সঙ্গে বহুমাত্রিক জটিল ব্যাখ্যা ও যুক্তি। ‘টিমের মাথার ভেতর চিন্তাভাবনা ওভাবেই কাজ করত। ছবিটা দেখে বোঝা সহজ ছিল না সে কী করতে চাইছে। সে প্রচলিত কায়দায় কোন প্রকল্পের রূপরেখার সারমর্ম নিয়ে হাজির হয়নি। সে তার স্বপ্নের ছবি এঁকেছিল।’ কী ছিল সেই স্বপ্ন? তার সেই স্বপ্নটা ছিল গোটা বিশ্বকে দ্বিমুখী পথে, বহুমুখী পথে সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত করার একটা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। টিম বার্নাাস লির এই আবিষ্কারের পেছনে মূল অনুপ্রেরণা ছিল, সার্নে যেসব বিজ্ঞানী কাজ করছেন তাদের ভাবনা ও গবেষণার কাজ কীভাবে আরও কার্যকর উপায়ে আদানপ্রদানের ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। বার্নাস লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব আবিষ্কার করার আগে এই বিজ্ঞানীরা আলাদা আলাদাভাবে অনেক কম্পিউটার ব্যবহার করতেন তাদের কাজ অন্যদের কাছে তুলে ধরার জন্য। কীভাবে এ কাজ হতো তা ২০০৫ সালে বিবিসির কাছে ব্যাখ্যা করেছিলেন সার্নের একজন বিজ্ঞানী, যিনি ’৮০-এর দশকের শেষ দিকে সার্নে কাজ করতেন।
‘সেখানে তখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় সৃজনশীল বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। প্রত্যেকেই তাদের কাজের জন্য ব্যবহার করতেন তাদের নিজস্ব ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কম্পিউটার, ভিন্ন ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম, তথ্য পরিবেশনের জন্য বিভিন্ন ধাঁচের ফরম্যাট।’ ফলে কোনো একটা গবেষণা সম্পর্কে জানতে হলে খণ্ড খণ্ড ভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে হতো বলে জানান এই বিজ্ঞানী। ‘একটা কম্পিউটার খুলে সেই কম্পিউটার কীভাবে কাজ করে তা বুঝে নিয়ে তথ্য বের করে তা আমরা টুকে নিতাম কাগজে- এরপর বাকি তথ্যের জন্য যেতে হত আরেকটা কম্পিউটারে, সেখান থেকে তথ্য নিয়ে আবার আরেকটা কম্পিউটারে। ব্যাপারটা ছিল সময়সাপেক্ষ আর জটিল। সকলের ব্যবহার উপযোগী একটা জায়গায় আইডিয়া শেয়ার করার কোন পদ্ধতি বা সুযোগ আমাদের ছিল না।’ সেই সুযোগ এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখালেন টিম বার্নাস লি। ইন্টারনেট দুনিয়ার বিপ্লব তিনি প্রস্তাব দিলেন বাজারে যে প্রযুক্তি রয়েছে তা ব্যবহার করেই এমন একটা ভার্চুয়াল জগত তৈরি করা সম্ভব যেখানে সকলেই তথ্য শেয়ার করতে পারবে, তথ্য সহজেই আদানপ্রদান করতে পারবে। তিনি বললেন এর মূল ভিত্তি হবে ইন্টারনেট এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করেই আলাদা আলাদা কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হবে। তখন ইন্টারনেট চালু হয়ে গেছে দুই দশক ধরে। কিন্তু ইন্টারনেটের ব্যবহার তখনও জটিল পর্যায়ে, সেখানে কিছু খুঁজে পেতে সময় লাগে অনেক এবং খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। সমস্যার সমাধান করতে টিম বার্নাস লি দুটি প্রযুক্তিকে একসাথে জুড়লেন-ইন্টারনেটের সঙ্গে হাইপারটেক্সট। তিনি দেখলেন ইন্টারনেটের সঙ্গে হাইপারটেক্সট ব্যবহার করলে একটি ডকুমেন্টের সঙ্গে আরেকটি ডকুমেন্টকে সংযুক্ত করা যায় এবং ভার্চুয়াল জগতে একটি একক নথি তৈরি করা যায়। আর ব্রাউজার ব্যবহার করে পৃথিবীর যে কোনো জায়গা থেকে সেই নথি দেখা যায়, পড়া যায়। তার এই ভিশন থেকেই শুরু হল ইন্টারনেট দুনিয়ায় এক বিপ্লবের পদচারণা। উদ্ভাবনার কাজ গোপনে বার্নাস লি বললেন বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য একটা ওয়েবে নিয়ে আসা হবে। যেসব তথ্য ইতোমধ্যেই লেখা হয়েছে, তৈরি রয়েছে, ছড়িয়ে আছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে সেগুলো ইন্টারনেট আর হাইপারটেক্সট প্রযুক্তি এনে দেবে একটা জায়গায়। কিন্তু টিমের এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে নাকচ করে দিলেন তার বস। যদিও একইসাথে টিমকে তিনি অনুমতি দিলেন তার আইডিয়া নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে, কাজ করার জন্য সুযোগ সুবিধাও তৈরি করে দিলেন। ‘আমাকে বললেন টিমের সঙ্গে কাজ করতে। আমার তার সঙ্গে কাজ করার কোনো কথা ছিল না,’ বলছেন বেন সিগাল। কম্পিউটার প্রযুক্তি নিয়েও গবেষণার কিছু কাজ হতো সার্নে। কারণ পদার্থবিদ্যার কাজে সাহায্য করার জন্য কম্পিউটার প্রযুক্তির দরকার হতো। কিন্তু কোনো গবেষণা, যার সাথে পদার্থবিদ্যার কোনো যোগসূত্র নেই তার জন্য আলাদাভাবে তহবিল অনুমোদন করার এখতিয়ার সার্নের ছিল না। ফলে টিমের গবেষণার কাজ চলতে লাগল গোপনে- আড়ালে, মাটির নিচের ঘরে। জন্ম নিল ওয়ার্ল্ড ওয়াউড ওয়েব বেন সিগাল টিম বার্নাস লির বসকে গিয়ে বোঝালেন যে টিমের জন্য দরকার একটা বিশেষ ধরনের কম্পিউটার- নেক্সট কম্পিউটার, যার উদ্ভাবক ছিলেন অ্যাপল কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস। সার্নে সেই কম্পিউটার এসে পৌঁছাল ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।
‘দারুণ উত্তেজিত টিম বার্নাস লি ডিসেম্বরে ক্রিসমাসের মধ্যেই সেই কম্পিউটারে পুরোপুরি কাজ শুরু করে দিল। সার্ভার, ব্রাউজার যাবতীয় কাজ সে রীতিমতো হাতের মুঠোয় এনে ফেলল। আমার কাছে মনে হল সে আইনস্টাইনের মাপের কাজ করে ফেলেছে,’ বলেন সিগাল। ওই কয়েক মাসের মধ্যে টিম সৃষ্টি করলেন যা আজ পরিচিত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে-www. জঁন ফ্রসোয়াঁ গ্রথ ওই সময় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বেন সিগালের মনে হয়েছিল এই তরুণ শিক্ষার্থী টিমকে সাহায্য করার উপযুক্ত। জঁন ফ্রসোয়াঁ গ্রথের মতে এর পেছনে সম্ভবত ঈশ্বরের হাত ছিল। ‘কারণ মাত্র তার আগের বছরই আমি একটা বিশেষ ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রামিংএর কাজ রপ্ত করেছিলাম আর ওই প্রোগ্রামিং সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেছিলাম। টিমের ঠিক ওই প্রোগ্রামিং জানা লোকেরই দরকার ছিল।’ বিপুল উৎসাহ টিমের ছোট দলটি তিন ধরনের নতুন প্রযুক্তি তৈরি করে- html, url ও http । এই তিন প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর সর্বত্র কম্পিউটারগুলো নিজেদের মধ্যে কথা বলতে সক্ষম হয়। টিম বার্নাস লি ১৯৯১ সালের অগাস্ট মাসে তার আবিষ্কার তুলে ধরেন বিশ্বের সামনে। বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইট ifo.sern.ch উদ্ভাবনের খবর ছড়িয়ে যায় সার্ন সংস্থার বাইরে সারা বিশ্বে। বেন সিগাল বলেন সার্নের বাইরের দুনিয়া থেকে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে তৈরি হয় বিপুলর আগ্রহ। সার্নের ভেতরে যদিও তেমন একটা উৎসাহ দেখা যায়নি। ‘এর অল্পদিনের মধ্যেই একটা উৎসাহী ওয়েব গোষ্ঠী তৈরি হয়ে যায়,’ বলেন জঁন ফ্রসোয়াঁ গ্রথ। উন্মুক্ত ও বিনা মূল্যের ওয়েব প্রথম থেকেই টিম বার্নাস লি এবং তার সহকর্মীরা চেয়েছিলেন এই ওয়েব হবে উন্মুক্ত এবং বিনা মূল্যে তা ব্যবহার করা যাবে। সার্নের ব্যবস্থাপনা মহলকে অবশ্য এ বিষয়ে রাজি করাতে কিছু বেগ পেতে হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ১৯৯৩ সালে সার্ন একটি আইনি দলিলে সই করে যাতে বলা হয় এই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব পৃথিবীর সর্বত্র সকলে বিনা খরচায় ব্যবহার করতে পারবে। এই দলিলটি ছিল বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সবচেয়ে মূল্যবান একটি দলিল। তথ্যজাল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামটি এসেছিল কোথা থেকে? বেন সিগাল বলছেন প্রথমে ভাবা হয়েছিল অন্য একটি নাম ইনফরমেশন মেশ বা তথ্যজাল। সেটা বাতিল হয়ে যায়। টিমের নিজের নামে ওয়েবের নাম `টিম` রাখার কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু টিমের পছন্দ হয়নি। ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামটি তারই দেয়া। এটাই তার সবচেয়ে পছন্দ ছিল’ জানান বেন সিগাল। এর কয়েক বছরের মধ্যেই এই প্রযুক্তি জনপ্রিয়তা পায় বিশ্ব জুড়ে- বদলে দেয় মানুষের জীবন- তৈরি হয় আজকের ওয়েব নির্ভর দুনিয়া। টিম বার্নাস লি তার এই যুগান্তকারী আবিষ্কার থেকে এক পয়সা উপার্জনের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যন করেন। তিনি বলেন তার এই উদ্ভাবন ছিল মানুষের হাতে অবাধ তথ্যভাণ্ডার সহজে ও বিনা খরচায় পৌঁছে দেবার জন্য। তিনি কোন লাভের আশায় এই কাজ করেননি। তিনি ১৯৯৪ সালে চলে যান আমেরিকায় এবং উন্মুক্ত ওয়েবের ব্যবহার নিয়ে আরও কাজ করেন। জঁন ফ্রসোয়াঁ গ্রথও সারা জীবন ওয়েব নিয়ে কাজ করে গেছেন আর ড. বেন সিগালের কর্মক্ষেত্রও ছিল ইউরোপে ইন্টারনেটের ব্যবহার নিয়ে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা www ছিল আবিষ্কারের ইতিহাসে যুগান্তকারী এক উদ্ভাবন, যা বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের ক্ষেত্রে ও মানুষের বর্তমান জীবনধারায় এনেছিল বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ব্রিটেনের এক তরুণ কম্পিউটার বিজ্ঞানী টিম বার্নাস লি ১৯৮৯ সালে তৈরি করেন যোগাযোগের এই ইতিহাস সৃষ্টিকারী জগত।
ইউরোপের বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র সার্নে টিম বার্নাস লির সঙ্গে কাজ করতেন তার দুই সহকর্মী বিজ্ঞানী- বেন সিগাল আর জঁন ফ্রসোয়াঁ গ্রথ, যারা তার আইডিয়াকে বাস্তবে রূপ দিতে সাহায্য করেন। টিম বার্নাস লি চেয়েছিলেন এমন একটা মাধ্যম সৃষ্টি করতে, যা বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষকে সংযুক্ত করবে। ‘এ এক নতুন যোগাযোগমাধ্যম যে মাধ্যম মানুষকে আরও কার্যকরভাবে তার কাজ করার সুযোগ করে দেবে, যে মাধ্যমের অবাধ তথ্যভাণ্ডার ব্যবহারের জন্য মানুষকে কোন ভৌগলিক সীমারেখা মানতে হবে না,’ বলেছিলেন তিনি। তার এই সৃষ্টি ছিল ছাপখানা আবিষ্কারের মতোই বৈপ্লবিক। ‘একক ভাবনা, মহান সৃষ্টি’ মানুষের সঙ্গে বিশ্বকে এভাবে সংযুক্ত করার এমন মাধ্যম এর আগে কখনও সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি। নতুন এই জগত যেভাবে মানুষের জীবনকে বদলে দেয় তা একসময় ছিল মানুষের কল্পনাতীত।
বার্নাস লি বলেছিলেন তার আশা এই আবিষ্কার খুবই ইতিবাচক একটা জগত তৈরি করবে। এই গ্রহের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মানুষকে এটা একত্রিত করবে, কারণ এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে ভার্চুয়াল জগতে যোগাযোগ সম্ভব হবে। টিমের এক সহকর্মী বেন সিগাল বিবিসিকে বলেন, টিম যে কাজ করেছিলেন তা আগে কেউ করেনি। ‘এটা ছিল এক ব্যক্তির একক ভাবনা, মহান এক সৃষ্টি।’
‘টিমের ছিল ভিশন এবং সেই ভিশনকে বাস্তবে রূপ দেবার ক্ষমতা -যে দুয়ের সমন্বয় খুবই বিরল,’ বিবিসিকে বলেছেন তার আরেক সহকর্মী বিজ্ঞানী জঁন ফ্রসোয়াঁ গ্রথ। টিম বার্নাস লি যখন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব আবিষ্কার করেন, তখন কিন্তু তিনি ছিলেন জেনিভায় সার্নে কর্মরত অতি সাদামাটা একজন বিজ্ঞানী। ‘কল সারানোর মিস্ত্রি’র যুগান্তকারী উদ্ভাবন সার্নে কাজ করেন পৃথিবীর বিখ্যাত বাঘা বাঘা সব পদার্থবিদরা- যাদের গবেষণার বিষয়বস্তু বিজ্ঞানের জগতের বিশাল বিশাল প্রশ্নের উত্তর খোঁজা- যেমন পৃথিবী কী উপাদান দিয়ে তৈরি- কীভাবে কাজ করে এসব উপাদান? সেখানে এই পদার্থবিদদের কাজে প্রযুক্তিগত সাহায্যের জন্য নিয়োগ করা হয় কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের, যাদের ভূমিকা হল প্রয়োজনে হাজির থাকা। ‘কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা সেখানে অনেকটা কল সারানোর মিস্ত্রির মতো। তাদের দরকার আছে, কিন্তু বড় বড় গবেষণার কাজে তারা অত্যাবশ্যক নয়। তাদের ডাক পড়ে শুধু প্রয়োজনে। আমরা ছিলাম সেখানে কলের মিস্ত্রি। দরকারে হাজির হতাম,’ বলেন জঁন ফ্রসোয়াঁ গ্রথ।
তবে তিনি বলেন, নতুন ও উন্নত উপায়ে তথ্য সরবরাহের প্রযুক্তি খোঁজাও ছিল তাদের অন্যতম একটা কাজ।
‘ধরে নিন বেশ কিছু নতুন পাইপ বা পথ খুঁজে পেলাম। সেগুলো জোড়া লাগিয়ে তথ্য চলাচলের জন্য আরও উন্নত ও নতুন পথের সন্ধান করতাম আমরা, বলেন গ্রথ। বিজ্ঞানীদের জন্য তথ্য প্রবাহের এই সরবরাহ লাইন বা পাইপ উদ্ভাবকদের দলটির বৈপ্লবিক কাজে নেতৃত্ব দিতেন টিম বার্নাস লি। তিরিশের ওপর বয়স, চুপচাপ প্রকৃতির তরুণ, যাকে দেখে মনেই হতো না তার ভেতরে লুকিয়ে আছে এমন এক প্রতিভা। টিম ১৯৮৯ সালে সার্নে তার বসের কাছে নতুন এক প্রস্তাব নিয়ে হাজির হলেন। ‘প্রস্তাবটা ছিল একেবারে অভাবনীয়- আসল কাজের সঙ্গে এর কোনোই যোগাযোগ ছিল না,’ বলছিলেন বেন সিগাল। তিনি টিমের দলে সরাসরি কাজ করতেন না। কিন্তু টিমকে তিনি পছন্দ করতেন এবং তাকে সাহায্য করতেন, পরামর্শ দিতেন। ‘তিনি যে ছবিটা হাজির করলেন তা আজকের দিনে এই জগতের খুবই পরিচিত একটা ছবি- কিন্তু তখন তাকে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করতে হল কী তিনি করতে চাইছেন।’ তার ভাবনায় ছিল অনেক স্তরের হলোগ্রাফিক ছবি- তার সঙ্গে বহুমাত্রিক জটিল ব্যাখ্যা ও যুক্তি। ‘টিমের মাথার ভেতর চিন্তাভাবনা ওভাবেই কাজ করত। ছবিটা দেখে বোঝা সহজ ছিল না সে কী করতে চাইছে। সে প্রচলিত কায়দায় কোন প্রকল্পের রূপরেখার সারমর্ম নিয়ে হাজির হয়নি। সে তার স্বপ্নের ছবি এঁকেছিল।’ কী ছিল সেই স্বপ্ন? তার সেই স্বপ্নটা ছিল গোটা বিশ্বকে দ্বিমুখী পথে, বহুমুখী পথে সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত করার একটা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। টিম বার্নাাস লির এই আবিষ্কারের পেছনে মূল অনুপ্রেরণা ছিল, সার্নে যেসব বিজ্ঞানী কাজ করছেন তাদের ভাবনা ও গবেষণার কাজ কীভাবে আরও কার্যকর উপায়ে আদানপ্রদানের ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। বার্নাস লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব আবিষ্কার করার আগে এই বিজ্ঞানীরা আলাদা আলাদাভাবে অনেক কম্পিউটার ব্যবহার করতেন তাদের কাজ অন্যদের কাছে তুলে ধরার জন্য। কীভাবে এ কাজ হতো তা ২০০৫ সালে বিবিসির কাছে ব্যাখ্যা করেছিলেন সার্নের একজন বিজ্ঞানী, যিনি ’৮০-এর দশকের শেষ দিকে সার্নে কাজ করতেন।
‘সেখানে তখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় সৃজনশীল বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। প্রত্যেকেই তাদের কাজের জন্য ব্যবহার করতেন তাদের নিজস্ব ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কম্পিউটার, ভিন্ন ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম, তথ্য পরিবেশনের জন্য বিভিন্ন ধাঁচের ফরম্যাট।’ ফলে কোনো একটা গবেষণা সম্পর্কে জানতে হলে খণ্ড খণ্ড ভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে হতো বলে জানান এই বিজ্ঞানী। ‘একটা কম্পিউটার খুলে সেই কম্পিউটার কীভাবে কাজ করে তা বুঝে নিয়ে তথ্য বের করে তা আমরা টুকে নিতাম কাগজে- এরপর বাকি তথ্যের জন্য যেতে হত আরেকটা কম্পিউটারে, সেখান থেকে তথ্য নিয়ে আবার আরেকটা কম্পিউটারে। ব্যাপারটা ছিল সময়সাপেক্ষ আর জটিল। সকলের ব্যবহার উপযোগী একটা জায়গায় আইডিয়া শেয়ার করার কোন পদ্ধতি বা সুযোগ আমাদের ছিল না।’ সেই সুযোগ এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখালেন টিম বার্নাস লি। ইন্টারনেট দুনিয়ার বিপ্লব তিনি প্রস্তাব দিলেন বাজারে যে প্রযুক্তি রয়েছে তা ব্যবহার করেই এমন একটা ভার্চুয়াল জগত তৈরি করা সম্ভব যেখানে সকলেই তথ্য শেয়ার করতে পারবে, তথ্য সহজেই আদানপ্রদান করতে পারবে। তিনি বললেন এর মূল ভিত্তি হবে ইন্টারনেট এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করেই আলাদা আলাদা কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হবে। তখন ইন্টারনেট চালু হয়ে গেছে দুই দশক ধরে। কিন্তু ইন্টারনেটের ব্যবহার তখনও জটিল পর্যায়ে, সেখানে কিছু খুঁজে পেতে সময় লাগে অনেক এবং খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। সমস্যার সমাধান করতে টিম বার্নাস লি দুটি প্রযুক্তিকে একসাথে জুড়লেন-ইন্টারনেটের সঙ্গে হাইপারটেক্সট। তিনি দেখলেন ইন্টারনেটের সঙ্গে হাইপারটেক্সট ব্যবহার করলে একটি ডকুমেন্টের সঙ্গে আরেকটি ডকুমেন্টকে সংযুক্ত করা যায় এবং ভার্চুয়াল জগতে একটি একক নথি তৈরি করা যায়। আর ব্রাউজার ব্যবহার করে পৃথিবীর যে কোনো জায়গা থেকে সেই নথি দেখা যায়, পড়া যায়। তার এই ভিশন থেকেই শুরু হল ইন্টারনেট দুনিয়ায় এক বিপ্লবের পদচারণা। উদ্ভাবনার কাজ গোপনে বার্নাস লি বললেন বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য একটা ওয়েবে নিয়ে আসা হবে। যেসব তথ্য ইতোমধ্যেই লেখা হয়েছে, তৈরি রয়েছে, ছড়িয়ে আছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে সেগুলো ইন্টারনেট আর হাইপারটেক্সট প্রযুক্তি এনে দেবে একটা জায়গায়। কিন্তু টিমের এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে নাকচ করে দিলেন তার বস। যদিও একইসাথে টিমকে তিনি অনুমতি দিলেন তার আইডিয়া নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে, কাজ করার জন্য সুযোগ সুবিধাও তৈরি করে দিলেন। ‘আমাকে বললেন টিমের সঙ্গে কাজ করতে। আমার তার সঙ্গে কাজ করার কোনো কথা ছিল না,’ বলছেন বেন সিগাল। কম্পিউটার প্রযুক্তি নিয়েও গবেষণার কিছু কাজ হতো সার্নে। কারণ পদার্থবিদ্যার কাজে সাহায্য করার জন্য কম্পিউটার প্রযুক্তির দরকার হতো। কিন্তু কোনো গবেষণা, যার সাথে পদার্থবিদ্যার কোনো যোগসূত্র নেই তার জন্য আলাদাভাবে তহবিল অনুমোদন করার এখতিয়ার সার্নের ছিল না। ফলে টিমের গবেষণার কাজ চলতে লাগল গোপনে- আড়ালে, মাটির নিচের ঘরে। জন্ম নিল ওয়ার্ল্ড ওয়াউড ওয়েব বেন সিগাল টিম বার্নাস লির বসকে গিয়ে বোঝালেন যে টিমের জন্য দরকার একটা বিশেষ ধরনের কম্পিউটার- নেক্সট কম্পিউটার, যার উদ্ভাবক ছিলেন অ্যাপল কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস। সার্নে সেই কম্পিউটার এসে পৌঁছাল ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।
‘দারুণ উত্তেজিত টিম বার্নাস লি ডিসেম্বরে ক্রিসমাসের মধ্যেই সেই কম্পিউটারে পুরোপুরি কাজ শুরু করে দিল। সার্ভার, ব্রাউজার যাবতীয় কাজ সে রীতিমতো হাতের মুঠোয় এনে ফেলল। আমার কাছে মনে হল সে আইনস্টাইনের মাপের কাজ করে ফেলেছে,’ বলেন সিগাল। ওই কয়েক মাসের মধ্যে টিম সৃষ্টি করলেন যা আজ পরিচিত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে-www. জঁন ফ্রসোয়াঁ গ্রথ ওই সময় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বেন সিগালের মনে হয়েছিল এই তরুণ শিক্ষার্থী টিমকে সাহায্য করার উপযুক্ত। জঁন ফ্রসোয়াঁ গ্রথের মতে এর পেছনে সম্ভবত ঈশ্বরের হাত ছিল। ‘কারণ মাত্র তার আগের বছরই আমি একটা বিশেষ ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রামিংএর কাজ রপ্ত করেছিলাম আর ওই প্রোগ্রামিং সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেছিলাম। টিমের ঠিক ওই প্রোগ্রামিং জানা লোকেরই দরকার ছিল।’ বিপুল উৎসাহ টিমের ছোট দলটি তিন ধরনের নতুন প্রযুক্তি তৈরি করে- html, url ও http । এই তিন প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর সর্বত্র কম্পিউটারগুলো নিজেদের মধ্যে কথা বলতে সক্ষম হয়। টিম বার্নাস লি ১৯৯১ সালের অগাস্ট মাসে তার আবিষ্কার তুলে ধরেন বিশ্বের সামনে। বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইট ifo.sern.ch উদ্ভাবনের খবর ছড়িয়ে যায় সার্ন সংস্থার বাইরে সারা বিশ্বে। বেন সিগাল বলেন সার্নের বাইরের দুনিয়া থেকে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে তৈরি হয় বিপুলর আগ্রহ। সার্নের ভেতরে যদিও তেমন একটা উৎসাহ দেখা যায়নি। ‘এর অল্পদিনের মধ্যেই একটা উৎসাহী ওয়েব গোষ্ঠী তৈরি হয়ে যায়,’ বলেন জঁন ফ্রসোয়াঁ গ্রথ। উন্মুক্ত ও বিনা মূল্যের ওয়েব প্রথম থেকেই টিম বার্নাস লি এবং তার সহকর্মীরা চেয়েছিলেন এই ওয়েব হবে উন্মুক্ত এবং বিনা মূল্যে তা ব্যবহার করা যাবে। সার্নের ব্যবস্থাপনা মহলকে অবশ্য এ বিষয়ে রাজি করাতে কিছু বেগ পেতে হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ১৯৯৩ সালে সার্ন একটি আইনি দলিলে সই করে যাতে বলা হয় এই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব পৃথিবীর সর্বত্র সকলে বিনা খরচায় ব্যবহার করতে পারবে। এই দলিলটি ছিল বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সবচেয়ে মূল্যবান একটি দলিল। তথ্যজাল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামটি এসেছিল কোথা থেকে? বেন সিগাল বলছেন প্রথমে ভাবা হয়েছিল অন্য একটি নাম ইনফরমেশন মেশ বা তথ্যজাল। সেটা বাতিল হয়ে যায়। টিমের নিজের নামে ওয়েবের নাম `টিম` রাখার কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু টিমের পছন্দ হয়নি। ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামটি তারই দেয়া। এটাই তার সবচেয়ে পছন্দ ছিল’ জানান বেন সিগাল। এর কয়েক বছরের মধ্যেই এই প্রযুক্তি জনপ্রিয়তা পায় বিশ্ব জুড়ে- বদলে দেয় মানুষের জীবন- তৈরি হয় আজকের ওয়েব নির্ভর দুনিয়া। টিম বার্নাস লি তার এই যুগান্তকারী আবিষ্কার থেকে এক পয়সা উপার্জনের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যন করেন। তিনি বলেন তার এই উদ্ভাবন ছিল মানুষের হাতে অবাধ তথ্যভাণ্ডার সহজে ও বিনা খরচায় পৌঁছে দেবার জন্য। তিনি কোন লাভের আশায় এই কাজ করেননি। তিনি ১৯৯৪ সালে চলে যান আমেরিকায় এবং উন্মুক্ত ওয়েবের ব্যবহার নিয়ে আরও কাজ করেন। জঁন ফ্রসোয়াঁ গ্রথও সারা জীবন ওয়েব নিয়ে কাজ করে গেছেন আর ড. বেন সিগালের কর্মক্ষেত্রও ছিল ইউরোপে ইন্টারনেটের ব্যবহার নিয়ে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ তিন বছর ধরেই আয়ের ধারায় রয়েছে। এরই মধ্যে কোম্পানির মোট আয় ৩০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বর্তমানে কোম্পানির মাসিক আয় প্রায় ১০ কোটি টাকা। এর প্রায় পুরোটাই দেশীয় বাজার থেকে অর্জিত হচ্ছে। সোমবার (১৬ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিন বছর ধরেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ আয়ের ধারায় রয়েছে। এরই মধ্যে কোম্পানির মোট আয় ৩০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। পাশাপাশি বর্তমানে কোম্পানির মাসিক আয় প্রায় ১০ কোটি টাকা। এছাড়া ক্রমান্বয়ে এই আয় আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ বিএসসিএল’র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এর আওতায় বাংলাদেশে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী ছাড়াও ডিজিএফআই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সেবার আওতায় আসবে।
স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার শুরুর মাধ্যমে বিএসসিএল বিদেশের বাজারেও ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করেছে। তবে সামনের দিনগুলোতে এটি আরও বাড়বে বলেও আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার ছাড়াও মোট ৩৮টি টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সম্প্রচার করে। সেই সঙ্গে এই স্যাটেলাইটের আওতায় সম্প্রচার করে দেশের একমাত্র ডিটিএইচ অপারেটর ‘আকাশ’। এছাড়া দেশের দুটি ব্যাংকও ইতোমধ্যে এর মাধ্যমে এটিএম সেবা দিচ্ছে। পাশাপাশি আরও অনেক সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে বিএসসিএল দেশের ৩১টি দুর্গম ও প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলের মোট ১১২টি স্থানে টেলিযোগাযোগ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশি দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার সুবিধাবঞ্চিত জনগণকে এই স্যাটেলাইটের সেবার আওতায় আনার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক ১৫ লাখ অ্যাপ সরিয়ে ফেলছে টেক জায়ান্ট অ্যাপল ও গুগল। চলতি বছরের শুরুতেই প্রতিষ্ঠান দুইটি তাদের ডেভেলপারদের এ নির্দেশনা দিয়েছিল। নতুন খবর হলো, অ্যাপল তার ডেভেলপারদের কাছে চূড়ান্ত নোটিশ পাঠিয়েছে অ্যাপগুলো তুলে নেওয়ার জন্য। অ্যানালিটিক্স ফার্ম -এর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যাপ স্টোর এবং প্লে স্টোরের প্রায় ৩০ শতাংশ অ্যাপই তুলে নেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের ১.৫ মিলিয়ন অ্যাপ ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় রয়েছে। এগুলো প্রায় দুই বছর বেশি সময় ধরে আপডেট করা হয়নি। যদিও তালিকায় কোন কোন অ্যাপ রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, অ্যাপ ক্যাটেগরির মধ্যে রয়েছে এডুকেশন, রেফারেন্স এবং গেমস-সহ একাধিক অ্যাপ, যেগুলি মূলত শিশুদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
পিক্সালেট এর আরেকটি প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, প্রায় ৩১৪,০০০টি ‘সুপার অ্যাবানডনড’ অ্যাপ রয়েছে। যেগুলো পাঁচ বছর ধরে কোনো আপডেট করা হয়নি। এদের মধ্যে ৫৮শতাংশ অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের এবং ৪২ শতাংশ গুগল প্লে স্টোরের।
এদিকে অ্যাপল ডেভেলপারদের সতর্ক করে বলেছেন, যে অ্যাপগুলো আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আপডেট হবে না, সেগুলো সরিয়ে দেওয়া হবে। অন্যদিকে গুগল বলছে, প্লে স্টোরে এমনই কিছু অ্যাপ রয়েছে, যারা গত দু’বছর ধরে লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের অ্যাপিআই লেভেল টার্গেট করেনি। যেগুলো চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে আর নতুন করে ইনস্টল করা যাবে না।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক চাঁদের মাটিতে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো গাছের চারা জন্মাতে পেরেছেন। এর মধ্য দিয়ে এই উপগ্রহ মানুষের দীর্ঘমেয়াদে অবস্থানে সাফল্যের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। চাঁদে বসবাস করবে মানুষ। সেই স্বপ্ন নিয়েই এগোচ্ছে নাসা। ২০২৫ সালে এই মিশন শুরু হবে তাদের। বিবিসি।
গবেষকরা ১৯৬৯-১৯৭২ অ্যাপোলো মিশনের সময় সংগৃহীত ধূলিকণার ছোট নমুনাগুলোতে এক ধরনের ক্রেস জন্মানোর চেষ্টা করেছিলেন। বিজ্ঞানীদের অবাক করে দিয়ে দুদিন পরই চাঁদের মাটি ফুঁড়ে উঁকি দিল গাছের চারা। এই গবেষণাপত্রের সহলেখক ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনা-লিসা পল বলেন, ‘আমি আপনাকে বলতে পারব না যে, আমরা কতটা বিস্মিত হয়েছিলাম।’ তিনি জানান, ‘চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে আনা নমুনা হোক বা পৃথিবীর মাটি হোক- প্রত্যেক উদ্ভিদই জন্মানোর প্রায় ছয় দিন পর্যন্ত একরকম দেখায়। এরপর ধীরে ধীরে তার রূপ পালটাতে থাকে। চাঁদের মাটিতে জন্মানো চারাগুলো কিছুটা থিতু ছিল। সেগুলো ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে এবং শেষ পর্যন্ত স্থবির হয়ে পড়ে।’
এ গবেষণার সঙ্গে জড়িত অন্যরাও বলছেন, এটি একটি যুগান্তকারী সাফল্য, যদিও এর মধ্যে পার্থিব প্রভাব থাকতে পারে। তবে এ প্রভাব কেমন, সেটা উল্লেখ করেননি।
নাসার প্রধান বিল নেলসন বলেন, ‘এই গবেষণা নাসার দীর্ঘমেয়াদি মানব অন্বেষণ লক্ষ্যগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের ভবিষ্যতের মহাকাশচারীদের বসবাস এবং গভীর মহাকাশে কাজ করার জন্য খাদ্য উৎস বিকাশের জন্য চাঁদ এবং মঙ্গলে পাওয়া সংস্থানগুলোকে ব্যবহার করতে হবে।’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই মৌলিক উদ্ভিদ গবেষণাটি আমাদের বুঝতে সাহায্য করতে পারে, কীভাবে পৃথিবীর খাদ্য-দুষ্প্রাপ্য অঞ্চলে চাপের পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে?’ গবেষকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলো, পরীক্ষার জন্য খুব বেশি চন্দ্রমাটি নেই।
১৯৬৯ সাল থেকে তিন বছরের মধ্যে নাসা মহাকাশচারীরা চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৮২ কেজি (৮৪২ পাউন্ড) শিলা, মূল নমুনা, নুড়ি, বালি এবং ধূলিকণা নিয়ে এসেছিলেন। কয়েক দশক ধরে সংরক্ষিত মাটি থেকে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলকে নমুনাগুলো থেকে পরীক্ষার জন্য প্রতি গাছে মাত্র ১ গ্রাম মাটি দেওয়া হয়েছিল।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক আইফোন ১৪ সিরিজ বাজারে আসতে এখনো কয়েক মাস বাকি। এরমধ্যেই সিরিজটির ডিজাইন ফাঁস হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। এরমধ্যে দাম, ক্যামেরা ও ব্যাটারি সম্পর্কে তথ্যের সত্যতাও পাওয়া গেছে।
সাধারণত অ্যাপল তাদের আইফোনের নতুন সিরিজ সেপ্টেম্বর লঞ্চ করে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। তার আগে চলুন জেনে নিই নতুন সিরিজের ৪টি ফোনে কী কী স্পেসিফিকেশন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে-
প্রকাশিতব্য চারটি ফোন হলো- iPhone 14, iPhone 14 Max, iPhone 14 Pro এবং iPhone 14 Pro Max। ফাঁস হওয়া তথ্য মতে, আইফোন ১৪ প্রো সোনালী রঙের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও নকশায় থাকছে হালকা পরিবর্তন। ফোনটিতে একটি পিল-আকৃতির কাটআউট এবং ফেসআইডি সেন্সর এবং সেলফি ক্যামেরার জন্য একটি নতুন নকশা করা হয়েছে।
আইফোন প্রো মডেলটি আগের মডেলের তুলনায় পাতলা বেজেল বৈশিষ্ট্যযুক্ত হবে। অন্যদিকে, iPhone 14 এবং iPhone 14 Max- আগের ফোনগুলোর মতোই থাকবে।
ব্লুমবার্গের অ্যাপল গুরু মার্ক গুরম্যান দাবি করেছেন, অ্যাপল তার আসন্ন আইফোন আগের চেয়ে ২০০ ডলার কম বিক্রি করবে। Apple iPhone 14 Pro এবং iPhone 14 Pro Max-এর দাম যথাক্রমে ১০৯৯ ডলার এবং ১১৯৯ ডলার পর্যন্ত হবে। এছাড়াও, অ্যাপেল তার Max সংস্করণটিকে iPhone ১৩ মিনি দিয়ে প্রতিস্থাপন করবে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা অর্জন অসম্ভব।
তিনি বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সক্ষম করে গড়ে তুলতে শিক্ষক সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। তাই শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী শিক্ষায় গড়ে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাও গড়ে তোলা দরকার।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের এলামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে কম্পিউটার ল্যাব ও ল্যাপটপ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বক্তৃতায় ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর।
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, মিশ্র শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে দেশে ডিজিটাল শিক্ষা সম্প্রসারণে সরকার ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পরিপূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য সম্পূর্ণ ডিজিটাল শিক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটালে রূপান্তর করার অন্য কোনো বিকল্প নেই।
মন্ত্রী বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে প্রধান তিনটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি, ডিজিটাল সংযুক্তি এবং ডিজিটাল ডিভাইসের সহজলভ্যতা। আমাদের মতো দেশের জন্য সবগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এক ধাপে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর করাটা কঠিন বলেই আমরা এখন মিশ্র শিক্ষার পথ ধরে হাঁটছি।’
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ রুকনুজ্জামানের নিকট ২০টি ল্যাপটপ হস্তান্তর করেন। বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান এলামনাই এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা শ্যাম সুন্দর সিকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : মোবাইলে এক্সটেন্ডেড ভার্চুয়াল র্যাম ব্যবহার করছে চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অপো। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অপো এ৭৬, অপো এ৯৫ এবং এফ১৯ প্রো মডেলের ফোনে এক্সটেন্ডেড ভার্চুয়াল র্যাম ব্যবহারের সুবিধা দিচ্ছে। যেমন অপো তাদের এফ সিরিজের এফ১৯ প্রোতে ৫ জিবি ভার্চুয়াল র্যাম ব্যবহার করছে। যেখানে ফোনটির সাথেই রয়েছে ৮ জিবি র্যাম। এই ভার্চুয়াল র্যাম ব্যবহার করায় ফোনটি তুলনামূলক চড়া দামে বোংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে। তারা এফ সিরিজের ফোনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ‘এ’ সিরিজেও ভার্চুয়াল র্যাম যুক্ত করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি এ৯৫ ফোনটিতে ৫ জিবি ভার্চুয়াল র্যাম ব্যবহার করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ভার্চুয়াল র্যাম কি আদৌ কোনো কাজে আসে, নাকি শুধুই বিপণন প্রচারণা? সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, এক্সট্রা র্যাম ফোনকে ফাস্ট করে। এজন্য দামও বাড়তি দামও গুণতে হয়। কিন্তু আসলেও কি এর ব্যবহারকারীরা লাভবান হচ্ছে? জানা যাচ্ছে, ভার্চুয়াল র্যাম মূলত ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ স্মুথভাবে রান করতে সহায়তা করে থাকে। কিন্তু অপো ফোনে বেটার গেমিং পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে বলে প্রচার করছে। এটা ক্রেতাদের সাথে একধরনের প্রতারণা। ভার্চুয়াল র্যামের ফলে সাধারণ ব্রাউজিং বা ফোন ব্যবহারে গতি বাড়ালেও গেইমিংয়ে এক্সট্রা এফপিএস পাওয়া যাবে না। মূলত পুরোনো প্রযুক্তির স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স বাড়াতে এ প্রযুক্তি কাজে লাগতে পারে।
এছাড়া ভার্চুয়াল র্যাম ব্যবহারের কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। যেমন: অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজের লাইফস্প্যান লিমিটেড। অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট রাইট-রিরাইট করার হার থাকে। ফলে দেখা গেছে, এক্সটেন্ডেড ভার্চুয়াল র্যাম কাজে না আসলেও বেশি ব্যবহারের কারণে অতিরিক্ত সোয়াপিংয়ের মাধ্যমে ফোনের স্টোরেজ লাইফস্প্যান কমে যাচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই ভার্চুয়াল র্যাম নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে অপোর বিরুদ্ধে। শাকিল আহমেদ নামে ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, আমি অপো এ৯৫ ফোনটি ব্যবহার করছি অনেক দিন ধরে, কেনার সময় আমি জানতে পারি ফোনে ৮ জিবি র্যামের সাথে আরো ৫ জিবি র্যাম থাকছে যা ফোনকে অনেক ফাস্ট করে। কিন্ত এখন আমি মাত্র ৮ জিবি র্যাম ব্যবহার করতে পারছি। অতিরিক্ত ৫ জিবি র্যাম কোথায় আছে আমি খুঁজেই পাচ্ছি না।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : প্রযুক্তির সংস্পর্শে মানুষ এখন ঘরে বসেই দৈনন্দিন অনেক কাজ সেরে নিতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমে মানুষ কেনাকাটা করতে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। অনলাইন কেনাকাটা মানুষের জীবনকে যেমন সহজ করে দিয়েছে তেমনি ভোগান্তির অপর নামটি হলো অনলাইন কেনাটাকা। এমনই এক ভোগান্তির শিকার হয়েছেন ড্যানিয়েল ক্যারল। ৩ লাখ টাকার আইফোন অর্ডার করে পেয়েছেন টয়লেট পেপারে মোড়ানো দুটি চকোলেট।
ঘটনাটা ইংল্যান্ডের। ড্যানিয়েল ক্যারল লিডসের বাসিন্দা। তিনি অ্যাপেলের ওয়েবসাইট থেকে একটি আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স অর্ডার করেন। যার দাম এক হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার টাকা।
ড্যানিয়েল তার টুইটারে জানান, ২ ডিসেম্বর ফোনটি তিনি অ্যাপল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্ডার করেছিলেন। আইফোনটি ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল ১৭ ডিসেম্বর। পণ্য সরবরাহকারী সংস্থা ডিএইচএলের তা পৌঁছে দেওয়া কথা ছিল।
কিন্তু দেরি হওয়ায় প্রায় দুই সপ্তাহ পর গত শুক্রবার পর্যন্ত ফোন হাতে না পেয়ে তিনি ডিএইচএলের গুদাম থেকে আইফোনটি ডেলিভারি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তিনি শনিবার ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ডিএইচএলের গুদাম থেকে আইফোনটি নেন। কিন্ত তিনি বক্স খুলতেই দেখেন সেখানে আইফোনের বদলে রাখা টয়লেট পেপারে মোড়ানো ‘ডেইরি মিল্ক ওরিও’ দুটি চকোলেট।
আইফোন অর্ডার করে পেলেন চকলেট: ড্যানিয়েল জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে ডিএইচএলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তারা কোনো উত্তর দেয়নি। পরে তিনি লিঙ্কডইনের মাধ্যমে, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, তারা জানায় ঘটনাটির তদন্ত করছে। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : প্রিমিয়াম মোবাইল ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স তার গ্রাহকদের অতুলনীয় অভিজ্ঞতা দিতে অনন্য ফিচার এবং দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন ‘নোট ১১ প্রো’ উন্মোচন করেছে। ইনফিনিক্সের এই সর্বশেষ সংস্করণে রয়েছে অভিনব প্রযুক্তির বদৌলতে ডিভাইসের দ্রুত ও শক্তিশালী কর্মক্ষমতা এবং কার্যকরী পারফরম্যান্সের অসাধারণ সমন্বয়। বাংলাদেশে ‘নোট ১১ প্রো’-ই হেলিও জি৯৬ প্রসেসরের প্রথম স্মার্টফোন যেটির আকর্ষণীয় সব ফিচারের মধ্যে আরো রয়েছে, ১২০হার্টজ ৬.৯৫” এফএইচডি+ আল্ট্রা-ফ্লুয়িড ডিসপ্লে, ৩০ এক্স আল্ট্রা জুমের ৬৪ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা নাইট ক্যামেরা। বিশেষ এসব ফিচার নিয়েই নোট সিরিজ ‘প্লে বিগ’ সুর তুলেছে। গ্রাহকরা অনলাইন মার্কেটপ্লেস ‘দারাজ’ এবং ‘পিকাবো’ থেকে সহজেই ‘নোট ১১ প্রো’ প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। এছাড়া এই স্মার্টফোনটির ক্রেতারা বিনামূল্যে পাবেন গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট প্যাকেজও। গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবেই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ইনফিনিক্স তার ব্যবহারকারীদের জন্য যোগাযোগ ও অভিনবতায় নতুন যুগের সূচনা ঘটাচ্ছে। চমৎকার এই স্মার্টফোনের মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬ চিপসেটে রয়েছে শক্তিশালী দুটি আর্ম কর্টেক্স-এ৭৬ প্রসেসর কোর সম্বলিত অক্টা-কোর সিপিইউ, যেটির পারফরম্যান্স সর্বোচ্চ ২.০৫গিগাহার্টজ পর্যন্ত এবং নির্বিঘ্ন ও কার্যকর গ্রাফিক্স পারফরম্যান্সের জন্য আছে আর্ম মালি-জি৫৭ গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ)। ইনফিনিক্স ‘নোট ১১ প্রো’তে ব্যবহারকারীরা আরো পাবেন মিডিয়াটেক হাইপার ইঞ্জিন ২.০ লাইট টেকনোলজি। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি নেটওয়ার্ক টাওয়ার এবং দুটি ওয়াইফাই ব্যান্ড কিংবা রাউটারের সঙ্গে মোবাইল ফোনের কানেকশনের সময় অপ্রয়োজনীয় বিঘ্ন লাঘব করে। স্মার্টফোনের সব ফিচার ও সুবিধা সমূহ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও গ্রাহকরা ডিভাইসটি ব্যবহারের পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা পেতে পারবেন।
ইনফিনিক্স ‘নোট ১১ প্রো’ এর উদ্ভাবনী ও প্রধান প্রধান ফিচার সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ১২০হার্টজ রিফ্রেশ রেট এবং ১৮০হার্টজ টাচ স্যাম্পলিং রেট সম্বলিত ৬.৯৫” এফএইচডি+ আল্ট্রা-ফ্লুয়িড ডিসপ্লে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা চোখের অবসাদে না ভুগেও দীর্ঘসময় স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতে পারবেন এবং এটি এ বিষয়ে ‘টিইউভি রেইনল্যান্ড’ এর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। এছাড়া ডিভাইসটির ১২০হার্টজ আলট্রা স্মুথ প্যানেল টেকপ্রেমীদের জন্যও যেন বাড়তি পাওয়া। কারণ এই বিশেষ ফিচার ফোনের ‘ল্যাগিং’ ও ‘ফ্রেম ড্রপআউট’ রোধ করে এবং বাধাহীনভাবে নির্বিঘ্নে ব্যবহারকারীদের ফোনটি ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। অধিকন্তু স্মার্টফোনের ১৮০হার্টজ টাচ স্যাম্পলিং রেট দ্রুততম সময়ে টাচস্ক্রিন ব্যবহার এবং মোবাইল গেমিং এর সময়ে নিখুঁতভাবে স্পর্শ শনাক্তে সাহায্য করে।
এই স্মার্টফোনের ‘ডার-লিংক ২.০’ আল্টিমেট গেম বুস্টার সফটওয়্যার এবং মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬ প্রসেসর স্মার্টফোনের প্রধান প্রধান ‘সেনসরি-ফোকাসড’ প্রযুক্তির সমন্বয়ে ভিডিও উপভোগের অসাধারণ অভিজ্ঞতা এনে দেয়। মোবাইল ডিভাইসে এটির ইন্টারফেস এর ক্ষেত্রে নোট ১১ প্রো-ই সর্বশেষ ভার্সন। ডার-লিংক ২.০ সফটওয়্যার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে ভালো মানের ছবি তুলতে সাহায্যের পাশাপাশি স্ক্রিনের সংবেদনশীলতা ও বিনোদন উপভোগ বাড়তি মাত্রা যোগ করে।
আলোচিত ‘নোট ১১ প্রো’ স্মার্টফোনে আরো রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল টেলিফটো লেন্স ও ৩০ এক্স ডিজিটাল জুমসহ ৬৪ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-নাইট ক্যামেরা এবং আরো আছে ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ লেন্স। এই ডিভাইসটিতে ব্যবহারকারীরা আরো পাবেন ফাস্ট ফোকাসিং ফিচারসহ ১৬ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট-ফেসিং সেলফি ক্যামেরা, যেটি স্পষ্ট ও নান্দনিক ছবি তুলতে সক্ষম। ‘নোট ১১ প্রো’ এর উন্নত ক্যামেরায় ব্যবহারকারীরা যেকোনো আলোতেই সেলফি কিংবা বন্ধুদের সাথে মনোমুগ্ধকর ছবি তুলতে পারবেন ও একই মোবাইলে পাবেন সৌন্দর্য ও উপযুক্ত পারফরম্যান্সের যৌথ সমন্বয়।
এই স্মার্টফোনে আরো রয়েছে ৫০০০ এমএএইচ শক্তিশালী ব্যাটারি, ফলে সারাদিনই ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা এবং এটিতে আরো রয়েছে ৩৩ ওয়াট র্যাপিড চার্জ সক্ষমতা। ‘নোট ১১ প্রো’ এর নিরাপদ ‘টিইউভি রেইনল্যান্ড’ ফাস্ট-চার্জিং টেকনোলজি ব্যাটারির অবনমন না ঘটিয়েই সর্বোচ্চ ৮০০ চার্জ পর্যায়ক্রম (সাইকেল) সম্পন্ন করতে সক্ষম।
অধিকন্তু, ইনফিনিক্স নোট ১১ প্রো’তে রয়েছে ‘৮জিবি+৩জিবি’ বর্ধিত র্যাম এবং ডিভাইসটি ‘এক্সওএস ১১’ সিস্টেমে অপারেট করে।
এতসব ফিচারের বৈচিত্র্যময় ইনফিনিক্স ‘নোট ১১ প্রো’ এর দাম পড়ছে মাত্র ২১ হাজার ৪৯০ টাকা। গ্রাহকরা ‘মিথ্রিল গ্রে এবং হেজ গ্রিন’ এই দুই রঙে ডিভাইসটি কিনতে পারবেন। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ‘দারাজ’ ও ‘পিকাবো’ থেকে মোবাইলটি প্রি অর্ডার করতে পারবেন ইনফিনিক্সভক্তরা। এছাড়া ১৯ নভেম্বর থেকে সারাদেশের রিটেইল এবং ব্র্যান্ড স্টোরগুলোতেও পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত এই স্মার্টফোনটি।
এ প্রসঙ্গে ইনফিনিক্স বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ম্যানেজার লুয়ি বলেন, “ইনফিনিক্স সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ও শক্তিশালী পারফরম্যান্স এর ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাহকদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অতুলনীয় অভিজ্ঞতা দিতে চায়। অব্যাহত প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ব্র্যান্ডটি তার ফ্ল্যাগশিপ নোট ১১ প্রো স্মার্টফোনে সৌন্দর্য, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও উদ্ভাবনী আইডিয়ার অভাবনীয় সমন্বয় ঘটিয়েছে। সব কিছুর মিশেলে একটি সুন্দর ডিভাইস যারা কিনতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই মোবাইলটি কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার, বিনোদন উপভোগ, সৃজনশীল কাজ কিংবা গেমিং এর জন্য একটি উপযুক্ত স্মার্টফোন।”
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা অনলাইন : প্রতিষ্ঠাকাল থেকে লস গুনতে থাকা রাষ্ট্রায়াত্ব টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটককে আরও ২২০৪ কোটি টাকা দিচ্ছে সরকার। গ্রাম পর্যায়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্কের আধুনিকায়নের জন্য এ বিনিয়োগ করছে সকার।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ‘গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন প্রকল্পের অনুমোদন করা হয়েছে।
চলতি বছরে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন বাস্তবায়নে মোট টাকার মধ্য থেকে মাত্র ৬০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা দেবে টেলিটক। আর বাকি পুরো টাকা অর্থাৎ ২ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা দেবে সরকার।
জানা যায়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে এই প্রকল্পটি চলতি বছর থেকেই শুরু হতে যাওয়া এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা আছে। নেটওয়ার্কের আধুনিকায়নের এই প্রকল্পের আওতায় নতুন তিন হাজার বিটিএস সাইট তৈরি, রুম, টাওয়ার, লক ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।
এছাড়াও টেলিটকের নিজস্ব ৫০০ টাওয়ার ও দুই হাজার ৫০০ টাওয়ার শেয়ারিং সাইট প্রস্তুত করা হবে। আর সেবা সক্ষমতা বাড়াতে থ্রিজি ও ফোরজির বিদ্যমান দুই হাজার সাইটের যন্ত্রপাতির ধারণক্ষমতা বাড়ানো হবে। ফিক্সড ওয়্যারলেস এক্সেস (এফডব্লিউএ) প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে ঢাকার বাইরে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিস-আদালতে ইন্টারনেট সেবা বাড়াতে পাঁচ হাজার এফডব্লিউএ ডিভাইস স্থাপন করা হবে।
তবে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ব্যপারে টেলিটকের এক কর্মকর্তা বলেন, এই প্রকল্পে আমাদের বিদ্যমান যে অবকাঠামো আছে সেই টুজি, থ্রিজির উন্নয়নে কিছু কাজ করা হবে। আর সামনে যেহেতু ফাইভজিতে যাওয়ার টার্গেট আছে, ফাইভজির প্রস্তুতি হিসেবে আমরা কিছু ইকুইপমেন্ট বসাবো। ঢাকার ২০০ জায়গায় ফাইভজি চালু করার জন্য ভিন্ন প্রকল্প প্রস্তাব পেয়েছে, সেটা প্রসেস করছি। সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আমরা ফাইভজি পাব।
|
|
|
|
কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সঞ্জিত মন্ডলের নেতৃত্বে ‘ব্লুবেরি’ নামক মানবাকৃতির একটি রোবট তৈরি করেছে টিম “কোয়াণ্টা রোবটিক্স”। এ প্রজেক্টে ১ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী (নেকটার)।
রোবটটি তৈরি করতে প্রায় সাড়ে ৩ মাসের মতো সময় লেগেছে বলে জানান দল নেতা সঞ্জিত মন্ডল। এ দলের বাকি সদস্যরা হলেন আইসিটি বিভাগের জুয়েল দেবনাথ ও সিএসই বিভাগের মিষ্টু পাল।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মানুষের মতো আচরণ করা, প্রায় সকল প্রশ্ন-উত্তরের জবাব দেয়া, বাসায় গ্যাস লিকেজের কিংবা আগুন লাগার ব্যাপারে অবগত করা কিংবা আরেকটু উন্নত করা গেলে করোনার স্যাম্পল কালেক্ট করার মত অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে রোবোটটিকে। এছাড়া প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে এবং বাচ্চাদের বিনোদন দিতে এবং যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মাধ্যমে নতুন কিছু শেখানোর কাজেও ব্যবহার করা যাবে এটিকে।
এ রোবটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে রাসবেরি পাই মাইক্রো প্রসেসর ও আর্দুইনো মেগা মাইক্রোকন্ট্রোলার।
রোবটটির ব্যাপারে সঞ্জিত মন্ডল বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন ছাত্র আবু মুসা আসারী ভাইয়ের সহযোগিতা পেয়েছি কাজটি করার সময়। দেশের সকল স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রোবট তৈরিতে আকৃষ্ট করার একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা এটি। ভবিষ্যতে এ রোবটটিকে আরো উন্নত করা সম্ভব, চাইলে প্রায় প্রত্যেক দিনই আপডেট করা যাবে। সামনে আরো নতুন অনেক কাজ করার ইচ্ছা আছে রোবট নিয়ে।
প্রসঙ্গত, সঞ্জিত মন্ডলের নেতৃত্বে ২০১৯ সালে দেশের চতুর্থ মানবাকৃতির রোবট ‘রোবট সিনা’ তৈরি করা হয়েছিল। এতে ব্যয় হয়েছিল আটত্রিশ হাজার টাকা।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা অনলাইন: গ্রাহকদের সেবার মান আরও উন্নত করার লক্ষ্যে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সেবা চালু করার পক্ষে মত দিয়েছে বিটিআরসি। ‘ডু নট ডিস্টার্ব (ডিএনডি)’ সেবা চালু করলে মোবাইলে প্রমোশনাল এসএমএস আসা বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) বিটিআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মোবাইল ফোন অপারেটরদের নিত্যনতুন সেবা সম্পর্কে জানতে প্রমোশনাল এসএমএস/ক্যাম্পেইন সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এরপরও ক্ষেত্র বিশেষে গ্রাহকদের কাছে প্রমোশনাল এসএমএস/ক্যাম্পেইন পাওয়া বিরক্তিকর বলে প্রতীয়মান হয়। তাই গ্রাহকদের সেবার মান আরও উন্নত করার লক্ষ্যে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সেবা চালু করা যায়।
মোবাইলে প্রমোশনাল এসএমএস না পেতে চাইলে ইউএসএসডি কোড ডায়াল করে চালু করা যায় ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সেবা।
গ্রামীণফোন থেকে *১২১*১১০১#, বাংলালিংক থেকে *১২১*৭*১*২*১#, রবি ও এয়ারটেল থেকে *৭# ডায়াল করলে প্রমোশনাল এসএমএস আসা বন্ধ হবে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : অডিও ক্যাসেট টেপ আবিষ্কারক লুউ অটেন্স (৯৪) মারা গেছেন। ১৯৬০ এর দশকে এই ডাচ ইঞ্জিনিয়ার ক্যাসেট টেপ আবিষ্কার করেন। ফলে রাতারাতি বিশ্বে যেন এক বিপ্লব চলে আসে। মানুষ কথাবার্তা রেকর্ড করতে এসব ক্যাসেট ব্যবহার শুরু করেন। তার এই আবিষ্কারের ফলে সারাবিশ্বে কমপক্ষে ১০,০০০ কোটি ক্যাসেট টেপ বিক্রি হয়েছে। তবে আধুনিক সময়ে সিডি ও পেনড্রাইভ প্রযুক্তি আসার ফলে এর কদর কমে গেছে। এর ব্যবহার এখন নেই বললেই চলে।
অনলাইন বিবিসি বলছে, লুউ অটেন্স-এর নিজের বাড়ি ডুইজেলে গত সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তিনি মারা গেছেন। তবে বিলম্বে মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে তার পরিবার।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে ইলেকট্রনিক ব্রান্ড ফিলিপসের প্রডাকশন ডেভেলপমেন্ট বিভাগে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান লুউ অটেন্স। সেখানেই তিনি এবং তার দল ক্যাসেট টেপ প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন।
১৯৬৩ সালে তাদের এই প্রযুক্তি বার্লিন রেডিও ইলেকট্রনিক মেলায় উপস্থাপন করেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বজুড়ে মানুষ লুফে নেয় এই প্রযুক্তি। লুউ অটেন্স এ প্রযুক্তি নিয়ে ফিলিপস এবং সনি কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি করেন। একই মাপের জাপানি কোম্পানিগুলো ক্যাসেট টেপ বের করার পর ফিলিপস ও সনি চুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করে লুউ অটেন্সকে। তারপর তা বাজারে আনা হয়। এই আবিষ্কারের সুবর্ণজয়ন্তীতে বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনকে তিনি বলেছিলেন, প্রথম দিন থেকেই তার এই আবিষ্কার একটা সেনসেশন ছিল।
প্রসঙ্গত, এ ছাড়াও কম্প্যাক্ট ডিস্ক উন্নয়নেও জড়িত ছিলেন লুউ অটেন্স। এখন পর্যন্ত এই ডিস্ক বিশ্বজুড়ে বিক্রি হয়েছে কমপক্ষে ২০,০০০ কোটি পিস। ১৯৮২ সালে ফিলিপস সিডি প্লেয়ার প্রদর্শন করে। তখন লুউ অটেন্স বলেছিলেন, এখন থেকে প্রচলিত রেকর্ড প্লেয়ার অপ্রচলিত হয়ে গেল। এর চার বছর পরে তিনি অবসরে যান। ক্যারিয়ার সম্পর্কে তিনি বলেছেন, তার সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো ফিলিপস পারেনি, তবে সনি তৈরি করে ফেলেছে আইকনিক ক্যাসেট টেপ প্লেয়ার, ওয়াকম্যান।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : করোনা মহামারির মধ্যে প্রতিটি যাত্রীদের জন্য আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিরাপদ ও আরামদায়ক করতে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে কোভিড-১৯ ট্র্যাভেল পাস চালু করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা (আইএটিএ)। এই কোভিড পাস করোনা পরীক্ষার ফলাফল এবং ভ্যাকসিন সনদকে একটি ডিজিটাল নিয়মে যুক্ত করবে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিটি দেশেরই তাদের নাগরিকদের ডিজিটাল ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট প্রদান শুরু করা জরুরি যা ভ্রমণ পাসের জন্য ব্যবহার করা যায়।
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখনো ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। বেশকিছু দেশ সীমিত পরিসরে আকাশপথে যোগাযোগ শুরু করলেও থাকছে বিভিন্ন বিধিনিষেধ ও কড়াকড়ি। ফলে চাইলেই এক দেশের নাগরিক অন্য দেশ ভ্রমণ করতে পারছেন না। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে সারা বিশ্বের এয়ারলাইন্সগুলো। সূত্র : গালফ নিউজ
স্বাধীন বাংলা/ন উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ দেশের বেশ কয়েকটি আর্থিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার আশঙ্কায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সিআইআরটি)।
সিআইআরটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ পুলিশ, করোনা-বিডি, ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক ও বিকাশসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাইবার হামলার মুখে পড়েছে। এর পেছনে ‘ক্যাসাব্লাংকা’ নামের একটি হ্যাকার গ্রুপকে চিহ্নিত করতে পেরেছে সিআইআরটির সাইবার থ্রেট গবেষণা দল। ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সিআইআরটি।
এটিকে উচ্চ হুমকির হামলা হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিআইআরটি। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনো আর্থিক ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। তবে ভবিষ্যতে এটি মারাত্মক হুমকির হয়ে দাড়াতে পারে, যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি বা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়া হ্যাকাররা সরকারের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের আদলে ভুয়া ওয়েব পোর্টাল তৈরি করে মানুষকে টিকার বিষয়ে বিভ্রান্ত করতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
সিআইআরটি সাইবার হামলার শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব কর্মী, গ্রাহক ও ভোক্তাদের সচেতনতাসহ সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে। পাশাপাশি সন্দেহজনক বিষয় https://www.cirt.gov.bd/incident-reporting এই ঠিকানায় জানাতে অনুরোধ করেছে।
এর আগে গত নভেম্বরে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছিল সরকার। তার আগে গত আগস্টের শেষ দিকে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর উপর সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। উত্তর কোরিয়ার একটি হ্যাকার গ্রুপ এই হামলা চালাতে পারে বলে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
সেই সতর্কতার অংশ হিসেব অনেক ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং সেবা সীমিত করেছিল। আবার কোনো ব্যাংক রাতে এটিএম বুথ বন্ধ রেখেছিল। তবে ওইসময় কোনো সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেনি।
স্বাধীন বাংলা/ন উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : গত ৫০ বছর ধরে পৃথিবীর আবর্তনের গতি বাড়ার কারণেই গ্রহটির প্রতিটা দিনের মেয়াদ এখন ২৪ ঘণ্টার থেকে কম। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীদের মন্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই চমকপ্রদ ঘটনাটির যথাযথ প্রমাণও পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর আবর্তন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুতগতির কারণেই বর্তমানে একটি দিনের দৈর্ঘ্য স্বাভাবিক ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ‘অতিসামান্য’ কম হচ্ছে।
২০২০ সালে সব থেকে ছোট দিনের সংখ্যা ছিল ২৮টি। ১৯৬০ সালের পর থেকে যা সব থেকে বেশি। এমনকি ২০২১ সাল আরও ছোট হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সময় ও তারিখ অনুযায়ী, সূর্যের প্রতি গড় হিসাবে পৃথিবী প্রতি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডে একবারে ঘোরে, যা ২৪ ঘণ্টা বা একটি অর্থ সৌর দিনের সমান। বিজ্ঞানীদরা ধারণা করছেন, ২০২১ সালের গড় দিনটি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডের চেয়ে ০.০৫ মিলি সেকেন্ড কম হবে। ১৯৬০ সাল থেকে দিনের দৈর্ঘ্যের অতি-সুনির্দিষ্ট রেকর্ড রেখে চলা পারমাণবিক ঘড়িগুলো পুরো বছর ধরে প্রায় ১৯ মিলিসেকেন্ডের ব্যবধান তৈরি করবে।
লাইভ সায়েন্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেকর্ডে সবচেয়ে দ্রুততম ২৮টা দিন (১৯৬০ সাল থেকে) দেখা যায় ২০২০ সালে। কারণ, ওই দিনগুলোতে পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে ঘূর্ণনগুলো গড়ের থেকে প্রায় মিলিসেকেন্ড সময় দ্রুত সম্পন্ন করে। পারমাণবিক ঘড়ির হিসাব অনুযায়ী, গত ৫০ বছর ধরে পৃথিবী একটি ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে ২৪ ঘণ্টার (৮৬,৪০০ সেকেন্ড) চেয়ে কিছুটা কম সময় নিয়েছে।
ডেইল মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯২০ সালের ২০ জুলাই পৃথিবীতে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দিনটি রেকর্ড করা হয়েছিল (যেহেতু ওই দিনেই রেকর্ড শুরু হয়েছিল)। ওই দিনটি ছিল ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ১.৪৬০২ মিলি সেকেন্ড কম। রিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালের আগে সব থেকে ছোট দিন রেকর্ড হয়েছিল ২০০৫ সালে। তবে গত বছরের ১২টি মাসে সেই রেকর্ড ২৮ বার ভেঙে গেছে।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আখলাকুল আম্বিয়া নির্বাহী সম্পাদক: মাে: মাহবুবুল আম্বিয়া যুগ্ম সম্পাদক: প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: স্বাধীনতা ভবন (৩য় তলা), ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০। Editorial & Commercial Office: Swadhinota Bhaban (2nd Floor), 88 Motijheel, Dhaka-1000. সম্পাদক কর্তৃক রঙতুলি প্রিন্টার্স ১৯৩/ডি, মমতাজ ম্যানশন, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত । ফোন : ০২-৯৫৫২২৯১ মোবাইল: ০১৬৭০৬৬১৩৭৭ Phone: 02-9552291 Mobile: +8801670 661377 ই-মেইল : dailyswadhinbangla@gmail.com , editor@dailyswadhinbangla.com, news@dailyswadhinbangla.com
|
|
|
|