শাবিপ্রবিতে চাঁদপুর এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল
শাবিপ্রতি প্রতিনিধি:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে চাঁদপুরের সাধারণ শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষদের নিয়ে ইফতার মাহফিল করেছে চাঁদপুর এসোসিয়েশন। এসোসিশেনের উদ্যোগে আজ বুধবার এ ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশন এর সভাপতি মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাকিবুজ্জামান সহ কমিটির অন্য সকল সদস্য।
এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাকিবুজ্জামান বলেন, ‘সকলের মধ্যে প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখা এবং অন্যায়ের সাথে কোনোরকম আপোষ না করাই চাঁদপুর এসোসিয়েশন এর মূল লক্ষ্য।’
|
শাবিপ্রতি প্রতিনিধি:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে চাঁদপুরের সাধারণ শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষদের নিয়ে ইফতার মাহফিল করেছে চাঁদপুর এসোসিয়েশন। এসোসিশেনের উদ্যোগে আজ বুধবার এ ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশন এর সভাপতি মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাকিবুজ্জামান সহ কমিটির অন্য সকল সদস্য।
এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাকিবুজ্জামান বলেন, ‘সকলের মধ্যে প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখা এবং অন্যায়ের সাথে কোনোরকম আপোষ না করাই চাঁদপুর এসোসিয়েশন এর মূল লক্ষ্য।’
|
|
|
|
মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, জবি:
দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের পছন্দের পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষস্থানে রয়েছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার শনিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘আবেদনকারীদের মধ্যে শুধুমাত্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেছেন ৯০ হাজার ৮৪১ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৫৩ হাজার ৮৩২ জন, ‘বি’ ইউনিটে ১৯ হাজার ৭৭০ জন, ‘সি’ ইউনিটে ১৭ হাজার ২৩৯ জন শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবে। যা মোট আবেদনকারীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ।’
এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা ০১ মিনিট থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পান। পরবর্তীতে ভর্তির আবেদন চলাকালীন সময়ে কারিগরি ত্রুটির কারণে একদিন আবেদন কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় ভর্তিচ্ছুদের সুবিধার্থে আবেদনের সময়সীমা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত একদিন বৃদ্ধি করা হয়।
এদিকে গুচ্ছ ভর্তিতে প্রাথমিক আবেদনের সময় আর বাড়ানো হবে না বলে ভর্তি কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন।
জিএসটি গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ‘এবছর আবেদনের সময় শেষ হয়েছে। নতুন করে এখন আর আবেদনের সময় বাড়ানো হবেনা। এখন আমরা পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু করবো।’
আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার (এ ইউনিট-বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার (বি ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (সি ইউনিট-বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ঠিক করা হয়। তন্মধ্যে শিক্ষার্থীদের যেকোনো একটি কেন্দ্র নির্বাচন করতে হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন করতে পারবে না বলেও কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার সকল তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (https://gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।
এর আগে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে তিনটি ইউনিটে সর্বমোট ৩ লাখ ৩ হাজার ২৩১টি আবেদন জমা পড়ে।
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা
২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালের এইচএসসি বা সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল), এ লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় (সমমান নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদনক্রমে) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই কেবল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা হতে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে যথাক্রমে ইউনিট এ, ইউনিট বি ও ইউনিট সি-তে আবেদন করতে পারবে।
ইউনিট এ তে বিজ্ঞান শাখা হতে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান শাখাসহ মাদ্রাসা বোর্ড (বিজ্ঞান) এবং ভোকেশনাল (এইচএসসি) বিজ্ঞান শাখা হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইউনিট বি তে মানবিক শাখা হতে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.০০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মানবিক শাখাসহ মিউজিক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং মাদ্রাসা বোর্ড (সাধারণ, মুজাব্বিদ) মানবিক শাখা হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইউনিট সি তে বাণিজ্য শাখা হতে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.৫০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বাণিজ্য শাখাসহ ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (এইচএসসি) এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্স বাণিজ্য শাখা হিসেবে বিবেচিত হবে।
জিসিই-এর ক্ষেত্রে আইজিসিএসই (ও লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে তিনটি বিষয়ে বি গ্রেডসহ ৫টি বিষয়ে পাস এবং আইএএল (এ লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে দুইটি বিষয়ে বি গ্রেডসহ তিনটি বিষয়ে পাস থাকতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে সংশ্লষ্টি নম্বরপত্র আপলোডসহ আবেদনের পর সমমান ও যোগ্যতা নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদনক্রমে আবেদন করতে হবে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
নতুন বছর, নতুন সকাল, নতুন বই- এমন সব নতুনের আহ্বানে শীতের সকালের আড়মোড়া ভেঙে বই উৎসবে মেতে উঠে রাজধানীর উত্তরা ডিয়াবাড়ী এলাকায় অবস্থিত সানরাইজ রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের খুদে শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর সানরাইজ রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রাঙ্গণ শিশুদের পদচারণায় মুখর। নতুন বই পেয়ে তাদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসে যেন নতুন প্রাণ পেয়েছে শিশু শিক্ষার্থীরা।
বই উৎসবে সানরাইজ রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের অধ্যক্ষ মোঃ এনায়েত হোসেনসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘বই উৎসব’-এর উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বই উৎসব উদ্বোধনের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এদিন প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ি, দাখিল ও কারিগরি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন তিনি।
পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী সংখ্যা ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন। তাদের জন্য বই ছাপা হয়েছে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি।
|
|
|
|
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সংগীত বিষয়ক সংগঠন নোঙরের ১৭তম কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ জুনাঈদ হোসেন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ মনোনীত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি সাফিন রিদোয়ান, সহ-সভাপতি সাঈদা সুলতানা ফ্লোরা, সজীব খান, অমিত রায়। সহ-সাধারণ সম্পাদক আফাজ খান, সামাউন ফারদিন, তাইমুর সালেহীন তাউস। সাংগঠনিক সম্পাদক বিনায়ক রায়। ব্যান্ড লিডার অর্ঘ্য মহলদার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যান্ড লিডার আন্দালিব তারিফ আবাবা, ব্যান্ড ম্যানেজার তারেক হোসাইন সরকার। অর্থ সম্পাদক রুবেল হোসাইন। হিউম্যানিটি সেইকের প্রধান মোহাম্মদ রবি। মেটাল ফ্যান ক্লাবের প্রধান সজীব শেহজাদ হাসান। মিউজিক স্কুলের প্রধান স্বন্দীপ শান্ত এবং ভিজুয়্যাল আর্টসের প্রধান জাকিয়া সুলতানা।
দপ্তর সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আল-আজাদ, পাবলিকেশন সম্পাদক অভিজিত পাল, আইটি এবং আর্কাইভ সম্পাদক মিজানুর রহমান, পাবলিক রিলেশন্স সম্পাদক তাজিমুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আল-আজাদ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে’ সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত জুনিয়র বরণ অনুষ্ঠানে এ কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। এসময় সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
মুুফিজুর রহমান নাহিদ, স্টাফ রিপোর্টার:
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডে পাশের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। সিলেট বোর্ডে পাশের হার ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর জিপিএ ৫ পেয়েছে এক হাজার ৬৯৯ জন।
গত বছরের তুলনায় পাশের হার কমেছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। জিপিএ ৫ কমেছে তিন হাজার ১৮২ টি। গত ২০২২ সালে সিলেট বোর্ডে পাশের হার ছিল ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল চার হাজার ৮৮১ জন।
সিলেট বোর্ডের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এবছর বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৩ হাজার ১২৩ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ৫৯ হাজার ৫৩৬জন। এর মধ্যে ২৩ হাজার ৯১৬ জন ছেলে ও ৩৫ হাজার ৬২০ জন মেয়ে। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৬৯৯ জন। এর মধ্যে ৮১৯ জন ছেলে ও ৮৮০ জন মেয়ে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
চলতি ২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মোট ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাশের হার ৭৮.৬৪ শতাংশ।
আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করেন। এর পর পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসে জানা যাচ্ছে।
ফলাফলে দেখা গেছে, সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষায় মোট পাশ করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থ। শুধুমাত্র ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
এর আগে সরকারপ্রধানের হাতে পরীক্ষার ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
প্রধানমন্ত্রীর ফল প্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধনের পরই বেলা ১১টা থেকে ফল জানতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।
দুপুর ২টায় ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
চলতি বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট। শেষ হয় ২৫ সেপ্টেম্বর।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ১০ দিন পিছিয়ে ২৭ আগস্ট শুরু হয়। সবগুলো বোর্ডে একই দিনে পরীক্ষা শুরু না হলেও ১১টি শিক্ষা বোর্ডে একযোগে ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।
এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন। যাদের মধ্যে বিজ্ঞানের ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫১২ জন, মানবিকের ৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৬ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষার ২ লাখ ১২ হাজার ২০৬ জন।
মাদরাসা বোর্ড থেকে ৯৮ হাজার ৩১ জন ও কারিগরি বোর্ড থেকে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়।
করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর এবারই পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কেবল তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে ৭৫ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমনানের পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ হচ্ছে আজ। ইতোমধ্যে ফলাফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
এবারের এইএসসির সব বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল মুহূর্তেই পাওয়া যাবে মোবাইল ফোনে। এজন্য এসএমএস অপশনে গিয়ে টাইপ করুন- HSC<space>First 3 Letter of Your Board Name<Space>Roll No<Space< Exam Year এবং পাঠিয়ে দিন ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে ফলাফল পাওয়া যাবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের জন্য HSC Dha 123456 2023, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য Alim Mad 123456 2023, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জন্য Hsc Tec 123456 লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
অন্যদিকে অনলাইনে ফলাফল জানতে পরীক্ষার্থীকে প্রথমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে ফলাফল অপশনে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সাবমিট করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীরা তার ফলাফল দেখতে পাবেন।
|
|
|
|
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রীহলের অধীনস্ত সামাদ হাউসে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে সিলেট নগরীর মদিনামার্কেটস্থ সামাদ হাউস-১ ও সামাদ-২ তে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে হলের বিভিন্ন নিয়ম কানুন ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেন প্রভোস্ট জোবেদা কনক খান। এরপর নীতিমালার খসরা কপি ছাত্রীদের হাতে তুলে দেয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের লুগো সম্বলিত মাস্ক ও খাবার বিতরণ করা হয়।
একই স্থানে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীদের পাশাপাশি ২০২১-২২ এর ছাত্রীদের মাঝেও খাবার বিতরণ করা হয়।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন হলের সহকারী প্রভোস্ট ড. ফাহমিদা আক্তার ও তাসমিনা তানিয়া চৌধুরী প্রমুখ।
|
|
|
|
শান্ত তারা আদনান, শাবিপ্রবি:
বহুল প্রতীক্ষার পর চালু হওয়া সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সপ্ট ওপেনিং অনুষ্ঠিত হবে রোববার। চারটি ব্লক মিলিয়ে মোট ১২০ টি কক্ষের এ হলে ছাত্রী ধারণক্ষমতা ৪৮০ জন। রবিবার সকাল এগারোটায় সপ্ট ওপেনিং করবেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে গত শুক্রবার আমেজ আর আনন্দঘণ মুহূর্ত নিয়ে এদিন সকালে হলের সামনে নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে জড়ো হয় ছাত্রীরা। পরে হল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুয়াযী নিজ নিজ পরিচয় পত্র প্রদর্শন করে হলে ঢুকেন তাঁরা। এরপর নাম এন্ট্রি শেষে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে নিজ নিজ কক্ষের চাবি বুঝে নেন ছাত্রীরা। হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা(এমপি) হলটি উদ্বোধন করবেন। তবে রবিবার(১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ হলটির প্রাথমিকভাবে ছাত্রীদের জন্য Soft opening করবেন।
|
|
|
|
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের জম্মদিন অনাড়ম্বর কর্মসূচীর মাধ্যমে উদ্যাপন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান।
শুক্রবার(১০ নভেম্বর) খলিলের পালিত এসব কর্মসূচী হিসেবে ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা, স্কুলের শিক্ষার্থী শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও মিলাদ মাহফিল।
এ বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, আজকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি হোসাইন সাদ্দাম ভাইয়ের জম্মদিন উপলক্ষ্যে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীর মধ্যে আনন্দ বিরাজ করেছে। তারেই অংশ হিসাবে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছি। আমরা ১২টার দিকে আনন্দ শোভাযাত্রা করে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে কেক কেটেছি তার পর বাদ জুম্মা কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করি তার পর বৃক্ষ রোপণ এবং বিকাল ৪টায় কীন স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছি।
উল্লেখ্য, সাদ্দাম হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করেন। বর্তমানে তিনি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
সাদ্দামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায়। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
মননশীল ও সৃজনশীল ছাত্রনেতা, শিক্ষার্থীবান্ধব আচরণ, আপসহীন, বাকপটু, সুবক্তা, ছাত্রদের যেকোনো সমস্যায় এগিয়ে আসা, ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে অনন্য সম্পর্ক স্থাপন, প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার অধিকারী হওয়া ইত্যাদি নানা কারণে সাদ্দাম হোসেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের পূর্বে সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিল সাদ্দাম হোসেন।
|
|
|
|
জুনায়েদ মাসুদ:
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বাকি দশজন শিক্ষার্থী যেখানে তথাকথিত আত্মমর্যাদাবোধ আর অহমিকার গোড়ামিতে ডুবে আছে সেখানে কিভাবে ক্ষুদ্র ব্যাবসার মধ্য দিয়ে আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে হয় তারই প্রমাণ দেখিয়েছেন গাইবান্ধা জেলার খামারপীরগাছার নিবিড় মুস্তাকিম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নাট্যকলা বিভাগে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিবিড় মুস্তাকিম। লোকলজ্জা আর মানসিক সংকীর্ণতাকে পেছনে ফেলে আত্মনির্ভরশীলতার জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসাকে জীবীকা নির্বাহের পন্থা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।
প্রতি বছর বাংলাদেশে ষাট হাজারের অধিক শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় পাহাড়সম স্বপ্ন আর আকাঙ্ক্ষা নিয়ে। খুব স্বাভাবিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে তার এই পরিচয় মানসপটে এক তথাকথিত আত্মসম্মানবোধের জন্ম দেয়। এই বোধ থেকেই আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল সিংহভাগ শিক্ষার্থী আত্মনির্ভরশীলতার পথ হিসেবে টিউশনিকে বেছে নেয়। আর এভাবেই সে খুব সস্তা দামে তার মূল্যবান সময়কে বিক্রি করে দেয় টিউশনের কাছে।
নিবিড়ও তার ব্যাতিক্রম ছিলেন না। শূন্য হাতে সুদূর গাইবান্ধা থেকে ঢাকায় আসেন নিবিড়। আর্থিক অস্বচ্ছলতার দরুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর প্রথম দিকে তিনিও টিউশনি করে পড়াশোনা ও অন্যান্য খরচ বহন করতেন। কিন্তু, করোনা মহামারীতে মানুষের অর্থনৈতিক দূরাবস্থার কারণে অনেক পরিবার হোম টিউটর দিয়ে তাদের বাচ্চাদের পড়ানো বন্ধ করে দেয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিবিড়ের টিউশনিও চলে যায়। তাকে এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়।
তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে নিবিড় দ্বিতীয়। বাবা কৃষি কাজ করেন। এতো বড় সংসার ও ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। তাই, দু’এক মাস এর ওর থেকে ধার করে চললেও এভাবে খুব বেশিদিন চলতে পারবেন না জেনে অবশেষে নিবিড় তার শুভাকাঙ্ক্ষী বড়ভাইয়ের পরামর্শক্রমে ৫ হাজার টাকা ধার নিয়ে একটি পুরনো ভ্যান কিনে ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যাবসা শুরু করেন।
প্রথম দিকে আলু, পেয়াজ, আদা, রসূনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যে দিয়ে ব্যাবসা শুরু করেন নিবিড়। এরপর বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের বাহারি ফলমূল বিক্রি করতে শুরু করেন৷ একটা সময় তার ব্যাবসা দাড়িয়ে যায় এবং আজ পর্যন্ত চলছে। এভাবেই নিবিড় প্রতি মাসে আয় করছেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। এই ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমেই নিজের পড়াশোনা ও অন্যান্য ব্যয়ের পাশাপাশি তার ছোট দুই ভাইবোনের পড়াশোনার খরচ চালান। সংসারেও মাঝে মাঝে আর্থিক যোগান দেন।
শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার এই উদ্যোগে বাহবা জানালেও অনেকেই তার কাজকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন বলে মনে করেন নিবিড়।
নিবিড় তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘করোনা মহামারী সময় খুবই দূর্ভোগে কাটাতে হয়েছে। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটিয়েছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম প্রয়োজনে রিকশা চালিয়ে হলেও টিকে থাকতে হবে। পরর্বতীতে হিতৈষীদের পরামর্শক্রমে ব্যাবসা শুরু করি। যদিও প্রথম দিকের সময়টা আমার ভালো কাটেনি। এই কাজটার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে। কারণ, একটি স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে এমন পদক্ষেপে অনেকে বাহবা জানালেও অনেকের কটু কথা শুনতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে এমন কাজে আমাকে দেখতে অনেকেই স্বস্তি বোধ করেনি। অনেকে তাচ্ছিল্যের সুরে `হকার` বলে গালি দিয়েছে। আমি কখনোই তাদের কথায় কান দেইনি।’
তিনি বলেন, ‘হালাল পথে উপার্জিত যেকোনো আয়ের পন্থাই আমার কাছে সম্মানের। অন্তত এখান থেকে কিছু না কিছু শেখা যায়। পাশাপাশি আমার আয়ও হচ্ছে। আমার ভবিষ্যতে ব্যবসার করার ইচ্ছে আছে। সে সুবাদে আমার ছোট ব্যাবসা হয়তো আমাকে অনেক বড় জায়গায় নিয়ে যাবে। কারণ, আমি ব্যাবসার খুটিনাটি বিষয়গুলো শিখছি যেটা বাকি ৫ জন শিক্ষার্থী পারছেনা। তাই আমি তাদের অনেকের থেকেই এগিয়ে আছি।
বর্তমানে বাংলাদেশে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ১০০ জন শিক্ষার্থীর ৪৭ জনই বেকার (তথ্যসূত্র: প্রথম আলো)। ‘সোনার হরিণ’ খ্যাত সরকারি চাকুরির পেছনে পিপাসিত কুকুরের ন্যায় ছুটছে তারা এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। কিন্তু তারা সংখ্যায় যত সে তুলনায় চাকুরির পোস্ট এ দেশের চাকুরির বাজারে নেই। দিনশেষে হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরা। বিষন্নতায় কাটে প্রতিটি রাত। চোখে ঘুম নেই। বার বার মনে পড়ে বাবা মায়ের মুখ। যারা উন্মুখ হয়ে বসে আছে তাদের সন্তান কোন ভালো সরকারি চাকুরি পাবে তাদের সংসারের দুঃখ ঘুচে যাবে এই আশায়। এদিকে হতভাগা সন্তান চাকরি পাবেনা জেনে পরিবারের থেকে আনা পড়াশোনার খরচ চালাবার বাবার কষ্টে টাকাগুলোর কথা মনে করে অঝোরে চোখের জল ফেলে।
অথচ বাংলাদেশের কৃষি শিল্পে সমৃদ্ধ একটি দেশ। দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে কৃষি খাতে আমাদের অনেক জনশক্তি প্রয়োজন। শুধু কৃষি খাতই নয় বরং এমন আরো অন্যান্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে এই বেকার যুবসমাজকে কাজে লাগানো যেতে পারে। কিন্তু তাদের এসবে আগ্রহ নেই। শিক্ষিত লোকের শরীরের কাদামাটি লাগলে জাত যায় এই নীতি তাদের রক্তে রন্ধ্রে মিশে আছে।
নিবিড়ের মতো আরো হাজারো নিবিড় আমাদের প্রয়োজন যারা নিজেদেরকে পরিবার, সমাজ এবং দেশের জন্য বোঝা না বানিয়ে আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করে নেবে। এবং দেশে অর্থনীতিতে অংশীদারত্ব করবে। যারা সকল পেশাকে সম্মান করবে। কোনো পেশাকে ছোট করে দেখবেনা। যাদের মধ্যে থাকবেনা পুজিবাদের সংকীর্ণ মানসিকতা।
পরিশেষে নিবিড় বেকার যুবসমাজের উদ্দেশে বলেন, আমি উচ্চশিক্ষা অর্জন করে চাকুরির পেছনে ছুটতে ইচ্ছুক নয়। শিক্ষা আমার মানসিক সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাবে চাকুরি এর উদ্দেশ্য নয়। প্রতিটি শিক্ষার্থী যদি এর পেছনে না দৌড়ে নিজ উদ্যোগে আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তোলে তাহলে দেশের উন্নতি সাধন হবে। তবে এর জন্য যা প্রয়োজন তা হলো একটি মুক্ত ও প্রশস্ত মানসিকতা।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে গত ১ অক্টোবর যোগদান করেছেন জালাল আহমেদ। জালাল আহমেদ ১৯৬১ সনের ৩ জানুয়ারি হবিগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম এডভোকেট আব্দুর রহমান।
জালাল আহমেদ বিসিএস ৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। কর্মজীবনে তিনি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট) হিসেবে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটা বাজেট প্রণয়নে জড়িত ছিলেন। একই সময়ে তিনি নেপাল-বাংলাদেশ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন। তিনি SEIP এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর তিনি দেশের সর্ববৃহৎ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হামীম গ্রুপের সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাখি ও প্রকৃতিপ্রেমী জালাল আহমেদ বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাবের সভাপতি এবং জালালাবাদ এসোসিয়েশন, ঢাকার সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি।
তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক। তার ছোট ভাই হেলাল আহমেদ আইএফআইসি ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, এজাজ আহমেদ পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি ও ফয়েজ আহমেদ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট:
এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষার সময় বাড়ানো হয়েছে। রোববার (১ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিদ্যমান সময়সূচি অনুযায়ী- ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।
৯ অক্টোবরের মধ্যে ব্যবহারিক নম্বর অনলাইনে এন্ট্রি করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা তার প্রতিনিধিকে হাতে হাতে ব্যবহারিক পরীক্ষার উত্তরপত্র, স্বাক্ষরলিপি ও অন্যান্য কাগজপত্র রোল নম্বরের ক্রমানুসারে সাজিয়ে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নির্দেশনা অনুযায়ী জমা দিতে হবে।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তিন শিক্ষা বোর্ডের (চট্টগ্রাম, কারিগরি ও মাদ্রাসা) পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ আগস্ট।
|
|
|
|
ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই বিভাগে চার শিক্ষকসহ মোট ২৫ জন নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে তিনজন চিকিৎসক ও চারজন প্রকৌশলী, একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান, একজন প্লাম্বার, ছয়জন চালক এবং ছয়জন হেলপার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬১ তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ফার্মেসি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রেহনুমা তানজিন ও রসুল করিম এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাথী খাতুন ও মাসুদ রানা।
এছাড়া চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আবদুল্লাহ আল মামুন (সিনিয়ার মেডিক্যাল অফিসার), তাহমিনা আফরিন (মেডিক্যাল অফিসার) ও জিহান আফরিন (মেডিক্যাল অফিসার)। প্রকৌশলী হিসেবে এস. এম. ইশতিয়াক (বিদ্যুৎ), সোহাগ ইসলাম সাগর (সিভিল), প্রসেনজিৎ কুমার (সিভিল) ও রাজিব হোসেন (সিভিল) নিয়োগ পেয়েছেন।
এদিকে ছয়জন চালকের মধ্যে রয়েছেন জুয়েল, রাশেদুল ইসলাম, আল মাহমুদ, মোঃ কামাল, মিলন ও তুহিনুল ইসলাম। হেলপারের মধ্যে রয়েছেন শুকুর আলী, ফিরোজ আলী, আলাউদ্দীন রাকিব, সিহাব আলী, মাহফুজ ইসলাম ও নারায়ণ (মুক্তিযোদ্ধা কোটা)। এছাড়া ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে জনি ও প্লাম্বার পদে রাকিব রয়েছেন।
সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
ঢাবি প্রতিনিধি :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.ই.আর ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন হিজাবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা এবং ভিকটিমকে উগ্রবাদী ব্লেম দিয়েছেন এমন অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে নিকাব পরায় ভাইভা দিতে না দেওয়া শিক্ষার্থীর ভাইভা নেওয়ার ব্যবস্থা করা, শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী তাবাসসুম নুবা বলেন, ‘তারা হিজাব নিকাব ট্যাগ দিয়ে শিক্ষাকে লিমিট করতে চায়। শিক্ষক হয় নাকি বাবার সমতুল্য। এটা কেমন ধরনের বাবা, যার কথায়, ব্যবহারে কাজে সব সময় আক্রোশ প্রকাশ পায়। আজকে আমাদের উগ্রবাদী ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে শুধু হিজাব নিকাব পরায়। আমাদের অধিকার রয়েছে ধর্ম মানার। সব আগ্রাসন কেন মুসলিমদের ওপরে, ইসলামের ওপরে?’
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তাবাসসুম বিনতে মুহাম্মদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের কোথাও উল্লেখ নেই আমরা কী এবং কোথায় কোন পোশাক পরব। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে স্পষ্ট বলা হয়েছে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা।’
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের ভাইভা বোর্ডে নিকাব ও হিজাব পরায় এক শিক্ষার্থীকে ভাইভা না দিতে দেওয়ার বিষয়টি একটি গণমাধ্যমে উঠে আসে। সেখানে ভাইভা বোর্ডের প্রধান শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উগ্রবাদী দলের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
|
|
|
|
ইবি প্রতিনিধি :
বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধার মৃত্যুর বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ-ঐক্যমঞ্চ।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় প্রধান ফটক সংলগ্ন `মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব` ম্যুরালের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সংগঠনটির আহ্বায়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও ইবি শাখার সাবেক সভাপতি এস এ এইচ ওয়ালিউল্লাহ, ঐক্যমঞ্চ’র সদস্য সচিব রাবেয়া খাতুন, রোটার্যাক্ট ক্লাবের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম নাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম রাসেল, আইইউমুনা’র সভাপতি নাহিদ হাসান, সিওয়াইবি’র সভাপতি গোলাম রব্বানী ও রক্তিম’র সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
এছাড়াও সিআরসি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদিম মুনিব, তারুণ্য’র সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, লেখক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান ও সহযোগী সদস্য অলোক দেবনাথ বক্তব্য রাখেন। এসময় বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের অর্ধশতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নওরীন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। আমরা ক্যাম্পাসের একটা নক্ষত্রকে হারিয়েছি। সে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবিদাওয়ার বিষয়ে সবসময় পাশে থেকেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। তার এই মেধা পূরণ হওয়ার নয়।
তারা আরও বলেন, নওরীন আত্মহত্যার বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করেছেন। সে কখনো আত্মহত্যা করতে পারেনা। তাকে হইত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে আর তা নাহলে তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, তার মৃত্যু নিয়ে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে তা সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জোট ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ’ যা সংক্ষেপে ঐক্যমঞ্চ নামে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন ও সংগঠকদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও দাবি আদায়ে কাজ করে থাকে ঐক্যমঞ্চ।
|
|
|
|
|
|
|