|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২ এ পদার্পণ
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র এবং জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিষ্ঠার ১০১ পেরিয়ে ১০২ বছরে পদার্পণ করেছে আজ। শিক্ষা-গবেষণার বিস্তার, মুক্তচিন্তার উন্মেষ এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নতুন ও মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষ্যে পথচলা শুরু হয় ঢাবির। এবারের প্রতিপাদ্য– গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা।
৩ অনুষদ, ১২ বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ শিক্ষার্থী এবং ৩ আবাসিক হল নিয়ে ১৯২১ সালের ১ জুলাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে ১৩ অনুষদ, ৮৪ বিভাগ, ১৩ ইনস্টিটিউট, ১৯৮৬ জন শিক্ষক, প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী এবং ১৯টি আবাসিক হল ও ৪টি হোস্টেল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ইতিহাসের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই প্রতিষ্ঠানটি। এসব আন্দোলনে অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এ ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানের আনাচকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইতিহাস, রচিত হয়েছে ইতিহাসের নানা অধ্যায়।
১০১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ দেশের সকল সংগ্রামের সাথে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে গৌরবময় ইতিহাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করছি। আমরা অবকাঠামো এবং একাডেমিক প্ল্যান এই দুইটিকে সমন্বয় করে আগামীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলতে চাই। যাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মনে করে এই বিশ্ববিদ্যালয় তাদের।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের এবারের প্রতিপাদ্য– গবেষণা ও উদ্ভাবন: ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা আগামীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলব। আমরা চাচ্ছি শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ, এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে র্যাংকিংয়ের জন্য যে প্যারামিটারগুলো আছে সেসব বিষয়ে উন্নতি সাধন করতে। মাস্টারপ্ল্যান এবং শিক্ষা প্ল্যানের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্যা উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। কোনোভাবেই আমরা পিছিয়ে যেতে চাই না।
ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারেনি। যার মূল কারণ রাষ্ট্রও সেভাবে সহযোগিতা করেনি। আমরা যদি দেখি ব্রিটিশ এবং পাকিস্তান আমলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শত্রুতা লেগে ছিল। ১৯৭১ সালে তো সেটা সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেল। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একদম নিশ্চিহ্ন করার প্রয়াস চালিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। একাত্তরের পরও রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক সম্পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতামূলক হয়নি, এর বিভিন্ন কারণও আছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণের আগ্রহ কমে যাওয়াও একটি কারণ। আগ্রহ কমে যাওয়ার কারণ হলো শিক্ষার সঙ্গে জীবিকার সম্পর্ক আগের মতো নেই।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাবির কর্মসূচি সকাল ১০টার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ শোভাযাত্রা সহকারে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে সমবেত হবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, কেক কাটা এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে থিম সং পরিবেশিত হবে।
সকাল ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবন ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
হচ্ছে না গবেষণা-প্রকাশনা মেলা প্রতিপাদ্যের সাথে মিল রেখে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১-৩ জুলাই গবেষণা-প্রকাশনা মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে তা আপাতত হচ্ছে না। আগামী অক্টোবরে এটি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে। আমরা যেভাবে মেলাটা করতে চেয়েছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে ধরতে চেয়েছি, সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি, মেলাটা শুষ্ক মৌসুমে করতে, যাতে লোকজন সহজে আসতে পারে। এর মধ্যে আমাদের বই, জার্নাল ও গবেষণা প্রকল্পগুলো সিংহভাগ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এসব বিবেচনা করেই আমরা এটা পিছিয়েছি। আগামী অক্টোবরে এটি অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ব কথা বাঙালির আর সব অর্জনের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাও নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছিল। বাঙালি নাগরিক সমাজের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের দীর্ঘ বোঝাপড়ার ফসল এই বিশ্ববিদ্যালয়। বঙ্গভঙ্গ রদের অল্প কিছুদিন পরেই ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা পূর্ব বাংলার মানুষের মধ্যে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, দর্শন, মননশীলতায় নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে বাঙালি শিক্ষিত সমাজ।
১৯১২ সালের ২৭ মে গঠিত হয় ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নাথান কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব অর্পিত হয় নাথান কমিশনের ওপর। ১৯১৩ সালে নাথান কমিশনের ইতিবাচক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সে বছরের ডিসেম্বর মাসেই রিপোর্টটি অনুমোদিত হয়। এর ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথ আরও সুগম হয়। কিন্তু এর পরের বছরেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন-পূরণের পথে শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই যুদ্ধ। তবে এত সব প্রতিকূলতার মধ্যেও নাগরিক সমাজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যান।
১৯১৭ সালে স্যাডলার কমিশন ইতিবাচক রিপোর্ট দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত ধাপ তৈরি হয়ে যায়। অবশেষে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভায় ‘দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ১৯২০’ পাস হয়। ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এই বিলে সম্মতি দেন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সব সন্দেহের অবকাশ ঘটে। এই আইনকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আইনটির বাস্তবায়নের ফলাফল হিসেবে ১৯২১ সালের ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’।
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র এবং জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিষ্ঠার ১০১ পেরিয়ে ১০২ বছরে পদার্পণ করেছে আজ। শিক্ষা-গবেষণার বিস্তার, মুক্তচিন্তার উন্মেষ এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নতুন ও মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষ্যে পথচলা শুরু হয় ঢাবির। এবারের প্রতিপাদ্য– গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা।
৩ অনুষদ, ১২ বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ শিক্ষার্থী এবং ৩ আবাসিক হল নিয়ে ১৯২১ সালের ১ জুলাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে ১৩ অনুষদ, ৮৪ বিভাগ, ১৩ ইনস্টিটিউট, ১৯৮৬ জন শিক্ষক, প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী এবং ১৯টি আবাসিক হল ও ৪টি হোস্টেল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ইতিহাসের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই প্রতিষ্ঠানটি। এসব আন্দোলনে অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এ ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানের আনাচকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইতিহাস, রচিত হয়েছে ইতিহাসের নানা অধ্যায়।
১০১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ দেশের সকল সংগ্রামের সাথে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে গৌরবময় ইতিহাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করছি। আমরা অবকাঠামো এবং একাডেমিক প্ল্যান এই দুইটিকে সমন্বয় করে আগামীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলতে চাই। যাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মনে করে এই বিশ্ববিদ্যালয় তাদের।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের এবারের প্রতিপাদ্য– গবেষণা ও উদ্ভাবন: ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা আগামীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলব। আমরা চাচ্ছি শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ, এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে র্যাংকিংয়ের জন্য যে প্যারামিটারগুলো আছে সেসব বিষয়ে উন্নতি সাধন করতে। মাস্টারপ্ল্যান এবং শিক্ষা প্ল্যানের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্যা উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। কোনোভাবেই আমরা পিছিয়ে যেতে চাই না।
ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারেনি। যার মূল কারণ রাষ্ট্রও সেভাবে সহযোগিতা করেনি। আমরা যদি দেখি ব্রিটিশ এবং পাকিস্তান আমলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শত্রুতা লেগে ছিল। ১৯৭১ সালে তো সেটা সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেল। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একদম নিশ্চিহ্ন করার প্রয়াস চালিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। একাত্তরের পরও রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক সম্পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতামূলক হয়নি, এর বিভিন্ন কারণও আছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণের আগ্রহ কমে যাওয়াও একটি কারণ। আগ্রহ কমে যাওয়ার কারণ হলো শিক্ষার সঙ্গে জীবিকার সম্পর্ক আগের মতো নেই।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাবির কর্মসূচি সকাল ১০টার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ শোভাযাত্রা সহকারে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে সমবেত হবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, কেক কাটা এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে থিম সং পরিবেশিত হবে।
সকাল ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবন ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
হচ্ছে না গবেষণা-প্রকাশনা মেলা প্রতিপাদ্যের সাথে মিল রেখে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১-৩ জুলাই গবেষণা-প্রকাশনা মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে তা আপাতত হচ্ছে না। আগামী অক্টোবরে এটি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে। আমরা যেভাবে মেলাটা করতে চেয়েছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে ধরতে চেয়েছি, সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি, মেলাটা শুষ্ক মৌসুমে করতে, যাতে লোকজন সহজে আসতে পারে। এর মধ্যে আমাদের বই, জার্নাল ও গবেষণা প্রকল্পগুলো সিংহভাগ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এসব বিবেচনা করেই আমরা এটা পিছিয়েছি। আগামী অক্টোবরে এটি অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ব কথা বাঙালির আর সব অর্জনের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাও নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছিল। বাঙালি নাগরিক সমাজের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের দীর্ঘ বোঝাপড়ার ফসল এই বিশ্ববিদ্যালয়। বঙ্গভঙ্গ রদের অল্প কিছুদিন পরেই ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা পূর্ব বাংলার মানুষের মধ্যে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, দর্শন, মননশীলতায় নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে বাঙালি শিক্ষিত সমাজ।
১৯১২ সালের ২৭ মে গঠিত হয় ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নাথান কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব অর্পিত হয় নাথান কমিশনের ওপর। ১৯১৩ সালে নাথান কমিশনের ইতিবাচক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সে বছরের ডিসেম্বর মাসেই রিপোর্টটি অনুমোদিত হয়। এর ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথ আরও সুগম হয়। কিন্তু এর পরের বছরেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন-পূরণের পথে শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই যুদ্ধ। তবে এত সব প্রতিকূলতার মধ্যেও নাগরিক সমাজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যান।
১৯১৭ সালে স্যাডলার কমিশন ইতিবাচক রিপোর্ট দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত ধাপ তৈরি হয়ে যায়। অবশেষে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভায় ‘দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ১৯২০’ পাস হয়। ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এই বিলে সম্মতি দেন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সব সন্দেহের অবকাশ ঘটে। এই আইনকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আইনটির বাস্তবায়নের ফলাফল হিসেবে ১৯২১ সালের ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’।
|
|
|
|
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
প্রোগ্রামিং দক্ষতার ভিত্তিতে দেশের ১১৯টি পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বা সমমানের প্রতিষ্ঠান নিয়ে SYNAPSE জরিপে র্যাংকিংয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
শনিবার SYNAPSE এ বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৩য় হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে এবারো প্রথম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট), দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি)।
অন্যদিকে এবারো একধাপ এগিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি), পঞ্চম অবস্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। এ কারণে পেছাতে যাচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। যদিও বন্যার কারণে এ আগে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (২১ জুন) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি বলেন, চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দেশব্যাপী বন্যার কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। তবে এবার সেই প্রভাব এইচএসসি পরীক্ষার ওপরও পড়বে। কেননা দুটি পাবলিক পরীক্ষার মধ্যে অন্তত দুই মাসের বিরতি প্রয়োজন। সেই হিসেবে বলা যায়, এইচএসসি পরীক্ষাও পিছিয়ে যেতে পারে। স্থগিত এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তপন কুমার বলেন, পরীক্ষার বিষয়টি নির্ভর করছে বন্যা পরিস্থিতির ওপর। পরিস্থিতি যদি উন্নতি হয় তাহলে আমরা দ্রুতই রুটিন প্রকাশ করে পরীক্ষা শুরু করতে পারবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঈদ উল আযহার আগে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর কোনো সম্ভাবনাই নেই। কারণ পরীক্ষা আয়োজনের জন্য অনেক প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। এদিকে ঈদ উল আযহাও অতি নিকটে। সেই দিক বিবেচনা করলে ঈদের আগে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর কোনো সম্ভাবনা নেই।
সরকার চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ আগামী ২২ আগস্ট নির্ধারণ করেছে। এ পরীক্ষা পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। এইচএসসিতে এবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা না নিয়ে তা সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নম্বর দেওয়া হবে।
|
|
|
|
মো. সাইফুল মিয়া, চবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বোরবার ‘আদর্শ দেশ গঠনে তরুণ লেখকদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মানিত সভাপতি মো. রাফছান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে। আরো উপস্থিত ছিলেন, আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম। এছাড়া উক্ত কর্মশালার আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর চট্টগ্রাম ব্যুরোর বার্তা সম্পাদক ওমর কায়সার ও দৈনিক আজাদীর ফিচার এডিটর প্রদীপ দেওয়ানজী। এছাড়া বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক তরুণ লেখক ও লেখিকা উপস্থিত ছিলেন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, তরুণরাই জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তাদের অদম্য স্পৃহা ও কর্ম দিয়ে আগামীর বাংলাদেশকে এগিয় নিয়ে যাবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী। এ তরুণ শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদের মেধাবী সৃজনশীল লিখন চর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে সামিল করতে সহায়তা করবে।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয় এবং সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সমাপ্তি হয়।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইনউনিভার্সিটিতে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে ফল উৎসব ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ জুন শনিবার আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পসে বিজনেস ক্লাবের সহযোগিতায় এ ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহসিনা আক্তার, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের কোঅর্ডিনেটর (স্থায়ী ক্যাম্পাস) ও সহকারী অধ্যাপক আশুকুন্নবি উপস্থিত ছিলেন ।
ফল উৎসবে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন মৌসুমি ফল যেমন- আম, কাঠাল, লিচু, তরমুজ, জাম, পেপে, আনারস, বেদানা, করমচা, কামরাঙ্গা, কলা, ডাব, আনারস, তালের শাস-সহ আরও অনেক ফলের পসরা সাজিয়ে বসেন। অনুষ্ঠানে বিজনেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারিসহ ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক বন্যার কারণে সারাদেশে ১৯ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামী ১৯ জুন অনুষ্ঠিতব্য সকল শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি জেনারেল, এসএসসি ভোকেশনাল এবং দাখিল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরে জানানো হবে।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। আজ শুক্রবার সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এছাড়াও ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীর পানি বেড়েছে নেত্রকোণাতেও। ফলে সেখানে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার কলমাকান্দা উপজেলার প্রধান নদী উব্দাখালীর পানি বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
|
|
|
|
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়িয়ে নতুন অর্থবছরের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বাজেট পেশ করবেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি এবার দ্বিতীয়বারের মতো ঢাবির বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ বাজেট উত্থাপন করবেন তিনি। বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত এ বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন সিনেটের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এর আগে, রোববার (১২ জুন) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের (সিন্ডিকেট) এক সভায় ঢাবির ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। এ অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেটের পরিমাণ ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। গত (২০২১-২২) অর্থবছরে বাজেট ছিল ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে এবার বাজেটের পরিমাণ বেড়েছে ৯০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা গেছে, ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বাজেটের ১৪০ কোটি টাকা শিক্ষক, ৬১ কোটি টাকা কর্মকর্তা, ৭২ কোটি টাকা কর্মচারীদের বেতন দেখানো হয়েছে। ২১৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ভাতা, পণ্য ও সেবায় খাতে ১৭৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, পেনশন বাবদ ১৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, গবেষণায় ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা ও অন্যান্য অনুদান খাতে ৩৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে ৭৮১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা আয় হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুদান থেকে। যা মোট আয়ের ৮৪ শতাংশ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আয় করবে ৮৩ কোটি টাকা। যা গতবার ছিল ৬৫ কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমে আসছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে ঘাটতি ছিল ৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকা যা এবার থাকছে ৫৮ কোটিতে।
|
|
|
|
মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ:
গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে ১৫ জুন( দুপুর ১২টা হতে)। যা চলবে ২৫ জুন (রাত ১১.৫৯ মিনিট) পর্যন্ত। শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির সচিব প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের সই করা বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের এসএসসি ও সমমান এবং ২০২০ ও ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল), এ লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় (সমমান নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদনক্রমে) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা হতে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে যথাক্রমে ইউনিট-এ, ইউনিট-বি ও ইউনিট-সি-তে আবেদন করতে পারবে।
ইউনিট-এ তে বিজ্ঞান শাখা হতে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান শাখাসহ মাদ্রাসা বোর্ড (বিজ্ঞান) এবং ভোকেশনাল (এইচএসসি) বিজ্ঞান শাখা হিসাবে বিবেচিত হবে।
ইউনিট-বি তে মানবিক শাখা হতে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.০০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মানবিক শাখাসহ মিউজিক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং মাদ্রাসা বোর্ড (সাধারণ, মুজাব্বিদ) মানবিক শাখা হিসাবে বিবেচিত হবে।
ইউনিট-সি তে বাণিজ্য শাখা হতে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.৫০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বাণিজ্য শাখাসহ ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (এইচএসসি) এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্স বাণিজ্য শাখা হিসাবে বিবেচিত হবে।
জিসিই-এর ক্ষেত্রে আইজিসিএসই (ও লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে ৩টি বিষয়ে বি-গ্রেডসহ ৫টি বিষয়ে পাস এবং আইএএল (এ লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে ২টি বিষয়ে B গ্রেডসহ ৩টি বিষয়ে পাস থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সরাসরি আবেদনের মাধ্যমে সমমান ও যোগ্যতা নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদন ক্রমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সমমান নির্ধারণের জন্য আবেদনের শেষ তারিখের কমপক্ষে ১২ দিন পূর্বে সরাসরি রেজিস্ট্রার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-এ যোগাযোগ করতে হবে।
৩০ জুলাই ইউনিট-এ (বিজ্ঞান), ১৩ আগস্ট শনিবার ইউনিট-বি (মানবিক) এবং ২০ আগস্ট শনিবার ইউনিট-সি (বাণিজ্য)-এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরীক্ষা হবে।
১৫ জুন দুপুর ১২টা হতে ২৫ জুন শনিবার রাত ১১.৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রদত্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা থেকে শিক্ষার্থী একটি মাত্র কেন্দ্র পছন্দ করতে পারবে। পছন্দকৃত কেন্দ্র চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে, তা আর পরিবর্তন করা যাবে না।
প্রতিটি ইউনিটের ফলাফল জিএসসি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট (www.gstadmission.ac.bd)-এ প্রকাশ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর পেতে হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। শুধুমাত্র জিএসসি গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাই যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে পছন্দকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবে।
জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট (www.gstadmission.ac.bd)-এ পাওয়া যাবে।
|
|
|
|
জবি প্রতিনিধি :
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফি সংক্রান্ত বিলম্বজনিত জরিমানা তিনশ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যাদের জন্য বিলম্ব ফি প্রযোজ্য শুধু তারাই এই সুবিধা পাবে। ভর্তি ও পরীক্ষার ফি যথাসময়ে না দেয়া শিক্ষার্থীদের তিনশত টাকা জরিমানা দিতে হবে। শনিবার (১১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রেজিস্ট্রার জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে যাদের জন্য জরিমানা প্রযোজ্য তাদের মানবিক দিক বিবেচনায় ৩০ জুন পর্যন্ত শুধুমাত্র তিনশ’ টাকা জরিমানা প্রদানপূর্বক স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
ওহিদুজ্জামান আরও জানান, পহেলা জুলাই হতে পূর্বের ন্যায় যথারীতি বিলম্ব ফি’র নিয়ম বলবৎ থাকবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময় পরবর্তী প্রথম মাসে বিলম্ব ফি বাবদ ৩০০ টাকা করে নেয়া হয়। পরবর্তী মাসগুলোতে ১০০০ টাকা হারে বিলম্ব ফি যোগ হতে থাকে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন সঠিক সময়ে ফি পরিশোধ করে এজন্যই এই জরিমানা ফি। শিক্ষার্থীদের মোবাইলের খরচ মাসে অনেক টাকা আসে। আর সেমিষ্টার ফি অল্প টাকা সঠিক সময়ে দিলেই হয়।
এর আগে করোনা পরবর্তী সময়ে অসহনীয় বিলম্ব ফি দিতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেমিষ্টার ফি দিতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীর বিলম্ব ফি দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ গুণতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা রেজিষ্ট্রারের নিকট জরিমানা মওকুফের আবেদন করলে সেটি নাকচ করে দেন এবং উপাচার্য বরাবর আবেদন করার পরামর্শ দেন। শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নূন্যতম একটি ফি নির্ধারণ করে দেন।
|
|
|
|
রাবি প্রতিনিধি :
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে ২০২১-২২ সেশনের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ৩টি বিভাগ যথাক্রমে ‘এ’ ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার। ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৪৫ হাজার, ‘বি’ ইউনিটে ১ লাখ ৩ হাজার এবং ‘সি’ ইউনিটে ১ লাখ ৫০ হাজার ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। শুক্রবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
চূড়ান্ত ফলাফলের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল আগামী ১৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ের আবেদন ১৫ জুন শুরু হয়ে চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। তাছাড়া ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৫ থেকে ২৭ জুলাই। চার শিফটে ১৮ হাজার করে মোট ৭২ হাজার শিক্ষার্থী প্রতি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে।
|
|
|
|
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ সেশনে স্নাতক প্রথম বষের্র ভর্তি পরীক্ষা ‘ক’ ইউনিটে সিলেট কেন্দ্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে। এতে ‘ক’ ইউনিটের ২৮৯৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৭৩৬ জন উপস্থিত হয়, যা ছিল মোট পরীক্ষার্থীর ৯৪.০৫ শতাংশ। শুক্রবার(১০জুন) বেলা ১১টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা চলে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসে নির্মিত ছাত্রলীগের স্থায়ী তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনকরণ, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদানে ‘মেডিকেল ক্যাম্প’ পরিচালনা, পরীক্ষাকেন্দ্র পরিচিতির জন্য সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত, কলমসহ আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা
এছাড়া শনিবার (১১ জুন) ঘ ইউনিটে ১ হাজার ১৬৭ জন এবং শুক্রবার (১৭ জুন) চ-ইউনিটে ৭৫ জন পরীক্ষার্থী এই কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক ২০২৩ কোয়াককোয়ারেল সাইমন্ডস (কিউএস) র্যাংকিংয়ে বিশ্বসেরা ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থান পায়নি। তবে গত বছরের মতো এবারও ৮০০ থেকে ১০০০তম স্থানের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। কিউএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হালনাগাদ র্যাংকিং থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা কিউএস মূলত শিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে কাজ করে। গত ৮ জুন বিশ্বসেরা ১ হাজার ৫০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করে তারা। তবে ৫০০তম স্থানের পরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে কোনও তথ্য জানায়নি সংস্থাটি।
এ নিয়ে ২০১২ সাল থেকে কিউএস র্যাংকিংয়ে পেছনে হটছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেবার ঢাবির অবস্থান ছিল ৬০১ এর মধ্যে। তবে ২০১৪ সালে তা পিছিয়ে ৭০১তম স্থানের পরে চলে যায়। সদ্য প্রকাশিত কিউএস র্যাংকিংয়ে ১০০১ থেকে ১২০০তম স্থানের মধ্যে আছে দেশের শীর্ষ দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।
এই বছর সেরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটিই যুক্তরাষ্ট্রের। এছাড়া বাকি পাঁচটির মধ্যে যুক্তারাজ্যের চারটি এবং সুইজারল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। গতবারের মতো এবারও তালিকার এক নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। এছাড়া ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংস ২০২৩’ এ শীর্ষ ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ৯টি এবং পাকিস্তানের তিনটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
|
|
|
|
জবি প্রতিনিধি:
স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুবিশাল এক মুক্ত প্রাঙ্গণে একজন শিক্ষার্থী বিচরণ করে তখন অনেকটা যেন খেই হারিয়ে ফেলে। বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত-জ্ঞানের চর্চার মাধ্যমে সুনাগরিক গড়ে তোলার সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনই ক্যারিয়ার বাছাই ও এর প্রস্তুতির উপযুক্ত সময়। এ সময়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যারিয়ার নিয়ে দোটানা ও সিদ্ধান্তহীনতার সম্মুখীন হন। জীবনের চলার জন্য দরকার আনন্দ, বিনোদন, সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ, নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করার নানা ধরনের সুযোগ কিন্তু এর মধ্যে দিয়ে একজন শিক্ষার্থীর মূল লক্ষ্য ক্যারিয়ার থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেললে চলবে না আর এই লক্ষ্যেই শুরু হয় ক্যারিয়ার ক্লাবের পথচলা।
পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার প্রস্তুতির প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের সঠিক পরিকল্পনা, দিকনির্দেশনা ও প্রাণোদনা যোগানো অন্যতম সংগঠন জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাব (জেএনইউসিসি) তার প্রতিষ্ঠার ১১ বছর পেরিয়ে ১২ বছরে পদার্পণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল উচ্ছ্বসিত তরুণ-তরুণীদের ক্যারিয়ার গঠনের দিকনির্দেশক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামধন্য এই ক্যারিয়ার ক্লাব। ২০১১ সালের পহেলা জুন কিছু স্বপ্নবাজ উদ্যমী তরুণদের প্রচেষ্টায় জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাব তার যাত্রা শুরু করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা এই ক্লাবটি আজ এক যুগে পদার্পণ করেছে।
ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার পরিকল্পনা, কর্মক্ষেত্রে মানিয়ে নেয়া, বর্তমান চাকরি বাজারে উপযুক্ত ও দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানটি স্বমহিমায় বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করে আসছে। শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা ও সৃজনশীলতার বিকাশের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যারিয়ার বিষয়ক কর্মশালা, সেশন, ওয়ার্কশপ ও সেমিনার এর আয়োজন করেছে ক্যারিয়ার ক্লাব। এক্সেল, ডিজাইনিং, ভিডিওগ্রাফি, কন্টেন্ট রাইটিং এর মতো সফটস্কিল উন্নয়নের পাশাপাশি পাবলিক স্পিকিং, নেগোসিয়েশন, প্রেজেন্টেশন, সিভি তৈরির দক্ষতা বৃদ্ধিতেও কাজ করছে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাব। এছাড়াও লিডারশীপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, বিজনেস কেস কম্পিটিশন, ড্যাকয়েট অব এক্সিলেন্স, ইনকিউব, ক্রিয়েটিভ ম্যানিয়াক এবং আরও নানাধরণের কম্পিটিশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ আত্মউন্নয়ন নিশ্চিতকরণে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করছে এই সংগঠনটি।
ক্লাবটির এই সফলতা নিয়ে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি জয় চৌধুরী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব পথচলার লগ্ন থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্টে কাজ করে যাচ্ছে। জেএনইউসিসি এই সফলতার ১১ বছরে চার হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে কর্মমুখী দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে জব মার্কেটের জন্য পরিপূর্ণভাবে যোগ্য করে তুলতে পারে সে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সময়ের পালাক্রমে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব এখন একটি ডিজিটাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে স্বীকৃত। পরিশেষে বলতে চাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রফেশনাল জগতে অচিরেই এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।
১১তম বর্ষপূর্তিতে শুভেচ্ছা জানিয়ে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে আসছে। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক সেশন, সেমিনার, কম্পিটিশন এবং বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে সাজানো হয় বাৎসরিক কারিকুলাম। দেখতে দেখতেই সংগঠনটি ১১ বছর অতিক্রম করে ১২ বছরে পদার্পণ করলো। সকলের ভালোবাসা নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব এগিয়ে যাক অনেক দূর এবং আশা করি এটি আরো অনেক যুবক শিক্ষার্থীদের স্কিলফুল করে তুলবে দেশ ও জাতিকে লিড দেওয়ার জন্য।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
নিজের বই ও বিছানাপত্র নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। আবাসিক হল সংস্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে কলেজের প্রশাসনিক ভবন ও কলেজ ক্যাম্পাসে বুধবার তারা এ বিক্ষোভ করেন।
তবে কলেজের উপাধ্যক্ষের দাবি পূরণের আশ্বাসে দুপুরে শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে ফিরে যান। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তখন বিভিন্ন দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। এগুলোতে লেখা ছিল- ‘প্রশাসনের বানোয়াট ছল শামসুদ্দিন গেল রসাতল’, ‘প্রশাসনের গা-ছাড়া ভাব শামসুদ্দিনের অবস্থা খুব খারাপ’ ইত্যাদি।
বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে কলেজের আবাসিক ছাত্রাবাস ও ছাত্রীবাসগুলো সংস্কার করা হচ্ছে না। হলের ভেতরে ছাদ থেকে পানি চুইয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি পড়ায় ঘুমাতে পারেন না শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, শৌচাগারগুলো ভাঙাচোরার পাশাপাশি পানি থাকে না। হলের অভ্যন্তরে বৃষ্টির পানি জমে স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। একাধিকবার বিষয়গুলো কলেজ প্রশাসনের কাছে জানিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের হলে কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। রাতে বহিরাগতরা হলের অভ্যন্তরে ঢোকে। হলে একাধিকবার চুরির ঘটনাও ঘটেছে।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের বিষয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়াগুলোর মধ্যে যেগুলো সমাধান করা সম্ভব, সেগুলো সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের মৌখিক পরীক্ষা আগামী রোববার (১২ জুন) শুরু হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা আরও হয়েছে, রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রথম পর্বের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে। মৌখিক পরীক্ষার সময় সব সনদ, প্রাপ্তিস্বীকারপত্র ও অন্য কাগজপত্রের মূল কপি প্রার্থীকে সঙ্গে আনতে হবে। তবে কত দিন চলবে, সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি।
উলেখ্য, গত ১২ মে প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬২ জন। তিন ধাপে পরীক্ষা নেওয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের আগামী জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। এ নিয়োগ নিয়ে দালাল বা প্রতারকচক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগবিধি অনুসরণ করে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসনবিন্যাস, প্রশ্নপত্র পাঠানো ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ সব কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রোববার (৫ জুন) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তির ঘোষণাটি আসার কথা ছিল গত মার্চে। এরপর বলা হয় মে মাসে আসবে। অবশেষে জুন মাসের শুরুতে এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। দীপু মনি বলেন, যখন এমপিওভুক্তির ঘোষণা আসবে তখন থেকে শিক্ষকরা এই সুবিধা পাবেন। এক সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা দেওয়া হলে এই অর্থবছরের বাজেট থেকেই শিক্ষকরা এমপিও সুবিধা পাবেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয়করণের কাজ বেশ এগিয়েছে। এই বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। প্রয়োজনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আবার দেন-দরবার করব তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগে প্রয়োজনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আবারও দেন-দরবার করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, তৃতীয় শিক্ষক প্রয়োজন। এখন কোর্সের যে কলেবর ও সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে, তাতে সেই কোর্স দুজন শিক্ষকের দ্বারা করানো সম্ভব নয়। তৃতীয় শিক্ষক দরকার। কিন্তু আমরা একা কিছু করতে পারি না। আমাদের এসব সিদ্ধান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
দীপু মনি বলেন, আমরা যখন এমপিও নীতিমালা সংশোধন করে পাঠাই, তখন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে তৃতীয় শিক্ষকের পদটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এটা নিয়ে আবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেন-দরবারে যেতে হবে। আশা করছি, তারা বিষয়টিকে বিবেচনা করবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এমপিও নীতিমালা রিভিউ করেছিলাম। সেখানেও মাদ্রাসা এবং মাউশির মধ্যে একটা তারতম্য হয়ে গেছে। সেটাকেও আমরা সংযুক্ত করব। তার সঙ্গে তৃতীয় শিক্ষকের বিষয়টিও দেখব।
তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাউশির তিন-চারটি সিদ্ধান্তের মধ্যে পার্থক্য আছে। সেটাকে সংযুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা প্রস্তাবনা পেয়েছি। তারা একটি কমিটি করবে, সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমাদের দুজন প্রতিনিধিও থাকবে। কমিটি বসলে আশা করছি, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আখলাকুল আম্বিয়া নির্বাহী সম্পাদক: মাে: মাহবুবুল আম্বিয়া যুগ্ম সম্পাদক: প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: স্বাধীনতা ভবন (৩য় তলা), ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০। Editorial & Commercial Office: Swadhinota Bhaban (2nd Floor), 88 Motijheel, Dhaka-1000. সম্পাদক কর্তৃক রঙতুলি প্রিন্টার্স ১৯৩/ডি, মমতাজ ম্যানশন, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত । ফোন : ০২-৯৫৫২২৯১ মোবাইল: ০১৬৭০৬৬১৩৭৭ Phone: 02-9552291 Mobile: +8801670 661377 ই-মেইল : dailyswadhinbangla@gmail.com , editor@dailyswadhinbangla.com, news@dailyswadhinbangla.com
|
|
|
|