|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শায়েস্তাগেঞ্জে মামুনুল হকের মাহফিলে মুসল্লিদের ঢল
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের তাফসির মাহফিলে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পুরানবাজার শাহী ঈদগাহে ৭৬তম তাফসিরুল কোরআন মহাসম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বয়ান শুরু করেন তিনি। মাহফিলে হাজার হাজার মানুষ তাকে দেখতে আর তার বয়ান শুনতে বিকাল থেকেই শাহী ঈদগাহ মাঠে জড়ো হতে থাকেন।
মাওলানা মামুনুল হক স্টেজে আসার পর মুসল্লিদের ঢল সামলাতে শায়েস্তাগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সড়কের দুই দিকে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। তার শায়েস্তাগঞ্জে আসা নিয়ে বেশ কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছিল।
সরকারবিরোধী বক্তব্য, ভাস্কর্য নিয়ে কোনো কথা ও কোনো ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দেবেন না এই শর্তে তাকে মাহফিলে বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি দেয় প্রশাসন। তিনি মাহফিলে কোনো ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দেননি বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব বলেন, মাওলানা মামুনুল হক তাফসির মাহফিলে সরকারবিরোধী কোনো বক্তব্য দেননি। তবে আইনশৃঙ্খলায় যেন কোনো ধরনের অবনতি না ঘটে সেদিকে প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজর রেখেছে।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের তাফসির মাহফিলে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পুরানবাজার শাহী ঈদগাহে ৭৬তম তাফসিরুল কোরআন মহাসম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বয়ান শুরু করেন তিনি। মাহফিলে হাজার হাজার মানুষ তাকে দেখতে আর তার বয়ান শুনতে বিকাল থেকেই শাহী ঈদগাহ মাঠে জড়ো হতে থাকেন।
মাওলানা মামুনুল হক স্টেজে আসার পর মুসল্লিদের ঢল সামলাতে শায়েস্তাগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সড়কের দুই দিকে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। তার শায়েস্তাগঞ্জে আসা নিয়ে বেশ কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছিল।
সরকারবিরোধী বক্তব্য, ভাস্কর্য নিয়ে কোনো কথা ও কোনো ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দেবেন না এই শর্তে তাকে মাহফিলে বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি দেয় প্রশাসন। তিনি মাহফিলে কোনো ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দেননি বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব বলেন, মাওলানা মামুনুল হক তাফসির মাহফিলে সরকারবিরোধী কোনো বক্তব্য দেননি। তবে আইনশৃঙ্খলায় যেন কোনো ধরনের অবনতি না ঘটে সেদিকে প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজর রেখেছে।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার পাথরঘাটায় নামাজ পড়ার সময় সিজদারত অবস্থায় এক ইমামের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আলহাজ্ব আবুল হোসেন (৫৮)। শনিবার মাগরিবের সময় উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ গহরপুর গ্রামের মেহের উদ্দিন মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
আবুল হোসেন হাওলাদার একই গ্রামের দেনছের আলী হাওলাদারের মেজো ছেলে। তিনি দীর্ঘ ২০ বছর যাবত মেহের উদ্দিন মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে বিনা পারিশ্রমিকে ইমাম-মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
মসজিদের মুসল্লিরা জানান, মাগরিবের আজান দিয়ে নিজেই নামাজের ইমামতি করার সময় শ্বাসকষ্ট অনুভব করলেও নামাজ আদায় করে যাচ্ছিলেন আবুল হোসেন। দ্বিতীয় রাকাতে সেজদায় গিয়ে তিনি আর উঠতে পারেননি। পরে মুনাফ নামে এক ব্যক্তি বাকি নামাজ শেষ করেন।
আবুল হোসেনের ছোট ভাই নূর হোসেন হাওলাদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার ভাই হৃদরোগে ভুগছিলেন। গত শুক্রবার তিনি ঢাকা থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে এসেছেন। আজ রোববার সকাল ১০টায় জানাজা শেষে আবুল হোসেনকে হাওলাদারকে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন ঐতিহ্যবাহী সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফে দু’দিনব্যাপী ৯৯তম বার্ষিক ইছালে সাওয়াব মাহফিল শুরু হচ্ছে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। শুক্রবার দরবার শরীফের মিডিয়া মুখপাত্র মুফতী মোতালিব হোসাইন সালেহী ওই মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আগামী ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। গত বছর গাড়ীর দীর্ঘ যানজট সৃষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর দরবারের পাশ্ববর্তী খোলা জায়গায় গাড়ী রাখার ৮টি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে প্রতি পার্কিংয়ে ৫’শ গাড়ী রাখা যাবে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পীর-মাশায়েখ, ভক্তবৃন্দ ও মুসল্লীগণদের সেবায় ৪টি মেডিকেল টিমসহ ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। করোনা কালের কারণে অজুর স্থান গুলোতে সাবান ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার থাকবে। আগত সকলকে মাক্স পরিধান করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সমাজের পেক্ষাপট তথা মাদকের কুফল, নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ও কোরআন হাদিসের আলোকে বক্তারা বয়ান করবেন। বয়ানের বিষয়বস্তুু আমরা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছি। দরবারের পীর মাওলানা অধ্যক্ষ মাহমুদুর রহমান ২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বাদ জোহর মাহফিল আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করবেন। দু’দিনই বাদ মাগরিরের পর থেকে তা’লীম চলবে। ১ মার্চ সোমবার বাদ ফজর আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্তি হবে।
|
|
|
|
ইসলামে এক মুসলমান অপর মুসলমান ভাইয়ের সাথে সদাচরণের নির্দেশ প্রদান করেছে এবং এ বিষয়ে ইসলাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। এক মুসলমানের প্রতি অন্য মুসলমান ভাইয়ের রয়েছে দ্বীনি অধিকার। এ সম্পর্কে বিশ্বনবী মোহাম্মদ( সাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক মুসলমান একে অপরের ভাই। প্রত্যেকের জন্য জরুরি যে, কেউ কারো উপর জুলুম অত্যাচার করবেনা। আর যদি অন্য কেউ তার উপর জুলুম অত্যাচার করে তবে একে অপরকে একা ফেলে যেন চলে না যায়।
সম্ভব হলে তার সাহায্যে এগিয়ে আসবে এবং সাথে থাকবে। তোমাদের মধ্যে যে কেউ তার নিজের ভাইয়ের প্রয়োজন মেটাতে এগিয়ে আসবে। আর যে মুসলমান অন্য মুসলমান ভাইয়ের কষ্ট দূর করে দেবে, প্রতিদান স্বরূপ আল্লাহতায়ালা কিয়ামতের কঠিন দিবসে তার কষ্ট দূর করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি অন্য মুসলমান ভাইকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে, আল্লাহতায়ালা কিয়ামতের দিন তাকেও ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
অন্য হাদিসে প্রিয়নবী হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, তোমরা পরস্পরে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করো না। শত্রুতা রেখোনা, গীবত করো না। এক আল্লাহর বান্দাহ হয়ে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনকে মজবুত করে নাও।
কোনো মুসলমানের জন্য বৈধ নয় যে, সে তার অন্য মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিনদিনের বেশি সময় সালাম কালাম ত্যাগ করে থাকবে।
অপর হাদিসে রাসুল (সাঃ)বলেন, এক মুসলমানের জানমাল এবং ঈজ্জত আবরু নষ্ট করা অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।
বিশ্বনবী রাসুল (সাঃ)একদিন সাহাবায়ে কেরামকে জিজ্ঞেস করলেন, বলতো দরিদ্র ও রিক্তহস্ত কে?
সাহাবীগণ বললেন, দরিদ্র ঐ ব্যক্তি যার টাকা পয়সা নেই। রাসুল (সাঃ) বললেন, না।। আমাদের মধ্যে দরিদ্র ব্যক্তি সেই, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোজা, দান খয়রাতের ভান্ডার নিয়ে উপস্থিত হবে, কিন্তু দুনিয়াতে সে কাউকে গালিগালাজ করছিলো, কাউকে অপবাদ দিয়েছিল, কাউকে মারপিট করেছিল, কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছিল। যখন তাকে হিসাব নেওয়ার জন্য দাড় করানো হবে, তখন ঐসব দাবীদার লোকেরা এসে জড়ো হবে আর তাদের প্রাপ্য পরিমাণ তার সওয়াব থেকে তাদেরকে পরিশোধ করা হবে। এমনকি একসময় তার সওয়াব শেষ হয়ে যাবে। অতপর, ঐ দাবীদারদের গুনাহ সমূহ তার উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
আল্লাহতায়ালা আমাদের সকল মুসলমান ভাইয়ের মাঝে ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ ও মায়ামমতা আর ভালবাসার বন্ধনে এক হয়ে জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
লেখক: মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান যুগ্ম সম্পাদক, ইসলামী ঐক্যজোট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
|
|
|
|
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : হাটহাজারীতে বক্তব্য রাখেননি হেফাজত নেতা মামুনুল হক। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে চট্টগ্রামে প্রতিরোধ করতে গত দুদিন ধরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবসহ নগরীর বিভিন্ন মোড়ে কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। এ সব কর্মসূচি চলার মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে সড়কপথে চট্টগ্রাম শহর হয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসায় পৌঁছেছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফতে মসলিসের মহাসচিব মামুনুল হক।
হাটহাজারী উপজেলার পার্বতীপুর উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে তিনি পূর্বঘোষিত প্রধান বক্তা ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গতকাল শুক্রবার রাতে বক্তব্য রাখেননি মামুনুল হক। হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, হেফাজত দেশে কোনো সংঘাত চায় না। তাই এটা আমাদের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, কেবল বঙ্গবন্ধুরই নয়, দেশে সব ধরনের মূর্তি ও ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হেফাজতের ১৩ দফা দাবির একটি।
হাটহাজারী পার্বতীপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের গতকাল ছিল শেষ দিন। মাহফিল ও আশপাশের এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোনো কর্মকাণ্ড নেই। সেখানে গত তিন দিনে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি। অন্যদিকে গতকাল শেষ দিনে হাটহাজারীর পার্শ্ববর্তী রাউজান ও ফটিকছড়ি থেকে শতাধিক ট্রাক ও গাড়িতে করে লোকজন মাহফিলে আসেন।
আল আমিন ফাউন্ডেশনের নামে ওই তাফসিরুল কোরআন মাহফিল হলেও এর মূল আয়োজক হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা বলে খ্যাত দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম। সে হিসেবে এটি হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে পরিণত হয়। গতকাল মাহফিলের শেষ বক্তা ছিলেন হেফাজতের আমির ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী।
গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের প্রেসক্লাবে এক সমাবেশ থেকে মামুনুল হককে চট্টগ্রামে প্রতিরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। গতকাল সকাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ। এরই মধ্যে সাড়ে আটটার পর বিমানবন্দর এলাকায় নগর যুবলীগ আহ্বায়ক মহিউদ্দীন বাচ্চুর নেতৃত্বে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগ তিন ভাগ হয়ে একাংশ বিমানবন্দরের প্রবেশপথে, একটি অংশ দেওয়ানহাট বাইতুশ শরফে এবং অন্য একটি অংশ অক্সিজেন মোড়ে অবস্থান নেয়। চট্টগ্রাম শহর থেকে অক্সিজেন স্টেশন হয়ে হাটহাজারি যেতে হয়। এর বাইরেও এ দুই সংগঠনের নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করে।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, মামুনুল হক একজন ভীরু কাপুরুষ। তিনি বলেছিলেন আজকে চট্টগ্রাম হয়ে হাটহাজারী যাবেন। কিন্তু তা না করে চোরের মতো রাতের অন্ধকারে এসেছেন। তিনি বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার পর থেকে আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য আজ শুক্রবার রাতে বন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সোয়া ১২টার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে হাটহাজারী রোডে যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়। হাটহাজারীতে সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
নিজস্ব সংবাদদাতা: বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে জামেয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ চরমোনাইয়ে আজ বাদ জুমা শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম ওয়াজ মাহফিলের উদ্বোধন করবেন। আজ শুরু হয়ে আগামী সোমবার সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ওয়াজ মাহফিল।
চরমোনাইয়ে ওয়াজ মাহফিল কমিটি জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইতোমধ্যে মাহফিল এলাকায় এসে জড়ো হয়েছেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত পুরো চরমোনাই এলাকা। এলাকায় ভিন্ন আমেজ বিরাজ করছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সতর্কতার অংশ হিসেবে মাহফিল এলাকায় ১ লাখ মাস্ক রাখা হয়েছে। এগুলো মুসল্লিদের জন্য ফি প্রদান করা হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং হাত ধোয়ারও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এছাড়া, মাহফিলে আগত মুসল্লিদের অজু ও গোসলের জন্য একাধিক পুকুর ও ৯টি গভীর নলকূপ ব্যবস্থার পাশাপাশি হাজারেরও বেশি পানির কল বসানো হয়েছে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তার স্বার্থে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করে দুই জন এমবিবিএস ডাক্তার ও শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আজ বাদ জুমআ মাহফিল শুরু হওয়ার পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, সৈয়দ ইছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীসহ দেশের খ্যাতনামা ওলামায়ে কেরামগন ধারাবাহিকভাবে ৩ দিনব্যাপী এ মাহফিলে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করবেন।
|
|
|
|
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন উৎপল কুমার নামে এক যুবক। মঙ্গলবার বিকেলে তার নিজ গ্রাম ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নে মসজিদ গলিতে সনাতন (হিন্দু) ধর্মের অনুসারী থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার করেছেন। আদালতে হলফনামা অনুযায়ী তার আগের পরিচয় ছিল, উৎপল কুমার, বাবার নাম মৃত মন্টু চন্দ্র সরকার ও মায়ের নাম শ্রীমতি অলোকা এবং গ্রাম মসজিদ গলি মোড় দাশুড়িয়া, ঈশ্বরদী, পাবনা। বর্তমানে তিনি তার নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন মো. আজমির হোছাইন আলো।
আজমির হোছাইন আলো ওই হলফনামায় উল্লেখ করেন, আমি যেখানে বসবাস করি সেখানে বেশিরভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। ইসলাম ধর্মের প্রতিটি উৎসব পালন ও তাদের আচার-আচরণ আমাকে মুগ্ধ করে। এই ধর্মের বইপুস্তক পড়ে আমার মহান আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস জন্মায়। আমি আগে থেকে গোপনে ইসলাম ধর্মের আচার-আচরণ ও আনুষ্ঠানিকতা অনুসরণ করে আসছি।
হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি থেকে ইসলাম ধর্ম আমার কাছে বেশি ভালো লাগায় আমি গত ১২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে একজন আলেমের কাছে গিয়ে ইসলামের কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ পাঠ করে ইসলাম গ্রহণ করি।
নওমুসলিম আজমির হোছাইন সাংবাদিকদের বলেন, কেউ আমাকে জোর জবরদস্তি বা প্রলুব্ধ করে নাই। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজমির হোছাইন জানান, আমার ধর্ম পরিবর্তনে কে কি বললো এটাতে আমার যায় আসে না। আমি চিন্তা ভাবনা করে এসেছি। আমি মনে করি সচেতন মানুষ হিসেবে সকলের উচিত ইসলামের ছায়াতলে আসা।
নওমুসলিম আজমির হোছাইন স্থানীয় মুলাডুলি ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জামালকে ধন্যবাদ জানান, যিনি তার এই সিদ্ধান্তে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : মহামারী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রায় ৭ মাস বন্ধ থাকার পর পবিত্র মসজিদুল হারামে নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। নিজ দেশের নাগরিক ও দেশটিতে বসবাসকারী বিদেশিদের এ অনুমতি দেয়া হয়। সৌদি সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া রোববার সকালে এ তথ্য পরিবেশন করে।
এতদিন সাধারণ মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশ করার অনুমতি ছিল না। শুধু ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ মসজিদের কর্মচারীরা সেখানে নামাজ আদায় করতে পারতেন।
সৌদি সরকার গত ১৭ মার্চ এক ঘোষণায় মক্কা ও মদিনার প্রধান পবিত্র দুই মসজিদ ছাড়া দেশটির বাকি সব মসজিদে জামায়াতে নামাজ স্থগিত করে নির্দেশ জারি করেছিল। পরে এ দুটি মসজিদেও জামায়াতে নামাজ আদায় বন্ধ করা হয়।
গত ৪ অক্টোবর প্রথম ওমরাহ যাত্রীদের জন্য পবিত্র মসজিদুল হারামের দরজা খুলে দেয়া হয়।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : আগামী রবিবার (১৮ অক্টোবর) থেকে সৌদি আরবে অবস্থানকারীদের জন্য ওমরার দ্বিতীয় ধাপ চালু হবে। এতে সীমিত পরিসরে পুনরায় চালু হওয়া ওমরার দ্বিতীয় ধাপে ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি লোক অংশগ্রহণ করবে। এ সময় মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদ পরিদর্শন ও নামাজ আদায় করা যাবে। তা ছাড়া রওজা শরিফ ও মসজিদে নববির পুরনো মসজিদ এরিয়ায়ও যাওয়া যাবে।
৪ অক্টোবর থেকে সৌদিতে অবস্থানরতদের জন্য সীমিত পরিসরে ওমরাহ চালু হয়। এর আগে গত ৩১ মে থেকে মসজিদে নববির আঙিনা ও আশপাশ পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায়ের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। হজ ও ওমরাহ বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য হানি আল উমারি জানান, পর্যায়ক্রমে ওমরাহ চালু হওয়ার দ্বিতীয় ধাপে পবিত্র দুই মসজিদে ছয় লাখের বেশি লোক নামাজ আদায় করতে পারবে এবং ২ লাখ ৫০ হাজার ওমরাহ আদায় করতে পারবে। ওমরাহ, মসজিদ পরিদর্শন ও রওজা জিয়ারতে অংশ নিতে আগে ‘ইতামারনা’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় ধাপে সৌদির বাইরের মুসলিমরা ওমরাহ ও রওজা শরীফ জিয়ারতে অংশ নিতে পারবেন।
সৌদি ভ্রমণ ও পর্যটন বিভাগের সদস্য আল ওমাইরি জানান, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কোন কোন দেশ ওমরাহ যাত্রীদের পাঠাতে পারবে তা এখনো সুস্পষ্ট নয়। সবার আশা, শিগগির কর্তৃপক্ষ ওমরাহ পালনে অংশগ্রহণকারী দেশের পরিপূর্ণ ঘোষণা প্রদান করবে, যেন ওমরাহ চালুর তৃতীয় ধাপে যথাযথভাবে সবাই অংশ নিতে পারে।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : ফিলিস্তিনের আল আকসা মসজিদে টানা তিন সপ্তাহ ধরে জুমার নামাজ আদায় বন্ধ রয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদার বাহিনী পশ্চিম জেরুসালেম শহরের বাইরের লোকদের জন্য আল আকসা মসজিদে জুমার নামাজ নিষিদ্ধ ঘোষণার পর থেকে সেখানে বন্ধ আছে জুমার নামাজ।
প্রাচীন জেরুসালেম শহরের ফটকের সামনে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসাররা বহিরাগতদের প্রবেশে বাধা দেয়।
পশ্চিম জেরুসালেমের বাসিন্দাদের জন্য আল আকসায় নামাজ আদায় শিথিল আছে। শহরের বাইরের সবার জন্য আল আকসায় নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
করোনাভাইরাস রোধে বহিরাগতদের জন্য প্রাচীন শহরে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় বলে জানানো হয়।
আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত শহরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। শহর থেকে এক কিলোমিটার দূরত্বে থাকা সবার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
জুবায়ের আহমেদ
দেশজুড়ে দিন দিন ধর্ষণ, জেনা-ব্যাভিচার বেড়েই চলছে। সম্প্রতি করোনার চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ধর্ষণ। বাবার সাথে মেয়ে, ভাইয়ের সাথে বোন, স্বামীর সাথে স্ত্রী, কেউ নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছে না। রাষ্ট্রীয় আইনে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষ উভয়ের সম্মতিক্রমে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে তা অপরাধ না হলেও পরবর্তীতে মনোমালিন্য ও বিরোধের সৃষ্টি হলে পূর্বের জেনা-ব্যাভিচারের বিষয়ে মামলা থেকে শুরু করে নানা প্রকার সমস্যায় পতিত হয় সংশ্লিষ্টরা। বিবাহ বহির্ভূত ইচ্ছাকৃত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন রাষ্ট্রীয় আইনে অপরাধ না হলেও ধর্মীয় ভাবে তা পুরোপুরি নিষিদ্ধ ও কবিরা গুণাহর অন্তর্ভূক্ত।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীরাই বেশি ধর্ষণের শিকার হয়, যেখানে পুরুষ আবির্ভূত হয় ধর্ষক হিসেবে, নারীরা হয় নির্যাতিতা। শরীরে যৌন অনুভূতি না আসা কিংবা যৌন অনুভূতির বয়স পেরিয়ে বৃদ্ধাবস্থায় পতিত হওয়া মেয়ে শিশু-মহিলারাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে নিয়মিত, যেখানে পুরুষের বিকৃত যৌন লালসাই প্রকাশ পায়। ধর্ষণ প্রতিরোধের জন্য রাষ্ট্র-সমাজ কর্তৃক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও থামছে না ধর্ষণ, পাশাপাশি ধর্ষণের মামলাগুলোতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়ার কারনেও ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। ধর্মপ্রাণ মানুষজন ধর্মের বিরুদ্ধে নানা কটুক্তি-কৌতুক কিংবা অপমানজনক কোন কর্মকান্ড দেখলে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করলেও ধর্ষণের মতো বর্বোরোচিত কাজের বিরুদ্ধে নেই কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ, ওয়াজ মাহফিল, অথচ ধর্ষণের বিষবৃক্ষ উৎপাটনে ধর্মপ্রাণ মানুষদের সোচ্ছার ভূমিকার খুব বেশি প্রয়োজন।
নৈতিক অবক্ষয়ের ফলেই বহু পুরুষ পশুতে পরিণত হয়, যাদের দ্বারা ঘটে ধর্ষণের মতো জঘন্য ও অমানবিক ঘটনা, যার শিকারে পরিণত হয়ে সম্ভ্রম হারানো সহ মৃত্যুবরণ করে বহু শিশু-কিশোরী-নারী, এর মাধ্যমে বাড়ছে সামাজিক অস্থিরতা, নষ্ট হচ্ছে বহু নারী-পরিবারের স্বপ্ন। ধর্ষকরা রাষ্ট্রীয় আইনকে তোয়াক্কা না করার পাশাপাশি ধর্মীয় বিধানকেও উড়িয়ে দিয়ে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে লিপ্ত হন। রাষ্ট্রীয় আইনে ধর্ষণের জন্য ধর্ষণ, জেনা-ব্যাভিচারে লিপ্ত হওয়ার শাস্তি জাহান্নাম হলেও মানুষরূপী পশুগুলো নিজেদের যৌন লালসা চরিতার্থ করতে হিংস্র বাঘের মতো ঝাপিয়ে পড়েন নারীদের উপর। ইসলামে ধর্ষণ ও জেনা-ব্যাভিচারকে ভিন্ন ভাবে না দেখলেও ধর্ষণের বেলায় শুধুমাত্র একজন শাস্তি পাবে, আর ধর্ষণের শিকার হওয়া জন নির্দোষ, আর নারী পুরুষ বিবাহ বহির্ভূত ভাবে একে অপরের ইচ্ছায় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলেও দুজনেই সমান অপরাধী হিসেবে গন্য হবে।
ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। মানুষরূপী পশুরা মানছে না সামাজিকতা, মানছেনা রাষ্ট্রীয় আইন, মানছে না ধর্মের বিধান। ভয় পাচ্ছে না রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় আইনের কঠোর শাস্তি। অথচ ধৈর্য্যশীল হয়ে ধর্ষণ, জেনা-ব্যাভিচার পরিহারকারীদের জন্য রয়েছে জান্নাতের সুখ ও শান্তি। পবিত্র কোরআনে এসেছে “ধৈর্যশীলদের তো বিনা হিসাবে পুরস্কার দেয়া হবে, সুরা যুমার, আয়াত ১০। হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে “তুমি যদি আল্লাহর ভয়ে কোন কিছু ছেড়ে দাও, তাহলে আল্লাহ তোমাকে এর চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন (তিরমিজী)। যে ব্যক্তি তার জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের হেফাজতের দায়িত্ব নিবে, আমি তার জান্নাতের দায়িত্ব নিলাম (সহীহ বুখারী-৬৪৭৪। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুল (স.) কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, কোন আমল মানুষকে বেশি জান্নাতে নিয়ে যাবে? তিনি বললেন, আল্লাহভীতি ও সচ্চরিত্র। আর তাকে এটাও জিজ্ঞেস করা হল, কোন আমল মানুষকে বেশি জাহান্নামে নিয়ে যাবে? তিনি বললেন মুখ ও যৌনাঙ্গ (তিরমিজী ২০০৪)। হাদিস শরীফে আরো এসেছে “যে যুবক কোন যুবতী নারীকে একা পেয়েও আল্লাহর ভয়ে তার ইজ্জতের উপর হামলা করল না, তার জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফেরদাউস (সহীহ বোখারী)।
|
|
|
|
ধর্ম ডেস্ক : মাত্র ২৪০ দিনে আল কুরআনের বাংলা কাব্যানুবাদ শেষ করলেন জাগ্রত কবি মুহিব খান। অসংখ্য ব্যক্তি মহাগ্রন্থ আল কুরআনের বাংলা অনুবাদ করেছে। কুরআনের কিছু সূরা ও আয়াতের কাব্যানুবাদ থাকলেও পুরো কুরআনের কোনো কাব্যানুবাদ কেউ করেননি। সম্পূর্ণ কুরআনের কাব্যানুবাদ করেছেন কবি মুহিব খান। তিনি আল্লামা আতাউর রহমান খান রহ. এর ছেলে, একজন প্রতিভাবান আলেম, যিনি জাগ্রত কবি হিসেবে পরিচিত। তিনি সম্পূর্ণ কুরআন বাংলা কাব্যানুবাদ করে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। বাংলা ভাষায় পবিত্র কুরআনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ও বিশুদ্ধ কাব্যানুবাদের কাজটি শুরু করেন ২০০৪ সালের ১৯ মার্চ শুক্রবার, বাদ মাগরিব থেকে এবং ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার শেষরাতে তা সম্পন্ন করেন। বিক্ষিপ্তভাবে ১০০ দিনের মত কাজ করে এর প্রথম ১০ পারা সমাপ্ত হয় এবং ২০০৬ সালের জুলাই মাসে তা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। সেইসাথে দৈনিক ইনকিলাবেও ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে।
২০০৬ এর পর থেকে ২০২০ পর্যন্ত সুদীর্ঘ ১৪ বছরে হাজার ব্যস্ততার ভীড়ে অত্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে আর মাত্র পৌনে তিন পারার কাজ অগ্রসর হয় । সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল ২০২০, বাদ মাগরিব থেকে পূর্ণগতিতে কাজ শুরু হয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, সোমবার, শেষরাত পর্যন্ত মোট ৫ মাস ১২ দিন সময়কাল এর কাজ চলে। এ সময়কালের ভেতর দুই ঈদসহ অনিবার্য প্রয়োজনে আরও দেড় মাসের কিছু বেশি দিনের বিরতি বাদ দিয়ে বাকি ৪ মাসেরও কিছু কম সময়ের নিবিড় সাধনায় অবশিষ্ট সোয়া ১৭ পারার কাজ দ্রুত সুসম্পন্ন হয়।
কাব্য অনুবাদের বিশেষ বৈশিষ্ট
১. এটি কুরআনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ ধারাবাহিক কাব্যানুবাদ। আংশিক নয়।
২. এটি কুরআনের তুলনামূলক বিশুদ্ধ, বিপুল গবেষণালব্ধ ও নির্ভরযোগ্য কাব্যানুবাদ। আবেগ বা অনুমানভিত্তিক নয়।
৩. এটি কুরআনের মূলানুগ কাব্যানুবাদ। সারসংক্ষেপ বা ভাবার্থ নয়।
৪. কুরআনের প্রতিটি আয়াত থেকে আয়াতের ধারাবাহিক স্বতন্ত্র অনুবাদ। মিশ্রিত নয়।
৫. পবিত্র কুরআনের বিশেষ বিশেষ ছন্দসমৃদ্ধ সূরা ও আয়াতসমূহের অনুবাদ সে রকম বিশেষ ছন্দ ও অন্তমিলেই করা হয়েছে। যথা : সূরা আর রাহমান, সূরা তাকভীর ও অন্যান্য।
৬. যথার্থ কাব্যমান এবং উচ্চতর ভাষা ও সাহিত্যমান-সম্পন্ন কাব্যানুবাদ। ছন্দ-গোজামিল বা অনুত্তীর্ণ সাহিত্যমানপূর্ণ নয়।
কবি জানান : প্রতিদিন ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা লিখে সর্বমোট ২৪০ দিন বা ৮ মাসের নিবিড় শ্রম-সাধনায় পুরো কাজটি সুসম্পন্ন করা হয়েছে।যা আল্লাহর সিদ্ধান্ত ও সাহায্য ছাড়া কিছুতেই সম্ভব ছিল না।
উল্লেখিত বৈশিষ্ট : মানদণ্ড ও শর্ত-সম্বলিতভাবে এটি দেশ ও বিশ্বে পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম মানোত্তীর্ণ কাব্যানুবাদ। এ যাবত আর কোনো দেশে বা আর কোনো ভাষায় তা হয়েছে বলে জানা যায় না।
কবির সর্বশেষ চাওয়া : মহান রাব্বুল আলামীন দয়া করে এই কাজটুকুকে পৃথিবীর সমস্ত কুরআনপ্রেমী মানুষের দুনিয়াবী কল্যাণ ও আখেরাতের নাজাতের ওয়াসীলাহ হিসেবে কবুল করে নিন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : জার্মানিতে মাইকে আজান নিষিদ্ধ করার মামলায় মুসলমানরা জয়ী হয়েছে। এখন থেকে সেখানে মাইকে আজান দিতে আর কোনও বাধা নেই।
মাইকে আজান দেয়া নিষিদ্ধ করার দাবিতে স্থানীয়রা একটি মামলা করেছিলেন। টানা ৫ বছরের আইনি লড়াই শেষে গতকাল বুধবার মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন জার্মান আদালত।
রায়ে বিচারক বলেছেন, অন্যরাও ধর্মীয় চর্চা করবে এটা প্রতিটি সমাজকে অবশ্যই মানতে হবে। যতক্ষণ কাউকে ধর্মচর্চায় জোর করা হচ্ছে না, ততক্ষণ অভিযোগ জানানোর কোনও সুযোগ নেই।
মসজিদ থেকে ৯০০ মিটার দূরে বসবাসকারী একটি পরিবারের অভিযোগ ছিল, আজানের শব্দে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাই ২০১৫ সালে জার্মানির উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া অঙ্গরাজ্যের ওর-এরকেনশিক শহরের বাসিন্দারা আজানে মাইক ব্যবহারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : মহামারি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ ৬ মাস পর ওমরাহ পালনের জন্য কাবা ঘর খুলে দিচ্ছে সৌদি আরব সরকার।
আগামী ৪ অক্টোবর থেকে মুসলমানরা আবারও ওমরাহ পালন করতে পারবেন। মঙ্গলবার সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রথম দফায় শুধুমাত্র সৌদির নাগরিক ও বাসিন্দারা ওমরাহ পালনের অনুমতি পাবেন। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, আগামী ৪ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন সৌদি আরবের ৬ হাজার নাগরিক ও বাসিন্দা ওমরাহ পালন করতে পারবেন।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : আজ পবিত্র আশুরা তথা হিজরী সালের ১০ মহররম। ইসলামের ইতিহাসে এক হৃদয়বিদারক দিন। এই দিনে ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে পৃথিবীর নির্মমতম ঘটনার অবতারণা হয়।
মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা:)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) মাত্র ৭২ জন সহযোগী নিয়ে ইয়াজিদের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে জিহাদ করে শহীদ হন। তার আগে ইয়াজিদ বাহিনীর ঘাতকরা ইমাম হোসেন (রা:)-এর স্ত্রী, পুত্র ও সব নিকটাত্মীয়কে একে একে হত্যা করে।
মুসলিম জাহানের তৎকালীন স্বঘোষিত খলিফা ইয়াজিদ দায়িত্ব তুলে দেয়ার কথা বলে কুফা নগরীতে আমন্ত্রণ জানায় হযরত ইমাম হোসেন (রা.)-কে। পথে কারবালার প্রান্তরে অবরুদ্ধ করা হয় তাদের।
ফোরাত নদী অবরোধ করে তৃষ্ণার্ত ইমাম হোসেন (রা:)-কে পানি পর্যন্ত পান করতে দেয়া হয়নি। তার সব সঙ্গী ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হওয়ার পর নির্মমভাবে সীমারের হাতে শহীদ হন মহানবী (স.)-এর প্রিয় দৌহিত্র।
ইয়াজিদ ঘোষিত পুরস্কারের লোভে সীমার এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটায়। কারবালার ঘটনা ছাড়া আরো অনেক কারণে ১০ মহররম মুসলিম বিশ্বে তাৎপর্যমণ্ডিত। ইসলামের ইতিহাসে এই দিনে সৃষ্টি-ধ্বংসের অনেক ঘটনা ঘটেছিল।
মহান আল্লাহ্তায়ালা পৃথিবী সৃষ্টি করে এই দিন আরশে বসেছিলেন এবং এই দিনেই পৃথিবী ধ্বংস তথা কিয়ামত হবে।
এদিনে অনেক নবী-রাসূল জন্মগ্রহণ করেন। আদি পিতা হযরত আদম (আ.)-এর তওবা কবুল হয়েছিল এই দিনে। এদিনই হযরত নূহ (আ.) ও তার সঙ্গীরা ভয়াবহ প্লাবন থেকে মুক্তি পান।
হযরত ইউনূস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান এই দিনে। প্রায় ১৪০০ বছর ধরে সারা বিশ্বের মুসলমান ১০ মহররমের শোককে শক্তিতে পরিণত করতে রোজা রাখেন।
এদিনটি তাই একদিকে মুসলমানদের জন্য শোকাবহ, অন্যদিকে তাৎপর্যমণ্ডিত। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।
তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে এবার তাজিয়া মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইমামবাড়াগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : আগামীকাল ৩০ আগস্ট রোববার পবিত্র আশুরা। কারবালার শোকাবহ ইতিহাসসহ সৃষ্টি-ধ্বংসের ঘটনাবহুল এ দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে এ দিনটি। এ উপলক্ষে রোববার সরকারি ছুটির দিন।
হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেইন (রা.) এবং তার পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন।
এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্ব মুসলিম যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার চিরন্তন বাণী সকলকে অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা যোগায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আগামীকাল (১০ মহররম) পবিত্র আশুরা উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সব ধরণের তাজিয়া, শোক ও পাইক মিছিল নিষিদ্ধ করেছে।
বুধবার ডিএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপি আশুরা উপলক্ষে সব ধরণের তাজিয়া, শোক ও পাইক মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
তবে ধর্মপ্রাণ নগরবাসী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইমাম বাড়াসমূহে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারবেন। এসব অনুষ্ঠানস্থলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি বহন এবং আঁতশবাজি ও পট্কা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক আগামীকাল বিশেষ প্রবন্ধ, নিবন্ধ প্রকাশ করবে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি রেডিও-টিভি চ্যানেলও এই দিনের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে। সূত্র : বাসস
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আখলাকুল আম্বিয়া নির্বাহী সম্পাদক: মাে: মাহবুবুল আম্বিয়া যুগ্ম সম্পাদক: প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: স্বাধীনতা ভবন (৩য় তলা), ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০। Editorial & Commercial Office: Swadhinota Bhaban (2nd Floor), 88 Motijheel, Dhaka-1000. সম্পাদক কর্তৃক রঙতুলি প্রিন্টার্স ১৯৩/ডি, মমতাজ ম্যানশন, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত । ফোন : ০২-৯৫৫২২৯১ মোবাইল: ০১৬৭০৬৬১৩৭৭ Phone: 02-9552291 Mobile: +8801670 661377 ই-মেইল : dailyswadhinbangla@gmail.com , editor@dailyswadhinbangla.com, news@dailyswadhinbangla.com
|
|
|
|