নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ : ডিএমপি কমিশনার
নিজস্ব প্রতিবেদক : অপরাধী ছোট হোক বড় হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ। দেশে আদালত, বিচারিক প্রক্রিয়া আছে। যেসব অপরাধী জেল থেকে বের হচ্ছে তাদের কঠোর মনিটরিং করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ।
সোমবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই কথা বলেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যান খন্দকার গোলাম ফারুক। তার স্থলে ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব নেন টুরিস্ট পুলিশের প্রধান হাবিবুর রহমান।
নতুন ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীতে অনুমতি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপির থানাগুলোতে সেবার মান বাড়াতে ‘মেসেজ টু কমিশনার’ চালু করা হবে জানিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীরা থানায় গেলে সেবা না পেলে যে কেউ কমিশনার বরাবর মেসেজ দিতে পারবেন। এছাড়া ডিবিতে গিয়েও সেবা না পেলে যে কেউ মেসেজের মাধ্যমে সরাসরি আমাকে জানাতে পারবেন।
নতুন কমিশনার বলেন, ট্র্যাডিশনাল ক্রাইম থেকে ডিএমপির ক্রাইমের ধরন আলাদা। নতুন ধরনের ক্রাইমের অভিযোগ আসছে ডিএমপিতে। এর বড় কারণ প্রযুক্তি। সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় ডিএমপি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে। ডিএমপির দক্ষতা ও যোগ্যতা অনেক বেশি। ঢাকাকে নিরাপদ ও অপরাধমুক্ত করতে পুলিশ সব ব্যবস্থা নেবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : অপরাধী ছোট হোক বড় হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ। দেশে আদালত, বিচারিক প্রক্রিয়া আছে। যেসব অপরাধী জেল থেকে বের হচ্ছে তাদের কঠোর মনিটরিং করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ।
সোমবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই কথা বলেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যান খন্দকার গোলাম ফারুক। তার স্থলে ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব নেন টুরিস্ট পুলিশের প্রধান হাবিবুর রহমান।
নতুন ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীতে অনুমতি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপির থানাগুলোতে সেবার মান বাড়াতে ‘মেসেজ টু কমিশনার’ চালু করা হবে জানিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীরা থানায় গেলে সেবা না পেলে যে কেউ কমিশনার বরাবর মেসেজ দিতে পারবেন। এছাড়া ডিবিতে গিয়েও সেবা না পেলে যে কেউ মেসেজের মাধ্যমে সরাসরি আমাকে জানাতে পারবেন।
নতুন কমিশনার বলেন, ট্র্যাডিশনাল ক্রাইম থেকে ডিএমপির ক্রাইমের ধরন আলাদা। নতুন ধরনের ক্রাইমের অভিযোগ আসছে ডিএমপিতে। এর বড় কারণ প্রযুক্তি। সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় ডিএমপি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে। ডিএমপির দক্ষতা ও যোগ্যতা অনেক বেশি। ঢাকাকে নিরাপদ ও অপরাধমুক্ত করতে পুলিশ সব ব্যবস্থা নেবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ভুবন চন্দ্র শীল (৫২) মারা গেছেন।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।
ভুবন চন্দ্র শীলের শ্যালক পলাশ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় বিজি প্রেসের সামনের রাস্তায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ ওরফে মামুনের প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে একদল সন্ত্রাসী। ওই পথে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন ভুবন শীল। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওই রাতেই তাকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গত শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ৯টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা ভুবনের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার চলে। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে কি না, তা ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর জানানো হবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে গতকাল রবিবার বেলা ১১টা থেকে ভুবনের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। আর আজ সকালে তার মৃত্যুর খবর এলাে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাথমিকভাবে বিআরটিসি বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে আটটি দ্বিতল বাস দিয়ে চলাচল শুরু হয়।
উদ্বোধনের পর প্রথমবারের মতো গণপরিবহনে করে জনসাধারণ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে এক্সপ্রেসওয়ের দুই প্রান্ত থেকে ওঠানামা করতে হবে যাত্রীদের। এর মাঝে কোথাও বাস থামবে না।
কার্যক্রম চালু করেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লা নুরী। এসময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল করা বাসগুলোর শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য পরিবহনের বাসগুলো এখনও নিয়মিত চলাচল শুরু করেনি। পুরো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে তারা নিয়মিত হবেন তারা। তবে আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস নিয়মিত চলাচল করবে। নিজস্ব আটটি দ্বিতল বাস পরিচালনা করবে সংস্থাটি। সকাল ৭টা থেকে রাতে যতক্ষণ যাত্রী থাকবে এই বাস চলাচল করবে। ১৫ মিনিট পর পর ছাড়বে বাস।
দ্রুত গতির এই উড়াল সড়কে গণপরিবহন চালুর প্রথম দিনে যাত্রীদের মধ্যে দেখা গেছে উচ্ছ্বাস। ফার্মগেট মনিপুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিশেষ কোনও কাজ নেই কেবল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবো বলে আপ-ডাউন টিকেট কেটেছি। খুব উত্তেজনা কাজ করছে।
শাহিন আলম নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘ভালো লাগছে যাতায়াতে অনেক সময় বাঁচবে। আগে উত্তরা যেতে প্রায় ঘণ্টা দুই সময় লাগতো। এখন ১০ মিনিটেই পৌঁছে যাবো।’
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক ওঠা-নামার র্যাম্প থাকলে এখন কেবল এর দুই প্রান্ত থেকে যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন।
বিআরটিসির বাসগুলো উত্তরার জসীমউদ্দীন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ও কাওলা থেকে যাত্রীদের তুলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সরাসরি ফার্মগেট আসবে। অন্যদিকে ফার্মগেটে যাত্রী নামিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর খেজুরবাগান গোলচত্বর, খামারবাড়ি ও বিজয় সরণি থেকে বিমানবন্দর অভিমুখী যাত্রী নেবে বিশেষ এই বাস সার্ভিস।
প্রথম অবস্থায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ব্যবহারে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত কোনও ভাড়া নেওয়া হবে না। ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর অভিমুখে জনপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। এতে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া হবে ২ টাকা ৪৫ পয়সা। ই-টিকিটিং-এর মাধ্যমে এই ভাড়া আদায় হবে।
আপাতত বাস ভাড়ায় টোল যোগ না হওয়ায় এই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে টোল যোগ করে বাস ভাড়া নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের টোল ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ বিমানবন্দরে এলাকার কাউলা থেকে ফার্মগেট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরের দিন সকাল থেকে দুই চাকা ও তিন চাকার যান ব্যতিত অনান্য চার চাকার যান চলাচল করছিল। তবে আজ প্রথমবারের মতো এই গণপরিবহন সেবা চালু করা হয়েছে।
|
|
|
|
মো. আজমাইন মাহতাব : দিনের বেলায় চুরি করেন। আর রাতে সেই চুরির টাকা দিয়ে সেবন করেন মাদক। এমনই এক চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে মিরপুর মডেল থানার বিভিন্ন স্থান ও সাভার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ অর্থ ও চুরির সরঞ্জাম।
গ্রেফতাররা হলেন মো. সবুজ সিকদার (৩১), মো. মেহেদী (৩২) ও আশরাফুল হায়দার চৌধুরী (৪১)।
সোমবার এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
তিনি বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানার পাইকপাড়া এলাকায় একটি বাসায় চুরি করেন তারা। বাসা থেকে নগদ প্রায় তিন লাখ টাকা চুরি করে পালিয়ে যান। পরে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে সবুজ, মেহেদীদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর রোববার মিরপুর এবং সাভার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে নগদ ৪৫ হাজার টাকা এবং চুরি করার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি জানান, তারা মূলত সন্ধ্যার পরে মাদক সেবন করেন। মাদকের টাকা জোগাড় করতেই চুরি করেন।
গ্রেফতাররা জানান, তারা মাসে একবার চুরি করেন। আর চুরি করা টাকায় পুরো মাসে মাদকসেবন করেন। টাকা শেষ হলে আবারও চুরি করেন। এভাবে অর্ধশতাধিক চুরি করেছেন তারা।
পুলিশ বলছে, গ্রেফতার সবুজ ও মেহেদী চিহ্নিত চোর। এরমধ্যে সবুজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি, মেহেদীর বিরুদ্ধে পাঁচটি ও আশরাফুলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।
এ তিনজনসহ তাদের পাঁচজনের একটি দল আছে বলে জানান মিরপুর মডেল থানার ওসি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতিদিনই বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা । সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩০ হাজার ৯১৯টি যানবাহন চলাচল করেছে। এইসব যানবাহন থেকে টোল এসেছে ২৫ লাখ ৬ হাজার ৮০০ টাকা।
মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত গাড়ি চলাচল করেছে ৩০ হাজার ৯১৯টি। এ সব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার। তিনি জানান, এই উড়াল সড়ক দিয়ে চলাচল করা যানবাহনের মধ্যে বেশির ভাগই প্রাইভেট কার।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রবিবার যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ওই দিন ভোর ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টা) যানবাহন চলাচল করেছে ২২ হাজার ৮০৫টি আর টোল আদায় হয়েছে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা।
সোমবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই উড়াল সড়কে চলাচল করা যানবাহনের সংখ্যা ছিল ২৭ হাজার ১২১টি এবং টোল আদায় হয়েছে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪০ টাকা।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দরের কাওলা-বনানী-মহাখালী-ফার্মগেটে চলাচল করা গাড়ির সংখ্যা ১৫ হাজার ৬৯০টি, কুড়িল-বনানী-ফার্মগেট ৩ হাজার ৬১৯টি, বনানী-কুড়িল-কাওলা ২ হাজার ৮৯৮টি এবং ফার্মগেট-মহাখালী-বনানী-কুড়িল-কাওলা ৮ হাজার ৭১২টি।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দরের কাওলা থেকে তেজগাঁওর ফার্মগেট পর্যন্ত প্রথম অংশ শনিবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রথম টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হন।
রবিবার উড়াল সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর ব্যক্তিগত গাড়ির প্রাধান্য থাকলেও গণপরিবহন খুব একটা চলতে দেখা যায়নি সারা দিন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীবাসীর জন্য উন্মুক্ত হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। দেশের প্রথম উড়াল সড়কপথ এটি। এই পথ ধরে ভোগান্তিহীনভাবে, দ্রুততম সময়ে চলাচল করতে পারছেন নগরবাসী। সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন করেন।
কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজায় গাড়ি প্রতি ৮০ টাকা করে টোল দিয়ে নতুন এই পথের প্রথম যাত্রী হন সরকারপ্রধান। আর গতকাল রবিবার তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য। আর চালু হওয়ার পর এই এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথম ২৪ ঘণ্টায় মোট গাড়ি চলেছে ২২ হাজার ৮০৫টি। আর এ থেকে আয় হয়েছে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা টোল।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৮০৫টি যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ে পার হয়েছে। এসব যানবাহন থেকে টোল এসেছে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা।
তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে বনানী মহাখালী, ফার্মগেটের পথে ১২ হাজার ২৪২টি গাড়ি, কুড়িল থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেটের পথে ২ হাজার ৪২৫টি গাড়ি, বনানী থেকে কুড়িল-বিমানবন্দরের পথে ২ হাজার ৮৯২টি গাড়ি এবং তেজগাঁও থেকে মহাখালী, বনানী কুড়িল ও বিমানবন্দরের পথে ৫ হাজার ২৪৬টি গাড়ি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠেছে।
যানজটে নাকাল নগরবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিতে নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ও তিন চাকার কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়ের কোথাও কোনো যানবাহন দাঁড়াতে পারবে না এবং যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে না।
কাওলা থেকে বনানী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর ও মানিকনগর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত উড়াল সড়ক হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি)। পুরো উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। সাড়ে ১১ কিলোমিটার পাড়ি দিতে ১২ মিনিট লাগবে বলে সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
তবে এখন বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই পথে আসতে যেসব জায়গায় ওঠানামার সুযোগ আছে সেগুলো সব রবিবার থেকেই চালু হয়েছে।
যারা ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোড অথবা শাহবাগ, সেগুনবাগিচা ও পুরান ঢাকা থেকে এসে উড়াল সড়কে উঠতে চান, তাদের যেতে হবে বিজয় সরণি ওভারপাস অথবা তেজগাঁও এলাকায়।
বিজয় সরণি হয়ে র্যাংগস ভবন ভেঙে যে ওভারপাসটি তৈরি হয়েছে, সেটিতে উঠে তেজগাঁওয়ে যাওয়ার আগেই উড়াল সড়কের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। তেজগাঁও থেকে বিজয় সরণির দিকে আসতে ওভারপাসে আরেকটি সংযোগ রয়েছে ওঠার জন্য।
রাজধানীর দক্ষিণ, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বাংশের মানুষের জন্য উড়াল সড়কে ওঠার এ পথই সহজ। তবে যারা বনানী যেতে পারবেন, তারা বনানী রেলস্টেশনের সামনে দিয়ে উড়াল সড়কে উঠতে পারবেন।
উত্তর দিক থেকে এসে নামার জন্য সহজ পথ ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেটগামী যানবাহনের ইন্দিরা রোডে নামাই সুবিধাজনক।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাজধানীর মিরপুর রাজস্ব সার্কেলের ধউর ভূমি অফিসের অন্তর্গত নলভোগ মৌজায় প্রায় ৪০ কোটি টাকার সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শিবলী সাদিকের তত্ত্বাবধানে এ অভিযান পরিচালনা করেন মিরপুর রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অর্ণব মালাকার।
অভিযানের সময় দর্পণ হাউজিংয়ের দখলে থাকা নলভোগ মৌজার সিটি ১নং খতিয়ানের ১৪০৮নং দাগের ৪৩.৫ শতক, ১৪৩৬নং দাগের ১১.৫ শতক, ১৪৪৪নং দাগের ২৯ শতক এবং ১৪৪৫নং দাগের ৭৫ শতক জমি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯৬ কাঠা যার বাজারমূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা।
উদ্ধারকাজ পরিচালনাকালে মিরপুর রাজস্ব সার্কেলের সার্ভেয়ার এবং ধউর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকার পর মো. লাভলু (৫৫) নামে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, জমিজমার দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১৯৯১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত লাভলু ও তার সহযোগীরা মিলে চাঁদপুরে জহির পাটোয়ারী (২৮) নামে একজনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে। পরে তারা ওই ব্যক্তিকে একটি নির্জন বিলে নিয়ে যায়। সেখানে কৌশলে কুপিয়ে ও গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। এরপর নিহতের মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে লাশ গুম করা হয়।
সেই ঘটনার এক মাস পর স্থানীয় চাষি নিজ জমিতে হালচাষ করতে গিয়ে ওই ব্যক্তির পচা-গলা লাশ দেখতে পান। এরপর তিনি হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যান। পরবর্তীকালে নিহত জহিরের ছেলে বাদী হয়ে গ্রেফতার লাভলুসহ তার অন্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম জানান, আলোচিত ওই হত্যা মামলায় দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত লাভলুসহ অন্য আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থেকেই লাভলু দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন ছিলেন। সবশেষ মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার চাষাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে লাভলুকে গ্রেফতার করে র্যাব।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
ভার্সেটাইল গার্মেন্টসের মালিকপক্ষের দায়ের করা মামলায় কারাবন্দি সাভার-আশুলিয়ায় চার গার্মেন্টস শ্রমিক নেতার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তিন সংগঠন।
বুধবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যৌথভাবে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশ, মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভার্সেটাইল গার্মেন্টসের মালিকপক্ষ মিথ্যা মামলা দিয়ে শ্রমিক নেতাদের হয়রানি করছে। এই মিথ্যা মামলায় সাভার-আশুলিয়ার গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা মো. আনিস, মো. কামরুল ইসলাম মৃধা, আহমেদ জীবন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে গেলে আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তারা আরও বলেন, অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার পূর্বক কারাবন্দি নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে মালিকপক্ষই দায়ী থাকবে।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি মো. মাহাতাব উদ্দিন সহিদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি শান্তনা ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাস, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামছুল হক, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, সাভার আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সবুজ, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি মো. ওয়াহেদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন।
|
|
|
|
প্রশান্ত কুমার দাস, স্টাফ রিপোর্টার :
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তরের মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাতীয় দৈনিক সংবাদ সারাবেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি কাজী মিজানুর রহমানের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পরিবারের পক্ষ থেকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কাজী মিজানুর রহমান একজন শিল্পপতি ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য।
বিগত ১৬ মার্চ উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।
গত ১৭ জুন মোহনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জনসভায় আসার পথে বাহাদুরপুর চর এলাকায় আওয়ামী লীগের কালু ও রাজ্জাক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মোবারক হোসেন বাবু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এই ঘটনায় চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয় ও গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেছে, ওই দিন বেলা ৩টায়। ওই সময় কাজী মিজান ও তার দুই ভাই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। তার সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে সংরক্ষিত ছিল। যাহা ইতিমধ্যে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে। চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে দুর্গম চরে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেখান থেকে কোনভাবেই এক থেকে দেড় ঘণ্টার আগে বাড়িতে আসা সম্ভব নয়। প্রকৃতপক্ষে চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষানিত হয়ে প্রতিপক্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক গ্রুপ হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই মামলা করেছেন বলে এলাকাবাসী মনে করেন। আমরা এই মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। আমরা চাই প্রকৃত অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। এই অপরাধে যুক্ত না থাকায় চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানক মুক্তি দেয়া হোক।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক সংবাদ সারাবেলার সম্পাদক ও বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব আবদুল মজিদ।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা-১৩ আসনের উন্নয়নের রূপকার মাটি ও মানুষের নেতা ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সহ-সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপির আয়োজন আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও গণভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার রায়ের বাজার বেড়িবাঁধ সাদেক খান পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন অফিস এলাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
এ সময় আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল। এর মধ্য দিয়ে বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় সংযোজিত হয়েছিল।
স্বাধীনতার মাত্র চার বছর পর জাতির পিতা যখন ক্ষত-বিক্ষত অবস্থা থেকে দেশটির পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তখনই ঘটানো হয় দেশের ইতিহাসের এ নির্মম ঘটনা। সেদিন ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শিশু থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারী। একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম
ফজিলাতুননেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এ জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানি থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি আরো বলেন, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচানোর সকল চেষ্টাই করেছে জিয়া। তাদের রক্ষায় জিয়া ইনডেমনিটি আইন জারি করেছিলো। জিয়া দেশের সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি জঘন্যতম এক অধ্যায়। জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল।
জাতির পিতাকে হত্য করার পর শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। পশ্চিম জার্মানির নেতা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী উইলি ব্রানডিট বলেছিলেন, বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।
আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সবাইকে এক হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আনতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর আংশিক) আসনের থানা, ওয়ার্ড, ইউনিট আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সুধী সমাজ এবং সাংবাদিকবৃন্দ সহ প্রমুখ।
দোয়া ও মাহফিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদ, স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদদের, ভাষা আন্দোলনসহ ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে দোয়া করা হয়। মোনাজাত শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে গণভোজ এর আয়োজন করা হয়।
গণভোজের প্রতিটি টেবিলে গিয়ে ঘুরে ঘুরে মেহমানদের খোঁজ খবর নেন, আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি এবং আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপির সুযোগ্য সন্তান মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট ফাহিম সাদেক খান।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম উল্লেখ করে এর সম্মান রক্ষায় প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে পৃথক ধারা করার দাবি জানিয়েছে ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজ নামে একটি সংগঠন। পাশাপাশি রাষ্ট্রধর্মের অবমাননাকারীদের এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখারও দাবি জানায় সংগঠনটি।
শনিবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটির নেতারা এসব দাবি জানান।
মানববন্ধনে ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মুহম্মদ আবু সায়েম রিমন বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হচ্ছে ইসলাম। রাষ্ট্রধর্মের সম্মান সুরক্ষা দেওয়া রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, রাষ্ট্রধর্মের সম্মান সুরক্ষায় দেশে পৃথক কোনো আইন নেই। প্রায়ই দেখা যায় কিছু দুষ্কৃতিকারী রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করে কিন্তু রাষ্ট্রধর্মের সম্মান সুরক্ষায় পৃথক কোনো আইন না থাকায় সে অপরাধ কার্যকর উপায়ে রোধ করা যায় না। সরকার যেহেতু আমাদের কাছে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে মতামত জানতে চেয়েছে, তাই বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের মতামত হচ্ছে, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সম্মান সুরক্ষায় পৃথক ধারা সংযুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্রধর্মের অবমাননা রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রধর্মের অবমাননায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখতে হবে।
ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহম্মদ মাসউদুজ্জামান বলেন, প্রস্তাবিত আইনের খসড়া পাঠে আমরা জানতে পেরেছি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বা ২৮ ধারার সাজা হ্রাস করা হবে, এটি খুব উদ্বেগজনক বিষয়। কারণ ২০১৩ সালের সাইবার ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার আগে অনলাইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত রোধে কার্যকরী শক্ত কোনো আইন ছিল না। ফলে এ অপরাধ রোধ হচ্ছিল না। যার প্রতিক্রিয়ায় দেশে ভয়ংকর অস্থিতিশীলতা তৈরি হয় এবং শাপলা চত্বরে আন্দোলনের মতো ঘটনা ঘটে। ২০১৩ সালের পর শক্ত আইন কার্যকরের মাধ্যমে অনলাইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। কিন্তু এই সাজা যদি হ্রাস বা দsর্বল করা হয় তাহলে পুনরায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধ বৃদ্ধি পাবে। যার প্রতিক্রিয়ায় দেশে আবারও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হবে।
ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের সদস্য অ্যাডভোকেট মুহম্মদ জাহিরুদ্দিন বলেন, বর্তমানে অনলাইনে অনেক নিষিদ্ধ বস্তুর ক্রয়- বিক্রয়, লেনদেন ও প্রচারণা হয়। যেমন; মদ ও নেশাজাতীয় দ্রব্য, নিষিদ্ধ বই, বিস্ফোরক আতশবাজি, জুয়া বা রেটিং, পতিতাবৃত্তি, কিডনি ক্রয়-বিক্রয়, সমকামিতা ইত্যাদি অনলাইনের মাধ্যমে অনেক সহজলভ্য আকার ধারণ করেছে। প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে অনলাইনে এ সমস্ত নিষিদ্ধ বস্তুর প্রচার, ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেনকেও অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুহম্মদ আরিফুল খবীর, মুহম্মদ হাবীবুর রহমান, মুহম্মদ রওশন আলী, অ্যাডভোকেট মুহম্মদ জাভেদ হাসানসহ ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের সদস্যরা।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডাবের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গভীর রাতে পণ্যটির আড়তে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় ডাব কেনা-বেচার ক্যাশ মেমো না পাওয়ায় এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় দুই প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ডাবের পাইকারি আড়তে এই অভিযান পরিচালনা করেছে সরকারি বাজার তদারকি সংস্থাটি। অভিযানে নেতৃত্বে দেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান।
জরিমানা করা প্রতিষ্ঠান দুইটি হলো মেসার্স নিউ কিসমত এন্টারপ্রাইজ ও এরশাদ এন্টারপ্রাইজ। উভয়কেই ২০ হাজার করে জরিমানা করা হয়।
অভিযানের পর উপস্থিত ক্রেতাদের মধ্যে ছোট ডাব ৪৫ টাকা, মাঝারি ডাব ৬০ টাকা এবং বড় ডাব ৭০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
সাংবাদিকতা পেশায় নিরাপত্তার জন্য ওয়েজবোর্ডের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মত প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সভাপতি প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুসের সম্মানে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। কার্টুনিস্ট কুদ্দুস ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
এম এ মান্নান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পত্র পত্রিকায় কার্টুন কম দেখা যায়। আগে বেশি দেখা যেত। পশ্চিমা জগতে কার্টুনের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। একটি ছবি দিয়ে অনেক শব্দের চেয়েও বেশি কিছু বোঝানো যায়। আর একটা কার্টুন দিয়ে মিলিয়ন শব্দ বোঝানো যায়। এই মাধ্যমের সৃজনশীল স্রষ্টা ছিলেন এম এ কুদ্দুস।
অনেকেই বলেন আমি সাংবাদিক বান্ধব, এটা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে আমরা কি কাজ করছি, কেন করছি, সেই টাকার মালিক জনগণের সেটা জানার অধিকার ও প্রয়োজন আছে। মানুষের জানার বাহক সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমিও জানি। আমি নিজের প্রয়োজন এবং জানার জন্য, ভালোবাসার জন্য সাংবাদিকদের সাথে মেশার চেষ্টা করি।
সাংবাদিকদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনাদের (সাংবাদিকদের) ওয়েজ বোর্ডের ব্যাপারে মাঝে মাঝে শুনি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট না হওয়ার কারণে আমার গভীর জ্ঞান নেই, তবে এটাও জানি ওয়েজবোর্ড ঘোষণা হয়, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। এটাও মাঝে মাঝে পড়ি, ওয়েজবোর্ড ঘোষণা হয়, কেউ এটা মানে, কেউ মানে না। ওয়েজবোর্ড যেহেতু সবার সাথে আলোচনা করেই হয়েছে, তাহলে মানবে না কেন? না মানার স্কোপ কোথায়? সাংবাদিকতা পেশায় নিরাপত্তার জন্য ওয়েজবোর্ডের প্রয়োজনীয়তা আছে, এটা আমি বুঝতে পারি। আমি নিজেও সরকারি চাকরি করেছি, আমরা যেমন নিরাপত্তা পাই, আপনারা সাংবাদিকরা তেমনটা পান না। আবার কেউ কেউ নানা শর্টকাট উপায়ে অনেক দূর চলে যান। কিন্তু যারা মূল ধারার সাংবাদিকতা করে তাদের জীবন অনেক ঝড়-ঝাপটার। আমার ছোটবেলার অনেক সাংবাদিক বন্ধুদের দেখেছি ঢাকায় তারা অনেক কষ্ট করেছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে পরিবর্তন হচ্ছে। সার্বিকভাবে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। অস্বীকার করবো না সেখানে অনেক গ্যাপ আছে, দৃশ্যমান ঘাটতি আছে, অন্যায় আছে। বাংলাদেশ সৃষ্টির তার থেকে বর্তমান সময়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে এটা নিশ্চিত। সেখানে এই পেশায় আপনারা যারা ভূমিকা পালন করছেন, আপনাদের প্রতি সমাজের এবং রাষ্ট্রের অবশ্যই দায়িত্ব আছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি-রাজনীতিতে কার্টুনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী হক। পরিচালনা করেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিমন রহমান। আলোচনা করেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা, রওনক হাসান এবং প্রয়াত কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুসের স্ত্রী তানিয়া কুদ্দুস।
|
|
|
|
প্রশান্ত কুমার দাস, স্টাফ রিপোর্টার :
দিনাজপুর সদর থানা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব রমজান আলী ও নর্থবেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল দিনাজপুর জেলার সভাপতি মোঃ জাফর আলীর বাসায় সন্ত্রাসী হামলা ও বাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে মাননববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) নর্থবেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এম. শরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবে উক্ত মানববন্ধন ও সমাবেশে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এসময় টিমুনি খানের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলার সভাপতি মোঃ জাফর আলী, রংপুর জেলার মোঃ আনিছুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলার মোঃ মুন্নাফ হোসেন, সিরাজগঞ্জ জেলার মোঃ আব্দুল আলীম, নেত্রকোনা জেলার মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাদমান প্রমূখ।
গত ২২ আগস্ট সকাল ৭টায় দিনাজপুরে আওয়ামী লীগ সহ সভাপতির বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় তার ছোট ছেলে মোঃ রুস্তম আলীর উপর হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। বর্তমানে মোঃ রুস্তম আলী এম আব্দুর রহিম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। সন্ত্রাসীরা বাসার সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে বাসায় প্রবেশ করে এবং বাসার ভিতরে জিনিসপত্র লুট করে এমন একটি ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এই ঘটনার জেরে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়। সন্ত্রাসীরা প্রথমে একত্রিত হয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বাসার বাহিরের দরজায় সজোরে আঘাত করতে থাকে। এসময় স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দূরে সরে যেতে বলে। তারপরে সন্ত্রাসীরা বাসার সিসিক্যামেরা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। অনেক্ষন তান্ডব চালানোর পরে সন্ত্রাসীরা একে একে চলে যায়। জরুরী সেবা ৯৯৯ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করা হলে ৮.৩০ মিনিটে পুলিশের গাড়ি এসে ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সাধারণ জনগণ দুঃখ প্রকাশ করে এবং মূল মদতদাতাদের গ্রেফতারের দাবী জানায়।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ এম. শরিফুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীদের হাতে হামলার শিকার হয়ে মোঃ জাফর আলীর ভাই মোঃ রুস্তম আলী দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেলে ভর্তি আছে। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে, যেকোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি-এর কাছে সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবি করছি।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে বিক্রি ও সেবনের অপরাধে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি জানান, আসামিদের কাছ থেকে ২ হাজার ৭৬৮টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজা, ৩০.৫ গ্রাম হেরোইন, ৭ বোতল ফেনসিডিল ও ৮০০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ডিএমপির থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
|
|
|
|
|
|
|