বিএনপি বিদেশী শক্তির ক্রীড়ানক হিসাবে কাজ করছে: হানিফ
আকরামুজ্জামান আরিফ, কুষ্টিয়া:
আন্তর্জাতিক পরিমহলে বাংলাদেশকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার মূল ক্রীড়াক হিসেবে বিএনপি কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যই প্রমাণ করে বিএনপি এই মুহূর্তে বিদেশী শক্তির ক্রীড়ানক হিসাবে কোন দুরর্ভিসন্ধিতে লিপ্ত রয়েছে। সেই সাথে বিএনপি সুষ্ঠ নির্বাচনে কখনোই বিশ্বাসী নয় তাই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিএনপির কাছে কাল্পনিক মনে হয়। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর ) সকাল ১১ টায় কুষ্টিয়ায় এডুকেয়ার স্কুল এন্ড কলেজের আয়োজনে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক শিক্ষার্থীর সমাবেশে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী সেই হিসেবে তিনি সুচিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হোক এটা আমরা চাই এবং সেই কারণে বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসক যারা আছেন তারা যদি মনে করেন বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করার প্রয়োজন আছে, যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া দন্ড প্রাপ্ত আসামী সেই হিসাবে তাকে আইনে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে। জাতি খুব দুর ভাগ্যের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে বিএনপি তারা প্রতিদিনই প্রায় সভা সমাবেশ করে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থ নিয়ে রাজনীতি করছে। কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য যে আইনি প্রক্রিয়া আছে সেটার মধ্যে যাচ্ছে না, এতে জাতির মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয় যে বিএনপি আসলে খালেদা জিয়ার অসুস্থ নিয়ে রাজনীতি করতে চাই চিকিৎসা না, তারা ধরেই নিয়েছে খালেদা জিয়ার অসুস্থ নিয়ে রাজনীতি করলে ফায়দা পাওয়া যাবে। সে কারণে তাদের এই প্রক্রিয়া। তা না হলে তারা এতদিন আইনের দৌরগড়াই যেত আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে গেলে হয়তো একটা সমাধান আসতো। বর্তমান সরকারের অধীনে এদেশে সুষ্টু নির্বাচন অসম্ভব মির্জা ফকরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, যেহেতু বিএনপি কখনো সুষ্ট নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হাটেনি যার কারনেই তাদের কাছে এটা অসম্ভব বলে মনে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামীলীগই আছে যারা সুষ্ট নির্বাচন করে। এদেশের মানুষ বিশ^াস করে সংবিধান ীনুযায়ী অবাধ, সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, এডুকেয়ার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক রাসেল সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক - শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
|
আকরামুজ্জামান আরিফ, কুষ্টিয়া:
আন্তর্জাতিক পরিমহলে বাংলাদেশকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার মূল ক্রীড়াক হিসেবে বিএনপি কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যই প্রমাণ করে বিএনপি এই মুহূর্তে বিদেশী শক্তির ক্রীড়ানক হিসাবে কোন দুরর্ভিসন্ধিতে লিপ্ত রয়েছে। সেই সাথে বিএনপি সুষ্ঠ নির্বাচনে কখনোই বিশ্বাসী নয় তাই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিএনপির কাছে কাল্পনিক মনে হয়। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর ) সকাল ১১ টায় কুষ্টিয়ায় এডুকেয়ার স্কুল এন্ড কলেজের আয়োজনে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক শিক্ষার্থীর সমাবেশে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী সেই হিসেবে তিনি সুচিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হোক এটা আমরা চাই এবং সেই কারণে বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসক যারা আছেন তারা যদি মনে করেন বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করার প্রয়োজন আছে, যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া দন্ড প্রাপ্ত আসামী সেই হিসাবে তাকে আইনে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে। জাতি খুব দুর ভাগ্যের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে বিএনপি তারা প্রতিদিনই প্রায় সভা সমাবেশ করে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থ নিয়ে রাজনীতি করছে। কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য যে আইনি প্রক্রিয়া আছে সেটার মধ্যে যাচ্ছে না, এতে জাতির মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয় যে বিএনপি আসলে খালেদা জিয়ার অসুস্থ নিয়ে রাজনীতি করতে চাই চিকিৎসা না, তারা ধরেই নিয়েছে খালেদা জিয়ার অসুস্থ নিয়ে রাজনীতি করলে ফায়দা পাওয়া যাবে। সে কারণে তাদের এই প্রক্রিয়া। তা না হলে তারা এতদিন আইনের দৌরগড়াই যেত আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে গেলে হয়তো একটা সমাধান আসতো। বর্তমান সরকারের অধীনে এদেশে সুষ্টু নির্বাচন অসম্ভব মির্জা ফকরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, যেহেতু বিএনপি কখনো সুষ্ট নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হাটেনি যার কারনেই তাদের কাছে এটা অসম্ভব বলে মনে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামীলীগই আছে যারা সুষ্ট নির্বাচন করে। এদেশের মানুষ বিশ^াস করে সংবিধান ীনুযায়ী অবাধ, সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, এডুকেয়ার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক রাসেল সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক - শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
কারো সমর্থনে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রভাবিত করতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া একই— অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
গতকাল সোমবার (২ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যম- সবাই অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রেরও এটিই চাওয়া বলে জানান মিলার।
মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ উপায়ে অনুষ্ঠিত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। বাংলাদেশিরাও এটি চান। এ লক্ষ্যেই ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ২৪ মে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে বাংলাদেশের জন্য স্বতন্ত্র ভিসা নীতি ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেদিন রাতে ওই ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে ব্লিংকেন।
এর প্রায় ৪ মাস পর ২২ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে জানান, নির্বাচনকে বাধা দেওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু হয়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট:
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় গুলশান অফিসে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া উপস্থিত থাকবেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও বিদেশে চিকিৎসার বিষয়হ বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করবেন।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের রাজনীতি থেকে ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মাঝেমধ্যে বড় কষ্ট লাগে, আমার দেশের রাজনীতি থেকে কেন যেন মনে হয় ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
শনিবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ন্যাম ভবন প্রাঙ্গণে প্রয়াত দুই এমপির মরদেহে শ্রদ্ধা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শাহজাহান কামালের মতো একজন ভালো মানুষ রাজনীতিতে বিরল। তাকে হারানো মানে, আমরা একজন ভালো মানুষকে হারালাম। রাজনীতিবিদ হিসেবে তার আদর্শ গুণাবলি আমরা মনে রাখব এবং অনুসরণ করব। আব্দুস সাত্তারও ভালো মানুষ ছিলেন। এ দুই নেতার মৃত্যুতে আমরা দুজন ভালো মানুষ হারালাম।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এখানে জানাজার শামিল হয়েছি। আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে ফুল দিয়েছি। আমাদের পার্টির প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে রয়েছেন, তিনি শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যক্তিগতভাবে শাহজাহান কামাল আমার খুবই ক্লোজলি রিলেটেড ছিল। তিনি ছাত্রনেতা থেকে পরে মন্ত্রী। একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। একজন সাচ্চা আদর্শবান মানুষ ছিলেন। আব্দুল সাত্তারও একজন ভালো মানুষ হিসেবে তার এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার ভোরে ১৭ মিনিটের ব্যবধানে না ফেরার দেশে চলে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. কে. এম. শাহজাহান কামাল।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : মঞ্চ ভাঙচুরের কারণে আমিনবাজারে সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ সোমবার ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর বরাত দিয়ে দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রবিবার মধ্যরাতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মঞ্চ ভেঙেছেন। সমাবেশের প্রধান অতিথি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিপুণ রায় বলেন, আমিনবাজারে আমাদের সমাবেশ মঞ্চ সন্ত্রাসীরা ভেঙে ফেলেছে। বিকেল তিনটায় জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হবে। তবে আমরা আগামীকাল (মঙ্গলবার) একই জায়গায় কর্মসূচি পালন করব।
এদিকে, বিকেল ৩টায় পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের ধোলাইখালে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। রাজধানীর শাহবাগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবি শাখা ছাত্রদল এ বিক্ষোভ মিছিল করে।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন, ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তারেক হাসান মামুন, আমানউল্লাহ আমান, হাসান আবিদুর রেজা বায়জীদ এবং নূরে আলম ভূঁইয়া ইমন। বিক্ষোভ মিছিলটি কলভবনের প্রধান ফটক থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বক্তারা, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবি জানান। ছাত্রদের নেতাকর্মীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ছাত্রলীগকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানান।
বক্তরা আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে অচিরেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের হারানো গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে ছাত্রদল ঘরে ফিরবে।
ছাত্রদলের মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বিএম কাউসার, সহসভাপতি আলমগীর হোসেন আলম, যুগ্মসম্পাদক শাহবাজ ইশতিয়াক পূরান, দপ্তর সম্পাদক মো. সাকিব বিশ্বাস, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবিদুল ইসলাম খান, যুগ্মসম্পাদক মকবুল হোসেন, সমাজসেবা সম্পাদক আনোয়ার সাকিব, কর্মী সিফাত, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের যুগ্মসম্পাদক তারেক নূর, সমাজসেবা সম্পাদক এনামুল ইসলাম ইয়াছিন, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্মসম্পাদক ইকরাম খাঁ, যুগ্মসম্পাদক সাইফ উল্লাহ সাইফ, সমাজসেবা সম্পাদক আবু জার গিফারী মাহফুজ, কর্মী হাসিবুর রহমান আসিফ প্রমুখ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট:
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং শান্তি সমাবেশ করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রাজধানীর দুই প্রবেশমুখে ২ দলের সমাবেশ হবে আজ বিকেলে।
বিএনপির দুটি সমাবেশের একটি ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বেলা ৩টায়। সমাবেশ হবে ধোলাইখালে। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অপর সমাবেশটি হবে ঢাকার অদূরে আমিনবাজার চিশতি ফিলিং স্টেশনসংলগ্ন স্থানে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ বলেন, ধোলাইখালে সমাবেশে নেতাকর্মী উপস্থিতির রেকর্ড হবে।
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী জানান, শুধু এবারের সমাবেশ নয়, যে কোনো কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন।
এদিকে, আজও বিএনপির জন্য মাঠ ফাঁকা ছাড়ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তারাও থাকছে মাঠে। আজ দুপুর দুইটায় রাজধানী ঢাকার দুই প্রান্তে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে তারা।
বেলা দুইটায় রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। এখানে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সরণিতে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বড় ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। উভয় দলের সমাবেশে আজকের রাজধানী পরিণত হবে সমাবেশের নগরীতে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন রিয়াজকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে৷
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করায় রিয়াজকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী বলেছেন, সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে বহিষ্কার করা হয়। রিয়াজউদ্দিনকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় রিয়াজের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। এরপর তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত টানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে এসব কর্মসূচি পালন করবে দলটি। নেতাকর্মীদের সজাগ থেকে এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতে বলা হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সভা শেষে এ কর্মসূচি জানানো হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি জানান, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বাইতুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
২৫ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ উত্তরায় এবং মহানগর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জে সমাবেশ পালিত হবে।
২৭ সেপ্টেম্বর টঙ্গীতে সমাবেশ করবে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ। একই দিনে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ ঢাকার মিরপুরের কাফরুলে সমাবেশ করবে। ২৮ সেপ্টেম্বর দেশ রত্ন শেখ হাসিনার জন্মদিনে একই দিনে ঈদে মিলাদুন্নবী দোয়া মাহফিল বাদ আসর। একই সময়ে সারা দেশে একই কর্মসূচি।
২৯ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর আড়াইটায় কৃষক লীগের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আগামী ৪ অক্টোবর চট্টগ্রামের মিরসরাইতে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৫ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
সোমবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এসব কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলার জিঞ্জিরা বা কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরের টঙ্গিতে সমাবেশ। ২১ সেপ্টেম্বর ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটে রোড মার্চ। ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরের যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় সমাবেশ।
২২ সেপ্টেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির কামনায় সারা দেশের মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দোয়া মাহফিল। ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও পটুয়াখালীতে রোড মার্চ। ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার নয়াবাজার ও আমিন বাজারে সমাবেশ।
২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগে রোড মার্চ। একই তারিখে ঢাকায় পেশাজীবীদের কনভেনশন। ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার গাবতলী ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জনসমাবেশ। ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মহিলা সমাবেশ। ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমজীবী কনভেনশন।
১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জে রোড মার্চ। ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ। ৩ অক্টোবর কুমিল্লা, ফেনি, মিসরাইল এবং চট্রগ্রামে রোড মার্চ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন ছাড়া বিএনপির রক্ষা পাওয়ার আর কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলে যে কোনো মার্চ তারা (বিএনপি) করতে পারে। আমি দোয়া করি, যেন এ রোডমার্চ শান্তিপূর্ণ থাকে।
আজ রবিবার মোহাম্মদপুরে পুড়ে যাওয়া কৃষি মার্কেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এই রোডমার্চ করতে করতে যেন বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন করে ফেলে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে রোডমার্চ করুক। ভুল পথচারী বিএনপি নির্বাচনের পথে এলে আমরা অভিনন্দন জানাব। নির্বাচন ছাড়া বিএনপির রক্ষা পাওয়ার বা নিজেকে রক্ষা করার আর কোনো উপায় নেই।
এ সময় নানক কৃষি মার্কেটে আগুন লাগার কারণ জানতে মার্কেট কমিটির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কীভাবে আগুন লেগেছে তা বের করতে সরকারের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি আপনারা একটি ছোট তদন্ত কমিটি করবেন। কী দুর্বলতা ছিল, কী দুর্বল দিকগুলো ছিল, সেগুলো বের করা দরকার। যার যেখানে দোকান ছিল, সেখানেই তাকে বরাদ্দ দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে আমরা আকাশ কুসুম কল্পনা করতে চাই না। ছয় তলা, নয় তলা, ১৪ তলা মার্কেট কবে হবে, এই ভরসার জোরে এই মানুষগুলো অনিশ্চয়তায় থাকতে পারেন না। দোকান মালিক, দোকানদাররা যা চাইবেন, তাই হবে। এর বাইরে কিছু হবে না। আমরা এর বাইরে কিছু করতে দেব না। মার্কেটটি হলো নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের মার্কেট। সেই প্রাণের মার্কেটটি পুড়ে গিয়েছে, আমাদের হৃদয় পুড়ে গিয়েছে।
নানক বলেন, এখানে কেউ বঞ্চিত হবেন না। অসাধু চিন্তা বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ নেই। আমি মেয়রের সঙ্গে আলাপ করব। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তদারকি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আজ নিউইয়র্কে গেছেন। তিনি দেশে ফিরলে তার সঙ্গে আমি এ বিষয়ে কথা বলব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর স্থানীয় কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নুর ইসলাম রাষ্টন, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ সরকার, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদসহ মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের নেতারা।
|
|
|
|
বগুড়া প্রতিনিধি : সরকার সব কিছু চুরি করছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার শুধু দ্রব্যমূল্য কমাতে ব্যর্থ হয়েছে তা নয়। রাষ্ট্র পরিচালনাতেও ব্যর্থ সরকার। এত বড় চোর যে, চুরি করে দেশকে তারা ফোকলা করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার চুরি করে ২০২৪ সালে আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। তিনি (শেখ হাসিনা) থাকলে নাকি ভালো নির্বাচন হয়, শেয়ালের কাছে মুরগি দিলে কি হয় তা সবাই জানে!
রবিবার সকালে তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন বগুড়ার চারমাথা এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত রোডমার্চ বগুড়া থেকে শুরু হয়ে রাজশাহীতে শেষ হবে।
এ দেশের মানুষ এবার চুরি করতে দেবে না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আগেই বলেছি, আমাদের কথা অনেকে বিশ্বাস করতে চায়নি। এখন সারা বিশ্বের মানুষ বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশে দুটি নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনে যদি জনগণ ঠিকঠাক মতো ভোট দিতে না পারে তাহলে গ্রহণযোগ্য হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সব চুরি করে আর বিদেশে পাঠায়। বিদেশে বাড়ি-ঘর তৈরি করে। আর সবচেয়ে বড় চুরি করেছে-আমার ভোটের অধিকার। ১৪ তে চুরি করেছে, ১৮ তে চুরি করেছে। এখন আবার পাঁয়তারা করছে ২০২৪ এর নির্বাচনে চুরি করে পার হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আজকে স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর পরে আমাদের আবার সংগ্রাম করতে হচ্ছে, লড়াই করতে হচ্ছে কেন? আমাদের অধিকারের জন্য। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার; বেঁচে থাকার অধিকার।
ফখরুল বলেন, ভাতের অধিকার বললাম কারণ, চাল-ডাল-তেল-লবণ সব কিছুর দাম আকাশচুম্বী। আমার মা-বোনেরা তাদের ছেলে-মেয়েদের একটা ডিম দিতে পারে না। বিদ্যুতের দাম তিন-চার বার করে বাড়ছে। তেলের দাম তিন-চার বার করে বাড়ে। সেদিকে সরকারের কোনো খেয়াল নেই। বলে দাম তো ফিক্স করে দিয়েছি—দাম ফিক্স করলেই কি দাম কমানো যায়? চুরি তো করো তোমরা। চুরি করো আর বলো দাম ফিক্স করেছি।`-বলেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রেখে মারতে চায় সরকার। বিরোধীদল যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সেজন্য আগে থেকেই নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এবার আর তা হতে দেওয়া হবে না। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দ্বিতীয় দিন বগুড়া থেকে সান্তাহার ও নওগাঁ হয়ে রাজশাহীর মোট ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত রোডমার্চ করবে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। কর্মসূচিতে এই তিন সংগঠনের পাশাপাশি বিএনপির অনেক নেতাকর্মীও অংশ নিয়েছেন।
|
|
|
|
নিজস্ব সংবাদদাতা:
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান করে নিয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও তরুণ রাজনীতিক প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার। দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কমিটি অনুমোদ প্রদান করেন। গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে নতুন এ কমিটির তালিকা গ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট।
১১ উপদেষ্টা বিশিষ্ট এ কমিটির সভাপতি হলেন নুরুল হুদা মুকুট এবং সাধারণ সম্পাদক হলেন নোমান বখত পলিন। এছাড়া ১১ জন সহ-সভাপতি ও ৩ জন যুগ্ম সম্পাদক ও ২৩ জনকে বিভিন্ন বিষয়ের সম্পাদক এবং ৩৬ জন সদস্য রাখা হয়েছে। সদস্যদের মধ্যে প্রথমবারের মতো স্থান করে নিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিল্পপতি ও শিক্ষানুরাগী প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার।
প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার একজন পরিচ্ছন্ন ও ক্লিন ইমজেধারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে বৃহত্তর সিলেটের মানুষের কাছে বেশ সমাদৃত। সামাজিক কর্মকাণ্ডেও তাঁর সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়। দুর্যোগ-দুর্বিপাকে হাওরের মানুষের পাশে দাাঁড়াতে তাকে দেখা যায়।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য লাভের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। কৃতজ্ঞতা জানান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতি।
তিনি বলেন, ‘সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিনকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নানকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমি ও আমার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আমি চাই দলীয় যে আস্থা আমার উপর রাখা হয়েছে, এর যথাযথ দায়িত্ব পালন করবো। তাই সকলের আন্তরিক সহযোগীতা ও আশীর্বাদ কামনা করছি।’
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে সর্বগ্রাসী দুর্নীতির কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখন মহামারির আকার ধারণ করেছে। এ বছর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ডেঙ্গু মৃত্যুদূত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে কাঁপছে গোটা দেশ। এ বছর ডেঙ্গু অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। স্বাস্থ্যখাতে সর্বগ্রাসী দুর্নীতির কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। এ বছর অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে ডেঙ্গু মৃত্যুদূত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু সংবাদই হচ্ছে এখন প্রধান শিরোনাম। প্রতিদিনই গড়ে প্রায় ২০ জন করে লোক মারা যাচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, নিম্নমানের কিট ও সরকারের উদাসীনতার জন্য আমরা জানি না কী পরিমাণ রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। আসল রোগীর সংখ্যা কত, তা সহজেই অনুমেয় যে কয়েক গুণ বেশি হবে। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গুকে আমরা চিনছি, জানছি। ২০১৮ সালে এসে তা বিভীষিকাময় রূপ দেখায়। ২০১৮ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৬ জন, ২০১৯ সালে ১৭৯ জন, ২০২০ সালে ৭ জন। ২০২০ সালে করোনায় যে পরিমাণ মানুষ মারা গিয়েছিলেন, তার হিসাব রাখাই ছিল দায়। ২০২১ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান ১০৫ জন, ২০২২ সালে ২৮১ জন আর ২০২৩ এখন পর্যন্ত ৭১৬, আর কত?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাসপাতালে রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে না, আবার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে মানুষ। লাশের সারি প্রতিদিনই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। শিশুরা মারাত্মকভাবে ঝুঁকিতে, মৃতের একটা বড় অংশ শিশু।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধুমাত্র সরকারের দুর্নীতি ও অবহেলার কারণে এই রোগ এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম বৃদ্ধি যেমন, মশা মারার ওষুধ, স্প্রে, স্যালাইন; রোগ নির্ণয়ের কিটের অপ্রতুলতা ও নিম্নমানের জন্য ডেঙ্গু রোগ প্রকট রূপ নিয়েছে। ঢাকার বাইরে রোগ নির্ণয়ের কিট পাওয়া যাচ্ছে না। ডেঙ্গু প্রতিরোধের নামে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন হাজারও কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে। ২০১৯ সালেই টিআইবি ডেঙ্গু নিয়ে দুর্নীতির কথা বলেছিল। তারা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১৫টি সুপারিশ করেছিল, কিন্তু সম্প্রতি টিআইবি জানাচ্ছে তাদের সুপারিশ আমলে নেওয়া হয়নি। তাই এই ভয়াবহ অবস্থা।
সংবাদ সম্মেলনে মশাবাহিত এই জ্বরে প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকার দুই সিটির মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘শুধু ঢাকা সিটিতেই মশা নিধনে বাৎসরিক বাজেট প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা যা ক্ষমতাসীন দলের লোকজনই আত্মসাৎ করছে। ডেঙ্গু শুরু হওয়ার সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মেয়র পরিবারের প্রমোদ ভ্রমণেই প্রমাণিত হয় এই রোগ নিয়ে শাসকগোষ্ঠীর অবহেলা ও উদাসীনতা। মানবতাহীন অনির্বাচিত গণবিরোধী সরকার বলেই তারা জনস্বাস্থ্যের প্রতি ভ্রক্ষেপহীন। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও দুই মেয়রের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলর সদস্য ফরহাদ হালিম, বিএনপি স্বাস্থ্য সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, সহস্বাস্থ্য সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম ও পারভেজ রেজা, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, ড্যাব মহাসচিব আবদুস সালাম ও বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :দিল্লির এক সেলফিতেই বিএনপির রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের আশা ভেঙে গেছে।
রবিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দিল্লির একটা সেলফি দেখে বিএনপি নেতাদের চোখমুখ শুকিয়ে গেছে। রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আজকে লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক করেছেন। এই বুঝি ক্ষমতা আসে, মুয়ুর সিংহাসন। দিন যায়, মাস যায়, দেখতে দেখতে ১৫ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর। মানুষের মনে আস্থা রাখতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন কাকে দেখাবে? কে নিষেধাজ্ঞা দেবে? কে ভিসানীতি দেখাবে? এইসব আমরা ভয় পাই না। আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, ওদের তো নেতা নেই।’
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনুসের জন্য শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জনের স্বাক্ষরিত বিবৃতি দুই মিলিয়ন ডলার দিয়ে কেনা হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিবৃতির স্পেসটা কিনতে ২ মিলিয়ন ডলার লেগেছে। কোথায় থেকে পান এতো টাকা? শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে এগুলো চলছে?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম রাজনীতিতে যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে এটাই ভালো কাজ। এখানে যারা আসেন তারা সারাজীবন যুবলীগ করবে না। খারাপ যুবক আমাদের প্রয়োজন নেই। ভালো দুইজন অনেক ভালো। খারাপ ২০ জন অনেক খারাপ। খারাপরা নিজের অর্জনকে বির্সজন দেয়। খারাপ আচরণের জন্য আমাদের মানুষের কাছে ছোট করে। আমরা জনগণের দল, জনগণের সঙ্গে আছি, জনগণকে ভালোবাসি, আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক দল না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যুবলীগ রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে এক বৈশাখী ঝড়। নেত্রী কোনো ভুল করেননি। এখন পর্যন্ত যুবলীগ আন্দোলন সংগ্রামে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ। যুবলীগ এখন পর্যন্ত অন্য সংগঠনের অনুকরণীয়। ভালো কাজের প্রশংসা হওয়া উচিত। তাহলে আরও বেশি করে ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পাবে।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান ভালো বক্তব্য দেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতিতে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। গদবাধা কথা এখন আর কেউ শুনতে চায় না। কথা বলতে হবে, রাজনীতির বস্তুগত প্রস্তুতি, সুসংগঠিত প্রস্তুতির আলোকে, বঙ্গবন্ধু ও আমাদের নেত্রীর যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের আলোকে বব্তৃতা দিতে হবে।
যুবলীগের প্রশংসা করে কাদের বলেন, যুবলীগ ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ, আন্দোলন সংগ্রামে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সংগঠন। যুবলীগ অন্যান্য সংগঠনের কাছে অনুসরণীয়, অনুকরণীয়। যার যা প্রাপ্য তা স্বীকার করা উচিত। ভালো কাজের প্রশংসা পাওয়া উচিত।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ রাজধানীতে গণমিছিল ও সমাবেশ করবে বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
একই দিনে রাজধানীতে পৃথক দুটি শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের ব্যানারে পৃথক শান্তি সমাবেশকালে অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল করবেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী। উভয় কর্মসূচিই পালিত হবে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য-সন্ত্রাস ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, উত্তর বিএনপির গণমিছিলটি রামপুরাস্থ বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে আবুল হোটেল- মালিবাগ রেলগেট-মৌচাক- মালিবাগ মোড়-শান্তিনগর- কাকরাইল মোড়-নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হবে।
আর দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল কমলাপুর থেকে শুরু হয়ে পীরজঙ্গি মাজার- আরামবাগ- ফকিরাপুল মোড় হয়ে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাপ্ত হবে। দুটি গণমিছিলই দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে।
অপর দিকে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণার প্রায় দুই ঘণ্টা পর নিজেদের কর্মসূচি ঘোষণা করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। গত বুধবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ শীর্ষক কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
পূর্ব নির্ধারিত এই কর্মসূচি পালিত হবে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে। এতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
দু’দিন পর শান্তি সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। সংগঠনটির কর্মসূচি পালিত হবে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হলে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
আওয়ামী লীগের দুটি কর্মসূচিই বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে বরাবরই ভিন্নভাবে দেখে আসছে সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। শনিবারের কর্মসূচিকে ঘিরেও রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
এদিকে শুধু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নয়, একই দিনে কর্মসূচি পালন করবে বিএনপির সমমনা বিভিন্ন দল। বিকেল ৪টায় গণমিছিল করবে গণঅধিকার পরিষদ। রাজধানীর পুরানা পল্টনে, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই গণমিছিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপি নেতারা জানান, এখন থেকে সব কর্মসূচিতেই ভিন্নতা থাকবে। ধীরে ধীরে আন্দোলনের গতি বাড়বে। মধ্য সেপ্টেম্বরের পর থেকে ধারাবাহিক কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আন্দোলনের রূপরেখা সাজানো হচ্ছে। সরকারবিরোধী আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে এসব কর্মযজ্ঞের পাশাপাশি নেতাকর্মীকে সংগঠিত করতেও নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিতে যেসব এলাকায় সাংগঠনিক দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে, সেখানে দ্রুতগতিতে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এর বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলায় গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সংগঠনের কমিটি গঠনের কার্যক্রমও চলছে সমান গতিতে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি ও তার জোট আগামী নির্বাচন সামনে রেখে আন্দোলনের নামে যেভাবে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে, তাতে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে পদক্ষেপ নিচ্ছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগও আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থেকে এই সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে।
|
|
|
|
|
|
|