‘বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে’
জেলা প্রতিনিধি, ফেনী:
ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে আর আসবে না। ফ্যাসিবাদীদের দোসর আওয়ামীলীগ ও তাদের সহযোগীদের কবর রচিত হয়েছে। ফেনীর শহিদ মিনারে এবি পার্টির গণসমাবেশে এমনটি মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু।
রাষ্ট্র সংস্কার করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন মঞ্জু। শনিবার বিকেলে এবি পার্টি আয়োজিত গণসমাবেশে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষের উপস্থিতি ছিলেন।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এক হাজার সাতশত শহীদের লাশের ওপর নতুন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিবাদ আর ফিরে আসার সুযোগ নেই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। যার কারণে দেশে বিভিন্ন অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে বাংলার স্বাধীনচেতা জনগণ কখনো ভারতের আধিপত্যবাদ মেনে নেবে না। ভারত বিগত বন্যায় পানি ছেড়ে দিয়ে ফেনীবাসীকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। এখন ফেনীকে ভারতের অংশ বানানোর ষড়যন্ত্র করছে। এসব চক্রান্তে কোনো কাজ হবে না।
এসময় তিনি ফেনীতে শমশের গাজীর নামে সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা এবং ২০২৪-এর শহীদদের নামে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা এবং ফেনী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তিনি।
ফেনী জেলা এবি পার্টির আহ্বায়ক মাস্টার আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে ও ফেনী জেলা এবি পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সাজুর সঞ্চালনায় ফেনী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও সদস্য প্রকৌশলী শাহ আলম বাদল।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফেনী জেলা এবি পার্টির সেক্রেটারি অধ্যাপক ফজলুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন বাহার, যুগ্ম সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম কামরুল, অর্থ সম্পাদক মাস্টার শাহ আলম শাহীন সোলতানী, অফিস সম্পাদক মীর ইকবাল ভূঞা, সমাজসেবা সম্পাদক এবি সিদ্দিক ভূঞা, প্রচার সম্পাদক হাবিব মিয়াজী, নারীবিষয়ক সম্পাদিকা জাহানারা আক্তার মণি প্রমুখ।
|
জেলা প্রতিনিধি, ফেনী:
ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে আর আসবে না। ফ্যাসিবাদীদের দোসর আওয়ামীলীগ ও তাদের সহযোগীদের কবর রচিত হয়েছে। ফেনীর শহিদ মিনারে এবি পার্টির গণসমাবেশে এমনটি মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু।
রাষ্ট্র সংস্কার করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন মঞ্জু। শনিবার বিকেলে এবি পার্টি আয়োজিত গণসমাবেশে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষের উপস্থিতি ছিলেন।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এক হাজার সাতশত শহীদের লাশের ওপর নতুন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিবাদ আর ফিরে আসার সুযোগ নেই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। যার কারণে দেশে বিভিন্ন অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে বাংলার স্বাধীনচেতা জনগণ কখনো ভারতের আধিপত্যবাদ মেনে নেবে না। ভারত বিগত বন্যায় পানি ছেড়ে দিয়ে ফেনীবাসীকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। এখন ফেনীকে ভারতের অংশ বানানোর ষড়যন্ত্র করছে। এসব চক্রান্তে কোনো কাজ হবে না।
এসময় তিনি ফেনীতে শমশের গাজীর নামে সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা এবং ২০২৪-এর শহীদদের নামে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা এবং ফেনী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তিনি।
ফেনী জেলা এবি পার্টির আহ্বায়ক মাস্টার আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে ও ফেনী জেলা এবি পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সাজুর সঞ্চালনায় ফেনী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও সদস্য প্রকৌশলী শাহ আলম বাদল।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফেনী জেলা এবি পার্টির সেক্রেটারি অধ্যাপক ফজলুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন বাহার, যুগ্ম সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম কামরুল, অর্থ সম্পাদক মাস্টার শাহ আলম শাহীন সোলতানী, অফিস সম্পাদক মীর ইকবাল ভূঞা, সমাজসেবা সম্পাদক এবি সিদ্দিক ভূঞা, প্রচার সম্পাদক হাবিব মিয়াজী, নারীবিষয়ক সম্পাদিকা জাহানারা আক্তার মণি প্রমুখ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা অনলাইন: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন। এতে অংশ নিতে গিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় নাম না থাকায় ফিরে যান লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। বুধবার বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমি থেকে ফেরত যান তিনি।
এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এলডিপি আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল (অব.) অলি বলেন, বুধবার অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একটা বৈঠক হয়েছিল। যে কোনো কারণেই হোক আমরা সেখানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। যার জন্য সরকারের একজন উপদেষ্টা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এবং তিনি বলেছেন, আগামীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। সুতরাং এটা নিয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না।
এসময় অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেন, হাল শক্ত করে ধরুন। না হলে পরে আফসোস করার সময় পাবেন না। পুলিশ দায়িত্ব পালন না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানান কর্নেল ওলি।
এলডিপি সভাপতি বলেন, বর্তমান সরকারের অনেকে বেসামাল। দেশ সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য আগে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সরকারের বিভিন্ন পদে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পদায়ন করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এভাবে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত হবে না। যারা স্বৈরাচারীকে নিরাপদে থাকার সুযোগ করে দেয় তারা বাংলাদেশের বন্ধু নয়।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত আওয়ামী লীগকে ‘অস্ত্র হিসেবে’ ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ভারত সব সময় আওয়ামী লীগের চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখেছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ‘জনগণের সঙ্গে জনগণের’ নয় বা ‘রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের’ নয় বরং ‘ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের’ সম্পর্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের জনগণের বিমাতাসূলত সম্পর্ক নেই। বরং ভারতের সরকার দেড়যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আওয়ামী লীগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমাদের অস্বস্তি সেই জায়গায়।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক কিছু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে সব জায়গায়। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনে হামলা হয়েছে, সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে বিশ্ব গণমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা অনিরাপদে রয়েছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সংস্কার কমিশনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা মাঠের বর্তমান পরিস্থিতি তাকে জানানোর চেষ্টা করেছি।’
হাসনাত বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় করা ‘অসম চুক্তি’ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ফেলানীসহ সীমান্তে যতগুলো হত্যা হয়েছে, সেগুলোর বিচার নিশ্চিত এবং পানির ন্যায্য হিস্যা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক যাতে ন্যায্যতার ভিত্তিতে হয় এবং তাতে মর্যাদা থাকে—এমন কথাও বলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। মানুষ মনে করে, দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানা উচিত। সেই কথাটি প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি।’
ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কটি যেন জনগণের সঙ্গে জনগণের, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের হয়। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতার প্রশ্নে বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলামনারা এক সঙ্গে লড়াই করব। ভারত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগকে নির্ভর করে যে অন্যায্য সম্পর্ক তৈরি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যদি মনে করেন আবারও এ ধরণের অন্যায্য সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন, তাহলে ভ্রান্তির মধ্যে আছেন। বর্তমান সরকার জনগণের রায়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এসেছে। আওয়ামী লীগের দৃষ্টিতে না দেখে, জনগণের দৃষ্টি দিয়ে সরকারের সঙ্গে ন্যায্যতার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। কোন কারণে সম্পর্ক খারাপ হলে অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্বার প্রশ্নে একহাত, একচুল পরিমাণ ছাড় দেব না।’
|
|
|
|
খুলনা ব্যুরো: জামায়াতে ইসলামীর আমী ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করতে উসকানি দিচ্ছে। তবে সেই ফাঁদে কোনোভাবেই পা দেওয়া যাবে না। যতই ষড়যন্ত্র হোক তা ব্যর্থ করতে হবে। দেশ এখনো জঞ্জাল ও স্বৈরাচারমুক্ত হয়নি। তাই জাতীয় প্রয়োজনে জনগণের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
ডা. শফিক বলেন, যতই ষড়যন্ত্র হোক তা ব্যর্থ করতে হবে। সব জাতীয় ইস্যুতে জনগণের ইস্পাত কঠিন ঐক্য প্রয়োজন। এ দেশ কারও একার নয়, দেশ সবার। দেশ এখনো পনের বছরের জঞ্জালমুক্ত হয়নি।
রোববার সকালে খুলনার খানজাহান আলী থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় ইস্টার্ন জুট মিলস শ্রমিক ময়দানে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মর্যাদাশীল দেশ গড়ার কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পরনির্ভরশীল নয়, কৃষি ও শিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে দেশ গড়া প্রয়োজন। প্রভু নয়, বন্ধু প্রতিবেশী রাষ্ট্র চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো আগ্রাসী হাত আমরা দেখতে চাই না।
জামায়াত আমির আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের দুটি দেশপ্রেমিক সংস্থাকে ধংস করেছে। প্রথমেই তারা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এরপর জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়ে ও কারাগারে রেখে তিলে তিলে হত্যা করে। কিন্তু তাদের সে অত্যাচার-নির্যাতনের জবাব এদেশের শান্তিকামী ছাত্র-জনতা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দিয়েছে।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করতে উসকানি দিচ্ছে। তবে সেই ফাঁদে কোনোভাবেই পা দেওয়া যাবে না। যতই ষড়যন্ত্র হোক তা ব্যর্থ করতে হবে। দেশ এখনো জঞ্জাল ও স্বৈরাচারমুক্ত হয়নি। তাই জাতীয় প্রয়োজনে জনগণের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
ফ্যাসিস্ট সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিগত পনের বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে কারাগার বানিয়েছিল। তাদের মতের ন্যূনতম বাইরে গেলে সাধারণ জনগণকে খুন, গুম, নির্যাতন ও জেল জুলুম দেওয়া হতো।
খানজাহান আলী থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটোর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি গাজী মোর্শেদ মামুনের পরিচালনায় এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা অনলাইন:
ভারতে যাওয়ার সময় ইসকনের ৭০ ভক্তকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভারতে যাওয়ার জন্য বেনাপোল ইমিগ্রেশ গেলে কর্তৃপক্ষ তাদের ফেরত পাঠায়।
ইসকন সদস্যরা শনিবার সন্ধ্যায় এবং রোববার সকালে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য বেনাপোলে আসেন। শনিবার দিনভর এবং আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষার পর ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ইসকন সদস্য সৌরভ তপন্দার চেলী বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। ভারত যাওয়ার অনুমতি নেই বলে ইমিগ্রেশন ফেরত পাঠিয়েছে।
তবে ভারত যেতে বেনাপোলে আসা এক ইসকন ভক্তরা জানান, ধর্মীয় আচার পালন করতে তারা ভারতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই তাদেরকে ইমিগ্রেশন থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সন্দেহজনক যাত্রা মনে করে তাদের ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা অনলাইন:
স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার করে স্ত্রীর ওড়না নিজের গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায়। নিহত স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৯টায় উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের পালগাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কামরুল ইসলাম (৩৫) ও তার স্ত্রী রত্না বেগম (৩০)। মৃত স্ত্রী রত্না উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের পালগাঁও গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে এবং কামরুল একই উপজেলার বর্ত্তা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের জন্য রত্নাকে নিয়ে কামরুল ইসলাম নিজ বাড়ি থেকে শুক্রবার দুপুরে শশুর বাড়ি আসেন। রাতের খাবার শেষে তাদের বড় ছেলেকে নানির কাছে রেখে তারা পাশের অন্য একটি ঘরে ঘুমাতে যান। রাত ১০টায় ছেলে কান্না শুরু করলে নানি মনোয়ারা বেগম ওই ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। দরজা না খোলায় সন্দেহ হয়। পরে দরজা ভেঙে ঘরের মেঝেতে রত্নার রক্তাক্ত লাশ ও গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় কামরুলের লাশ দেখতে পায় লোকজন।
স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত করর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) হুমায়ুন কবীর জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে কাজ করছে পুলিশ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
দীর্ঘ সাড়ে ৬ বছর পর যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠক করবেন তিনি।
স্ত্রী রাহাত আরা বেগমসহ শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে বিএনপি মহাসচিবের। সেখানে তারা ১০ দিন অবস্থান করবেন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি দুইবার লন্ডন গিয়েছিলেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন ও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এবারই প্রথম সরাসরি লন্ডনে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল।
মূলত বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার আগ্রহে দলীয় এবং রাজনৈতিক কাজে লন্ডন সফরে যাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব। এরই মধ্যে তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি সভাও করেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি। তার সম্মানে কয়েকটি কর্মসূচিও করার কথা রয়েছে।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে , দেশের চলমান পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ চারটি ইস্যুতে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব। এগুলো হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন, সব দলের মতামতের ভিত্তিতে প্রণীত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখাকে অধিকতর প্রচারণা ও কার্যকর করা এবং চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে আরও গতিশীল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা।
বিএনপির নেতারা বলছেন, এগুলোই এখন দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে পর বিএনপিসহ বিরোধী দলের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। ফলে তৎকালীন সরকারের দমননীতির কারণে বিদেশে যেতে পারেননি মির্জা ফখরুল। পাশাপাশি একাধিকবার কারাবরণসহ নানা কারণে বিদেশে যেতে পারেননি। যে কারণে তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি দেখা হয়নি তার।
বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও তার দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দরকার, এটা সত্য। তার অবর্তমানে দলের ভেতরে কোনো সংকট তৈরি হয় কি না, সেটিও ভাবনার বিষয়। আবার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে রায় হিসেবে সাজাও দেওয়া হয়েছে। অবশ্য ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর এরই মধ্যে কয়েকটি মামলায় তিনি খালাসও পেয়েছেন। এখন তিনি কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন, তা-ও নিশ্চিত নয়।
পাশাপাশি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সব দলের মতামতের ভিত্তিতে প্রণীত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখাকে অধিকতর প্রচারণা ও কার্যকর করা অত্যাবশ্যক। একই সঙ্গে নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে আরও গতিশীল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব কারণেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যুক্তরাজ্য সফরটি গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপি সূত্র জানায়, বিএনপি মহাসচিব দেশে ফেরার পর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন যেতে পারেন ১৩ ডিসেম্বর। সেজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া প্রথমে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা করাবেন। এরপর সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রেও যেতে পারেন। আমেরিকার ভিসার জন্য গত বুধবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্টও দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ জানান, তারা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে স্বাগত জানাতে সকালে বিমানবন্দরে যাবেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির উদ্যোগে আগামী ৩ ডিসেম্বর বিকেলে রয়েল রিজেন্সিতে ‘বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য ও সাম্প্রতিক বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হ*ত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে আজ শুক্রবার বাদ জুম’আ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে হেফাজতে ইসলাম। হেফাজতের ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখা এ বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জামিয়া রাহমিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব।
নেতারা বৈঠকে বলেন, দেশের পরাজিত শক্তি হিন্দুদের একটি অংশকে ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই দেশকে অস্থিতিশীল করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে ইসকন। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে যেভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছে তাকে গৃহযুদ্ধ বাধানোর অপপ্রয়াস ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে?
বৈঠকে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি এবং চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পতিত ফ্যাসিবাদী ও তাদের প্রভুদের পাতানো সাম্প্রদায়িক উস্কানির ফাঁদে পা না দিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান হেফাজত ইসলামের নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা জালালুদ্দীন, মুফতি বশিরুল্লাহ, মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমী, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা মহিউদ্দিন মাসুম, মাওলানা জুবায়ের আহমাদ, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মুফতী কামাল উদ্দীন, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা শরিফ উল্লাহ, মুফতী আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মাওলানা শরিফ হোসাইন এবং মাওলানা বশিরুল হাসান প্রমুখ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী ঘরানার সাংবাদিকদের সদস্যপদ বাতিলের প্রতিবাদ করে তাদের পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর এক পত্রে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার কর্তৃক জাতীয় প্রেস ক্লাবে আমাকে অপদস্ত ও গ্রেফতারের সময় আমার সহযোগি হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, আসাদুজ্জামান আসাদ ও শামসুল হক দুররানী আমার সঙ্গে ছিলেন। এর মধ্যে আসাদুজ্জামান আসাদ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ছিলেন। অথচ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদেরকে অপদস্তকারী দেখিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি বিশ্বাস করি, গত ২৪ নভেম্বর নির্বাহী সভার অভিযোগ প্রত্যাহার করে তাদের তিন যুগের অধিক সদস্যপদ পুনর্বহাল করবেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্তৃক যাদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বাসসের সাবেক সাংবাদিক (আওয়ামী আমলে বাসস থেকে বিতাড়িত) আসাদুজ্জামান আসাদ ও দৈনিক নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শামসুল হক দুররানী। এছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৪ বারের সাধারণ সম্পাদক ও ২ বারের সভাপতি, বিএফইউজের ৮ বছর শীর্ষ পদাধিকারী এবং বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের সদস্যপদও স্থগিত করা হয়েছে।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জে বিচারপ্রার্থী মায়েদের জন্য মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র ও প্রার্থনা কক্ষের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার বিকালে সুনামগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেমায়েত উদ্দিন সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নীচতলাড নির্মিত মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র ও প্রার্থনা কক্ষের ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন।
বিচার প্রার্থী মায়েদের ব্রেস্টফিডিং ও নামাজের কথা চিন্তা করে বিচার বিভাগের উদ্যোগে মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র ও প্রার্থনা কক্ষটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়। আদালতে আসা বিচার প্রার্থীদের ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র ও প্রার্থনা কক্ষটি নির্মাণ করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) হাবিবউল্লাহ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন কবির, অতিরিক্ত জেলাজজ ঝলক রায় সহ উভয় আদালতের বিচারকগণ।
|
|
|
|
হালিমা খানম, স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের সবকিছু সংস্কারের দায়িত্ব অন্তর্বতী সরকারকে দেয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া। বুধবার ২৭ নভেম্বর দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেলিম ভূইয়া বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বিএনপি অন্তবর্তী সরকারকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে। কারণ বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা। এজন্য বিএনপি সেই দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন নির্বাচন চায়। তাই এই সরকারকে দ্রত নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন নিয়ে আর বিলম্ব করা যাবে না। নির্বাচন বিলম্ব করে শেখ হাসিনার মত ষড়যন্ত্র করার পায়তারা করতে দেবে না বিএনপি। দেশে যেই সংস্কার প্রয়োজন তা জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা করবে। সবকিছু সংস্কারের দায়িত্ব অন্তর্বতী সরকারকে দেয়া হয়নি। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার! জনতার আবরণে ছিলো বিএনপি। বিএনপি ছাত্রদের সবকিছু দিয়ে সহায়তা করেছে। ছাত্ররা একপর্যায়ে মাঠে যখন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না, তখন বিএনপি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে বিএনপি। সেদিন শেখ হাসিনা যদি না পালাতো তাহলে তাকে রাজপথে পাথর নিক্ষেপ করে মারা হতো। সেই সরকারের দোসররা এখন পতনের পর বিএনপির নানান পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিএনপিকেও বিতর্কিত করতে চাচ্ছে। বিএনপি জনগণের দল, এই দলে হাইব্রিডদের জায়গা নেই।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আহবায়ক কমিটির সদস্য কবির আহমেদ ভূইয়া। আখাউড়া শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজে আয়োজিত সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন আব্দুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাক মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল মান্নান, সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে দীর্ঘ ১৫ বছর পর সম্মেলন হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে যোগ দেয়।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
ঢাকায় আমেরিকান দূতাবাসে গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ২ টা ২২ মিনিটে তার নিজ বাসভবন ফিরোজা থেকে দূতাবাসে যান তিনি।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
বিএনপির একটি সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করেন।
আমেরিকার ভিসার জন্য ফিঙ্গার দিতে তিনি আমেরিকার দূতাবাসে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
চীন সফরে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীসহ আরও ৪টি ইসলামি দলের একটি প্রতিনিধি দল। এ সফরে জামায়াতের সাথে থাকছে ছাত্রশিবিরের ১০ নেতাসহ ১৪ সদস্যের একটি দল। প্রনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে চীনের ক্ষমতাসীন দল চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে এসব রাজনৈতিক দলের নেতারা চীনের উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে জানা গেছে। প্রতিনিধিদলটি আগামী ৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবে বলে জানা গেছে।
জামায়াতসহ কোনো ইসলামি দলের নেতাদের চীনের ক্ষমতাসীন দলের আমন্ত্রণে সে দেশে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
এ সফরে যারা যাচ্ছেন- জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটি এম মাছুম, রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জোবায়ের ও মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল ও মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিমউদ্দিন, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক শামসুল আরেফিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের (একাংশ) আমির মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইজহার ও হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে সে দেশ সফর করে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দলের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপনের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদলটি ১৬ নভেম্বর দেশে ফিরেছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
চট্টগ্রামের তরুণ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার ‘শোককে সম্প্রীতির শক্তিতে বলিয়ান’ করতে ঢাকায় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ২টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শোক ও সম্প্রীতি সমাবেশ করবে সংগঠনটি। মঙ্গলবার রাত ১১টায় সংগঠনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
পোস্টে বলা হয়, আমাদের শহীদ ভাইয়ের শোককে আমরা সম্প্রীতির শক্তিতে বলিয়ান করবো। পোস্টে একটি পোস্টার সংযুক্ত করা হয়, যাতে বলা হয়েছে, উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের হাতে শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের জন্য দুপুর ২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শোক ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় পাতাকা অবমাননার ঘটনায় করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। ওইদিন রাতেই কড়া নিরপত্তায় তাকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়।
পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-৬ এর কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে শান্ত থাকুন। নিরীহ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোষ্টে এসব কথা বলেন অন্তর্র্বতী সরকারের এই উপদেষ্টা।
মাহফুজ আলম বলেন, সরকার দ্রুতই সব রাষ্ট্রদ্রোহী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
এর আগে সোমবার এক পোস্টে মাহফুজ বলেছিলেন, অনেক মিত্রই আজ হঠকারীর ভূমিকায়। আমরা আমাদের ব্যর্থতা স্বীকার করি। আমরা শিখছি এবং ব্যর্থতা কাটানোর চেষ্টাও করছি। আমরা আরও চেষ্টা করব সবাইকে নিয়ে এগোনোর। কিন্তু হঠকারিতা এবং ছাত্রদের অন্যায্যতার চেষ্টা জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
প্রসঙ্গত, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র, পুণ্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এদিকে সোমবার বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেন। পরে রাতে ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয় থেকে চিন্ময় কৃষ্ণকে চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। সেখান থেকে মঙ্গলবার সকালে বিশেষ নিরাপত্তায় চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হয়।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক ইমন খান জীবনকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে হামলার মামলায় গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে নারায়নগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, ১৫ জুলাই বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে ঢাবির শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করার জন্য বের হয়। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় নিষিদ্ধ সংঘঠন ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আক্রমণকারীরা ককটেল বিস্ফোরণসহ দেশি-বিদেশি অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায়। এ সময় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিন বাদী হয়ে ২১ অক্টোবর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, তদন্তাধীন এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ওই মামলার আসামি ইমনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
|
|
|
|
|
|
|