|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়িচালককে মারধর: জবি ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষারের ব্যক্তিগত গাড়িচালককে মারধরের ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হল।’
বিজ্ঞপ্ততিতে ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতর কোনো কারণ বর্ণনা করা হয়নি। এ বিষয়ে সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানায়, রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়ি চালককে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের লোকজনই মারধর করেছে। তাই আপাতত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।
গত রবিবার ওয়ারিতে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের কাছে কৌশিক সরকার সাম্য নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়ি চালককে মারধর করে। সোমবার সন্ধ্যায় ওয়ারী থানায় অভিযুক্তসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী চালক নজরুল ইসলাম।
পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড়ে অবস্থিত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মীদের দিয়ে চাঁদাবাজির করার ঘটনার সিসি টিভির ফুটেজ বের হওয়ার ঘটনাও সামনে আসছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আরেক সহ সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘ইব্রাহীম ও আকতারকে সভাপতি সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই পুরান ঢাকায় লুকিয়ে তারা বেপরোয়া ভাবে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সিসি টিভির ফোটেজ তো সবার কাছেই আছে।’
সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, জবি ছাত্রলীগের সভাপতির কর্মী সাইদুল ইসলাম সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের কর্মী মো. মাসুদ রানা প্রতি মাসে চাঁদা দেয়ার রফাদফা করতে মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে হুমকি ধামকির পর বের হয়ে আসে।
এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা নারী হেনস্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে থাপ্পড় মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ সত্য প্রতীয়মান হওয়ায় একই শিক্ষাবর্ষের ও ওই বিভাগেরই দুই শিক্ষার্থী মো. খায়রুল ইসলাম ও মফিজুল্লাতে (রনি) সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির অনুসারী। গত ১৯ জুন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের কর্মী মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান একই বিভাগের এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও প্রশাসন এবং ওই ছাত্রীকে চাপ প্রয়োগ ও হুমকি-ধামকি দিয়ে ঘটনাটির রফাদফা করা হয়।
তিন বছর পর গত ২ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়। আগামী এক বছরের জন্য ইব্রাহিম ফরাজীকে সভাপতি এবং আকতার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। অভিযুক্ত কৌশিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের গ্রুপের কর্মী বলে পরিচিত।
কৌশিক ফেসবুক বায়োডাটায়ও নিজেকে শাখা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফেসবুক ওয়ালে সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঙ্গে তার ছবি ছাড়াও নিয়মিত ছাত্রলীগ-কেন্দ্রিক পোস্ট শেয়ার করতে দেখা যায়।
এর আগেও ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘প্রেমঘটিত’ কারণে মারামারির জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
|
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষারের ব্যক্তিগত গাড়িচালককে মারধরের ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হল।’
বিজ্ঞপ্ততিতে ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতর কোনো কারণ বর্ণনা করা হয়নি। এ বিষয়ে সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানায়, রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়ি চালককে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের লোকজনই মারধর করেছে। তাই আপাতত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।
গত রবিবার ওয়ারিতে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের কাছে কৌশিক সরকার সাম্য নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়ি চালককে মারধর করে। সোমবার সন্ধ্যায় ওয়ারী থানায় অভিযুক্তসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী চালক নজরুল ইসলাম।
পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড়ে অবস্থিত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মীদের দিয়ে চাঁদাবাজির করার ঘটনার সিসি টিভির ফুটেজ বের হওয়ার ঘটনাও সামনে আসছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আরেক সহ সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘ইব্রাহীম ও আকতারকে সভাপতি সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই পুরান ঢাকায় লুকিয়ে তারা বেপরোয়া ভাবে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সিসি টিভির ফোটেজ তো সবার কাছেই আছে।’
সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, জবি ছাত্রলীগের সভাপতির কর্মী সাইদুল ইসলাম সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের কর্মী মো. মাসুদ রানা প্রতি মাসে চাঁদা দেয়ার রফাদফা করতে মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে হুমকি ধামকির পর বের হয়ে আসে।
এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা নারী হেনস্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে থাপ্পড় মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ সত্য প্রতীয়মান হওয়ায় একই শিক্ষাবর্ষের ও ওই বিভাগেরই দুই শিক্ষার্থী মো. খায়রুল ইসলাম ও মফিজুল্লাতে (রনি) সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির অনুসারী। গত ১৯ জুন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের কর্মী মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান একই বিভাগের এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও প্রশাসন এবং ওই ছাত্রীকে চাপ প্রয়োগ ও হুমকি-ধামকি দিয়ে ঘটনাটির রফাদফা করা হয়।
তিন বছর পর গত ২ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়। আগামী এক বছরের জন্য ইব্রাহিম ফরাজীকে সভাপতি এবং আকতার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। অভিযুক্ত কৌশিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের গ্রুপের কর্মী বলে পরিচিত।
কৌশিক ফেসবুক বায়োডাটায়ও নিজেকে শাখা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফেসবুক ওয়ালে সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঙ্গে তার ছবি ছাড়াও নিয়মিত ছাত্রলীগ-কেন্দ্রিক পোস্ট শেয়ার করতে দেখা যায়।
এর আগেও ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘প্রেমঘটিত’ কারণে মারামারির জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক পদ্মা সেতু নিয়ে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের দেয়া একটি স্ট্যাটাস রাজনীতিতে কৌতূহল তৈরি করেছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন সন্ধ্যায় ফেসবুকে দেয়া তার স্ট্যাটাসটি এ পর্যন্ত শেয়ার হয়েছে ১ হাজার নয়শ’ বার। এতে এখন পর্যন্ত আড়াই হাজার মানুষ মন্তব্য করেছেন। প্রতিক্রিয়া পড়েছে ৩৫ হাজার।
ওই স্ট্যাটাসে জামায়াতের আমীর লিখেছেন, ‘যুগ-যুগ ধরে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সাথে যাতায়াত ও যোগাযোগে সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করে আসছিলেন। এমনকি মাঝে-মধ্যে ঢাকার উদ্দেশ্যে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা লোকদের কারও কারও মৃত্যু ফেরিঘাটেই হয়েছে। চিন্তা করলে যা খুবই হৃদয়বিদারক। আজ তাদের সে কষ্টের অনেকখানিই অবসান হলো। মহান রবের দরবারে এজন্য শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ। সেতু নির্মাণে যার যেখানে যতটুকু অবদান কিংবা ভালো-মন্দ, তার বিচারের ভার জনগণের ওপর।
পৃথিবীতে যা কিছুই কল্যাণকর হয়, তার জন্য মহান প্রভুর শুকরিয়া আদায় করাই হচ্ছে মানুষের দায়িত্ব।
আর মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞচিত্ত মানুষ বিনয়ী হয়। বিনয় হলো- ভালো মানুষের পোশাক। মহান আল্লাহ্র দরবারে দোয়া করি- জনগণের ভ্যাট, ট্যাক্সের অর্থ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের আর্থিক ও কারিগরি অংশগ্রহণে যে সেতু তৈরি হলো, তা জনগণের কল্যাণে নিবেদিত হোক। কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান, যানবাহনে উচ্চ হারের টোল যেন তাদের পুনর্বিবেচনায় স্থান পায়।’
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জামায়াতের আমীরের এই স্ট্যাটাসে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নেই। তবে রাজনীতিতে দলটির অবস্থান পরিবর্তনের কিছু ইঙ্গিত এতে রয়েছে কিনা তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। জামায়াতের বর্তমানে নিবন্ধন নেই। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শীর্ষ নেতাদের বেশির ভাগেরই মৃত্যুদণ্ড ইতিপূর্বে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় স্বভাবতই দলটির নেতারা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পাননি। অন্যদিকে, বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেও যাননি। বরং দলটির অনেক নেতাই সেতুটি নির্মাণের অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছেন। এই পরিস্থিতিতে ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্য জামায়াতের একটি স্বতন্ত্র অবস্থানের ইঙ্গিত করে। এমনিতে অনেকদিন ধরেই বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। অনেকেই বলছেন, দল দু’টির মধ্যে এখন সে অর্থে যোগাযোগ নেই। জোটও রয়েছে নামকাওয়াস্তে। এর আগে জামায়াত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এটা নিশ্চিত করেছিল যে, কোনো জোটে সম্পৃক্ত না থাকার ব্যাপারে একধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত। এক্ষেত্রে দলটি স্বতন্ত্রভাবে এগুনোর চেষ্টা করবে। যদিও নির্বাচনী রাজনীতি থেকে দূরে থাকার ব্যাপারেও জামায়াতের ভেতরে একধরনের প্রবল মত রয়েছে।
ডা. শফিকুর রহমানের স্ট্যাটাসের ব্যাপারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগরের বেশির ভাগ নেতা কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দুই জন নেতা এ ব্যাপারে বলেন, এটি আমীরে জামায়াতের বক্তব্য। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা উচিত হবে না।
জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ এ প্রসঙ্গে বলেন, আমীরে জামায়াত আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করেছেন। এ সেতুতে বাংলাদেশের মানুষের সবারই অবদান রয়েছে। তিনি যেটা বলেছেন, আমাদের সংগঠনের কালচারই হচ্ছে আমরা যা কিছু ভালো করতে সক্ষম হবো তার শুকরিয়া আদায় করবো। এই হিসেবে সেতুর বিষয়ে তার মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। এতে কোনো রাজনীতি নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে রাজনৈতিক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জামায়াত। তারপরও পদ্মা সেতু নিয়ে জামায়াতের আমীর সুন্দর লিখেছেন। রাজনৈতিক মতভেদ, বিরোধিতা ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সরকারের অনিয়ম ও ভুল শাসনের সমালোচনা করার পাশাপাশি ভালো কাজের কিছু প্রশংসা করলে কিন্তু মর্যাদা নষ্ট হয় না। একটা সরকার তো আর সবই খারাপ করে না। কিছু ভালো কাজও করে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক আওয়ামী লীগ কাজ বেশি করে, কথা কম বলে। আর মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপির নেতারা কথা বেশি বলে, কিন্তু কাজ করে না। বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, এটাই আমাদের আদর্শ।
সোমবার (২০ জুন) রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আদাবর থানা এবং এর অন্তর্গত ৩০ ও ১০০ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারারাত ঘুমাতে পারেননি। তিনি সারারাত জেগে থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সব সংস্থাকে নির্দেশ করেছেন বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। শুধু তাই নয়, দলীয় নেতাকর্মী ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের রাতের বেলায় নির্দেশ করেছেন- এক মুঠো খাবার নিয়ে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াও। এখনও সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
‘আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যস্ত’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটা বাড়ি একটা ক্যাম্পে পরিণত হয়েছে। সেখানেই বানভাসিদের জন্য তারা রান্না করছে। নৌকা দিয়ে সেই খাবার বানভাসি মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিচ্ছে। অথচ বিএনপির নেতারা ‘এসি’ রুমে বসে সরকারের এবং আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে। ঠিক একইভাবে মহামারি করোনাকালেও তারা মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেছিল। আসলে বিএনপির নেতাদের লজ্জা নেই।
তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- এই পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সরকার করে যেতে পারবে না, কেউ পদ্মা সেতুতে উঠবেন না, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে, যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। আরো অনেক ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে। কী মুর্খ এক প্রধানমন্ত্রী ছিল এই দেশে।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ওই বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। যদি তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হয়ে যাবে। এদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মাসেতু যাতে উদ্বোধন না হয় সেজন্য একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।
আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শামীমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাদেক খান প্রমুখ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু। প্রায় ঘণ্টাখানেক ভোট গণনা বন্ধ থাকার পর বুধবার রাত সাড়ে ৯টার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী ১০৫ কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাতকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করেন।
ফলাফল ঘোষণার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘ আমি পুরোপুরিভাবে এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। এ বিষয়ে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব। আমার হিসাবে ৯৮০ভোটে এগিয়ে ছিলাম। শেষ মুহূর্তে ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘ইভিএমে যেহেতু নির্বাচন হয়েছে, ফলাফল ঘোষণায় তাহলে এতো দেরি কেন করলো। এতেই প্রমাণিত হয় ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন ফলাফল ঘোষণা নিয়ে শেষ সময়ে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার রাত ৯টার পর কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অতিরিক্ত পুলিশ প্রবেশ করে। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জও করে। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়েছেন।রিফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হয়।
|
|
|
|
ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সংলাপ করবে কৃষক শ্রমিক পার্টি কেএসপি’র সভাপতি লায়ন সালাম মাহমুদ নেতৃত্বাধীন ৩৫ দলীয় যুক্তফ্রন্ট। শনিবার বিকেলে ধানমন্ডি ৩নং রোডস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংলাপে আমন্ত্রণের জন্য আবেদনপত্র জমা দেয়া হয়েছে। সংলাপে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা, পরিবেশ ও জলবায়ুসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সংলাপ করা হবে।
কৃষক শ্রমিক পার্টির সভাপতি, ৩৫ দলীয় যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান লায়ন সালাম মাহমুদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, যুক্তফ্রন্টের মহাসচিব একেএম জুনাইদ, যুক্তফ্রন্টের উপদেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষক ব্যারিস্টার জাহানারা ইমাম, বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনের সভাপতি বিপ্লবী কবিরত্ন মুহম্মদ আবদুল খালেক, যুক্তফ্রন্ট এর সমন্বয়ক ড. মোজাহেদুল ইসলাম মুজাহিদ এর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের শরীক ৩৫টি পার্টির চেয়ারম্যানবৃন্দ সহ ৪০জনের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা’র সাথে সংলাপে অংশগ্রহণ করবে।
কৃষক শ্রমিক পার্টির সভাপতি, ৩৫ দলীয় যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান লায়ন সালাম মাহমুদ এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র আমন্ত্রণে ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর গণভবনে সংলাপে অংশগ্রহণ করে। সরকার গঠনের পর ২০১৯ সালের ২রা ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র আমন্ত্রণে গণভবনে চা-চক্রে অংশগ্রহণ করে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান লায়ন সালাম মাহমুদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল।
|
|
|
|
মো: আফজাল হোসেন, ভোলা:
আওয়ামী লীগে খারাপ ও ভাড়া করা লোকের দরকার নেই। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দলকে রক্ষা করতে হবে। দুষিত রক্ত ফেলে দিতে হবে, মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতাদের দলে দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল বিকেলে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে ভার্চুয়ালী অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। কাদের বলেন, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ-মাদকসেবী ও বিক্রেতা এই ধরনের লোক আওয়ামী লীগের নেতা হতে পারে না। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি। এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে স্বাধীন বাংলা হত না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে, যা আমাদের আনন্দের দিন। এটা শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেই সম্ভব হয়েছে।
ভোলা সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষীক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লার সভাপতিত্বের সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সিনিয়র সদস্য, পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মো: আফজাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, ভোলা-৩ আসনের এমপি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি, এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী, এমপি আলী আজম মুকুল, ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব প্রমূখ।
এদিকে বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন ব্যানার নিয়ে অংশ গ্রহন করে নেতা-কর্মীরা। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তারা এসে অংশ গ্রহন করেন।
ফজলুল কাদের মজনু মোল্লাকে সভাপতি ও মইনুল হোসেন বিপ্লবকে সাধারণ সম্পাদক করে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের তিন বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন।
|
|
|
|
জামিল আহমেদ: ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা বলেন, লালবাক্স হাতে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পাশে হাটতে হাটতে গিয়ে বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কোনদিনও জাতি ক্ষমা করবে না। তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ও কালো টাকার মালিকদের পক্ষ নিয়েছেন। অথচ এ বিষয় সংসদে কেউ কথা বলছেন না। যারা ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যেতে চায় তারাও তাদের লাল পাসপোর্ট রক্ষা করার জন্য সংসদে বসে আছেন। সংসদ থেকে বেরিয়ে আসুন। তারপর জনগণের কথা বলুন।
এ মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, জাতির দুর্ভাগ্য। যারা যখন ক্ষমতায় থাকে তখন তারা তাদের নিজেদের আখের গুছাতে থাকে। জনগণের পক্ষে রাজনীতি কেউ করতে চায় না। তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রয়াত নেতা আনোয়ার জাহিদ বলেছিলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব- যাকে খুশি তাকে দেব’ আমরাও এই স্লোগানকে বিশ্বাস করি। যখন জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে তখনই আমরা ভোটে অংশগ্রহণ করবো। এখন করবো কি না সে সময় এখনও আসেনি। তিনি বলেন অর্থমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, তা না হলে ভবিষ্যতে তার এই বক্তব্যের জন্য আদালতের কাটগড়ায় তাকে দাড়াতে হবে।
তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আরো বলেন, আমরা আগেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছি। আজও এই প্রতিনিধি সভায় তার নিঃশর্ত মুক্তি চাচ্ছি। যদি সংসদ সদস্য হাজী সেলিম আদালতের মামলা থাকাকালীন অবস্থায় বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারে তবে খালেদা জিয়া নয় কেন? বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ভুল না করে দ্রুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি করেন।
শনিবার এনডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জননেতা আনোয়ার জাহিদ মিলনায়তনে প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পার্টির মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমুন নাহার মিনতি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ প্রিন্স, ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহিম, অর্থ সম্পাদক এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া, সহকারী মহাসচিব আশরাফুজ্জামান খোকন, দপ্তর সম্পাদক আর কে রিপন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ডা. আছমা আক্তার মৌসুমী, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ নাইম ইবনে শরীফ, মোঃ এ জে আলমগীর, সালমা আক্তার, ঝর্না রহমান, মায়াবী কাজল, গোলাম ফরিদ উদ্দিন, মোঃ ফারুক সিকদার হাসু সহ প্রমুখ।
সভা শেষে ১২ জুন এনডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, প্রখ্যাত সাংবাদিক জননেতা আনোয়ার জাহিদের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।
|
|
|
|
মাসুম তালুকদার: ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের শিক্ষাবান্ধব, ব্যবসাবান্ধব, জনকল্যাণমূলক, উন্নয়নমুখী বাজেট প্রনয়ণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এর নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ সংলগ্ন এলাকায় যুবলীগ আনন্দ মিছিল করেছে। মিছিল ও সমাবেশের নেতৃত্ব দেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। মিছিল ও সমাবেশে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান।
এসময় যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট। করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এত বড় বাজেট দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখছেন। এ বাজেট মানবতার বাজেট, এ বাজেট মানুষের অধিকারের বাজেট, এ বাজেট মানুষের কল্যাণের বাজেট। এ বাজেটকে সামনে রেখে একটি কুচক্রী মহল মানুষের মনে নানা ধরণের ভ্রান্তধারণা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু মনে রাখবেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার এই উন্নয়নমুখী বাজেট নিয়ে যদি জামাত-বিএনপি ও কুচক্রী মহলের লোকেরা কোন ধরণের ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করে, অপপ্রচার করে তাহলে বাংলার যুবসমাজকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার পাশে থেকে সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে যুবলীগ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হারিস মিয়া শেখ সাগর, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোঃ সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীম, সহ-সম্পাদক আবির মাহমুদ ইমরান, গোলাম ফেরদৌস ইব্রাহিম, মোঃ আব্দুর রহমান জীবন, মোঃ আরিফুল ইসলাম, মোঃ বাবলুর রহমান বাবলু, আহতাসামুল হাসান ভূউয়িা রুমি, মোঃ মনিরুজ্জামান পিন্টু, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. মোঃ নাজমুল হুদা নাহিদ, প্রফেসর ড. মোঃ আরশেদ আলী আশিক, শাম্মি খান, অ্যাড. কাজী বসির আহমেদ, ইঞ্জি. মোঃ মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, মানিক লাল ঘোষ, এবিএম আরিফ হোসেন, মোঃ ওলিদ হোসেন, ডাঃ মোঃ আওরঙ্গজেব আরু, অ্যাড. শেখ মোঃ তরিকুল ইসলাম, মোঃ আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বলসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
|
|
|
|
মাসুম তালুকদার:
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক সংগঠনের সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন জুয়েলের সঞ্চচালনায় দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্র ও শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছলে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য জননেতা মোঃ ফারুক হোসেন আকন্দ, ওলামা লীগের মুখপাত্র ক্বারী মাওলানা আসাদুজ্জামান, সহ-সভাপতি হাফেজ ক্বারী মুফতী আব্দুল আলিম বিজয়নগরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ইদ্রিচ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মুবিন আকন্দ, কেন্দ্রীয়নেতা মাওলানা মিজানুর রহমান চৌধুরী,হাফেজ মাওলানা ইসমাইল আহমেদ, মোঃ নূরুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।
মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জমাত-বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে দেশব্যাপী অরাজকতা সৃষ্টি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের নীলনকশার যে পরিকল্পনা করেছে তা থেকে জাতির পিতার হাতে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডশন মুক্ত এবং নিরাপদ নয়। ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল কর্মকতাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঐ জায়গাগুলোতে বসানো হয়েছে জমাত-বিএনপি সমর্থিত অফিসারদেরকে। যার পিছনে রয়েছে জমাত-বিএনপির মোটা অংকের অর্থায়ন। এছাড়াও ২০০৯ সরকার গঠনের পরপরেই মরহুম সামীম মোহাম্মদ আফজাল ডিজি নিয়োগ হওয়া পর তিনি সকল ফেরকার আলেম-ওলামা পীর-মাশায়েখদের সমন্বয় করে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী জনসচেতনতামূলক যে প্রোগ্রামগুলো করতেন তা এখন প্রায় বন্ধ বললেই চলে। ইসলামিক ফাউন্ডশনে বর্তমানে জমাত-বিএনপি সমর্থিত কর্মকতা সিন্ডিকেটেরই রাজত্ব চলছে। সবচাইতে আপসোসের বিষয় হলো মাননীয় ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ও ডিজি তাদের কব্জে। যা অত্যান্ত দুঃখজনক এবং লজ্জার বিষয়। তাছাড়াও আগামীতে সরকারের বিরুদ্ধে গণশিক্ষার শিক্ষকদেরকে ব্যবহারের পরিকল্পনাও ষড়যন্ত্রের নকশায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে একজন বিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে ডিজি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন বলে অনুভব করছি।
বক্তারা আরো বলেন, দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রায় ঈর্ষান্বিত হয়ে জমাত-বিএনপি ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তয়নে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসী তাণ্ডব, গার্মেন্টস শ্রমিকদেরকে উস্কানি দিয়ে আন্দোলন নামানো, রপ্তানিমূখী উৎপাদন শিল্প বন্ধের অপচেষ্টা, পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক শ্লোগান দিয়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে বঙ্গকন্যা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজন দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, উম্মাদের মতো বিএনপিনেতা ও তাদের দোসরদের বেপরোয়া মন্তব্য, সরকারি-আদা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে জমাত-বিএনপি সমর্থিত কর্মকর্তাদের কৌশলী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এছাড়াও তারা আরো বলেন, আমরা এই অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনী সর্বদায় সজাগ থাকা প্রয়োজন। আমরা ওলামা লীগের নেতৃবৃন্দও অপশক্তিকে প্রতিরোধে মাঠে আছি এবং থাকবো। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও গণতন্ত্র এবং স্থিতিশীলের ধারাবাহিতা রক্ষায় আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস বাংলাদেশের মানুষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও শেখ হাসিনাকে বিজয় করে ফের ক্ষমতায় আসীন করবেন ইনশাআল্লাহ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জনগণের দেশ জনগণ বুঝে নেবে। দেশে গুম, খুন, মূদ্রাপাচার, নারী পাচার, ধর্ষণসহ সব অন্যায় অত্যাচার দুর্নীতি সব কিছুর একদিন হিসাব দিতে হবে। আজ বুধবার (৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি এবং গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরাফত আলী সপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াছিন আলী, ফখরুল ইসলাম রবিন, এসএম জিলানী, গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ, নাজমুল হক অভি প্রমুখ।
এ সময় পদ্মাসেতু নিয়ে অনেক কথা শুনলাম উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, এখন শুনলাম পদ্মাসেতু নাকি আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন করবেন না। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর নাকি সে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। উপস্থিত নেতাকর্মীদের বলব, এখন আমাদের কাজটা করতে হবে। যে কাজ করলে এই সরকারের পতন হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমরা যে আন্দোলন করছি, সেই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। এক সঙ্গে চলতে হবে। বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে-আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই স্লোগানকে আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের লক্ষ্য পূরণ না হবে অর্থাৎ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হবে ততোক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করেই আমরা ঘরে ফিরব। আমাদের এই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে গয়েশ্বর আরও বলেন, সম্প্রতি, আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ৭ নভেম্বরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার। কিন্তু সরকারের লোকজন বলতে চাইছে, এটা নাকি তাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি ক্ষমতাসীনদের বলব, বিএনপি কারো দেহত্যাগে বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগে। বিএনপি খুন-খারাপিকে বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার মধ্যদিয়ে বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে জনগণের কাতারে এসেছেন। ৭ নভেম্বর হচ্ছে দেশপ্রেমিক জনতার একটি স্লোগাণ। এটি গণতন্ত্রকে মুক্ত করার স্লোগান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে বলব, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা আপনার নেত্রীকে মারার হুমকি দেব কেন? এই অভ্যাস আমাদের নেই, আপনাদের আছে।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, আপনারা স্লোগান দিচ্ছেন জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো। এই আগুন আপনাদের জ্বালানোর দরকার নেই। শেখ হাসিনা নিজেই জ্বালিয়েছে। কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আগুণ জ্বলেনি? গার্মেন্ট শ্রমিকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, আন্দোলন করলে বেতন এক পয়সাও বাড়বে না। কী মজার জিনিস! গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়লে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। তিন মাস আগে শ্রমিকরা যে বেতন পেতেন তাতে তাদের চলত, কিন্তু এখন সংসার চলে না। জিনিসপত্রে দাম ৩০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই শ্রমিকরা যদি টিকে থাকতে না পারে তাহলে গার্র্মেন্ট টিকবে না। রেমিটেন্সও বন্ধ হবে।
বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষমতাসীনদের নির্যাতন প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে গেলে ছাত্রলীগ জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা চালিয়ে গতকাল চট্টগ্রামে তাকে আহত করেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
|
|
|
|
ডেস্ক রিপোর্ট: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও হযরত বিবি আয়েশা (রাঃ) সম্পর্কে ভারতের বিজেপি নেতাদের অবমাননাকর বক্তব্যের গর্হিত অপরাধে ভারতের ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দৃষ্টান্তমূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ ও ধিক্কার জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
দলীয় সভাপতি এ্যাড বদরুদ্দোজা সুজা এবং মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি কার্যত কোন শাস্তি নয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও হযরত বিবি আয়েশা (রাঃ) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে নূপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দাল সমগ্র মুসলমান জাতির স্পর্শকাতর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে যে অন্যায় করেছেন সে অপরাধের শাস্তি তাদের পেতেই হবে। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি যদি এই দুই ঘৃণ্য অপরাধীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি না করে তবে গোটা মুসলিম জাতি ধরে নিতে বাধ্য হবে, বিজেপি সম্পাদক অরুণ সিং কর্তৃক দাবীকৃত ভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগকে সম্মান করার মন্তব্য শুধুই লোক দেখানো।
মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের এ বিষয়ে প্রতিবাদ, ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলাম ধর্মকে অপমান করার জবাবে যদি সমগ্র মুসলিম বিশ্ব একসাথে জেগে উঠে, সুবিচার পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অভিযুক্ত দেশের পণ্য বয়কট করে ভবিষ্যতে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাষ্ট্র এ ধরনের ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস পাবে না। এরকম প্রতিবাদ, প্রতিরোধের ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচীই নবাব সলিমুল্লাহ প্রদর্শিত রাজনৈতিক দর্শন মুসলিম জাতিসত্তা। আশা ও আনন্দের কথা, সমগ্র বিশ্বে মুসলিম জাতিসত্তা আজ আবারও নতুন করে জেগে উঠছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নীরবতার সমালোচনা করে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও হযরত বিবি আয়েশা (রাঃ) সম্পর্কে বিজেপি নেতাদের অবমাননাকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে গোটা মুসলিম বিশ্ব রাষ্ট্রীয় ভাবে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখলেও ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশ হওয়া সত্ত্বেও অজানা কারণে বাংলাদেশ সরকার মুখে কুলুপ এটে বসে আছে। সরকারের নীরবতা মুসলিম বিশ্বে গোটা জাতির মাথা হেট করে দিচ্ছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গত বছরের ১৯ নভেম্বর মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত এবং দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের পর তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মহানগর আওয়ামী লীগের ১১৯ নেতাকে শোকজ নোটিস দেয়া হয়। এতে দল থেকে বহিষ্কার আতঙ্কে ভুগছেন দলের বেশ কিছু নেতা-কর্মী।
জানা যায়, দলীয় প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ১১৯ নেতাকে ১ জুন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ মণ্ডল স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিসের চিঠি দেওয়া হয়। আগামী সাত দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে চিঠিতে। শোকজপ্রাপ্ত নেতার মধ্যে ১৯ জন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে বিভিন্ন পদে রয়েছেন এবং বাকী ১০০ জন মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটির নেতা-কর্মী।
জানা গেছে, শোকজের চিঠিপ্রাপ্ত নেতার মধ্যে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ নয়ন, সহসভাপতি ও গাজীপুরের জিপি আমজাদ হোসেন বাবুল, যুগ্মসম্পাদক ও গাজীপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এস এম মোকছেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক জিসিসি ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, সহদফতর সম্পাদক মাজহারুল আলম, ক্রীড়া সম্পাদক আসাদুজ্জামান তরুণ, সদস্য ও জিসিসি কাউন্সিলর আজিজুর রহমান শিরিষ, সদস্য রজব আলী, হাজি আবদুর রশিদ প্রমুখ রয়েছেন।
এ ছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড কমিটির নেতা রয়েছেন। এদিকে জিসিসির বর্তমান মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ ২০২৩ সালে শেষ হবে। সে হিসেবে সিটি নির্বাচন আগামী বছর মে অথবা জুনের মধ্যেই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ নির্বাচন ও মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন করার আগেই ১১৯ নেতাকে শোকজ দেওয়া হলো।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় জাহাঙ্গীর আলম বহিষ্কৃত হওয়ার পরও তার সঙ্গে যারা বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নেয়া এবং সখ্যতা বজায় রাখাদের চিহ্নিত করতে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ওসমান আলীকে ওই তদন্ত কমিটির প্রধান করা হলে তদন্ত কমিটির সুপারিশেই ১১৯ নেতাকে শোকজ করা হয়েছে।
কমিটির এক নেতা জানান, শোকজপ্রাপ্তদের মধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে শোকজের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে শোকজ নোটিসে স্বাক্ষর করা গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডলের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
তারাই শোকজ নোটিস পেয়েছে যাদের বিষয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। নোটিসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারার বিধানমতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এবং তার জবাব নোটিস প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে মহানগর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের আদর্শ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং গঠনতন্ত্রের স্বার্থের পরিপন্থী কার্যকলাপের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শোকজের তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজন নেতা শোকজ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করলেও চিঠি গ্রহণ করেননি অনেকে। শোকজের চিঠি পাওয়া কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুনেছি শতাধিক নেতাকে বহিষ্কারের জন্য শোকজ নোটিস পাঠানো শুরু হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এ শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে নোটিসে উল্লেখ আছে।
তারা বলেন, সামনে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন, সেই সাথে এগিয়ে আসছে সিটি নির্বাচনও। এ সময় তুচ্ছ অজুহাতে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের দল থেকে বাদ দেওয়া এবং দলের কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা দলের জন্য মোটেও শুভকর নয়।’
২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলমকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এর কয়েক দিন পর জিসিসি মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সরকার ও দল এ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
একই সঙ্গে বিষয়গুলো তদন্তের জন্য সরকার কমিটি গঠন করে এবং ঘটনার ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জেলায় মামলাও হয়। মামলাগুলো বর্তমানে তদন্তাধীন আর সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি এখনো প্রতিবেদন দেয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, জিসিসি নির্বাচন সামনে রেখে মহানগর আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজাতে বেশ কিছু নেতাকে বহিষ্কারের প্রাথমিক প্রক্রিয়া বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নেতারা ধারণা, জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ এখনো আদালতে প্রমাণিত হয়নি। এমনকি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে দলে ফিরতে পারেন। তার ফিরে আসার আশঙ্কায় দলে তার অনুসারীদের প্রভাব কমাতে জাহাঙ্গীরবিরোধী নেতারা তড়িঘড়ি বহিষ্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছেন। কিন্তু জাহাঙ্গীরবিরোধীদের দাবি, দলীয় প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শোকজ নিয়ে দলের মধ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না।
|
|
|
|
আবু জাফর, পিরোজপুর:
মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনদরদী রাষ্ট্র নায়ক। শেখ হাসিনার আমলে দেশের অসহায় দরিদ্রদের অনেক ভাতা দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে সকল ক্ষেত্রে ভাতার ব্যবস্থা করেছেন শেখ হাসিনা। বর্তমান সরকার দেবতার মত সাধারণ মানুষের পাশে আছে। সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা পাচ্ছেন।
মন্ত্রী শনিবার দুপুরে পিরোজপুর সার্কিট হাউজ মিলানায়তনে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন ও সমাজ সেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজি ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। এর ধরাবাহিকতা অব্যহত রাখতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের কষ্ট বোঝেন, মানুষের কষ্টে তার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। শেখ হাসিনার মত মানবদরদী প্রধানমন্ত্রী আর দ্বিতীয় কাউকে পাবেন না।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাসনাত ইউসুফ জাকী, এনএসআই’র জয়েন্ট ডাইরেক্টর আঃ কাদের, সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক ইকবাল কবির প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পিরোজপুরে এবার ৮৩ জন উপকারভোগীর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
|
|
|
|
মোঃ সোহাগ হাওলাদার, আশুলিয়া(সাভার)প্রতিনিধি : সম্প্রতি ছাত্রদল কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সাভারে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আশুলিয়ার বাইপাইল মোড়ে এ মিছিল করে। মিছিলের পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে বক্তারা জানান, সাভার আশুলিয়ার মাটিতে বিএনপির কোনো ঠাঁই নাই। এসময় আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপিকে হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, আশুলিয়া সহ দেশের যেকোন প্রান্তে বিএনপিসহ জামাত শিবিরের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে যে কোনো অপশক্তিকে রুখে দিতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন।
সমাবেশ শেষে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে শতাধিক নেতা কর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাত খান, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার, আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক মাঈনুল ভূইয়া, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, পাথালিয়া ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত পাপ্পু, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শাহারিয়ার আল মামুন জিতু সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
|
|
|
|
মোহাম্মদ ইয়াসিন:
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে যুবদল কর্তৃক কটূক্তি ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সারাদেশের মতো সাভারেও বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (৪ জুন) সকালে সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সাভার পৌর এলাকা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ ও আওয়ামী লীগ এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন এর নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে।
এ সময় সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন থেকে বের হয়। মিছিলটি সাভারের গেন্ডা বাসষ্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের সিটি সেন্টারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানেই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের কটুক্তি ও প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় তীব্র নিন্দা জানান। ভবিষ্যৎতে এমন দুঃসাহস দেখালে বিএনপি-জামাতেরের দোসরদের উচিৎ জবাব দেওয়া হবে,এসময় জনগনের পাশে থেকে দেশকে উন্নয়নের শীর্ষে পৌছে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে আহবান জানান নেতারা।হুশিয়ার দিয়ে নেতারা বলেন,ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ও দেশ বিরোধী কর্মকান্ড মোকাবেলায় রাজপথে থাকবে সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগ।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান(এমপি),সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আব্দুল গনি, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর প্রমুখ।
|
|
|
|
মো. নজরুল ইসলাম, অষ্টগ্রাম:
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে দীর্ঘ ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অষ্টগ্রাম উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। মঙ্গলবার দুপুরে অষ্টগ্রাম হ্যালিপ্যাড ময়দানে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট জিল্লুর রহমান এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম জেমসের সঞ্চালনায় ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. আফজাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাউসার, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. বিজয় শংকর রায় ও আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. সৈয়দ শাহজাহান। বক্তব্য রাখেন অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোজতবা আরিফ খাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুক নাজিম, সায়েদুর রহমান সাঈদ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. বিপ্লব হায়দারী প্রমূখ। বক্তারা আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কাজের বর্ণনা দিয়ে আগামী নির্বাচনে আবারো নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে সকলের প্রতি আহবান জানান। সম্মেলন শেষে সর্ব সম্মতিক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চুকে সভাপতি ও শহীদুল ইসলাম জেমসকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আখলাকুল আম্বিয়া নির্বাহী সম্পাদক: মাে: মাহবুবুল আম্বিয়া যুগ্ম সম্পাদক: প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: স্বাধীনতা ভবন (৩য় তলা), ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০। Editorial & Commercial Office: Swadhinota Bhaban (2nd Floor), 88 Motijheel, Dhaka-1000. সম্পাদক কর্তৃক রঙতুলি প্রিন্টার্স ১৯৩/ডি, মমতাজ ম্যানশন, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত । ফোন : ০২-৯৫৫২২৯১ মোবাইল: ০১৬৭০৬৬১৩৭৭ Phone: 02-9552291 Mobile: +8801670 661377 ই-মেইল : dailyswadhinbangla@gmail.com , editor@dailyswadhinbangla.com, news@dailyswadhinbangla.com
|
|
|
|