গোয়াইনঘাটে ভারতীয় ঔষধ জব্দ, গ্রেফতার ২
তানজিল হোসেন, গোয়াইনঘাট:
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৮ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় ঔষধসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে এসআই আজিজুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার বিন্নাকান্দি গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র কাদির আজাদ (২২) ও বড়নগর গ্রামের মৃত আহমদ আলীর পুত্র দুলাল আহমেদ (২৮)। গ্রেফতার পরবর্তী গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬নং ফতেপুর ইউনিয়নের গোসাইনপুর গ্রামের সব্বির মহাজনের বাড়ী সংলগ্ন ফতেপুর-ধূপাগোল যাওয়ার পাঁকা রাস্তায় চেকপোষ্ট করাকালীন সময়ে একটি রেজিষ্ট্রারবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা হইতে বাংলাদেশী মুদ্রার ৮ লক্ষাধিক মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
|
তানজিল হোসেন, গোয়াইনঘাট:
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৮ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় ঔষধসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে এসআই আজিজুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার বিন্নাকান্দি গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র কাদির আজাদ (২২) ও বড়নগর গ্রামের মৃত আহমদ আলীর পুত্র দুলাল আহমেদ (২৮)। গ্রেফতার পরবর্তী গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬নং ফতেপুর ইউনিয়নের গোসাইনপুর গ্রামের সব্বির মহাজনের বাড়ী সংলগ্ন ফতেপুর-ধূপাগোল যাওয়ার পাঁকা রাস্তায় চেকপোষ্ট করাকালীন সময়ে একটি রেজিষ্ট্রারবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা হইতে বাংলাদেশী মুদ্রার ৮ লক্ষাধিক মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
|
|
|
|
বাবুল মিয়া সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দের অংশ গ্রহণে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল-২৪) সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতাপাঠের মধ্যদিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালার সূচনা করা হয়। উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল।
রিসোর্স পার্সন হিসেবে শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সচিব (অতিরিক্ত সচিব) বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল প্রথম সেশনে ১০.১৫ মি: এ রিপোর্টিং ও রেজিষ্ট্রেশন পর্ব শেষে হলুদ সাংবাদিকতা, সাংবাদিকতা নীতিমালা এবং প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণবিধি সম্পর্কিত দিক নির্দেশনামুলক বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বলেন, হলুদ সাংবাদিকতা বা ভূঁইফোড় সাংবাদিকদের জন্যই আজ মুলধারার সাংবাদিকরা সাংঘাতিক শব্দটি শুনতে হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল গত দুই বছর ধরে এই বিষয় নিয়ে ব্যাপকভাটে কাজ করে যাচ্ছে। এসময় তিনি আরও বলেন, ১৯৮৪ সালে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছিলেন।
বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা বা সাংবাদিকতার নীতিমালা না জেনেই ব্যাঙগের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে কার্ডধারী এক শ্রেণীর সাংবাদিক। শিক্ষাগতযোগ্যতা, ভাষাজ্ঞান না থাকায় বাড়ছে হাতুড়ি সাংবাদিকের সংখ্যা। যার ফলে দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং ও মহৎ পেশা। সাংবাদিক হতে হবে বিচক্ষণ। সেইদিক বিবেচনায় সাংবাদিক নেতাদের নিয়ে পরামর্শ করে সাংবাদিকতায় এখন যারা আসবেন তাদেরকে অবশ্যই স্নাতক পাশ হতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। আর যারা ইতিপূর্বে এই পেশার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন তাদেরকে ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত পত্রিকার সম্পাদক কর্তৃক প্রত্যয়ণপত্রসহ নিয়োগপত্র জমা দিতে হবে। সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর ডাটাবেইজে তাদের নাম থাকবে, শুধু যারা এই শর্ত পূরণ করে তথ্য অফিসার অথবা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবেন। তবে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদন করলেই তাদের নাম ডাটাবেইজে অন্তর্ভুক্ত করা হবেনা। গুরুত্বসহকারে করা হবে যাচাই বাচাই। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার ও পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি এহসান শাহ্। সমাপনী বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ও জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।
প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসার আব্দুস সাত্তারসহ সুনামগঞ্জে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
|
|
|
|
এস.পি. সেবু সিলেট থেকে:
জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ও সিলেটের সন্তান পাগল হাসান সড়ক দুর্ঘটনায় নি হ ত হয়েছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। পাগলা হাসানের আসল নাম হলো মতিউর রহমান হাসান। পাগলা হাসান ছাড়াও আরও একজন এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
আজ (১৮ এপ্রিল) সকালে সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা ব্রিজের পাশে বাস সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহত অপরজনের নাম সত্তার মিয়া (৫৩)।
এ ঘটনায় রুকন মিয়া, কয়েছ মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম নামের ৩ যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
“তুমি আইও আমার বাড়িতে বইতে দিমু পিড়ীতে গান শুনাইমু মনেরই মতন। আমার বাড়ি রইল নিমন্ত্রণ।”
এরকম সহজ সরল ভাষায় গান রচনা করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। পাগল হাসান শুধু গীতিকারই না, ছিলেন সুরকার ও শিল্পিও। বহু গুনে গুনান্বিত এই পাগলের লেখা প্রতিটি গানের মধ্যে মাটির কাঁচা গন্ধ ও মানুষের গল্প সম্ভার উঠে আসতো।
তার “জীবন খাতায়” গানটি এখন সারা দেশে ব্যাপক জনপ্রিয় গান। তাছাড়া মাটির বালা খানা, কলংকি, গ্রামেগঞ্জে, মন আমার মরা নদী সহ অসংখ্য গানের স্রষ্টাও তিনি।
ছাতকের সার্কেল এসপি রনজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, সকালে গোবিন্দগঞ্জ থেকে ছাতকগামী একটি মিনিবাস এর সঙ্গে শিমুলতলাগামী সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলে পাগল হাসান ও সিএনজি চালক সত্তার মিয়া মারা যান। পুলিশ ঘটনাস্থল অবস্থান করছে।
|
|
|
|
বিশ্বনাথ(সিলেট)প্রতিনিধি:
ভারসাম্যহীনভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার, কাউন্সিলর ও জনগণের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ প্রদর্শন ও গালিগালাজ, স্বজনপ্রীতি, ময়লা-আবর্জনার পরিস্কার করা’সহ ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে সিলেটের বিশ্বনাথে পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন পৌরসভার দুই প্যানেল মেয়র’সহ ৭ কাউন্সিলর।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবরে ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারা মোতাবেক’ অনাস্থা প্রস্তাবটি দাখিল করেন ১১ কাউন্সিলরদের মধ্যে ৭ জন কাউন্সিলর।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের বরাবরে দাখিল করা অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন বিশ্বনাথ পৌরসভার ৫নং কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ রফিক হাসান, ১, ২, ৩নং মহিলা কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ সাবিনা ইয়াসমিন, ৪, ৫, ৬নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাসনা বেগম, ৭, ৮, ৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লাকী বেগম, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজুক মিয়া রাজ্জাক, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুর আলী ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম আহমদ।
এরপূর্বে গত ৯ এপ্রিল দুপুরে পৌরসভা কার্যালয়ের কাউন্সিলর হল রুমে প্যানেল মেয়র-১ রফিক মিয়ার সভাপতিত্বে ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক বিশেষ জরুরী সভা করে ‘অনাস্তার প্রস্তাব’ গ্রহণ করেন কাউন্সিলররা।
অনাস্থা প্রস্তাবে কাউন্সিলররা উল্লেখ করেছেন, দুর্নীতি করার সুবিধার্থে পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান পৌরসভার কার্যালয় থেকে সকল অফিসিয়াল কাগজপত্র তার বাসভবনে নিয়ে গেছেন, এমনকি পৌর কার্যালয় হতে পৌরসভার ফার্ণিচার-ল্যাপটপ তার (মেয়র) নিজ বাসভবনে নিয়ে অফিসের সকল স্টাফ দিয়ে পৌর কার্যালয়ের পরিবর্তে বাসভবনে অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। কাজ করান। পৌরসভার প্রত্যেক মাসের সাধারণ সভা পৌর কার্যালয়ে না করে, মেয়র মুহিব তার বাসভবনে করেন। এতে জনগণ সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। মুহিবুর রহমান পৌর মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত স্থায়ী কমিটি ও টিএলসিসি’র কমিটির কোন সভা করেন নাই।
পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া একক ক্ষমতা বলে মাস্টাররোলে নিজের আত্মীয়-স্বজনকে পৌরসভায় নিয়োগ দিয়ে জনপ্রতি ২/৩ লক্ষ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। মেয়র মুহিব সরকারের রাজস্ব খ্যাত থেকে বাজেট অনুসরণ না করে বিভিন্ন নামে-বেনামে ভূয়া বিল-ভাউচার তৈরী করে, ডেঙ্গু মশক নিধন ও কোভিড-১৯ নামে সরকারি টাকা এবং বিশ্বনাথ পুরাণ বাজারের গরু-হাটের উন্নয়ন কাজ দেখি বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করেছেন। মেয়র মুহিব রাজস্ব খ্যাত থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করার ব্যয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, এমনকি পৌরসভার টাকা ‘অন্য ইউনিয়নে ও অন্য উপজেলায়’ স্বদর্পে বিতরণ করেন। অথচ পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (ল্যান্ড ফিল্ড) স্থাপনা না করেই পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ‘প্রবাসী চত্ত্বর, মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ও মাদানিয়া মাদ্রাসার’ পাশে জনগূরুত্বপূর্ণ জায়গায় ও বাসিয়া নদীতে ডাম্পিং করছেন। পৌর মেয়র মুহিব পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিভিন্ন সময় দরপত্র আহবান ছাড়া, নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিষদের অগোচরে নিজের (মেয়রের) পছন্দের লোক দ্বারা পরিচালনা করে কাউন্সিলরগণের প্রত্যয়ন ছাড়াই লক্ষ লক্ষ টাকার বিল পরিশোদের ব্যবস্থা করে দীর্ঘদিন ধরে টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। এমনকি ‘বিশ্বনাথ পৌরসভা’র নামে ‘সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, এজেন্ট ব্যাংকিং, ব্যাংক এশিয়ায় পরিষদের অজান্তে অনেক একাউন্ট আছে এবং উক্ত একাউন্টগুলোতে লক্ষ লক্ষ টাকাও জমা ছিল। মেয়র মুহিব নিজের একক ক্ষমতাবলে এসব একাউন্ট থেকে কিছু পৌর কর্মচারীর মাধ্যমে সেই টাকাগুলো উত্তোলন করে ভূয়া চালানের মাধ্যমে কোন প্রকল্প না করেই লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন।
মেয়র মুহিব পৌরসভার মাসিক সভায় সাদা কাগজে কাউন্সিলরদের স্বাক্ষর করিয়ে ও মাসিক রেজুলেশনের কপি না দিয়ে নিজের ইচ্ছেমাফিক কার্যবিবরণী লিখে সেটাকে কৌশলে পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত বলে চালিয়ে যাচ্ছেন। পৌর পরিষদ পৌরসভার বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করার জন্য মেয়র মুহিবুর রহমানকে অনুরোধ করলেও, আজ পর্যন্ত তিনি (মেয়র) তা করেননি। এতে প্রমাণ হয় মেয়র মুহিব একজন দূর্নীতি পরায়ন ও স্বজনপ্রীতি সম্পন্ন ব্যক্তি। এছাড়া জনশ্রুতি রয়েছে মেয়র মুহিব পৌরসভার সকল কার্যাদেশের বিলের জন্য গড়ে ৫% করে ঘুষ গ্রহন করেন। এমনকি পৌর পরিষদের সভায় সবার সম্মুখে মেয়র সেটা নিজেও স্বীকার করেছে। যার একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইতিপূর্বে ভাইরাল হয়েছে।
বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পৌরসভার নকশাকার আশরাফুজ্জামান চয়নকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে ‘সহকারী প্রকৌশলী’ পদে এবং আয়কর কর্মকর্তা সাজেদুল হককে একাউন্টন্টেস পদে পদায়ন করে নিজের (মেয়র) বাসায় বসিয়ে নামে, বে-নামে ভূয়া বিল-ভাউচার বানিয়ে রাজস্ব খ্যাত থেকে টাকা উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করছেন। এছাড়া মেয়র মুহিব ক্ষমতার অপব্যবহার ও দূর্নীতির মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত কাজে গাড়ি ব্যবহার করে সরকারি আইন উপেক্ষা করে রাজস্ব থেকে গাড়ির তেল ক্রয়, গাড়ির ড্রাইভারের বেতন পরিশোধ, গাড়ির মেরামত ব্যয় দেখিয়ে পরোক্ষভাবে জনগণের প্রদত্ত ট্যাক্সের টাকা আত্মসাত করছেন।
এছাড়াও পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলর ও জনগণের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, স্বজনপ্রীতি, গালমন্দ ও ক্ষমতার অপব্যবহার ভারসাম্যহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। তার অনিয়ম দুর্নীতি আর ভারসাম্যহীন আচরণের কারণে কাউন্সিলর ও এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। বিচার সালিশের ভিডিও করে তার ফেসবুক আইডিতে ভাইরাল করে জনগণের মানহানী করে আসছেন।
বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সত্যতা স্বীকার করেছেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ রফিক মিয়া, প্যানেল মেয়র-২ সাবিনা বেগম, ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাসনা বেগম, ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লাকী বেগম, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজুক মিয়া রাজ্জাক, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুর আলী ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম আহমদ।
এবিষয়ে বক্তব্য নিতে বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে (০১৭১৩-৩০০১২৭) একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
|
|
|
|
মুফিজুর রহমান নাহিদ:
ঈদ যেতে না যেতেই ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে। প্রথম ধাপের ভোট হবে আগামী ৮ মে। প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলার মধ্যে সিলেট জেলার ৪টি উপজেলাতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেটের ৪ উপজেলা হলো- সিলেট সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে সোমবার। সিলেটের চার উপজেলায় মোট ৫৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষে এমন তথ্য জানিয়েছেন সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।
তিনি জানান, এবার সম্পূর্ণ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। সিলেটের চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলার সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন।
বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন।দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।
|
|
|
|
দিরাই প্রতিনিধিঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার দরজায় কড়া নাড়াছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। কয়েক ধাপে সম্পন্ন হবে এ নির্বাচন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে হতে যাচ্ছে দিরাই উপজেলা নির্বাচন।
নির্বাচনকে ঘিরে এরইমধ্যে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ৫ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন সোমবার (১৫ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাচন অফিসার মিঠুন মল্লিক চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান ৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দিয়েছেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন অর্থাৎ কাউকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। এরমানে নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো বাধা নেই।
প্রথম ধাপে দিরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন তারা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজাদুল ইসলাম রতন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায়, উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রিপা সিনহা। অন্যদিকে এই নির্বাচনে উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো: গোলাপ মিয়া নির্বাচন করতে পারেন। মনোনয়ন দাখিল করলেও আজ দলের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত জানান রুহুল কবির রিজভী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দিরাই উপজেলা নির্বাচন ঘিরে এরইমধ্যে সক্রিয় হয়েছেন প্রার্থীরা। এছাড়া আলোচনায় সাধারণ ভোটারা জানিয়েছেন, এবারের উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে হিসাব-নিকাশ করছেন তারা। ৫ প্রার্থীর মধ্যে কার জনপ্রিয়তা বেশি এমন প্রশ্নের জবাবে একাধিক ভোটাররা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে গিয়ে বর্তমান সাংসদ স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার পাশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় শক্ত অবস্থানে ছিলেন, তাই আলোচনায় ভাল অবস্থানেও রয়েছে প্রদীপ রায়।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. গোলাপ মিয়া। পুরো উপজেলা জুড়ে তার রয়েছে বিশাল ভোট ব্যাংক। অন্য দিকে কোনো অংশে কম নয় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায়ের জনপ্রিয়তা, এ কারণে ভোটের মাঠে তার সমর্থন একটি বড় ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। উপজেলায় এই প্রথম চেয়ারম্যান পদে নারী প্রার্থী, এ নিয়ে ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামায় রাজনৈতিক কর্মী ও সচেতন নাগরিকদের আলোচনাও অ্যাডভোকেট রিপা সিনহাকে ঘিরেও। একটি পৌরসভা ও নয় ইউনিয়ন নিয়ে দিরাই উপজেলায় মোট ভোটার ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫২৫, এরমধ্যে পুরষ ৯৭ হাজার ৬৮৭ এবং নারী ভোটার ৯৫ হাজার ৮৩৮ জন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুর রহমান খোন্দকার বলেন, একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রশাসন বদ্ধ পরিকর।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ এপ্রিল রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাই। ২২ এপ্রিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ। ৮ মে ভোট গ্রহণ।
|
|
|
|
মুফিজুর রহমান নাহিদ:
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আমিরাত প্রবাসীদের সংগঠন কানাইঘাট প্রবাসী সমাজকল্যাণ পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাজী আনিসুর রহমান।
সংগঠনের সেক্রেটারি আব্দুল লাতিফের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের দ্বিতীয় সচিব মানিক রঞ্জন বড়ুয়া, বিশেষ অতিথি ছিলেন বদরুল ইসলাম চৌধুরী সিআইপি, সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও পিএইচডি গবেষক এহসানুল হক জসীম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন সুহেল আহমেদ। অনুষ্ঠানে নাশিদ পরিবেশন করেন শিল্পী আবু সুফিয়ান মাহি।
অনুষ্টানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, এবাদুর রাহমান, আলমগীর সুলাইমান সেলিম, জুনাইদ আহমদ, আব্দুস সামাদ শামীম, মখলিছুর রাহমান, সাইফুল আলম, এখলাছুর রাহমান, হেলাল উদ্দিন, মছরুর আহমদ, আহমদ জামিল চৌধুরী, মোহাম্মদ জামিল, তাজ উদ্দীন, ফয়জুর রহমান শামীম, জাহিদ আহমদ ও হেলাল আহমদ এবং অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা হামজা হেলাল, বাবুল রানা, নুরে আলম সিদ্দিকী জুয়েল, হারুন রশিদসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক কার্যক্রমে সংগঠনটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে বক্তারা তাদের বক্তব্য এমনটা জানিয়েছেন।
উক্ত অনুষ্ঠান থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় কন্সাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন, সাংবাদিক এহসানুল হক জসিম ও সি আই পি বদরুজ্জামানকে।
|
|
|
|
সিলেট ব্যুরো:
সিলেট নগরীর কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগেছে। সোমবার সকালে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কাজ করছে।
বিস্তারিত আসছে...
|
|
|
|
দিরাই প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শিশুদের একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্ততঃ ২৫জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের ধাপকাই গ্রামে ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
আহতদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়া সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন দিরাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা হলেন এখলাছুর রহমান (৩৫), ফুল মিয়া(২২), কামাল হোসেন (৩৫), জাহিদ হাসান (১৪), সুহেনা (১৮) এবং অপর পক্ষের আলতাফ মিয়া (৬০), হাদিস মিয়া (৫০), কাওসার মিয়া (১৮)। বাকিরা দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধাপকাই গ্রামের আলতাফ মিয়া ও মাসুক মিয়ার লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। ঘটনার আগের দিন দুই পক্ষের শিশুদের মধ্যে খেলাধূলা সংক্রান্ত বিষয়ে ঝগড়া হয়। বিষয়টি সালিসির মাধ্যমে নিস্পত্তি করতে দুই পক্ষ সম্মত ছিল। তবে মঙ্গলবার তারাবির নামাজের পর পূর্ব বিরোধ নিয়ে প্রথমে কথাকাটাকাটি ও একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কয়েকজন রক্তাক্তসহ দুই পক্ষের ২৫ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
|
|
|
|
তানজিল হোসেন, গোয়াইনঘাট:
সিলেটের গোয়াইনঘাটে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাফলং পর্যটন এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে করণীয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে জাফলং ভিউ রেস্টুরেন্টে গোয়াইনঘাট উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক, গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মেহেদী হাসান সুমন, জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. রতন শেখ পিপিএম, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সংগ্রাম বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার মোকছেদ, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন, জাফলং পর্যটন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বখ্ত, সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন জুবের, জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া, বৃহত্তর জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, জাফলং ট্যুরিস্ট গাইড ও নৌকা চালক যুব সংঘের সহ-সভাপতি শুক্কুর আলী।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পর্যটনকেন্দ্র জাফলংসহ গোয়াইনঘাটের সকল পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও তাঁদের ভ্রমণ নির্বিঘ্নকরণে উপজেলা প্রশাসন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে আসা পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করে যেতে পারে সেদিকে উপজেলা প্রশাসন সবসময় সোচ্চার থাকবে। তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছুটির দিনগুলোতে প্রশাসনের বিভিন্ন টিম মাঠে নিযুক্ত থাকবে। পর্যটনকেন্দ্রে সকল প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গোয়াইনঘাট থানা, ট্যুরিস্ট পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন যৌথভাবে কাজ করবে।
|
|
|
|
দিরাই(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ভিজিএফ’র চাল বস্তা পরিবর্তন করে কালোবাজারির চেষ্টাকালে প্রশাসনের হাতে জব্দের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান শৈলেন্দ্র কুমার তালুকদারকে গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
গতকাল (শনিবার ৭এপ্রিল) বেলা ৩টায় দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ইউনিয়নের কয়েকশ মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রফিনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী, রফিনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জাহেদ মিয়া, বর্তমান সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক ও রফিনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজুয়ান খান, আওয়ামী লীগ নেতা রহমত আলী, রফিনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাজানগর বাজারে রফিনগর ইউনিয়নের অতিদরিদ্রদের বিতরণের ৬০ বস্তা ভিজিএফ’র চাল পুলিশ জব্দ করেছেন। রফিনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শৈলেন্দ্র কুমার ওই চাল কালোবাজারি বিক্রি করেছেন। হাতেনাতে প্রমাণ পেয়ে চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে প্রশাসন মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা দায়েরের ৩/৪ দিন গত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত গরীরের চাল চো র ওই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে হাটেবাজারে প্রকাশ্যে দম্ভের সাথে চলাফেরা করছে। অনতিবিলম্বে চেয়ারম্যান শৈলেন্দ্র কুমারকে গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সাপ্তাহিক “হলি সিলেট” পত্রিকার ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। হলি সিলেট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও হলি সিলেট পত্রিকার “ডিরেক্টর” লন্ডন প্রবাসী ফজলুল হকের সার্বিক সহযোগীতায় গত কাল ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগরীর দরগাহ গেইট এলাকায় অভিজাত হোটেল “হলিইন” এ উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সাপ্তাহিক “হলি সিলেট” পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং অনলাইন দেশটিভি লাইভ এর সম্পাদক হাসিদুল ইসলাম পিন্টু এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর তিনবারের নির্বাচিত সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও হলি সিলেট পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন পবিত্র রমজানে ত্যাগের শিক্ষা নিয়ে জাতিকে এগিয়ে যেতে হবে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে দুখী মানুষের মূখে হাসি ফুটাতে হবে। মহানবীর আদর্শ অনুসরনের মাধ্যমে পবিত্র মুমিনের পরিচয় দিয়ে সুন্দর সমাজ গড়তে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি ও মিডিয়া) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মো: সাইফুল ইসলাম বলেন- সাপ্তাহিক “হলি সিলেট” পত্রিকা বস্তু নিষ্ট সংবাদের মাধ্যমে পাঠকের মন জয় করেছে। আজকের এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে আগত অগনিত সম্মানিত সুধীজন ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতিই প্রমান করে হলি সিলেট সর্বজনের মন গ্রহনযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটিকর্পোরেশন ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল খালিক, বিশেষ অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল ওয়াহাব জুয়ার্দ্দার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ফটো সাংবাদিক বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম এর উপদেষ্টা আতাউর রহমান আতা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক জনতা পত্রিকার সিলেট ব্যুরোচীফ কামাল উদ্দিন আহমদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আই কন টিভির লিভারপুল বাংলা টাউন প্রতিনিধি আব্দুল হক(প্রবাসী), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিরিন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ইউকে এর সাধারণ সম্পাদক দুদু মিয়া, উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে কোরআন তেলায়ত ও দোয়া পাঠ করেন মাও: সাব্বির আহমদ, আরো উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ধ্রুবজ্যোতি গৌতম, নাট্যকার আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির মহাসচিব তালুকদার মখবুল হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সুনির্মল সেন বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম এর উপদেষ্টা এডভোকেট মামুনুর রশীদ, ফালগুনি টিভির সিলেট প্রতিনিধি ও তালাশ টিভি ডট লাইভ এর সম্পাদক ও প্রকাশক কামরুল হাসান জুলহাস, বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম সিলেট জেলা শাখার সভাপতি রুহুল ইসলাম মিঠু, বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আক্তার হোসেন (প্রভাষক), সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবুল কাশেম রুমন, দৈনিক যুগভেরী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এম এ মালেক, দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার সিলেট বিভাগীয় ব্যুরোচীফ জয়নাল আবেদীন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার সিলেট ব্যুরোচীফ মোশাররফ হোসেন খান অমিত, সাপ্তাহিক হলি সিলেট পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক বিকাল বার্তার সিলেট বিভাগীয় ব্যুরোচীফ এবং চ্যানেল ২৬এর সিলেট ব্যুরোচীফ আব্দুল আলিম রানা, সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নুরুদ্দীন রাসেল, সাংবাদিক নুরল আমীন খান, আজকের সিলেটের নির্বাহী সম্পাদক এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, দৈনিক বিজয়ের কন্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সাদিক হোসেন এপলু, আধুনিক টিভির পরিচালক মামুন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম সিলেট জেলা শাখার সহ-সভাপতি সাংবাদিক ইজাজুল হক ইজাজ, সাংবাদিক বাপ্পি চৌধুরী, সাপ্তাহিক হলি সিলেট পত্রিকার ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি সামছুদ্দিন আহমদ প্রমূখসহ বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ।
|
|
|
|
দিপংকর বনিক দিপু, দিরাই প্রতিনিধি:
দিরাই রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে এতিম শিশু ও দরিদ্রদের নিয়ে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (পহেলা এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দিরাই রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোশাহিদ আহমদ সরদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল পুরকায়স্থ ও যুগ্ম সম্পাদক আকতার সাদিকের যৌথ পরিচালনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনি রায়, দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শরীফুল আলম, দিরাই থানার ওসি (তদন্ত) রতন দেবনাথ, উপজেলা সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সনজুর রহমান প্রমুখ। ইফতার মাহফিলে রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় এতিম, দরিদ্র এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
দোয়া পরিচালনা করেন, দিরাই উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা ইদ্রিস আলী।
|
|
|
|
মুফিজুর রহমান নাহিদ:
সিলেটে আগামী ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিজিটাল সুরক্ষা ও নিরাপত্তা শীর্ষক কর্মশালা। এতে সীমিত সংখ্যক আসন থাকায় ২ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসেবে রয়েছে সিলেট মিডিয়া ইনস্টিটিউট। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটি থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আয়োজকরা জানান, নিউ মিডিয়ার যুগে সাংবাদিকরা ডিজিটাল মাধ্যমে বেশ সক্রিয়। এক্ষেত্রে ঝুঁকিও বেড়েছে। তাই একজন গণমাধ্যমকর্মী নিজেকে কিভাবে সুরক্ষিত ও নিরাপদে রাখবেন সেটা এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে।
গোটা বিশ্বেই সাংবাদিকের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষার প্রথম ধাপ হয়ে উঠেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা। প্রযুক্তির ব্যবহারে নিজেকে কিভাবে নিরাপদ রাখবেন, তার খুঁটিনাটি জানতে এ কর্মশালা অত্যন্ত কার্যকরী বলে জানান আয়োজকেরা।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিলেট রেঞ্জের পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা, পুলিশের গোয়ন্দা বিভাগের সাইবার ক্রাইম ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বাংলা টিভির বিশেষ প্রতিনিধি আল আজাদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, বাংলা ভিউ ও সিলেটভিউ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক শাহ দীদার আলম চৌধুরী, সিলেট ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন-ইমজার সভাপতি ও এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার সজল ছত্রী।
কর্মশালায় অংশ নিতে আগ্রহীদেরকে +৮৮০ ১৯৬২-৩৮৮৫০২ নম্বরে যোগাযোগ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
|
|
|
|
কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শিশু বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ গ্রামের ইদ্রিস আলি (৪০), মোহাম্মদ আলী (৩০), কামাল মিয়া (৩৫), তাফির আলী (৩৫), রহমত আলী (৩২), কাবিল (৪০), মোশাররফ আলী (৩০), আলাউদ্দীন (৩০), রুমেনা বেগম (২৫), রুজিনা বেগম (২৮) ও মমিনা (৩২)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বলাৎকারের শিকার ওই শিশুর মা জানায়, প্রতিবেশী মজনু মিয়া আমার ছেলেকে নিয়ে কচুবিলেরপাড়ে নির্জন স্থানে বলাৎকার করে। এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মজনু মিয়া ও তার আত্মীয়রা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমিসহ একাধিক ব্যক্তি আহত হই। ছেলেকে নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছি।
তবে যার বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে তার পক্ষ থেকে জানা যায়, গরু ক্ষেতের ধান খাওয়া নিয়া পূর্বে ঝামেলা হয়েছিলো। আজকে পূনরায় গরু দিয়ে ধান খাওয়ানোর সময় ঐ বাচ্চাটিকে তা প্প ড় দেওয়ায় বাচ্চাটি বাড়িতে গিয়ে কান্না করে বল্লে দু’পক্ষ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই লোকজন আহত হয়েছেন। এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিনিধি: মৌলভী বাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে জারিমানা করা হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে সহায়তা করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। বুধবার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হবিগঞ্জ রোড, স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় খাদ্য উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক ও মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় হবিগঞ্জ রোডে অবস্থিত শ্যামা সুইটমিট এন্ড রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা, স্টেশন রোডে অবস্থিত শাহ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।
|
|
|
|
|
|
|