রবিবার, ১৩ অক্টোবর 2024 বাংলার জন্য ক্লিক করুন
  
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

   সিলেট -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
সুরমা নদী খননের নামে হরিলুট, নেপথ্যে করা

সিলেট প্রতিনিধি : আসামের বরাক নদী থেকে আসা সুরমা নদী দিনের পর দিন মরা নদীতে পরিণত হচ্ছে। সেই সুরমা নদী বছরের প্রায় ৯ মাস পানি থাকে না। শুষ্ক মৌসুমে নদীর ওপর থেকে সে পারে হেটে হেটে পার হওয়া যায় অনেক স্থানে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে উৎসমুখ থেকে প্রায় ৩০-৪০ কিলোমিটারের মধ্যে নদীতে জেগে ওঠে ৩০ টিরও অধিক চর। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে নদী উপচে পানিতে তলিয়ে যায় আশপাশের এলাকা। সিলেট জুড়ে তখন দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবেশকর্মীরা দীর্ঘ দিন থেকেই এই নদীর উৎসমুখ খননের দাবি জানিয়ে আসছেন।

২০২২ সালে সিলেটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। বন্যার এই ব্যাপক তার জন্যও সুরমার ভরাট হয়ে যাওয়াকে দায়ী করা হয়। ওই বন্যার পর ২০২৩ সালে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট নগরী ও আশপাশের এলাকায় সুরমা নদী খনন করার উদ্যাগ নেয়া হয়। কিন্তু এ প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা রিভার ওয়াটার কিপার, আব্দুল করিম কিম বলেন, নদী ড্রেজিং প্রকল্প হলো ডাকাতির মতো। এর কোনো হদিস মিলে না। কোনো কুল কিনারা নেই। এই যেমন সুরমা খননের নামে ৫০ কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেল। সুরমা-কুশিয়ারাসহ সকল নদীর তলদেশে খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা জরুরি। এটা যে ভাবেই হোক করতেই হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে পেশাজীবীদের সমন্বয় করে একটি তদারকি কমিটিও করতে হবে। নদী খননের নামে যাতে লুটপাট না হয় সে দিকে কঠোর ভাবে নজরদারি থাকতে হবে।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘বিগত সরকারের আজ্ঞাবহ প্রশাসন এবং তাদের দলীয় নেতারা মিলে যৌথ ভাবে সিলেট রক্ষাকারী এ প্রকল্পে লুটপাট করেন। বিগত সরকারের আমলে এমন লজ্জাষ্কর দুর্নীতির উদাহরণ অগনিত। আওয়ামী আমলে প্রকল্প গুলোর বরাদ্দ দেয়াই হতো লুটপাটের জন্য। আমরা এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাই।

সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে সরকারী কাজে নিয়োজিত বিভাগ গুলোর ক্ষমতা, দক্ষতা, কার্যক্রম সর্বোপরি প্রশ্নবিদ্ধ। ফলে নানা ক্ষেত্রে দেশের মানুষ তার তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান অন্তর্বরতীকালিন সরকার বিগত সরকারের আমলে চলা অনিয়ম রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং অচিরেই জনসাধারণ এর ফল ভোগ করবে।

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের অনিয়ম তদন্তে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করা জরুরী। সেই সাথে অপরাধ প্রমাণিত হলে অবশ্যই এর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে পাউবো সিলেটের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সাজু সিকদার বলেন, এ প্রকল্প সম্পর্কে তার তেমন কিছু জানা নেই। অন্যদিকে পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশের সাথে এ ব্যাপারে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রায় ২৪৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সুরমা দেশের দীর্ঘতম নদী। ভারতের আসাম রাজ্য থেকে বরাক নদী সিলেটের জকিগঞ্জের অমলসীদ এসে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সুরমা নদী মেঘনায় মিলিত হয়েছে। তবে বছরের পর বছর ধরে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে বরাক ও সুরমার সংযোগস্থল। ফলে বরাক থেকে আসা পানি সুরমায় না এসে চলে যায় কুশিয়ারায়। এতে বর্ষাকালের কয়েক মাস ছাড়া সারাবছরই পানিশূন্য থাকে একসময়ের খরস্রোতা নদী সুরমা। শুষ্ক মৌসুমে নদীজুড়ে অসংখ্য চর জেগে ওঠে। ফলে হেঁটেই পার হওয়া যায় নদী। এ সময় বন্ধ হয়ে পড়ে নৌ চলাচল। নদী তীরবর্তী মানুষদের জীবিকারও অন্যতম উৎস সুরমা। পানিশূন্য হয়ে পড়ায় জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, সিলেট সদর, গোলাপগঞ্জ উপজেলার নদীপাড়ের কৃষি ও মৎস্যজীবী মানুষের দুর্দশার অন্ত থাকে না। নগরীর শাহজালাল সেতু থেকে দক্ষিণ সুরমার কুচাই পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকাজুড়ে কিছু দিন আগেও জেগে ছিলো বিশাল চর।

উৎসমুখ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষকালে বরাক থেকে আসা পানির মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ সুরমায় প্রবেশ করে। আর অন্যান্য মৌসুমে পানি প্রায় প্রবেশ করে না বললেই চলে, সব পানি চলে যায় কুশিয়ারায়। ফলে বছরের প্রায় আট মাসই পানি শূন্য থাকে সুরমা। এই সময় কানাইঘাটের লোভা পর্যন্ত পুরো নদী হয়ে পড়ে মৃতপ্রায়। পানি শূন্যতার কারণে নদীর বিভিন্ন অংশে অসংখ্য চর জেগে ওঠে। নদী পানিশূন্য হয়ে পড়ায় এ অঞ্চলের কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবীরা বিপাকে পড়েছেন। কমে এসেছে ফসল উৎপাদন। সেচের অভাবে অনেক জমিতেই এখন উৎপাদন আর আগের মতো হয় না।
সওার আলী নামে এক কৃষক জানান, আগে শুষ্ক মৌসুমেও নদীতে ব্যবহারযোগ্য পানি পাওয়া যেতো এখন পানি না পাওয়ায় তাদের কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে এতে প্রভাব পড়ছে তাদের জীবিকার উপর, আবার তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে কয়েক দিনের বৃষ্টিতেই নদী ভরে বন্যা দেখা দেয়। এছাড়া উৎসমুখে পলি জমায় দিন দিন নদীর গতিপথও পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, একাধিক প্রকল্প প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া আছে, কিন্তু এই নদী ভারত থেকে এসেছে। প্রথম দিকের ২৫ কিলোমিটার সীমান্ত লাইন দিয়ে গেছে। ফলে নদী খননের জন্য যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে সিলেটে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছিলেন, সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেট অঞ্চলের ছোট-বড় নদ-নদীসমূহ খননের একটি প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই ড্রেজিং শুরু হবে। নদ-নদীর নাব্যতা ঠিক রাখতে সারাদেশে ৯টি ড্রেজিং স্টেশন স্থাপনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে ছিলেন তিনি। ড্রেজিংকে একটি ব্যয় বহুল কাজ উল্লেখ করে ওই প্রতিমন্ত্রী তখন বলেন, ড্রেজিংয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হয়। উজানের পানির সাথে বিপুল পরিমাণ পলিমাটিও আসে। যে কারণে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যায়। যে কারণে দুই বছর পর পর নদী ড্রেজিং করতে হয়। তলদেশে প্লাস্টিক থাকায় সুরমা নদীতে চলমান ড্রেজিং ব্যাহত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ওই প্রতিমন্ত্রী।

বিআইডব্লিউটিএর তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদী, কুশিয়ারা নদী, কালনী নদী, যাদুকাটা নদী, রক্তি নদী, বৌলাই নদী, মনু নদী, পুরাংগী নদী, জুমনাল খাল নদী, খোয়াই নদী, সুতাং নদী, বেলেশ্বরি খাল নদী, তিতাস নদী, পাগলা নদী, বুড়ি নদী, মোগড়া নদী, কংশ নদী ও আপার মেঘনা নদী খননের লক্ষ্যে ২০২০ সালে বিআইডব্লিউটি’র বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা সরেজমিনে স্টাডি করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রস্তুত করেন। এরপর ২০২১ সালে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়। পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি সংশোধন করে দিতে কিছু নোট দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ- তে ফেরত পাঠায়। ২০২২ সালের শুরুর দিকে সংশোধন করে পুনরায় প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে আবার প্রকল্পটি সংশোধন করতে বিআইডব্লিউটিএতে ফেরত আসে। এরপরে আবারও বিশেষজ্ঞরা প্রকল্পটি তৈরি করে তা অনাপত্তিপত্রের জন্যে অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠান। যা এখনো ছাড়পত্রের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ে রয়েছে।

সুরমা নদী খননের নামে হরিলুট, নেপথ্যে করা
                                  

সিলেট প্রতিনিধি : আসামের বরাক নদী থেকে আসা সুরমা নদী দিনের পর দিন মরা নদীতে পরিণত হচ্ছে। সেই সুরমা নদী বছরের প্রায় ৯ মাস পানি থাকে না। শুষ্ক মৌসুমে নদীর ওপর থেকে সে পারে হেটে হেটে পার হওয়া যায় অনেক স্থানে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে উৎসমুখ থেকে প্রায় ৩০-৪০ কিলোমিটারের মধ্যে নদীতে জেগে ওঠে ৩০ টিরও অধিক চর। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে নদী উপচে পানিতে তলিয়ে যায় আশপাশের এলাকা। সিলেট জুড়ে তখন দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবেশকর্মীরা দীর্ঘ দিন থেকেই এই নদীর উৎসমুখ খননের দাবি জানিয়ে আসছেন।

২০২২ সালে সিলেটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। বন্যার এই ব্যাপক তার জন্যও সুরমার ভরাট হয়ে যাওয়াকে দায়ী করা হয়। ওই বন্যার পর ২০২৩ সালে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট নগরী ও আশপাশের এলাকায় সুরমা নদী খনন করার উদ্যাগ নেয়া হয়। কিন্তু এ প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা রিভার ওয়াটার কিপার, আব্দুল করিম কিম বলেন, নদী ড্রেজিং প্রকল্প হলো ডাকাতির মতো। এর কোনো হদিস মিলে না। কোনো কুল কিনারা নেই। এই যেমন সুরমা খননের নামে ৫০ কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেল। সুরমা-কুশিয়ারাসহ সকল নদীর তলদেশে খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা জরুরি। এটা যে ভাবেই হোক করতেই হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে পেশাজীবীদের সমন্বয় করে একটি তদারকি কমিটিও করতে হবে। নদী খননের নামে যাতে লুটপাট না হয় সে দিকে কঠোর ভাবে নজরদারি থাকতে হবে।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘বিগত সরকারের আজ্ঞাবহ প্রশাসন এবং তাদের দলীয় নেতারা মিলে যৌথ ভাবে সিলেট রক্ষাকারী এ প্রকল্পে লুটপাট করেন। বিগত সরকারের আমলে এমন লজ্জাষ্কর দুর্নীতির উদাহরণ অগনিত। আওয়ামী আমলে প্রকল্প গুলোর বরাদ্দ দেয়াই হতো লুটপাটের জন্য। আমরা এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাই।

সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে সরকারী কাজে নিয়োজিত বিভাগ গুলোর ক্ষমতা, দক্ষতা, কার্যক্রম সর্বোপরি প্রশ্নবিদ্ধ। ফলে নানা ক্ষেত্রে দেশের মানুষ তার তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান অন্তর্বরতীকালিন সরকার বিগত সরকারের আমলে চলা অনিয়ম রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং অচিরেই জনসাধারণ এর ফল ভোগ করবে।

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের অনিয়ম তদন্তে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করা জরুরী। সেই সাথে অপরাধ প্রমাণিত হলে অবশ্যই এর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে পাউবো সিলেটের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সাজু সিকদার বলেন, এ প্রকল্প সম্পর্কে তার তেমন কিছু জানা নেই। অন্যদিকে পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশের সাথে এ ব্যাপারে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রায় ২৪৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সুরমা দেশের দীর্ঘতম নদী। ভারতের আসাম রাজ্য থেকে বরাক নদী সিলেটের জকিগঞ্জের অমলসীদ এসে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সুরমা নদী মেঘনায় মিলিত হয়েছে। তবে বছরের পর বছর ধরে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে বরাক ও সুরমার সংযোগস্থল। ফলে বরাক থেকে আসা পানি সুরমায় না এসে চলে যায় কুশিয়ারায়। এতে বর্ষাকালের কয়েক মাস ছাড়া সারাবছরই পানিশূন্য থাকে একসময়ের খরস্রোতা নদী সুরমা। শুষ্ক মৌসুমে নদীজুড়ে অসংখ্য চর জেগে ওঠে। ফলে হেঁটেই পার হওয়া যায় নদী। এ সময় বন্ধ হয়ে পড়ে নৌ চলাচল। নদী তীরবর্তী মানুষদের জীবিকারও অন্যতম উৎস সুরমা। পানিশূন্য হয়ে পড়ায় জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, সিলেট সদর, গোলাপগঞ্জ উপজেলার নদীপাড়ের কৃষি ও মৎস্যজীবী মানুষের দুর্দশার অন্ত থাকে না। নগরীর শাহজালাল সেতু থেকে দক্ষিণ সুরমার কুচাই পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকাজুড়ে কিছু দিন আগেও জেগে ছিলো বিশাল চর।

উৎসমুখ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষকালে বরাক থেকে আসা পানির মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ সুরমায় প্রবেশ করে। আর অন্যান্য মৌসুমে পানি প্রায় প্রবেশ করে না বললেই চলে, সব পানি চলে যায় কুশিয়ারায়। ফলে বছরের প্রায় আট মাসই পানি শূন্য থাকে সুরমা। এই সময় কানাইঘাটের লোভা পর্যন্ত পুরো নদী হয়ে পড়ে মৃতপ্রায়। পানি শূন্যতার কারণে নদীর বিভিন্ন অংশে অসংখ্য চর জেগে ওঠে। নদী পানিশূন্য হয়ে পড়ায় এ অঞ্চলের কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবীরা বিপাকে পড়েছেন। কমে এসেছে ফসল উৎপাদন। সেচের অভাবে অনেক জমিতেই এখন উৎপাদন আর আগের মতো হয় না।
সওার আলী নামে এক কৃষক জানান, আগে শুষ্ক মৌসুমেও নদীতে ব্যবহারযোগ্য পানি পাওয়া যেতো এখন পানি না পাওয়ায় তাদের কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে এতে প্রভাব পড়ছে তাদের জীবিকার উপর, আবার তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে কয়েক দিনের বৃষ্টিতেই নদী ভরে বন্যা দেখা দেয়। এছাড়া উৎসমুখে পলি জমায় দিন দিন নদীর গতিপথও পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, একাধিক প্রকল্প প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া আছে, কিন্তু এই নদী ভারত থেকে এসেছে। প্রথম দিকের ২৫ কিলোমিটার সীমান্ত লাইন দিয়ে গেছে। ফলে নদী খননের জন্য যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে সিলেটে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছিলেন, সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেট অঞ্চলের ছোট-বড় নদ-নদীসমূহ খননের একটি প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই ড্রেজিং শুরু হবে। নদ-নদীর নাব্যতা ঠিক রাখতে সারাদেশে ৯টি ড্রেজিং স্টেশন স্থাপনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে ছিলেন তিনি। ড্রেজিংকে একটি ব্যয় বহুল কাজ উল্লেখ করে ওই প্রতিমন্ত্রী তখন বলেন, ড্রেজিংয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হয়। উজানের পানির সাথে বিপুল পরিমাণ পলিমাটিও আসে। যে কারণে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যায়। যে কারণে দুই বছর পর পর নদী ড্রেজিং করতে হয়। তলদেশে প্লাস্টিক থাকায় সুরমা নদীতে চলমান ড্রেজিং ব্যাহত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ওই প্রতিমন্ত্রী।

বিআইডব্লিউটিএর তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদী, কুশিয়ারা নদী, কালনী নদী, যাদুকাটা নদী, রক্তি নদী, বৌলাই নদী, মনু নদী, পুরাংগী নদী, জুমনাল খাল নদী, খোয়াই নদী, সুতাং নদী, বেলেশ্বরি খাল নদী, তিতাস নদী, পাগলা নদী, বুড়ি নদী, মোগড়া নদী, কংশ নদী ও আপার মেঘনা নদী খননের লক্ষ্যে ২০২০ সালে বিআইডব্লিউটি’র বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা সরেজমিনে স্টাডি করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রস্তুত করেন। এরপর ২০২১ সালে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়। পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি সংশোধন করে দিতে কিছু নোট দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ- তে ফেরত পাঠায়। ২০২২ সালের শুরুর দিকে সংশোধন করে পুনরায় প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে আবার প্রকল্পটি সংশোধন করতে বিআইডব্লিউটিএতে ফেরত আসে। এরপরে আবারও বিশেষজ্ঞরা প্রকল্পটি তৈরি করে তা অনাপত্তিপত্রের জন্যে অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠান। যা এখনো ছাড়পত্রের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ে রয়েছে।

সিলেটের বালাগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গু*লি-অ*স্ত্র উদ্ধার
                                  

বালাগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি:

সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। এসময় ৪টি গুলি ও একটি একনালা বন্দুক উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী।

রোববার(৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বালাগঞ্জ উপজেলা সদরের বদরনগর এলাকা থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। ক্যাপ্টেন মুবিন আর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযানকালে বালাগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা সাথে ছিলেন। বালাগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ফয়েজ আহমদ এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সদরের বদরনগরের স্লুইস গেইট এলাকার একটি বালুর ঢিবি থেকে পলিথিনে মুড়ানো বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা সম্ভব হয়নি বলেও নিশ্চিত করেন বালাগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ফয়েজ আহমদ ।

বিশ্বনাথে ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ১
                                  

এসপি সেবু, বিশ্বনাথ(সিলেট)প্রতিনিধি:

সিলেটের বিশ্বনাথে ২০৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে থানা পুলিশ। এসময় একটি কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ ভ্যানসহ এক চালককে আটক করেছে তারা। গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার শিমুলতলার মোরা বাজার এলাকা থেকে চিনির বস্তাগুলো জব্দ করা হয়।

আটক পিকআপ চালক রুমান আহমদ (২৪) উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের দশদল গ্রামের জোনাব আলীর ছেলে। এ সময় অন্য চোরাকারবারিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়ায় তাদের আটক করতে পারেনি পুলিশ।

তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, এই চিনিকান্ডের সাথে জড়িত খোদ বিশ্বনাথ থানার কতিপয় অসৎ পুলিশ সদস্য।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জব্দ হওয়া ভারতীয় চিনির মালিক দাবিদার সিলেটের জৈন্তা উপজেলার জনৈক ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন। তিনি তামাবিল বর্ডারের বিজিবি থেকে নিলামে নিয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কার্গোভ্যানে (ঢাকা মেট্টো-উ-১৪-০৭৬২) এসব চিনি রংপুরের উদ্দেশ্যে পাঠাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নবীগঞ্জের আউশকান্দি এলাকায় ছিনতাইকারীরা চিনিসহ গাড়ীটি ছিনতাই করে বিশ্বনাথ থানা এলাকায় নিয়ে আসে। পরে, রাতে কার্গো ভ্যান থেকে চিনি অন্যত্র সরিয়ে নিতে পিকআপ ভ্যানে (সিলেট মেট্টো-ন-১১-০৫৫১) আনলোড করার সময় পুুলিশ হানা দেয়। এ সময় ১৬৮ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়। আটক করা হয় ভ্যান চালক রুমানকে। পরে অভিযান চালিয়ে জানাইয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় আরও ৩৬ বস্তা চিনি জব্দ করে পুলিশ। যার বাজার মূল্য ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৮শ টাকা প্রায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিশ্বনাথ রুটের চিনিচক্রের হোতা বিশ্বনাথ থানার সাবেক পুলিশ কনস্টেবল শামসুুল ওরফে শামসু (বর্তমানে পার্শ্ববর্তী ওসমানীনগর থানায় কর্মরত) ও এসআই আবু সালেহ। এ কাজে কনস্টেবল শামসুলই ম্যানেজ করেন সব। চিনি চোরাচালানে জড়িয়ে অঢেল সম্পদ কামিয়েছেন তিনি। গত রাতে তারাই মূলত এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে ধরিয়ে দেয়ায় তারা জানাইয়া গ্রামের আসক আলী নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসিয়েছেন। তার বাড়ি থেকেও দেখিয়েছেন চিনি উদ্ধার।

আসক আলী জানান, ‘চিনি ছিনতাই করে সরিয়ে নেয়ার খবর জানতে পেরে প্রথমে আমি একজন সাংবাদিককে জানাই। বিষয়টি জানতে পেরে থানার দারোগা আবু সালেহ আমার সাথে রফা করার জন্য বসতে চান। এ নিয়ে অপারগতা প্রকাশ করি আমি। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে চিনি জব্দ করে। আমি বিষয়টি ধরিয়ে দেয়ার কারণে আবু সালেহ আমার বাড়িতে লোক দিয়ে চোরাই চিনি রেখে উদ্ধার দেখান। তিনি আমাকে ফাঁসানোর অপ্রচেষ্টায় আছেন। আমি সকলের সহযোগিতা চাই।’

অভিযুক্ত এসআই আবু সালেহ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ও আমার টিমের মাধ্যমেই চোরাই চিনি উদ্ধার হয়েছে। তাহলে আমার সম্পৃক্ততা থাকে কি করে? জানাইয়া গ্রামে চিনি আনলোডের খবর পেয়ে আমরা গিয়ে উদ্ধার করে আনি। যিনি অভিযোগ তুলেছেন, তার বাড়ি থেকেও চিনি উদ্ধার হয়েছে। সেটার কি হবে?

এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুবেল মিয়া বলেন, ‘চিনিসহ দুুটি গাড়ী জব্দ ও একজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে এর সাথে জড়িতদের বের করা হবে।’

বিশ্বনাথ সাংবাদিক তুহেমকে সংবর্ধনা প্রদান
                                  

বিশ্বনাথ(সিলেট)প্রতিনিধি:

বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক এ কে এম তুহেম এর প্রবাসগমন উপলক্ষে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পরে বিশ্বনাথ পৌর শহরের পানসী রেস্টুরেন্টে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহিন উদ্দিন এর সভাপতিত্বে দপ্তর সম্পাদক কবি এস. পি সঞ্চালনায় উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি একে এম তুহেমের সংবর্ধনা অনুষ্টানে প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সভাপতি গৌছ আলী। সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন এ কে এম তুহেম।

বিশেষ অথিতিবৃন্দ হিসাবে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই, পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাষ্টার ইমাদ উদ্দীন, খেলাফত মজলিশ সিলেট সাংগঠনিক কাজী মাও আব্দুল ওদুদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া চেয়ারম্যান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুস সোবহান মেম্বার, ৬ নং সদর বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী দয়াল উদ্দিন তালুকদার, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট খালেদ হোসেন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোবিন্দ মালাকার, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বিশ্বনাথ শাখার প্রতিষ্টাতা সভাপতি ও মহিলা কলেজের চেয়ারম্যান মোসন আলী, জামায়াতে মৃত্যুঞ্জয়ী নেতা আমজদ হোসেন, আলোকিত সুর ফোরামের সভাপতি কাওছার আহমদ, অলংকারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার বশির আহমদ, জামায়াত নেতা টিপু আলী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েস্তা মিয়া ও কুরআন তেলাওয়াত করেন, কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক মোঃ আব্দুল কাইয়ুম।

উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী অজিত চন্দ দেব, যুগ্ম সম্পাদক আলতাব হোসেন, সদস্য ছালেক উদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট চ্যানেল ফেইসবুক পেইজ এর পরিচালক আনোয়ার হোসেন, লন্ডন টু সুনামগঞ্জ পেইজের পরিচালক রফিক মিয়া, কিং টিভি সিলেট এর পরিচালক নাজমুল খান, এসএনবি লাইভ টিভির সহকারী আল তাহমিদ, বিজয় কর্মকার, এটিভি সেভেন এর পরিচালক আলী হোসেন মোল্লা প্রমুখ।

সিলেটের সাংবাদিক তুরাব হ*ত্যায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষো*ভ
                                  

মু্ফজিুর রহমান নাহিদ:

দৈনিক নয়াদিগন্ত ও জালালাবাদের রিপোর্টার এ টি এম তুরাব হত্যা মামলার ৬ নং আসামি পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মঈন উদ্দিন সিপনকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ায় সিলেটের সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই হত্যা মামলার সব আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার ও পরিদর্শক মঈনকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার কার্যালয়ের সামনে দেড় ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিকরা।

সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ডাকে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, সিলেট প্রেসক্লাব, ইমজা, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃৃবৃন্দসহ সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রিক ও নিবন্ধিত অনলাইনের সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।

অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা বলেন- বাংলাদেশের ইতিহাসে পুলিশের গুলিতে সিলেটে সাংবাদিক নিহতের ঘটনা এই প্রথম। এই ঘটনায় আমরা হতভম্ব, বিস্মিত ও গভীর শোকাহত এবং সেই সাথে ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় সাংবাদিক তুরাবের পরিবারের পক্ষ থেকে ১৯ জুলাই আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত এর কোনো অগ্রগতি নেই। উপরন্তু এ মামলার ৬ নং আসামি, ঘটনার সময়ের সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মঈন উদ্দিন সিপনকে তার বাড়িতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রাখার অভিযোগে রবিবার দিবাগত রাতে বিজিবি আটক করেছিলো। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে- একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও পরদিন দুপুরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। এতে আমরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছি। পাশাপশি তুরাব হত্যাকাণ্ডে জড়িত এসএমপি`র সাবেক কর্মকর্তা আজবাহার আলী শেখ ও গোলাম কাওসার দস্তগীরসহ সকল আসামিকে অবিলম্বে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে সিলেটের সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচির ডাক দিতে বাধ্য হবেন।

বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে বক্তারা সাবেক স্বৈরাচার সরকারের করা `ওয়ারেন্ট কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার লিখিত অনুমতি ছাড়া সরকারি অভিযুক্ত কর্মচারীকে গ্রেফতার করা যাবে না` এমন কালো আইন বাতিল করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তুরাব হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান, স্বরাষ্ট্র ও উপদেষ্টা আইন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই সিলেট মহানগরের বন্দরবাজারে বিএনপির মিছিল চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক এ টি এম তুরাব। ঘটনার পর নিহতের ভাই কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ সেটি জিডি হিসেবে রেকর্ড করে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়- তারা নিজেই একটি মামলা দায়ের করেছে, তাই এটি জিডি হিসেবে রেকর্ড করেছে। তবে পরবর্তীতে দেখা যায়, পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় কোনো পুলিশকে অভিযুক্ত করা হয়নি। বরং আন্দোলনকারী বিএনপি-জামায়াত ও ছাত্র-জনতাকে আসামি করা হয়েছে।

পরে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১৯ আগস্ট তুরাবের বড় ভাই সিলেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ঘটনার সময়ের কোতোয়ালি থানার ওসি মঈনকে ৬ নং আসামি করা হয়। সেই মঈনকে রবিবার দিবাগত রাতে তার বাড়িতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রাখার অভিযোগে রবিবার দিবাগত রাতে বিজিবি আটক করেছিলো। পরে তাকে মাধবপুর থানাপুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি। কিন্তু সোমবার দুপুরে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়- বিজিবি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র পরিদর্শক মঈনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করতে পারেনি এবং কোনো অবৈধ অস্ত্রের সঙ্গে মঈনের সংশ্লিষ্টতাও নেই। ফলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

জৈন্তাপুরে মদক ও ভারতীয় চিনি উদ্ধার
                                  

জৈন্তাপুর উপজেলা প্রতিনিধি:

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় পুলিশের পৃথক অভিযানে ভারতীয় চিনি ও মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে, এসময় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি।

মঙ্গলবার (২৪শে সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট তামাবিল মহাসড়কের বিরাইমারা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

জৈন্তাপুর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক আশরাফুল আলম ও এএসআই সুমন মিয়ার নেতৃত্বে এসব অবৈধ মাদক ও চিনি জব্দ করা হয়। এসময় পুলিশ ম্যাকডোনালস্ রাম ১৮০ মিলির ১৩০টি বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপর এক অভিযানে জৈন্তাপুর উপজেলার চাঙ্গিল ব্রীজের নিচে নয়াগাঙের পাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করে পুলিশ।

পৃথক দুই অভিযানে বিদেশি মদ ও চিনি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ বদিউজ্জামান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

সিলেটে জান-মালের নিরাপত্তা চেয়ে নারীর সংবাদ সম্মেলন
                                  

সিলেট ব্যুরো:

নিজের সম্পদ ও জান রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক নারী। সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কুবাজপুর আহমদাবাদ গ্রামে লন্ডন প্রবাসী মৃত শাহনেওয়াজ চৌধুরী স্ত্রী সুহেনা আক্তার চৌধুরী সোমবার সিলেট সিটি প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুহেনা আক্তার চৌধুরীর দেবর পুত্র মো: খলিল মিয়া চৌধুরী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার স্বামীর দূর সম্মর্কের চাচাতো ভাই আফাজ চৌধুরী, এনামুল হক ও ইউসুফ মিয়ারা স্থানীয়ভাবে খারাপ লোক। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আফাজ চৌধুরী একটি চাঁদাবাজী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তার নিজস্ব একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দল রয়েছে এলাকায়। এরা সমাজের চিহ্নিত খারাপ লোক হওয়ায় তাদের অপরাধমূলক কাজের প্রতিবাদ করার সাহস পায়না স্থানীয় লোকজন। আমার পরিবারের সবাই প্রবাসী ও রেমিটেন্সযোদ্ধা; আমারদের সহায় সম্পত্তি দেখাশুনার জন্য একমাত্র আমি দেশে অবস্থান করছি। কিন্তু আফাজ চৌধুরীসহ তার সহযোগীরা বারবার আমার উপর হামলা, আমার বসত বাড়ি জবর দখলসহ আমার বিরুদ্ধে নানা রকম অপবাধ দিয়ে সমাজে হেয় করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। গত ২ সেপ্টম্বর বিকাল অনুমান ৩ টার দিকে আমি আমার নিজ বাড়িতে ঘরে অবস্থান করছিলাম। সে সময় একই গ্রামের আফাজ চৌধুরী, এনামুল হক ও ইউসুফ মিয়ার বসত বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা বাদী করে আমাকে গালাগালিসহ নানা রকম হুমকি দিতে থাকে। এমনকি তারা আমার উপর হামলার চেষ্টা করে। সে সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে আমি প্রাণে রক্ষা পাই। পরের দিন ৩ সেপ্টম্বর সকাল অনুমান ৬টা দিকে উল্লেখিত সন্ত্রাসী সহ প্রায় শতাধিত অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা আবারও আমার বসত বাড়ি এসে আগের দিনের মতো ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। সে সময় তাদের কাছে দেশয়ি অস্ত্র দা, রামদা, লোহার রড ছিলো। তাদের কথামতো চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাদের সাথে থাকা অপর সন্ত্রাসীরা এক্সেভেটর দিয়ে আমার বসত ঘর ভাংতে থাকে এবং আমাকে প্রাণে হত্যার চেষ্টার করে।

এ সময় আফাজ চৌধুরীর সহযোগী এনামুল হক, রাজিব চৌধুরী ও ইউসুফ মিয়া আমার শরীরের কাপড়ে ধরে টানাটানি করে, শারীরিক আক্রমণ করার সাথে দাবীকৃত দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে চাপ দিতে থাকে। চাঁদা দিতে না পারায় এ সন্ত্রাসীরা আমার বসত ঘরে প্রবেশ করে ব্যাপক লুটপাট চালায় এবং এক্সেভেটর দিয়ে আমার পাঁকা বসত ঘর ভাঙ্গে ফেলে। আমাদের শোর-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও হুমকি দেয়।

সন্ত্রাসীরা আমার ঘর থেকে নগদ ৬০ লক্ষ টাকা, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানায় মামলা করলে সন্ত্রাসীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে চায়। আমি এখন প্রাণ বাঁচাতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। রাষ্ট্রের কাছে সন্ত্রাসীদের দমন ও আমার প্রাণ ও সম্পদ রক্ষার আহ্বান জানাচ্ছি।

ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কারপ্রয়োজন: সিলেটে ছাত্রশিবির সেক্রেটারী
                                  

মু্ফজিুর রহমান নাহিদ স্টাফ রিপোর্টার:

‘পাড়ি দাও স্রোত কঠিন প্রায়াসে আকুতোভয় এ নিশিতের তীরে, হবে ফের সূর্যোদয়’ -এই স্লোগান নিয়ে সিলেট বিভাগীয় সাথী সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট বিভাগ। শনিবার সকাল ১০ টায় সিলেট নগরীর চন্ডিপুলস্থ এক অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে সিলেট মহানগর, শাবিপ্রবি, সিলেট জেলা পূর্ব, পশ্চিম এবং সুনামগঞ্জসহ মোট পাঁচটি শাখার সাথীদের নিয়ে বিভাগীয় সাথী সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদের সভাপতিত্বে শাবিপ্রবি সভাপতি জহির উদ্দিন শিপন ও মহানগর সেক্রেটারি শাহীন আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগর আমীর ফখরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল হক মিসবাহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিজয় পরবর্তী আমাদের করণীয়, কতটুকু অর্জন করেছি তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কতটুকু অর্জন বাকি সেটি লক্ষ্য করা। তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। জাতীয় রাজনীতিকে কুক্ষিগত করার জন্য, নিজের স্বার্থ হাসিল এর জন্য কিছু বিশেষ গোষ্ঠি বা দল ছাত্র রাজনীতিকে নেগেটিভভাবে উপস্থাপন করছে। তিনি বলেন, ছাত্রশিবির যা চায় এই সমাজের সাধারণ ছাত্ররা ঠিক তাই চায়। হল দখল, মিছিলে নিয়ে যাওয়া জোর করে, হলের ছোট ভাইকে দিয়ে নিজের কাজ করানো- এসব কখনও শিবির সমর্থন করে না। ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন। মব কিলিং বন্ধ করতে হবে, নিজে আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। আমরা যেই হিদায়াত পেয়েছি সেটা সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, আদর্শকে আদর্শ দিয়ে লড়াই করতে হয়, মিথ্যা প্রপাগা-া দিয়ে লড়াই করা যায় না।

সভাপতির বক্তব্য কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবিরকে শত জুলুম ও বাধার মুখেও দমিয়ে রাখা যায়নি। ষোল বছর পর ছাত্রশিবিরের এই আয়োজন তাই প্রমাণ করে। তিনি ছাত্রশিবিরের সাথীদেরকে সাধারণ ছাত্রদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌছে দেয়ার জন্য আরো বেগবান হওয়ার আহবান জানান।

বিভাগীয় সাথী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা দক্ষিণ জামায়াত আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, জেলা উত্তরের আমীর হাফিজ আনোয়ার হোসাইন খান, ছাত্রশিবির সিলেট জেলা পূর্ব সভাপতি মারুফ আহমদ, জেলা পশ্চিম সভাপতি নজরুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মনিরুজ্জামান পিয়াস সহ মহানগর ও জেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি লুৎফুর, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল
                                  

সিলেট ব্যুরো:

সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি সিলেট নগরের জিন্দাবাজারের একটি অভিজাত হোটেলের হল রুমে কমিটি গঠন উপলক্ষে এক জরুরী আলোচনা সভায় সকল সদস্যদের সিদ্ধান্তে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

আলোচনা সভায় উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ বলেন, তথ্য প্রযুক্তির বর্তমান যুগে আনলাইন সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক। প্রতিটি পত্রিকা টিকে থাকার জন্য অনলাইন ভার্সনের প্রতি নজর দিচ্ছে সবাই। ভবিষ্যতে অনলাইন পত্রিকা নির্ভর হয়ে পড়ছেন সাংবাদ পাঠকরা।

সভায় সাংবাদিকবৃন্দ আরোও বলেন, যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে সাংবাদিকতার ধরণেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ইতোমধ্যে সংবাদ পাঠক- পাঠিকা অনলাইনের সুফল পেতে শুরু করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাব একটি মডেল প্রেসক্লাবে রূপান্তরিত হবে বলে মন্তব্য করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা।

সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সাংবাদিক এজাজ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় সকলের মতামতের উপর ভিত্তি করে নবগঠিত কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন শেখ মোঃ লুৎফুর রহমান সম্পাদক সিলেটপোস্ট২৪ডটকম, সাধারণ সম্পাদক এস এম জহুরুল ইসলাম সিলেট প্রতিনিধি দৈনিক স্বাধীন বাংলা ও নির্বাহী সম্পাদক সাপ্তাহিক হলি সিলেট, কোষাধ্যক্ষ এমরান ফয়সল নন্দিত সিলেট ডটকম। কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ মালেক দৈনিক যুগভেরী ও সিলেট সংবাদ ডটকম, সহ-সভাপতি এজাজুল হক এজাজ দৈনিক সোনালী সিলেট, সহ-সভাপতি জহুরুল ইসলাম লাল জগন্নাথপুরের ডাক ও দৈনিক সবুজ সিলেট, সহ-সভাপতি এস এম খোকন বাংলা কন্ঠ ডটকম, সহ-সভাপতি এ কে মিলন আহমদ দ্যা বাংলাদেশ টুডে ডটকম, মশাহিদ আহমদ আমাদের কন্ঠ ডটকম, যুগ্ম সহ-সাধারণ সম্পাদক তাইবুর রহমান নিউজ ভিশন বিডি ডটকম, সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি চৌধুরী সুরমা টাইমস, সহ-সাধারণ সম্পাদক এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া নতুন বার্তা ডটকম, সহ-কোষাধ্যক্ষ আবুল কাহার বাংলা টাইম টিউন,প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আহমেদ শাকিল সিলেট নিউজ পেপার ডটকম,দপ্তর সম্পাদক আজমল আহমদ রোমন দৈনিক শ্যামল সিলেট,পাঠাগার সম্পাদক নয়ন আহমদ রনি হলি সিলেট ডটকম, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুমন মিয়া সিলেটপোস্ট ২৪ ডটকম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রফিক আহমদ রফিক নিউজ বাংলা ডট নিউজ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফারজানা আক্তার তাহেরা।

নির্বাহী সদস্য হলেন, নূরউদ্দিন রাসেল সিলেট টুয়েন্টি ফোর এক্সপ্রেস ডটকম, আবু হানিফ আমার সংবাদ ডটকম, সাইফুদ্দিন জাবেদ ডেইলি তরুণ কন্ঠ ডটকম, মোঃ আনিছুল ইসলাম আশরাফী আমার সিলেট ২৪ ডটকম, আব্দুল মজিদ আওয়ার নিউজ বিডি ডটকম,শেখ খালিদুর রহমান সাঈদ " হলি সিলেট ডটকম, জহিরুল ইসলাম রিপন বিএম নিউজ ডটকম, কামরুল হাসান চৌধুরী তুহিন সিলেট সংলাপ ডটকম।

এছাড়া সদস্য যারা হলেন, মোহন আহমদ দৈনিক জাগ্রত কন্ঠ, শামীম আহমেদ সিলেট পোস্ট টিভি, ফাতেমা আক্তার সুইটি সিলেট পোস্ট টিভি, রুবেল আহমদ বাংলা টাইম টিউন ডটকম, আলী উবায়েদ ইমন ভোরের আওয়াজ ডটকম, শেখ ছাদিম মিয়া গাউ গ্রামের খবর ডটকম।

সিলেটে লাইসেন্সবিহীন সিএনজির বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের অ্যাকশন শুরু
                                  

সিলেট প্রতিনিধি:

সিলেট নগরীতে ব্যাটারি চালিত রিকশা-অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু ব্যাটারি চালিত রিকশাই নয়, রেজিস্ট্রেশন বিহীন অবৈধ ফোরস্ট্রোক সিএনজিসহ সকল অবৈধ যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। আগামি সাতদিন এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে সিলেট মহানগরীর প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল সড়কে ব্যাটারি চালিত রিকশা, অটোরিকশা এবং রেজিস্ট্রেশন বিহীন অবৈধ সিএনজি ফোরস্ট্রোকসহ এই ধরনের সকল অবৈধ যানবাহন চলাচল সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে অবৈধ যানবাহন আটকসহ নিষেধাজ্ঞা অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়াও সিএনজি চালিত ফোরস্ট্রোকের মালিক ও চালকগণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে যে সমস্ত ফোর স্ট্রোক সিএনজি সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় চলাচল করবে সে গুলোতে সবুজ রঙের উপরে হলুদ বর্ডার দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে এবং এতদ্বসঙ্গে মেট্রো এলাকার বাইরের ফোর স্ট্রোক সিএনজিতে সবুজ রঙের উপর সাদা রঙের বর্ডার দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে। মেট্রো এলাকার বাইরের সিএনজি সমূহ মেট্রো এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না।

দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি প্রদ্ধাশীল থেকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে এই সংক্রান্তে সহায়তা করার জন্য নগরীর সম্মানিত নাগরিকগণ, মোটরযান মালিক ও চালকগণকে অনুরোধ করা হলো।

সিলেটের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বলপ্রয়োগে শিক্ষকদের বাধ্য করা হচ্ছে পদত্যাগে, কিন্তু কেন...
                                  

সিলেট ব্যুরো:

গোটা সিলেট জুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিবেশ দেখা দিয়েছে। ছাত্র ও শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ উঠে যাচ্ছে, এমন পরিবেশে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন শিক্ষাবিদ ও সচেতন মহল। যেভাবে জোরপূর্বক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রধানদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে, ভবিষ্যতের জন্য এটি খারাপ নজির হয়ে থাকবে। তাছাড়া, যারা পদত্যাগে বাধ্য করাচ্ছে এটা কী তাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে?

সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যালয়ের প্রধান ও শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ না করানোর অনুরোধ করা সত্ত্বেও কিছু সংখ্যক অতি উৎসাহিত ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের প্রধানকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করার জন্য বাধ্য করছেন। এ নিয়ে সিলেটের বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। এর নেপথ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের কিছু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিরোধী শিক্ষক ও কমিটির সদস্যরা, তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করতে না পারায় ছাত্র-ছাত্রীদের একটি ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে লেলিয়ে দিয়ে এমন কান্ড ঘটাচ্ছেন। অনেক সময় শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলার ঘটনাও ঘটেছে।

এমন ঘটনায় সিলেট নগরী এবং সিলেট জেলার উপজেলা সমূহের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর নানাধরণের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে অবৈধভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, কলেজের অধ্যক্ষসহ অনেক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে, অবাঞ্ছিত করা হচ্ছে, পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে, দেওয়া হচ্ছে হয়রানিমূলক মামলা।

আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করানো হয় সিলেটের দুই কলেজ অধ্যক্ষকে। ঢাকাদক্ষিণ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এরশাদ আলী ও ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হুসনে আরা বেগম পদত্যাগ করাতে বাধ্য করা হয়।

এদিকে, ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের অঙ্কের শিক্ষক দীপক চৌধুরী বুলবুল ক্যাম্পাস থেকে দৌঁড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী মারমুখী হলে অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁকে রক্ষা করে রিকশায় তুলে দেন। শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ হুসনে আরা বেগম ও শিক্ষক দীপক চৌধুরী বুলবুল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এমন ঘটনা ঘটে সিলেট নগরীর কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌরা ঘোষের পদত্যাগের ক্ষেত্রে। তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।

একই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ সুরমা সিরাজ উদ্দিন আহমদ একাডেমীর প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রেও। তাছাড়া গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জ আতারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও বাদেপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধানদের সাথে উদ্ভূত আচরণ করেছে ছাত্র-ছাত্রীরা। সবশেষ গোলাপগঞ্জ কুড়ির বাজার ভাদেশ্বর মডেল ফাজিল মাদ্রাসার প্রধান শোয়াইবুর রহমানকে জোরপূর্বক বহিরাগত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মাদ্রাসায় ছাত্রদের মারধর করে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। এ নিয়ে গোটা ভাদেশ^র এলাকায় চাঞ্চল্যসৃষ্টি হয়েছে, দেশ-বিদেশে ভক্তরা হুজুরের সাথে এমন আচরণ করায় দফায়-দফায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অনুরুপভাবে এমন ঘটনা ঘটেছে ভাদেশ^র নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে।

এদিকে শিক্ষকদের প্রতি অমানবিক উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায় নিচ্ছে না কেউ। প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপনা কমিটিও নিশ্চুপ। অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বল প্রয়োগ করে পদত্যাগ করানো নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থানের মধ্যে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের চেষ্টাও চলছে। সবমিলিয়ে এক অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আবার দেখাও গেছে অনেক শিক্ষককে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে রাজনৈতিকভাবে আওয়ামীলীগ নেতা সাজিয়ে হেনস্তা করতে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ঢুকে দেওয়া হচ্ছে।

সচেতন মহল সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সঙ্গে যা করছেন সেটা কোনোভাবেই মানা যায় না। একজন শিক্ষক যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হন তাহলে তার বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করা হোক। বিধিমোতাবেক তাকে অপসারণ করা হবে। কিন্তু যেটা হচ্ছে তাদের প্রতি সেটা দুঃখজনক।

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. তাহমিনা ইসলাম বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে আমাদের যা অর্জন হয়েছে তা অকল্পনীয়। কিন্তু এখন স্কুল-কলেজে যা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবে। দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ থাকলে প্রয়োজনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ঘাড়ে ধরে পদত্যাগ করাবে এটা কোনোভাবে কাম্য না। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিভাবকদের দ্রুত এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, যেভাবে ছাত্র আন্দোলনের নামে শিক্ষকদের প্রতি অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে, জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হচ্ছে, শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলা হচ্ছে। বাংলাদেশে ইতিপূর্বে এমন ঘটনা ঘটেনি, আমাদের অভিভাবক ও প্রত্যেক পরিবারের সবাই সচেতন হতে হবে। যারা এই সব বেয়াদী ঘটনার সাথে জড়িত তাদের ভবিষ্যত অন্ধকার। বিদ্রোহী ছাত্র-ছাত্রীদের আমাদের বুঝিয়ে এসব থেকে সরাতে হবে; না হলে আগামী প্রজন্মের মধ্যে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ আর থাকবে না।

রেড ক্রিসেন্টের অর্থায়নে জৈন্তাপুরে ত্রাণ বিতরণ
                                  

শাকির হোসেন:

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অর্থায়নে ত্রাণ বিরতণ করা হয়েছে। প্রায় ৩শ’ পরিবারের এ সহায়তা প্রদান করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সুবিধাভোগীদের মাঝে রেড ক্রিসেন্টের সহয়তা প্রদান করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, জৈন্তাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টে সোসাইটি সিলেট ইউনিটের আজীবন সদস্য আলতাফ হোসেন বিলাল, ৪নং দরবস্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, ইউনিটের লেভেল অফিসার বৃন্দাবন চন্দ্র মন্ডল, ইউনিট যুব প্রধান পলাশ গুন, উপ যুব প্রধান-১ চৌধুরী লাবিব ইয়াছির, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রধান হাবিবুর রশিদ জনি, উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের টিম লিডার জুনায়েদ আহমদ, ডেপুটি টিম লিডার -১ শাকির হোসেন শাকির এবং ইউনিট ও উপজেলা টিমের যুব স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ।

বর্ডারে ভারতীয় রুপিসহ বাংলাদেশি যুবক আ ট ক
                                  

সিলেট ব্যুরো:

সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজারে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় রুপিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। এ সময় ওই যুবকের কাছ থেকে সাড়ে ১৯ লাখ ভারতীয় রুপি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ কলাউড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক যুবক উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ভাওয়ালীপাড়া গ্রামের সুরুজ আলমের ছেলে হৃদয় মিয়া (২৫)।

সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান পিএসসি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় রুপিসহ আটক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে থানায় হস্তান্তর করা হবে।

সিলেটের জৈন্তাপুরে ৩ ছিনতাইকারী জনতার হাতে আটক
                                  

জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি:

সিলেটের জৈন্তাপুরে মোটরসাইকেল আরোহী এক ব্যবসায়ীকে ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৩ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে জনতা। সিএনজি অটোরিকশাযোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার হরিপুর বাজার এলাকায় জনতা ৩ ছিনতাইকারীকে সিএনজি অটোরিকশা আটক করে।

বুধবার ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আটক ছিনতাইকারীরা হলেন, নাজমুল (২৮), মোহন আহমেদ(৩০) ও সিএনজি চালক আপন মিয়া (২৮)। এর মধ্যে নাজমুল ও মোহন নগরীর শিববাড়ী এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১১ই সেপ্টেম্বর) ভোরে ফজরের আযান শেষে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের রফিপুর (নয়ামসজিদ) গ্রামের ব্যবসায়ী মো: আবু তাহের চৌধুরী (৪৭) সিলেট নগরীর সুবিদ বাজার থেকে কানাইঘাটের চতুল বাজারের উদ্দেশ্যে একটি বাইক নিয়ে রওয়ানা হন।

পথিমধ্যে তাদের মোটরবাইককে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা (সিলেট-থ-১১-৪২০৬) অনুসরণ করে। পরে হরিপুর বাজার এবং বাগের সড়কের মধ্যবর্তী নির্জন স্থানে গতিরোধ করে।

এ সময় সিএনজিতে থাকা চালক বাদে তিনজন ছিনতাইকারী ব্যবসায়ী আবু তাহের ও বাইক চালক রিপন মিয়াকে মারধর করে তাদের সাথে থাকা নগত তিন লক্ষ চব্বিশ হাজার পাঁচশত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে পালাতে থাকে।

তখন আবু তাহের চিৎকার করে তাদের পিছু নিলে স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেলে হরিপুর বাজার এলাকায় তাদের সিএনজি আটক করে জনতা। এ সময় তাদের সাথে থাকা এক ছিনতাইকারী পালিয়ে গেলেও অটোরিকশা চালক সহ বাকি তিনজনকে আটক করে জনতা।

জনতা সিএনজিসহ তাদেরকে আটক করে ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেয়।

দিরাইয়ে চেয়ারম্যানের অপসারণ ও শাস্তি দাবিতে মানবব*ন্ধন
                                  

দিরাই প্রতিনিধিঃ

দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট মহানগর যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জুয়েল এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে, চেয়ারম্যানের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিরাই পৌর শহরের থানা পয়েন্টে মানববন্ধনে, ইউপি সদস্য সুবীর চন্দ্র শীলের সঞ্চালনায়, বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য সাইদ আহমদ খসরু, সাবেক ইউপি সদস্য হাসান আহমদ, উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মিনহাজ তালুকদার, মুস্তাক সর্দার, ভুক্তভোগী মাওলানা ইকবাল হোসেন, ব্যবসায়ী মাসুক মিয়া, জরিনুনেছা, শিপ্রা রানী দাস, আরিজা বেগমসহ স্থানীয় লোকজন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জহিরুল ইসলাম জুয়েল নির্বাচিত হবার পর থেকে বিভিন্নভাবে অনিয়ম-দুুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, পরিষদের সদস্যকে মারধর ও চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন। ভিজিডি ভিজিএফসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করছেন। চেয়ারম্যান পরিষদের কার্যালয়ে আসেন না। বাড়িতে বসে অফিস করেন। চেয়ারম্যানের চাহিদা মতো টাকা না দিলে জন্মনিবন্ধন, ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং কর আটকে দেন।

চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল এর অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ইউ/পি সদস্যকে মারপিট সহ বিভিন্নভাবে টাকা আত্মসাতের, ইডই তালিকাভূক্ত নাম পরিবর্তন করে টাকার বিনিময়ে চাউল বিক্রি করে দিয়ে ইডই তালিকাভূক্ত সদস্যদের সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে বক্তাদের অভিযোগ।

বক্তারা আরও বলেন, ইডই তালিকাভুক্ত ২৩৯ জন সদস্য হইতে প্রতি সদস্যের কাছ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার কথা বলে ৫শ’ টাকা করে মোট এক লক্ষ উনিশ হাজার পাঁচশত টাকা আত্মসাত করেছে বলে দাবি করা হয়। ইডই তালিকাভূক্ত ২৩৯ জন সদস্যের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা থাকলে ও ব্যাংকে জমা দেননি। এই পর্যন্ত ১৮ মাসে ১২,৯০,৬০০ টাকা তিনি আত্মসাত করেছেন মানববন্ধন বক্তারা বলেন।

মানববন্ধন শেষে, চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েলের অপসারণের দাবি নিয়ে মিছিল করতে করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ।

মানববন্ধনের বিষয়ে রাজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মেম্বার খসরু এ পর্যন্ত বিশটিরও বেশি মিথ্যা অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে এনেছে। সে একেপর এক মিথ্যা ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে আমি নিজেই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছেড়ে দেব।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর খন্দকার বলেন, আমার কাছে কয়েকজন ইউপি সদস্যসহ রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নতুন ডিসি পেলো সিলেট
                                  

স্টাফ রিপোর্টার:

সিলেট বিভাগের ৩টিসহ দেশের ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সিলেট জেলার নতুন ডিসি পি. কে. এম. এনামুল করিম, হবিগঞ্জের ডিসি ড. মো. ফরিদুর রহমান ও মৌলভীবাজারের ডিসি মো. ইসরাইল হোসেন।

এর আগে গত ২০ আগস্ট এসব জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে বদলি করা হয়।

এর মধ্যে প্রথম প্রজ্ঞাপনে ঢাকা, সিলেট, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মাগুরা, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নাটোর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, গাজীপুর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, খুলনা ও গোপালগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহার করার কথা জানানো হয়।

পরে দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে ফরিদপুর, শেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট ও চাঁদপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়। ডিসি পদ থেকে এসব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে বিভিন্ন দপ্তরে উপ-সচিব পদে বদলি করা হয়।


   Page 1 of 125
     সিলেট
সুরমা নদী খননের নামে হরিলুট, নেপথ্যে করা
.............................................................................................
সিলেটের বালাগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গু*লি-অ*স্ত্র উদ্ধার
.............................................................................................
বিশ্বনাথে ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ১
.............................................................................................
বিশ্বনাথ সাংবাদিক তুহেমকে সংবর্ধনা প্রদান
.............................................................................................
সিলেটের সাংবাদিক তুরাব হ*ত্যায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষো*ভ
.............................................................................................
জৈন্তাপুরে মদক ও ভারতীয় চিনি উদ্ধার
.............................................................................................
সিলেটে জান-মালের নিরাপত্তা চেয়ে নারীর সংবাদ সম্মেলন
.............................................................................................
ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কারপ্রয়োজন: সিলেটে ছাত্রশিবির সেক্রেটারী
.............................................................................................
সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি লুৎফুর, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল
.............................................................................................
সিলেটে লাইসেন্সবিহীন সিএনজির বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের অ্যাকশন শুরু
.............................................................................................
সিলেটের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বলপ্রয়োগে শিক্ষকদের বাধ্য করা হচ্ছে পদত্যাগে, কিন্তু কেন...
.............................................................................................
রেড ক্রিসেন্টের অর্থায়নে জৈন্তাপুরে ত্রাণ বিতরণ
.............................................................................................
বর্ডারে ভারতীয় রুপিসহ বাংলাদেশি যুবক আ ট ক
.............................................................................................
সিলেটের জৈন্তাপুরে ৩ ছিনতাইকারী জনতার হাতে আটক
.............................................................................................
দিরাইয়ে চেয়ারম্যানের অপসারণ ও শাস্তি দাবিতে মানবব*ন্ধন
.............................................................................................
নতুন ডিসি পেলো সিলেট
.............................................................................................
সিলেটে তীব্র গরম, স্থবির জনজীবন
.............................................................................................
কানাইঘাটের দনা সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় গোপালগঞ্জের দুই ব্যক্তি আটক
.............................................................................................
সিলেটে বহিষ্কার হলেন ছাত্রদলের ৩ নেতা
.............................................................................................
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন
.............................................................................................
আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বারোপ পাকিস্তান হাইকমিশনারের
.............................................................................................
পাল্টাপাল্টি কমিটি ও দখল দৌরা*ত্ম্যে অচল তামাবিল স্থলবন্দর
.............................................................................................
সিলেটের ওসমানী মেডিকেলে বিচারপতি মানিকের অস্ত্রোপচার
.............................................................................................
হবিগঞ্জে ভাঙন আতঙ্কে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন মানুষ
.............................................................................................
সুনামগঞ্জ বাউল সমিতির সভাপতির পদ থেকে সালাম নূরিকে অব্যাহতি
.............................................................................................
দিরাইয়ে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তিকারী লিটন দাস গ্রেপ্তার; ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ
.............................................................................................
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কের ওপর হামলা
.............................................................................................
দিরাইয়ে যুবকের ঝুলন্ত লা*শ উদ্ধার
.............................................................................................
৮ দিন পর সুনামগঞ্জের ১২ থানায় পুরোদমে কাজ করছে পুলিশ
.............................................................................................
হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষে নি হ ত ১
.............................................................................................
সুনামগঞ্জ হবে ৬৪ জেলার রোল মডেল: এসপি মোর্শেদ
.............................................................................................
সিলেটে আবারও ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা
.............................................................................................
আন্দোলনকারীদের সাথে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষে বৈঠক
.............................................................................................
সিলেটে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশি আ হ ত
.............................................................................................
মৌলভীবাজারে জাতীয় প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
.............................................................................................
সিলেটে চালের বাজার লাগামহীন
.............................................................................................
লাইন মেরামতের জন্য বিদ্যুৎ প্রকৌশলী সহ জরুরিসেবা কেন্দ্রে ১৭ বার ফোন, তবুও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের!
.............................................................................................
সিলেট নগরী আবারও পানির নীচে, পদে পদে নগরবাসীর ভোগান্তি
.............................................................................................
বন্যায় কানাইঘাটে শত কোটি টাকার ক্ষতি, ফের আক্রান্তের আশঙ্কা
.............................................................................................
সিলেটে আ.লীগ নেতা আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলা
.............................................................................................
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নি হ ত
.............................................................................................
লাল ফিতার দৌরাত্ম্যে পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে সিলেটের মানুষ
.............................................................................................
সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, প্রায় ৫ লাখ মানুষ পানিবন্ধি
.............................................................................................
আরো ১০ দিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে সিলেটে, জেলা ও উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
.............................................................................................
মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের পক্ষে মানববন্ধনে বাধ্য করান আবু ডাকাত
.............................................................................................
সিলেট বাড়ছে নদ-নদীর পানি, ঈদ আনন্দে ভাটা
.............................................................................................
নার্সারি করে স্বাবলম্বী ছাদেক আলীর গল্প
.............................................................................................
সিলেটে পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতারা অসহায়
.............................................................................................
রাতভর টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
.............................................................................................
বন্যাকবলিত সিলেট নগরীতে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকট
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
    2015 @ All Right Reserved By dailyswadhinbangla.com

Developed By: Dynamic Solution IT