|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সারের বদলে মানুষের প্রস্রাব দিয়ে চাষে ৩০ শতাংশ ফলন বাড়ে: গবেষণা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক মৃতপ্রায় ফসল পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কয়েকটি দেশের একদল বিজ্ঞানী খনিজ সমৃদ্ধ, কম খরচের এবং সহজলভ্য সার— মানুষের ‘প্রস্রাব’ ব্যবহারে ফসলের উৎপাদনে চমকপ্রদ ফল পেয়েছেন। পরীক্ষামূলকভাবে সারের বদলে মানুষের প্রস্রাব ব্যবহার করায় ফসলের উৎপাদন প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
আফ্রিকার দেশ নাইজার প্রজাতন্ত্রে সার হিসেবে প্রস্রাবের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এই ফল পাওয়া গেছে বলে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
নাইজার, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির গবেষকদের একটি দল পার্ল মিলেট প্যানিকল নামের এক ধরনের শস্যের ফলন বাড়াতে জৈব সারের সাথে মানুষের প্রস্রাবের মিশ্রণ ঘটিয়ে ‘ওগা’ নামের এই সার তৈরি করেন। পরে গ্রীষ্মকালীন পার্ল মিলেট চাষে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেন তারা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের প্রস্রাবে ইউরিয়া, সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মতো একাধিক উপাদান রয়েছে। যা সঠিকভাবে ব্যবহারে ভালো ফল মিলতে পারে। ২০১৪ সাল থেকে গবেষকদের ওই দল পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদে মানুষের প্রস্রাবের ব্যবহার শুরু করেন।
গবেষকরা দেখেছেন, যেসব জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়েছে, তার তুলনায় মানুষের প্রস্রাব ব্যবহার করা জমিতে ফসলের উৎপাদন প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নতুন এই সার ব্যবহারকারী কৃষকদের মতে, এর একমাত্র খারাপ দিক হল দুর্গন্ধ। নাইজারের একজন কৃষক বলেছেন, একমাত্র সমস্যা হল ‘ওগা’ সারের দুর্গন্ধ ততটা ভালো নয়।
নাক এবং মুখ কাপড়ে ঢেকে এই সার ব্যবহারের সময় তিনি বলেন, ‘যখনই আমি জমিতে প্রস্রাব ব্যবহার করি, তখনই নিজের নাক-মুখ ঢেকে রাখি। তবে এটি বড় কোনও সমস্যা নয়।’
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। খরার কারণে দেশটির আবাদি জমিতে ফসল মরে যাচ্ছে। আর এর প্রভাবে মানুষের অনাহার-অর্ধাহার বাড়ছে।
এই সংকট দেশটিতে এতটা চরম আকার ধারণ করেছে যে, ২০১৪ সালে লোকজন চোরাই মার্কেট থেকে বিপজ্জনক কীটনাশক কিনে জমিতে ব্যবহার করে। এটি ছাড়া তাদের কাছে আর কোনও বিকল্প ছিল না। তখন একদল বিজ্ঞানী নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্প সারের উদ্যোগ নেন।
ফসলে সার হিসেবে মানুষের প্রস্রাব ব্যবহার করার এই ধারণা অদ্ভূত শোনালেও হাজার বছর আগে পুষ্টির কারণে তা ব্যবহার হয়েছে। মানুষের প্রস্রাবে ফসফরাস, নাইট্রোজেন এবং পটাসিয়াম রয়েছে, যা বাজারে পাওয়া বাণিজ্যিক সারেও পাওয়া যায়।
নাইজারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চের বিজ্ঞানী হান্নাতো মুসার নেতৃত্বাধীন গবেষক দলটি প্রাচীন সভ্যতায় আবাদি জমিতে মানুষের প্রস্রাব ব্যবহারের এই চর্চায় আধুনিক কিছু কৌশল যুক্ত করেছে।
দেশটির একদল নারীর সাথে কাজ করার সময় মুসা এবং তার দল সেখানকার কৃষকদের সঠিকভাবে প্রস্রাব স্যানিটাইজ এবং সংরক্ষণের উপায় শিখিয়েছেন। নাইজারের কৃষি শিল্পে নারীদের সংশ্লিষ্টতা বেশি। দেশটির প্রায় ৫২ শতাংশ কৃষি খামার নারীরা পরিচালনা করেন।
বিজ্ঞানীরা ‘প্রস্রাব’ শব্দটি ঘিরে নেতিবাচক ধারণা দূর করতে এর নাম পরিবর্তন করে ‘ওগা’ রেখে কাজ শুরু করেছিলেন। পরীক্ষার পরবর্তী অংশে দেশটির বিভিন্ন এলাকার খামার দু’টি ভাগে বিভক্ত করেন তারা। এর একটিতে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যিক সার এবং অন্যটিতে ‘ওগা’ ব্যবহার করা হয়।
এগ্রোনমি ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ‘পরীক্ষা চালানো এবং প্রয়োগে কৃষকদের রাজি করাতে গবেষক দলটি প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় বছরে ওগাকে জৈব বর্জ্য এবং গোবরের সাথে মেশাতে উত্সাহ দিয়েছিল।’
তারা বলেছেন, নাইজারে ২০১৪, ২০১৫, এবং ২০১৬ সালে যথাক্রমে ১৫৯, ২৮৮ এবং ১৩৪টি খামারে এই সারের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। খামার থেকে সংগৃহীত তথ্যে দেখা যায়, যেসব খামারে ওগা ব্যবহার করা হয়েছিল, প্রচলিত খামারের তুলনায় সেসব খামারে গড়ে ৩০ শতাংশ বেশি শস্য উৎপাদন হয়েছে।
এই ফল এতটাই দুর্দান্ত ছিল যে নাইজারের ওই অঞ্চলের অন্যান্য নারী খামারিরাও ‘ওগা’ ব্যবহার করতে শুরু করেছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন গবেষকরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার দুই বছর পর গবেষকরা দেখতে পান, নাইজারের এক হাজারেরও বেশি নারী কৃষক তাদের ফসলের সারে ‘ওগা’ ব্যবহার করছেন।
যেসব দেশে প্রস্রাব-ভিত্তিক সার পরীক্ষা করা হয়েছে, সেসব দেশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য রয়েছে। চীন, ফ্রান্স এবং উগান্ডায় এই সারের গ্রহণযোগ্যতার হার অনেক বেশি হলেও পর্তুগাল এবং জর্ডানে তা কম। প্রস্রাব সাধারণত কোনও রোগের প্রধান বাহক নয়। যে কারণে কৃষিতে ব্যবহারের জন্য এর ভারী প্রক্রিয়াকরণেরও প্রয়োজন হয় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই সার প্রক্রিয়াকরণ ও ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে এবং এটি পাস্তুরিত করাও সম্ভব।
গবেষকরা বলেছেন, সংগ্রহ করার পর প্রস্রাব ক্ষেতে নিয়ে যেতে হবে। তবে এই পদ্ধতি এখনও ব্যয়বহুল। বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস এবং ঘনীভূত করা অথবা এমনকি ডিহাইড্রেট করাও সম্ভব।
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক মৃতপ্রায় ফসল পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কয়েকটি দেশের একদল বিজ্ঞানী খনিজ সমৃদ্ধ, কম খরচের এবং সহজলভ্য সার— মানুষের ‘প্রস্রাব’ ব্যবহারে ফসলের উৎপাদনে চমকপ্রদ ফল পেয়েছেন। পরীক্ষামূলকভাবে সারের বদলে মানুষের প্রস্রাব ব্যবহার করায় ফসলের উৎপাদন প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
আফ্রিকার দেশ নাইজার প্রজাতন্ত্রে সার হিসেবে প্রস্রাবের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এই ফল পাওয়া গেছে বলে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
নাইজার, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির গবেষকদের একটি দল পার্ল মিলেট প্যানিকল নামের এক ধরনের শস্যের ফলন বাড়াতে জৈব সারের সাথে মানুষের প্রস্রাবের মিশ্রণ ঘটিয়ে ‘ওগা’ নামের এই সার তৈরি করেন। পরে গ্রীষ্মকালীন পার্ল মিলেট চাষে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেন তারা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের প্রস্রাবে ইউরিয়া, সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মতো একাধিক উপাদান রয়েছে। যা সঠিকভাবে ব্যবহারে ভালো ফল মিলতে পারে। ২০১৪ সাল থেকে গবেষকদের ওই দল পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদে মানুষের প্রস্রাবের ব্যবহার শুরু করেন।
গবেষকরা দেখেছেন, যেসব জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়েছে, তার তুলনায় মানুষের প্রস্রাব ব্যবহার করা জমিতে ফসলের উৎপাদন প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নতুন এই সার ব্যবহারকারী কৃষকদের মতে, এর একমাত্র খারাপ দিক হল দুর্গন্ধ। নাইজারের একজন কৃষক বলেছেন, একমাত্র সমস্যা হল ‘ওগা’ সারের দুর্গন্ধ ততটা ভালো নয়।
নাক এবং মুখ কাপড়ে ঢেকে এই সার ব্যবহারের সময় তিনি বলেন, ‘যখনই আমি জমিতে প্রস্রাব ব্যবহার করি, তখনই নিজের নাক-মুখ ঢেকে রাখি। তবে এটি বড় কোনও সমস্যা নয়।’
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। খরার কারণে দেশটির আবাদি জমিতে ফসল মরে যাচ্ছে। আর এর প্রভাবে মানুষের অনাহার-অর্ধাহার বাড়ছে।
এই সংকট দেশটিতে এতটা চরম আকার ধারণ করেছে যে, ২০১৪ সালে লোকজন চোরাই মার্কেট থেকে বিপজ্জনক কীটনাশক কিনে জমিতে ব্যবহার করে। এটি ছাড়া তাদের কাছে আর কোনও বিকল্প ছিল না। তখন একদল বিজ্ঞানী নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্প সারের উদ্যোগ নেন।
ফসলে সার হিসেবে মানুষের প্রস্রাব ব্যবহার করার এই ধারণা অদ্ভূত শোনালেও হাজার বছর আগে পুষ্টির কারণে তা ব্যবহার হয়েছে। মানুষের প্রস্রাবে ফসফরাস, নাইট্রোজেন এবং পটাসিয়াম রয়েছে, যা বাজারে পাওয়া বাণিজ্যিক সারেও পাওয়া যায়।
নাইজারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চের বিজ্ঞানী হান্নাতো মুসার নেতৃত্বাধীন গবেষক দলটি প্রাচীন সভ্যতায় আবাদি জমিতে মানুষের প্রস্রাব ব্যবহারের এই চর্চায় আধুনিক কিছু কৌশল যুক্ত করেছে।
দেশটির একদল নারীর সাথে কাজ করার সময় মুসা এবং তার দল সেখানকার কৃষকদের সঠিকভাবে প্রস্রাব স্যানিটাইজ এবং সংরক্ষণের উপায় শিখিয়েছেন। নাইজারের কৃষি শিল্পে নারীদের সংশ্লিষ্টতা বেশি। দেশটির প্রায় ৫২ শতাংশ কৃষি খামার নারীরা পরিচালনা করেন।
বিজ্ঞানীরা ‘প্রস্রাব’ শব্দটি ঘিরে নেতিবাচক ধারণা দূর করতে এর নাম পরিবর্তন করে ‘ওগা’ রেখে কাজ শুরু করেছিলেন। পরীক্ষার পরবর্তী অংশে দেশটির বিভিন্ন এলাকার খামার দু’টি ভাগে বিভক্ত করেন তারা। এর একটিতে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যিক সার এবং অন্যটিতে ‘ওগা’ ব্যবহার করা হয়।
এগ্রোনমি ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ‘পরীক্ষা চালানো এবং প্রয়োগে কৃষকদের রাজি করাতে গবেষক দলটি প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় বছরে ওগাকে জৈব বর্জ্য এবং গোবরের সাথে মেশাতে উত্সাহ দিয়েছিল।’
তারা বলেছেন, নাইজারে ২০১৪, ২০১৫, এবং ২০১৬ সালে যথাক্রমে ১৫৯, ২৮৮ এবং ১৩৪টি খামারে এই সারের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। খামার থেকে সংগৃহীত তথ্যে দেখা যায়, যেসব খামারে ওগা ব্যবহার করা হয়েছিল, প্রচলিত খামারের তুলনায় সেসব খামারে গড়ে ৩০ শতাংশ বেশি শস্য উৎপাদন হয়েছে।
এই ফল এতটাই দুর্দান্ত ছিল যে নাইজারের ওই অঞ্চলের অন্যান্য নারী খামারিরাও ‘ওগা’ ব্যবহার করতে শুরু করেছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন গবেষকরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার দুই বছর পর গবেষকরা দেখতে পান, নাইজারের এক হাজারেরও বেশি নারী কৃষক তাদের ফসলের সারে ‘ওগা’ ব্যবহার করছেন।
যেসব দেশে প্রস্রাব-ভিত্তিক সার পরীক্ষা করা হয়েছে, সেসব দেশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য রয়েছে। চীন, ফ্রান্স এবং উগান্ডায় এই সারের গ্রহণযোগ্যতার হার অনেক বেশি হলেও পর্তুগাল এবং জর্ডানে তা কম। প্রস্রাব সাধারণত কোনও রোগের প্রধান বাহক নয়। যে কারণে কৃষিতে ব্যবহারের জন্য এর ভারী প্রক্রিয়াকরণেরও প্রয়োজন হয় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই সার প্রক্রিয়াকরণ ও ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে এবং এটি পাস্তুরিত করাও সম্ভব।
গবেষকরা বলেছেন, সংগ্রহ করার পর প্রস্রাব ক্ষেতে নিয়ে যেতে হবে। তবে এই পদ্ধতি এখনও ব্যয়বহুল। বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস এবং ঘনীভূত করা অথবা এমনকি ডিহাইড্রেট করাও সম্ভব।
|
|
|
|
পাবনা প্রতিনিধি সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে। নির্বাচন নিয়ে যারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) বিদ্যালয় মাঠে লিচু মেলার উদ্বোধনকালে তিনি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিরোধী দলগুলো আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। এরকম হুমকি তারা মাঝে মধ্যেই দিয়ে থাকে। এই আগামী ঈদের পর, আগামী পূজার পর, এরকম তারা মাঝে মধ্যেই দিয়ে থাকে। ইনশাআল্লাহ আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। আমাদের পায়ের তলায় মাটি আছে। আমাদের সাথে জনগণ আছে। এই জনগণকে সঙ্গে নিয়েই ইনশাআল্লাহ যারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা পাল্টা আন্দোলনের যাবো।’ আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেতা বলেন, ‘আমরা সংবিধানের বাইরে কিছু বলি না।
নির্বাচন সরকার করবে না, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। পৃথিবীর সকল গণতান্ত্রিক দেশেই যেই নির্বাচিত সরকার থাকে তার অধীনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আয়োজন করে। আমাদের দেশেও তাই হবে।’চালের বাজার নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গমের দাম যখন বাড়বে তখন চালের ওপরেও একটা প্রভাব পড়বে। এজন্য অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা চাল মজুদ করছে। সম্প্রতি একটা গোডাউনের ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল পাওয়া গেছে।
আর বছরের শুরুতেই প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় অনেক ধান উৎপাদনে একটু সমস্যা হয়েছে। হাওড় এলাকায় অনেক ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছুটা উৎপাদন কম হয়েছে। কিন্তু সারা দেশে সার্বিকভাবে গত বছরের চেয়ে ধান উৎপাদন বেশি হয়েছে। তাই আমার আশা ধানের দাম কমবে। ফলে চালের দাম বাড়ার কোনও কারণ নেই। আর মোটা চালের দাম বাড়বে না এটা প্রায় নিশ্চিত করে বলতে পারি।
’লিচুর রাজধানী ঈশ্বরদীতে গবেষণাগার নিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু লিচুর জন্য নয়, লিচু, পেয়ারা, বড়ই, আম সবকিছু নিয়ে আমরা অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছি, আপনারা ভবিষ্যতে দেখতে পারবেন। আমি আসছি এগুলোর জন্যই। আর ঈশ্বরদীর বিমানবন্দর চালু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভালো বলতে পারবেন।’ এর আগে দুুপুর দেড়টার দিকে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ার নওদাপাড়া গ্রামের একটি লিচুর বাগান পরিদর্শন করেন। দুপুর তিনটার দিকে বিএসআরআই বিদ্যালয় মাঠে লিচু মেলার উদ্বোধন করেন এবং মেলার স্টল পরিদর্শন করেন। পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
|
|
|
|
বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি দিনাজপুরের বিরামপুর বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসালো তালশাঁস। সুস্বাদু তালশাঁস খেতে বাজারে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন। গত বছরের চেয়ে এই বছর তালশাঁসের দাম অনেকটা বেশি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা জানান, উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।
রোববার (২৯মে) ১২টার দিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় সোনালী ব্যাংকের সামনে মোকসেদ নামে এক ব্যক্তি অল্প কিছু তাল নিয়ে বসে আছেন। মৌসুমের শুরুতে তাই অল্প তাল বাজারজাত করেছেন তিনি। তবে অল্প তালের ক্রেতা বেশি, তাই তাল কেটে শাঁস বেড় করতে ব্যস্ত তিনি। মোকসেদ বলেন, ‘এবার তালের ফলন অনেকটাই কম। গেলো বছর ৫০ থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে তাল গাছ ক্রয় করতেন ব্যবসায়ীরা। তবে বর্তমান গাছের দাম আগের মতোই আছে, কিন্তু ফলন অনেক কম। যার কারণে তালশাঁসের দাম বেশি। গত বছর প্রতিটি তাল শাঁস বিক্রি করেছিলাম ৫ থেকে ৬ টাকা পিচ। এ বছর বিক্রি করছি ৭ থেকে ৮ টাকা পিচ।‘
এক সময় গ্রামগঞ্জের মাঠে-ঘাটে আর রাস্তার পাশে দেখা যেতো তালের গাছ। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। আগের দিনে মানুষ তালের শাঁস কিনে খেতো কম, কেননা হাতের নাগালেই পাওয়া যেতো। এখন সেই তাল টাকার বিনিময়ে কিনে খেতে হচ্ছে।
কথা হয় তালশাঁস কিনতে আসা রফিকুল এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তালের শাঁস স্বাদে ভরা। আমার পরিবারের সবার পছন্দ, তাই তালশাঁস কিনতে এসেছি। দাম অনেক বেশি, পরিবারের জন্য ১০টির অর্ডার দিয়েছি। ’অপর ক্রেতা সোহেল বলেন, ‘অন্যান্য ফলের চেয়ে তালশাঁসের স্বাদ আলাদা। প্রতি বছর তাল উঠলে আমি প্রতিদিন ৩থেকে ৫টা করে তালশাঁস খেয়ে থাকি।’
তাল ব্যবসায়ী মোকসেদ বলেন, ‘তিলকপুর থেকে তাল নিয়ে বিরামপুর বাজারে এসেছি। প্রায় ১০ বছর ধরে এই তালশাঁসের ব্যবসা করছি। গত কয়েক বছর ধরে বিরামপুর বিভিন্ন স্থানে তালশাঁস বিক্রি করি। মৌসুমি ফল তালশাঁস আজ প্রথম বিরামপুরে আনলাম। বেশি আনিনি, অল্প করে এনেছি। সবাই কেনার জন্য আসছে, তবে দাম বেশি হওয়াতে কম করে নিচ্ছে সবাই।’
|
|
|
|
শিমুল ইসলাম, যশোর মধু মাসের আগাম ফল হিসেবে যশোর জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হলেও লিচু চাষিরা দাম পাচ্ছে না, প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ লিচু ধরেছে। চাষিরা খুশি হলেও যথাযথ দাম পাওয়া যাচ্ছে না। শুরুতে বেশ ভালো দাম ছিল কিন্তুু এখন ব্যাপারীরা এক হাজার লিচুর দাম দিচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৮০০‘শ টাকা দিচ্ছে। শুরুতে দাম ছিল ২২০০ থেকে ২৮০০ টাকা বলে জানান লিচু চাষিরা, যশোর ফলপট্টি, সাতমাইল, বারো বাজার, ঝিকগোছা, নাভারন, মনিরামপুর কেশবপুর, বসুন্দিয়াসহ অনেক মোকামে সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিক্রির জন্য আসা লিচু মিষ্টি ও উন্নতজাতের যা শতভাগ বিষমুক্ত।
এখানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা ও বড় বড় হাট বাজার থেকে পাইকাররা আসছেন। ঢাকা থেকে আসা ব্যাপারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মুজিবুর রহামান ভুইঞা, আক্তার হোসেনসহ অনেক ব্যাপারি অভিযোগ করে বলেন ঘাটে পারাপারে ও যানজটে গাড়ী আটকে থাকার কারনে তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব লিচু ক্রয় করে ফেরত যেতে হবে। বসুন্দিয়া ফল ভান্ডারসহ অনেক মোকামের আড়ৎদাররা বলেন আমাদের এই বাজারে প্রতি দিন ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ্ টাকার লিচু বেচাকেনা হয়। নড়াইল, বসুন্দিয়া, সুদুল্লাপুর, মাহমুদপুর, জংঙ্গলবাদাল, জয়রামপুর, দিয়াপাড়া থেকে লিচু এই মোকামে আনা হয়, সকাল ৭ টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত বাজার জমজমাট থাকে। বেচা কেনা ভালো, দূরের পাইকাররা আমাদের এখানকার আতিথিয়েতায় খুশি, তারা লিচু ক্রয়ে দারুন লাভবান হবেন।
এদিকে যশোর কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা স্বাধীন বাংলাকে বলেন এবার যশোর ও আশপাশে লিচুর ভালো ফলন হয়েছে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চাষীরা ভালোভাবে লিচু বিক্রয় করতে পারবেন, লিচু বাগানে গতবারের চেয়ে এবছর লিচুর দারুন ফলন হয়েছে চাষীরা অনেক বেশি লিচু পাবে। তিনি আরও জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে দুই থেকে তিনজন কৃষি অধিদপ্তরের লোক রয়েছেন তারা প্রতিনিয়ত লিচু বাগান পরিদর্শন করছেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন। দেশি, চাইনা থ্রী, বোম্বাইসহ বিভিন্ন জাতের লিচুর ফলন এবারে ভালো হয়েছে।
|
|
|
|
আনোয়ারা(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
এবারের বোরো মওসুমে ফসলে ভরপুর ছিল চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সোনালী ফসলের মাঠ। উপজেলার প্রায় সকল মৌজাতেই হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ধানের বাম্পার ফলন। ফসলের এ বাম্পার ফলন দেখে আনন্দে হেসেছিল কৃষকেরা।
কিন্তু স্থানীয় কয়েকটি রাইচমিল কেন্দ্রিক ধান ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজির কারনে মুহুর্তেই যেন মলিন হয়ে গেছে তাদের সেই হাসিমুখ। ধানের মূল্য শুনে তারা হতবাক।
রমজান মাসের শেষের দিকে ধান কাটা শুরু হয়ায় এ বার বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে কৃষকদের, ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দৈনিক মজুরীতেও ঠিক ভাবে মিলেনি ধান কাটার শ্রমিক বা কামলা।
তা ছাড়া সম্পূর্ণ সেচের পানি নির্ভর এই চাষে উপজেলার মৌজা সমূহে কানি(৪০ শতক)জমি প্রতি পানির মূল্য ছিল ২ হজার থেকে ২২শত টাকা। তার উপর কয়েক প্রকারের সার ও উচ্চমূল্যের কীটনাশকতো রয়েছেই। সব মিলিয়ে কানি প্রতি চাষের খরচ ও ফলনের হিসেব বিবেচনায় ধানের মূল্য একেবারে অপ্রতুল বলে জানান কৃষকেরা।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চিকন প্রজাতির ধান প্রতি আড়ি(১০কেজি) ২২০ টাকা এবং মোটা প্রজাতির ধান প্রতি আড়ি(১০কেজি) ১৯০ টাকা দরে ক্রয় করছেন স্থানীয় ধান ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার বটতলী, চাঁপাতলী, গুন্দ্বীপ, বারশত ও তুলাতলী মৌজার বেশ ক`জন কৃষকের সাথে আলাপকালে ধানের দর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। তাঁরা বলেন দিনরাত পরিশ্রম করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে যারা কাজ করছি তাঁদের খবর আজ কেউ রাখেনা। অতি কষ্টে ফলানো ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে অতি কম মূল্যে, তাঁরা আরওবলেন ধান ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে আমরা জিম্মি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে যেখানে সবকিছুর দাম উর্ধ্বমূখী সেখানে ধানের এই অবমূল্যায়ন সত্যিই দুঃখজনক।
গুন্দ্বীপের কৃষক জাগির খান, চাঁপাতলীর মোহাম্মদ হোসেন, নুরুল ইসলাম, বারশতের মকবুল আহমদসহ তুলাতলী মৌজার একাধিক কৃষকের সাথে কথা বললে তাঁরা দৈনিক স্বাধীন বাংলাকে জানান ব্যায়বহুল এ মওসুমে এক কানি(৪০শতক) জমিতে ধান রোপন থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ পড়ে ১৭থকে ১৮হাজার টাকা। তার উপরে তিন থেকে সাড় তিন মাস ধরে নিজের অক্লান্ত পরিশ্রমতো আছেই। বিপরীতে কানি প্রতি ধান উৎপাদন হয় ৮০ থেকে ৯০ আড়ি। (১০ কেজি আড়ি)। বর্তমান ধানের বাজার মূল্য হিসাব করলে নিজের পরিশ্রমতো দুরের কথা এর পেছনে নগদে খরচ করা অর্থও উঠে আসছেনা।
ধানের এই অবমূল্যায়নের জন্য স্থানীয় কয়েকটি রাইচমিল কেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের কারসাজিকে দায়ী করে তাঁরা বলেন, আমাদেরকে চরম ভাবে ঠকানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের নজরদারি প্রয়োজন, কৃষক যাতে ধানের ন্যায্যমূল্য পায় সে ব্যাপারে কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তাঁরা। অন্যথায় আগামীতে কৃষিকাজের প্রতি মানুষের অনীহা আসতে পারে বলেও আশংকা করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন স্থানীয় পর্য্যায়ে ধানের মূল্য কম এর বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি, শিগগিরই এই ব্যাপরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন এই মওসুমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সকল প্রজাতির ধান প্রতি আড়ি(১০কেজি)২৭০ টাকা দরে সংগ্রহ করছে উপজেলা খাদ্য অফিস। কৃষকেরা চাইলে সেখানে ধান সরবরাহ করতে পারেন।
|
|
|
|
রুবেল ইসলাম, মিঠাপুকুর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় অতিবৃষ্টির প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় বোরো ধানক্ষেতে পানি জমায় ধান কর্তনে ব্যাপক অসুবিধায় পড়েছেন কৃষক। গত কয়েকদিনে লাগাতার বৃষ্টিতে স্হানীয় নদনদীর পানি বৃদ্ধি এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় মাঠের হাজার হাজার হেক্টর পাকা ধান নষ্ট এবং তলিয়ে যেতে বসেছে।
উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়ন জুড়েই কৃষকদের চোখে মুখে বাড়ছে হতাশা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোন কোন জমিতে হাঁটু সমপরিমাণ পানি, কোথাও আবার আধাপাকা ধান হালকা বাতাসে পানিতে ভেঙ্গে পড়েছে। কেউ কেউ আবার ধানক্ষেতের পাকা ধান শ্রমিকের অভাবে কাটতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।
শ্রমিক সংকটের বিষয়টি বড় সমস্যা হিসেবে দেখছেন স্হানীয় কৃষকরা। তারা জানান- একমন ধান বিক্রি হচ্ছে স্হানভেদে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। আর একজন শ্রমিকের মজুরি নির্ধারন করা হয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। একজন শ্রমিকের মজুরি সমান সমান এক`মন ধান। পানিতে ধান কর্তন করে ডাঙ্গায় উঠাতে গিয়ে শ্রমিকেরা তেমন ধান কর্তন করতে পারেনা। ফলে মারাত্মক লোকসানে পড়ছেন কৃষকরা।
এদিকে ধান কর্তন করার পর ধান শুকানোর জায়গা এবং মাড়াই করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এতে ধান নষ্ট হয়ে পঁচে যাচ্ছে। পঁচে যাওয়ায় বেপারী এবং পাইকাররা ধান ক্রয় করতে অনিহা প্রকাশ করে সুযোগে ধানের দাম কমিয়ে দিচ্ছেন। ধান মাড়াই এবং খড় শুকাতে কৃষকরা উঁচু স্হান হিসেবে রংপুর হাইওয়ে সড়ক কিংবা আঞ্চলিক মহাসড়ক গুলোতে ধান মাড়াই করছেন। এর ফলে বাড়ছে মোটরসাইকেলসহ নানান দূূর্ঘটনা। সামান্য সূর্য উঁকি দিলেই আঞ্চলিক আর গ্রামীণ পাকা রাস্তাগুলোতে ধান আর খড় শুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন কিষাণ-কৃষাণী আর শ্রমিকরা। উপজেলা প্রশাসন বারবার হাইওয়ে সড়কে ধান মাড়াই কিংবা শুকাতে নিষেধ করার পরও থামছেনা ধান মাড়াই। এতে বিভিন্ন সময়ে বাড়ছে দূর্ঘটনা।
ধান কর্তনে ব্যস্ত শ্রমিক দলের কয়েকজনের সঙ্গে খোড়াগাছ ইউনিয়নের রুপসি গ্রামে কথা হলে তারা জানান, তারা পাশ্ববর্তী রানীপুকুর ইউনিয়ন থেকে ১৪ জনের একটি টিম এসেছেন। বিঘা অনুযায়ী তারা চুক্তিতে ধান কর্তন করছেন। গতবার বোরো মৌসুমে বিঘা প্রতি ৩০০০/৩৫০০ টাকায় তারা ধান কর্তন করেছেন। কিন্তু এবার বৃষ্টির আগে কয়েক দিন বিঘা প্রতি ৩৫০০ টাকায় ধান কর্তন এবং মাড়াই করলেও বৃষ্টির পানি আর বাতাসে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হলে পানিতে নেমে ধান কাটায় প্রচুর সময় ব্যয় হচ্ছে। জমি থেকে কোন কোন সময় ১ কিঃমিঃ, কিংবা দেড় কিঃমিঃ পথ পাড়ি দিয়ে শুকনো জায়গায় ধান মাথায় করে নিয়ে আসা লাগতেছে। এতে শ্রম আর সময় বেড়ে যাওয়ায় বিঘা প্রতি ৫/৬ হাজার টাকা নিয়েও সঠিক মজুরি পাওয়া যাচ্ছেনা। তাছাড়া প্রতিদিনই কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
কৃষকরা শ্রমিক সংকটে পড়ায় কম্বাইন হারভেষ্টার মেসিনের জন্য বিভিন্ন জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোন সুফল না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে শ্রমিককে বেশী মজুরি দিয়ে ধান কর্তন করছেন। ধান শুকানোর জায়গা এবং রোদ না থাকায় মিল মালিক কিংবা স্হানীয় ব্যপারীদের কাঁচা ধান ৪০ থেকে ১০০ টাকা কম নেওয়ার শর্তে বস্তা করে দিচ্ছেন। এতে ব্যাপক ক্ষতি আর লোকসানে পড়ে সর্বশান্ত ও ঋনের বোঝা চাপার কথাও জানান অনেকে।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল আবেদীন জানান, মিঠাপুকুরে এবার ৩৪০০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। শ্রমিক সংকট সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে ভূর্তকি মূল্যে ২ টি কম্বাইন হারভেষ্টার মেসিন প্রদান করা হয়েছে। কৃষকদের কথা চিন্তা করে, পর্যায়ক্রমে আরো তিনটি মেসিন প্রদান করা হবে। ক্ষতিগ্রস্হ কৃষকদের সহায়তায় বিষয়টি নিয়ে তারা ভাবছেন।
|
|
|
|
রুবেল হোসেন, নওগাঁ: খাদ্যভান্ডার খ্যাত বরেন্দ্র অঞ্চলের নওগাঁর জেলা আম উৎপাদনে দেশজুড়ে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছে। মৌসুমের আম নামানো শীগ্রই শুরু হতে যাচ্ছে। বেঁধে দেওয়া সময় মেনে বাগান থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে। ২৫ মে প্রথমদিন গাছ থেকে পাড়া হচ্ছে স্থানীয় গুটি জাতের আম।
ধান-চালের রাজ্যে খাটো খাটো গাছে এখন আমের রাজত্ব। অধিক লাভজনক হওয়ায় ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বাগান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২১-২২ মৌসুমে নওগাঁয় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এরমধ্যে পোরশা উপজেলায় ১০ হাজার ৫২০, সাপাহারে ১০ হাজার, পত্মীতলায় ৮ হাজার ৮৬৫, নিয়ামতপুরে ১ হাজার ১৩৫, মহাদেবপুরে ৬৮০, ধামইরহাটে ৬৭৫ হেক্টর। এছাড়া বদলগাছীতে ৫২৫, নওগাঁ সদরে ৪৪৫, মান্দায় ৪০০, আত্রাইয়ে ১২০ ও রানীনগরে ১১০ হেক্টর। এ পরিমাণ জমি থেকে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এবার প্রায় ১ হাজার ৮৪২ কোটি ১৭ লাখ টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। বৈশাখে পরিপক্ব হওয়া এই জাতের আম দিয়েই সংগ্রহের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবেন বাগানিরা।
অসময়ে আম সংগ্রহ বন্ধ রাখতে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৫ মে থেকে গুটি আম পাড়তে পারছেন চাষিরা।
আমজাদ শাহ্, আমিনুল শাহ্সহ ৪০-৫০ জন আমচাষি জানান, আম্রপালি, বারি-৪, গৌড়মতি, নাগফজলি, ফজলি, আর্শ্বিনা, হিমসাগর, গোপলভোগ, লেংড়া ও খিরশাপাত জাতের আম চাষ করেছেন। পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাই এর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কীটনাশক স্প্রে ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই আম চাষ বাড়ছে বলেও জানান তারা।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল ওয়াদুদ সাংবাদিকদের জানান, গত বারের চেয়ে জেলায় এবার ৩ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে বেশি আম চাষ বেশি হয়েছে। এ মৌসুমে বড় পরিসরে রপ্তানীর চিন্তা করা হচ্ছে।
আম গবেষণা কেন্দ্র, সংরক্ষাণাগার স্থাপন ও বিশ্ববাজারে রপ্তানী বৃদ্ধি করতে কৃষি বান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কমানা করেছেন নওগাঁর লাখো কৃষক।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক সম্প্রতি প্রকৃতিক দুর্যোগ ও আবহাওয়া অনূকূলে না থাকার কারণে মাঠে থাকা বোরো ধান এবং সয়াবিনসহ বিভিন্ন রবি শস্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা। মাঠে এখনো যাদের কাঁচা ধান এবং সয়াবিন আছে তারা সেগুলো নিরাপদে ঘরে তোলা নিয়ে আতঙ্কে আছে।
অন্যদিকে, ঝড়ো বাতাসে কিছু কিছু ধান গাছ মাটিতে ভেঙে পড়ায় সেগুলো অনেকাংশে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া সয়াবিন ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, মাঠের ধান ৮০ শতাংশ পাকলে কেটে ফেলার উপযুক্ত হয়। আর যে সকল ক্ষেতের সয়াবিন গাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে সেগুলো তুলে ফেলা যায়।
তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মাঠের ফসল রক্ষার্থে দ্রুত কেটে ফেলার আহ্বান জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
কৃষকরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ক্ষেতে পানি জমে যাচ্ছে। ফলে ফসল কাটতে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে।
এদিকে, বাড়ির উঠানে থাকা ধান নিয়ে ভোগান্তিতে রয়েছে গৃহস্তরা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ধান শুকানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলাতে ৩৫ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, আর সয়াবিনের আবাদ হয়েছে ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে। ৯ মে পর্যন্ত মাঠ থেকে ধান কর্তন করা হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। আর সয়াবিন তোলা হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের চরআলী হাসান গ্রামের কৃষক হারুনুর রশিদ বলেন, ৪০ শতাংশ জমিতে সয়াবিন এবং ৮০ শতাংশ জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। সয়াবিনগুলো এখনো কাঁচা। ধান কিছুটা কাটা হয়েছে। তাই ক্ষেতের ফসল নিয়ে এখনো শঙ্কায় আছি। সয়াবিন ক্ষেতে পানি জমে আছে, সয়াবিনে পানি লাগলে সেগুলোর রং কালো হয় যায়।
একই এলাকার কৃষক নুর আলম বলেন, এক একর জমিতে সয়াবিন চাষ করেছি। সেগুলো এখনো ক্ষেতে। বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষেতে পানি জমে আছে। পানি নামার কোন ব্যবস্থা নেই।
কৃষক রহিম ঢালী বলেন, বোরো ধানের ক্ষেতে পানি জমে আছে। ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তবে হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে ধান কাটার ব্যবস্থা থাকলেও ক্ষেতে পানি থাকার কারণে প্রতি একরে দুই হাজার টাকা বাড়তি দিয়ে কাটতে হচ্ছে। ক্ষেত শুকনো থাকলে সময় এবং টাকা কম লাগতো।
আরেক কৃষক সফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ক্ষেতে থাকা ধান এখনে ভালোভাবে পাকেনি। এরই মধ্যে ঝড়ো বাতাসে ধান গাছ ভেঙে জমিতে বিছিয়ে গেছে। এতে পানি এবং পোকা ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কাঁচা থাকায় কাটতেও পারছি না।
কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ধান নিয়ে খুব বিপদে আছি। এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে মাঠের ধান শুকিয়ে ঘোলায় না তোলা পর্যন্ত আমাদের দুঃচিন্তা কাটবে না। ইতোমধ্যে যেগুলো কেটে ঘরে তুলেছি, সেগুলো শুকানো নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং পর্যাপ্ত রোধ না থাকায় শুকনো ধান ঘোলায় তুলতে পারছি না।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, এবার ধান এবং সয়াবিনের ফলন ভালো হয়েছে। তবে ঘুর্ণিঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষেতে থাকা ফসল নিয়ে কৃষকরা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে। তাই আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি- দ্রুত ফসল ঘরে তোলার। ক্ষেতের ধান ৮০ শতাংশ পাকলে কাটার উপযোগী হয়। আর সয়াবিন গাছের পাতা হলুদ বর্ণ ধারণ করলে সেগুলো তুলে ফেলার উপযুক্ত হয়৷
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক জেলার লালমাই পাহাড়ে কচুর বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। লাইমাই পাহাড় কুমিল্লার দর্শনীয় অন্যতম একটি স্থান। কুমিল্লা আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ ও বরুড়া উপজেলা জুড়ে এ লালমাই পাহাড়টি অবস্থিত। পাহাড়ের উত্তর-দক্ষিণে ১১ মাইল লম্বা এবং পূর্ব-পশ্চিমে ২ মাইল চওড়া। এ পাহাড়ের মাটি লাল হওয়ার কারণে পাহাড়ের নামকরণ লালমাই করা হয়। লামমাই পাহাড়ের সর্বোচ্চ উচ্চতা ৫০ ফুট।
আর এ লালমাই পাহাড়ের বুকে বিভিন্ন সময় শাক-সবজি, ফল-মূল ইত্যাদি উৎপাদন হয়ে আসছে। চলতি বছরে আগাম বৃষ্টির হওয়ার কারণে লালমাই পাহাড়ে কচুর বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। লালমাই পাহাড়ের আদি অধিবাসীদের একমাত্র প্রধান পেশা হলো কচু চাষ করা। একজন চাষি আগ থেকে বলতে পারেন কোন বছর তাদের বাম্পার ফলন হবে।
যে বছর বৃষ্টি বেশী হবে, সেই বছর কচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকে। চারা বপনের সময়ে প্রথমে কৃষকরা পাহাড় কোঁদাল দিয়ে মাটি কেটে বীজ বপনের জন্য প্রস্তুুত করা হয়। মাটি কাটা শেষ হলে বীজ বপনের কাজ শুরু হয়। বীজ রোপণ করতে হয় এক হাতের (১৮ ইঞ্চি) মধ্যে তিনটি। প্রতি শতকে উৎপাদনে খরচ হয় ৮০০-১০০০ টাকা। আর তা বিক্রি করা হয় ১২০০-১৫০০ টাকা। শতকে উৎপাদন হয়ে থাকে ৩-৪ মণ। কৃষকরা এ পেশার অর্থ উপার্জন দিয়ে সংসার, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া ও ভরণ পোষণ করে থাকেন।
সদর দক্ষিন উপজেলা কৃষি অফিসারের তথ্য অনুযায়ী জানা যায় চলতি বছর ৪০ হেক্টর জমিতে কচু উৎপাদন করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি হেক্টর জমিতে কচুর উৎপাদন হবে ২০ টন। ৪০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হবে ৮০০ টন। এক সময় এ লালমাই পাহাড়ের কচু দেশের সকল জেলার চাহিদা মিঠিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করে উপার্জন করা হতো বৈদাশিক মুদ্রা।
লালমাই পাহাড়ের পশ্চিম শ্রীবিদ্যার এলাকার কৃষক রমিজ উদ্দিন জানান, পাহাড়ে পানি সেচ দেওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে বৃষ্টির উপর আমাদের ফসলের নির্ভর হয়ে থাকতে হয়। যেহেতু এ বৎসর আগাম বৃষ্টি হয়েছে তাই আমরা বেশী ফলনের আশা করতে পারি। অপর কৃষক হরিচন্দ্র পাল জানান, আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত যদি অনুকূলে থাকে তাহলে এবার বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা পাহাড়ের অধিবাসী কৃষকদের সকল ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। যাতে করে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পাহাড়ে কচু চাষে বিপ্লব ঘটবে।
সুত্র : বাসস
|
|
|
|
মাহমুদুল হাসান, চৌহালী:
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে সব অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সোনালী ধান বাম্পার ফলনের (বোরো ফসল) কৃষকের গোলায় উঠার অপেক্ষা। বর্তমান চৌহালী উপজেলার কৃষি মাঠজুরে শুধু ধান আর ধান বাতাস দোল খাচ্ছে। এখন ধান কাটা, মড়াই করা, মাঠে শুকানো ও গোলায় তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কৃষাণী শ্রমিক জনতা। জানা গেছে, চৌহালীতে ৭টি ইউনিয়নে ২১০৮৬ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিকনিদর্শনা ও কৃষকদের উৎসাহিত করে কৃষি মাঠকে সাজিয়ে তুলেছেন। বিনামূল্যে সার বীজ সহ সরকারি কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয় কৃষিকে আরো বেগবান করতে। সব মিলিয়ে সবার প্রচেষ্টায় এবছর জমিতে বাম্পার বোরো ধান উৎপাদন ও বাম্পার ফলনের অপেক্ষায় আছে কৃষক। গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়- কৃষি মাঠে ২৮ ধান কাটা, মাঠে ধান শুকানো ও মড়াইয়ে ব্যস্ত রয়েছে কৃষক-কৃষাণী ও শ্রমিকরা। পাশাপাশি ২৯ সহ অন্যান্ন ধান কাটার মৌসুম চলছে। এ সময় কৃষক মাজম সিকদার সহ অনেকেই বলেন, উপজেলা জুড়ে বোরো আবাদে বাম্পার ফসল কৃষকের গোলায় উঠা শুরু করেছে। এতে কৃষক কৃষাণীর মুখে মুখে হাসি ফুটছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষি বিদ মোঃ রেজিন আহমেদ দৈনিক স্বাধীন বাংলা বলেন, উপজেলায় উপসি বোরো ২০১০০ হেক্টর, হাইব্রিড বোরোধান ৮৬ হেক্টর তথা ২১০৮৬ হে, জমিতে ধানের আবাদ করেছেন কৃষক। সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ মাত্রা ৯২৮৬ মেঃটন চাউল নির্ধারন করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের ৮০ % ধান পাকা মাত্রই কর্তন করার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং সময় মতো সার বীজ সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করায় আবাদের বাম্পার ফলনের অপেক্ষায় আছে কৃষক।
|
|
|
|
রাফসান সাইফ সন্ধি, ঘটাইল, টাঙ্গাইল:
মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অধিকাংশ শ্রমিক পাড়ি জমিয়েছে শহরে। কর্মরত রয়েছে বিভিন্ন মিল-ফ্যাক্টরিতে। তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে ইরি-বোরো ধান কাটা শ্রমিকদের। ধান কাটার শ্রমিক না পেয়ে বিপাকে শত শত কৃষক। এক মণ ধানের দামেও মিলছেনা একজন শ্রমিক। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। তিন বেলা খাবার সহ জনপ্রতি শ্রমিকদের মজুরি দিতে হচ্ছে ৯ শত টাকা, এছাড়াও রয়েছে চা, পান-সিগারেট সহ অন্যান্য যাবতীয় খরচ। এদিকে এক মণ ধানের বর্তমান বাজার মূল্য ৭ থেকে ৮শ’ টাকা। ফলে এক মণ ধানের বাজার মূল্যে একজন শ্রমিকের মজুরি দিতে না পারায় হতাশ কৃষকরা।
সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের ঘাটাইলেও দেখা দিয়েছে এমন চিত্র। উপজেলার স্থানীয় কৃষকরা জানায়- বোরো ধান চাষের জমি প্রস্তুত, চারা রোপণ, পানি সেচ, সার-কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার, ধান কাটার শ্রমিক খরচ সহ প্রতি মণ ধানের উৎপাদন খরচ পরছে প্রায় হাজার টাকা। কালবৈশাখী ঝড়-তুফানের আগে ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা থাকলেও শ্রমিক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে তা। শ্রমিক সংকটের কারনে বাধ্য হয়েই উচ্চ মজুরি পরিশোধ করতে হচ্ছে কৃষকদের। আবার অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করছেন।
উপজেলার বানিয়া পাড়া গ্রামের কৃষক খলিল আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, দুইএকর জমির পাকা ধান মাঠে পড়ে আছে, শ্রমিকের বড়ই অভাব। আকাশে মেঘ দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। সাধুটি গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, শ্রমিকের মজুরি বেশি, এ দামে ধান কেটে পোষায় না। ধান তো আর মাঠে ফেলে রাখা যাবে না, বাধ্য হয়েই শ্রমিক নিতে হয়। উত্তর পাড়া গ্রামের কৃষক রেজা মিয়া বলেন, ধানের যে দাম আর শ্রমিক সংকটে আমাগো জীবন শেষ। লাভ তো পরের হিসাব, খরচ-ই উঠব না।
এসকল সমস্যার সমাধানের বিষয়ে কৃষকদের প্রযুক্তি নির্ভরশীল হওয়ার আহ্বান জানালেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘাটাইলে সরকারের ভর্তুকি মূল্যে বর্তমানে কম্বাইন্ড হারভেস্টার রয়েছে চারটি। নতুন আরো সাতটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার আসলেও কৃষকরা গ্রহণ করেছে একটি এবং ফেরত যাচ্ছে ৬টি। কৃষকদের প্রযুক্তি নির্ভরশীল না হলে এসকল সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয় ক্রয় করবে খাদ্য অধিদপ্তর, এমনটাই জানালেন ঘাটাইল উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা খোরশেদ আলম মাসুদ। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছেন কৃষকরা। সরকারের সহযোগিতা পেলে কৃষকদের কষ্ট কিছুটা লাঘব হতে পারে এমনটাই অভিমত স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের।
|
|
|
|
জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটে চলছে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ। জয়পুরহাট সদর উপজেলাসহ, পাঁচবিবি, কালাই ক্ষেতলাল এবং আক্কেলপুর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে শ্রমজীবীরা এখন আগাম জাতের বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে চলতি ২০২১-২০২২ রবি ফসল উৎপাদন মৌসুমে স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলায় এবার ৬৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৯ হাজার ৪২৫ হেক্টর। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যেই পুরোদমে বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ শুর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কায়ছার ইকবাল বলেন, ‘সাম্প্রতিক কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টির প্রভাবে জয়পুরহাট সদর উপজেলার প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর বোরো ধান খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফসল উৎপাদনের ক্ষতি ধরা হয়েছে ৯০০ মেট্রিক টন। আর এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে দেড় কোটি টাকা।’
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, রোববার পর্যন্ত ১০ শতাংশ জমির ধান কাটা-মাড়াই করা হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন আগে যে কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টি হলো, তার প্রভাবে পুরো জেলার প্রায় ২ হাজার ১৩ হেক্টর বোরো ধান খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফসল উৎপাদনের ক্ষতি ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৪ মেট্রিক টন। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা।’
সরেজমিনে জেলার ধানচাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি কালবৈশাখীর প্রভাবে বয়ে যাওয়া ঝড়বৃষ্টির কারণে তাদের পাকা এবং আধাপাকা ধানের গাছ জমিতে নুয়ে পড়েছে। কিছু কিছু নীচু জমিতে এখনও পানি জমে আছে। তাই ধান কেটে নিতে হচ্ছে চড়া দামে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে প্রতি বিঘা ধান কাটা যেতো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়। এখন সেই ধান কাটতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। এখন প্রতি বিঘা ধান কেটে নিতে হচ্ছে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায়।
এদিকে শ্রমজীবীরা জানান, বেশি দামে ধান কেটেও পড়তা হচ্ছে না তাদের। ধান গাছ নুয়ে না পড়লে এবং জমিতে পানি না জমে থাকলে যে সময়ে তারা ৩ বিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াই করতে পারতেন; এখন এক থেকে দেড় বিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াই করতে তাঁদের সেই সময় লাগছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমরগ্রামের কৃষক কাউছার রহমান জানান, তাঁর ৮ বিঘা জমির মধ্যে ৫ বিঘা জমিই বর্গা রেখেছেন তিনি। ৩ বিঘা জমিতে আগাম জাতের বোরো ধান জিরাশাইল চাষ করেছেন। এক সপ্তাহ আগে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর কারণে পাকা ধানগাছ জমিতে নুয়ে পড়ছে। ৫ হাজার টাকা বিঘা দরে সে ধানগুলো কেটে দিচ্ছেন শ্রমিকরা।
ইীলফামারী জেলার ডোমার থেকে আসা শ্রমিক দলের সর্দার মোসলেম উদ্দিন জানান, জমির ধান নুয়ে পড়ায় এবং জমিতে পানি জমে থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবে ধান কাটা যাচ্ছে না। তাই ৫ হাজার টাকা বিঘা দরে ধান কেটেও পড়তা হচ্ছে না।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক জেলায় হলুদ রঙ্রে তরমুজ চাষে সফলতা অর্জন করেছেন স্থানীয় এক কৃষক আনোয়ার হোসেন। বর্তমান তার জমিতে ছোট-বড় কয়েকশ তরমুজ গাছের ডোগায় ডোগায় ঝুলছে দেখা গেছে। আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের নিজস্ব উদ্দ্যোগে ৬০ শতাংশ জমিতে হলুদ রঙের তরমুজও চাষ করেন।
উঁচু বেডের মাটি মালচিং শিট পলিথিন দিয়ে তরমুজ ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তার মাঝে গোল করে কাটা স্থানে তরমুজ গাছ লাগানো হয়েছে। মাচায় ঝুলছে হলুদ ও কালো রঙের তরমুজ। যাতে ছিঁড়ে না যায় তাই নেটের ব্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। হালকা বাতাসে সারি সারি তরমুজ দুলছে। হলুদ রঙের সাথে কালো রঙের ব্ল্যাক সুইট-২ তরমুজও চাষ করা হয়েছে। এখানে কৃষক মার্চ মাসের ২০ তারিখে চারা লাগিয়েছেন। ১০দিন পর তরমুজ কাটতে পারবেন।
স্থানীয় কমলপুর গ্রামের মো.ইউনুস বলেন, এর আগে এ কৃষক ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষ করেছিলেন। ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে খেয়েছিলেন। দেখতে সুন্দর ও খেতে মিষ্টি। এবার হলুদ তরমুজ চাষ করেছেন। আশা করছেন এবারের তরমুজও খেতে ভালো লাগবে। কাজী আনোয়ার হোসেন বাসসকে বলেন, বিশেষ পলিথিন দিয়ে ঢাকা বেড তৈরি করি। পলিথিনের নিচে একসাথে সার গোবর দিয়ে দেন। পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়ায় সার নষ্ট হয় না,একাধিকবার দিতে হয় না।
এতে পোকার আক্রমণ কম হয়। মাচা তৈরি করেন। তাতে সুতা বেঁধে দেন। তরমুজ বড় হলে নেটের ব্যাগ দিয়ে সুতায় ঝুলিয়ে দেন। এবার তরমুজ হলুদ হলেও এটির ভিতরে লাল ও স্বাদে কড়া মিষ্টি হবে। তিনি আরো বলেন, প্রথমে স্থানীয় কৃষকরা তার অসময়ে এ তরমুজ চাষের বিষয়টিকে পাগলামি বলতেন। এখন ভালো ফলন দেখে সবাই তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এবার ৬০ শতক জমিতে তার এক লাখ ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। আশা করছেন ১০ লাখ টাকার বেশি তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, জমিটি পরিদর্শন করেছি। হলুদ তরমুজ চাষ কুমিল্লায় প্রথম। তার ফসল তোলার সময় মৌসুমী তরমুজ কমে আসবে। সে কারণে আনোয়ার ভালো দাম পাবে।
|
|
|
|
কামরুল ইমলাম, ভালুকা প্রতি বছরের মত বোরো ধান চাষ করে পুরো সংসারের চাহিদা পূরণ করে আসছিলেন। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের পাড়াগাও গ্রামের কৃষকরা। চলতি বছর বোরো মওসুমে প্রায় অনেক জমিতে ‘ব্রি-ধান ২৯ আবাদ করেন এ গ্রামের শতাধিক কৃষক স্বপ্ন ছিলো অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও পরিবারের চাহিদা মেটানোর। কিন্তু সেটি আর হচ্ছে না। তাদের আবাদকৃত বেশিরভাগ জমির ধানেই ব্লাস্টের আক্রমণে চিটা হয়ে গেছে। এতে করে চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন এবং হতাশায় দিন কাটাচ্ছে কৃষকরা।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোছাঃ সাবেরা আক্তারকে তারা কেউই চিনেন না। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কোন পরামর্শ দেননি। কৃষকরা তার সাথে যোগাযোগ করলে খারাপ ব্যাবহার করেন তিনি। কৃষকদের মাঝে বরাদ্দকৃত সরকারি কৃষি প্রণোদনা কতিপয় মুখচেনা লোকদের মাঝে বিতরণের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানা যায় ওই ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি অফিসার সাবেরা আক্তার মওসুমে একবারও কৃষকদের ধারে কাছে যান না। স্থানীয় বাজারে সার কিটনাশকের দোকানে কিছু সময় কাটিয়ে চলে যান। এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর তারা সকল কৃষক মিলে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বোরো ধানে চিটা হওয়ার দাবি করছেন কৃষকরা। ব্রি-২৮ জাতের ধান কাটা শুরু হলে মাড়াই করতে গিয়ে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে কৃষকদের অভিযোগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান জানান, উপজেলায় এবছর ১৮ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পোঁকা আক্রমণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ব্রি-২৮ ধানসহ বেশ কয়েকটি জাতের ধানে চিটা দেখা দিয়েছে, তবে তার মাত্রা বেশি নয়। তবে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ সাবেরা আক্তারের বিরুদ্বে আনা লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন, তদন্তপূর্বক তার বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক : ঝড় বৃষ্টির আগে কৃষকরা ঘরে ধান তুলতে মরিয়া বগুড়ার কৃষক। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনকুল থাকায় বগুড়ায় এবারও বোরোর বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
ইতোমধ্যে জেলা নন্দীগ্রাম উপজেলায় বোরো ধান কাটা-মাড়াই চলছে। তবে ঝড়-ঝঞ্জা ও শীলা বৃষ্টির আতংকে দিন কাটাচ্ছে কৃষক। অনেক ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির ভয়ে আগেই ধান কাটা শুরু করেছে। তবে আগামাী মাসের ১০ তারিখ থেকে পুরোপুরি বোরো ফসল কাটা শুরু হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান জেলা এবার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৫ হেক্টর জামিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে এবার এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। গতবছর বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ লাখ ৭ হাজার ৬২৩ টন (চাল)।
এবার সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এমনটি জানালেন এ কৃষি কর্মকর্তারা। এবার জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলা বিঘা প্রতি ২৪ থেকে ২৮ মন জিরাসাইল ফসল উৎপাদন হবে বলে জানান- নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষক রওশন আলী। কৃষক রওশন বলেন- এখন বাজারের ভেজা ধান ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর শুকনা ধান (জিরাসাইল) ধান ১০০০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা। মানুষের জীবন মানের উন্নতি ঘটায় বগুড়ায় মোটা জাতের বোরো চাষ কমে গেছে। বগুড়ায় থেকে ধীরে-ধীরে বোরো মোট জাতের ধান বিলিন হতে চলেছে। এই অঞ্চলে সরু জাতের বোরো উৎপাদন বেড়ে গেছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক : আজ থেকে প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা শুরু হয়েছে। আগামী ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হবে। এ সংগ্রহ অভিযান আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
আজ খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যামে যুক্ত হয়ে এ সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মন্ত্রী বলেন, লাইসেন্স ছাড়া কেউ ধান কিনে অবৈধ মজুদ করতে পারবেন না। কে কত টুকু ধান কিনছেন কোন মিল মালিকের কাছে বিক্রি করছেন তা খাদ্য বিভাগকে জানাতে হবে। খাদ্য কর্মকর্তাদের এসব তথ্য নিয়মিত অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। কেউ অবৈধভাবে মজুদ করছে কিনা তা কঠোর নজরদারিতে থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আজ সারাদেশে ধান সংগ্রহ শুরু হলেও চাল সংগ্রহ হবে ৭ মে থেকে। ৭ থেকে ১৬ মের মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের সাথে মিল মালিকদের চুক্তিবদ্ধ হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোন ক্রমেই চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় বাড়ানো হবে না।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সংগ্রহ অভিযান সফল করতে একটি সুনিদির্ষ্ট পরিকল্পনা থাকা দরকার। সংগ্রহ মৌসুমের শেষের দিকে তাড়াহুড়ো না করে পরিকল্পনা মোতাবেক সংগ্রহ কার্যক্রম সফল করতে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি নির্দেশনা দেন।
এ সময় ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ , রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরিশাল বিভাগের বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ থেকে জেলার জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, মিল মালিক এবং কৃষক প্রতিনিধিরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিকভাবে নির্দেশনা মোতাবেক ধান সংগ্রহের মাধ্যমে মজুত বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। গুদামে ধান দেয়ার সময় কৃষকরা যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্যও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি ধান এবং চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো প্রকার আপস করা হবে না বলেও জানান।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মে. সাখাওয়াত হোসেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মজিবুর রহমান, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পরিচালক (সংগ্রহ) মো. রায়হানুল কবীর বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, বিগত ২৪ ফেব্রুয়ারি খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বোরো মৌসুমে সারাদেশে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, মিলারদের কাছ থেকে ৪০টাকা কেজি দরে ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৯ টাকা কেজি দরে পঞ্চাশ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আখলাকুল আম্বিয়া নির্বাহী সম্পাদক: মাে: মাহবুবুল আম্বিয়া যুগ্ম সম্পাদক: প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: স্বাধীনতা ভবন (৩য় তলা), ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০। Editorial & Commercial Office: Swadhinota Bhaban (2nd Floor), 88 Motijheel, Dhaka-1000. সম্পাদক কর্তৃক রঙতুলি প্রিন্টার্স ১৯৩/ডি, মমতাজ ম্যানশন, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত । ফোন : ০২-৯৫৫২২৯১ মোবাইল: ০১৬৭০৬৬১৩৭৭ Phone: 02-9552291 Mobile: +8801670 661377 ই-মেইল : dailyswadhinbangla@gmail.com , editor@dailyswadhinbangla.com, news@dailyswadhinbangla.com
|
|
|
|