মাদারগঞ্জ পর্ণোগ্রাফী আইনে মামলায় একজন গ্রেফতার
মাদারগঞ্জ ( জামালপুর) প্রতিনিধি:
জামালপুরের মাদারগঞ্জে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী তার স্ত্রীর পূর্বের শারীরিক সহবাসের অন্তরঙ্গের মূহুর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পর্ণোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
বাদির লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার খিলকাটী গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে মোছাঃ দোলনাকে পাশ্ববর্তী ফুলজোর এর জালারচর গ্রামের ফকির গাবরার ছেলে মো. সোহেল গাবরার সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ১ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ঘর সংসার সুন্দরভাবে চলছিলো তাদের । বিয়ের ৩ মাস পর মো. সোহেল গাবরা তার স্ত্রী দোলনার সঙ্গে বিভিন্ন সময় সহবাসের অন্তরঙ্গের মুহুর্তের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে রাখে। এঘটনা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে মাঝে মাঝে তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতে থাকে সোহেল। তার স্ত্রী দোলনা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামী সোহেল গাবরাকে তালাক প্রদান করে। এঘটনার জেরে গত ৫ অক্টোবর দোলনার পরিবারের লোকজন তাদের নিকটতম আত্মীয় স্বজনদের মধ্যামে জানতে পান যে, দোলনার তালাকপ্রাপ্ত স্বামী সোহেল গাবরা বিবাহের পর ঘরসংসার করার সময়ের দুলনার সঙ্গে সহবাসের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মোছা: দুলনার পিতা দুলাল মিয়া বাদী হয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় পর্ণোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহিনুর আলম জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামী মোঃ সোহেল গাবরাকে গ্রেফতার ও অশ্লীল ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার গ্রেফতারকৃত আসামিকে কোর্টের মাধ্যামে জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মাদারগঞ্জ পর্ণোগ্রাফী আইনে মামলায় একজন গ্রেফতার
|
মাদারগঞ্জ ( জামালপুর) প্রতিনিধি:
জামালপুরের মাদারগঞ্জে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী তার স্ত্রীর পূর্বের শারীরিক সহবাসের অন্তরঙ্গের মূহুর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পর্ণোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
বাদির লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার খিলকাটী গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে মোছাঃ দোলনাকে পাশ্ববর্তী ফুলজোর এর জালারচর গ্রামের ফকির গাবরার ছেলে মো. সোহেল গাবরার সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ১ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ঘর সংসার সুন্দরভাবে চলছিলো তাদের । বিয়ের ৩ মাস পর মো. সোহেল গাবরা তার স্ত্রী দোলনার সঙ্গে বিভিন্ন সময় সহবাসের অন্তরঙ্গের মুহুর্তের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে রাখে। এঘটনা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে মাঝে মাঝে তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতে থাকে সোহেল। তার স্ত্রী দোলনা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামী সোহেল গাবরাকে তালাক প্রদান করে। এঘটনার জেরে গত ৫ অক্টোবর দোলনার পরিবারের লোকজন তাদের নিকটতম আত্মীয় স্বজনদের মধ্যামে জানতে পান যে, দোলনার তালাকপ্রাপ্ত স্বামী সোহেল গাবরা বিবাহের পর ঘরসংসার করার সময়ের দুলনার সঙ্গে সহবাসের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মোছা: দুলনার পিতা দুলাল মিয়া বাদী হয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় পর্ণোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহিনুর আলম জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামী মোঃ সোহেল গাবরাকে গ্রেফতার ও অশ্লীল ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার গ্রেফতারকৃত আসামিকে কোর্টের মাধ্যামে জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মাদারগঞ্জ পর্ণোগ্রাফী আইনে মামলায় একজন গ্রেফতার
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
নতুন করে ২৩ বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। বুধবার (৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল আজিজ আহমেদ।
গতকাল (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ জনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পড়ে রাতেই আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আইন সচিব মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৮ অনুচ্ছেদ-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন। তারা হলেন– মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন,মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দায়ের হওয়া রাজধানীর পল্টন থানার দুই মামলা এবং খিলগাঁও থানার চার মামলায় জামিন পেয়ে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আলাদা দুই আদালত এসব মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্তি পান তিনি।
পুলিশের অভিযানে বিএনপি কর্মী মকবুল নিহতের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা সাবের হোসেন চৌধুরীকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসান আসামি সাবের হোসেনের রিমান্ড শেষ না করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে সাবের হোসেন চৌধুরী কোনো প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারছেন না। কথোপকথনে জানা গেছে যে, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ও হৃদরোগে আক্রান্ত। তার হার্টে তিনটি রিং পরানো হয়েছে। বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতিতে পুলিশ হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আশানুরূপ তথ্য পাওয়া যাবে না। সে কারণে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পাঁচ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ না করে আদালতে পাঠানো হলো। ভবিষ্যতে আসামির সুস্থতা সাপেক্ষে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও বলা হয়।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে, খিলগাঁও থানার আলাদা চার মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান।
এর আগে, গতকাল তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিতে মকবুল নামের বিএনপির কর্মী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তাকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। রিমান্ড শুনানি শেষে এজলাস থেকে হাজতখানায় যাওয়ার সময় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর প্রটোকল ভেঙে তার ওপর ডিম নিক্ষেপের পাশাপাশি হামলা চালান বিএনপি নেতাকর্মীরা।
রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
|
|
|
|
মোহাম্মদ ইয়াসিনঃ
সাভারের আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ৫ আগস্ট বাইপাইলে ছাত্র-জনতাকে পিটিয়ে ও গুলি করে একাধিক হত্যা মামলার আসামী আওয়ামীলীগ নেতা সাদেক হাসান ভুইয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান। মেজর জালিস মাহমুদ বলেন, গতকাল রাতে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় একাধিক হত্যা মামলার আসামী সাদেক ভুইয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ সাদেক ভুইয়া (৬০) আশুলিয়া থানাধীন ভাদাইল এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় গত ৫ আগস্ট আসামী সাদেক ভুইয়া’র নেতৃত্বে নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর প্রকাশে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানা এলাকায় বেশ কয়েকজন ছাত্র-জনতার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে নিহত ছাত্র-জনতার পরিবারের সদস্যরা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একাধিক হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের পর হতে আসামী সাদেক ভুইয়া ঢাকাসহ আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে।
উল্লেখ্য যে, দলীয় প্রভাব বিস্তার করে সস্ত্রাসী, চাঁদাবাজী ও ভূমি দখনসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কার্যক্রমের সাথে জড়িত বলে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে প্রভাব বিস্তার করে আন্দোলন প্রতিহত করার চেষ্টা করে সে।
|
|
|
|
জেলা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় কলেজছাত্রীকে গণধ*র্ষ*ণ ও ধ*র্ষ*ণের ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে আবারও গণধ*র্ষণের অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার ওই উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের শালবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার সকালে ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে দইখাওয়া বাজারের কসমেটিক ব্যবসায়ী ও দক্ষিণ গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আব্দুর ছাত্তারের ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে ওই কলেজছাত্রীকে ধ*র্ষণ করেন আব্দুর সাত্তার। বন্ধুকে দিয়ে সেই ধ*র্ষণের ভিডিও করেন তিনি। সেই ভিডিও দিয়ে ভয় দেখিয়ে আব্দুর সাত্তার ও তার এক বন্ধু ওই কলেজছাত্রীকে ফের ধ*র্ষণ করেন।
বৃহস্পতিবার ভিডিও ফেসবুকে ছাড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে নওদাবাস ইউনিয়নের শালবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও আব্দুর ছাত্তার ও তার বন্ধুরা পালাক্রমে ওই কলেজছাত্রীকে গণধ*র্ষণ করেন এবং সেই ধ*র্ষণের দৃশ্য ভিডিও করেন। এ সময় ওই ছাত্রী অসুস্থ হলে ধ*র্ষকরা পালিয়ে যান।
শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় দক্ষিণ গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আব্দুর ছাত্তার, দইখাওয়া বাজার এলাকার সুলতান আহম্মেদের ছেলে রোকন, ৫নং ওয়ার্ডের আইয়ব আলীর ছেলে রাকিবুল, একই এলাকার খবির আলীর ছেলে আল আমিন, নজিমুদ্দিনের ছেলে রতন মিয়া সাবু, নওদাবাস এলাকার ওছমান গনির ছেলে সুলতানকে শনিবার সকালে গ্রেফতার করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের পাশাপাশি ওই কলেজছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমদ ও তার পরিবারের। সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি বেনজীরের নানা অপকর্মও এখন ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। এবার সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকে ঘিরে আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে বেনজীরের। অভিযোগ আছে, কক্সবাজারের টেকনাফে আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলা থেকে বাঁচানোর আশ্বাস দিয়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তৎকালীন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের (বরখাস্ত) কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমদ।
সিনহা হত্যার পর একজন পুলিশ সুপারের মাধ্যমে এ টাকা দেন ওসি প্রদীপ। এ বিষয়ে অবগত আছেন এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তাও। একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সিনহা হত্যার পর বেনজীর স্যার এক ধমকে ওসি প্রদীপ কুমার দাসের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন।
প্রদীপের ঘনিষ্ঠ একজন সুপারের মাধ্যমে এ টাকা দেন প্রদীপ। একইভাবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল স্যারও মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন প্রদীপকে বাঁচানোর কথা বলে। তিনি বলেন, সিনহা হত্যার পর নিজেদের মোবাইল এড়িয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় বেনজীর স্যার ওসি প্রদীপের সঙ্গে কথা বলেন। ওই সময় বেনজীর স্যার ওসি প্রদীপকে ধমকের সুরে বলেছিলেন, ক্রসফায়ার বাণিজ্য করে তুমি হাজার কোটি টাকা আয় করেছ।
শত শত মানুষকে গুলি করে মেরেছ, এখন আমি তোমাকে কেন বাঁচাব? আমি তো আগেও কয়েকবার তোমাকে বাঁচিয়েছি।
পরে প্রদীপকে হত্যা মামলা থেকে বাঁচানোর আশ্বাস দিয়ে শতকোটি টাকা দাবি করেন বেনজীর। এমনকি ক্রসফায়ারে নিহতদের লাশ গুনে গুনে টাকা দিতে হবে বলে ধমক দেন। পরবর্তী সময়ে একজন পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা বেনজীরকে দেন প্রদীপ।
পুলিশের সূত্র বলছে, সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ডের দায় থেকে প্রদীপকে বাঁচতে না পারলেও যে পুলিশ সুপারের মাধ্যমে টাকা নিয়েছেন, তাকে বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন বেনজীর।
যে অপরাধের কারণে ওই পুলিশ সুপারের শাস্তি বা চারকিচ্যুত হতে পারতেন। অভিযোগ আছে, টেকনাফ ক্রসফায়ার বাণিজ্য ও অস্ত্রের মুখে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের তুলে নিয়ে বা ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে শত শত কোটি টাকা আদায় করেছেন ওসি প্রদীপ। সেই বাণিজ্য থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমদ মোটা অঙ্কের ভাগ নিতেন বলে জানিয়েছেন তৎকালীন কক্সবাজারে কর্মরত পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। প্রদীপ কুমার দাশ টেকনাফের ওসি থাকাকালীন পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ১৪৫ জন মানুষ ক্রসফায়ারে নিহত হন। বেশির ভাগ ক্রসফায়ারে বাণিজ্য হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ মামলায় ফাঁসির রায় হয় ওসি প্রদীপের। অভিযোগের বিষয়ে জানতে বেনজীর আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
ওসি প্রদীপের কাছে থেকে বেনজীরের ৫০ কোটি টাকা আদায় ও ক্রসফায়ার বাণিজ্যে লাশ গুনে গুনে টাকা দাবির বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, বেনজীর র্যাব ও পুলিশ দুটি বাহিনীরই প্রধান অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার প্রধান ছিলেন। সেই কারণে তিনি নিজেই বেশি অপরাধ সংঘটিত করেছেন। যারা অপরাধ করে তারা কিন্তু কিভাবে অপরাধ সংঘটিত করতে হয় সেটাও জানে, সেটাই করেছেন বেনজীর।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অনেক সময় নির্মমভাবে, অনেক সময় লজ্জা পাবে, অনেক সময় মানুষকে জিম্মি করে একের পর এক অপরাধ সংঘটিত করেছেন বেনজীর। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, তার যে ক্ষমতা রয়েছে প্রতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত, এর বাইরে গিয়েও তিনি রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন পরিচয়ে তার উত্থান ঘটেছিল। এতে তিনি যৌথভাবে ক্ষমতার অপব্যহার করতে সক্ষম হয়েছেন। সঠিকভাবে বেনজীরের এসব অপরাধের বিচার করতে ব্যর্থ হলে আরো অনেক বেনজীর তৈরি হবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, যখন যে বিষয়ে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে তদন্ত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত না হলে দেশের পরিস্থিতি দিন দিন অন্ধকারের দিকে ধাবিত হবে।
ক্ষমতার অপব্যহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশজুড়ে বেনজীর আহমেদের জমিদারি রাজত্ব গড়ে উঠেছে। তথ্য অনুযায়ী, তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন জেলায় থাকা জমির পরিমাণ ২ হাজার ৩৮৫ বিঘা বা ৭৮৬ একর। তার সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম এবং মধ্যাঞ্চল– সব অঞ্চলেই জমির খোঁজ মিলছে তার; যেন দেশজুড়ে তার জমিদারি। জেলায় জেলায় জমি কেনার এ অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমদের বিরুদ্ধে। নিজের, স্ত্রী-সন্তান, স্বজনদের নামে ও বেনামে কেনা হয়েছে কয়েক শ একর জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পাঁচটি দেশেও তার সম্পদ গড়ার অভিযোগ আছে।
রাজধানীসহ অন্তত ১০ জেলায় এখন পর্যন্ত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। অন্য ৯টি জেলা হলো- গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, সাতক্ষীরা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, বান্দরবান ও কক্সবাজার। এসব জেলায় রয়েছে জমি, খামার, রিসোর্ট। সেন্টমার্টিন দ্বীপেও জমি আছে তার।
আত্মগোপনে থাকায় ও ব্যবহৃত নম্বর বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান কামাল ও বেনজীর আহমেদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সূত্র : যুগান্তর
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের অন্যতম নেতা ইমতিয়াজ সেলিমকে আটক করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম(সিটিটিসি)। আটক ইমতিয়াজ সেলিম হিজবুত তাহরিরের মিডিয়া সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন।
আজ শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বিষয়টি নিশ্চিত করা করেছে।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, হিজবুত তাহরিরের মিডিয়া সমন্বয়কারী ইমতিয়াজ সেলিমকে আটক করেছে সিটিটিসি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম গিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরিরকে ‘জঙ্গি’ উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ইমতিয়াজ সেলিমকে গ্রেফতার করেছিল সিটিটিসি।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেলেন আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ জানান, মাহমুদুর রহমানকে দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজ আপিল করা হবে। সেইসঙ্গে তার জামিন চাওয়া হবে।
তিনি বলেন, আপিল আবেদন গৃহীত হওয়া সাপেক্ষে আমরা আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। যদি আদালত আপিল আবেদন গ্রহণ করে শুনানির জন্য বৃহস্পতিবারই ধার্য করেন তাহলে সেই দিনই তার জামিন চাওয়া হবে। আদালত তার জামিন মঞ্জুর করলে কারামুক্ত হতে আর কোনো আইনগত বাধা থাকবে না।
এদিকে গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওইদিন মামলাটিতে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
জানা যায়, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
খুলনার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সালাম মুর্শেদীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে তাকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এক ক্ষুদে বার্তায় র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২২ সালে খুলনার ফুলতলা এলাকায় হামলা, আক্রমণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শিদীকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম মুর্শেদী জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে দেশ ছেড়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। তৎকালীন এই প্রধানমন্ত্রীর পতনের পর তার সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও এমপিদের একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে। সেই সঙ্গে চলছে মামলা ও গ্রেপ্তার।
|
|
|
|
আশুলিয়া(সাভার)প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা শামিমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর উত্তরা থেকে মোঃ সাইফুল ইসলাম(২০) নামে আরও একজন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত এঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে দশটার দিকে সাভার স্মৃতিসৌধ ফাঁড়ি ইনচার্জ অলক কুমার দে পিপিএম এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক(ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।
গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের (ফার্মেসী বিভাগ) ছাত্র ছিলেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার তালিকাভুক্ত আসামী। সাইফুল ইসলাম (২১) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ছোট শালগর গ্রামের মোহাম্মদ মোসলেউদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, ঘটনা পর থেকে আসামীরা বিভিন্নস্থানে পলাতক রয়েছেন। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রযুক্তি সহযোগিতায় সাইফুল ইসলাম নামের আরও একজনের অবস্থান নিশ্চিতের পর অভিযান চালানো হয়। পরে তাকে তুরাগ থানার ধউর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সে সুবাদে ঢাকার কাছ থেকে সাইফুল ইসলাম নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল তাকে আদালতে প্রেরণ করাহবে। এই ঘটনায় মোট দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের ধরতে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গ, গত ১৮ই সেপ্টেম্বর সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা প্রান্তিক গেটে আসলে তাকে মারধর করে। পরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসলে সেখানেও মারধর করা হয়। এসময় পুলিশ উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার-১ (নিরাপত্তা) এর সুদীপ্ত শাহিন ৮জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীদের সবাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
|
|
|
|
রবিউল ইসলাম লাভলু:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে বিচারক ড. আব্দুল মজিদ তাকে অব্যাহতি দিয়ে মামলা খারিজ করে দেন।
শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যঙ্গাত্মক ও কটূক্তিমূলক প্রচারণা চালানোর অভিযোগে ২০২৩ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মাহাফুজ উন নবী ডন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আপিল শর্তে জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও শেখ শাকিল আহম্মেদ রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
|
|
|
|
জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল:
স্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ে নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য ও চেক জালিয়াতির ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি বিভিন্ন তথ্য সূত্র অনুসন্ধান করে জানা যায়, টাঙ্গাইলের সন্তোষে অবস্থিত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অভ্যান্তরেও এমন ঘটনা ঘটেছে। সূত্র মতে জানা যায়, এ বিশ^বিদ্যালয়ে সামান্য পদে চাকরি করা ব্যক্তিদের ব্যবহার করে নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার সেলিম ও রেজিস্ট্রার ড. তৌহিদ। নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত ব্যক্তিদের ঘটনায় চেক জালিয়াতী ও এ্যাকাউন্ট পে চেকের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে।
ঘটনার সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে মাওলানা ভাসানী বিশ^বিদ্যালয়ে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পায়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি দেখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলাধীন বেপারী পাড়ার সারোয়ার হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন চাকরিপ্রার্থী ছিলেন। সাব্বির হোসেন চাকরিপ্রাপ্তির লক্ষ্যে ওই বিশ^বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল হলের ডাইনিংয়ে কর্মরত পূর্বপরিচিত সুমনা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করেন। সুমনা আক্তার বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. তৌহিদ ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার সেলিমের সাথে যোগাযোগ করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার আশ^াস দেয়। সুমনা আক্তারের দাবী মোতাবেক সাব্বির হোসেন চাকরি চাকরিপ্রাপ্তির জন্য সুমনা আক্তার, রেজিস্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রারের সাথে ঢাকা ক্লিনিকের বিপরীতে একটি অভিজাত হোটেল এবং রেষ্টুরেন্টে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তাদের আশ^াসে সাব্বির হোসেন দুই দফায় ঘুষের টাকা পরিশোধ করে। প্রথম দফার ১ লক্ষ টাকা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংক, সন্তোষ বিশ^বিদ্যালয় শাখা, ডেপুটি রেজিস্ট্রার সেলিম যার একাউন্ট নং-৬০৩০১০০০০০১৪০-এ জমা দেন চাকরিপ্রত্যাশি সাব্বির। দ্বিতীয় দফার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মধ্যস্ততাকারী সুমনা আক্তার নগদে গ্রহণ করে। কিন্তু সাব্বিরের চাকরি না হওয়ায় তিনি সুমনা আক্তারকে ঘুষের টাকা ফেরত দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। সুমনা আক্তার ঘুষের টাকা ফেরত দিতে নানা তালবাহানা শুরু করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের পারিবারিক ও নানা মহলে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। হয় নানা বৈঠক। কিন্তু তারপরও সমস্যার সমাধান হয় না। সব শেষে উভয় পরিবারের সমঝোতায় সুমনাকে ডেকে সাব্বিরের বাসায় বৈঠক হয়। সুমনা টাকা পরিশোধের জন্য সময় চায়। সকলের উপস্থিতিতে সাব্বিরও সময় দেয়। এসময় সুমনার নিকট থেকে সাব্বির একটি ব্ল্যাঙ্ক চেকে স্বাক্ষর রাখে এবং ১৫০টাকা মূল্যের নন জুুডিশিয়াল ২টি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখেন সাব্বির। সুমনা নির্ধারিত সময়ে সাব্বিরের টাকা পরিশোধ না করায় সাব্বির সুমনা আক্তারের দেওয়া ব্ল্যাংক চেকে ১৫ লক্ষ টাকা বসিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকে গিয়ে চেক ডিজওনার করেন। এছাড়া সুমনার স্বাক্ষরিত সাদা স্ট্যাম্পে আবারও মোটা অঙ্কের টাকা লিখে জালিয়াতি করে মামলা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
সাব্বির তার এ এ জালিয়াতির ঘটনা বৈধ বা জায়েজ করার জন্য দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি সংবাদকর্মী মোঃ আজাহারকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ করার জন্য প্ররোচিত করেন। সাব্বিরের তথ্য ও অভিযোগ মোতাবেক সংবাদকর্মী অভিযুক্ত সুমনার নিকট সত্য তথ্য প্রমাণ অনুসন্ধান করতে গেলে ভিডিও বক্তব্য মোতাবেক সাব্বিরের অভিযোগটি জালিয়াতি ও অতিরঞ্জিত প্রমাণিত হয়।
দায়িত্বশীল ও নৈতিক সাংবাদিকতার স্থান থেকে এমন মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত সংবাদ পরিবেশন থেকে সাংবাদিক আজহার বিরত থাকেন। তিনি বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করবেন না বলে সাব্বিরকে জানান। সাব্বির আহমদ সাংবাদিক আজহারের আত্মীয় হওয়ার পরও মিথ্যা সংবাদ করতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
মিথ্যা সংবাদ প্রচার না করায় সাব্বির সাংবাদিক আজহারের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং গত ১১ সেপ্টেম্বর ও ১৪ সেপ্টেম্বর দুই দফা আজহারুল ইসলামের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে নানা হুমকি, গালিগালাজ, মিথ্যা চাদাবাজি মামলা দেওয়া সহ নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। অবশেষে সাংবাদিক আজহার নিরুপায় হয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল সদর থানায় ২১ সেপ্টেম্বর সাব্বিরের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
চাকরি প্রদান ও ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার সেলিমের সেল ফোনে কথা হলে তার একাউন্টে টাকা লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং বলেন সুমনা আমাদের বিশ^বিদ্যালয়ের কোন স্টাফ না। তবে তার সাথে ব্যক্তিগত টাকা লেনদেনের বিষয় ছিলো। আমার একাউন্টে এক লক্ষ টাকা জমা দিয়েছিলো। পরে বিষয়টি টাঙ্গাইল শহরে একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে গিয়ে রেজিস্ট্রারসহ বৈঠক করে আমি সুমনাকে ঐ টাকা ফেরত দিয়েছি।
|
|
|
|
মোঃ রেজাউল, জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রিন্সিপাল মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২৬ জুন জেলা আওয়ামী লীগের অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে প্রিন্সিপাল মোস্তফা কামাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে স্থান লাভ করেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়নে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরপরই ১৩ আগস্ট প্রিন্সিপাল মোস্তফা কামাল নিজে চিঠি দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি নেন।
দায়িত্বশীল পদে থেকেও দলের কঠিন মুহূর্তে প্রিন্সিপাল মোস্তফা কামাল দলের পাশে না থেকে ১৩ আগস্টের পর নিজেকে বাঁচাতে দল ছেড়েছেন। এই ছলচাতুরিতে শেষ রক্ষা হলো না সুবিধাবাদী জেলা আওয়ামী লীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, প্রিন্সিপাল মোস্তফা কামালের। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা শহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা শহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার কামাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার একটি হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি। আজ শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
|
|
|
|
রবিউল ইসলাম লাভলু:
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহ আল তাহির হত্যা মামলায় সাতদিনের রিমান্ড শেষে আওয়ামী লীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডলের আরও চারদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ফল ব্যবসায়ী মেরাজ হত্যা মামলায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন চিফ মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি আদালত-২ এর বিচারক মো. আসাদুজ্জামান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিজন জানান, আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানানো হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মেরাজ হত্যা মামলায় তুষার কান্তি মন্ডলের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
তুষার কান্তি মন্ডল রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তার নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চার হত্যাসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর গা ঢাকা দেন তুষার কান্তি মন্ডল। ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সাভারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল বাবুকে আকেটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের সময় তৌহিদুল ইসলাম ভূঁইয়াকে গুলি করে হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মোজাম্মেল হক বাবুকে কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তার আইনজীবী জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ বর্ডার দিয়ে ভারতে পালানোর সময় মোজাম্মেল বাবু ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তকে আটক করে স্থানীয় জনতা। এ সময় জনতা তাদেরকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্ত করে। পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে আনা হয়। পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মী লিজা আক্তার হত্যা মামলায় মোজাম্মেল বাবুর সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বৈষম্যবিরোরধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই মেরুল বাড্ডার বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে গুলিতে আহত হন তৌহিদুল ইসলাম ভুইয়া। চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। ২১ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তৌহিদুলের স্ত্রী ইসমত জাহান একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১৩ জনকে আসামি করা হয়।
|
|
|
|
|
|
|