তারেক-জোবায়দার মামলায় এজলাসে হট্টগোল, সাক্ষ্যগ্রহণ বিঘ্নিত
স্টাফ রিপোর্টার :
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে আদালতে হট্টগোল হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
সেই অনুযায়ী এদিন দুপুর দুইটার পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এজলাস কক্ষে অবস্থান নেন। প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, এ সময় আদালত কক্ষে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবী আদালতেই শ্লোগান দিতে থাকেন।
এ অবস্থায় বিচারক এজলাস ছেড়ে খাসকামরায় চলে যান। এরপর আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরাও সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে এজলাস কক্ষের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সন্ধ্যা ৬টার পর ফের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। এরপর গত ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
গত বছর এই মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
|
স্টাফ রিপোর্টার :
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে আদালতে হট্টগোল হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
সেই অনুযায়ী এদিন দুপুর দুইটার পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এজলাস কক্ষে অবস্থান নেন। প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, এ সময় আদালত কক্ষে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবী আদালতেই শ্লোগান দিতে থাকেন।
এ অবস্থায় বিচারক এজলাস ছেড়ে খাসকামরায় চলে যান। এরপর আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরাও সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে এজলাস কক্ষের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সন্ধ্যা ৬টার পর ফের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। এরপর গত ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
গত বছর এই মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে আরো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি আবু সাঈদ চাঁদকে রাজশাহী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৪ (পুঠিয়ার আদালতে) এ হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায়।
বিচারক মাহবুব আলম রাষ্ট্র ও বাদী পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ৫ দিনে রিমান্ডে ছিলেন বিএনপি নেতা আবু সাইদ চাঁদ। সোমবার তার রিমান্ড শেষ হলে মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে নগরীর ভেরিপাড়া মোড়ে পুলিশ চেকপেস্টে মহানগর ও জেলা পুলিশের একটি বিশেষ টিম প্রাইভেটকার থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবী এসময় তিনি একটি সাদা প্রাইভেট কার যোগে রাজশাহী নগরী থেকে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছিলেন। তবে বিএনপি নেতারা দাবী করেন আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে রাজশাহীর পুঠিয়া থানা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক মামলা হওয়ায় ওই দিন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছিলেন। পথে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গত ১৯ মে বিকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি জনসমাবেশে দেয়া বক্তব্যে আবু সাইদ চাঁদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ওই রাতেই তার বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কালাম আজাদ। একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগর ও জেলায় ছয়টি মামলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো মামলা হয়েছ।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার : জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রামীণ টেলিকম থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন। সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সচিব ও মহাপরিচালক রেজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দুদকের কাছে অভিযোগ করা হলে দুদক আইন ও বিধি মোতাবেক অনুসন্ধান করে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের সত্যতা পাওয়ায় ড. ইউনূসসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকম বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সাথে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন পূর্বে ৮ মে। সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এ রকম ভুয়া সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ২০২২ সালের ১০ মে ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়।
পরবর্তীতে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসাবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের পূর্বেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়েই অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামানের ডাচ বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে মোট ৩ কোটি টাকা, সিবিএ নেতা মাইনুল ইসলামের হিসাবে ৩ কোটি ও সিবিএ নেতা ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ বাংলা ব্যাংক মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।
একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দি সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাড. জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাড. মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না।
দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে উক্ত অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দ-বিধি ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে কারণে আসামি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড, আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ১৪ মে দুর্নীতির মামলায় বিএনপির নেতা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানি শেষ হয়।
আদালতে আমান ও তার স্ত্রীর আপিলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও নাজমুল হুদা। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ সে রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, গত ১৭ মে দুর্নীতি মামলায় সাজার বিরুদ্ধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর আপিলের রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করা হয়।
চার কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা করেন। কমিশনের উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছর ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৯ মে) প্রধান বিচারপতির কার্যাভার পালনরত বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন শাহ মঞ্জুরুল হক ও ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন।
এ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। গত ২ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২৯ মে পর্যন্ত জামিনাদেশ স্থগিত করেন। একইসঙ্গে শুনানির জন্য ২৯ মে নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। সে অনুযায়ী শুনানি হয়।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর বজলুর রশীদের খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার জরিমানা স্থগিত করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন।
এ আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর তার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত ২৩ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন ওই রায় দেন। ৫ বছর দণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রের অনুকূলে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং এস্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কিনেন। অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ তিন কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট কেনায় বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করতেন।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
আদালতের রায় বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ‘ইমপ্লিমেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম ফর দ্য পুউরেস্ট (ইজিপিপি) প্রকল্পের আত্মীকরণকৃত উপ-সহকারী প্রকৌশলীরা। তারা অপপ্রচার বন্ধ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (২৯ মে) হাইকোর্টের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা। আদালতের আদেশে আত্মীকরণের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মামুনুর রশীদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাশরুবা রাসেল, মো. জাহিরুল ইসলাম, মো. হেকমত আলী, শহীদুল ইসলাম ও ফেরদৌস আলম।
সমাবেশে প্রকৌশলী মো. আসলাম হোসেন বলেন, মো. মনসুর আলীসহ ‘ইমপ্লিমেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম ফর দি পুউরেস্ট (ইজিপিপি) প্রকল্পের ১২৩ জনের দায়েরকৃত রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাদের দুর্যোগ ব্যবস্থা অধিদপ্তরের রাজস্বখাতভুক্ত করার রায় দেন। সেই রায়ের আলোকে ওই ১২৩ জন কর্মকর্তার মধ্যে তিন ধাপে ৪৬ জনকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পদে আত্মীকরণ করা হয়েছে। কিন্তু আদালতের রায় পাওয়া আরেকটি পক্ষ এ নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। অথচ এ নিয়োগে কোন ধরনের আইন অমান্য হয়নি। এমনকি কাউকে বঞ্চিতও করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আত্মীকরণকৃত ওইসব কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিক ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ’ প্রকল্পসহ গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্যান্য প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
আদালতের রায়ের আলোকে সবাই পর্যায়ক্রমে নিয়োগ পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন প্রকৌশলী মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, আমরা ২০১১ সালে চাকরিতে যোগদানের পর দীর্ঘ ১২ বছর একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের উপর চাকরি করেছি। আমাদের দায়েরকৃত রিট মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি পর আদালতের নির্দেশনার আলোকে পদ খালি সাপেক্ষে ১২৩ জন থেকে পর্যায়ক্রমে আত্মীকরণ করা হয়েছে। এখানে কেউ বঞ্চিত হওয়ার কোনো ইস্যু নেই। বরং আদালতের রায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে। বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মন্ত্রণালয় ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা বন্ধের দাবি জানান তিনি।
সমাবেশে বলা হয়, রিট পিটিশনাররা ২০১১ সালের ১০ আগস্ট ‘অপারেশন সাপোর্ট টু দা ইজিপিপি’ শীর্ষক প্রকল্পে যোগদান করলে পরবর্তীতে প্রকল্পে মেয়াদ শেষ হওয়ায় পর ‘এসএমওডিএমআরপিএ’ প্রকল্পে উপ- সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে স্থানান্তরিত হন। রিটের আলোকে হাইকোর্ট ১২৩ জনকে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে আত্মীকরণের নির্দেশনা দেয়।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীকে ৩ মাসের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৯ মে) বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে আগাম জামিন দেন।
গত শনিবার কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীসহ দলটির ১০৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়। কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি করেন জিনজিরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগেরসহ সভাপতি এসএম সুমন।
মামলার এজাহারে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর, হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে গুরুতর জখম, চুরি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
মামলার এজাহারভুক্ত ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- কাইয়ুম, মাহবুব, আহসান হাবিব, কবির, সেলিম, জাকির, আসিক, নবাব আলী ও সোবহান। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুনুর রশীদ বলেন, শুক্রবার সকালে বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২০-২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার জিনজিরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জন সমাবেশ করে ঢাকা জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
কর্মসূচি চলার এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ইটের আঘাতে নিপুণ রায়ের মাথা ফেটে যায়।
এছাড়াও বিএনপি কর্মীরা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের মারধর করে আহত করে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে তিন ব্যাংক কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন- এস এম মুসা করিম, ওবায়দুর রশিদ খান ও ইমরান আহমেদ। তারা সবাই এবি ব্যাংকের কর্মকর্তা।
সোমবার (২৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এদিন তারা আদালতে সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষ্য শেষে আদালত আগামীকাল মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন।
মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপ পরিচালক জহিরুল হুদার সাক্ষ্যের মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এ মামলায় তাদেরকে পলাতক দেখানো হয়েছে। গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট একইসঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন।
এছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
এর ফলে পরীক্ষা চলাকালে ঢাবির বাংলা বিভাগের ছাত্রীদের মুখমণ্ডল যতটুকু সম্ভব খোলা রাখতে হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে জারি রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতেও হাইকোর্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর ফলে বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশ বহাল রয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন; সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। আদেশের পরে ফয়জুল্লাহ বলেন, আপিল বিভাগ বলেছেন- যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু মুখ-কান খোলা রাখা যাবে।
গত ২৮ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুলও জারি করা হয়। পরে ৭ মে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ এ রিট দায়ের করেন।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আজিজুল হক স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, বাংলা বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে, ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।’ পরে অপর এক নোটিশে একই বিষয়ে বলা হয়, ‘লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ পরে ওই নোটিশের কার্যকারিতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদা না পেয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকা কলেজের দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক জনি হাসান এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এস এম শফিক।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে ঢাকা কলেজের নর্থ হলের ১২০ নম্বরে রুমে এ ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (২৬ মে) অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে নিউ মার্কেট থানা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী মো. গোলাপ হোসেন, মোহেরাব হোসেন সিয়াম, অর্নব, মো. রমজান, গোপাল, রাব্বী তালুকদার, বেল্লাল হোসেন, তারিফ, সালমান, মো. রায়হান, মাসুম, ফাহিম ও শাহীন।
শনিবার (২৭ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল গনি সাবু বলেন, চাঁদা না পেয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে অপহরণের অভিযোগে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এজাহারে মামলার বাদী মো. মেহেদী হাসান অভিযোগ করে জানান, তিনি সিগমাইন্ড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবে কাজ করেন। অভিযুক্তরা ঢাকা কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি এবং ভুক্তভোগী মেহেদীর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় গত ২৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা ব্রিজ এলাকা থেকে প্রতিষ্ঠানটির লাগানো সিসি ক্যামেরাসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে যায়। রাতে সিয়াম ও রমজান দুই ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদীকে ফোন করে বিষয়টি জানায়।
খুলে নিয়ে আসা ক্যামেরা ফেরত পেতে হলে তাকে ঢাকা কলেজে যেতে বলেন ছাত্রলীগ নেতারা। এরপর তৌকির নামে এক কর্মচারীকে ঢাকা কলেজে পাঠান মেহেদী। ক্যামেরা ফেরত নিতে আসা তৌকিরকে জিম্মি করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না পেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে ভুক্তভেগী মেহেদী ঢাকা কলেজের নর্থ হলে এলে তাকেও জিম্মি করা হয়। ছাত্রলীগের নেতাদের নেতৃত্বে মেহেদী ও তৌকিরকে হলে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। এসময় তাদরে কাছে থাকা নগদ টাকা, এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয়। রাতে মারধর করে তৌকিরকে ছেড়ে দিলেও মেহেদীকে রাতভর নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের কারণে মেহেদীর অবস্থা বেগতির দেখে শুক্রবার (২৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা কলেজ থেকে বের করে নিউ মার্কেটের গাউছিয়া মোড়ে কৌশলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় নিউ মার্কেট থানার টহল পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা মেহেদীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেহেদী বাদী হয়ে জনি হাসান, এস এম শফিকসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এদিকে ঢাকা কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মামলা আসামিরা সবাই ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সবাই নর্থ হলের আবাসিক ছাত্র। জনি ও শফিকের নেতৃত্বে নিউ মার্কেটসহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলা-ভাঙচুর, সংঘর্ষ, পুলিশের কাজে বাধা, ইট-পাটকেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপের অভিযোগে দায়ের করা আলাদা দুই মামলায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ১৬ জন নেতার আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন দেন। এ সময়ের মধ্যে তাদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
জামিনপ্রাপ্ত অন্য বিএনপি নেতারা হলেন- দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, বিএনপি নেতা মীর শরফত আলী সপু, আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, রুমা আক্তার ও আবদুস সাত্তারসহ ১৬ জন।
আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাট।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিএনপির চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস হিসেবে এই মিথ্যা মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। এ সমস্ত কার্যক্রম করে পুলিশ আজ শুধু বিতর্কিতই নয়, তাদেরকে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে।
আইনজীবীরা জানান, গত মঙ্গলবার (২৩ মে) সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার (২৪ মে) রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। একই দিন ধানমণ্ডি থানায় পুলিশের ওপর হামলা, ইটপাটকেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপের অভিযোগে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় জামিন চেয়ে বিএনপি নেতারা আবেদন করলে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেফতারের পর ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) আবু সাঈদ চাঁদকে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক মাহবুব আলমের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের মঞ্জুর করেন।
এর আগে, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে প্রাইভেটকারে চড়ে পালানোর সময় গ্রেফতার করা হয়। পরে দুপুর ১২টায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদর দফতরে আযোজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন জানান, তার বিরুদ্ধে ২০-২৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও দেশের অন্যান্য স্থানেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় শিবপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গত রবিবার আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের মামলায় দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল৷
এদিন সাক্ষ্য দেন- এমরান আলী শিকদার, সৈয়দ আজাদ ইকবাল। তারা ঘটনার সময় বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক দিনকালে চাকরি করতেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, এ মামলার কিছু কাগজপত্র দিনকাল অফিস থেকে জব্দ করা হয়। এ সময় তারা উপস্থিত ছিলেন বলে জবানবন্দিতে বলেছেন৷ তবে দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে জেরার সুযোগ ছিল না।
এ মামলায় মোট ৫৬ জন সাক্ষীর তিন জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৮মে দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। এরপর গত ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়৷ ওইদিন আদালতে জবানবন্দি দেন মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ জহুরুল হুদা।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
গত বছর এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রুল খারিজ করেন হাইকোর্ট।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
জাতিসংঘের বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক কনফারেন্সে যোগদানের নামে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সসহ উন্নত দেশগুলোতে মানবপাচার করে আসছিল দেশে মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে পরিচয় দেওয়া প্রটেকশন ফর লিগ্যাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতারণার মাধ্যমে জাতিসংঘের বিভিন্ন কনফারেন্সে যোগদানের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করে শুরু হয় কথিত মানবাধিকার সংগঠনটির প্রতারণা। অনুমতিপত্র দেখিয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় মোটা অংকের টাকা।
এরপর কনফারেন্সের আমন্ত্রণপত্রের বিপরীতে অ্যাম্বাসিতে সেই সব ব্যক্তিদের পাসপোর্টসহ কাগজপত্র জমা দিয়ে বিভিন্ন মেয়াদের ভিসা নিয়ে আমেরিকায় পাঠানো হতো। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তারা অবৈধ নানা পন্থায় বিদেশে থেকে যায়। এভাবে চক্রটি জাতিসংঘ ও মার্কিন দূতাবাসকে দীর্ঘদিন ধরে ধোঁকা দিয়ে মানবপাচার করে আসছিল।
জালিয়াতির বিষয়টি নজরে আসার পর গত ২১ মে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সহকারী রিজিওনাল সিকিউরিটি অফিসার মিকাইল লি বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ প্রেক্ষিতে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে কথিত মানবাধিকার সংগঠনের আড়ালে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন—মহিউদ্দিন জুয়েল, মো. উজ্জ্বল হোসাইন ওরফে মুরাদ, মো. এনামুল হাসান, শাহাদাদ ও হাদিদুল মুবিন। তাদের কাছ থেকে তিনটি পাসপোর্ট, দুটি ভিজিটিং কার্ড, তিনটি এনওসি ও পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে মহিউদ্দিন জুয়েল এলএলবি ও বিএসএস পর্যন্ত পড়াশোনা করে প্রোটেকশন ফর লিগ্যাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের ভুয়া চেয়ারম্যান ও উজ্জ্বল মাস্টার্স শেষ করে নির্বাহী পরিচালক পরিচয়ে প্রতারণা এবং মানবপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত হন। এনামুল এইচএসসি, শাহাদাদ বিবিএস ও হাদিদুল মাস্টার্স শেষ করে বেকার।
ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ সূত্র জানায়, মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে প্রচার করায় তাদের কাছে নানা বিরোধ নিষ্পত্তির অভিযোগ আসে। সেসবের ভিত্তিতে কাগজপত্র তৈরি করে ইউএন ইকোনমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিলের বিভিন্ন প্রোগ্রামের অ্যাটাচমেন্টসহ রেজিস্ট্রেশন করতেন তারা। এনজিও কর্মকর্তার পরিচয়ে কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার অনুমতি চেয়ে মেইল করতেন।
জাতিসংঘের সদর দপ্তর অনুমতি দিলেই শুরু হতো আর্থিক প্রতারণা। অনুমতিপত্র দেখিয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হতো মোটা অংকের টাকা। ২০১৯ সাল থেকে চক্রটি জাতিসংঘ ও মার্কিন দূতাবাসকে ধোঁকা দিয়ে মানবপাচার করে আসছিল।
প্রতারণার কৌশলের বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে বিরোধ ও সমস্যা নিষ্পত্তির অভিযোগের সূত্রেই তারা প্রতারণার ফাঁদ পাতে। অভিযোগকারীর সঙ্গে কৌশলে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে তাদের ইউরোপ-আমেরিকায় পাঠানোর প্রলোভন দেখায়। এতে কেউ রাজি হলে তার সঙ্গে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার একটি চুক্তি হতো।
গত ১৭ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আদিবাসী ইস্যুর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য প্রটেকশন ফর লিগ্যাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর পরিচয় দেওয়া এনামুল হাসান ও হাদিদুল মবিন এবং কমিউনিকেশন অফিসার হিসেবে শাহাদাদ আমন্ত্রণপত্র নেন। তবে তারা আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে ভুয়া কিছু কাগজপত্র সংযুক্ত করে ফেঁসে যান। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে আবেদনের পর যাচাই-বাছাইয়ে কাগজপত্র জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের (উত্তর) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বলেন, এভাবে মানবাধিকার সংগঠনের নামে জাতিসংঘের বিভিন্ন কনফারেন্সে যাবার জন্য জালিয়াতির বিষয়টি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। তাদের কারণে প্রকৃত সংগঠন কিংবা আগ্রহী ব্যক্তির আবেদনও প্রশ্ন বা সন্দেহের সম্মুখীন হচ্ছে।
চক্রটি বেশ কয়েক বছর ধরে প্রতারণা করে আসছিল। এমন ঘটনায় এর আগেও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গ্রেপ্তার মহিউদ্দিন ও উজ্জ্বল প্রতারণার মাধ্যমে কী পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে এবং অর্থ কোথায় রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ডিসি মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
৫৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ঢাকা বেঞ্চ অফিসের পুলিশ পরিদর্শক মীর মো. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৪ মে) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মীর মো. আবু কালাম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে নিজ ও স্ত্রীর নামে মোট স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ২ কোটি ৬৬ লাখ ৩৪ হাজার ২৫২ টাকা প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু স্ত্রীর নামে পৃথক আয়কর নথি রয়েছে, সে কারণে স্ত্রীর সম্পদ বাদ দিয়ে অনুসন্ধানকালে মো. আবুল কালাম আজাদের নামে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ৮৭ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে পারিবারিক ব্যয় ও সঞ্চয়সহ ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩৭ টাকার সম্পদ বাদ দিলে ৫৭ লাখ ৯ হাজার ৫২৭ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জিত হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। যে কারণে আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলায় নতুনভাবে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিক এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। ওইদিন ভিকটিমের বাবা ও মামলার বাদী নূর উদ্দিন রানা প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন করেন। সেই আবেদন গ্রহণ করে আগামী ২৪ মে সিআইডিকে অধিকতর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন আদালত।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বুশরার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
গত ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বান্ধবী বুশরাকে বাসায় যাওয়ার জন্য এগিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ফারদিন। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত চার বছর ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ফারদিনের। ওই তরুণী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। গত ৪ নভেম্বর একসঙ্গে ঘোরাফেরার পর রাত সোয়া ১০টায় বাসায় ফিরে যান বলে পুলিশকে জানান ওই তরুণী।
এরপর গত ৯ নভেম্বর দিনগত রাতে ডিএমপির রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ছেলে হত্যার অভিযোগ এনে বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কয়েকজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
গত ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন দুপুরে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। এরপর গত ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসীন ইফতেখার তার জামিন মঞ্জুর করেন।
|
|
|
|
|
|
|