সোমবার, ২০ জানুয়ারী 2025 বাংলার জন্য ক্লিক করুন
  
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

   আইন - অপরাধ -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আপিলে খালাস খালেদা জিয়া

স্বাধীন বাংলা অনলাইন:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের দণ্ড থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই মামলার সব আসামি খালাস পেয়েছেন।

খালেদা জিয়া ও অন্যদের করা আপিল আবেদনে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা বাড়িয়ে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনের করা আপিলের ওপর মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, জাকির হোসেন ভূইয়া ও মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ। কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনির আর হক। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. আসিফ হাসান।

এর আগে গত বছরের ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে আপিলের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। পরে খালেদা জিয়া আপিল করেন।

এ বিষয়ে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আদালত অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে উভয়পক্ষকে সুযোগ দিয়েছেন। আমাদের শেষ পর্যন্ত আবেদন ছিল আপিল মঞ্জুর করা এবং হাইকোর্ট যে সাজা বাড়িয়েছেন, পাঁচ বছরের সাজা ১০ বছর, সেটাও আমরা বাতিল চেয়েছি। আমরা বলেছি, যেহেতু প্রধান অভিযুক্ত থাকে না এবং সঙ্গে সঙ্গে যারা আপিল করেননি (তারেক রহমান), অন্যান্য যাদের এ মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে প্রত্যেকে খালাস পাওয়ার এখতিয়ার রাখেন।

ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ করে সাজা ১০ বছর বাড়িয়ে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ খালেদা জিয়া পৃথক দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন। গত বছরের ১১ নভেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল মঞ্জুর এবং সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক আপিল করেন খালেদা জিয়া।

এছাড়া ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ গত বছর পৃথক আপিল করেন। খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর গত ৭ জানুয়ারি শুনানি শুরু হয়। তৃতীয় দিনে ৯ জানুয়ারি খালেদা জিয়া ও শরফুদ্দিন আহমেদের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেদিন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ ১৪ জানুয়ারি শুনানির জন্য দিন রাখেন। আজ কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলের ওপর শুনানি হয়। চতুর্থ দিনে পৃথক আপিলের ওপর শুনানি শেষে আদালত বলেন, ১৫ জানুয়ারি রায়ের জন্য দিন রাখা হলো।

এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) গত ১১ নভেম্বর মঞ্জুর করে ১০ বছরের কারাদণ্ড স্থগিতের আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে রায় ঘোষণা করেন।

এদিকে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি। তবে রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমার পরও মামলা দুটি আইনগতভাবে লড়ার কথা জানিয়ে বিএনপির আইনজীবীরা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি তার সাজা মওকুফ করেছেন। তবে সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন। সে অনুযায়ী আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আপিলে খালাস খালেদা জিয়া
                                  

স্বাধীন বাংলা অনলাইন:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের দণ্ড থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই মামলার সব আসামি খালাস পেয়েছেন।

খালেদা জিয়া ও অন্যদের করা আপিল আবেদনে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা বাড়িয়ে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনের করা আপিলের ওপর মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, জাকির হোসেন ভূইয়া ও মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ। কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনির আর হক। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. আসিফ হাসান।

এর আগে গত বছরের ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে আপিলের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। পরে খালেদা জিয়া আপিল করেন।

এ বিষয়ে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আদালত অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে উভয়পক্ষকে সুযোগ দিয়েছেন। আমাদের শেষ পর্যন্ত আবেদন ছিল আপিল মঞ্জুর করা এবং হাইকোর্ট যে সাজা বাড়িয়েছেন, পাঁচ বছরের সাজা ১০ বছর, সেটাও আমরা বাতিল চেয়েছি। আমরা বলেছি, যেহেতু প্রধান অভিযুক্ত থাকে না এবং সঙ্গে সঙ্গে যারা আপিল করেননি (তারেক রহমান), অন্যান্য যাদের এ মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে প্রত্যেকে খালাস পাওয়ার এখতিয়ার রাখেন।

ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ করে সাজা ১০ বছর বাড়িয়ে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ খালেদা জিয়া পৃথক দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন। গত বছরের ১১ নভেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল মঞ্জুর এবং সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক আপিল করেন খালেদা জিয়া।

এছাড়া ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ গত বছর পৃথক আপিল করেন। খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর গত ৭ জানুয়ারি শুনানি শুরু হয়। তৃতীয় দিনে ৯ জানুয়ারি খালেদা জিয়া ও শরফুদ্দিন আহমেদের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেদিন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ ১৪ জানুয়ারি শুনানির জন্য দিন রাখেন। আজ কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলের ওপর শুনানি হয়। চতুর্থ দিনে পৃথক আপিলের ওপর শুনানি শেষে আদালত বলেন, ১৫ জানুয়ারি রায়ের জন্য দিন রাখা হলো।

এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) গত ১১ নভেম্বর মঞ্জুর করে ১০ বছরের কারাদণ্ড স্থগিতের আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে রায় ঘোষণা করেন।

এদিকে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি। তবে রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমার পরও মামলা দুটি আইনগতভাবে লড়ার কথা জানিয়ে বিএনপির আইনজীবীরা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি তার সাজা মওকুফ করেছেন। তবে সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন। সে অনুযায়ী আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া।

ছাগলকাণ্ডের মতিউর স্ত্রীসহ গ্রেফতার
                                  

স্বাধীন বাংলা অনলাইন:

ছাগলকাণ্ডে জড়িত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে (প্রথম স্ত্রী) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের একটি দল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তবে কোন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে পারেননি ডিসি তালেবুর রহমান। যদিও এ দম্পতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সবশেষ গত ৬ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুদক। ১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী (লায়লা কানিজ) ও ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। বলা হয়, তার বাবা এনবিআর সদস্য এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান।

এরপর আলোচনা চলে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কোথায় কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এসব নিয়ে। এসব আলোচনার মধ্যে একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে মতিউর পরিবারের বিপুল বিত্তবৈভবের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পরে গত বছরের ৪ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানের নামে দুদক। অনুসন্ধানে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পায় দুদক। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার হিসাব ও শেয়ারবাজারের বিও হিসাব জব্দ করা হয়।

পরে ২৪ জুন মতিউর ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

এরপর গত ২ জুলাই মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠায় দুদক। এসব নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট মতিউর, তার দুই স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েসহ পাঁচজনের সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেন।

লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তিতে বাধা নেই
                                  

স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

খালাসপ্রাপ্ত অপর চারজন হলেন- মহসিন তালুকদার, এ কে এম এনামুল হক, রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও নূরুল আমিন।

এছাড়া ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে কমিয়ে আসামী আকবর হোসেন, লেয়াকত হোসেন, হাফিজুর রহমান ও শাহাবুদ্দিনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর মৃত্যুর কারণে যে চারজনকে এই মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তারা হলেন- আব্দুর রহিম, মতিউর রহমান নিজামী, দ্বীন মোহাম্মদ ও হাজী আব্দুস সোবহান।

এই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী। সাথে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসিফ ইমরান জিসান। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এছাড়া আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান। আসামি নূরুল আমিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাধন কুমার বণিক।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগে একটি ও অস্ত্র আইনে পৃথক আরেকটি মামলা হয়।

২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ চোরাচালান মামলায় রায় দেন। বিচারিক আদালতের সে রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। অন্যদিকে, অস্ত্র আইনে করা পৃথক মামলায় একই আসামীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

বিচারিক আদালতের এই রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে, কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে গত ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত এ হাইকোর্ট বেঞ্চ চোরাচালান মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, এনএসআই’র সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহসিন উদ্দিন তালুকদার, সিইউএফএল’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমিনকে খালাস দেন। এছাড়া সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী মৃত্যুবরণ করায় মামলা থেকে অ্যাবেট করে তাদেরকে খালাস দেন হাইকোর্ট। তবে এনএসআই’র সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম মৃত্যুবরণ করায় মামলা থেকে অ্যাবেট করলেও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

এছাড়া চোরাচালান মামলায় হাইকোর্টের রায়ে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। আর মৃত্যুদণ্ড থেকে ডিজিএফআই’র সাবেক পরিচালক (নিরাপত্তা) অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমেদ, এনএসআই’র সাবেক উপ-পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন, এনএসআই’র সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, চোরাচালানি হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান, অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দীন মোহাম্মদ ও ট্রলার মালিক হাজী আবদুস সোবহানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।

সূত্র : বাসস

সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর গ্রেফতার
                                  

স্বাধীন বাংলা অনলাইন:

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীকে (এসকে সুর) গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। মঙ্গলবার বিকালে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- এসকে সুরের স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরী।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয় বলে জানান দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম।

এসকে সুর ডেপুটি গভর্নর থাকাকালে আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন ও সুবিধা নিয়েছেন বলে তথ্য উঠে এসেছে কয়েকজন আসামির জবানবন্দিতে।

পিপলস লিজিং ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংসহ পাঁচটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেন প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার)। এ অনিয়মে তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীর সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে।এ ছাড়া তিনি অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন ও সরকারের রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সিএমএম আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক বলেন, এসকে সুর চৌধুরীকে ‘ম্যানেজ’ করে পিকে হালদার অর্থ লোপাট করেছেন।

এসকে সুর চৌধুরী ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি অবসরে রয়েছেন।

অ’স্ত্র ঠেকিয়ে কলেজছাত্রকে অপ’হর’ণ, ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি!
                                  

জেলা প্রতিনিধি, পাবনা:

পাবনা সদরের চরতারাপুরে সোহাগ ইসলাম (২৫) নামে একজন কলেজ শিক্ষার্থীকে শর্টগান ঠেকিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ১১ টার দিকে চরতারাপুর ইউনিয়নের শুকচোর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অপহরণের প্রায় ৬ ঘন্টা পর রাত ৪ টার দিকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

অপহৃত সোহাগ চরতারাপুর ইউনিয়নের শুকচর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য তোফাই মেম্বারের ছেলে। তিনি পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে অনার্স শেষ করে ঢাকায় চাকুরীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর গুলিবিদ্ধ রফিকুল ইসলাম অন্তু একই গ্রামের মোফাজ্জল প্রামানিকের ছেলে। সে ও পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে পড়াশুনা করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের শুকচোর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেন তোফাই দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঢাকায় চিকিৎসার জন্য জমি বিক্রি করে বাড়িতে টাকা রেখেছিল। দু’একদিনের মধ্যে ঢাকায় নেওয়ার কথা ছিল। গতকাল রাত ১১ টার পর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিল সোহাগ। এসময় সন্ত্রাসীরা এসে প্রথমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শর্টগান ঠেকিয়ে তাকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে ইউনিয়ন যুবদলের প্রচার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, বিএনপি পরিচয় দেওয়া মুতাহার হোসেন মোতাই ও রেজাউল করিম। এসময় বাধা দিতে গেলে তার চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম অন্তুকে মোতাহার হোসেন মোতাই প্রথমে শর্টগান দিয়ে আঘাত করে। পরে গুলি করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তার মাথায় একটি গুলি রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এপর রাত ৪ টার দিকে পুলিশ চরতারাপুরে অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চরতারাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক নেতা বলেন, বিএনপির বড় বড় নেতা ও প্রশাসন রাত ৩ টার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবগত করে। এবং উদ্ধারে কাজ করতে বলেন, এরপর কুতুব ও মুতাইকে ফোন দিয়ে বলি যে তাকে দ্রুত পরিবারের কাছে ফেরত দিয়ে আসো তাছাড়া সমস্যা হবে কিন্তু। এরপর মোবাইলের ওপার থেকে বলে যে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলো তারপর ছেড়ে দিচ্ছি। সে আরও অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। নামে বেনামে সবার থেকে চাঁদা ধরছে। ফসল ও গরু চুরি থেকে শুরু করে নানা অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। এসব হাইব্রিডদের জন্য বিএনপির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

ভুক্তভোগী সোহাগ ইসলাম বলেন, গতকাল রাত ১১ টার দিকে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় এলাকার কুতুব কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে আমাকে অপহরণ করে। পরে রাত ৪ টার দিকে প্রশাসনের চাপের মুখে আমাকে ছেড়ে দেয়। এর বেশি বলতে রাজি হননি তিনি।

তবে গুলিবিদ্ধ রফিকুল ইসলাম অন্তুর মা মোছা: মায়া খাতুন বলেন, ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল। দেওয়া হয়নি এজন্য আমার ভাসুরের ছেলে সোহাগকে অপহরণ করে। আমার ছেলে এগিয়ে গেলে শর্টগান দিয়ে প্রথমে আঘাত করে। পরে গুলি করে। এখনো গুলি মাথার ভিতরে আছে। ডাক্তার অপারেশন করে বের করার কথা বলেছেন। আমরা প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।

অভিযোগ জানতে সুজানগর পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব জসিম বিশ্বাসকে ফোন পাওয়া যায়নি। তবে সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ বলেন, সে ৫ আগস্টের আগে আমার সঙ্গে চলত ও রাজনীতি করত। এরপর এখন তার সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহরণের ঘটনা জানতে পেরে আমরা রাতে ওই এলাকায় অভিযানে গেলে চাপের মুখে সে ফেরত দেয়। তবে অভিযুক্তদের আটক করা সম্ভব হয়নি। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একজনের মাথায় গুলির ঘটনায় কাজ করছে পুলিশ।

ঢাকা রিজেন্সি’র চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জরি
                                  

স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:

রাজধানীর রিজেন্সি হোটেল এন্ড রিসোর্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রীর জেবুন্নেছার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এ দিন দুদকের উপপরিচালক মেফতাহুল জান্নাত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল এন্ড রিসোর্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিন ও তার স্ত্রী জেবুন্নেছার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে টিম গঠন করা হয়েছে। টিমে দলনেতা হিসেবে দুদকের উপপরিচালক মেফতাহুল জান্নাত ও উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সদস্য করা হয়েছে।

অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে, মুসলেহ উদ্দিন স্বপরিবারে গোপনে দেশত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি দেশ ত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। তাই তাদের বিদেশ যাত্রা রোধে আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।

গুম-ক্রসফায়ারের অভিযোগ নিয়ে নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি
                                  

স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:

আওয়ামী শাসমন অর্থাৎ ২০০৮ সাল থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ২ হাজার ২৭৬ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা এবং ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে পৃথক আবেদন দাখিল করেছে বিএনপি।

এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন দলটির গুম, খুন তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা মো. সালাউদ্দিন খান পিপিএম। এসময় উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম জাহিদ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা গুমের অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপি`র মত একটি রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্য অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধান, আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা ও কিছু অতি উৎসাহী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপির নেতা কর্মী ও সমর্থকদের অপহরণ পূর্বক গুম করে হত্যা এবং এখন পর্যন্ত অনেকেই গুম করে রাখা হয়েছে। বিএনপি’র তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত মোট ১৫৩ জনকে গুম করে হত্যা ও অপহরণ পূর্বক গুম করে রাখা হয়েছে। এ গুম সংক্রান্ত অনুসন্ধান ও তদন্ত করে মামলা গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।

ক্রসফায়ারের অভিযোগে বলা হয়েছে, অবৈধ ভোটার বিহীন আওয়ামীলীগ সরকার প্রধানের নির্দেশে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতি উৎসাহী কিছু সদস্যরা দমন নিপীড়ন নির্যাতন করে বিএনপিকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করার জন্য এবং দল থেকে লোকজন বিচ্ছিন্ন করার জন্যই ক্রসফায়ারের নামে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালায়।

ক্রসফায়ারের নামে এই হত্যাকাণ্ডে মোট ২২৭৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামীলীগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন, ধ্বংস করা ও ক্রসফায়ারে নামে হত্যা করে বিএনপির মত একটি বড় দল থেকে লোকজনদের শূন্য করা, এবং বিএনপির পরিবারদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা, ক্রসফায়ার নামে হত্যা করে বিএনপির দলের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা, সমর্থক ও লোকজনদের দলীয় কার্য থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা ও মেধাশূন্য করা।

আওয়ামী লীগের ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই জঘন্য কর্মকাণ্ডে ও মিথ্যা বানোয়াট পরিকল্পনা সৃষ্টি করে ক্রসফায়ারের নামে ২২৭৬ জনদের হত্যার ন্যায় বিচার করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য বিএনপি`র পক্ষ থেকে জোর দাবি করছি।

অভিযোগ দায়েরের পর সালাউদ্দিন খান বলেন, ক্রসফায়ার ও গুমের শিকার সবাই আমাদের দলের নেতাকর্মী। যেমন গুমের শিকার হয়েছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, আমাদের নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ ১৫৩ জন।

আদালত থেকে গায়েব হওয়া ৯ বস্তা নথি ভাঙাড়ি দোকানে!
                                  

স্বাধীন বাংলা অনলাইন:

চট্টগ্রামে আদালতের বারান্দা থেকে ৯ বস্তা মামলার নথি গায়েব হয়ে যাওয়ার পর আজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি পুলিশ উদ্ধার করে ভাঙাড়ি দোকান থেকে। এসময় একজনকে আটক করা হয়।

গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলার বারান্দায় প্রায় দুই বছর ধরে রক্ষিত ১ হাজার ৯১১টি কেস ডকেট চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হত্যা, মাদক, চোরাচালান, অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ প্রায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মহানগর পিপির এখতিয়ারে থাকা অন্তত ৩০টি আদালতে চলমান মামলার নথি এগুলো। হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার এসব নথি বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলছেন আইনজীবীরা।

নথিগুলোর খোঁজ না পাওয়ায় গত রোববার নগরের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় এক হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।

আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।

সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। কক্ষ চাওয়া হয়েছিল। তাই নথিগুলে সেখানে রাখা হয়। তা ছাড়া আমার কক্ষটি নথিতে ঠাসা হয়ে আছে বলে জানান তিনি।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, মহানগর পিপির কার্যালয়ের সামনে রাখা এক হাজার ৯১১ মামলার নথি হারানোর ঘটনায় করা জিডির বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ, তারেক রহমানের সেই ৪ চাঁদাবাজি মামলা বাতিলই থাকবে
                                  

স্বাধীন বাংলা অনলাইন:

রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ কওে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা চাঁদাবাজির চারটি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

রোববার (৫ জানুয়ারি) হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

চাঁদাবাজির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর পৃথক দুটি থানায় করা চারটি মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করে গত ২৩ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন। ২০০৭ সালে গুলশান থানায় তিনটি এবং ধানমন্ডি থানার একটি মামলাসহ ওই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে তারেক রহমানের করা পৃথক আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ওই রায় দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত ডিসেম্বরে পৃথক লিভ টু আপিল করে। পৃথক লিভ টু আপিল গত ৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। আদালত লিভ টু আপিল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। লিভ টু আপিলগুলো ৪ জানুয়ারি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রাখা হয়।

আইনজীবীদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, রেজা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন ২০০৭ সালের ২৭ মার্চ তারেকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা সৈয়দ আবু শাহেদ সোহেল চাঁদাবাজির অভিযোগে একই বছরের ৪ মে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। তারেক রহমান ও তার একান্ত সহকারী মিয়া নূরউদ্দিন অপুকে আসামি করে ঠিকাদার আমীন আহমেদ ভুঁইয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে দ্রুত বিচার আইনে গুলশান থানায় ২০০৭ সালের ৮ মার্চ একটি মামলা করেন। ঠিকাদার মীর জাহির হোসেন ধানমন্ডি থানায় ২০০৭ সালের ১ এপ্রিল গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অপর মামলাটি করেন। এই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন তারেক রহমান। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (চূড়ান্ত) ঘোষণা করে গত ২৩ অক্টোবর রায় দেন হাইকোর্ট।

তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ‘লিভ টু আপিল’
                                  

স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চাঁদাবাজির চারটি মামলা বাতিলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, মামলা বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন তা সঠিক হয়নি।

রোববার (৫ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রাষ্ট্রপক্ষের এসব আবেদন শুনানির জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে এসব আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

২০০৭ সালে গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ ও ধানমন্ডি থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়। গত ২৩ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ চার মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করলো রাষ্ট্রপক্ষ।

বাগেরহাটে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’র গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৫
                                  

জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’র গাড়িবহর ঢাকা যাওয়ার পথে বাগেরহাটের মোল্লাহাটে হামলার শিকার হয়। পরে মামলা হলে হামলার ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- মোস্তাক মুন্সি, উজ্জল সরকার, হানিফ, সাব্বির ও আব্দুর রহমান।

হামলার বিষয়ে বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রতিনিধি হৃদয় ঘরামী বাদী হয়ে ৭৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় মামলা দয়ের করেন।

মোল্লাহাট থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী হৃদয় ঘরামী বাদী হয়ে ইমাদ পরিবহণেরর কাউন্টার ম্যান কালু ফরাজীকে প্রধান আসামি করে ৭৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে ৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিকালে তাদের বাগেরহাট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের মোল্লাহাট মাদরাসাঘাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর ইউনিটির ঢাকাগামী গাড়িবহরের শিক্ষার্থীদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং গাড়ি থামিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। পরে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা। পুলিশ ও সেনাবাহিনী প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়।

ট্রাইব্যুনালে ‘শীর্ষ অপরাধীদের’ বিচার শেষ হবে এক বছরের মধ্যে: তাজুল
                                  

স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে সাধারণত ‘টপ কমান্ডার’ বা শীর্ষ অপরাধীদের বিচার করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের সবার বিচারই প্রায় আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করা হবে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ নিয়ে দুই দিনব্যাপী সংলাপের দ্বিতীয় দিন গতকাল ‘গুম-খুন থেকে জুলাই গণহত্যা: বিচারের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক প্রথম অধিবেশনে তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, দেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সর্বত্র এই মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত ছিলো। এর সঙ্গে গোটাবাহিনীর অধিকাংশ অফিসারকে সংযুক্ত করা হয়েছিলো।

চিফ প্রসিকিউটরকে এই অধিবেশনের সঞ্চালক সাংবাদিক মনির হায়দার প্রশ্ন করেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে সক্ষমতা আছে, তা গণহত্যা, গুম-খুনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের এত বড় পরিধির বিচারের জন্য কি যথেষ্ট?’

জবাবে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, এই ট্রাইব্যুনালের ১০ জন প্রসিকিউটর এবং ১৭ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা আছেন। তাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে গুম, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বাংলাদেশের মাটিতে হয়েছে, সেই অপরাধের যারা মাস্টারমাইন্ড (মূল হোতা) যারা একদম সর্বোচ্চ জায়গায় বসে থেকে অপরাধগুলো সংঘটিত করেছিলেন প্রাধান্য দিয়ে তাদের বিচার করা। সেই ক্ষেত্রে এই ট্রাইব্যুনাল হাজার হাজার মানুষের বিচার করতে পারবে না এবং সেই লক্ষ্যে অগ্রসরও হচ্ছেন না তারা।

সারা দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত ছিল। এর সঙ্গে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অধিকাংশ কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা ছিল। দেশব্যাপী সবকিছুর বিচার করতে গেলে এই ট্রাইব্যুনালের পক্ষে তা সম্ভব নয় বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।

তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে সাধারণত টপ কমান্ডারদের বিচার করা হয়। জুলাই-আগস্টের গণহত্যার প্রধান নিউক্লিয়াস ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার নিচের দিকে কয়েকজন ছিলেন, তাদের বিচারকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা তাদের বিচার শেষ করতে চান। সেই সক্ষমতা তাদের আছে বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সেই বিচার করতে কত সময় লাগবে, সেটা সংশ্লিষ্ট আদালত বলতে পারবেন।’

তিনি বলেন, সারাদেশব্যপী বিভিন্ন জায়গায় যত অপরাধ হয়েছে গ্রাউন্ড লেভেলে যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে, আদালতে যে বিচার চলছে সেটা চলমান থাকবে। সেই বিচারগুলো করতে কত সময় লাগবে সেটা সংশ্লিষ্ট আদালত বলতে পারবেন।

দুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমাকে যা বলেছেন তাতে সাহসটা বেড়ে গেছে।

তিনি বলেছেন, আমাদের অনেক প্রায়োরিটি আছে সরকারের কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রায়োরিটি হচ্ছে যারা দেশটাকে গুম এবং খুনের স্বর্গ রাজ্য করেছিলো, যারা ছাত্র-জনতার রক্তে বাংলাদেশের মাটি রঞ্জিত করেছে তাদের বিচারটা আমাদের এক নাম্বার প্রায়োরিটি। কাজেই এই জায়গায় ব্যর্থ হবার কোনো সুযোগ নেই।

এবার সাদপন্থি শীর্ষ নেতা জিয়া বিন কাসেম গ্রেফতার
                                  

জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর:

টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ৪ মুসল্লি নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী এবং সাদপন্থি শীর্ষ নেতা জিয়া বিন কাসেমকে(৪৫) গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

শনিবার জিএমপির উপকমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) এনএম নাসিরুদ্দিন গণমাধ্যমকে সংবাদটি নিশ্চিত করে বলেন, ভোরে চট্টগ্রামে জিয়া বিন কাসেম গ্রেফতার হয়েছেন। তাকে টঙ্গীতে আনা হচ্ছে। তিনি হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি। জিয়অ বিন কাসেমের বাড়ি সাভারে।

তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সাদপন্থি কর্তৃক টঙ্গী হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়া বিন কাসিম চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানায় শনিবার সকালে গ্রেফতার হয়েছেন৷ বর্তমানে তাকে পুলিশের গাড়িতে টঙ্গী পশ্চিম থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে৷

গত ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে চার মুসল্লি নিহত ও শতাধিক আহত হন। এ ঘটনায় শুরায়ি নেজামের (জুবায়েরপন্থি) পক্ষ থেকে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার জিয়া বিন কাসেম মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি।

বিয়ে খেতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
                                  

স্বাধীন বাংলা অনলাইন:

বগুড়ায় এক ছাত্রলীগ নেতা তার খালাতো বোনের বিয়ে খেতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম গোলাম গাউস লেমন। তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) শাজাহানপুর উপজেলার বি-ব্লক এলাকায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গাউসের বিরুদ্ধে চুরি, অবৈধ মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও শাজাহানপুর থানা পুলিশের ওপর হামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাজাহানপুর উপজেলার বি-ব্লক এলাকায় খালার বাড়িতে বিয়ে খেতে এসে জনতার হাতে আটক হন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম গাউস লিমন। পরে তাকে শাজাহানপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

গত ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক থাকলেও খালাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে আসে লিমন। পরে বিষয়টি টের পেয়ে জনগণ তার বাড়ি ঘিরে ফেলে। এ অবস্থায় থানা পুলিশে সংবাদ দেন ওই এলাকার ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম। পরে পুলিশ পৌঁছানোর পর বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

শাজাহানপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম জানান, বিকেলে বি ব্লক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নামে এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলা রয়েছে, এর মধ্যে একটি রাজনৈতিক মামলা।

হাসিনা পরিবারের পূর্বাচল প্রকল্পের প্লট নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
                                  

স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ৬টি প্লট ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে বরাদ্দ নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা। এই অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন নিশ্চিত করেছেন।

অবৈধ উপায়ে প্লট বরাদ্দ নেওয়া ৬ জন হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি এবং রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকী।

দুদক জানায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের ১৩/এ ধারার ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি এবং রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকীর নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩নং রোড থেকে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার ৬টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে তথ্য প্রকাশ হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২২ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ওঠা ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। তারও আগে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করে কমিশন। ওই দুটি অভিযোগ একই অনুসন্ধান টিম অনুসন্ধান করছে। তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিষয়ে একটি প্রাথমিক তদন্ত করে। ২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বনাম রিজভী আহমেদ মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম প্রথম নজরে আসে।

এফবিআইয়ের তদন্তে সজীব ওয়াজেদ জয়ের গুরুতর আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি উন্মোচিত হয়। বিশেষ করে, তার নামে থাকা হংকং এবং কেম্যান আইল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব থেকে স্থানীয় একটি মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক এবং লন্ডনের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে টাকা পাচারের তথ্য উঠে আসে। এফবিআই তাদের লন্ডনের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং প্রমাণ পেয়েছে যে সেখানে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম এবং মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের (ডিওজে) সিনিয়র ট্রায়াল এটর্নি লিন্ডা সেমুয়েলস স্পেশাল এজেন্ট লা প্রিভোটের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়েছে।

আর গত ১৭ ডিসেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি বা ৫৯ হাজার কোটি টাকাসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেখানে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকসহ পরিবারের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে রূপপুর ছাড়াও আশ্রয়ণসহ ৮টি প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য প্রকল্পগুলোতে ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

এরপর ১৮ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করা হয়। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, সহকারী পরিচালক এসএম রাশেদুল হাসান ও সহকারী পরিচালক একেএম মর্তুজা আলী সাগর।

গত ১৫ ডিসেম্বর হাসিনা পরিবারের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

গত ৩ সেপ্টেম্বর এ অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।

গত ১৯ আগস্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। বেশ কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাট করেছেন। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গ্লোবাল ডিফেন্স করপোরেশনের তথ্যের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদন করা হয়।

যেভাবে জাহাজে থাকা ৭ জনকে হত্যা করেন ইরফান
                                  

স্বাধীন বাংলা অনলাইন:

সম্প্রতি চাঁদপুরের হাইমচওে মেঘনা নদীতে এমভি আল বাখেরা জাহাজে ৭ জন নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ওই জাহাজের স্টাফ ইরফান একাই সবাইকে হত্যা করেছেন। বাঘেরহাট থেকে র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করলে তিনি র‌্যবের কাছে হত্যার বর্ণনা দেন বলে জানায় র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

মুনীফ ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের ক্ষোভ থেকে আকাশ মন্ডল ইরফান জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে হত্যা করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর র‌্যাব জানিয়েছে, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘ ৮ মাস ধরে কোনো প্রকার বেতন ভাতা দিতেন না, এমনকি তিনি দুর্ব্যবহারও করতেন। এসবের ক্ষোভ থেকে আকাশ মন্ডল ইরফান সবাইকে হত্যা করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফানের দেওয়া তথ্য মতে র‌্যাব আরও দাবি করে, জাহাজের বাজার করার জন্য ইরফান পাবনার একটি বাজারে নেমেছিল। সেখান থেকে তিনি তিন পাতা ঘুমের ওষুধ ক্রয় করেন। আর যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেটি আগে থেকে জাহাজেই ছিল। কুড়ালটি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল।

র‌্যাব দাবি আরও করে, ইরফান প্রথমে খাবারের মধ্যে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে সবাইকে অচেতন করে। পরে হাতে গ্লাভস পড়ে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর সবাইকে কোপানের পর মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজে জাহাজ চালিয়ে হাইম চর এলাকায় এসে অন্য একটি ট্রলারে করে পালিয়ে যান।

ওই জাহাজে খুনের শিকার ব্যক্তিরা হলেন- জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সী, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী। এ ছাড়া আহত ব্যক্তি হলেন- সুকানি জুয়েল।

 


   Page 1 of 131
     আইন - অপরাধ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আপিলে খালাস খালেদা জিয়া
.............................................................................................
ছাগলকাণ্ডের মতিউর স্ত্রীসহ গ্রেফতার
.............................................................................................
লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তিতে বাধা নেই
.............................................................................................
সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর গ্রেফতার
.............................................................................................
অ’স্ত্র ঠেকিয়ে কলেজছাত্রকে অপ’হর’ণ, ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি!
.............................................................................................
ঢাকা রিজেন্সি’র চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জরি
.............................................................................................
গুম-ক্রসফায়ারের অভিযোগ নিয়ে নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি
.............................................................................................
আদালত থেকে গায়েব হওয়া ৯ বস্তা নথি ভাঙাড়ি দোকানে!
.............................................................................................
রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ, তারেক রহমানের সেই ৪ চাঁদাবাজি মামলা বাতিলই থাকবে
.............................................................................................
তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ‘লিভ টু আপিল’
.............................................................................................
বাগেরহাটে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’র গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৫
.............................................................................................
ট্রাইব্যুনালে ‘শীর্ষ অপরাধীদের’ বিচার শেষ হবে এক বছরের মধ্যে: তাজুল
.............................................................................................
এবার সাদপন্থি শীর্ষ নেতা জিয়া বিন কাসেম গ্রেফতার
.............................................................................................
বিয়ে খেতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
.............................................................................................
হাসিনা পরিবারের পূর্বাচল প্রকল্পের প্লট নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
.............................................................................................
যেভাবে জাহাজে থাকা ৭ জনকে হত্যা করেন ইরফান
.............................................................................................
১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বগুড়ার সমালোচিত সেই তুফান সরকার আবারো গ্রেফতার
.............................................................................................
কবর থেকে কঙ্কাল চুরি, পুলিশের হাতে ধরা
.............................................................................................
৩ দিনের রিমান্ডে সাদপন্থি মুখপাত্র মুয়াজ বিন নূর
.............................................................................................
সাদ অনুসারী মোয়াজ বিন নুর গ্রেফতার
.............................................................................................
মাকে বেঁধে মেয়েকে ধ*র্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ২
.............................................................................................
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ জমা দিলেন মাইকেল চাকমা
.............................................................................................
সাদপন্থী শীর্ষ নেতাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
.............................................................................................
১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যাচ্ছে রাষ্ট্রপতির কাছে
.............................................................................................
বিতর্কিত ইসলামি বক্তা তাহেরির নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা, গ্রেফতার ৩
.............................................................................................
সেই ওসি প্রদীপের সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রীর জামিন
.............................................................................................
ন্যায়বিচার যেন বিলম্বিত না হয়: প্রধান বিচারপতি
.............................................................................................
শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি
.............................................................................................
শেখ হাসিনার হেইট স্পিচ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন
.............................................................................................
‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন
.............................................................................................
রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন তিনি
.............................................................................................
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস
.............................................................................................
জামিন পেলেন বরখাস্ত হওয়া সেই বিতর্কিত ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি
.............................................................................................
ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
.............................................................................................
শাপলা চত্বরে গণহ*ত্যায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হেফাজতের অভিযোগ
.............................................................................................
৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন
.............................................................................................
রাজধানীতে চলবে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা
.............................................................................................
৮ দিনের রিমান্ডে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম
.............................................................................................
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: সাবেক মন্ত্রী-বিচারপতিসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল
.............................................................................................
ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম আটক
.............................................................................................
সাবেক অতিরিক্ত সচিবের বাসায় মিললো কোটি টাকা, ছেলেসহ গ্রেফতার
.............................................................................................
ফেসবুকে ভুয়া সংবাদ প্রচার, ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার
.............................................................................................
৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে ব্যারিস্টার সুমন
.............................................................................................
ঘর থেকে তুলে নিয়ে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধধ*র্ষ*ণ, ২ জন আটক
.............................................................................................
সাবেক এমপি হেনরীর ‘প্রধান সহযোগী’ গ্রেপ্তার
.............................................................................................
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ১০ এমপির নামে না*শ*কতার মামলা
.............................................................................................
আরও ৫ প্রসিকিউটর পেলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
.............................................................................................
আশুলিয়ায় ডা কা তি হওয়া স্বর্ণালংকারসহ গ্রেপ্তার ৪
.............................................................................................
ধ*র্ষ*ণ মামলায় খালাস পেলেন আল্লামা মামুনুল হক
.............................................................................................
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ শুনানি আজ
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
    2015 @ All Right Reserved By dailyswadhinbangla.com

Developed By: Dynamic Solution IT