|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার:
চতুর্দশ জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার রাজধানীর বিউটি বোর্ডিং এর শহীদ স্মৃতি উদ্যানে চতুর্দশ জাতীয় সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাবের চেয়ারম্যান কবি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেছেন সাহিত্যসমৃদ্ধ জাতি গঠনে কবি দের ভূমিকা অগ্রগণ্য, যা পৃথিবীর সকল সুসভ্য জাতির শিল্প সাহিত্যের ইতিহাসের পাতায় চির উজ্জ্বল রবির আলোর মতো।
বক্তব্যে তিনি বাঙালি জাতির এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বর্ণনা করে জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এছাড়া রাজা গৌড় শশাঙ্ক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত শিল্প সাহিত্য ইতিহাস বর্ণনা করেন।
কবি এবিএম সোহেল রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মিলিত ভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি সুখের উল্লাসে পরিবেশন করেন কবি সুবর্ণা অধিকারী। এছাড়াও হামদ, নাত ও গজল পরিবেশন করেন শিল্পীবৃন্দ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাবের পরিচালক কবি নাহিদ রোকসানার সভাপতিত্বে ও কবি হাসিনা মমতাজের সঞ্চালনায় কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন কবি আব্দুল আজিজ চৌধুরী, কবি আব্দুল হামিদ সরকার, কবি মাহবুব ই এলাহী, ভারত থেকে আগত কবি কামনা দেব, কবি সন্ধ্যা বোস, কবি মিতা চ্যাটার্জি, কবি সরস্বতী দাস সহ কবি শেখ এ ইসলাম, কবি উম্মে হাবিবা সূচনা, ড. শরীফ সাকি কবি পূর্নিমা রাজ, কবি মহিউদ্দিন চৌধুরী, অমিতাভ চক্রবর্তী, কবি শামছুল হক শামীম, কবি রাজেন দাস, কবি সুপ্রীতি বিশ্বাস, কবি জারিফা সুলতানা, কবি রিমি কবিতা, বলিষ্ঠ প্রবীন কবি ও আবৃতিকার বদরুল আহসান খান, কবি তরুণ হালদার, কবি স্বান্তনা মজুমদার, কবি হেলেন আরা সিডনি, কবি আতাউল ইসলাম সবুজ, কবি মোর্শেদা চৌধুরী এ্যানী, কবি এস এম নজরুল ইসলাম, কবি আবুল হোসেইন হেলালী, কবি সাইফুল ইসলাম, কবি এম বাহাদুর, বাউল কবি বেলাল, কবি মিয়া আসলাম প্রধান, মো. তাজুল ইসলাম, কবি নরুল মোমেন খান, কবি শাহনাজ শারমিন মুনু, কবি আফরোজ নীলা, কবি ধ্রুবক রাজ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় শতাধিক কবি অংশ নেন।
তৃতীয় পর্বে সংবর্ধিত অতিথিদের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা প্রদান করেন বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাবের চেয়ারম্যান কবি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও পরিচালক কবি নাহিদ রোকসানা। মানপত্র পাঠ করেন কবি সুবর্ণা অধিকারী। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাব কর্তৃক প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থ ‘সাহিত্য সম্ভার’র এবং কবি হাসনা হেনা রচিত Bangabandhu our Great poem- এর মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন উদযাপন কমিটির সদস্য দের মধ্যে ‘জাতীয় কবি স্মৃতি পদক’ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
কবি সৈয়দা রিমি কবিতার পরিচালনায় সান্ধ্যকালীন এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। শাহ আবদুল করিমের কালজয়ী গান পরিবেশন করেন ওস্তাদ দিলদার হোসেন মুক্তার। লালনগীতি, নজরুল গীতি সহ অনেক রকম গানে প্রানবন্ত হয়ে ওঠে মঞ্চ।
কবি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর কন্ঠে সৈয়দ শাহ নুর শাহের গানে কন্ঠ মেলান সকল শিল্পীবৃন্দ। সুরের মূর্ছনায় পুরান ঢাকার বিউটি বোর্ডিং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
|
স্টাফ রিপোর্টার:
চতুর্দশ জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার রাজধানীর বিউটি বোর্ডিং এর শহীদ স্মৃতি উদ্যানে চতুর্দশ জাতীয় সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাবের চেয়ারম্যান কবি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেছেন সাহিত্যসমৃদ্ধ জাতি গঠনে কবি দের ভূমিকা অগ্রগণ্য, যা পৃথিবীর সকল সুসভ্য জাতির শিল্প সাহিত্যের ইতিহাসের পাতায় চির উজ্জ্বল রবির আলোর মতো।
বক্তব্যে তিনি বাঙালি জাতির এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বর্ণনা করে জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এছাড়া রাজা গৌড় শশাঙ্ক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত শিল্প সাহিত্য ইতিহাস বর্ণনা করেন।
কবি এবিএম সোহেল রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মিলিত ভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি সুখের উল্লাসে পরিবেশন করেন কবি সুবর্ণা অধিকারী। এছাড়াও হামদ, নাত ও গজল পরিবেশন করেন শিল্পীবৃন্দ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাবের পরিচালক কবি নাহিদ রোকসানার সভাপতিত্বে ও কবি হাসিনা মমতাজের সঞ্চালনায় কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন কবি আব্দুল আজিজ চৌধুরী, কবি আব্দুল হামিদ সরকার, কবি মাহবুব ই এলাহী, ভারত থেকে আগত কবি কামনা দেব, কবি সন্ধ্যা বোস, কবি মিতা চ্যাটার্জি, কবি সরস্বতী দাস সহ কবি শেখ এ ইসলাম, কবি উম্মে হাবিবা সূচনা, ড. শরীফ সাকি কবি পূর্নিমা রাজ, কবি মহিউদ্দিন চৌধুরী, অমিতাভ চক্রবর্তী, কবি শামছুল হক শামীম, কবি রাজেন দাস, কবি সুপ্রীতি বিশ্বাস, কবি জারিফা সুলতানা, কবি রিমি কবিতা, বলিষ্ঠ প্রবীন কবি ও আবৃতিকার বদরুল আহসান খান, কবি তরুণ হালদার, কবি স্বান্তনা মজুমদার, কবি হেলেন আরা সিডনি, কবি আতাউল ইসলাম সবুজ, কবি মোর্শেদা চৌধুরী এ্যানী, কবি এস এম নজরুল ইসলাম, কবি আবুল হোসেইন হেলালী, কবি সাইফুল ইসলাম, কবি এম বাহাদুর, বাউল কবি বেলাল, কবি মিয়া আসলাম প্রধান, মো. তাজুল ইসলাম, কবি নরুল মোমেন খান, কবি শাহনাজ শারমিন মুনু, কবি আফরোজ নীলা, কবি ধ্রুবক রাজ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় শতাধিক কবি অংশ নেন।
তৃতীয় পর্বে সংবর্ধিত অতিথিদের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা প্রদান করেন বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাবের চেয়ারম্যান কবি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও পরিচালক কবি নাহিদ রোকসানা। মানপত্র পাঠ করেন কবি সুবর্ণা অধিকারী। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাব কর্তৃক প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থ ‘সাহিত্য সম্ভার’র এবং কবি হাসনা হেনা রচিত Bangabandhu our Great poem- এর মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন উদযাপন কমিটির সদস্য দের মধ্যে ‘জাতীয় কবি স্মৃতি পদক’ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
কবি সৈয়দা রিমি কবিতার পরিচালনায় সান্ধ্যকালীন এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। শাহ আবদুল করিমের কালজয়ী গান পরিবেশন করেন ওস্তাদ দিলদার হোসেন মুক্তার। লালনগীতি, নজরুল গীতি সহ অনেক রকম গানে প্রানবন্ত হয়ে ওঠে মঞ্চ।
কবি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর কন্ঠে সৈয়দ শাহ নুর শাহের গানে কন্ঠ মেলান সকল শিল্পীবৃন্দ। সুরের মূর্ছনায় পুরান ঢাকার বিউটি বোর্ডিং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
|
|
|
|
____///-_সিফাত হালিম
একটু সাহস করে হয়তো বলেছিল,
আমি কিন্তু শুনিনি, বন্ধুদের ভিড়, বদলা নেবার দিনটাতে নানান না জানা, তার তো মুখস্থ কথা। কতজনে জানতে চায়, গড়গড় বলেই চলে গ্যাছে দূরে, এরচেয়ে বড় কিছু কী হয় স্মৃতির? কী চেয়েছিল? বিদায়? হয়তো, বাহরে খ্যালাধুলা। অমনি হাত পেতে নিই হীন মতলব, খুব স্বাভাবিক য্যানো ? আমার তো এইরকম কিছু নেই অর্জন, যা আমার ব্যক্তিগত, শুধু কিছুটা বিষাদ পাওয়া ছাড়া।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক সাহিত্যের সাথে মানুষের ইতিহাস, প্রথা, সংগ্রাম ও সম্প্রীতির গভীর যোগসূত্র রয়েছে, এজন্য সার্বিক সমাজচিত্রের শিল্পরূপকে উদ্ভাবনের প্রয়োজনে আমরা সাহিত্যকে দর্পণ বিবেচনা করি। সাহিত্য একটি নির্দিষ্ট ভাষিক অঞ্চলের সংস্কৃতির অনিবার্য অনুষঙ্গ এবং সংস্কৃতির গতিশীল ধারাবাহিকতার নিবিড় পাঠ। মানুষের জীবনের সাথে গভীর প্রচ্ছন্নতায় যে শিল্প নিরন্তর খেলা করে সাহিত্য হচ্ছে সেই অনাবিষ্কৃত শিল্পের প্রমিত ভাষণ। আমরা গভীর অনুভূতি ব্যক্ত করার ক্ষেত্রে সাহিত্যিকদের রচনা এবং উচ্চারণকে অবলম্বন করে মনোভাব প্রকাশ করে থাকি। আমাদের বাংলা সাহিত্য বহু কবি-লেখকের অনেক মূল্যবান ঐশ্বর্যে শোভায় পরিপূর্ণ। তেমনি পৃথিবীর দেশে দেশে, বিভিন্ন ভাষায় রয়েছে অসংখ্য কবি-সাহিত্যিক এবং তাঁদের অভিনব রচনাসম্ভার। সেসব পাঠে- অনুধাবনে-পর্যালোচনায় আমাদের সৃষ্টিশীলতা ও মননশীলতার বিকাশ ঘটে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব-সাহিত্যের অনন্য ও আলোকিত অংশ এবং এর সৌন্দর্যকে শিল্পসমঝদার ও সাহিত্যপ্রেমীদের সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজন ‘বিশ্বসাহিত্য পরিক্রমা’। এই আয়োজনের লক্ষ্য, আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার সাথে সম্পৃক্ত সভ্যজনদের সাথে বিশ্বসাহিত্যের পরিচয় ও মেলবন্ধন সৃষ্টি করা এবং শিল্পের মানুষের বিশেষ উৎকর্ষ সাধন করা। এটি একটি নিয়মিত কর্মসূচি এবং এতে ধারাবহিকভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার এবং অঞ্চলের সাহিত্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
৩০ জুন ২০২২ সন্ধ্যা ৭.৩০টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে অনলাইনে ‘বিশ্বসাহিত্য পরিক্রমা’ অনুষ্ঠানের ষষ্ঠ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্ব অনুষ্ঠিত হয় উর্দু সাহিত্য নিয়ে । আলোচনার মধ্যে উঠে এসেছে উর্দু ভাষা-সাহিত্যের অতীত ও বর্তমান চর্চা এবং বাংলাদেশে উর্দু সাহিত্যের অবস্থান সম্পর্কে। এ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক জাভেদ হুসেন, আলোচনা করেন বিশিষ্ট কবি ও লেখক মুম রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মো: আছাদুজ্জামান। বক্তব্যে ওঠে আসে, ‘উর্দু সাহিত্য বিশ্বসাহিত্যের অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশ।
এ ভাষায় লিখেছেন: মির্জা গালিব, মুহাম্মদ ইকবাল, মীর তাকি মীর, ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, আমির খসরু, শাহাদাত হাসান মান্টু এবং আলতাফ হোসেন হালী-সহ অনেক গুণী কবি- লেখক। বাংলা সাহিত্যেও উর্দু সাহিত্যের প্রভাব রয়েছে।’ বিশ্বসাহিত্য পরিক্রমা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা কবি সৌম্য সালেক। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে বিশ্বসাহিত্য পরিক্রমা অনুষ্ঠিত হয় আরবী, ফার্সি, ফরাসি, এস্পেনিয়ল এবং ইংরেজি ভাষার সাহিত্য নিয়ে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলা সেলাকোভিচ এর আগমন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার বিভিন্ন গ্যালারি পরিদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলা সেলাকোভিচকে অভ্যর্থনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। নিকোলা সেলাকোভিচ জাতীয় চিত্রশালার ১ ও ২ নং গ্যালারিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে প্রদর্শনী, বাউলকুঞ্জ , ৭ মার্চ এর ভাষনের উপর নির্মিত রিলিপ ভাষ্কয ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাম্প্রতিক কাযক্রমের উপর নির্মিত প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজনে শুরু হয় অনূষ্ঠানটির দ্বিতীয় পর্ব। শুরুতেই মেহরাজ হক তুষার এর পরিচালনা, লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনা এবং একাডেমির নৃত্য শিল্পীদের পরিবেশনায় সমেবেত নৃত্য ‘সহজ মানুষ’। একাডেমির শিশু সঙ্গীত ও নৃত্যদলের পরিবেশনায় ‘আমরা সুন্দরের অতন্দ্র প্রহরী’। গানের কথা ও সুরঃ লিয়াকত আলী লাকী সঙ্গীত পরিচালনায় ছিল ইবনে রাজন। কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা ‘বিদ্রোহী’ নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করেন একাডেমির নৃত্যশিল্পীদল। নৃত্যটি পরিবেশিত হয় মেহরাজ হক তুষার এর পরিচালনা, লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায়। গানের কোরিওগ্রাফীতে ছিলেন ইয়াসমীন আলী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কিমিয়া অরিন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ সংগঠন ঝিকুটের আয়োজনে ‘সাহিত্য সমাজে সমকালীন বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার বাংলামোটর এলাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৮তলায় হলরুমে গতকাল শনিবার বিকাল ৫ টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ঝিকুট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পরিষদ গঠনের পর ইফতারের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। আলোচনা সভায় ঝিকুট এর উপদেষ্টা শহিদুল ইসলাম এফসিএমএ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়জী। ঝিকুট এর সমন্বয়ক সিফাতুল্লাহ’র সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি, গবেষক ও সম্পাদক ইমরান মাহফুজ। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিকুট এর উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম বাবুল ও ঝিকুট এর উপদেষ্টা আরশাদ হোসেন আকাশ। এছাড়া অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুই বাংলার রবীন্দ্র গবেষক ড. মুহাম্মদ জমির হোসেন, লেখক ও শিক্ষক শাহানা আফরোজ, ঝিকুট এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এর প্রধান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মাওলা।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক, সংগঠক, শিক্ষক ও লেখক আশরাফ ইকবাল, ঝিকুট এর প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ কাদের, ব্রিটেনিয়া লেবেল বিডি লি. এর সিএফও রফিকুল ইসলাম, টিআইবির প্রোগ্রামার মাহবুব আলম সোহাগ, এমবিএ টাইমস এর বার্তা প্রধান শাহ মোহাম্মদ খালিদ, ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী মিরাজুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জামাল উদ্দিন চৌধুরীর কন্যা আজমা চৌধুরী, কবি, সংগঠক ও প্রকাশক মাসুম মুনাওয়ার, কবি ও গল্পকার মারুফ কামরুল, সমাজ সেবক আসলাম বেপারী, সমাজ সেবক মো. সুমন, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিলন মিয়া।
ঝিকুট এর সদস্যদের মধ্যে আফসানা হাই তন্দ্রা, হাসনা হেনা আফরিন সম্পা, মো. সাইফুল ইসলাম, এড. নয়ন মিয়া, সাইয়্যেদুল বাসার, রাজু মোল্লা, শেখ রুপু, সানজিদা হায়াত, রোজাসহ সাংবাদিক, সাহিত্যিক, সমাজ কর্মী, সংগঠক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
আমি চাই আবারও জন্মাক মুজিববৃক্ষ এই বাংলা মায়ের ভূমে, আমি চাই আবারও হাঁকুক বিজয় হুঙ্কার বাংলা হতে মহাবিশ্ব ব্যোমে।
আমি চাই আবারও উদুক মুজিবমিত্র ভয়াল এ দীর্ঘ রজনী শেষে, আমি চাই আবারও উঠুক শাওন শশী নিশিতের এই নিশি নিঃশেষে।
আমি চাই আবার হিমাংশু হাসুক জাতির এই ভাগ্য দ্যুলোক জুড়ে, আমি চাই আবার স্বাধীনতা সুর ভাসুক এই সোনার ভূলোক ঘিরে।
আমি চাই সহস্র স্লোগানে মুখরিত হোক আজ বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চেয়ে, আমি চাই আবারও আসুক বিজয় মিছিল সেই সত্তরের নৌকা না’য়ে।
আমি চাই আবারও হোক উত্তাল জনস্রোত ওই রেসকোর্স ময়দানে, আমি চাই সুরের মোহনায় হোক উদ্বেলিত আবার হ্যামিলনের বাঁশি শুনে।
আমি চাই আবারও উঠুক তর্জনী তাঁর শোষকের পাহাড় চিঁড়ে, আমি চাই ধ্বনিত হোক এই গগণ পবন আবার মর্মভেদী হুঙ্কারে।
আমি চাই আবারও আসুক একাত্তরের ভূবন বিজয়ী সে ভাষণ, আমি চাই আবারও বাজুক সেই দামামা এই বাংলার সারা গগণ।
আমি চাই রাজনীতির কবি মহাকাব্য রচুক এই বাংলার প্রতি নীড়ে, আমি চাই আবারও ফিরুক হাজার মুজিব, ফিরে আসুক বারে বারে।
এইচ এম মুস্তাফিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
|
|
|
|
ডেস্ক রিপোর্ট: এবারের ২১শে বই মেলায় আসছে সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন চিশতির কলাম সংকলন ‘আমাদেরও আছে একজন শেখ হাসিনা’। বইটি প্রকাশ করছে উষার দুয়ার প্রকাশনী, স্টল নং- ৩৩। সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন চিশতি সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিয়মিতভাবে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ও অনলাইনে কলাম লিখে থাকেন। সেসব প্রকাশিত কলাম নিয়ে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে এই বইটি। বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন বর্তমানে কাজ করছেন রাইজিং বিডিতে।
সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন চিশতির পিতা বীর মুক্তিযুদ্ধা অধ্যক্ষ আবু তাহের ভূঁইয়া। যিনি বিএলএফ’র একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন সাংবাদিক, কলামিষ্ট, সমাজসেবক ও শিক্ষাবিদ। শুধু তাই নয়, তিনিই ছিলেন ফেনীতে প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক।
এদিকে পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় সাজ্জাদ হোসেন চিশতিও বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। বর্তমানে তিনি সদস্য, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন( বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন(ডিইউজে), ফেনী সাংবাদিক ফোরাম, আজীবন সদস্য- ঢাকাস্থ ফেনী সমিতি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান।
দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে গণমাধ্যম জগতে তিনি কাজ করেছেন দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে। সাজ্জাদ হোসেন চিশতি কাজ করছেন কলকাতা টিভি, কুমিল্লা ২৪ টিভি, ডেইলি অবজারভার, সমকাল, দৈনিক আজকালের খবর, যুগান্তর, দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশ, আমাদের সময় ডট কম, মানবকন্ঠ, দৈনিক আমাদের নতুন সময়, দৈনিক বাংলাদেশের খবর, দৈনিক যায়যায়দিন, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনসহ দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য মিড়িয়ায়।
এছাড়াও সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন চিশতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির সদস্য। তিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
|
|
|
|
ডেস্ক রিপোর্ট :
ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯-২০২০ পেয়েছেন প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরী সহ ছয়জন প্রবীণ ও নবিন লেখক। বাংলা সাহিত্যের প্রসার ও লেখকদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে গত এক দশক যাবৎ লেখক ও সাহিত্যিকদের সম্মাননা দিয়ে আসছে ব্র্যাক ব্যাংক ও দৈনিক সমকাল। এটি ছিল এ পুরস্কারের দশম আয়োজন।
২০১৯ সালের জন্য প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর ‘দীক্ষাগুরুর তৎপরতা’ গ্রন্থের জন্য প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ শ্রেণীতে, হেলাল হাফিজ তাঁর ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’ গ্রন্থের জন্য কবিতা ও কথাসাহিত্য শ্রেণীতে এবং মোজাফ্ফর হোসেন তাঁর ‘পাঠে বিশ্লেষণে বিশ্বগল্প : ছোটগল্পের শিল্প ও রূপান্তর’ গ্রন্থের জন্য ‘হুমায়ূন আহমেদ তরুণ সাহিত্যিক পুরস্কার’ বিজয়ী হন।
২০২০ সালের জন্য আফসান চৌধুরী তাঁর ‘১৯৭১ গণনির্যাতন - গণহত্যা কাঠামো, বিবরণ ও পরিসর’ গ্রন্থের জন্য প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ শ্রেণীতে, মোহাম্মদ রফিক তাঁর ‘পথিক পরান’ গ্রন্থের জন্য কবিতা ও কথাসাহিত্য শ্রেণীতে এবং রন্জনা বিশ্বাস তাঁর ‘বাংলাদেশের লোকধর্ম’ গ্রন্থের জন্য ‘হুমায়ূন আহমেদ তরুণ সাহিত্যিক পুরস্কার’ বিজয়ী হন।
২১ জানুয়ারি, ২০২২ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি। আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সমকালের প্রকাশক এ. কে. আজাদ, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন ও দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন। দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গও এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
‘প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ’ এবং ‘কবিতা ও কথাসাহিত্য’ এ দু’ই শ্রেণীতে বিজয়ী প্রত্যেকে পুরস্কার হিসেবে দুই লাখ টাকা করে পান এবং ‘হুমায়ূন আহমেদ তরুণ সাহিত্যিক পুরস্কার’ বিজয়ী পান এক লাখ টাকা। প্রত্যেক বিজয়ীকে ক্রেস্ট ও সম্মননাপত্রও প্রদান করা হয়। এই পুরস্কার বাংলাদেশের সাহিত্যিক, পাঠক ও প্রকাশক মহলে অনেক আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। তিন শ্রেণীতে ২০১৯ সালে জন্য ৪৯৬টি এবং ২০২০ সালে ৫২৭টি বই জমা পড়েছিল। সেলিনা হোসেন, খালিকুজ্জামান ইলিয়াস, বিশ্বজিৎ ঘোষ ও আবিদ আনোয়ার সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ড প্রতি বছরের জন্য সেরা তিনটি করে বই নির্বাচন করেন।
সাহিত্য প্রসারের এ উদ্যোগ সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “এই পুরস্কারটি ইতিমধ্যে দেশের সাহিত্য জগতে একটি অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ স্থান অর্জন করেছে। এই পুরস্কার দেশের লেখক ও সাহিত্যিকদের বিশেষ করে তরুণ লেখকদের অনুপ্রাণিত করছে। আর পাঠকরা পাচ্ছে রুচিশীল বই পড়ার সুযোগ। দেশের তরুণ উদীয়মান এবং প্রতিভাবান লেখকদের সৃষ্টিশীল কাজের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অবির্ভূত হয়েছে এ পুরস্কার। আমরা এই সাহিত্য পুরস্কারের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে গর্বিত।”
এই পুরস্কার দেশের সাহিত্য ক্ষেত্রে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সম্মানে পরিণত করার জন্য একসাথে কাজ করবে ব্র্যাক ব্যাংক এবং সমকাল। লেখক সম্প্রদায়ের কাছে এ পুরস্কার হবে অনেক আকাঙ্খার ও গর্বের।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে কবি ও কথাসাহিত্যিক সুজন দেবনাথের কাব্যগ্রন্থ ‘হোমার-সাগরে হিমালয়’ এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টায় অনিকেত রাজেশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি’র মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি লেখক, গবেষক গোলাম কুদ্দুছ। সভাপতিত্ব করেন গীতিকার, সুরকার অলক দাশগুপ্ত।
সংস্কৃতি চর্চা প্রতিষ্ঠান উঠোন আয়োজিত অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত রায়, ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, নায়লা তারান্নুম কাকলি, মজুমদার বিপ্লব, সালমা শবনম, মিসবাহ রাবিন ও সিফাত বন্যা।
সংগীত পরিবেশন করেন অলক দাশগুপ্ত, ফারহানা রহমান কান্তা, মারুফ হোসেন, বর্ষা রাহা, শাহানাজ আক্তার, হুমায়রা ফাহমিদা।
‘হোমার-সাগরে হিমালয়’ কবি ও কথাসাহিত্যিক সুজন দেবনাথ-এর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। উল্লেখ্য, গ্রীক সভ্যতার শুরুর দিকের মহান দার্শনিক সক্রেটিস-এর সময় নিয়ে তাঁর রচিত উপন্যাস ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’ পাঠক মহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব।
|
|
|
|
মহামারী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকে কখনো ‘শারীরিক দূরত্ব’ আবার কখনো ‘সামাজিক দূরত্ব’ প্রত্যয় দুটি ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এটি নিয়ে যে কোন মতপার্থক্য নেই এমনটি নয়। ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে এটি শারীরিক দূরত্ব, সামাজিক দূরত্ব নয়। সুক্ষ্ম কিন্তু বিশ্লেষণধর্মী বিষয় দু’টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে সামাজিক দূরত্ব বলতে সাধারণত বিভিন্ন গোষ্ঠী বা শ্রেণি একে অপরের থেকে দূরত্বে অবস্থান করা বুঝায়। সামাজিক দূরত্ব বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট করতে ভারতীয় জাতিভেদ প্রথার উদাহরণ যথেষ্ট হবে। ভারতীয় বর্ণপ্রথা অনুযায়ী নিম্ন শ্রেণির মানুষ, অর্থাৎ বৈশ্য ও শুদ্র, উচ্চ শ্রেণিতে থাকা ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারে না। তাদের উচ্চ ও নিম্ন বর্ণের মধ্যে বিয়ে, আদান প্রদান তো নেই বরং এমনও নিয়ম আছে নিম্ন বর্ণের কোন ব্যক্তির ছায়া যদি উচ্চ বর্ণের কেউ মাড়ায় তবে তাকে গোসল করার মাধ্যমে পবিত্র হতে হবে। এখানে নিম্ন বর্ণ এবং উচ্চ বর্ণের মাঝে যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তাকে সমাজবিজ্ঞানীরা সামাজিক দূরত্ব বলেছেন।
অন্যদিকে শারীরিক দূরত্ব বলতে কোন একজন ব্যক্তি থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করা বোঝায়। যেমন সাধারণত আমাদের পরিবারে কারো ফ্লু হলে সে সদস্য থেকে আমরা কিছুটা দূরত্ব মেনে চলার চেষ্টা করি। এটি কেবলমাত্র কিছু সময়ের জন্য ব্যক্তি থেকে দূরে অবস্থান করা বুঝায়, যা সামাজিক দূরত্ব নয় বরং শারীরিক দূরত্ব।
আলোচ্য দুটি বিষয়ের মধ্যে যুক্তিশীল পার্থক্য তুলে ধরেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সামাজিক দূরত্ব কথাটি খুব বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে মহামারি প্রেক্ষিতে ব্যবহারের জন্য কথাটি সামাজিক দূরত্ব নয় বরং শারীরিক দূরত্ব হবে। অর্থাৎ মহামারি থেকে রক্ষা পেতে আমাদেরকে শারীরিক নৈকট্য পরিহার করতে হবে। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে তিন বা চার ফুট দূরে অবস্থান করতে হবে। এক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব কথাটি ব্যবহার করতে হবে। কারণ সমাজবিজ্ঞানে সামাজিক দূরত্ব বলতে, একটি বর্ণ থেকে অন্য একটি বর্ণ কিংবা একটি গোষ্ঠী থেকে অন্য একটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরী করা বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ সাদা-কালো ভেদাভেদ কিংবা উচ্চ, মধ্যম ও নিম্ন শ্রেণীর মধ্যে বৈষম্য। সামাজিক দূরত্ব এটা নয় যে একজন ব্যক্তি অন্য একজন ব্যক্তি থেকে অসুস্থতা বা কোন শারীরিক সমস্যার কারণে দূরে অবস্থান করবে। তবে ক্ষুদ্র অর্থে সামাজিক দূরত্ব বলা যেতে পারে, যখন আমরা খুব বেশি ভিড়ের মধ্যে যাচ্ছি না অথবা বাসে, ট্রেনে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখছি। তবে বিজ্ঞানসম্মত চিন্তাকল্পে এটি শারীরিক দূরত্ব, সামাজিক দূরত্ব নয়। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে এটি হওয়া উচিত শারীরিক দূরত্ব, সামাজিক নয়। আলোচ্য প্রত্যয়টি সামাজিক দূরত্ব হওয়া উচিত নয় তার অন্যতম একটি কারণ সামাজিক দূরত্ব আমাদেরকে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করবে, মানসিকভাবে একাকীত্ব সৃষ্টি করবে এটা কাম্য নয়। আমাদের উচিত শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। বৈশ্বিক মহামারির এ সময়ে আমরা যদি সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টি করি তাহলে আমরা বিভিন্ন গ্রুপ, দল, সংগঠন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বো। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টি হলে ক্রমে আমাদের সামাজিক সংহতি নষ্ট হতে শুরু করবে। ‘শারীরিক দূরত্ব’ কথাটি আমরা সাধারণত তখনই ব্যবহার করি যখন আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার ভয় থাকে।
সুতরাং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব কথাটি সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে ভুল ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। করোনা মহামারি থেকে খুব শীঘ্রই একেবারে মুক্ত হওয়া যাবে কথাটি বলা শক্ত। হয়তো অন্য ভাইরাসগুলোর সাথে যেভাবে মানিয়ে চলতে হচ্ছে করোনা ভাইরাসের সাথে সেভাবে চলতে হবে। তাই সামাজিক দূরত্ব প্রত্যয়টি সর্বদা ভুলভাবে ব্যবহৃত হতে থাকলে সমাজবিজ্ঞানীদের কাছে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে। তাই মহামারি প্রেক্ষিতে সামাজিক দূরত্ব কথাটি ব্যবহার করা ঠিক হবে না, শারীরিক দূরত্ব কথাটি ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং সঠিক শব্দটি নির্বাচন করতে হবে।’
মুতাসিম বিল্লাহ মাসুম শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
|
|
|
|
প্রকৃতিতে শরৎ এলো গুটি গুটি পায়ে নীরবে। ঝকঝকে নীলাকাশে সাদা মেঘের ভেলা উড়িয়ে বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে হয়ে যাওয়া মাঠ-ঘাটকে চাঙ্গা করতেই যেন শরতের এ আগমন। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ভাদ্র-আশ্বিন এ দুই মাসকে বলা হয় শরৎকাল। গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে প্রথম থেকেই চোখে পড়ে মন মাতানো শরতের অপরূপ সৌন্দর্য। সূর্য ওঠার আগেই হালকা শিশির ভেজা ঘাসের উপর ঝরে পড়ে শিউলি ফুল। ঝরা শিউলি ফুলের মনোমুগ্ধকর চাহনি সাড়া জাগায় প্রতিটি মানব হৃদয়ে। আনাচে-কানাচে, মাঠে-ঘাটে-প্রান্তরে শুভ্রতা ছড়ায় সাদা কাশফুল। গাছে গাছে দেখা যায় বাহারী জাতের ফল। জলপাই, তাল, আমলকী, চালতা, করমচা পাওয়া যায় শরৎকালে। শরতের শ্বেত-শুভ্র রূপে স্নিগ্ধ হয়ে ওঠে বাংলার প্রকৃতি। শরতের সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন,
আজি কি তোমার মধুর মূরতি হেরিনু শারদ প্রভাতে! হে মাত বঙ্গ, শ্যামল অঙ্গ ঝলিছে অমল শোভাতে।
বাংলার এমন অনুপম রূপরাশি পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়েই চলছে। প্রকৃতি হারাতে বসেছে তার রূপ-লাবণ্য। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বনভূমি ধ্বংস করে কলকারখানা তৈরি, অপরিকল্পিত নগরায়ন, জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার বাংলাদেশে এক গুমোট আবহাওয়া তৈরি করছে। জীববৈচিত্র্য টিকে রাখার জন্য যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। চক্রাকারে ঋতুর আবর্তন আর তেমন চোখেই পড়ে না। আমাদের নতুন প্রজন্ম এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে কি না শুধু পুস্তকে সীমাবদ্ধ ষড়ঋতুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানবে এ নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়। তাই আমাদের সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। অধিকহারে বৃক্ষরোপণ করতে হবে তবেই প্রকৃতি পাবে ফিরে তার আপন অস্তিত্ব।
মারিয়া জান্নাত মিষ্টি, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
|
|
|
|
লুৎপেয়ারা ফেরদৌসী
রোজ শুক্রবার, ২১ শে সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪ সন এক হতভাগী মায়ের কোল আলোকিত করে, এসেছিলে এ ধরায়, অচেনা পাথরগুলো ছড়াচ্ছিল লাবন্য প্রভা পুষ্প খুলে দিচ্ছিল তার প্রতিটি স্তবক, উৎসারিত ঝর্ণা ধারায় প্লাবিত হচ্ছিল সকলের মন। এসেছিলে বলেই, বর্ণিল স্বপ্নে স্পন্দিত হচ্ছিল প্রজাপতির ডানা, কারুময় সবুজে ঘেরা নিবাস, বাড়ির আংগিনা, বন্ধ জানালাগুলো আলোয় ভরেছিল কানায় কানায়।। পদবীতে তুই ছিলে, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের এসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার, সততা, নিষ্টা ও মুগ্ধতার মূর্ত প্রতীক কর্মদক্ষতায় সেরা বনে গিয়েছিলে, বোর্ড পাড়ায় তোর জুড়ি মেলা ছিল ভার।। শিক্ষা-দীক্ষায়, রূপে গুণে ও দূরদর্শিতায় ন্যায় এবং সততার এক যুবরাজ, স্বজন, বন্ধু বান্ধব আর সুশীল সমাজ, ভালবাসার স্বর্গরাজ্যে বসিয়ে একগুচ্ছ পুষ্পের মত, কবে যে পরিল তোকে স্বর্ণ খচিত হীরক তাজ।। হঠাৎ, ঘোর অন্ধকার, নিঃস্তব্ধতা ও সীমাহীন নীরব, পৃথিবীর সব আলো হয়ে গেল বিবর্ণ, ফ্যাড জিন্সের মত মুছে গেল রংধনুর সাত রং, কৃষ্ণাভ পালকের মতো লাইট পোস্টের নীথর আলো চারদিকে নেই কোন সরব, কারণ, রোজ শুক্রবার ২রা জুলাই-২০২১ সন, করোনায় কেড়ে নিল তোর জীবন।। আহা! তোকে কি আর ফিরে পাবনা? আর কখনই কি ছোঁয়া যাবে না? জাদু মাখা কন্ঠ, উচ্ছ্বসিত হাসির শব্ধ, আর কি কখনোই হৃদয়ে ঝড় তুলবে না? তুই হীনা আমি যে স্পন্দন হীন, প্রাণহীন, অতি নিঃস্ব।। ফিরে আয়, ফিরে আয়, স্নেহের অনুজ, বিউগুল সুরে বেজে চলেছে অবিরাম, বুকের কাছাকাছি তোর স্নেহ পিয়াসী মুখ, তুই ফিরে আয় নেয়ামুল।
সহকারী অধ্যাপক, শাহ সুলতান(রঃ)ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়, মদনপুর, নেত্রকোনা
|
|
|
|
লুৎপেয়ারা ফেরদৌসী
ভালবাসি ; বড় বেশী আমার আত্মজাকে, বক্ষপিঞ্জরে সযত্নে থাকা হৃৎপিন্ডটুকু অনায়াসেই দিয়ে দিতে পারি স্নেহ ভরা মায়া মুখ যার, যে ভুলিয়ে দেয় আমার সমস্ত যাতনা।
সবকিছুকে গ্রাস করে তুমি ভালবাসার পূর্ণতায়, আমার হৃদয়ের পালংকে বসিয়া আলোর ঝাড়বাতি হয়ে জ্বালিয়ে দাও, জ্ঞানের চিরন্তন শিখা।
প্রাপ্তি; থামিয়ে দিওনা তোমার চলার গতি, তুমি হোঁচট খেয়ো না বরং মোর ইচ্ছা পূরণে অগ্রগামী হয়ে, অন্ধকারের দীপ হও এ বসুন্ধরায়।
- সহকারী অধ্যাপক, শাহ সুলতান (রঃ)ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়, মদনপুর , নেত্রকোনা
|
|
|
|
নাজমুন নাহার জেমি নৈতিকতা হলো নীতি সম্পর্কিত বোধ, এটি একটি মানবিক গুণাবলি যা অন্য আরো অনেক গুণের সমন্বয়ে তৈরি হয়। মানুষ পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও ধর্মের ওপর ভিত্তি করে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়মনীতি খুব সচেতনভাবে মেনে চলে। সমাজ বা রাষ্ট্র আরোপিত এই সব নিয়ম-নীতি ও আচরণবিধি মানুষের জীবন যাপনকে প্রভাবিত করে। এই নিয়মগুলো মেনে চলার প্রবণতা, মানসিকতা, নীতির চর্চাই হলো নৈতিকতা। আগে মানুষ বিশ্বাস করতো ধনের চেয়ে মন বড়। অথচ এখন এই ধারণা পাল্টে গেছে। প্রত্যেকে এখন অবিরাম ছুটে চলেছে অর্থ সম্পদ ও বিত্তের পেছনে। একজনকে পেছনে ফেলে আর একজনের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা প্রত্যেককে করে ফেলেছে অন্ধ। প্রত্যেকে অবলীলায় বির্সজন দিচ্ছে নিজস্ব নৈতিকতা। তাই এখন সমাজের নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তর পর্যন্ত সবটাই ডুবে গেছে দুর্নীতি, অপকর্ম আর অনৈতিক কর্মকান্ডে।
নৈতিকতা ও মূল্যবোধকে মানুষ এমন করে নির্বাসিত করেছে যে, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় প্রধানরাও হরহামেশাই জেলে যাচ্ছে দুর্নীতির দায়ে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রত্যেকটি ক্ষেত্রই আজ নীতিহীনতায় জর্জরিত। মূল্যবোধের চর্চাকে এখন বোকাদের কাজ বলে বিদ্রুপ করা হয়। আমাদের দেশের যুব সমাজের দিকে তাকালে এই অবক্ষয়ের এক করুণ ও প্রত্যক্ষ চিত্র আমরা দেখতে পাই। লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী এই অবক্ষয়ের কারণে নিজেদেরকে ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকারের পথে, আসক্ত হচ্ছে মাদকে। ছিনতাই, অপহরণ, গুম, খুন, হানাহানি, নষ্ট রাজনীতি আর সন্ত্রাসের প্রতি জড়িয়ে যাচ্ছে। উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে গলা টিপে হত্যা করে মূল্যবোধ আর নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে সব বয়সী মানুষ আজ চলেছে ধ্বংসের পথে। যে ছেলেটির হওয়ার কথা শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী বা প্রশাসক সে আজ হয়ে যাচ্ছে চোরাচালানকারী, মাদক ব্যবসায়ী কিংবা সন্ত্রাসী। যার দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল সে আজ অন্যায় করে ব্যাহত করছে দেশের অগ্রযাত্রা। চলমান এই অবক্ষয় থামাতে হলে সবার আগে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের চর্চা। যে ব্যক্তির মধ্যে নৈতিক শিক্ষা থাকে, মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে সে ব্যক্তি সকল অপরাধ থেকে বিরত থাকে।
শুধুমাত্র অবক্ষয় রোধের জন্যই নয় বরং জীবনকে সুন্দর করে তোলার জন্য ছাত্র জীবনেই নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজন। নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি তার নীতিতে অটল থাকে। মূল্যবোধ ব্যক্তি পর্যায়ে যেমন একজন মানুষকে সঠিক ও শুদ্ধ মানুষ রূপে গড়ে তোলে তেমনি রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও মানুষকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ থাকার কারণেই মানুষ তার নিজের, পরিবারের, সমাজের ও রাষ্ট্রের প্রতি সকল দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে। ছাত্র সমাজকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে এবং নৈতিক শিক্ষার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। আমাদের বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থায় এবং ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ্যসূচিতে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষার উপযোগী বিষয়বস্তু থাকতে হবে। যে জাতি যতো বেশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং নিজস্ব মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সে জাতি ততো বেশি সুসংহত। সব দিক দিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার হার বাড়ছে দিন দিন। কিন্তু শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে সমাজে বাড়ছে মূল্যবোধের অবক্ষয়। খুন, গুম, ধর্ষণ, মাদকাসক্তি, দুর্নীতি ও অশ্লীলতার মতো অপরাধপ্রবণতাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অশিক্ষিত লোকের পাশাপাশি শিক্ষিত লোকেরাও এসব অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত।
শুধু কাগজে-কলমে শিক্ষিত লোকেদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে শিক্ষিত লোকেরা এ সমাজকে গ্রাস করে ফেলছে। অনৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের ফলে সমাজ ও রাষ্ট্রকঠামোতে আজ অস্থিরতা বিরাজ করছে। এই নেতিবাচক প্রভাবকে প্রভাবিত করতে হবে ইতিবাচক নৈতিকতা ও মূল্যবোধ দিয়ে। সামাজিক কৃষ্টি-কালচার, আচার-আচরণ, রীতিনীতিও শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ সৃষ্টিতে প্রভাব ফেলে। সারা জীবনের জন্য পরিকল্পনা করতে চাইলে মানুষের জন্য সুশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এখানে সুশিক্ষা বলতে নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষার কথা বলা হচ্ছে। নৈতিক শিক্ষা ও মানবিক শিক্ষার মিলনস্থল হলো সুশিক্ষা। সুশিক্ষা একজন শিক্ষার্থীর নৈতিক মানদন্ডকে উন্নত করার পাশাপাশি তার ভিতরকার মানবিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করে। ক্লাসের শিক্ষা শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ও সৃজনশীল চিন্তার প্রসার ঘটাতে পারে এই দিকটি শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অভিভাবকের নজরে থাকতে হবে।
মূল্যবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার সকল স্তরে নিজ দেশের কৃষ্টি কালচার বিষয়ক নানা রকম অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা যেতে পারে। এতে শিক্ষার্থীরা নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে অনেক সচেতন ও সজাগ হবে। বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে প্রয়োজন নৈতিক চরিত্র বলে বলীয়ান, মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন মানবসম্পদের। এসব কারণেই নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিক্ষা বৃদ্ধিতে মনোযোগী হতে হবে।
লেখিকা- নাজমুন নাহার জেমি শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
|
|
|
|
ড. খান আসাদুজ্জামান
হে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর অন্তহীন প্রেরণার আধার তুমি বুঝেছিলে তোমার জীবন সঙ্গীর বিপ্লবী চেতনার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত।
তাই বুঝি হাতে হাত রেখে মুজিবকে তুলে দিয়েছিলে হেমিলনের সেই বাঁশের বাঁশি আর বিপ্লবের অনির্বান অগ্নিশিখা।
বাঙালির প্রাণ প্রিয় দেবতা তোমার মূল্য দিয়েছে, তোমার সে অর্ঘের জনতাও দিয়েছে তাই অমোঘ নৈবেদ্য বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছে কাল হতে মহাকালে।
রাজনীতি আর সংসারের অপরিহার্য দায় ছিল তোমার তাই তো তুমি সংসার সন্তান আর রাজনীতির নিষ্ঠুর ঘুর্ণাবর্তে হারাওনি তোমার সাহস। তুমি অন্তহীন প্রেরণা যুগিয়েছো বঙ্গবন্ধুর কারা প্রকষ্ঠের গরাদ ছুঁয়েছুঁয়ে।
হে বঙ্গজননী, তুমি তাঁর সতীর্থ ভাবনার ছিলে নিরবিচ্ছিন্ন আর অদম্য সহচারী তুমি পায়ের তলার মাটি হারাওনি কখনো কোন শ্যেন-শকুনের নখের থাবায়।
তুমি সাহস যুগিয়েছো ঘরে বাইরে তোমার দোসর হাতের পেলব ছোঁয়ায় তাইতো তিনি বঙ্গবন্ধু হতে পেরেছিলেন নিঃশঙ্ক বিপ্লবী অভিযানে।
শত ঝড় ঝাপটা প্রতিকুলতায় তোমার অসামান্য অবদানে বঙ্গবন্ধুর বিপ্লবী চেতনা হয়েছিল খুরধার তুমিশুধু বঙ্গবন্ধুর অপ্রিয়ঙ্গী-ই নও তুমি ছিলে গণমানুষের উৎসাহের এক বিশ্বস্ত সূতিকাগার।
বঙ্গভূমির মানুষ অকৃতজ্ঞ নয় বঙ্গবন্ধুর নামের পাশে তুমিও তাই বঙ্গমাতা হলে সর্বংসহা এক আত্মত্যাগীর নামের পাশে উচ্চারিত হবে তোমার নাম, অবিরাম।
তুমি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নিজের ভোগবিলাসকে জলাঞ্জলি দিয়ে তুমি নিবেদিত ছিলে বিপ্লবী কোনো সাত মার্চেও মহাকাব্যের অমর কবির সহধর্মিনী হয়ে।
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তুমি অনন্যা, অসাধারণ তোমার স্বপ্নের এ বঙ্গে আমরাও আছি- ছিলাম তোমার সঙ্গে ॥
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা অনলাইন : এবার মহামারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত ও নির্বাসিত লেখিকা ভারতে অবস্থানরত তসলিমা নাসরিন। রোববার (৯ মে) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘আমি চিরকালই বড় দুর্ভাগা। এই যে গত বছরের মার্চ মাস থেকে একা আছি ঘরে, একখানা ইন্ডোর ক্যাট সঙ্গী, কোথাও এক পা বেরোলাম না, কাউকে ঘরে ঢুকতে দিলাম না, রান্না বান্না বাসন মাজা কাপড় কাচা ঝাড়ু মোছা সব একাই করলাম, কী লাভ হলো? কিছুই না। ঠিকই কোভিড হলো। গত এক বছরে শুধু একবার এক ঘণ্টার জন্য বাইরে বেরিয়েছিলাম, তাও দু’মাস আগে, টিকার প্রথম ডোজ নিতে। ওই ডোজটি কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি করেছিল বলে হয়তো এ যাত্রা বেঁচে গেছি।
আমি চিরকালই বড় দুর্ভাগা। এক এক করে যদি লিখি কী কী ঘটেছে জীবনে যা ঘটার কথা ছিল না, তাহলে তালিকা এত দীর্ঘ হবে যে পড়ে কেউ কূল পাবে না। আপাতত কোভিড হওয়ার দুঃখটাই থাক। দুঃখ থাকাও হয়তো ঠিক নয়। কারণ ধীরে ধীরে আমি সুস্থ হয়ে উঠছি। কিন্তু হাজারো মানুষ যারা সুস্থ হতে পারেনি! যারা শ্বাস নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি শ্বাস নিতে! দুঃখগুলো বরং তাদের জন্য থাক। এখন এইটুকু অন্তত ভালো লাগছে, এটি আর স্টিগমা নয় আগের মতো। কারো কোভিড হলে সে লুকিয়ে রাখতো খবর, কারণ কোভিড হওয়াটা অনেকটা ছিল এইডস হওয়ার মতো। সমাজ ব্রাত্য করে দিত। এক বছরে এত মানুষকে ধরেছে এই কোভিড, এতে, ভালো, যে, স্টিগমাটা গেছে। কেউ আর বলতে দ্বিধা করেনা যে তার কোভিড হয়েছে।’
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আখলাকুল আম্বিয়া নির্বাহী সম্পাদক: মাে: মাহবুবুল আম্বিয়া যুগ্ম সম্পাদক: প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: স্বাধীনতা ভবন (৩য় তলা), ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০। Editorial & Commercial Office: Swadhinota Bhaban (2nd Floor), 88 Motijheel, Dhaka-1000. সম্পাদক কর্তৃক রঙতুলি প্রিন্টার্স ১৯৩/ডি, মমতাজ ম্যানশন, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত । ফোন : ০২-৯৫৫২২৯১ মোবাইল: ০১৬৭০৬৬১৩৭৭ Phone: 02-9552291 Mobile: +8801670 661377 ই-মেইল : dailyswadhinbangla@gmail.com , editor@dailyswadhinbangla.com, news@dailyswadhinbangla.com
|
|
|
|