|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বিসিকের ৫ দিনব্যাপী হস্ত ও কুটির শিল্প মেলা শুরু
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন(বিসিক) ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবার্ষিকীতে ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে বিসিক কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানীর মতিঝিলে বিসিক ভবনে ৫ দিনব্যাপী হস্ত ও কুটির শিল্প মেলা-২০২১ আয়োজন করেছে।
পিপলস ফুটওয়্যার এন্ড লেদার গুডস এর স্বত্বাধিকারী রেজবিন হাফিজ ও ঐক্য ফাউন্ডেশনের সহাযোগিতায় এ মেলা আয়োজন করা হয়েছে।
মেলার স্টলগুলোতে বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের তৈরি হস্ত ও কুটির শিল্পজাত বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর স্থান পেয়েছে।
এ মেলায় ক্রেতা সাধারণগণ ৫৮টি স্টল থেকে কারুপণ্য, নকশিকাঁথা, পাট পণ্য, বুটিকস পণ্য, জুয়েলারী, লেদারগুডস, অর্গানিক ফুডস, ইলেকট্রনিকস পণ্যসহ নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে পারবেন। মেলা চলবে আগামী ৪ঠা মার্চ ২০২১ পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত।
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাগণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ এসব উদ্যোক্তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিপণনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে মেলা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিসিক। ইতোমধ্যে, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বগুড়া, ঝিনাইদহ, সিলেট, নেত্রকোণা জেলায় মেলার আয়োজন করেছে বিসিক।
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন(বিসিক) ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবার্ষিকীতে ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে বিসিক কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানীর মতিঝিলে বিসিক ভবনে ৫ দিনব্যাপী হস্ত ও কুটির শিল্প মেলা-২০২১ আয়োজন করেছে।
পিপলস ফুটওয়্যার এন্ড লেদার গুডস এর স্বত্বাধিকারী রেজবিন হাফিজ ও ঐক্য ফাউন্ডেশনের সহাযোগিতায় এ মেলা আয়োজন করা হয়েছে।
মেলার স্টলগুলোতে বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের তৈরি হস্ত ও কুটির শিল্পজাত বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর স্থান পেয়েছে।
এ মেলায় ক্রেতা সাধারণগণ ৫৮টি স্টল থেকে কারুপণ্য, নকশিকাঁথা, পাট পণ্য, বুটিকস পণ্য, জুয়েলারী, লেদারগুডস, অর্গানিক ফুডস, ইলেকট্রনিকস পণ্যসহ নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে পারবেন। মেলা চলবে আগামী ৪ঠা মার্চ ২০২১ পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত।
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাগণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ এসব উদ্যোক্তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিপণনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে মেলা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিসিক। ইতোমধ্যে, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বগুড়া, ঝিনাইদহ, সিলেট, নেত্রকোণা জেলায় মেলার আয়োজন করেছে বিসিক।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : কাতার পেট্রোলিয়াম কোম্পানি ডাচ কোম্পানি ভিটলের সঙ্গে একটি দীর্ঘকালীন বিক্রয়-ক্রয় চুক্তি (এসপিএ) স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির অধীনে কোম্পানিটি বাংলাদেশে প্রতি বছর ১২ লাখ ৫০ হাজার টন এলএনজি (লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস) সরবরাহ করবে। এ নিয়ে সোমবার একটি বিবৃতি দিয়েছে কাতার পেট্রোলিয়াম। এতে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের শেষ দিকে এই এলএনজি রপ্তানি শুরু হবে।
এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন কাতারের জ্বালানীমন্ত্রী ও কাতার পেট্রোলিয়ামের সিইও সাদ বিন শেরিদা আল-কাবি। তিনি বলেন, ভিটলের সঙ্গে এই এসপিএ চুক্তি করে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদা পুরনে আমরা এলএনজি সরবরাহ অব্যাহত রাখবো। বিশ্বজুড়ে আমাদের অংশীদার ও ক্রেতাদের কাছে পছন্দের সরবরাহকারী হওয়ায় আমরা গর্বিত।
ভিটল একটি ডাচ জ্বালানি কোম্পানি। এটি বিশ্বের সবথেকে বড় স্বাধীন তেল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর বাৎসরিক আয় অ্যাপলের প্রায় সমান। ব্লুমবার্গের দেয়া তথ্যমতে ২০১৯ সালে কোম্পানিটি গড়ে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ব্যারেলেরও বেশি অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করেছে। বিশ্বজুড়ে বাড়ছে জ্বালানীর চাহিদা। ভিটল তাই গ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যবসায় প্রবেশ করছে।
বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ গ্যাসের যোগান কমে আসায় আমদানি বাড়ছে গ্যাসের। তাই ভারত ও পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশও অন্যতম প্রধান গ্যাস আমদানিকারক রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন ২ কোটি ৮০ লাখ কিউবিক মিটার গ্যাস উৎপাদন করতে পারে বাংলাদেশ। অর্থাৎ বছরে প্রায় ৭৫ লাখ টন গ্যাস উৎপাদন হয় দেশে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রায় ৩৮ লাখ টন এলএনজি আমদানি করেছিল।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আজ আমদানি-রপ্তানিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হিলি পানামা পোর্ট লিংকের সহকারী ব্যবস্থাপক অতিশ কুমার শ্যানাল আজ রবিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অতিশ কুমার শ্যানাল জানান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ রবিবার সকাল থেকে ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া, সরকারি ছুটি হিসেবে বন্দরের অভ্যন্তরীণ সব কার্যক্রম বন্ধ আছে। আগামীকাল সোমবার সকাল থেকে যথারীতি বন্দরের কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : সরকার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে । বিশেষ করে সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১৫ টাকা আর বোতলজাত সয়াবিন ১৩৫ টাকায় বিক্রি হবে। আজ বুধবার সচিবালয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সামনে রমজান মাস, বর্তমানে যথেষ্ট মজুদ আছে। সব হিসেব-নিকেশ করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) পাইকারি পর্যায়ে ১১০ টাকা, খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা আর মিলে গেটে ১০৭ টাকায় বিক্রি হবে।
প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের মিল গেট মূল্য ১২৩ টাকা, পাইকারি মূল্য ১২৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিল গেট মূল্য ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৬০০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬২৫ টাকা।
আর পাম সুপার তেলে প্রতি লিটার মিল গেটে মূল্য (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, ভোজ্য তেল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : শিল্পোন্নত দেশ জাপান তার কোম্পানিগুলোকে চীনের বাইরে স্থানান্তরে উৎসাহিত করছে। এক্ষেত্রে তাদের সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অগ্রগতি হতে পারে।
ব্লুমবার্গ নিউজে অরুণ দেবনাথ লিখেছেন, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত নাওকি ইটো সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যেহেতু করোনা মহামারি শুরু হয়েছে চীনে, তাই সরবরাহ চেইন অব্যাহত রাখতে জাপানের কোম্পানিগুলোকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এতে বাংলাদেশ ভালো সুবিধা পাবে।
জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে যখন প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোন, তখন দ্বীপরাষ্ট্র জাপানের কোম্পানি স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ১০০০ একর জায়গার ওপর বিস্তৃত এই শিল্প এলাকা। বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনস অথরিটির মতে, এখানে জাপানি ২০০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগের আশা করছে বাংলাদেশ।
চীনে বেতন কাঠামো বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে এরই মধ্যে জাপানের উদ্যোক্তারা শ্রমিকদের খরচ কম এমন স্থানগুলো খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের সরবরাহ চেইন চীন থেকে সরিয়ে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে তারা ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশে অবকাঠামোর উন্নতি দেখতে পাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ইটোর মতে, গত ১০ বছরের বেশি সময় নিয়ে বাংলাদেশে কার্যক্রম চালানো জাপানি কোম্পানির সংখ্যা তিনগুন বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০।
তিনি জানান, শিল্প এলাকার উন্নয়নে ১০০ কোটি ডলারের প্রকল্পে জাপান বিশেষ উন্নয়ন ঋণ বরাদ্দ দিয়েছে ৩৫ কোটি ডলার। এশিয়ায় স্পেশাল ইকোনমিক জোনে এটাই জাপানের সর্বোচ্চ সহায়তা।
প্রসঙ্গত, আড়াইহাজারের এই শিল্প পার্ক কার্যক্রম শুরু করার কথা ২০২২ সালে। রাষ্ট্রদূত ইটোর মতে, এখানে সুজুকি মোটারস করপোরেশন এবং মিটসুবিসি করপোরেশনের মতো অটোমেকারদের কাছ থেকে নতুন বিনিয়োগ প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে জাপানের সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী দুটি প্রতিষ্ঠান হলো জাপান ট্যোবাকো ইনকরপোরেশন ও হোন্ডা মোটারস কোম্পানি।
দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে সংযুক্ত করার এক কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশের মধ্যে অন্যতম এই দেশ। এখানে আছে কমপক্ষে ১৬ কোটি মানুষের বসবাস। জাপানের তুলনায় শতকরা মাত্র ৪০ ভাগ এ দেশের আয়তন।
জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে শতকরা ৫.২ ভাগ। তবে বর্তমান অর্থবছরে তা শতকরা ৭.৪ ভাগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে এই প্রবৃদ্ধি শতকরা ৮.২ ভাগ পূর্বাভাস করা হয়েছিল। প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে এখনও এ অঞ্চলে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
জাপানি রাষ্ট্রদূত ইটো বলেছেন, বাংলাদেশে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার হার প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে দ্রুত হচ্ছে।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহ: দরজার কড়া নাড়ছে বসন্ত আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। তার কিছুদিন পর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই ৩ টি দিবসের বাজার ধরতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিনাইদহের ফুলচাষীরা। এই দিবস উপলক্ষে ফুল বিক্রি করে সারা বছরের লাভ-লোকসানের হিসাব কষবেন তারা। তাইতো বেড়েছে ব্যস্ততা। জেলার কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে মাঠে গাঁদা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, রজনীগন্ধাসহ নানা রঙের ফুল ও তার গন্ধে মাতোয়ারা চারপাশ। রংবেরং এর এসব ফুলে মাঠগুলো সেজেছে যেন নতুন সাজে। ফুলের কড়ি ধরে রাখতে আর ফলন ভালো পেতে বাগানগুলোতে চলছে পরিচর্যা। কেউবা জমিতে করছেন কীটনাশক স্প্রে, আবার কেউবা ব্যস্ত আগাছা দমনে। লক্ষ্য ৩ টি দিবসের বাজার ধরার। বসন্ত, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে তাই দাম ভালো পাওয়ার আশা করছেন চাষিরা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে এখানকার ফুল। দাম ভালো পেলে গত বছরের মত এবারও লাভের মুখ দেখবেন এমনটি আশা করছেন তারা। সেই সাথে প্লাস্টিকের ফুল আমদানী বন্ধ করার দাবি তাদের।
ফুলচাষি আব্দার হোসেন বলেন, করোনা কালীন সময়ের লোকসান কাটিয়ে উঠতে হলে এবার আমাদের দরকার ফুলের সঠিক মূল্য পাওয়া। পাশাপাশি সরকারি প্রণোদনা পেলে ফুল চাষিরা আগামিতে যথাযথ ভাবে চাষটি করতে পারবে।
ঝিনাইদহ কৃষি সস্প্রসারন অধিদপ্তর উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, ভালো ফলন পেতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের দেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা। ফুল চাষ ও সংরক্ষণে চাষীদের প্রযুক্তিগত নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থ-বছরে এখন পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলায় ১’শ ৭০ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ হয়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কোনও রকম বিভ্রান্ত না হয়ে গত ১৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করা দামে সোনা ও রুপা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে সই করেন বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান এবং সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বাজুস জানায়, ৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত অতিরিক্ত সাধারণ সভায় (ইজিএম) স্বর্ণের মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট ও মজুরি যোগ করে পুনরায় মূল্য নির্ধারণ করার বিষয়টি কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়- স্বর্ণের দাম নির্ধারণে নতুন নিয়ম আসছে। এতে স্বর্ণের ও রুপার দাম বেড়ে যাবে। এ নিয়ে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বর্ণের দাম নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি দেখা দেয়। এদিকে বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বর্ণের মূল্যের সব সিদ্ধান্তই অতীতের ন্যায় যথারীতি লিখিতভাবে সবাইকে জানানো হবে। এখানে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বাজুস বলেছে, আপাতত বাংলাদেশের সব জুয়েলারি ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণকে পূর্বের (২০২১ সালের ১৩ই জানুয়ারি নোটিশে প্রকাশিত) মূল্যে স্বর্ণ ও রৌপ্য ক্রয় বিক্রয় করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, ৩ ফেব্রুয়ারির ইজিএমে স্বর্ণের মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট ও মজুরি যোগ করে পুনরায় মূল্য নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরপর অধিকতর স্বচ্ছতার জন্য বিষয়টিতে বিদ্যমান আইনের আলোকে পরামর্শ চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট শাখায় চিঠি দেওয়া হয়েছে।
গত ১২ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৩ই জানুয়ারি থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ৭২ হাজার ৬৬৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে ৫ শতাংশ ভ্যাট ও মজুরি যোগ করে এখন এক ভরি ভালো মানের স্বর্ণালঙ্কার কিনতে ক্রেতাদের প্রায় ৮০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৯ হাজার ৫১৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬০ হাজার ৭৬৯ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার ৪৪৭ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর এই মানের স্বর্ণালঙ্কার কিনতেও ক্রেতাদের ৫ শতাংশ ভ্যাট ও মজুরি যোগ করে মূল্য পরিশোধ করতে হয়।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ থেকে নেপালে সার রফতানিতে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে ভারত। বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল সংযুক্তি) সংযোগ এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার এক বিরাট অগ্রগতি হিসেবে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর ও ভারতের সিঙ্গাবাদ রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নেপালে সার রফতানিতে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে ভারত। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ থেকে নেপালে পণ্য রফতানি করা হয় এবং অন্যান্য দেশ থেকে নেপালের আমদানি করা পণ্যগুলো ভারতীয় অঞ্চলের মধ্য দিয়ে ‘ট্রাফিক ইন ট্রানজিট’ হিসেবে পরিবহন করা হয়।
নেপালের সঙ্গে রফতানি ও স্থল বাণিজ্যের জন্য ভারত বিশেষভাবে বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে আসছে।
রেলপথে ট্রাফিক ইন ট্রানজিট মূলত দু’টি ভারত-বাংলাদেশ ক্রসিং পয়েন্ট, রহনপুর (বাংলাদেশ), সিঙ্গাবাদ (ভারত) এবং বিরল (বাংলাদেশ) রাধিকাপুর (ভারত) রেলপথ হয়ে পরিবহন করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আমদানি করা সার নেপালে পাঠানো হচ্ছে। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রেলওয়ে নেপালে রফতানি করা সার বোঝাই প্রথম ট্রেনটি ভারতীয় রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করে। বর্তমানে রেলওয়ে ট্রানজিট ব্যবহার করে প্রায় ২৭ হাজার মেট্রিক টন সার নেপালে রফতানি করা হবে।
সূত্র জানায়, পরে নেপালে আরও ২৫ হাজার মেট্রিক টন সার রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে। এ পদক্ষেপগুলো আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
স্বাধীন বাংলা/ন উ আহমাদ
|
|
|
|
মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের চাষীদের উৎপাদিত নিরাপদ সবজি বাঁধাকপি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের পর এবার যাচ্ছে তাইওয়ান। স্বল্প বিনিয়োগে অধিক মুনাফার আশায় নিরাপদ সবজি উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। মেহেরপুর তিন উপজেলাতে সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়। দেশের সবজি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে চাষিদের। দেশের বাজারে পরিচিত সবজি চাষ খ্যাত মেহেরপুর জেলার চাষিদের ভাগ্যে বইছে সুবাতাস। তবে নিরাপদ সবজি হিসেবে অগ্রাধিকার পেয়েছে গাংনী উপজেলার চাষিদের উৎপাদিত নিরাপদ সবজি। গাংনীর বাঁধাকপি এখন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানে যাচ্ছে। এই রপ্তানীতে সবজি চাষের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কৃষিবিভাগ। আর্থিক লাভের কথা চিন্তা করে নিরাপদ সবজি উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশে ও বিদেশে নিরাপদ সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নিরাপদ সবজি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে মেহেরপুর। এ জেলায় সারা বছরই সব ধরনের সবজি চাষ হয়। যা বিদেশে বেশি বেশি রপ্তানী করতে পারলে চাষিরা যেমন উপকৃত হবে তেমন আর্জিত হবে বৈদেশিক মুদ্রা। এ লক্ষে কীটনাশক সহনশীল ও নিরাপদ সবজি বাঁধাকপি চাষ করছেন মেহেরপুরের চাষিরা। নিরাপদ সবজি হিসেবে চলতি মৌসুমে ১ হাজার মেট্রিক টন বাঁধাকপি সরবরাহ করা হবে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে। গত সপ্তাহ থেকে কপিগুলো সংগ্রহ করছেন রপ্তানীকারকরা। ক্ষেত থেকে সাদা কাগজে মুড়িয়ে বস্তা ভর্তি করে রপ্তানী উপযোগী করা হচ্ছে। রপ্তানীকারকদের মাধ্যমে বাঁধাকপি বিক্রি করে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এক বিঘা জমিতে প্রায় ৩৫ থেক ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চুক্তিবদ্ধ বেশ কয়েকজন কৃষক। রপ্তানীকারকরা কৃষকের জমি থেকেই নিরাপদ বাঁধাকপি সংগ্রহ করেছেন। এগ্রো ফ্রেশ নামের একটি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানটি গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় শুধুমাত্র গাংনী উপজেলার বিভিন্ন মাঠ থেকে বাঁধাকপি সংগ্রহ করছেন।
সরেজমিনে গাংনী উপজেলার কোদাইলকাটি গ্রামের কৃষক আজগর আলীর বাঁধাকপির জমিতে গিয়ে জানা যায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবং রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনায় বাঁধাকপি ক্ষেত থেকে সংগ্রহের আগেই নিরাপদ সবজির প্রক্রিয়া করা হয়। কপি কাটার পর সাদা কাগজে জড়িয়ে নেট বস্তায় ভর্তি করা হচ্ছে। এসময় সবজি উৎপাদনকারী কৃষক বলেন, প্রতি বছরেই শীতকালের সবজি চাষে আমাদের লোকসান হয় প্রতিবছর এভাবে সবজি বিদেশে রপ্তানী করতে পারলে আমরা অতি আনন্দে সবজি চাষ বৃদ্ধি করতে পারবো। একই আশাবাদ ব্যক্ত করেন সবজি গ্রামখ্যাত সাহারবাটির নিরাপদ সবজি চাষি আবুল কাশেমসহ অনেকেই। এগ্রো ফ্রেশ নামের রপ্তনীকারক প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার রুবেল আহমেদ বলেন, এবছর চুক্তিবদ্ধ ৪৫ জন কৃষকের ৭৫ একর জমি থেকে নিরাপদ উপায়ে চাষ করা হয়েছে বাঁধাকপি। জমিতে চারা রোপণের পর থেকে কপি সংগ্রহ করা পর্যন্ত নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে রপ্তানী উপযোগী করা হয়। এ বছর রপ্তানীতে বেশ চাহিদা আছে। গত বছর মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে রপ্তানী করা হয়েছিলো। এবছর নতুন দেশ হিসেবে তাইওয়ানেও রপ্তানী করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬শ টন বাঁধাকপি রপ্তানী করা হয়েছে। এখনো ৫শ টনের চাহিদা রয়েছে তাই নিবন্ধিত চাষী ছাড়াও অন্যান্য নিরাপদ সবজি চাষির থেকে কপি নেওয়া হচ্ছে। আগামী বছর আরও অনেক বেশি সবজি রপ্তানী করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, কৃষিবিভাগ সব সময়ই নিরাপদ সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের নিরাপদ সবজির বাজার তৈরি করতে পারলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এবছর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানে নিরাপদ সবজি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে রফতানি হচ্ছে। নতুন নতুন দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে নিরাপদ এই সবজির চাহিদা। কোনভাবেই যেনো এ সুযোগ হাতছাড়া না হয় সে বিষয়ে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দেশের বাজারের চাহিদা পুরন করে উদ্বৃত্ত সবজি রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। নিরাপদ সবজি চাষ বৃদ্ধি পাবে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: আয়োডিনযুক্ত লবণের প্রধান উপাদান পটাসিয়াম আয়োডেটের (আয়োডিন) দাম কমিয়ে পুনঃনির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।
বিসিক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে গত ২০ জানুয়ারি সর্বজনীন আয়োডিনযুক্ত লবণ তৈরি কার্যক্রমের মাধ্যমে আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ (সিআইডিডি) প্রকল্পের পরিচালক অখিল রঞ্জন তরফদার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে পটাসিয়াম আয়োডেটের (আয়োডিন) দাম কমিয়ে পুনঃনির্ধারণ করার বিষয়টি বিসিকের ৮টি লবণ জোনে কর্মরত কর্মকর্তা ও লবণ মিল মালিকগণকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য খাবার লবণ আয়োডিনযুক্তকরণে ব্যবহৃত হয় পটাসিয়াম আয়োডেট। পটাসিয়াম আয়োডেট বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় না। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। প্রতি টন লবণ পরিমিত মাত্রায় আয়োডিনযুক্ত করতে ৭০-৯০ গ্রাম পটাসিয়াম আয়োডেটের প্রয়োজন হয়। প্রতিবছর লবণে আয়োডিনযুক্তকরণে কমবেশি প্রায় ৩০ মেট্রিক টন পটাসিয়াম আয়োডেট ব্যবহৃত হয়।
একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশ থেকে পটাসিয়াম আয়োডেট আমদানি করে লবণ কারখানার চাহিদা অনুযায়ী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে পটাসিয়াম আয়োডেট সরবরাহ করে বিসিক।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে পটাসিয়াম আয়োডেটের দাম প্রতিকেজি ৪৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০০ টাকা নির্ধারন করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতে লবণ কারখানা সমূহকে সহায়তার অংশ হিসেবে পটাসিয়াম আয়োডেটের দাম আরেক দফা কমিয়ে প্রতিকেজি ২৫০০ টাকা মূল্যে লবণ কারখানা সমূহকে সরবরাহের নির্দেশ প্রদান করেন বিসিক চেয়ারম্যান মোঃ মোশতাক হাসান, এনডিসি।
দেশের লবণ শিল্পকে বাঁচাতে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে এটি একটি অন্যতম পদক্ষেপ। ১০০ ভাগ মানুষকে পরিমিত মাত্রায় আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারের প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে বিসিক। পটাসিয়াম আয়োডেটের মূল্যহ্রাস লবণ শিল্পকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। লবণ কারখানা মালিকগণ স্বপ্রণোদিত হয়ে পরিমিত মাত্রায় (উৎপাদনকালে ৩০-৫০পিপিএম/ প্রতি কেজিতে ৩০-৫০ মিলিগ্রাম) লবণে আয়োডিন মিশ্রণ নিশ্চিত করবে বলে বিসিক কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিসিক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সর্বজনীন আয়োডিনযুক্ত লবণ তৈরি কার্যক্রমের মাধ্যমে আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ (সিআইডিডি) প্রকল্প একটি জনস্বাস্থ্য প্রকল্প। সিআইডিডি প্রকল্পের সার্বিক সহায়তায় ভোক্তাপর্যায়ে পরিমিত মাত্রায় আয়োডিনযুক্ত লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। পরিমিত মাত্রায় আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন ও নায্যমূল্যে ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে ১ জানুয়ারি ২০২১ হতে প্রতি কেজি পটাসিয়াম আয়োডেটের মূল্য ৩০০০ টাকার পরিবর্তে ২৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
উল্লেখ্য জাতীয় লবণনীতি অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনায় বিসিক লবণ শিল্পের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিকের লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের আওতাধীন ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষে সার্বিক সহায়তা প্রদান এবং নিয়মিত ভাবে লবণ উৎপাদন ও মজুদ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে থাকে । পাশাপাশি বিসিক সর্বজনীন আয়োডিনযুক্ত লবণ তৈরি কার্যক্রমের মাধ্যমে আয়োডিন ঘাটতি পূরণ (সিআইডিডি) প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণ মিলসমূহকে ৮টি লবণ জোনে ভাগ করে লবণমিল সমূহ হতে নিয়মিতভাবে তথ্য সংগ্রহসহ সার্বিক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
|
|
|
|
দিনাজপুর প্রতিনিধি : ভারতীয় পিঁয়াজে বাংলাদেশের ক্রেতাদের আগ্রহ নেই। আমদানি শুল্ক এবং দেশের বাজারে আমদানি করা পিঁয়াজের দামের তুলনায় দেশি পিঁয়াজের দাম কম থাকায় ও ভারতীয় পিঁয়াজের চাহিদা না থাকায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পিঁয়াজ আনছেন না আমদানিকারকরা। ২ জানুয়ারি থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও ১৩ জানুয়ারি থেকে ভারতীয় পিঁয়াজ আনছেন না আমদানিকারকরা। গত ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি বন্দর দিয়ে কোনও পিঁয়াজ আমদানি হয়নি। বাজারের পিঁয়াজ ক্রেতা সেহেল রানাসহ কয়েকজন বলেন, বর্তমানে বাজারে ভারতীয় পিঁয়াজের ও দেশীয় পিঁয়াজের দাম প্রায় একই। ভারতীয় পিঁয়াজের চাইতে দেশীয় পিঁয়াজের স্বাদ ও মান ভালো হওয়ায় দেশী পিঁয়াজ কেনাই ভাল।
দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজারের পিঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, সবসময়ই বাজারে দেশীয় পিঁয়াজের চাহিদা বেশি। এরপরও ভারত থেকে আমদানি করা পিঁয়াজের দাম কম থাকায় সাধারণত বাধ্য হয়েই ভারতীয় পিঁয়াজ কেনেন ক্রেতারা। কিন্তু বর্তমানে ভারতীয় পিঁয়াজের চেয়ে দেশীয় পিঁয়াজের দাম কম থাকায় ভারতীয় পিঁয়াজ কিনছেন না ক্রেতারা। এ জন্য হিলি থেকে তারাও আর পিঁয়াজ আনছেন না। হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারকরা জানান, ভারতীয় ও দেশি পিঁয়াজের মধ্যে ৫/১০ টাকা পার্থক্য থাকলে দেশে ভারতীয় পিঁয়াজের চাহিদা থাকে। কিন্তু বর্তমানে বাজারে দেশীয় পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০টাকা কেজি, অপরদিকে আমদানিকৃত ভারতীয় পিঁয়াজও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, ৭ জানুয়ারি থেকে সরকার পিঁয়াজের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছে। এ অবস্থায় বর্তমানে ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানি করে আমাদের প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম ৩৫টাকা থেকে ৩৭ টাকার মতো পড়ছে। কিন্তু বাজারে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩১ টাকা কেজি দরে। এতে আমদানি করা পিঁয়াজে কেজিতে পাঁচ থেকে সাত টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ ছাড়াও দেশের বাজারে দেশীয় পিঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ভারতীয় পিঁয়াজের তেমন চাহিদা নেই। বর্তমান অবস্থায় পিঁয়াজ আমদানি করে কম দামে বিক্রি করতে হবে এতে লোকসানের আশঙ্কায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পিঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পিঁয়াজ এসেছে প্রায় ৬০০ টন।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : ঋণ নিয়ে অনেকেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু শেয়ারের মূল্য পড়ে যাওয়ায় তা বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করতে পারছেন না। অন্যদিকে চক্রবৃদ্ধি সুদের জালে পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। অনেকের সমুদয় শেয়ার বিক্রি করেও পুঞ্জীভূত ঋণ সমন্বয় হচ্ছে না।
এমনি পরিস্থিতিতে উচ্চ সুদের কবল থেকে বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করতে এবার মার্জিন ঋণের সুদহার বেঁধে দিলো পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এখন থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানই বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১২ শতাংশের বেশি সুদ আদায় করতে পারবে না। এতে বছরের শুরুতেই স্বস্তিতে ফিরে পাবেন ঋণের জালে আটকে পড়া বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ার বাজার বিশ্লেষক আকতার হোসেন সান্নামাত গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, বিএসইসির এ সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এতদিন মার্জিন ঋণের সুদহারের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ছিল না। একেক মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজ ভিন্ন ভিন্ন সুদহার আরোপ করত বিনিয়োগকারীদের ওপর। কেউ ১৪ শতাংশ, কেউ ১৫ শতাংশ আবার কেউ বা ১৬ শতাংশ সুদ আরোপ করত। অনেকেই মার্জিন ঋণ নিয়ে বর্তমান বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে শেয়ার কিনেছিলেন। কিন্তু শেয়ারের দাম পড়ে যাওয়ায় তারা তা বিক্রি করতে পারছেন না। এ দিকে ঋণের সুদহার বাড়তেই থাকে। একপর্যায়ে সমুদয় শেয়ার বিক্রি করেও মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজের ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না। এ কারণে সুদহার বেঁধে দেয়ায় বিনিয়োগকারীরা অনেকটা এখন স্বস্তিতে থাকতে পারবেন।
আকতার হোসেন সান্নামাত বলেন, তবে কম সুদে ঋণ দেয়ার সক্ষমতা অর্জনের জন্য ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে তৈরি করতে হবে। এ জন্য বিএসইসিকেই উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ, বড় বড় মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজ ব্যাংকের ঋণ ঠিকমতো পরিশোধ করায় তাদের ক্ষেত্রে ব্যাংক ৯ শতাংশ সুদহার কার্যকর করেছে। অর্থাৎ তারা ব্যাংক থেকে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগ করতে পারছে। তাদের জন্য বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ১২ শতাংশ সুদহার কার্যকর করা সহজ হবে। কিন্তু বিপত্তি দেখা দিয়েছে আর্থিকভাবে দুর্বল মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের জন্য।
তার জানা মতে, অনেক ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক বিনিয়োগকারীদেরকে ঋণ দেয়ার জন্য সিঙ্গেল ডিজিটে অর্থাৎ ৯ শতাংশ সুদে তহবিল সংগ্রহ করতে পারছে না। এর অন্যতম কারণ হলো তারা আগে ব্যাংক থেকে বেশি সুদে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু বাজার পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে পারেননি। এতে মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতে পারেনি। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের সাথে সম্পর্ক অবনতি হতে। কারণ তারা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ঋণ আদায় করতে না পারায় ব্যাংকের ঋণও পরিশোধ করতে পারেনি।
ব্যাংকের কাছে অনেকেই খেলাপি হয়ে পড়েছে। কেউ ঋণ নবায়ন করেছেন। ব্যাংকের সাথে তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়ায় ব্যাংকও তাদেরকে আর কম সুদে ঋণ দিচ্ছে না। তারা এখনো ব্যাংক থেকে বেশি সুদে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। এখন বেশি সুদে ঋণ নিয়ে কম সুদে তারা কিভাবে বিনিয়োগ করবে।
এ জন্য বিএসইসিকে এ বিষয়ে সব প্রতিষ্ঠানকে অভিন্ন সুদে ঋণ পেতে উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় কম সুদে ঋণ পাওয়ার আসায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা ছুটবেন আর্থিকভাবে সবল বড় বড় ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের দিকে। এ জন্য সিঙ্গেল ডিজিটে বা ৯ শতাংশ সুদে সব ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ব্যাংক থেকে ঋণ পায় সে বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই বাজারে সবাই কম সুদে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করতে পারবে।
এ বিষয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, আগে ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছিল না। এর ফলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ভিন্ন হারে সুদ আরোপ করতে মার্চেন্ট ঋণের ক্ষেত্রে। এখন বিইসইসি সুদহার বেঁধে দেয়ায় অভিন্ন হারে বিনিয়োগকারীরা ঋণ নিরতে পারবেন। এটি মার্চেন্ট ঋণ সুবিধা গ্রহণকারীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
প্রসঙ্গত, ব্যাংকের এক অঙ্কের সুদহার গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। শুধু ক্রেডিট কার্ড ছাড়া প্রায় সব ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ কার্যকর হলেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সুদহার এখনো ১৬ শতাংশ রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে মার্চেন্ট ঋণ ব্যবহারকারী বিনিয়োগকারীরা সুদহার কমনোর জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল। গতকাল তা বাস্তবায়ন করল বিএসইসি।
বিএসইসি জানিয়েছে, এখন থেকে শেয়ারবাজারের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণের বিপরীতে ১২ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না। সাধারণত ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ধার এনে তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মার্জিন ঋণ হিসেবে বিতরণ করে থাকে।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো যে সুদে টাকা ধার নেবে, তার সাথে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ বাড়তি সুদ যোগ করতে পারবে মার্জিন ঋণের ক্ষেত্রে। তবে মার্জিন ঋণের এ সুদহার কোনোভাবেই ১২ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
হিলি প্রতিনিধি: ভরা মৌসুমেও দেশের বাজারে চালের দামে অস্থির বিরাজ করছে। এমন সময় দেশের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ভারত থেকে চাল আমদানি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাজার স্বাভাবিক রাখতে মেসার্স জগদিশ চন্দ্র রায় নামের একটি প্রতিষ্ঠনের প্রথম চালান ৩ গাড়ীতে ১১২ মেঃ টন স্বর্না ৫ চাল আসার মাধ্যমে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি কার্যক্রম শুরু হলো।
আমদানিকারক মেসার্স জগদিশ চন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শ্রী পদ জানান, সরকারের বিভিন্ন শর্তবলী মেনে ১০ হাজার মেঃ টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছি। দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দর থেকে শুধু মাত্র আমাদের প্রথম চালানের ৬শ মেঃ টনের মধ্যে ১১২ মেঃ টন চাল দেশে প্রবেশ করলো। আশা করছি অন্যান্য আমদানিকারকদের আমদানি কৃত চাল ২-১ দিনের মধ্যে বন্দরে প্রবেশ করবে। আর চাল আমদানি শুরু হলে এবং সঠিক সময়ে দেশের বিভিন্ন মোকামে আমদানিকৃত চাল সরবরাহ করতে পারলে দেশের বাজারে চালের দাম কমে আসতে শুরু করবে।
হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন আরটিভি নিউজকে জানান, দুই বছর ১১ মাস পর হিলি বন্দর দিয়ে দেশে চালের চালান আসলো বাংলাদেশে। বন্দরে ৩৫৬ ডলারে চাল আমদানি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন বন্দরের অনান্য প্রতিষ্ঠানও চাল আমদানির জন্য এলসি করেছে। চাল আমদানির পুরো দমে শুরু হলে বাজারে চালের দামও কমে আসবে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডে ‘টেলার/হেড টেলার (ক্যাশ ক্যাডরি): ওএফএফ-ইও’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড
পদের নাম: টেলার/হেড টেলার (ক্যাশ ক্যাডরি): ওএফএফ-ইও শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক অভিজ্ঞতা: ০২-০৪ বছর দক্ষতা: সংশ্লিষ্ট কাজে দক্ষতা বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: স্থায়ী প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ বয়স: নির্ধারিত নয় কর্মস্থল: যেকোনো স্থান
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা www.jagojobs.com/bank এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২১ জানুয়ারি ২০২১
সূত্র: জাগোজবস ডটকম
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা অনলাইন: প্রান্তিক লবণ চাষীদের বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর মাধ্যমে স্বল্পসুদে ঋণ প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প সচিব কে এম আলী আজম। তিঁনি বলেন কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার প্রান্তিক লবণ চাষীদের ঋণ বিতরণের জন্য বিসিক নিজস্ব তহবিল থেকে প্রাথমিকভাবে ৫ কোটি টাকার ঋণ কর্মসূচি হাতে নেবে। পর্যায়ক্রমে এ তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারে লবণশিল্প সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় কেএম আলী আজম এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ইতোমধ্যে প্রান্তিক লবণ চাষীদের মধ্যে দশ লাখ টাকা বিতরণের মাধ্যমে গতকাল(৭ জানুয়ারি) এ ঋণ কর্মসূচি শুরু করেছে। বিসিক লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান প্রাান্তিক লবণ চাষীদের মাঝে ঋণের চেক বিতরণ করে এ ঋণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন।
শিল্পসচিব বলেন, সরকারিভাবে ১ লক্ষ মেট্রিক টন লবণ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বাফার গুদাম তৈরি করার পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সেই সাথে লবণের উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য কাজ করবে শিল্প মন্ত্রণালয়।
দেশের লবণশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে শিগগির উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়ে শিল্পসচিব কেএম আলী আজম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লবণচাষিদের প্রতি সহনশীল। তিনি লবণ চাষিদের খোঁজ-খবর নেন। লবণশিল্প ও চাষিদের বাঁচাতে কাজ করছে সরকার।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে সভায় শিল্পসচিব বলেন, আমরা লবণশিল্পে জন্য পলিসি সাপোর্ট দিতে চাই। এই মাসের মধ্যে বসব। সবার মতামত নেব। দেশের লবণকে শক্তিশালী অবস্থানে নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. মোশতাক হাসান, এনডিসি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আমিন আল পারভেজ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী।
বিসিক লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় লবণমিল মালিকদের পক্ষে বক্তব্য দেন- মহেশখালী পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া, বাংলাদেশ লবণমিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির, বাংলাদেশ লবণচাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল, ইসলামপুর লবণমিল মালিক সমিতির সভাপতি শামসুল আলম আজাদ, বাংলাদেশ লবণমিল মালিক সমিতির সাবেক সহসভাপতি নুরুল আবছার হেলালী, মিলার ফরিদুল আলম, কাজি আবুল মাসুদ, শরীফ বাদশা, আবদুল গফুর প্রমুখ।
সভায় লবণের জাতীয় চাহিদা নির্ণয়, চাষিদের অর্থঋণ প্রদান, লবণের বাজারমূল্য নির্ধারণ, স্বল্প মূল্যে পলিথিন সরবরাহ এবং মনিটরিং সেল গঠনের দাবি জানিয়েছে লবণমিল মালিক ও চাষিরা।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেসামরিক পদে লোকবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পদগুলোর জন্য আবেদন শুরু হয়েছে। চলবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আবেদনের যোগ্যতা ও বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফরম www.army.mil.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৬২টি পদে ৮৪০ জনকে নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোয় যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারেন যে কেউও।
প্রতিটি পদে আবেদনের জন্য যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও বয়সসীমা আলাদা আলাদা। পদভেদে আবেদনের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও বয়সসীমার শর্তাবলি জানা যাবে বিজ্ঞপ্তিতে।
পদগুলোর জন্য আবেদন শুরু হয়েছে। বেসামরিক স্থায়ী/অস্থায়ী এসব পদে আবেদন করা যাবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
পদগুলো হলো স্টোরকিপার—১টি ফার্মাসিস্ট—১টি ল্যাবরেটরি অ্যাসিসট্যান্ট—৩টি ল্যাবরেটরি অ্যাটেনড্যান্ট—১টি সিকিউরিটি ইন্সপেক্টর—৭টি উচ্চমান করণিক—১০টি হেড মেকানিক—৩টি ড্রাফটসম্যান—৩টি হিসাবরক্ষক—১টি মিল্ক রেকর্ডার—১টি বয়লার অপারেটর—২টি সহকারী সুপারভাইজার—১টি কেমিস্ট—১টি ড্রাইভার রিকোভারি—১টি সহিস—২টি কার্পেন্টার—১৬টি ফিটার—৩টি
স্টোরম্যান—৩৪টি নিরাপত্তা প্রহরী—৬৫টি বুক বাইন্ডার—১টি গ্রাউন্ডসম্যান—১টি ভিউয়ার—১টি ইনসেমিনেটর—১টি ফায়ার কু—২টি পেইন্টার—৯টি ওয়ার্ডবয়—৩৩টি আয়া—১৫টি টিনস্মিথ—৯টি জিসিস অর্ডারলি—২০টি মিল্ক রুম কুলি—১টি ইলেকট্রিশিয়ান—৯টি হসপিটাল অর্ডারলি—১টি বারবার—৫টি প্যাকার—১২টি মিল্ক ডেলিভারিম্যান—১টি আপহোলস্টার—১টি ফায়ারম্যান—২৯টি ইউএসএম—১৪০টি গোয়ালা—২টি ইলেক্ট এমভি (এসএস-২)—১টি সার্চার—২টি মালি—১৯টি টানার—১টি
বাবুর্চি/এনসি (ইউ) বাবুর্চি—৪৬টি পাম্প ড্রাইভার—২টি প্ল্যান্ট অপারেটর—১টি ওয়াসারম্যান/ধোপা—১০টি টেইলার (ইউ)/টেইলার—১২টি ফটোকপি অপারেটর—১টি ব্রিক লেয়ার—১টি ব্ল্যাকস্মিথ—২টি অফিস সহায়ক/বার্তাবাহক—৩৬টি এক্সচেঞ্জ অপারেটর/টেলিফোন অপারেটর—৪টি ইঅ্যান্ডবিআর/এনসি (ইউ) ইঅ্যান্ডবিআর—৯টি পরিচ্ছন্নতাকর্মী/এনসি (ইউ) পরিচ্ছন্নতাকর্মী—৭২টি ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিসট্যান্ট (ভিএফএ)—৮টি সহকারী বাবুর্চি/এনসি (ইউ) সহকারী বাবুর্চি—১৬টি অ্যান্টি ম্যালেরিয়া ইন্সপেক্টর (এএমআই)—১টি মেসওয়েটার/এনসি (ইউ) মেসওয়েটার—৪২টি সিভিল মেকানিক্যাল ড্রাইভার/সিএমডি/ড্রাইভার/ড্রাইভার এমটি—২২টি ফার্ম লেবার (কাফ অ্যাটেনডেন্ট/কাল্টিভেশন/পরিচ্ছন্নতাকর্মী/ডেইরি পরিচ্ছন্নতাকর্মী)—১০টি অফিস করণিক/অফিস করণিক-কাম-টাইপিস্ট/অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক—৭৩টি।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আখলাকুল আম্বিয়া নির্বাহী সম্পাদক: মাে: মাহবুবুল আম্বিয়া যুগ্ম সম্পাদক: প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: স্বাধীনতা ভবন (৩য় তলা), ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০। Editorial & Commercial Office: Swadhinota Bhaban (2nd Floor), 88 Motijheel, Dhaka-1000. সম্পাদক কর্তৃক রঙতুলি প্রিন্টার্স ১৯৩/ডি, মমতাজ ম্যানশন, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত । ফোন : ০২-৯৫৫২২৯১ মোবাইল: ০১৬৭০৬৬১৩৭৭ Phone: 02-9552291 Mobile: +8801670 661377 ই-মেইল : dailyswadhinbangla@gmail.com , editor@dailyswadhinbangla.com, news@dailyswadhinbangla.com
|
|
|
|