অন্তর্বর্তী সরকারে প্রথম বিদেশি বিনিয়োগ আসলো চীন থেকে
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এই প্রথম বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসলো চীন। একই সাথে চীনা বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলেও জনানো হয়েছে। বাংলাদেশের টেলিকম খাতের বেস ট্রান্সসিভার স্টেশনগুলোতে (বিটিএস) ব্যবহারের জন্য লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে হুয়াওয়ে ও ওয়ালটন।
ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তির একটি বিপ্লব চলছে। ক্রমশ জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে সোলার ফটোভোলটাইক ও বায়ুচালিত শক্তির মতো নবায়নযোগ্য শক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগামীতে উন্নয়নের জন্য লিথিয়াম এনার্জি স্টোরেজ প্রযুক্তি প্রয়োজন অনস্বীকার্য। হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের মধ্যে আজকের চুক্তিটি এই প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
উভয়পক্ষের এই সহযোগিতা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান তৈরি ও রফতানি পরিসর বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের জনগণকে উপকৃত করবে বলেও জানান ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, অন্তর্র্বতী সরকার গঠনের পর প্রথম বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে চীন থেকে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, গ্রামীণফোনের টেকনোলজি ডিভিশনের টাওয়ার ইনফ্রার পরিচালক ও প্রধান মো. আব্দুর রায়হান প্রমুখ।
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এই প্রথম বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসলো চীন। একই সাথে চীনা বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলেও জনানো হয়েছে। বাংলাদেশের টেলিকম খাতের বেস ট্রান্সসিভার স্টেশনগুলোতে (বিটিএস) ব্যবহারের জন্য লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে হুয়াওয়ে ও ওয়ালটন।
ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তির একটি বিপ্লব চলছে। ক্রমশ জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে সোলার ফটোভোলটাইক ও বায়ুচালিত শক্তির মতো নবায়নযোগ্য শক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগামীতে উন্নয়নের জন্য লিথিয়াম এনার্জি স্টোরেজ প্রযুক্তি প্রয়োজন অনস্বীকার্য। হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের মধ্যে আজকের চুক্তিটি এই প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
উভয়পক্ষের এই সহযোগিতা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান তৈরি ও রফতানি পরিসর বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের জনগণকে উপকৃত করবে বলেও জানান ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, অন্তর্র্বতী সরকার গঠনের পর প্রথম বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে চীন থেকে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, গ্রামীণফোনের টেকনোলজি ডিভিশনের টাওয়ার ইনফ্রার পরিচালক ও প্রধান মো. আব্দুর রায়হান প্রমুখ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, কমপক্ষে ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার মতো খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। তবে সরকার এসব ব্যাংক বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন গভর্নর।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি না কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হবে, তবে এটাও ঠিক অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে আছে। ১০টার মতো ব্যাংকের অবস্থা এমন। সরকার এসব ব্যাংক বাঁচানোর চেষ্টা করছে। গভর্নর ১০ ব্যাংকের কথা বললেও সেগুলোর নাম উল্লেখ করেননি।
ব্যাংক খাতের অবস্থা যাই হোক গ্রাহকদের কোনো ক্ষতি হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য আমানত ইন্সুরেন্স ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। ব্যাংক খাতের ৯৫ শতাংশ গ্রাহকের স্বার্থ নিশ্চিত হবে। বিশ্বের কোনো দেশই ব্যাংকিং খাতের আমানতের ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দেয় না। আমরাও ৯৫ শতাংশ গ্যারান্টি দিচ্ছি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানের হিসাব জব্দ করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলে, ‘সেটা এস আলমের হোক বা সালমান এফ রহমানের হোক। কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়নি।’
যদি কেউ এস আলমের সম্পত্তি কিনে তবে নিজ দায়িত্ব কিনবেন, তার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংক নিবে না বলেও সতর্ক করেছেন গভর্নর।
তিনি বলেন, ৭০ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকিং খাতের বাইরে চলে গিয়েছিল, ৩০ হাজারের মতো ফিরে এসেছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই বিজিএমইএ-বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত দেশের শতভাগ পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বুধবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি এসএম মান্নান কচি।
তিনি বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। পোশাক শিল্প একটি সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। গত ৫ বছরে উৎপাদন খরচ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ, ব্যাংকের সুদ এখন ১৩-১৪ শতাংশে পৌঁছেছে।
জানুয়ারি মাস থেকে মজুরি ৫৬ শতাংশ বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেটি অনেক কারখানার জন্যই কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ মজুরি বাড়লেও পণ্যের সঠিক দাম মিলছে না। বরং পণ্যের দরপতন হয়েছে ৬-১৮ শতাংশ। এ অবস্থায় কারখানাগুলো শুধুমাত্র টিকে থাকার জন্য মূল্যছাড় দিয়ে অর্ডার একসেপ্ট করতে বাধ্য হচ্ছে।’
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আর এবারের ঈদে নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী বোনাস দিতে হচ্ছে, যেটি অনেক কারখানার জন্য একটি কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তবে শত প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও উদ্যোক্তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন ঈদের আগে বেতন-বোনাস পরিশোধ করার জন্য, অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ত্যাগ স্বীকারও করেছেন।’
ঈদের আগে শ্রমিকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে বেতন-বোনাস পায়, সে লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে মিলে বিজিএমইএ অগ্রিম প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জানিয়ে এসএম মান্নান কচি বলেন, ‘বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, শিল্প পুলিশ, বিজিএমইএ নিজস্ব সূত্রসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে স্পর্শকাতর প্রায় ৬০০টি কারখানার তালিকা পেয়েছিলাম। সে অনুযায়ী শতভাগ বেতন-ভাতা নিশ্চিত করার জন্য ঈদের একমাস আগে থেকেই এসব কারখানা মনিটরিং করা শুরু হয়। সমগ্র বাংলাদেশে ৫০ জনের ২২টি টিম কারখানাগুলো মনিটরিং করে। মনিটরিং করার সময় ২৫টি কারখানায় শ্রম সংক্রান্ত কিছু সমস্যা পাওয়া গিয়েছিলো, যা সমাধান করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে শতভাগ কারখানা মার্চ মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে। আমাদের জানামতে বেতন বা বোনাস পায়নি, এরকম একজন শ্রমিকও নেই।’
সব কারখানা শ্রমিকদের ছুটি দিয়েছে এবং শ্রমিকরা বেতন ও বোনাস নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলেও জানান বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, এই প্রচেষ্টায় শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকরা সহযোগিতা করেছেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
ফ্যাশন ব্র্যান্ড আর্টিজ্যানের নতুন আউটলেট উদ্বোধন করলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের নিচতলায় তিনি নতুন এই আউটলেট উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আর্টিজ্যানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হোসাইন, লেখক-সাংবাদিক ও পরিব্রাজক গাজী মুনছুর আজিজ, গণমাধ্যম কর্মী ও আর্টিজ্যানের শুভাকাঙ্খীরা।
এসময় জায়েদ খান বলেন, আমাদের সবারই উচিৎ দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডের পোশাক ব্যবহার করা। কারণ, নিজেরা দেশীয় ব্র্যান্ড ব্যবহার করলে তবেই আমাদের ফ্যাশন শিল্প এগিয়ে যাবে। এছাড়া ফ্যাশন ব্র্যান্ড আর্টিজ্যান এরই মধ্যে দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে। আমার গায়ের পলো শার্টটিও আর্টিজ্যানের এবং এটি খুবই আরামদায়ক ও কালারফুল। গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা দেশীয় ব্যান্ডকে বেশি বেশি প্রমোট করবেন।
আর্টিজ্যানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হোসাইন বলেন, একটি টেইলার্স দিয়ে আর্টিজ্যানের যাত্রা। বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে আর্টিজ্যানের একাধিক আউটলেট রয়েছে। এর সবই হয়েছে আমাদের শ্রম, মেধা ও ক্রেতাদের ভালোবাসায়।
রাকিব হোসাইন বলেন, আসছে ঈদ উপলক্ষে আর্টিজ্যান নিয়ে এসেছে এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের পাঞ্জাবি, শার্ট, পলো শার্ট ও টি-শার্ট। বর্তমান আবহাওয়া উপযোগী কালারফুল ডিজাইনের এসব কালেকশন তৈরি করা হয়েছে সুতিসহ আরামদায়ক কাপড়ে। কাটিং ও প্যাটার্নে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। কেনা যাবে পাইকারি ও খুচরা। আজিজ মার্কেটসহ আর্টিজ্যানের রয়েছে একাধিক শোরুম।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিন্যান্স বিভাগের তিনটি পদে লোক নিচ্ছে দিয়েছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশ (লিমিটেড)। অভিজ্ঞ প্রার্থীরা আগামী ১১ই মার্চ এর মধ্যে পদগুলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। পদগুলি হলো সিনিয়র ওয়্যারলেস ইঞ্জিনিয়ার, বিজনেস অ্যান্ড প্রজেক্ট ফাইন্যান্স কন্ট্রোলার (বিপিএচফসি) ও কালেকশন ম্যানেজার (ফাইন্যান্স)।
ট্রাবেলশুটিং, কনফিগারেশন পরিবর্তন, ফিচার ডেপলয়মেন্ট এবং এলটিই (লং টার্ম ইভোলিউশন) টিডিডি (টাইম-ডিভিশন ডুপ্লেক্স)-এর মতো টেকনিক্যাল প্রজেক্ট পরিচালনা হবে সিনিয়র ওয়্যারলেস ইঞ্জিনিয়ার পদের দায়িত্ব। এই পদের জন্য সিএসই/ইইই/ইসিই/ইটিই-তে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি ও মাল্টি-ভেন্ডর ওয়্যারলেস প্রোডাক্ট মেইনটেন্যান্সসহ টেলিকম খাতে পাঁচ বছরের বেশি অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে।
বিজনেস অ্যান্ড প্রজেক্ট ফাইন্যান্স কন্ট্রোলার (বিপিএফসি) পদটিতে নির্বাচিত হতে হলে বিডিং, ঝুঁকি মূল্যায়ন, বাজেট, পূর্বাভাস নির্ণয় ও কর্মদক্ষতা বিশ্লেষণে আর্থিক দক্ষতা থাকতে হবে। পদটির দায়িত্বগুলির মধ্যে রয়েছে ক্লায়েন্টের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা, আর্থিক নির্ভুলতা নিশ্চিত করা এবং কমপ্লায়েন্সে সহযোগিতা করা। প্রার্থীদের ন্যূনতম পাঁচ বছরের প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
কালেকশন ম্যানেজার (ফাইন্যান্স) পদটির জন্য পেমেন্ট ফলো-আপ, ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স ও অ্যাকাউন্ট রিসিভেবল (এআর) ক্লিয়ারেন্সসহ অন্যান্য দক্ষতার প্রয়োজন হবে। পদটির দায়িত্বগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যাকাউন্টিং এবং ট্রেজারি টিমের সাথে সমন্বয়, কালেকশন গ্যাপ বিশ্লেষণ এবং এলসি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা। এই পদের জন্যও আবেদনকারীদেরও কমপক্ষে পাঁচ বছরের প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আগ্রহী প্রার্থীরা নীচের লিঙ্কগুলোর মাধ্যমে পদগুলোর জন্য আবেদন করতে পারবেন:
https://hotjobs.bdjobs.com/jobs/huawei/huawei116.htm
https://hotjobs.bdjobs.com/jobs/huawei/huawei118.htm
https://hotjobs.bdjobs.com/jobs/huawei/huawei117.htm
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদন:
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। অস্থিরতা বিরাজ করছে ডলারের বাজারে। পতনের মধ্যে আবারো আশার আলো দেখালো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ২ সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ আবারো ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি (বিপিএম৬) অনুযায়ী বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াল দুই হাজার ১৯ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার ডলার বা ২০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাপ্তাহিক নির্বাচিত অর্থনৈতিক সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে। অন্যদিকে, গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াল দুই হাজার ৫৩২ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ডলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জানুয়ারির শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে তা নেমে আসে ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারে (বিপিএম৬)। আগের সপ্তাহেও রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৯৩ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার ডলার। মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এসে ১৬ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার যোগ হয়ে আবারো তা ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রধানত আমদানি ব্যয় মেটানো তথা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে ব্যবহার হয়। এ রিজার্ভ আর্থিক খাতের সক্ষমতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক ঋণ, প্রবাসী আয়, বৈদেশিক ঋণ বা সহায়তা রিজার্ভের উৎস। আবার আমদানি ব্যয় মেটানো, বৈদেশিক ঋণ-সুদ পরিশোধ, বিদেশে চিকিৎসা, শিক্ষাসহ হাজারো খাত রয়েছে ব্যয়ের ক্ষেত্রে।
|
|
|
|
মো: সোহাগ হাওলাদার, আশুলিয়া (সাভার) প্রতিনিধি:
পেঁয়াজ নিয়ে যখন বাজারে চলছে অস্থিরতা, তখনই গ্রীষ্মকালীন মুড়িকাটা পেঁয়াজে স্বস্তির নিঃশ^াস ফেলছেন ক্রেতারা। ইতোমধ্যে বাজারে সয়লাভ করেছে এই মুড়িকাটা পেঁয়াজ।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সাভার-আশুলিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তর পাইকারী কাচাবাজারের আড়তে গিয়ে এ দৃশ্য চোখে পড়ে।
আড়তের পাইকারি বিক্রেতাদের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের, তারা জানায় গত কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা বিরাজ করছে। একদিনের ব্যবধানে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দাম বেড়ে যায়। আবার ১ থেকে ২ দিনের ব্যবধানে কমে গেছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কিন্তু পেঁয়াজের দাম কমার পিছনে সব চেয়ে বড় কারণে হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন এই মুড়িকাটা পেঁয়াজ।
তারা বলেন, বাজারে প্রচুর মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠেছে। যার ফলে পুরাতন পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। সবাই এখন মুড়িকাটা পেঁয়াজের দিকে ঝুঁকছে। এছাড়াও এলসি পেঁয়াজ (ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ) বর্তমানে সব চেয়ে কম বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তারা।
বাইপাইল পাইকারি আড়তের বিক্রেতা তাজব আলী বলেন, আজকে আমরা প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৪১০ টাকা করে বিক্রি করছি। সে হিসেবে প্রতি কেজি ৮২ টাকা করে পড়ছে। আগামীকাল আরও কমতে পারে।
ভাই ভাই বাণিজ্যালয়ের বিক্রয় প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম বলেন, গত ২/৩ দিন ধরে সব চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ। পেঁয়াজের দাম কম থাকায় বিক্রিও বেশি হচ্ছে। আজ আমরা ৪০০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি করছি। যা গতকাল ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা পাল্লা ছিল। প্রতিদিনই দাম কমে যাচ্ছে। সেই হিসেবে আগামী ২/৩ দিনে কেজিতে আরও ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে যেতে পারে।
খুচরা বাজারে আজকে ১১০ থেকে ১২০ টাকা ধরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বলে জানান কয়েকজন খুচরা বিক্রেতারা।
অন্যদিকে মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম বাজারের অন্য পেঁয়াজের তুলনায় কম থাকায় ক্রেতারা এই পেঁয়াজ বেশি ক্রয় করছেন বলে জানান কয়েকজন ক্রেতা। তবে এই পেঁয়াজ ক্রেতাদের মধ্যে নিম্নআয়ের মানুষের সংখ্যা বেশি।
প্রসঙ্গত যে, কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর দেশে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ হয় প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে। যা থেকে উৎপাদন হয় প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। এ বছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হবে প্রায় ৫০ হাজার টন। এই মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন নতুন পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে তোলা ও বাজারে আসা শুরু হয়েছে এবং বাজারে থাকবে ৩ থেকে সাড়ে তিন মাস।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিমের বাজারে অস্থিরতা কাটাতে চারটি প্রতিষ্ঠানটি চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন হলে আমরা আরও বেশি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
তিনি বলেছেন, বাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণে আনতে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে বাজার মনিটরিং করে যদি দেখা যায়, তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না, তাহলে আরো আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তপন কান্তি।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আরো ডিম আমদানির অনুমতি দেব কি না, তা বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। আমরা প্রতিনিয়তই বাজার মনিটরিং করছি। দরকার হলে আরো আমদানির অনুমতি দেব, দরকার না হলে না-ও দিতে পারি। দেশের উৎপাদিত ডিমকেই প্রাধান্য দিতে চান বলে জানান এই কর্মকর্তা।
সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গত মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম একটি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য ১২ টাকা করে। দেখা যাচ্ছে, খুচরা পর্যায়ে এ দামে বিক্রি হচ্ছে না বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর দেখতে পেয়েছে। এজন্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সিদ্ধান্তে কিছু ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। চারটি কোম্পানিকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কোম্পানি এক কোটি ডিম আমদানি করতে পারবে।
কোথা থেকে আমদানি করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি কোম্পানি বলেছে যে ভারত থেকে তারা ডিম আনবে। বাকি তিনটির বিষয়ে আমার খেয়াল নেই। তবে যে কোনো উৎস থেকে তারা ডিম আনতে পারবে, যেখানে দাম কম পাবে, কিংবা যেখান থেকে দ্রুত আনতে পারবে।
আমদানিতে কোনো শর্ত আছে কি না, প্রশ্নে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই। সুবিধামতো আনবে, যাতে ভোক্তারা কম দামে পান। তবে বিক্রির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যে দাম বেঁধে দিয়েছে, সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ ১২ টাকায় ডিম বিক্রি করতে হবে।
যেসব দেশে অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা অন্য সমস্যা আছে, সেসব দেশ থেকে ডিম আমদানি করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন এই সিনিয়র সচিব।
তিনি বলেন, আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। সেই ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ বাজারকে আমরা স্থিতিশীল করতে চাচ্ছি। আপনারা জানেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিম প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আমরা একদিনের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। এটা মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে কিংবা আমাদের খামারিরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছি না।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিমের বাজারে অস্থিরতা কাটাতে চারটি প্রতিষ্ঠানটি চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গতকাল রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আপাতত চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চার প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।’
বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং এবং অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেডকে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
অনেকদিন ধরেই নাগালের বাইরে চলে যায় ডিমের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে পাল্লা দিয়ে বাড়ে নিত্যপণ্যটির দাম। লাগাম টানতে অভিযান পরিচালনাসহ সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও কমানো যায়নি আমিষের চাহিদা পূরণে স্বল্প আয়ের মানুষের পছন্দের পণ্যটির দাম।
মূল্য কমাতে গত বৃহস্পতিবার ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এরপর চার প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষকরা মাঠ পর্যায়ে ১০ থেকে ১২ টাকার মধ্যে আলু বিক্রি করেছেন। যা অন্যান্য খরচসহ ব্যবসায়ীরা হিমাগারে ১৮ থেকে ২০ টাকা দামের মধ্যে সংরক্ষণ করেছিলেন। প্রতি কেজি আলুতে হিমাগারে সংরক্ষণের খরচ ৫ টাকা। এরপর সেটি রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা বাজার হয়ে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে খুচরা বাজারে আলুর দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, যা অযৌক্তিক বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সেই সঙ্গে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
মঙ্গলবার ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে আলুর মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং বাড়ানোর জন্য সব পক্ষের কাছে আগামীকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা যাবে। কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করছে, আমরা কাজ করছি, আশা করা যায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আলুর বাড়তি দাম কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো।
সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা আলুর দাম বাড়ার বিষয়ে বক্তব্য দেন। পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে অন্যান্য সবজির দাম বাড়ায় আলু ভোগের পরিমাণ বেড়েছে। যার প্রভাবে আলুর সরবরাহ কমেছে এবং দাম বেড়েছে। এছাড়া খুচরা ব্যবসায়ীরাও স্বাভাবিকের তুলনায় আলুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মুনাফা করছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সরবরাহ সংকটের অজুহাতকে দায়ী করেন। আবার কেউ কেউ হিমাগার থেকে আলু সরবরাহ কমার কথাও বলেন।
অন্যদিকে হিমাগারে যে পরিমাণ খাবারের আলু সংরক্ষণ করা হয় তার ৫৫ শতাংশের মালিক ব্যবসায়ী ও কৃষক। ৪ শতাংশ আলু শিল্পে ব্যবহারের জন্য। মাত্র এক শতাংশ আলু হিমাগার মালিকদের। বাকি ৪০ শতাংশ বীজ আলু বলে দাবি করে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, হিমাগারে শুধু ব্যবসায়ীরা আলু সংরক্ষণ করেন। দাম বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, কোনো হিমাগারে অস্বাভাবিক পরিমাণের আলু মজুত থাকলে সে তথ্য আমাদের দিন। এটা নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আমরাও বিষয়টি দেখবো।
তিনি বলেন, আমরা যেটা দেখেছি মাঠ পর্যায়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ও তথ্য দিয়েছে অন্যরাও যে তথ্যগুলো দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে এবার মাঠ পর্যায়ে ১০-১২ টাকা উৎপাদন খরচের আলু ব্যবসায়ীরা ১৮-২০ টাকা খরচের মধ্যে হিমাগারে সংরক্ষণ করেছে। বাজারে প্রতি কেজি আলুতে খরচ ৫ টাকা এছাড়া পরিবহন ও অন্যান্য খরচ দিয়ে সর্বোচ্চ আলুর দাম ২৭ থেকে ২৮ টাকা হলেও ব্যবসায়ীদের মুনাফা থাকে। সেই আলু রাজধানীর পাইকারি বাজারে এসে অন্যান্য খরচ দিয়ে ৩১ থেকে ৩২ টাকা এবং ব্যবসায়ীদের মুনাফা ধরে ভোক্তা পর্যায়ে এসে সর্বোচ্চ ৩৫-৩৬ টাকা হতে পারে। তবে এখন দাম যৌক্তিক নয়।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি আলুর দামে একটি ১০-১২ টাকার গ্যাপ রয়ে গেছে। এটা কমানোর জন্য আমরা আগামীকাল থেকে বাজার মনিটরিং কঠোরভাবে শুরু করবো। তবে আমরা আলুর দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছি না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে শুধু আমদানি নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করা যায় আইনে। আলুর মতো কৃষি পণ্যের নয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে সভায় খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হিমাগার মালিক সমিতির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : তৈরি পোশাক রফতানির আড়ালে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ফ্রান্স, কানাডা, রাশিয়া, স্লোভেনিয়া, পানামাসহ বিভিন্ন দেশে এই অর্থ পাচার করা হয়েছে। পাচারের সাথে জড়িত ১০টি প্রতিষ্ঠানকেও শনাক্ত করেছে সংস্থাটি। বিভিন্ন সময়ে এক হাজার ২৩৪টি পণ্যচালানে প্রতিষ্ঠানগুলো এমন জালিয়াতি করেছে বলে তদন্তে উঠে আসে।
সোমবার দুপুরে এই তথ্য জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক শামসুল আরেফিন। তিনি জানান, ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকার সাতটি, গাজীপুরের দুটি ও সাভারের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রফতানিকারকদের ঘোষণা অনুযায়ী এই অর্থের পরিমাণ তিন কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- গাজীপুরের পিক্সি নিট ওয়্যারস ও হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড, ঢাকার ফ্যাশন ট্রেড, এম ডি এস ফ্যাশন, থ্রি স্ট্রার ট্রেডিং, ফরচুন ফ্যাশন, অনুপম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড, স্টাইলজ বিডি লিমিটেড ও ইডেন স্টাইল টেক্স এবং সাভারের প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড।
টি-শার্ট, টপস, লেডিস ড্রেস, ট্রাউজার, বেবি সেট, পোলো শার্ট প্রভৃতি পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রফতানি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থপাচার করেছে। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মূলত বিল অব এক্সপোর্টে ন্যাচার অব ট্রানজেকশনের কোড ২০ ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করেছে।
শাসমুল আরেফিন আরও বলেন, এর আগেও শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একই পন্থায় ৩৭৯ কোটি টাকা পাচারের ঘটনা উৎঘাটন করে। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অনুসন্ধানসহ ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৬৭৯ কোটি টাকা পাচারের ঘটনা উদঘাটন করলো শুল্ক গোয়েন্দা।
তদন্তকালে ১০টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে ১ হাজার ২৩৪টি পণ্যচালানে এমন জালিয়াতি করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। চালানের বিপরীতে পণ্যের পরিমাণ ১ হাজার ৯২১ মেট্রিক টন যার বিপরীতে ফেরতযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার সম্ভাব্য পরিমাণ ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলার।
প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত বিল অব এক্সপোর্টের কোড ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা। ১০ প্রতিষ্ঠানের বিল অব এক্সপোর্ট ও ইএক্সপি তথ্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায়নি এবং সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ১০ প্রতিষ্ঠানের কোনোটিই ওই ব্যাংকে লিয়েন করা নয়।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
অনিশ্চয়তার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো চলছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সৌজন্য সভা শেষে তিনি এ কথা জানান। দেশে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী হিসেবে কী বলবেন এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, যখন আমরা দায়িত্ব নিই, তখন কত ছিল মূল্যস্ফীতি? ১২ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল। এই দুরবস্থার মাঝেও মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। দাম তো বাড়ছে। কারণ যুদ্ধ যে শুরু হয়েছে সেটা কবে শেষ হবে কেউ জানে না। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কতদিন আপনি অর্থনীতি হিসাবমতো, সময়মতো চালাবেন। তারপরও অনেক ভালো চলছে। সবাই বলে বাংলাদেশ সবার চেয়ে ভালো চলছে। আর আপনারা খারাপটা কামনা করছেন কেন? ভালো কামনা করুন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার এবং ৩৫ হাজার টন রক ফসফেট ও ফসফরিক অ্যাসিড কিনবে সরকার।
এতে মোট ব্যয় হবে ৫৪৭ কোটি ৫২ লাখ ৩ হাজার ৭৫০ টাকা। এরমধ্যে ৩৯০ কোটি ৮৩ লাখ ২৮ হাজার ৭৫০ টাকার সার ও ১৫৬ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার রক ফসফেট এবং ফসফরিক অ্যাসিড কেনা হবে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৮তম বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক পাঁচটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত থেকে ১ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার ১৩০ কোটি ৫২ লাখ ২৯ হাজার ৫০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৯৭ দশমিক ৩৩ মার্কিন ডলার। এছাড়া বিসিআইসি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত থেকে ২য় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৩১ কোটি ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৫০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৯৯ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার।
তিনি জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কাফকোর কাছ থেকে ৩য় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১২৯ কোটি ১৮ লাখ ২৬ হাজার ২৫০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৯৩ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।
অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের (টিএসপিসিএল) জন্য ২৫ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট (৭২ শতাংশ বিপিএল মিনিমাম) প্রতিষ্ঠান মেসার্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনপুট, ঢাকা (প্রধান সরবরাহকারী: মেসার্স উইলসন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং, মালয়েশিয়া) থেকে ৯৭ কোটি ৮২ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন রক ফসফেটের দাম পড়বে ৩৫৯ মার্কিন ডলার।
এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক চট্টগ্রামের টিএসপিসিএলের জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড মেসার্স বেস্ট ইস্টার্ন, ঢাকা (প্রধান সরবরাহকারী: চীনের গুয়াংজি পেঙ্গুয়ে ইকো-টেকনোলজি কোং লিমিটেড) থেকে ৫৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিডের দাম পড়বে ৫৪০ মার্কিন ডলার।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল ও ছয় হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ১২১ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
বুধবার (৩০ আগস্ট) ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৮তম বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের জানান, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য নয়টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত আটটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার ৪৩০ কোটি ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া টিসিবি কর্তৃক ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ছয় হাজার টন মসুর ডাল নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেডের কাছ থেকে ৫৭ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নতুন অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিসের এক্সিকিউটিভ বিজনেস ডেলিগেশনের সাথে গোলটেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমেরিকার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নতুন কিছু কোম্পানি দেশে বিনিয়োগ করতে চায়। তারা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা ও অসুবিধার কথা বলেছেন। আমরা তাদের বলেছি যদি তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে তাহলে তাদের সকল সমস্যার সমাধান করতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে বৈশ্বিক যে সংকট দেখা দিয়েছে তা সরকার এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। বর্তমান পরিস্থিতিতে যে চ্যালেঞ্জগুলো দেখা দিয়েছে তা মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি উভয়কে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মার্কিন অংশীদারিত্ব বিশেষ করে মার্কিন বেসরকারি খাতের সাথে সংশ্লিষ্টদের বাংলাদেশের ক্রমাগত বৃদ্ধির জন্য পাশে থাকার আহ্বান জানান।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করায় বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আগামীর সিংহভাগ বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। টিপু মুনশি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ করবে যার ফলে কিছু উন্নত অর্থনীতির দেশে আমাদের শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার ব্যাহত হবে। কিন্তু জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি এই যাত্রায় মার্কিন সরকার ও মার্কিন বেসরকারি সংস্থাগুলোও আমাদের পাশে থাকবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিচক্ষণ সরকারি নীতি এবং উন্মুক্ত বাজারের নেতৃত্বে বেসরকারি, রপ্তানিমুখী উৎপাদন, উচ্চ উৎপাদনশীল কৃষি এবং একটি ক্রমবর্ধমান পরিষেবা খাত আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পৃথিবীর অনেক দেশের জন্য উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে এবং স্বীকৃতি পেয়েছে। বিগত কয়েক দশক ধরে প্রায় ৭ শতাংশ গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধিসহ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল এবং পায়রা বন্দর, কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর এবং পাওয়ার স্টেশন, কর্ণফুলী টানেলসহ অন্যান্য মেগা-প্রকল্প এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র যেগুলো সরকারের ফাস্ট ট্র্যাক উদ্যোগের অংশ তা রপ্তানি ও আমদানির দৃশ্যপটকে আমূল পরিবর্তন করছে যার ফলে আরও বেশি বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যখনই জিনিস-পত্রের দাম বাড়ে তখন তা নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। বাজারে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় হবে। ভোক্তা এবং ব্যবসায়ী উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ হবে এটাই আমরা চাই। এ লক্ষ্যে আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিয়ে বাজার মনিটরিং করে থাকি। অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অনেককে জেল জরিমানা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির লোকবল কম থাকার কারণে পর্যাপ্ত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।
সার্বিক মূল্যস্ফীতি নিয়ে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, যদি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষণ করেন তাহলে সহজেই বোঝা যায় সারা বিশ্ব একটি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইংল্যান্ডের দোকানেও যখন তিনটার বেশি টমেটো কেনা যাবে না বলে রিস্টিক করে দেয়। জার্মানির দোকানগুলোতে তেলের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়। তখন আমাদের মতো দেশে এ সংকটের বাহিরে থাকতে পারে না। মুহূর্তের মধ্যে হয়তো সমাধান হবে না তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে যাতে করে গ্লোবাল এই দুরবস্থার মধ্যে দেশের মানুষ ভালো থাকে।
সভায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমদ এবং ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি অতুল কেসাব, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাজারে সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী। পণ্যের সরবরাহ কমে গেলে কোনো কোনো ব্যবসায়ী দাম বাড়ায় বলে মনে করেন তিনি।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে রাজধানীতে হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, গতকালের সংবাদ সম্মেলনে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী সাথে থাকলেও সিন্ডিকেটের বিষয়ে তাঁর সাথে কোনো কথা হয়নি।
জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন এই মুহূর্তে এর সমাধান সম্ভব নয়। ভারতের বাজারে সাথে বাংলাদেশের বাজারের তুলনা করাও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন টিপু মুন্সী। এর আগে, ইউ এস চেম্বার অফ কমার্স ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স সাউথ এশিয়ার প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
|
|
|
|
|
|
|