|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১১ জানুয়ারি) লেনদেনের শুরুতে উর্ধ্বমুখি প্রবণতায় দিন শুরু করেছে।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে দুই বাজারেই সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনেও ভালো গতি দেখা যাচ্ছে। এক ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইতে ৫০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়ে গেছে।
এদিন লেনদেন শুরুতেই ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় আধাঘণ্টার মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে এরপর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমে। এতে প্রথম ১ ঘণ্টা ২৪ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৪০ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট। আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৩৩ পয়েন্ট।
সূচকের বড় উত্থান হলেও ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১২৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দামবৃদ্ধির তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৩টির। আর ৭১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬২৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬৯ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৮টির, কমেছে ৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির।
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১১ জানুয়ারি) লেনদেনের শুরুতে উর্ধ্বমুখি প্রবণতায় দিন শুরু করেছে।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে দুই বাজারেই সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনেও ভালো গতি দেখা যাচ্ছে। এক ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইতে ৫০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়ে গেছে।
এদিন লেনদেন শুরুতেই ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় আধাঘণ্টার মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে এরপর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমে। এতে প্রথম ১ ঘণ্টা ২৪ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৪০ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট। আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৩৩ পয়েন্ট।
সূচকের বড় উত্থান হলেও ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১২৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দামবৃদ্ধির তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৩টির। আর ৭১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬২৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬৯ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৮টির, কমেছে ৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : নতুন বছরের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। এক ঘণ্টায় ডিএসইর লেনদেন ছাড়িয়েছে সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১১টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১০৬ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৭৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করে।
ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ১২ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩৫ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১৩০৯ ও ২১২৭ পয়েন্টে রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ৯৫৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এই সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬০টির, কমেছে ১৩৩টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৫৭টি কম্পানির শেয়ার দর। বেলা ১১টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো- রবি, বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, লংকাবাংলা, লার্ফাজহোলসিম, আইএফআইসি ব্যাংক, এনবিএল, একটিভ ফাইন, ফার্স্ট ব্যাংক ও পাওয়ার গ্রিড।
এদিকে লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ১৮৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ৫৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। এদিন বেলা ১১টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ৭০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৩৯টি কম্পানির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি কম্পানি শেয়ারের দর।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: আগামীকাল বৃহস্পতিবার পুঁবিাজারের লেনদেন বন্ধ থাকবে। সেই হিসেবে আজ (৩০ ডিসেম্বর) ২০২০ সালের শেষ কার্যদিবস অতিক্রম করছে পুঁজিবাজার। চলতি বছরের শেষ কার্যদিবস বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার লেনদেন শুরুর ১ ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১১টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ১ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২৩৪ ও ১৯৪৯ পয়েন্টে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ৩৬৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
বুধবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানি গুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯টির, কমেছে ৮৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৬টি কোম্পানির শেয়ার।
বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, লংকাবাংলা, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, আইএফআইসি ব্যাংক, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, এডিএন টেলিকম, সাইফ পাওয়ার ও বিএটিবিসি।
এর আগে বুধবার লেনদেন শুরু প্রথম ১০ মিনিটে ডিএসইর সূচক বাড়ে ১২ পয়েন্ট। এরপর ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী থাকে। সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২০ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন বেলা ১১টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ৮১টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৩৭টি কোম্পানির দর। অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানি শেয়ারের দর।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা অনলাইন: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ইতিবাচক গতিতে লেনদেন চলছে। আজ সোমবার লেনদেনে শুরুর পর থেকেই উর্ধমুখি গতিতে চলছে লেনদেন। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১১টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯০ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১১৭৫ ও ১৮০০ পয়েন্টে রয়েছে। এসময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ২৮৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
সোমবার এসময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০৪টি কোম্পানির শেয়ার।
সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, জেএমআই সিরিঞ্জ, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স নিটোল ইন্স্যুরেন্স, নর্দান ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স ও ডোমেনজ।
এদিন লেনদেন শুরু প্রথম ১০ মিনিটে ডিএসইর সূচক বাড়ে ১৩ পয়েন্ট। এরপর ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরও ৪ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯০ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে, লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৬৩১ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন বেলা ১১টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ৪৯টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৩৫টি কোম্পানির দর। অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টি কোম্পানি শেয়ারের দর।
|
|
|
|
অর্থনৈতিক ডেস্ক : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-সিএসইতে মূল্য সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে।
সোমবার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে মাত্র ১৫ মিনিটেই ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেরই শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।
লেনদেন বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৭২ পয়েন্ট বেড়েছে।
স্বাধীন বাংলা/এআর
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: টানা ১৩ কার্যদিবস দরপতনের পর সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএস্ই) মূল্য সূচক কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
গত কয়েক কার্যদিবসের মতো এদিনও লেনদেনের শুরুতে নিম্নমুখী ছিল ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স। তবে সকাল সাড়ে ১০টার পর ঘুরে দাঁড়ায় সূচক। এরপর লেনদেন হওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মূল্য সূচক বাড়ে।
লেনদেন শেষে বাজারে ১৯৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৪টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দাম।
মূল্য সূচক ও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দর বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজারে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৬১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৯৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়ছে ১৬৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক দুই পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৬৮ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এ সূচকটি এক পয়েন্ট কমে দুই হাজার সাত পয়েন্টে অবস্থা করছে।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ২০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, মুন্নু সিরামিক, লিগাসি ফুটওয়্যার, ইফাদ অটোস, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এবং কেয়া কসমেটিক।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৭টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৮৫টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দাম।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। সোমবার (৩০ এপ্রিল) থেকে কোম্পানিটির আইপিও আবেদন শুরু হবে। যা চলবে ৯ মে পর্যন্ত। কোম্পানি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, দেশের অন্যতম বড় এই পেপার মিলটি ৭২ টাকা দরে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৭৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকা পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করবে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ১ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬টি শেয়ারের বিনিময়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এ অর্থ উত্তোলন করবে কোম্পানিটি।
কোম্পানি সচিব এম নাসিমুল হাই বাংলানিউজিকে জানান, শেয়ার কেনার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বসুন্ধরা পেপারের মালিকানায় আসছেন। সূত্র জানায়, বসুন্ধরা পেপার ২ কোটি ৬০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬৭টি শেয়ারের বিনিময়ে পুঁজিবাজার থেকে ১৯৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকা সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত কাট অব প্রাইস ৮০ টাকা, এই দামে এলিজিবল ইনভেস্টরদের (ইআই) কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে ১২৫ কোটি টাকা। আর বাকি ১ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬টি শেয়ারের বিনিময়ে ৭৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে উত্তোলন করবে বসুন্ধরা পেপার মিলস।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১০০টি শেয়ারে লটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ২০০ টাকা (প্রতি আইপিও ৭২ টাকা)। এ টাকায় একজন বিনিয়োগকারী একটি বিও (বেনিফিসিয়ারি অ্যাকাউন্ট) হিসাব থেকে একবার আবেদন করতে পারবেন। উত্তোলিত এই টাকা দিয়ে কোম্পানিটির কারখানার অবকাঠামো উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি কেনা, স্থাপনা ও ভূমি উন্নয়ন বাবদ ১৩৫ কোটি, ঋণ পরিশোধ বাবদ ৬০ কোটি এবং বাকি ৫ কোটি টাকা আইপিও বাবদ খরচ করা হবে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: সক্ষমতা না থাকলেও আবারও শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আর এ লভ্যাংশ দিতে রিজার্ভ তহবিল হাত দিতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর হওয়া ডিএসই এবার নিয়ে টানা তিনবার শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিল। প্রতিষ্ঠানটিকে তিনবারই রিজার্ভ থেকে অর্থ নিতে হয়েছে।
বছরের পর বছর এভাবে রিজার্ভ ভেঙে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়ায় ডিএসই-এর আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে। ফুরিয়ে আসছে রিজার্ভ তহবিলের অর্থও। ইতোমধ্যে ডেভলপমেন্ট ও বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ফান্ডের মতো বিশেষায়িত তহবিলে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কমে গেছে এফডিআরে বিনিয়োগ। প্রপাটি, প্লান্ট এবং ইকুইপমেন্টের মতো সম্পদে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বছরের পর বছর রিজার্ভ থেকে অর্থ নিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়া উচিত নয়। এতে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা কমে যায়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত নিয়ম হচ্ছে, মুনাফার সম্পূর্ণ অংশ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে না দিয়ে কিছু অংশ রিজার্ভে রেখে দেয়া হয়। যাতে আপদকালীন সময়ে তা কাজে লাগানো যায়। তবে বছরের পর বছর রিজার্ভ থেকে অর্থ নিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়া উচিত না। এতে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা কমে যায়। আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, এভাবে রিজার্ভ ভেঙে লভ্যাংশ দেয়া কিছুতেই ঠিক হচ্ছে না। এতে ডিএসইর আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে। তাছাড়া ডিএসইর ৬০ শতাংশ শেয়ার এখনো ডিস্ট্রিবিউশন করা হয়নি, যা ব্লকড হিসাবে রয়েছে। ৪০ শতাংশ শেয়ারগ্রহকরাই সকল সুবিধা নিয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি ব্লকড হিসেবে থাকা ৬০ শতাংশ শেয়ার যতক্ষণ পর্যন্ত কৌশলগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে হস্তান্তর করা না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো লভ্যাংশ দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) একটি নির্দেশনা জারি করা উচিত।
তবে রিজার্ভ ভেঙে লভ্যাংশ দেয়ার পরও ডিএসইর কোনো ধরনের সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে এ এম মাজেদুর রহমান। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, রিজার্ভ ভেঙে লভ্যাংশ দেয়ার কারণে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, ভবিষ্যতে ডিএসইর আয় বাড়বে। আর এফডিআর এবং প্রপাটি, প্লান্ট এবং ইকুইপমেন্ট কমে যাওয়া এটি তেমন কোনো বিষয় না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিএসইর পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১ হাজার ৮০৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এ হিসাবে ১০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিতে হলে প্রয়োজন হয় প্রায় ১৮০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। তবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ডিএসই মুনাফা করেছে ১২৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা। অর্থাৎ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে প্রতিষ্ঠানটির আরও ৫৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা প্রয়োজন, যা রিজার্ভ তহবিল থেকে নেয়া হবে।
আগের বছর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ডিএসই রিজার্ভ ভেঙে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই বছরে প্রতিষ্ঠানটি মুনাফা করে ১১৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। অর্থাৎ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে রিজার্ভ থেকে নিতে হয় ৬০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার মতো। তার আগের বছর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ডিএসই মুনাফা করে ১৩৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বছরটিতে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে রিজার্ভ থেকে নিতে হয়েছিল প্রায় ৪৬ কোটি টাকা।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৫ সালের ১ জুলাই ডিএসইর ডেভলপমেন্ট ফান্ডে ৪১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ফান্ডে ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা ছিল। কিন্তু ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রিজার্ভ ভেঙে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়ার কারণে ২০১৬ সালের ৩০ জুন এই দুটি বিশেষায়িত ফান্ডে অর্থের পরিমাণ শূন্য হয়ে যায়। ফান্ড দু’টির অর্থ রিটেন আর্নিংয়ে নিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে দেয়া হয়।
এদিকে ডিএসইর রিটেন আর্নিং বা রিজার্ভ তহবিলের পরিমাণ ২০১৫ সালের ১ জুলাই ছিল ২৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। যা কমে ২০১৬ সালের ৩০ জুন দাঁড়ায় ২৪২ কোটি ১২ লাখ টাকা। এ অবস্থায় ওই বছর রিভার্জ ভেঙে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়ায় রিটেন আর্নিংয়ের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকায়। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরেও রিজার্ভ ভেঙে লভ্যাংশ দেয়ার কারণে এ তহবিলের পরিমাণ কমে দাঁড়াবে ১২৯ কোটি টাকার মতো।
রিজার্ভ তহবিলের পাশাপাশি ডিএসইর এফডিআর’র পরিমাণও কমে গেছে। ২০১৭ সালের ৩০ জুন শেষে প্রতিষ্ঠানটির এফডিআরে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৯১ কোটি টাকা। এক বছর আগে যা ছিল ১ হাজার ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ডিএসইর এফডিআর কমেছে ১২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর ২০১৬ সালের ৩০ জুন প্রপাটি, প্লান্ট এবং ইকুইপমেন্ট হিসেবে ৪৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা থাকলেও ২০১৭ সালের ৩০ জুন শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩৯ কোটি ৮ লাখ টাকা।
এফডিআর এবং প্রপাটি, প্লান্ট ও ইকুইপমেন্ট কমে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মোট সম্পদেও। ডিএসইর ২ হাজার ৫৩১ কোটি ২৮ লাখ টাকার সম্পদ এক বছরের ব্যবধানে কমে ২০১৭ সালের ৩০ জুন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৮১ কোটি ১০ লাখ টাকায়।
ডিএসইর আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ৪ কোটি ৯ লাখ টাকা বেশি হয়েছে। ফলে বেড়েছে শেয়ারপ্রতি মুনাফার পরিমাণ। শেয়ারপ্রতি হয়েছে ৬৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে ছিল ৬৬ পয়সা। মুনাফার পাশাপাশি আয়ও বেড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়ের পরিমাণ।
অর্থবছরটিতে প্রতিষ্ঠানটি আয় করেছে ২০৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। যা আগের বছর ছিল ১৮৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। বরাবরের মতো এবারও ডিএসইর আয়ের প্রধান খাত হিসেবে রয়েছে সুদ ও লভ্যাংশ আয়। তবে এফডিআর কমায় আগের বছরের তুলনায় এ খাতে আয় কমে গেছে। সুদ ও লভ্যাংশ বাবদ আয় হয়েছে ৯০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল ১১০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
লেনদেন খরার কিছুটা কাটিয়ে ওঠায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে লেনদেন চার্জ থেকে আয় কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে ট্রেকহোল্ডারদের কাছ থেকেও আয় বেড়েছে। লেনদেন চার্জ থেকে আয় হয়েছে ৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৫২ টাকা ৬৬ লাখ টাকা। ট্রেকহোল্ডারদের কাছ থেকে শেষ অর্থবছরে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৪ কোটি ১০ লাখ টাকা।
এছাড়া তথ্য বিক্রি ও তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকেও আয় বেড়েছে। এর মধ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে আয় হয়েছে ২০ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল ১৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। তথ্য বিক্রি করে আয় হয়েছে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। তবে বিবিধ খাত আয় কমেছে। এ খাত থেকে আয় হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
এদিকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ডিএসইর ব্যয় হয়েছে ৭৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ৬৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ব্যয়ের খাতগুলোর মধ্যে ব্যক্তিগত খরচ ৩১ কোটি ১৪ লাখ, সিকিউরিটিজদের পারিশ্রমিক ২৩ লাখ, ভাড়া ও ট্যাক্স ১ কোটি ৯১ লাখ, পরিবহন ১ কোটি ৫৪ লাখ, আইসিটি ১৪ কোটি ৩৪ লাখ, ইউটিলিটিস ৯৩ লাখ, মেরামত ও রক্ষাণাবেক্ষণ ৪১ লাখ, মনিহারি ৬৬ লাখ, বিজ্ঞাপন ৯৪ লাখ, সাধারণ বীমা ১৬ লাখ, বিভিন্ন পরামর্শক ফি ২৬ লাখ, সেমিনার ২ কোটি ৫৬ লাখ, বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল ১০ লাখ, অবচয় ১০ কোটি ৫৬ লাখ, ব্যাংক চার্জ ২৭ লাখ, ডব্লিপিপিএফ (ওয়ার্কাস প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড) ৬ কোটি ৭৩ লাখ এবং টেলিফোন, টেলেক্স, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট ও ডাকমাসুল খাতে ৩৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালকদের প্রত্যেকের পরিশোধিত মূলধনের ২ শতাংশের নিচে শেয়ার ধারণকারীদের শাস্তির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্বতন্ত্র পরিচালকদেরকে এই পরিমাণ শেয়ার ধারণ করতে হবে না।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, উদ্যোক্তা ও পরিচালকের মোট পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ নিশ্চিত করতে হবে।
২০১২ সালের ২২ নভেম্বর তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে ২ শতাংশ উদ্যোক্তাদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে বিএসইসি নির্দেশনা জারি করে। পরবর্তী ছয় মাস অর্থাৎ ২০১৩ সালের ২১ মে’র মধ্যে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
কিন্তু তালিকাভুক্ত বহু কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে নেই। কোনো কোনো কোম্পানির ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা আরও কম। আবার দুই শতাংশ শেয়ার ধারণ না করেও কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক হয়ে আছেন, এমন সংখ্যাটাও কম না। এসব উদ্যোক্তা পরিচালক বাজারে উচ্চমূল্যে তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।
যেসব উদ্যোক্তা পরিচালকদের দুই শতাংশ শেয়ার নেই, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এসইসির এনফোর্সম্যান্ট বিভাগে বিষয়টি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে এসইসির সভায়।
এই সিদ্ধান্তটি ছাড়াও এসইসির বৈঠকে আরও কিছু সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে আছে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আমান কটন ফাইব্রসের শেয়ার ইস্যু। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ৪০ টাকা মূল্যে এক কোটি ২৫ লাখ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ৩৬ টাকায় ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩টি শেয়ার ইস্যু করা হবে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমোদন পাওয়া আমান কটনের কাট অফ প্রাইজ নির্ধারিত হয়েছে ৪০ টাকা। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে সোমবার বিকাল ৫টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলা বিডিংয়ে এ দাম নির্ধারিত হয়েছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম দাঁড়াবে ৬৬ টাকা।
প্রতিষ্ঠানটির বিডিং শুরু হয় ১৫ টাকায়। বিডিংয়ের প্রথম আধাঘণ্টায় একজন যোগ্য বিনিয়োগকারী ১৫ টাকা দরে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬০০টি শেয়ার ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকায় কেনার প্রস্তাব দেন। এর পর একে একে ৪৯২ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী বিডিংয়ে অংশ নেন।
বিডিংয়ে সর্বোচ্চ দর পড়েছে ৬৫ টাকা। এ দরে একজন বিনিয়োগকারী ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০টি শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখিয়েছেন। আর সব থেকে কম দাম পড়েছে ১১ টাকা। এ টাকায় আটজন যোগ্য বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার কেনার প্রস্তাব দেন।
বিডিংয়ে অংশ নেয়া যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিনিয়োগকারী আমান কটনের শেয়ার ২০ টাকা দিয়ে কেনার অগ্রহ দেখিয়েছেন। এ দামে শেয়ার কেনার প্রস্তাব দেন ১৪০ জন।
এ ছাড়া ৬৪ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির দর দিয়েছেন ২৫ টাকা, ৫৮ জন দর দিয়েছে ১৫ টাকা, ৫০ টাকা দর দিয়েছেন ৩৪ জন, ৩০ জন দর দিয়েছেন ১২ টাকা, ২২ জন ১৬ টাকা, ১৯ জন দর দিয়েছেন ৩০ টাকা, ১৮ জন দর দিয়েছেন ৪০ টাকা, ১৭ জন দর দিয়েছেন ২৭ টাকা, ১০ জন ৩৫ টাকা দর দিয়েছেন। বাকি দরগুলো দিয়েছেন ১০ জননেরও কম বিনিয়োগকারী।
গত ১২ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটিকে বিডিংয়ের অনুমোদন দেয় পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটি আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৮০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে ৪৯ কোটি ৩৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা কারখানায় আধুনিক মেশিনারিজ ক্রয়ে ব্যয় হবে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে (অনিরীক্ষিত) কর পরিশোধের পর আমান কটনের প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ২৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। যা এর আগের বছরে ছিল ২৭ কোটি ৭ লাখ টাকা।
আমান কটনকে আইপিওতে আনতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর ইস্যুর রেজিস্টারের দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: ১০ অক্টোবর ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড। কিন্তু হঠাৎ করেই তা পরিবর্তন করে ২৬ অক্টোবর নতুন করে বোর্ড সভার তারিখ নির্ধারণ করেছে কোম্পানিটি। অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে কোম্পানিটি। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, বিনিয়োগকারীদের ঠকানোর পায়তারা করছে ফু-ওয়াং ফুডস কর্তৃপক্ষ। তাই সময়ের পরিবর্তনের পাশাপাশি গুজবও ছাড়াচ্ছে কেউ কেউ।
অভিযোগ রয়েছে, নামমাত্র শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে থাকায় প্রকৃত মুনাফা গোপন করে ব্যবসা থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে ফু-ওয়াং ফুডের কর্তাব্যক্তিরা। পরিণতিতে, বছর শেষে নাম মাত্র স্টক ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের দিচ্ছে কোম্পানিটি। এছাড়াও রাইটের অর্থ অপব্যবহার করেছে কোম্পানিটি এমন অভিযোগ বিনিয়োগকারীদের। তাই সদ্য সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের আগের বছরগুলো তুলনার কম ডিভিডেন্ড প্রদানের পায়তারা করছে কোম্পানিটি। যার ধারাবাহিকতায় প্রথম প্রান্তিক থেকে মুনাফা কম দেখাচ্ছে কোম্পানিটি।
জানা যায়, ফু-ওয়াং ফুডসের কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ধারণের অক্ষমতার তথ্য সম্প্রতি হাইকোর্টে উপস্থাপন করে উদ্যোক্তা পরিচালকদের অব্যাহতি দিয়ে, শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের পর্ষদে রাখার আবেদন করে বিনিয়োগকারী জুয়েল শিকদার। যার ধারাবাহিকতায় কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) ৪ সপ্তাহের সময় দেয় হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী জুয়েল শিকদার শেয়ারনিউজ২৪ ডটকমকে বলেন, কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের পর্ষদে থাকার যোগ্যতা নাই। যার জন্য আমি হাইকোর্টের ধারস্থ হয়েছি। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তাদের ক্ষমতা দেখাচ্ছে। তারা গুজব ছড়াচ্ছে আগের বছরগুলোর তুলনায় ডিভিডেন্ড কম দিবে। যার ফলে গত কয়েক কার্যদিবস যাবৎ কোম্পানিটির শেয়ার নিম্নমুখী রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার মনে হয় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ডিভিডেন্ড কম দেওয়ার গুজব ছড়িয়ে বাজার থেকে কম দামে শেয়ার হাতিয়ে নিচ্ছে। এ কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি প্রয়োজনে দুদকের কাছে যাব।
জুয়েল শিকদার বলেন, দূর্নীতিবাজ প্রমানিত হলে বর্তমান সরকার কাউকে ছাড় দিবে না। ইতোপূর্বেও হলমার্ক গ্রুপের মত দূর্নীতিবাজও কিন্তু এ সরকারের হাত থেকে ছাড় পায়নি।
এদিকে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর-রশীদ চৌধুরী শেয়ারনিউজ২৪ ডটকমকে বলেন, এমনিতেই এ কোম্পানির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ পরিচালনা পর্ষদে যোগ্যতা হারিয়েছে। কারণ আইনানুযায়ী তারা সম্মিলিত ৩০ শতাংশ ও এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ারধারনে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি জানান, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকেরা নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। আর ঠিক এই কারণে কোম্পানির মুনাফা কম দেখিয়ে শেয়ার দরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। বিএসইসির উচিত বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ব্যাংটির আয় ও শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ কমে গেছে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকসহ (জুলাই-সেপ্টেম্বর) গত ৯ মাসের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্যাংকটি। গতকাল রোববার দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর—এই ৯ মাসে শুধু ব্যাংকের নিজস্ব আয়ের ভিত্তিতে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৪৫ পয়সা। সেই হিসাবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের ৯ মাস শেষে ইপিএস ৬০ পয়সা বা প্রায় সাড়ে ২৪ শতাংশ কমে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরাস্তু খান বলেন, ‘গত ৯ মাসে ঋণের বিপরীতে ব্যাংক যথাযথ নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশনিং) নিশ্চিত করেছে। তাই ভালো পরিচালন মুনাফা করা সত্ত্বেও আয় কমে গেছে। বছর শেষে এর সুফল পাওয়া যাবে। বছর শেষে ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থার খুব উন্নতি ঘটবে বলে আমরা আশাবাদী।’
যেকোনো একটি কোম্পানি নির্দিষ্ট একটি সময়ে তার সব ধরনের ব্যয় ও কর পরিশোধ শেষে যে মুনাফা করে, সেটিকে ওই কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হিসাব করা হয়।
শেয়ারবাজারের ক্ষেত্রে শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লোর মাধ্যমে একটি কোম্পানির আর্থিক অবস্থার ধারণা পাওয়া যায়। ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক মানে ওই কোম্পানির কাছে নগদ অর্থের ঘাটতি রয়েছে। আর ইতিবাচক মানে হলো ওই কোম্পানির হাতে উদ্বৃত্ত তহবিল রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ মাস আগে ব্যাংটির মালিকানায় পরিবর্তন আনা হয়।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) রবিবার মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ দুই বাজারেই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। আর ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, আজ ডিএসইতে ৫৪৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় ৫৭ কোটি চার লাখ টাকা কম। আগের দিন এ বাজারে ৬০০ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
দিনশেষে আজ ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬০৪১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩৩২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক .৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২১৮৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৯টির, কমেছে ১৮১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৫৪৩ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৬০৩৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৩২৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২১৮৮ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৬৭১ কোটি ৭১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫৭ কোটি চার লাখ টাকা।
ডিএসইতে আজ লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো: লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড, বিবিএস কেবলস লিমিটেড, রংপুর ফাউন্ড্রী লিমিটেড, গ্রামীণফোন লিমিটেড, আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেড, আমরা নেটওয়ার্ক লিমিটেড, ইফাদ অটোস লিমিটেড, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এবং উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
অপরদিকে আজ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৪২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৭৩১ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টি কোম্পানির শেয়ার।
|
|
|
|
নিজস্ব সংবাদদাতা: কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শেয়ারের দাম। সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ডিএসই জানিয়েছে, শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনের কারণ জানতে চেয়ে ১৫ অক্টোবর ডাচ-বাংলা ব্যাংককে নোটিশ পাঠানো হয়। জবাবে এ বিষয়ে নিজেদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তথ্য পর্যালোচনা দেখা যায় যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শেয়ার দাম টানা বাড়ছে। শেষ ১২ কার্যদিবসে ব্যাংকটির প্রতি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪০ টাকা ৫০ পয়সা। গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির প্রতি শেয়ারের দাম ছিল ১৩০ টাকা ৭০ পয়সা। যা টানা বেড়ে ১৫ আগস্ট লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ১৭১ টাকা ২০ পয়সা।
ডিএসইর মাধ্যমে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথমার্ধ (জানুয়ারি-জুন) শেষে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছে ১৪১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মুনাফা হয়েছে ৮৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আর জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মুনাফা হয় ৫৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোট শেয়ারের ৮৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ আছে সাধারণ বিনিয়োগকারী, ৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং দশমিক ১৩ শতাংশ বিদেশিদের কাছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: শেয়ারবাজারে নির্ধারিত সীমার থেকে বেশি বিনিয়োগ করায় সাত ব্যাংককে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সরকারি ও ছয়টি বেসরকারি ব্যাংক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকিতে এ অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ছাড়া বাড়তি বিনিয়োগের তথ্যও গোপন করেছে ওই সাত ব্যাংক। সংশ্নিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, এই সাত ব্যাংকের বাইরে আরও আটটি ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ব্যাপারে বিশেষ পরিদর্শন চালিয়ে বেশ কিছু অনিয়ম পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদেরও জরিমানার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া সন্দেহমূলক লেনদেন পরিলক্ষিত হওয়ায় আরও সাতটি ব্যাংকের বিনিয়োগ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ২২টি ব্যাংককে কঠোর তদারকির আওতায় নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অপরাধের ধরন অনুযায়ী তাদের ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, একসময় যে কোনো ব্যাংক আমানতে তার মোট দায়ের ১০ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারত। তবে ২০১৩ সালে সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, একটি ব্যাংক তার আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম হিসেবে রক্ষিত স্থিতি, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংসের ২৫ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে না। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সহযোগী কোম্পানিসহ শেয়ারবাজারে ব্যাংকের সমল্প্বিত বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণ করে আলাদা একটি পরিপত্র দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সমল্প্বিত পদ্ধতিতে আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম স্থিতি, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংসের ৫০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয়।
২০১৩ সালে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের পর ৩৬টি ব্যাংকের বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমার ওপরে চলে যায়। ওই আইনে বাড়তি বিনিয়োগ সমল্প্বয়ের জন্য তিন বছর সময় দেওয়া ছিল। সে অনুযায়ী গত ২১ জুলাইয়ের মধ্যে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করার কথা। নির্ধারিত সময়ে বেশির ভাগ ব্যাংকের বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমায় নামিয়ে আনলেও ১৩টি ব্যাংক নামাতে ব্যর্থ হয়। তখন আইন সংশোধনের দাবি ওঠে। তবে তা না করে গত বছর এসব ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ঋণ মূলধন হিসেবে দেখানোর সুযোগ দিয়ে অতিরিক্ত বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমায় নামিয়ে আনার সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে তথ্য গোপন করে পরে আবার অনেক ব্যাংক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করায় নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে যায়। এতে জরিমানার মুখোমুখি হয় ব্যাংকগুলোকে।
ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১০৯(১১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সর্বনিল্ফম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে। আর লঙ্ঘন অব্যাহত থাকলে প্রথম দিনের পর থেকে প্রতিদিনের জন্য সর্বনিল্ফম্ন পাঁচ হাজার এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার নিয়ম আছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অপরাধের ধরন অনুযায়ী সাতটি ব্যাংককে নিয়ম অনুযায়ী জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমায় নামিয়ে আনা, ভুল তথ্য দেওয়া থেকে বিরত ও যেসব ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ রয়েছে, তাদের নতুন করে বিনিয়োগ না করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: উঠানামার মধ্য দিয়ে সূচক ইতিবাচক রেখেই সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শেষ হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। তবে গতকাল রোববার ডিএসইর সঙ্গে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন কমেছে; দিন শেষে নেতিবাচক অবস্থানে চলে গেছে সিএসইর সূচক। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক সূচক ডিএসইএক্স তিন পয়েন্ট ছয় হাজার ২০৫ পয়েন্ট উঠেছে; গত দিনের চেয়ে লেনদেন চার কোটি টাকা কমে একহাজার ৫৪ কোটি টাকায় নেমেছে। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪৩ পয়েন্ট কমে নেমেছে ১৯ হাজার ২৫৩ পয়েন্টে; লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি টাকা বেশি, যা গত দিনের চেয়ে প্রায় ১১ কোটি টাকা কম। গত সপ্তাহে লেনদেনে ব্যাংক খাতের দাপটের পর গতকাল রোববার চাঙ্গাভাবে দিন শুরু করে দেশের দুই পুঁজিবাজার। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্টের বেশি বাড়ে। একই সময়ে সিএএসপিআই ৩৩ পয়েন্টের বেশি যোগ হয়। তবে দিনের শেষ ভাগে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় সূচক নেমে আসে। গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববারও দেশের দুই বাজারে লেনদেনে ব্যাংক খাতের আধিপত্য দেখা গেছে; যদিও দুই বাজারেই এ খাতের বেশিরভাগ শেয়ারের দরই কমেছে। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্যাংক খাতে, যা মোট লেনদেনের অর্ধেকের বেশি। ২ থেকে ৫ অক্টোবর পুরো সপ্তাহে ব্যাংক খাতে প্রতিদিন গড়ে ৪৬৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যেখানে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ৯১৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার। শতকরা হিসাবে ডিএসইতে মোট লেনদেনের ৫২ শতাংশই হয়েছে ব্যাংক খাতের। গতকাল রোববার সকাল থেকেই লেনদেনে ব্যাংক খাতের আধিপত্য দেখা যায়। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে- ইসলামি ব্যাংক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, এনবিএল, এক্সিম ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, আমরা নেটওয়ার্ক, ইউসিবি, প্রিমিয়ার ব্যাংক, আইডিএলসি ও ইফাড অটোজ। সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে- এনবিএল, ইসলামি ব্যাংক, আমরা নেটওয়ার্ক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, আইডএলসি, ইউসিবি, আইএফআইসি, ইফাড অটোজ, এক্সিম ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়া। ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে-নর্দার্ন, ইউনাইটেড ইন্সুরেন্স, ফুয়াং ফুড, উত্তরা ব্যাংক, স্টাইলক্র্যাফট, ইসলামি ব্যাংক, ইফাড অটোজ, বিডি ফাইন্যান্স, অ্যাপেক্স ট্যানারি ও প্রিমিয়ার লিজিং। দর কমার শীর্ষে রয়েছে- আমরা নেটওয়ার্ক, শেফার্ড, পেনিনসুলা, ঢাকা ইন্সুরেন্স, স্টান্ডার্ড ইন্সুরেন্স, বিবিএস কেবল, বিজিআইসি, আইএসএনএল, বিডিঅটোকারস ও কন্টিনেন্টাল ইন্সুরেন্স। চার কাযদিবস আগে তালিকাভূক্ত হওয়া আমরা নেটওয়ার্কের শেয়ারের দর ‘অস্বাভাবিক’ বাড়তে থাকায় এর পেছনে অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল কোনও তথ্য আছে কি না তা জানতে চেয়েছে ডিএসই। জবাবে কোম্পানির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। গতকাল রোববার কোম্পানিটির শেয়ারের প্রায় ছয় শতাংশ দর কমে লেনদেন শেষ হয়েছে ১৩৬ টাকায়।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আখলাকুল আম্বিয়া নির্বাহী সম্পাদক: মাে: মাহবুবুল আম্বিয়া যুগ্ম সম্পাদক: প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: স্বাধীনতা ভবন (৩য় তলা), ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০। Editorial & Commercial Office: Swadhinota Bhaban (2nd Floor), 88 Motijheel, Dhaka-1000. সম্পাদক কর্তৃক রঙতুলি প্রিন্টার্স ১৯৩/ডি, মমতাজ ম্যানশন, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত । ফোন : ০২-৯৫৫২২৯১ মোবাইল: ০১৬৭০৬৬১৩৭৭ Phone: 02-9552291 Mobile: +8801670 661377 ই-মেইল : dailyswadhinbangla@gmail.com , editor@dailyswadhinbangla.com, news@dailyswadhinbangla.com
|
|
|
|