খেজুরের যত গুণ
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
গুণে ভরপুর আর খেতেও সুস্বাদু এক ফল খেজুর। ধারণা করা হয় মিষ্টি এ ফলের আদিনিবাস পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোয়। চিনির বিকল্প হিসাবে খেজুর ব্যবহার করা হয় নানা উপায়ে।
শক্তির উৎস এ ফলটি প্রতিদিনের খাবার তালিকায় যুক্ত করতে পারেন তাই অনায়াসে। খেজুর গাছ সবচেয়ে ভালো জন্মে মরু অঞ্চলে। কথায় আছে ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয়। তাই হয়তো এ ফল গাছ থেকে পেতেও অপেক্ষা করতে হয় ৪ থেকে কমপক্ষে ৮ বছর পর্যন্ত।
পূর্ণাঙ্গ খেজুর গাছ থেকে প্রতি মৌসুমে গড়ে ৮০-১২০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় প্রাচীনকাল থেকেই মেসোপটেমিয়া থেকে প্রাগৈতিহাসিক মিশরের অধিবাসীরা খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ বছর থেকেই এ গাছের গুণাগুণ সম্পর্কে অবগত ছিল।
এ গাছের ফল এবং পাতা দুই উপকারী মানবদেহের জন্য। খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবারসহ নানা ভিটামিন, আঁশ, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক এবং আয়রন। এছাড়া খেজুর সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদারও প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে থাকে। চিনির বিকল্পে যারা ডায়েটের খাবার তালিকা নিয়ে চিন্তিত তারা খেতে পারেন এ ফলটি নিশ্চিন্তে।
এ ছাড়া পেশি ও হাড় গঠনে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে খেজুর রয়েছে বেশ উপকারী গুণাবলি। মুখের অরুচি, ক্ষুধা-মন্দা কিংবা রক্তশূন্যতা দূর করতে খেতে পারেন খেজুর।
মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র মাহে রমজানে ইফাতারে তাই অন্যতম এক বিশেষ খাবারের জায়গা দখল করেছে মিষ্টি এ ফলটি। খেজুর আকারভেদে গোলাকার কিংবা লম্বাটে ধরনের হয়ে থাকে। এর ভেতরে থাকা বিচি শক্ত এবং সাদা রঙের হয়ে থাকে। চারটি পর্যায়ে মূলত খেজুরকে পাকানো হয়, যা আরবি ভাষা কিমরি, খলাল, রুতাব, তমর নামে পরিচিত।
তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খেজুর খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। এছাড়া যাদের দেহে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি তাদের বেলাতেও আছে কিছু বিধিনিষেধ। এর বাইরে ত্বকের যত্নেও নানা উপকরণে খেজুর ব্যবহার হয়ে আসছে সেই আদিকাল থেকেই।
প্রাকৃতিক এ শক্তির উৎস তাই রোজাদারদের জন্য আদর্শ এক খাবার। এ ছাড়া যারা বাইরে থাকেন লম্বা সময় পর্যন্ত তারাও ব্যাগে রাখতে পারেন এ শুষ্ক ফলটি।
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
গুণে ভরপুর আর খেতেও সুস্বাদু এক ফল খেজুর। ধারণা করা হয় মিষ্টি এ ফলের আদিনিবাস পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোয়। চিনির বিকল্প হিসাবে খেজুর ব্যবহার করা হয় নানা উপায়ে।
শক্তির উৎস এ ফলটি প্রতিদিনের খাবার তালিকায় যুক্ত করতে পারেন তাই অনায়াসে। খেজুর গাছ সবচেয়ে ভালো জন্মে মরু অঞ্চলে। কথায় আছে ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয়। তাই হয়তো এ ফল গাছ থেকে পেতেও অপেক্ষা করতে হয় ৪ থেকে কমপক্ষে ৮ বছর পর্যন্ত।
পূর্ণাঙ্গ খেজুর গাছ থেকে প্রতি মৌসুমে গড়ে ৮০-১২০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় প্রাচীনকাল থেকেই মেসোপটেমিয়া থেকে প্রাগৈতিহাসিক মিশরের অধিবাসীরা খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ বছর থেকেই এ গাছের গুণাগুণ সম্পর্কে অবগত ছিল।
এ গাছের ফল এবং পাতা দুই উপকারী মানবদেহের জন্য। খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবারসহ নানা ভিটামিন, আঁশ, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক এবং আয়রন। এছাড়া খেজুর সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদারও প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে থাকে। চিনির বিকল্পে যারা ডায়েটের খাবার তালিকা নিয়ে চিন্তিত তারা খেতে পারেন এ ফলটি নিশ্চিন্তে।
এ ছাড়া পেশি ও হাড় গঠনে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে খেজুর রয়েছে বেশ উপকারী গুণাবলি। মুখের অরুচি, ক্ষুধা-মন্দা কিংবা রক্তশূন্যতা দূর করতে খেতে পারেন খেজুর।
মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র মাহে রমজানে ইফাতারে তাই অন্যতম এক বিশেষ খাবারের জায়গা দখল করেছে মিষ্টি এ ফলটি। খেজুর আকারভেদে গোলাকার কিংবা লম্বাটে ধরনের হয়ে থাকে। এর ভেতরে থাকা বিচি শক্ত এবং সাদা রঙের হয়ে থাকে। চারটি পর্যায়ে মূলত খেজুরকে পাকানো হয়, যা আরবি ভাষা কিমরি, খলাল, রুতাব, তমর নামে পরিচিত।
তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খেজুর খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। এছাড়া যাদের দেহে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি তাদের বেলাতেও আছে কিছু বিধিনিষেধ। এর বাইরে ত্বকের যত্নেও নানা উপকরণে খেজুর ব্যবহার হয়ে আসছে সেই আদিকাল থেকেই।
প্রাকৃতিক এ শক্তির উৎস তাই রোজাদারদের জন্য আদর্শ এক খাবার। এ ছাড়া যারা বাইরে থাকেন লম্বা সময় পর্যন্ত তারাও ব্যাগে রাখতে পারেন এ শুষ্ক ফলটি।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। যেহেতু এখন গরমের সময় এ কারণে সেহরি-ইফতারে খাবারের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তা না হলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ কারণে এ সময় খাবার যেন স্বাস্থ্যকর হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
পুষ্টিবিদদের মতে, সেহরিতে এমন কিছু খাবার খাওয়া প্রয়োজন তা দিনভর শরীরে শক্তি বজায় রাখবে। পাশপাশি ক্ষুধাও কম অনুভূত হবে। যেমন-
খেজুর: রোজায় খেজুর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেহরিতে খেজুর খেলে দিনভর কর্মক্ষম থাকার শক্তি পাওয়া যায়।
তরমুজ : তরমুজে র্পাপ্ত পরিমাণে পানি থাকায় সারাদিন শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আপেল : আপেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার ও ভিটামিন সি থাকায় এই ফলও শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে।
রুটি : রুটিতে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। সেহরিতে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো। এতে পেট অনেকক্ষণ ভরা অনুভূত হবে।
কলা: সেহরিতে কলাও খেতে পারেন। এই ফলও দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।
আলু: আলু পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেটের বড় উৎস। সেহরিতে যেকোনভাবে আলু খেলে সারাদিনে শরীরে শক্তি বজায় থাকবে।
দই: দই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া রোজায় সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে।
ছোলা: সেহরিতে প্রোটিন সমৃদ্ধ ছোলা খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূত হয়।
ভাত -ডাল: সেহরিতে চাইলে ভাত, ডাল, মুরগির মাংস ও সবজি রাখতে পারেন। পাশাপাশি প্রোটিন এবং সামান্য ফ্যাটও খেতে পারেন।
পর্যাপ্ত পানি পান: যেহেতু এখন গরমের সময় এ কারণে সেহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং তরল খাবার খান। এতে শরীরে পানিশূন্যতা রোধ হবে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
শরবত ই মোহাব্বত দিল্লির বিখ্যাত পানীয়। এটি গরমের সময়ে প্রাণ ঠান্ডা করতে কাজ করে। রোজায় ইফতারে রাখতে পারেন সুস্বাদু এই পানীয়। বাড়িতে দুধ ও তরমুজ থাকলেই খুব সহজে তৈরি করতে পারবেন এই শরবত। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক শরবত ই মোহাব্বত তৈরির রেসিপি-
তৈরি করতে যা লাগবে :
তরমুজের রস- আধা কাপ
দুধ- ২ কাপ সুগার সিরাপ- স্বাদমতো বরফ-পরিমাণমতো তরমুজের টুকরা- পরিমাণমতো রুহ আফজা- সামান্য।
যেভাবে তৈরি করবেন :
একটি পাত্রে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নেওয়া ২ কাপ দুধ নিন। এবার তার সঙ্গে মেশান স্বাদমতো সুগার সিরাপ। দিয়ে দিন পরিমাণমতো বরফের টুকরা। এরপর তরমুজের ফালি থেকে ছোট ছোট টুকরা করে শরবতে দিয়ে দিন। এরপর তাতে মেশান সামান্য রুহ আফজা। এতে শরবতের ঘ্রাণ আরও সুন্দর হবে। এবার গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
চা আর সিগারেটের এই যুগলবন্দি আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
গরম ধোঁয়া ওঠা চায়ের সাথে অনেকেই ধূমপান করে থাকেন। কিন্তু জানেন কি, চা আর সিগারেট একসাথে পান করলে আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। গবেষণা বলছে, চা এবং সিগারেট একসঙ্গে খেলে বাড়তে পারে ক্যানসারের ঝুঁকি। ‘অ্যানাল্স অফ ইন্টারনাল মেডিসিন’ নামে চিকিৎসা বিষয়ক পত্রিকায় এমন কথা বলা হয়েছে।
তামাক এবং অ্যালকোহল দুটিই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। ক্যানসারের মতো রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস থেকে নিজেকে দূরে রাখা জরুরি। আর এই অভ্যাসগুলির সঙ্গে যদি পান করেন গরম চা, তাহলে সমস্যা আরও বাড়ে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
পবিত্র রমজান মাসে আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে আর খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। ডায়াবেটিস রোগীদের কঠোর নিয়মকানুন মেনে খাবার ও ওষুধ গ্রহণ করতে হয়। সময়মতো খাবার ও ওষুধ না খেলে অনেকেই হাইপো ও নানারকম সমস্যায় পড়েন।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে খাওয়াদাওয়ার উপর বিশেষ নজর দেয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। কারণ কী খাচ্ছেন এবং কখন খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে রক্তে ডায়াবিটিসের মাত্রা ওঠানামা করবে কি না। বিশেষ করে ডায়াবেটিকদের খালি পেটে থাকতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়াদাওয়া করা ডায়াবিটিস রোগের অন্যতম ওষুধ। সে জন্য ডায়াবিটিস থাকলে রোজা রাখার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেহরি এবং ইফতারের ডায়েট হতে হবে স্বাস্থ্যকর। না হলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া অথবা হাইপারগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি থাকে। ডায়াবিটিস বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলে রোজা রাখতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। তার পরেও যদি রোজা রাখতেই হয়, সুস্থ থাকতে ডায়াবিটিস রোগীরা কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন?
স্বাস্থ্যকর সেহরি :
১. সাহরির শেষ সময়ের অল্প সময় আগে খাবার খেতে হবে। সেহরি বাদ দেয়া যাবে না।
২. ইফতারের সময় অধিক পরিমাণে মিষ্টি ও চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহণ না করা উচিত। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার কেবল শর্করা, রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরল বাড়ায় তা নয়, বদহজম, পেপটিক আলসারের উপসর্গ করতে পারে।
৩. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, যেন পানিশূন্যতা না হয়। প্রচুর ফলমূল, শাকসবজি, ডাল ও টকদই তালিকাভুক্ত করতে পারেন। ডাবের পানি পান করতে পারেন।
৪. খাদ্যের ক্যালরি ঠিক রেখে খাওয়ার পরিমাণ এবং ধরন ঠিক করতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণ খাওয়া প্রয়োজন। সঠিক ওজন ও ক্যালরির মাত্রা বজায় রাখুন। ৫. রমজানের আগে যে পরিমাণ ক্যালরি যুক্ত খাবার খেতেন, রমজানে ক্যালরির পরিমাণ ঠিক রেখে খাবার সময় এবং ধরন বদলাতে হবে। প্রয়োজন হলে পুষ্টিবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খাবার তালিকা ঠিক করে নিতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে, ওষুধের সঙ্গে খাবারের যেন সামঞ্জস্য থাকে। ইফতারের সময় যথেষ্ট এবং শেষ রাতে অল্প আহার পরিহার করতে হবে। শর্করাজাতীয় খাবার সেহরির সময় খেতে হবে।
জিআই-এর পরিমাণ কম এমন খাবার কম :
গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম, এমন খাবার বেশি করে খান। জিআই বেশি থাকে যে খাবারে, সেগুলি ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। কার্বোহাইর্ড্রেট, ফাইবার আছে এমন খাবারও খেতে পারেন। খাবার যা-ই হোক, পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয়। একসঙ্গে অনেকটা খেয়ে নিলে সমস্যা হতে পারে।
ডায়াবিটিসের মাত্রা মাপা জরুরি :
প্রতি দিন এক বার করে ডায়াবিটিসের মাত্রা মেপে নিন। একটু হলেও খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হয় এই সময়। তার প্রভাব পড়তে পারে ডায়াবিটিসের মাত্রার উপর। যদি দেখেন রক্তে শর্করার পরিমাণ খানিক বেশি, তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
শরীরচর্চা এবং পর্যাপ্ত ঘুম :
খাওয়াদাওয়ার অনিয়মের প্রভাব যাতে শরীরে না পড়ে, তার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস বজায় রাখুন। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়াও জরুরি। খুব সকালে যেহেতু উঠতে হয়, ফলে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া জরুরি।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
গাড়িতে চড়লে বমি বন্ধের ঘরোয়া সমাধান :
অনেক সময় তেমন কোনও কারণ ছাড়াই বমি বমি লাগে। আবার অনেকের কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময়, দীর্ঘ ক্ষণ বাসে-ট্রেনে যাতায়াতের ধকলে, মাথা ব্যথা হওয়ার কারণে বা বদ হজমের কারণে বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। হঠাৎ করে বমি হলে অনেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে।
এই সমস্যা কেন হয় এবং কী করণীয়, এ বিষয়ে অনেকেই তেমন কিছু জানেন না। বমি বমি ভাব লাগার সাধারণ কিছু কারণ আছে, মূলত এই কারণগুলোতে বমি বমি ভাব হয়ে থাকে।
বমি বমি ভাবের কারণ :
১) অতিরিক্ত ক্লান্তি,
২) গতির কারণে অসুস্থতা বা মোশন সিকনেস,
৩) যেকোনও শারীরিক ব্যথা,
৪) মাইগ্রেইনের ব্যথা,
৫) অতিরিক্ত ধূমপান,
৬) বদ হজমের সমস্যা ইত্যাদি।
রান্নাঘরের টুকিটাকি দিয়ে এই বমি বমি ভাব দূর করা সম্ভব। আসুন এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক…
১)লবঙ্গ : ১ চা চামচ লবঙ্গের গুঁড়ো ১ কাপ পানিতে ৫ মিনিট সিদ্ধ করুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে আস্তে আস্তে এটি পান করুন। আপনার যদি এর স্বাদ কটু লাগে তবে এর সঙ্গে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এ ছাড়া ১-২ টি লবঙ্গ কিছুক্ষণ চিবিয়ে নিন। এটি সঙ্গে সঙ্গে বমি বমি ভাব দূর করে দেবে।
২)লেবু : খুব সহজ এবং সস্তা একটি উপায় হল লেবু। এক টুকরো লেবু মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ চুষে নিন। এ ছাড়া এক গ্লাস পানিতে এক টুকরো লেবুর রস, এক চিমটি নুন মিশিয়ে পান করুন। এটি দ্রুত বমি বমি ভাব দূর করে দিবে। এক টুকরো লেবু নাকের কাছে নিয়ে কিছুক্ষণ শুঁকে দেখতে পারেন, এটিও শারীরিক অস্বস্তি অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
৩)জিরা : জিরা আরেকটি উপাদান যা আপনার বমি বমি ভাব নিমিষে দূর করে দিবে। কিছু পরিমাণ জিরা গুঁড়ো করে নিন, তারপর সেটি খেয়ে ফেলুন। মুহূর্তের মধ্যে বমি বমি ভাব দূর হয়ে যাবে।
৪)আদা : দ্রুত বমি বমি ভাব দূর করতে আদা খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। এক টুকরা আদা চায়ের সঙ্গে খান, এটি দ্রুত বমি বমি ভাব দূর করে দেবে। আদা হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ১ টেবিল চামচ আদার রস, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে খেয়ে দেখুন। এটিও বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
তরমুজ হলো একটি গ্রীষ্মকালীন ফল এই ফলে রয়েছে ভিটামিন-এ ফলটি ইতোমধ্যে বাজারে উঠেও গেছে। ফলটি কেনার আগে কিছু বিষয় লক্ষ না রাখলে শুকনা ও কাঁচা তরমুজ কিনে ঠকে যেতে পারেন আপনি। কীভাবে চিনবেন মিষ্টি ও রসালো তরমুজ?
আসুন জেনে নিন তরমুজ চেনার কয়েকটি উপায় :-
১) কেনার সময় তরমুজের গায়ে বড় ধরনের হলুদ দাগ আছে কিনা সেটা যাচাই করে নেবেন। এর মানে অর্থ তরমুজটি পাকা ও রসালো। জমির উপর অনেকদিন থাকার ফলে এই ধরনের হলুদ দাগ হয় তরমুজের গায়ে। এতে বোঝা যায় পাকার পর জমি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে তরমুজ।
২) তরমুজ হাতে নিয়ে দেখুন। তুলনামূলক হালকা বা ফাঁপা মনে হলে সেটা কিনবেন না। রসালো তরমুজ ভারি হবে।
৩) পাকা তরমুজ সাধারণত গাঢ় ও কালচে রঙের হয়।
৪) তরমুজের গোড়ায় শুকিয়ে যাওয়া বোঁটা থাকলে বুঝবেন সেটা ঠিক মতো পাকার পর এসেছে বাজারে।
৫) একদিকে বড় অন্যদিকে ছোট এমন তরমুজ না কিনে সবদিক সমান এমনটা বেছে কিনুন। অনেক সময় পর্যাপ্ত রস না থাকলে তরমুজ সমান হয় না আকারে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
বাথরুমে হোক কিংবা পুকুরে- গোসল করতে গিয়ে অনেক সময় কানে পানি ঢুকে যায়। যা খুব অস্বস্তিকর এক অবস্থার সৃষ্টি করে। কানে আঙুল ঢুকিয়ে বা মাথা ঝাকিয়ে পানি বের করার চেষ্টা করলেও, সবসময় সেই পদ্ধতি কাজে দেয় না। অথচ কানের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ পানি জমে থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। খুব সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে কানের পানি সহজেই বের করা যায়। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কানের লতি ধরে ঝাঁকান : এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই কান থেকে পানি বেরিয়ে আসবে। যে কানে পানি ঢুকেছে সেই দিকে মাথা কাত করে কানের লতি ধরে আলতোভাবে টানুন কিংবা ঝাঁকান।
পাশ ফিরে শুয়ে পড়ুন : যে কানে পানি ঢুকেছে সেই দিকে পাশ ফিরে, কানের নিচে তোয়ালে রেখে কয়েক মিনিটের জন্য শুয়ে থাকুন। দেখবেন কান থেকে পানি ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসবে।
* কানে চাপ দিন: যে কানে পানি ঢুকেছে, সেই দিকে মাথাটি কাত করুন। তারপর হাতের তালু রাখুন কানের উপরে এবং চাপ দিন। চাপ দিয়েই হাতটি সরিয়ে নিন। দেখবেন খানিকটা পানি বের হয়ে গেছে। এভাবে বেশ কয়েক বার করুন। এতে ভ্যাকুয়ামের মতো কাজ করে পানি বের হয়ে আসবে। ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করুন : ব্লো ড্রায়ারের তাপ কানের ভেতরে থাকা জলকে বাষ্পে পরিণত করতে সহায়তা করবে। তবে ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করার সময় অবশ্যই কান থেকে প্রায় এক ফুট দূরে ধরে রাখবেন এবং ড্রায়ারের লোয়েস্ট সেটিংসটি ব্যবহার করবেন। কানের লতি হালকা টেনে ধরে হেয়ার ড্রায়ারের উষ্ণ বাতাস আপনার কানের ভেতরে ঢুকতে দিন। ব্লো ড্রায়ার একভাবে কানের সামনে ধরে রাখবেন না, সামনে-পিছনে সরাতে থাকবেন।
অ্যালকোহল এবং ভিনেগার ইয়ার ড্রপ ব্যবহার করুন: অ্যালকোহল কানের জলকে বাষ্পীভূত করতে সহায়তা করে। তাছাড়া এটি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। আর যদি কানের ময়লার কারণে পানি আটকে থাকে, তাহলে ভিনেগার তা অপসারণ করতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে সম পরিমাণ অ্যালকোহল এবং ভিনেগার মিশিয়ে নিন। তারপর ওই মিশ্রণ থেকে তিন বা চার ফোঁটা কানে দিয়ে কানের বাইরের দিকটা আলতো করে ঘষুন। এরপর ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করে, যে কানে পানি ঢুকেছে সেই পাশে মাথা কাত করুন। দেখবেন পানি বেরিয়ে আসবে। তবে আপনার যদি কানে ইনফেকশন, কানের পর্দায় ছিদ্র থাকে কিংবা কানের অন্য কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে এই ড্রপের ব্যবহার করবেন না।
অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন : অলিভ অয়েল কানে ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সহায়ক এবং কান থেকে খুব সহজেই পানি বের করে দিতে পারে। একটি পাত্রে কিছুটা অলিভ অয়েল হালকা গরম করে নিন। তারপর তাপমাত্রা পরীক্ষা করে একটি পরিষ্কার ড্রপারের সাহায্যে আক্রান্ত কানে কয়েক ফোঁটা তেল দিন। ১০ মিনিট রেখে ওই কানটিকে এক পাশে কাত করুন। দেখবেন তেল ও পানি এক সঙ্গেই বেরিয়ে যাবে।
সাধারণত কানের আটকে পড়া পানি অল্প সময়ের মধ্যেই বেরিয়ে আসে। কোনো জটিলতায় ২৪ ঘণ্টার বেশি পানি আটকে থাকলে অতিদ্রুত কোনো ইএনটি স্পেশালিস্ট অর্থাৎ নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তুলা, পিন, কটনবাড, আঙুলসহ অস্বাস্থ্যকর কোনো বস্তু ব্যবহার করে কানের জমাট পানি বের করার চেষ্টা করবেন না। কানের ভেতরের অংশগুলো যথেষ্ট স্পর্শকাতর হয়।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
শুধু শীতেই ত্বকফাটে এমনটা নয়। গরমকালেও শুকিয়ে যেতে পারে ত্বক। শীতের সময়ে আমরা নানাভাবে রুক্ষ ত্বকেরযত্ন নিই।কিন্তু গরমে রুক্ষ ত্বকের যত্ন অনেকেই নেন না। যদিও এটিও খুব দরকারি। গরমে ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়ার কারণ-
*গরমে শরীরের বেশির ভাগ জল ঘামের মাধ্যমে বেড়িয়ে যায়।সেই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে উঠবে।
*দিনের বেশির ভাগ সময় এয়ারকন্ডিশন ঘরে থাকলেও ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যায়।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি গরমেশুষ্ক ত্বকের যত্ননে বেন কীভাবে :
১. গ্লিসারিনএবং গোলাপ জল: গ্লিসারিন এবং গোলাপ জলদিয়েএকটিDIY ময়েশ্চারাইজার তৈরি করতে পারেন। কারণ একদিকে গ্লিসারিন আপনার ত্বককে নরম এবং হাইড্রেট করবে, অন্যদিকে গোলাপ জল আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করেতুলবে।
কীভাবে বানাবেন : এই ময়েশ্চারাইজারটি তৈরি করতে, এক চা চামচ বিশুদ্ধ গ্লিসারিনের সঙ্গে ১০০ মিলিলিটার গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মুখ ও শরীরের ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে এই লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
২. অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেল আপনার ত্বকে ম্যাজিকের মতোকাজ করবে। এতে ভিটামিনA, C, E, B12এবং ত্বকের উপকারী অনেক মিনারেলস্ রয়েছে। আসলে, অ্যালোভেরাতে উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিডে আপনার ত্বককে ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করবে এবং এটিকে আরও উজ্জ্বলকরে তুলবে।
কীভাবে বানাবেন : অ্যালোভেরার জেল বা জুস ত্বকে লাগান এবং তারপর ২০ মিনিট পর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে তৈলাক্ত না করে ময়েশ্চারাইজ করবে।
৩. মধু: মধু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকেরআর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে নরম করে এবং রুক্ষ জায়গাগুলিকে মসৃণ করে। এটি সব ধরনের ত্বকের সঙ্গে মানানসই।
কীভাবে বানাবেন : এই ময়েশ্চারাইজার তৈরি করতে জলে মধু মিশিয়ে গোটাশরীরে লাগান। ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন তারপর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কমলালেবুররসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে, ঘাড়ে এবং বাহুতে লাগাতে পারেন তাতেত্বক নরম ও মসৃণ হয়। তারপর,সেটি রেখে ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
৪. ময়শ্চারাইজিং স্ক্রাব (অলিভ অয়েল এবং চিনি): চিনি একটি দুর্দান্ত স্ক্রাবিং এজেন্ট হিসাবে কাজ করে যা ত্বকের বাইরের স্তর থেকে মৃত ত্বকের কোষকে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে, এটি ত্বকের শুষ্কতা রোধ করে।অলিভ অয়েলের সঙ্গেচিনি যোগ করে লাগালেআপনি মসৃণএবং উজ্জ্বল ত্বক অবশ্যই পেতে পারেন।
কীভাবে বানাবেন :
অলিভ অয়েল এবং চিনির সংমিশ্রণ ব্যবহার করে একটি ময়শ্চারাইজিং এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব তৈরি করতে, আধা কাপ চিনির সঙ্গে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। ল্যাভেন্ডারের মতো তেলও যোগ করতে পারেন। এর পরে ত্বকে আলতো করে স্ক্রাবটি ঘষুন এবং৫মিনিটপরে ধুয়ে ফেলুন। তাজা,মসৃণও উজ্জ্বলত্বকপেতে এই ময়েশ্চারাইজারটি ব্যবহার করুন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
বাদাম স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে বেশ সুপরিচিত। এতে রয়েছে ক্যালরি, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ম্যাংগানিজ ইত্যাদি।
বাদাম থেকে শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। এছাড়া এতে রয়েছে সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন ও ইন্টারলিউকিন যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফাইবার সমৃদ্ধ বাদাম দূর করে হজমের গণ্ডগোল।
বাদাম খেলে হৃদপিণ্ড সক্রিয় থাকে। নিয়মিত বাদাম খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনকি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বাদাম।
বাদাম কাঁচা বা ভাজা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়। তবে কোন বাদাম খাওয়া বেশি উপকারী?
দুই ধরণের বাদামেই রয়েছে উপকারিতা। কাঁচা বাদামে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া থাকে যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার ভাজা বাদাম হারিয়ে ফেলে কিছু পুষ্টিগুণ।
ফলে বাইরে থেকে সরাসরি ভাজা বাদাম না কিনে কাঁচা বাদাম কিনে তা বাড়িতে ভেজে খেতে পারেন। এতে বাইরের অতিরিক্ত লবণ, চিনি কিংবা তেল থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
গরমে নাকাল জনজীবন। দেশজুড়ে বইছে মৃদু তাপদাহ। আবহাওয়া বদলের সময়ই এখন। এই রোদ তো এই বৃষ্টি। গত রাতে হালকা বৃষ্টি হলেও কমেনি তাপমাত্রা। এই গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের পানির উপর নির্ভর করেন অনেকেই। বিশেষ করে বাইরের জুস বা শরবতের থেকে ডাবের পানি অনেক বেশি নিরাপদ।
রোদে পুড়ে আসার পর যদি পাওয়া যায় একটু ডাবের পানি তাহলেতো আর কথাই নেই। গরমের তীব্র দাবদাহে ডাবের পানির মত শান্তি আর বোধহয় কিছুতে নেই। এই ডাবের পানি শুধু যে মনে শান্তি আনে তা নয়। শরীরকে ভালো রাখতেও এর উপকারিতা অনেক। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিনস, মিনারেলস, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও আরও পুষ্টি গুণে ভরা ডাবের পানি ত্বক ও চুলকে ভালো রাখতেও সাহায্য করে। ডাবের পানি আমাদের শরীরে কী কী উপকার বয়ে আনে চলুন জেনে নেই-
ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, সোডিয়াম রয়েছে। তাই শরীরে এই সব খনিজের অভাব রুখে দিতে পারে ডাবের পানি। প্রতি দিন এই ডাবের পানি ডায়েটে রাখলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে। পটাশিয়াম থাকায় ডায়ারিয়া রুখতে এই পানি খুব প্রয়োজনীয়।
ডাবের পানি প্রাকৃতিক ভাবেই স্যালাইনের কাজ করে। ক্লান্তি কমাতে, শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুব উপকারী এই পানি। সমুদ্র উপকূলে বা রোদে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা দিনে দু’-তিনটি ডাবও খেতে পারেন।
ডাবের পানিতে বেশ কিছু উপকারী উৎসেচক থাকায় তা হজম অত্যন্ত সাহায্য করে। অনেকেরই ভারী কিছু খাওয়ার পর ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার অভ্যাস আছে। সে অভ্যাস বাদ দিয়ে ডাবের পানি খান ঠান্ডা পানীয়র পরিবর্তে।
ডাবের পানিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ভেতর থেকে তরতাজা রাখে এবং ত্বক আস্তে আস্তে উজ্জ্বল হয়। যদি রোজ ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়া যায় তাহলে পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
ডাবের পানি ত্বককে চকচকে করার পাশাপাশি, এটি প্রাকৃতিক ময়েশচারের কাজ করে। এর পাশাপাশি ত্বক তৈলাক্ত হলে ত্বকের অতিরিক্ত তেলকে দূর করে। এবং স্কিনকে ময়েশচারাইজড করে।
ডাবের পানি প্রাকৃতিক টোনার হিসাবে কাজ করে। এটি স্কিনে পিগমেনটেশন, ব্লেমিসেস দূর করে। স্কিনের অন্যান্য সমস্যা বা ইনফেকশনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ডাবের পানি। এটি স্কিনের ইনফেকশন কমায়। কারণ এতে আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ।
ত্বকের সাথে চুলের সমস্যা ও চুলকে ভালো রাখতেও ডাবের জল উপকারী। ডাবের জল স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। তার ফলে চুল কম পরে। এছাড়াও ডাবের জল প্রাকৃতিক কন্ডিশানারের কাজ করে। চুলকে রুক্ষ হয়ে যাবার হাত থেকে বাঁচায়। চুলকে চকচকে ও নরম রাখতে সাহায্য করে। খুসকির সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে।ডাবের পানি শরীরে পানির ভারসাম্য রাখে। অনেক সময়ই অতিরিক্ত তেল-মশলা, ঠান্ডা পানীয় এ সব আমাদের শরীরে পানির চাহিদা বাড়ায়। তাই ক্ষতিকর খাবারের বদলে ডায়েটে রাখুন ডাবের পানি।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
গরম মানেই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। অর্থাৎ প্যাচপ্যাচে ঘামে ভিজে যাওয়া শরীর। এই পরিস্থিতিতে শরীকে ঠাণ্ডা রাখতে এবং দেহে জলের পরিমান ঠিক রাখতে যা খাবেন জেনে নিন
১) শসা – শরীরের জন্য শসা বিশেষ উপকারি। এতে থাকে ভিটামিন K, পটা পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার, যা শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেয় না। শরীররে ঠাণ্ডা রাখে। তাছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।
২) আম পানা – গরমের দিনে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার অন্যতম উপায় হয় আম পানা। আর এটা শুধু শরীরকে ঠাণ্ডাই রাখে না হজম শক্তিও বাড়ায়।
৩) বাটার মিল্ক – শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা শুধু ত্বককেই ভাল রাখে তাই নয়, হজম শক্তিও উন্নত করে।
৪) পুদিনা – বাজারে খুব কম দামেই পাওয়া যায় পুদিনা পাতা, যা শরীরকে ঠাণ্ডা ও সতেজ রাখার অন্যতম উপাদান। চাটনি, বাটার মিল্ক বা রায়তায় সঙ্গে অনায়াসেই এটি খাওয়া যায়।
৫) পেঁয়াজ – শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার আরও একটি খাদ্য সামগ্রী হল পেঁয়াজ। লু থেকে বাঁচার জন্য তো কেউ কেউ কাঁচা পেঁয়াজও খেয়ে নেন। তাছাড়া পেঁয়াজে উপস্থিত কোয়ারসেটিন নামক উপাদান শরীরকে বিপজ্জনক এলার্জি থেকেও রক্ষা করে।
৬) ডাবের জল – ডাবের জল খেলে দেহকোষে জলের অভাব তৈরি হয় না। আর শুধু শরীরকে ঠাণ্ডা রাখাই নয়, ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো জ্বরে ডাবের জল প্লেটলেট কাউন্ট কাউন্ট বাড়িয়ে তোলে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
মাইগ্রেনের সমস্যা আমাদের অনেকেরই রয়েছে। মাইগ্রেন হলো একটি ভিন্ন ধরনের মাথাব্যথা। মেয়েদের মধ্যে এ রোগ যেমন দেখা যায় তেমনি পুরুষের বেলায়ও দেখা যায়। মাইগ্রেনে আক্রান্ত রোগীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের এই রোগ সম্পর্কে জানা জরুরি। মাইগ্রেন যে শুধু ওষুধে নিয়ন্ত্রণ হয় তা কিন্তু নয়। কিছু খাবার আছে যা খেলেও মাইগ্রেনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
কেন মাইগ্রেন হয়? মাথার ভেতরের রক্ত চলাচলের তারতম্যের কারণে মাইগ্রেন হয়। রক্ত চলাচল কমে গেলে হঠাৎ করে চোখে সব অন্ধকার দেখা যায় এবং পরে রক্ত চলাচল হঠাৎ বেড়ে গিয়ে প্রচণ্ড মাথাব্যথার অনুভূতি তৈরি হয়। চকোলেট, পনির, কফি ইত্যাদি বেশি খাওয়া, জন্মবিরতিকরণ ওষুধ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ভ্রমণ, ব্যায়াম ইত্যাদির কারণে এ রোগ হতে পারে।
মাইগ্রেনের সমস্যা হলে মাথার এক পাশ বা দুই পাশজুড়ে প্রচণ্ড ব্যথা হয়।এছাড়া বমিভাব, বমি, চোখব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখাসহ ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। মাইগ্রেনের সঙ্গে জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাসের সম্পর্ক রয়েছে। কিছু খাবার আছে যা খেলে আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করে যেসব খাবার
বাঁধাকপি :
বাঁধাকপি-বাঁধাকপির ম্যাগনেশিয়াম, ওমেগা ৩ ও ফাইবার, বাঁধাকপির স্যুপ ও স্মুথি বা সালাদ। এসব খাবার, মাইগ্রেনের ব্যথা কমান। এছাড়া রয়েছে গাজর ও মিষ্টি আলু। গাজর ও মিষ্টি আলুতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। আরও রয়েছে ভিটামিন সি, বি২, বি৬, নিয়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস আছে, যা ব্যথা ও প্রদাহ দূর করে।
মাশরুম :
মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আরেকটি বিশেষ খাবার হচ্ছে মাশরুম। মাশরুমে ম্যাগনেশিয়াম ও রিবোফ্লোবিন থাকায় মাইগ্রেনের স্থিতি ও পুনরাবৃত্তি রোধ করে।
চেরি :
মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে চেরি ফলের জুসও ভালো বেশ উপকারী। চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনলস নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। চেরি স্ট্রেস দূর করে, মাথাব্যথা কমায়।
অরগান মিট :
ভ্রমণে গেলে অনেকের মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। তারা খেতে পারেন অরগান মিট। ভ্রমণের সময় এই অরগান মিট রাখতে পারেন বা যাত্রার আগে খেতে পারেন।
চিংড়ি ও আদা চা :
চিংড়ির অ্যাসটাজ্যানথিন মাইগ্রেনের অ্যাটাক কমায়। এছাড়া মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে আদা চা বেশ কাজে দেবে।
মাইগ্রেনের সমস্যা যা খাবেন না :
চকোলেট, অ্যালকোহল (ওয়াইন), ডিম, দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য, পেঁয়াজ, টমেটো, সাদা রুটি মাইগ্রেনের অ্যাটাকের সময় ভুলেও খাবেন না। ব্যথা হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
বারবার মাইগ্রেনের আক্রমণ কমানোর জন্য পিজোটিফেন, অ্যামিট্টিপটাইলিন, বিটাব্লকার-জাতীয় ওষুধ কার্যকর। মাথাব্যথা শুরু হলে প্যারাসিটামল, এসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক-জাতীয় ওষুধ ভালো। বমির ভাব কমানোর জন্য মেটোক্লোর প্রোমাইড, ডমপিরিডন-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব ওষুধে মাথাব্যথা না কমলে সুমাট্টিপটান, আরগোটামাইন-জাতীয় ওষুধে অনেক সময় যথেষ্ট স্বস্তি পাওয়া যায়। সবচেয়ে বড় কথা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রেই বারবার এ রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
মনে রাখবেন, সব মাথাব্যথাই মাইগ্রেন নয়, দৃষ্টিস্বল্পতা, মস্তিষ্কের টিউমার, মাথায় রক্তক্ষরণ প্রভৃতি কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চক্ষুবিশেষজ্ঞের পাশাপাশি স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
হেঁচকি এমন একটা সমস্যা যা খাবার খাওয়ার সময়, কোনো কাজের সময় বা যেকোনো সময়ই শুরু হয়ে যায়। অনবরত হেঁচকি হলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়, অথচ এটা এড়ানোও বেশ কঠিন। অনেকেই জানেন না কখন এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিপাকতন্ত্রের গোলমালের কারণেই মানুষের হেঁচকি আসে।
হেঁচকি থামাবার সহজ উপায় জেনে নিন :
নি:শ্বাস আটকে রাখা : বড় একটি নিশ্বাস নিন এবং যতক্ষণ সম্ভব আটকে রাখার চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে নাক চেপে রাখতে ভুলবেন নাগ। যাতে বাতাস বেরিয়ে যেতে না পারে। কয়েকবার করলেই হেঁচকি গায়েব।
এক চামচ পিনাট বাটার : পিনাট বাটার তো এমনিতেই খেতে বেশ ভালো। তাই হেঁচকি উঠলে দেরি না করে ঝটপট খেয়ে নিতে হবে এক চামচ পিনাট বাটার।
এক চামচ চিনি : ওজন কমাতে চিনি থেকে আপনি দূরে থাকলেও হেঁচকি উঠলে এক চামচ চিনি খেয়ে নিতে দেরি করবেন না। এক চামচ চিনি আপনাকে অনবরত হেঁচকির যন্ত্রণা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দিতে সক্ষম।
জিহ্বা টেনে ধরে রাখুন : অনবরত হেঁচকি উঠলে জিহ্বা বের করে আঙ্গুল দিয়ে টেনে ধরে রাখুন কিছুক্ষণ। হেঁচকি থেমে যাবে।
কানে আঙ্গুল দিয়ে রাখুন : দুই কান আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে রাখুন। এমনভাবে চেপে রাখুন যেন আপনি কিছুই শুনছেন না। তবে অতিরিক্ত জোরে চেপে ধরবেন না যেন। কিছুক্ষণ এভাবেই থাকুন। দেখবেন হেঁচকি চলে যাবে।
পানি পান বা গার্গল : বড় এক গ্লাস পানি পান করুন না হয় গার্গল করার চেষ্টা করুন। হেঁচকি থামাতে চমৎকার কাজ করবে এই টিপস।
একটি কাগজের ব্যাগে শ্বাস প্রশ্বাস নিন : একটি কাগজের ব্যাগ নিন আর তাতে মুখ রেখে শ্বাস প্রশ্বাস নিন। এতে আপনার রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায় আর সেই সঙ্গে এটি হেঁচকি থামাতেও দারুণভাবে কাজ করে।
ভয় পাওয়ার ব্যবস্থা করুন : নিজেকে ভয় পাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন। কেননা আপনি ভয় পেলে তা আপনার নার্ভগুলোকেও চমকে দেয়। আর সে কারণেই আপনার হেঁচকিও থেমে যায়। তাই হেঁচকি উঠলে হরর মুভি দেখা শুরু করুন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
গরমকাল এলেই ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ব্রণ, তৈলাক্ত ত্বক, ঘামের দুর্গন্ধ ইত্যাদি। ঘামের দুর্গন্ধ হওয়া একধরণের রোগ বটে। এটি তীব্র হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ঘামের দুর্গন্ধ এমন একটি বিষয় যা আপনার ব্যক্তিত্বের ওপরও প্রভাব ফেলে। অনেকেই এর থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ডিওডোরেন্ট বা সুগন্ধি ব্যবহার করেন। কিন্তু সবসময় এটি কার্যকর ফল নাও দিতে পারে। বিব্রতকর সমস্যাটি থেকে মুক্তি পেতে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন-
লেবু :
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে সবচেয়ে বেশি কর্যকরী লেবু। একটি লেবু কেটে অর্ধেকের রস নিন। এর সঙ্গে অল্প পানি মেশান। এবার তুলার সাহায্যে এই মিশ্রণ আন্ডারআর্মে লাগিয়ে নিন। চাইলে কর্ন স্টার্চ এবং লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে পারেন। এই মিশ্রণ হাতে, পায়ে, আন্ডারআর্মে বা সারা শরীরে লাগান। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে গোসল করে ফেলুন। এতে সারাদিন সতেজ থাকবেন। গন্ধও থাকবে না।
টমেটো :
রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় এই সবজিটি ঘামের গন্ধ দূর করতে খুবই উপযোগী। দুই থেকে তিনটি টমেটোর রস বের করে গোসলের বালতির পানিতে দিন। এই পানিতেই গোসল করুন। পা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে এই পানিতে ৩০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটিতে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে।
বেকিং সোডা :
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে বেকিং সোডার জুড়ি মেলা ভার। ট্যালকম পাউডারের মতো এটি ব্যবহার করতে পারেন। পায়ে বা আন্ডারআর্ম থেকে দুর্গন্ধ হলে বেকিং সোডা লাগিয়ে রাখুন। এরপর ভেজা ওয়াইপের সাহায্যে মুছে ফেলুন। চাইলে বেকিং সোডার সঙ্গে পানি মিশিয়ে স্প্রেও করতে পারেন। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এবার এটি পারফিউমের মতো স্প্রে করুন। এতে দুর্গন্ধের সমস্যা দূর হবে।
গ্রিন টি :
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে গ্রিন টিও ভালো কাজ করে। একটি প্যানে পানি বসিয়ে গরম করুন। এবার এতে গ্রিন টি পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এবার এই চা পাতা সমেত পানিতে একটি তুলোর বল ডুবিয়ে শরীরে লাগান। যেখানে অতিরিক্ত ঘাম হয়, সেখানে ঘষে দিন। দুর্গন্ধ দূর হবে।
ভিনেগার :
শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য, একটি তুলোর প্যাডে আলতো করে ভিনেগার নিয়ে চাপুন এবং ঘামযুক্ত জায়গায় প্রয়োগ করুন। এটি ত্বকের pH এর ভারসাম্য বজায় রাখবে এবং ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলবে। ফলে দুর্গন্ধের সমস্যা দূর হয়। চাইলে বেকিং সোডার মতো পানি মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
মাছে-ভাতে বাঙালির কাছে মাছ খুবই প্রিয় একটি পদ। তবে এ প্রজন্মের অনেকেই মাছ খেতে চান না কাঁটার ভয়ে। ইলিশের স্বাদও অনেকে দূরে সরিয়ে রাখেন শুধুমাত্র অতিরিক্ত কাঁটার জন্য। তৃপ্তিভরে মাছ ভাত খেতে খেতে হঠাৎ গলায় কাঁটা বিঁধে গেলেই সর্বনাশ!
নিত্যদিনের ব্যস্ততার মধ্যে, তাড়াহুড়োয় এই কাঁটা বাছার ঝামেলা এড়াতেই মাছ খেতে চান না অনেকে। অনেকেই গলায় বিঁধে যাওয়া মাছের কাঁটা দূর করার সহজ উপায় হিসাবে এক দলা সাদা ভাতের মণ্ড খেয়ে থাকেন। নরম ছোট কাঁটা হলে এতে অনেক সময় নেমেও যায়। তবে এ ছাড়াও বেশ কিছু ঘরোয়া উপায়ে গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটা দূর করা যায়। জানুন কীভাবে সহজেই এই কাঁটা গলা থেকে সরাতে পারবেন।
গলায় কাঁটা বিঁধলে দেরি না করে অল্প অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। অলিভ অয়েল অন্য তেলের তুলনায় বেশি পিচ্ছিল। তাই গলা থেকে কাঁটা পিছলে নেমে যাবে সহজেই।
গলায় কাঁটা আটকালে হালকা গরম পানিতে একটু লেবু নিংড়ে সেই মিশ্রণ খান। লেবুর অ্যাসিডিক ক্ষমতা কাঁটাকে নরম করে দিতে সক্ষম। ফলে গরম পানিতে একটু লেবু নিংড়ে খেলে কাঁটা নরম হয়ে নামবে সহজেই।
জলের সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে নিন। ভিনিগার গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটাকে নরম করার ক্ষমতা রাখে। তাই পানির সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে খেলে কাঁটা সহজেই নেমে যায়।
লবণও কাঁটা নরম করে। তবে শুধু লবণ না খেয়ে পানিতে লবণ মেশিয়ে নিন। প্রথমে একটু পানি সামান্য উষ্ণ গরম করে নিয়ে সেই পানিতে বেশ খানিকটা লবণ মিশিয়ে নিন। এই উষ্ণ লবণ পানি খেলে গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটা সহজেই নেমে যাবে।
গলায় কাঁটা বিঁধলে খানিকটা ভাত বা পাউরুটি চটকে ছোট ছোট মণ্ড করে নিন। এ বার একবারে গিলে ফেলুন। ভাত বা পাউরুটির মণ্ডের ধাক্কায় গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা সহজেই নেমে যাবে।
|
|
|
|
|
|
|