লেন্স ব্যবহারে ঝুঁকির কথা মাথায় রাখুন
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
চেহারায় সৌন্দর্য বাড়াতে বর্তমানে অনেকে ব্যবহার করেন কন্টাক্ট লেন্স। আবার চোখের সমস্যার কারণেও অনেকে পাওয়ার লেন্স ব্যবহার করে থাকেন। যারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে তেমন বিপত্তি হওয়ার শঙ্কা নেই। তবে যারা সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লেন্স ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কোনো নিয়ম-কানুন না মেনে চললে চোখের বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে এই লেন্সে। তাই বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো লেন্স ব্যবহারকারীদের। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো সম্পর্কে।
১. আপনার লেন্স রাখার পাত্রটি পরিষ্কার রাখা জরুরি। লেন্স উপযুক্ত সলিউশন বা তরল দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার না করে রাখলে চোখে সমস্যা হতে পারে। ২. লেন্স পরার আগে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এরপর হাত ভালো করে মুছে শুকিয়ে নিয়ে তারপর লেন্স ধরুন। ৩. কন্টাক্ট লেন্স পরে সাঁতার কাটা যাবে না। লেন্স পরে মুখে পানির ঝাপটা না দেওয়া ভালো। ৪. লেন্স পরে ভুলেও কখনো ঘুমাতে যাবেন না। এতে করে চোখে সংক্রমণ হতে পারে। ঘুমানোর আগে তাই লেন্স খুলে নিতে হবে। লেন্স পরে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে দৃষ্টিশক্তিও চলে যেতে পারে। ৫. চোখে ইনফেকশন থাকলে লেন্স না পরাই ভালো। এ ক্ষেত্রে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পরার পর চোখে কোনো ধরনের সমস্যা হলে লেন্স অবশ্যই খুলে ফেলতে হবে। ৬. মেয়াদ পেরিয়ে গেলে আপনার লেন্স যত দামিই হোক না কেন, ভুলেও ব্যবহার করবেন না। ৭. চোখে আইলাইনার, কাজল বা মাশকারা ব্যবহার করতে হলে আগে লেন্স পরে নেওয়া ভালো। তারপর চোখের মেক আপ করতে হবে। লেন্স পরে মেক আপ করলে অনেক সময় লেন্সে কাজল বা মাশকারা লেগে যেতে পারে। এর ফলে চোখে সংক্রমণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ থাকে, লেন্স ব্যবহার করলে চোখের মেক আপ না করার। তবে একান্তই যদি করতে হয় ব্যবহারকারীকে সাবধান থাকতে হবে।
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
চেহারায় সৌন্দর্য বাড়াতে বর্তমানে অনেকে ব্যবহার করেন কন্টাক্ট লেন্স। আবার চোখের সমস্যার কারণেও অনেকে পাওয়ার লেন্স ব্যবহার করে থাকেন। যারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে তেমন বিপত্তি হওয়ার শঙ্কা নেই। তবে যারা সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লেন্স ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কোনো নিয়ম-কানুন না মেনে চললে চোখের বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে এই লেন্সে। তাই বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো লেন্স ব্যবহারকারীদের। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো সম্পর্কে।
১. আপনার লেন্স রাখার পাত্রটি পরিষ্কার রাখা জরুরি। লেন্স উপযুক্ত সলিউশন বা তরল দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার না করে রাখলে চোখে সমস্যা হতে পারে। ২. লেন্স পরার আগে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এরপর হাত ভালো করে মুছে শুকিয়ে নিয়ে তারপর লেন্স ধরুন। ৩. কন্টাক্ট লেন্স পরে সাঁতার কাটা যাবে না। লেন্স পরে মুখে পানির ঝাপটা না দেওয়া ভালো। ৪. লেন্স পরে ভুলেও কখনো ঘুমাতে যাবেন না। এতে করে চোখে সংক্রমণ হতে পারে। ঘুমানোর আগে তাই লেন্স খুলে নিতে হবে। লেন্স পরে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে দৃষ্টিশক্তিও চলে যেতে পারে। ৫. চোখে ইনফেকশন থাকলে লেন্স না পরাই ভালো। এ ক্ষেত্রে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পরার পর চোখে কোনো ধরনের সমস্যা হলে লেন্স অবশ্যই খুলে ফেলতে হবে। ৬. মেয়াদ পেরিয়ে গেলে আপনার লেন্স যত দামিই হোক না কেন, ভুলেও ব্যবহার করবেন না। ৭. চোখে আইলাইনার, কাজল বা মাশকারা ব্যবহার করতে হলে আগে লেন্স পরে নেওয়া ভালো। তারপর চোখের মেক আপ করতে হবে। লেন্স পরে মেক আপ করলে অনেক সময় লেন্সে কাজল বা মাশকারা লেগে যেতে পারে। এর ফলে চোখে সংক্রমণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ থাকে, লেন্স ব্যবহার করলে চোখের মেক আপ না করার। তবে একান্তই যদি করতে হয় ব্যবহারকারীকে সাবধান থাকতে হবে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া বেশ কষ্টদায়ক এক অসুখ। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ লোক কোনো না কোনোভাবে এই রোগে ভুগেন। এ রোগের নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। যদিও এটা প্রাথমিক যত্নের ফলে সারিয়ে তোলা সম্ভব অন্যদিকে কখনও কখনও প্রয়োজন পড়ে চিকিৎসার। কোন পর্যায়ে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সেটাও বুতে হবে।
কারণ: মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার প্রধান কারণ হলো মাড়ির লাইনে প্ল্যাক গঠন হওয়া। এতে মাড়িতে প্রদাহ হতে পারে, জিহ্বা মাড়ি ফুলে যেতে পারে।
মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার অন্য কারণগুলো হলো :
১. রক্তপাতের যেকোনো অস্বাভাবিকতা
২. জোরে জোরে দাঁত ব্রাশ করা
৩. গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন
৪. ঠিকমতো কৃত্রিম দাঁত না বসা
৫. ঠিকমতো ফ্লসিং না করা
৬. দাঁতে বা মাড়িতে ইনফেকশন
৭. লিউকোমিয়া, এক ধরনের রক্তের ক্যানসার
৮. স্কার্ভি, ভিটামিন সি-এর ঘাটতি
৯. রক্ত পাতলাকারী ওষুধ
১০. ভিটামিন কে-এর ঘাটতি
মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে যা করবেন :
১. রোগীকে বসিয়ে মাথা আঘাতের দিকে নিচু করুন, যাতে রক্ত বেরিয়ে যেতে পারে।
২. একটা পুরু প্যাড অথবা গজ বা পরিষ্কার কাপড় রাখুন। তবে সেটি রক্তপাতের গর্তে ঢোকাবেন না। প্যাডে পুরু হতে হবে।
৩. রোগী প্যাডটি আঙুলের সাহায্যে জায়গামতো ধরে ১০-২০ মিনিট পর প্যাড পরিবর্তন করবেন, যদি কখনো গর্ত থেকে রক্ত বের হতে থাকে।
৪. মুখ পরিষ্কার করবেন না, তাতে রক্ত জমাটের কাজে সমস্যা হতে পারে।
৫. পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো ধরনের গরম পানীয় খাবেন না।
ডাক্তার দেখাবেন যখন :
১. যদি রক্তপাত তীব্র হয় কিংবা দীর্ঘ সময় ধরে হতে থাকে।
২. চিকিৎসা করার পরও যদি আপনার মাড়ি থেকে অবিরাম রক্ত বের হতে থাকে।
৩. রক্তপাতের সঙ্গে যদি অন্য উপসর্গ থাকে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
পিরিয়ডের সময় ব্যথা কম বেশি সব নারীদের হয়ে থাকে। অনেকের জন্য এটি সহ্য করা খুব কষ্টকর হয়ে পড়ে আবার অনেকের খুব বেশি ভুগতে হয় না। সাধারণত তলপেট আর পেলভিক এরিয়াতে ব্যথায় বেশি কষ্ট হয়। এ ছাড়া মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, মেজাজ পরিবর্তন ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় অনেকের।
ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে বেশীরভাগ নারীই ওষুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে এ সময়ে ঘরোয়া নানা সমাধানের দিকে মনোযোগ দেওয়াই উত্তম। এ ছাড়া কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পারে।
চলুন জেনে নেই কোন খাবারগুলো পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা কমাতে কাজ করে- পিরিয়ডে কি খাবেন? পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পানি
পিরিয়ড চলাকালীন প্রচুর পানি পান করা উচিত। কারণ এ সময় রক্তপাতের পাশাপাশি শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। তাই এই সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিহাইড্রেশন থেকে মাথাব্যথা হতে পারে। পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে আনারস
পিরিয়ড চলাকালীন সাধারণত জরায়ুর পেশির সংকোচন-প্রসারণের ফলে ব্যথা হয়। এই ধরনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে আনারস। আনারসের জুসে ব্রোমেলেইন নামক এক ধরনের এনজাইম থাকে, ধারণা করা হয় এটি জরায়ু পেশীকে রিল্যাক্স করার মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও আনারসে রয়েছে ভিটামিন সি, যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করে। পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে তরমুজ
তরমুজে রয়েছে লাইকোপেন নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা প্রদাহনাশ করতে সাহায্য করে। শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে পিরিয়ডের সময়ে তরমুজ খাওয়া জরুরি। পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে আদা
পিরিয়ডের সময়ে পেটে যন্ত্রণা হলে অনেকেই চায়ের মধ্যে আদা ফুটিয়ে খেয়ে থাকেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যানালজেসিক উপাদানগুলো পিরিয়ডজনিত কষ্টে আরাম দেয়। পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে বিট
বিটের মধ্যে থাকা বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, রক্তর প্রবাহ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। জরায়ুতে রক্তের জোগান পর্যাপ্ত থাকলে তা পিরিয়ডের বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে। পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে লেবু
এই সময়ে অনেকেই টকজাতীয় কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, তেঁতুল বা আমচুরজাতীয় কিছু না খেলেও পাতিলেবুর রস খাওয়া যায় অনায়াসে। পাতি লেবুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি, যা পিরিয়ড চলাকালীন ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে ব্রকলি
ব্রকলি তে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। ম্যাগনেসিয়াম পেশী কে রিল্যাক্স করে তাই এটি মেন্সট্রুয়াল ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। পিরিয়ডে যা খাবেন না
১. পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত চিনি ও লবণাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন৷ এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার, কোমল পানীয়, চা বা কফি, অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে যেতে হবে।
২. ফাস্টফুড জাতীয় খাবার সব সময়ই অপকারী। পিরিয়ডের সময় এই খাবার আরও বেশি এড়িয়ে চলা উচিত। এ ধরনের খাবার শরীরে নানা অস্বস্তি, পেটে ব্যথা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
৩. পিরিয়ডের সময়ে লবণ খাওয়া কমানো উচিত। খাবারের সঙ্গে বাড়তি লবণ নিয়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তাও বাদ দিতে হবে। নয়তো পেট ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
বলা হয় পানির অপর নাম জীবন। বেঁচে থাকার জন্য বিশুদ্ধ পানি পানের বিকল্প নেই। পানি কেবল তৃষ্ণাই মেটায় না, শরীরে পানির ভারসাম্যও ঠিক রাখে। এই পানি কীভাবে পান করবেন সেটা ভাবার বিষয়। কেননা, দাঁড়িয়ে পানি পান করলে উপকারের চেয়ে বরং ক্ষতিই বেশি। এমনটাই জানালেন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা।
জানুন দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের কী কী ক্ষতি হয় :
১. দাঁড়িয়ে পানি পান করা মাত্র তা দ্রুত গতিতে শরীরের নিচের অংশে পৌঁছে যায়। ফলে দেহের ফ্লুইড ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যাবে।
২. দাঁড়িয়ে পানি পানের কারণে খাদ্যনালী হয়ে সরাসরি পাকস্থলীতে পৌঁছে যায় যা স্টমাকের জন্য ক্ষতিকর।
৩. এমনকি দাঁড়িয়ে পানি পান করার কারণে শরীরে টক্সিসিটি বা বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ বাড়ার আশঙ্কাও থাকে।
৪. গবেষণা থেকে জানা যায় যে, দাঁড়িয়ে পানি পান করলে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।
৫. অনেক সময় দাঁড়িয়ে পানি পানকরলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ডিজঅর্ডারও হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই বদভ্যাসটা ছাড়ুন।
করণীয় :
দাঁড়িয়ে পানি খাওয়ার খারাপ দিককে অনেকে সেভাবে পাত্তা দেন না। কিন্তু এটি সার্বিক ক্ষতিই করে। রাস্তাঘাটে সব সময় বসে পানি খাওয়ার উপায় থাকে না। তাই সময় কেবল তেষ্টা মেটার মতোই পানি পান করুন। পরে বসে পানি পান করার সুযোগ এলে ভালোভাবে পান করুন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
আমাদের সমাজে ধূমপানের ভয়াবহতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। বিশেষ করে নারীরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ধূমপানের সংস্পর্শে আসছেন যা তাদের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। কৈশোর এবং বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের মাঝে ধূমপানের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এর কারণ তাদের পরিবারেই থাকতে পারে।
যেমন পিতা-মাতার ধূমপানের অভ্যাস, পারিবারিক শিক্ষার অভাব, আত্মসম্মানের অভাব, বিষন্ণতা ইত্যাদি।
ধূমপান সামাজিক কারণেও বৃদ্ধি পায়। ধূমপায়ী বন্ধু থাকা বা সমবয়ীদের মধ্যে অ্যালকোহল সেবন সিগারেটের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। আবার টেলিভিশন, সিনেমা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও কখনো কখনো দায়ী হতে পারে।
নারীদের মধ্যেও ধূমপানের প্রবণতা দেখা যায়। নারীদের ধূমপানের ফলে প্রজনন ক্রিয়া, গর্ভাবস্থা এবং অনাগত শিশুর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ধূমপান কিভাবে প্রজনন উর্বরতাকে প্রভাবিত করে?
ভারতের হরিয়ানার পঞ্চকুলায় ক্লাউডনাইন গ্রুপ অফ হাসপাতালের আইভিএফ এবং ফার্টিলিটি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডা. শিল্পা আগারওয়াল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ধূমপানের ফলে নারী ও পুরুষ উভয়ের উর্বরতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ধোঁয়ায় ভারী ধাতু, হাইড্রোকার্বন এবং অ্যামাইনো থাকে যা গর্ভধারণের ক্ষমতা মারাত্মকভাবে হ্রাস করে।
ধূমপান শরীরের হরমোনের ভারসাম্য পরিবর্তন করে। এতে প্রজনন উর্বরতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া তামাকের ধোঁয়া ডিম্বাশয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অনুরম্নপভাবে পুরুষেরও প্রজনন ক্ষমতাও কমে যায় অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে।
গর্ভবতী নারীদের মধ্যে ধূমপানের প্রভাব
ডা. শিল্পা আগারওয়ালের মতে, ধূমপায়ী গর্ভবতী নারীদের গর্ভপাত, অকালে জন্ম, ভ্রƒণের বৃদ্ধির অস্বাভাবিকতা, রক্তচাপ বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে।
ফুসফুসের কার্যকারিতা হ্রাস, কিডনি রোগ, রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণে শিশুর স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ :
ধূমপায়ী নারীদের জন্য ডা. শিল্পা আগারওয়ালের পরামর্শ, যত দ্রুত সম্ভব ধূমপান বন্ধ করুন। ধূমপান ত্যাগের ফলে প্রজনন ঝুঁকি এক বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে প্রশমিত হয়। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
গরমের প্রকোপ বাড়ছে প্রতিদিনই। ভ্যাপসা গরমের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেয় ঘাম। ঘামের সঙ্গে শরীরে জীবাণু তৈরি হলে দুর্গন্ধ হয় ঘামে। এই বিব্রত গন্ধ দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন। ১ মুঠো নিম পাতা ১ কাপ পানিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বেটে নিন। বাহুমূলের নিচে, ঘাড়ের কাছে ও শরীরের নানা ভাঁজে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে গোসল করে নিন।
লেবু অর্ধেক করে কেটে আন্ডারআর্মে ঘষে নিন। লেবুর উপর লবণ ছিটিয়ে ঘষলেও উপকার পাবেন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। গোসল শেষে সামান্য নারিকেল তেল তুলায় করে বাহুসন্ধিতে লাগিয়ে নিন।
১ কাপ পানিতে ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিন। এই মিশ্রণ আন্ডারআর্মে স্প্রে করে নিন। চায়ে থাকা ট্যানিন ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। পানিতে একটু বেশি করে চা পাতা দিয়ে ১০ মিনিট ফোটান। ছেঁকে ঠান্ডা করুন। যেসব স্থানে ঘাম জমে সেসব জায়গায় মিশ্রণটি লাগান। দূর হবে ঘামের দুর্গন্ধ।
গোসলের সময় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করবেন। বডি ওয়াশের উপাদানের মধ্যে শসা, অ্যালোভেরা, মেন্থল, নিম বা টি ট্রি অয়েল যেন থাকে সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি। এসব উপাদান ব্যাকটেরিয়া দূর করবে শরীর থেকে।
সমপরিমাণ বেকিং সোডা ও কর্ন স্ট্রাচ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে লাগিয়ে রাখুন বাহুমূলে। ঘামের দুর্গন্ধ দূর হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করবেন ও অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলবেন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে তা সহ্য করা দুষ্কর। সবাই যত দ্রুত সম্ভব স্বস্তিদায়ক পরিত্রাণ চান। ওষুধের ক্রিয়া শুরু হতেও কিছু সময় লাগে। এ সময়ের মধ্যে ব্যথা কিছুটা কমিয়ে আনতে বা সহনীয় করতে কিছু ঘরোয়া টিপস জানা প্রয়োজন। এই টিপসগুলো জেনে নেওয়া যাক।
১. অন্ধকার এবং নিরিবিলি পরিবেশে বিশ্রাম নিতে হবে। মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলো এবং শব্দ থেকে দূরে থাকতে হবে। কেননা আলোর তীব্রতা এবং প্রচণ্ড শব্দ অবস্থার অবনতি ঘটায়। আমেরিকার বাল্টিমোরের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টারের নিউরোলজির সহযোগী অধ্যাপক জেনিন গুড বলেন, অন্ধকার এবং নিরিবিলি একটি ঘরে গিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। সব ধরনের মাথা ব্যথা ঘুমে ভালো হয় না। তবে ঘুম আপনার মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
২. কপাল বা ঘাড়ের পেছনে ঠাণ্ডা বা উষ্ণতা প্রয়োগ করতে হবে।
মাইগ্রেনের ব্যথা উঠলে কপাল বা ঘাড়ের পেছনে শীতলতা বা উষ্ণতা দিলে অন্য স্নায়ুগুলো উদ্দীপ্ত হবে। আমেরিকার মাইগ্রেন ফাউন্ডেশনের চেয়ার লরেন্স সি নিউম্যান বলেন, বরফ বা এমন ঠাণ্ডা কিছুর প্রয়োগে ব্যথার অনুভূতি অসাড় হবে। এতে মস্তিষ্ক মাইগ্রেন ব্যথার অনুভূতি থেকে সরে আসবে। এর জন্য ভালোমানের আইসপ্যাক ব্যবহার করা উচিত হবে। এ ছাড়া হট ওয়াটার ব্যাগের প্রয়োগেও পেশি শিথিল হয় এবং আরাম বোধ হবে। ৩. পানি পান করুন। আমেরিকান মাইগ্রেন ফাউন্ডেশন জানায়, মাইগ্রেনের ব্যথায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানিতে এক টুকরো লেবু এবং অল্প পরিমণে ফলের রস মেশাতে পারেন। এতে পানির স্বাদ বেড়ে যাবে। তা ছাড়া বেশি বেশি পানি পান করলে মাইগ্রেনের ব্যথা প্রতিরোধ করা যায়। ৪. মাথা ম্যাসাজ করলে উপকার মিলবে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ হেলথ জানাচ্ছে, ম্যাসাজ পেশিগুলোকে শিথিল করতে পারে। নিউম্যান বলেন, ম্যাসাজ সবার জন্য কাজ না-ও করতে পারে। তবে বেশির ভাগই মাথা ম্যাসাজ করার ফলে ব্যথা উপশম হতে পারে।
৫. ধ্যানের চেষ্টা করুন। মাইগ্রেনে আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে আটজনের মানসিক চাপ থাকে। ধ্যান আপনার এই মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। একজন ব্যক্তির মানসিক অস্থিরতা এবং মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে ধ্যান করা খুবই প্রয়োজন। মাইগ্রেনের ব্যথা কমিয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নত করার পাশাপাশি বিষণ্ণতাও দূর করে।
৬. ব্যায়াম করে মাইগ্রেনের ব্যথা প্রতিরোধ করা যেতে পারে। ব্যথার সময় ব্যায়াম করে ব্যথা কমানো সম্ভব। হাঁটা দিয়ে শুরু করে একটি সহজ ব্যায়াম করুন। নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে এবং ঘুমের উন্নতিতে সাহায্য করে।
সূত্র : এভরিডে হেলথ
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
চা আর সিগারেটের এই যুগলবন্দি আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
গরম ধোঁয়া ওঠা চায়ের সাথে অনেকেই ধূমপান করে থাকেন। কিন্তু জানেন কি, চা আর সিগারেট একসাথে পান করলে আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। গবেষণা বলছে, চা এবং সিগারেট একসঙ্গে খেলে বাড়তে পারে ক্যানসারের ঝুঁকি। ‘অ্যানাল্স অফ ইন্টারনাল মেডিসিন’ নামে চিকিৎসা বিষয়ক পত্রিকায় এমন কথা বলা হয়েছে।
তামাক এবং অ্যালকোহল দুটিই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। ক্যানসারের মতো রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস থেকে নিজেকে দূরে রাখা জরুরি। আর এই অভ্যাসগুলির সঙ্গে যদি পান করেন গরম চা, তাহলে সমস্যা আরও বাড়ে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
সারা দেশে তীব্র গরম পড়েছে। প্রতি বছরই এ সময় ফুড পয়জনিংয়ের কারণে ডায়রিয়ার রোগী বেড়ে যায়। ফুড পয়জনিং মূলত খাবার থেকেই হয়। ফলে বমি বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
ফুড পয়জনিংয়ের লক্ষণ : * খাবার খেয়ে বারবার বমি করা * পাতলা পায়খানা হওয়া * জ্বর * পেট ব্যথা * ক্লান্তি * ক্ষুধামান্দ্য
গরমে বাড়ে প্রকোপ : গরমের সময় ফুড পয়জনিং বেশি হয়। এ সময় খাবার দ্রুত পচে যায় বলে এতে জীবাণু সহজে সংক্রমিত হয়। এজন্য বাসি বা পচা খাবার, গরমে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার খাওয়া উচিত নয়। পথেঘাটে তৈরি খাবার না খেয়ে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খেলে ফুড পয়জনিংয়ের আশঙ্কা কমে। কারো ফুড পয়জনিং হলে সময়মতো এর চিকিৎসা করা না হলে তীব্র পানিশূন্যতা, এমনকি রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি হয়ে জটিলতা বাড়তে পারে। পানিশূন্যতা রোধে ডাব, তরমুজ জাতীয় রসাল ফলমূল খাওয়া উচিত। এতে শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা হয়।
যা রাখতে হবে খাদ্যতালিকায় : ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্তকে দিতে হবে সহজপাঁচ্য আমিষ। হজমের সুবিধার জন্য মাছ-মাংসের কিমা, সিদ্ধ ডিম দেওয়া যেতে পারে। ডিমের সাদা অংশ, ঘোল ও পাকা কলা, কাঁচকলা ডায়রিয়ায় বেশ কার্যকর। তবে খাবারে ডাল না রাখাই ভালো। এ ছাড়া শিং, মাগুর ও কচি মুরগির মাংসের পাতলা ঝোল জাতীয় খাবার বেশ উপকারী। এতে আলু-পেঁপে-কাঁচকলা-লাউ অথবা আঁশ ছাড়া অন্য কোনো সবজি দিতে পারলে বেশি ভালো ফল পাওয়া যায়। এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। স্যালাইন, লেবুর শরবত, ফলের রস খেলেও পানিশূন্যতা রোধ করা যাবে।
যা এড়িয়ে চলতে হবে : খাবার যেন টাটকা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ডুবোতেলে ভাজা খাবার, মসলা ও ঝালযুক্ত খাবার, মিষ্টি, চাটনি, আচার, কাঁচা সবজি, আঁশযুক্ত খাবার, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, ভুসিযুক্ত রুটি, শসা, মাংস ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।
চিকিৎসা : ডায়রিয়া প্রতিরোধে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে এটি ভালো হয়ে যায়। রোগী মুখে না খেতে পারলে এবং জটিল পরিস্থিতি মনে হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অথবা ভালো কোনো হাসপাতালে ভর্তি করে শিরায় স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
পেটে গ্যাস হবার অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, খারাপ খাদ্যাভ্যাস। এর ফলে ধীরে ধীরে আমাদের পরিপাক তন্ত্র দুর্বল হয়ে যায়। আর সেই কারণেই গ্যাস থেকে শুরু করে অম্বল, বদহজম, অ্যাসিডিটি এবং পেটে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের পেট শুধুমাত্র গ্যাসের কারণেই ফুলে থাকে।
আপনারও যদি গ্যাসের সমস্যা থাকে, তাহলে তার থেকে মুক্তি পেতে এই ৪টি জিনিস অবিলম্বে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন।
কলা: গ্যাসের সমস্যা সমাধানে কলার গুরুত্ব অনেক। কলায় উপস্থিত ফাইবার গ্যাসের কমাতে সহায়ক। রোজ অন্তত ১টি কলা খাওয়ার চেষ্টা করুন। ডাবের পানি: ডাবের পানি খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এটি। উপকারী মিনারেলসও রয়েছে।
দই: দই খাবার হজম করতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে এটি আপনার হজমশক্তিও সবল রাখবে। দুপুরের খাবারের পর অল্প টক দই খেতে পারেন। তবে তাতে চিনির বদলে অল্প বিট লবন দিয়ে খান।
রসুন: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন খান। দুপুরে ভাতের সঙ্গেও ১ কোয়া রসুন বেটে খেতে পারেন। সপ্তাহে ২-৩ দিন খান। এটি পরিপাকের জন্য বেশ উপকারি। পাশাপাশি আরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখুন: অতিরিক্ত মশলাদার এবং দুষ্পাঁচ্য খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা হবেই। তাই এমন খাবারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। বাইরে খেলে ঝোল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে অনেক সময়ে গ্যাসের সমস্যা হয়। তাই প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত মাছ-মাংস, দুধ না খাওয়াই ভাল। নিয়মিত শারীরিক কসরত করুন। তাতে পেটে গ্যাস জমার প্রবণতা কম হবে। পেটের পেশির ব্যায়াম করলেও উপকার পাবেন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
চলছে বর্ষাকাল। আর এ সময় সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম ডেঙ্গু জ্বর। এ সময় বড়দের চেয়ে শিশুদের জ্বর এলেই বাবা-মায়ের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা যায় ডেঙ্গু নিয়ে। কিন্তু অনেকেই জানি না ডেঙ্গু আক্রান্ত বাচ্চার জ্বর-পরবর্তী সময়টি সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক। এজন্য দেখা যায় জ্বর থাকা অবস্থায় বাবা-মা শিশুর যতটা যত্ন নিয়ে থাকেন, জ্বর-পরবর্তী সময়ে তা অনেকটাই কমিয়ে দেন এই ভেবে যে, শিশু মনে হয় সুস্থ হয়ে গেছে। আর তখনই ঘটে বিপত্তি। তখন শিশুর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়।
ডেঙ্গু আক্রান্ত বাচ্চার জ্বর-পরবর্তী সময় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফারহানা পারভীন ফ্লোরা। তিনি জানিয়েছেন- বেশির ভাগ শিশুর ক্ষেত্রেই এ সময়টিতে খারাপ লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। জ্বর-পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা শিশুর জন্য সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক।
এ সময় শিশুর শরীর থেকে এলবুমিন নামক প্রোটিন কমে গিয়ে শরীর ফুলে যায়। প্লাটিলেট কমে গিয়ে রক্তপাত হয়। হিমোগ্লোবিন কমে গিয়ে হার্ট ফেইলিউর হয়। এ ছাড়া পানির পরিমাণ কমে গিয়ে বাচ্চা শকে চলে যায়। এ সময় বাচ্চার অতিরিক্ত যতেœর প্রয়োজন হয়।
ডাক্তার ফারহানা বাচ্চার যত্ন নিয়ে বলেছেন-
বাচ্চাকে অধিক পরিমাণে তরল খাবার খাওয়াতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১.৫ থেকে ২ লিটার তরল খাওয়াতে হবে। বাচ্চাকে খাবার স্যালাইন, দুধ, স্যুপ, ফলের রস প্রচুর পরিমাণে খাওয়াতে হবে। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন খাওয়াতে হবে। বাচ্চার প্রতিদিনের খাবারে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস রাখতে হবে।
বাচ্চাকে যেন মশা না কামড়ায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। জ্বর ভালো হওয়ার দিন অবশ্যই একটি সিবিসি করে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
যেকোনো সম্পর্কেই সমস্যা হতে পারে। মজার বিষয় হলো, সবচেয়ে কাছের মানুষের সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি ঝগড়া হয়। কাছেই আমাদের প্রত্যাশা থাকে বেশি। যেমন ঘটে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে।
একটি সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য মাঝে মাঝে একটু হলেও ঝগড়ার প্রয়োজন আছে। এতে পরস্পরের মনের ক্ষোভগুলো পরিষ্কার হয়ে যায়। এদিকে মনোবিদরা বলছেন, ঝগড়ার সময় এমন কোনো কথা বলা যাবে না যাতে সম্পর্কটাই নষ্ট হয়ে যায়। তবে প্রায়ই ঝগড়ার প্রবণতা কিন্তু সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে, এমনকি কঠিন ব্যাধি যেমন হৃদরোগ থেকে মৃত্যুঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলতে পারে দম্পতির মধ্যে।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে : চাপযুক্ত সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। ২০১৬ সালের এক সমীক্ষায় মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেন, বিবাহিতদের মধ্যে দাম্পত্য রেষারেষি ও নিত্যকলহের কারণে পুরুষদের মধ্যে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে নারীদের রক্তচাপও বাড়তে পারে তবে পুরুষের চেয়ে কম।
মানসিক অবসাদ বাড়ে : দাম্পত্যজীবন বিষাক্ত হয়ে উঠলে তা দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেসের কারণ হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী চাপ মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস ইমিউন সিস্টেমের স্বাস্থ্য, থাইরয়েড ও মেজাজের ব্যাধির ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রদাহ বাড়ে : স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শরীরে উচ্চ মাত্রার প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। হার্ভার্ড হেলথের মতে, মানসিক উত্তেজনার কারণে শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়তে পারে। যা ক্রমেই গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে পরিচালিত করে। সাইকোলজিক্যাল বুলেটিন জার্নালে প্রকাশিত ২০১৪ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, স্ট্রেস উল্লেখযোগ্যভাবে ইমিউন সিস্টেমকে পরিবর্তন করে ও প্রদাহ বাড়ায়।
বিষণ্ণতা বাড়ে : দাম্পত্যজীবন ভালো না থাকলে যে কারো বাড়বে বিষণ্ণতার ঝুঁকি। মেন্টাল হেলথ ফাউন্ডেশনের গবেষণায় উঠে এসেছে, একটি বিষাক্ত সম্পর্কে থাকার চেয়ে অবিবাহিত হওয়া ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিকভাবে কোনো মানুষ প্রত্যাখ্যাত হলে মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডারের (এমডিডি) ঝুঁকি বেড়ে যায়। দাম্পত্যে অশান্তি কিংবা বিচ্ছেদের কারণেও মানসিক এই সমস্যায় ভুগতে পারেন যে কেউ।
আয়ুও কমে যেতে পারে : দীর্ঘমেয়াদি দাম্পত্যে অশান্তি আয়ুও কমিয়ে দিতে পারে। দাম্পত্যে সুখী থাকলে যেমন আয়ু বাড়ে ঠিক তেমনই এর উল্টোটি ঘটে একটি বিষাক্ত সম্পর্কের মধ্য দিয়ে জীবন কাটালে। মানসিক চাপ মানুষের জীবনধারা পরিবর্তন করে দেয়। ফলে অস্বাস্থ্যকর খাওয়া, মাদকাসক্ত, কম ঘুম, মানসিক চাপ ইত্যাদি শারীরিক বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ২০১৬ সালে প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের রিপোর্ট করা এক সমীক্ষায় জানা যায়, সামাজিক সম্পর্ক ও মৃত্যুহারের মধ্যে সম্পর্ক আছে। সামাজিক চাপের সম্মুখীন ব্যক্তিদের মধ্যে বয়স বাড়তেই স্ট্রেসসম্পর্কিত রোগ ও প্রদাহের ঝুঁকি বেশি। যা অকালমৃত্যুর কারণ হতে পারে।
ওজন বেড়ে যায় : সাইকোলজি টুডেতে প্রকাশিত এক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুসারে, যারা ব্যক্তিগত জীবনে খুশি নন কিংবা দাম্পত্য কলহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। ফলে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো স্থূলতা-সম্পর্কিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। গবেষকরা ১১ বছর ধরে ৮০০০ মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য জানান।
হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে : তিক্ত সম্পর্কের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। দ্য জার্নাল অব জেরোন্টোলজি : সিরিজ বি’তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, মানসিক চাপ রক্তচাপ বাড়ায়, যা অনেক গবেষণায় দেখা গেছে। দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগলে তা হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া মানসিক চাপের কারণে শারীরিক আরো যেসব লক্ষণ দেখা দেয় সেগুলো হলো- মাথা ঘোরা, শরীর ব্যথা ও যন্ত্রণা, মাথা ব্যথা, পেশিতে টান, ঘুমের সমস্যা, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, চরম ক্লান্তি, পেট খারাপ কিংবা কাঁপুনি।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
দাদ একটি চর্মরোগ। অতি পরিচিত একটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা সংক্রমণ এটি। শরীরের বিভিন্ন স্থানে যেমন- হাত, পা, পিঠ, পায়ের আঙুল, হাতের আঙুল ও মাথার তালুতেও দাদ হয়।
এটি খুবই সংক্রামক এক ব্যাধি। খুব সহজেই দাদ একজনের থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। দাদ হলে ত্বকের উপর গোলাকার দাগের সৃষ্টি হয়। দেখলে মনে হবে ত্বকের উপর আলাদা এক স্তর পড়েছে।
আক্রান্ত স্থানে চুলকানি হয় ও আঁশের মতো উঠতে থাকে। দাদ হলে দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এই সমস্যা সমাধানে অ্যান্টি ফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি কয়েকটি উপাদান ব্যবহার করে দ্রুত দাদ ও এর থেকে সৃষ্ট চুলকানি সারিয়ে তুলতে পারেন।
নারকেল তেল :
দাদ যেহেতু একটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন, তাই সংক্রমণ রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে নারকেল তেল। কারণ এতে থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপারটিস। এ ছাড়া নারকেল তেল ত্বকের চুলকানি বা জ্বালা-পোড়া কমাতেও সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা :
অ্যালোভেরাও কিন্তু দাদ নির্মূল করতে পারে। ভালো কোনো আয়ুর্বেদিক ব্র্যান্ডের অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত সংক্রামিত জায়গায় লাগান। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই দাদ সেরে যাবে।
হলুদ :
অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণসমৃদ্ধ হলুদ ব্যবহারেও দাদ থেকে নিস্তার মিলবে। এজন্য হলুদ বাটা দাদের স্থানে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত হলুদ ব্যবহারে দ্রুত সারবে দাদ।
করোল্লার পাতা :
করোল্লা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ঠিক তেমনই এর পাতাও উপকারী। জানেন কি করোল্লার পাতা ব্যবহারেও সারানো যায় দাদ। নিম পাতার মতো করোল্লার পাতাও বেটে নিয়ে নিয়মিত দাদ সংক্রামিত অংশে লাগান। কয়েকদিনের মধ্যেই এই ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাবেন।
রসুন :
দাদ সারাতে রসুনও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এজন্য দুই কোয়া রসুন থেঁতো করে দাদের উপরে নিয়ম করে লাগান। রসুন যে কোনো ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে পারে। সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, প্রতি মিলিমিটারে যদি ১৫ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকে তাহলে সেটিকে পরিপক্ব শুক্রাণু বলা হয়। এর থেকে কম হলে সেটি অস্বাভাবিক। আর শুক্রাণুর গুণগত মান যদি কম থাকে তাহলে বন্ধ্যাত্ব হয় পুরুষের।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন ও জিংকের ঘাটতিজনিত কারণে পুরুষের বন্ধ্যত্ব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে শুক্রাণুর গুণগত মান সহজেই বৃদ্ধি পায়। এ ব্যাপারে ডেইলি মেইলের একটি প্রতেবদন কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে।
আনার : এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, আনার টেস্টোটেরন ও পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ওয়ালনাট : সুস্বাদু এই বাদামের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে। সোসাইটি ফর দ্য স্টাডি অব রি-প্রোডাকশনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২১ থেকে ৩৫ বছরের পুরুষ প্রতিদিন ৭০ গ্রাম ওয়ালনাট খেলে তার শুক্রাণুর জীবনীশক্তি ও ক্ষিপ্রতা বৃদ্ধি পায়। এটি সালাদের সঙ্গে কিংবা স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
ব্ল্যাক চকলেট : এই চকলেটে অ্যামাইনো এসিড এল-আরজিন রয়েছে। যা শুক্রাণুর মাত্রা ও বীর্যের পরিমাণ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে পরিচিত। এছাড়া এতে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। যা ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে। ফ্রি র্যাডিকেল হচ্ছে শুক্রাণুর জন্য ক্ষতিকর। এটি শুক্রাণুর মান নষ্ট করে থাকে। এ কারণে প্রতিদিন অন্তত এক কামড় করে কালো চকলেট খেলে শুক্রাণুর মান বৃদ্ধিতে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
টমেটো : লাইকোপেন নামক উপকারী উপাদান রয়েছে এই সবজিতে। টমেটোতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শুক্রাণুর গুণগত মান বাড়াতে সহায়তা করে। টমেটো রান্নার সময় জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভালো শোষণ হয়।
কুমড়ো বীজ : প্রাকৃতিক এই উপাদানের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে আরও রয়েছে প্রয়োজনীয় এসিড ও ফাইটোসটেরল। যা পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর। এছাড়া এতে থাকা টেসটোসটেরোন উপাদান হরমোনের সিরামের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। একই সঙ্গে শুক্রাণুর পরিমাণ, ক্ষিপ্রতা ও জীবনশক্তি বৃদ্ধিতে যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা রাখে।
এছাড়া মেডিকেল নিউজ টুডে বলছে, যারা ধূমপান করেন, অ্যালকোহল নেন তাদের এসব থেকে বিরত থাকতে হবে। অ্যালকোহল টেস্টোস্টেরন উৎপাদন হ্রাস করে। ফলে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার অ্যালকোহল টেস্টোস্টেরন উৎপাদন হ্রাস করে। এতে স্বাভাবিকভাবে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শরীরের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে রাখাও জরুরি। শরীরের ফ্যাট কোষ অ্যারোমাটেজ নামক এনজাইম নিঃসরণ করে। যা টেস্টেস্টেরনকে ইস্ট্রেজেনে ভেঙে দেয়। যা আপনার টেস্টোস্টেরন এবং শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস করে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
স্বাস্থ্যবান ছেলেদের জন্য সুখবর নিয়ে আসলো ফাদারলি ডট কম’র এক গবেষণা। এখন মেয়েরা না-কি ভুড়িওয়ালা ছেলেই বেশি পছন্দ করে। এমনটাই বলছে গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা বলছে, সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে ভুড়িওয়ালা ছেলেদেরই বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করে বেশিরভাগ মেয়ে। তারা হালকা গোলগাল ও সাধারণ চেহারার মধ্যে নিরাপত্তা খুঁজে পায়। গবেষকরা মনে করেন, বেশি সুঠাম দেহের সঙ্গীকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভোগে মেয়েরা। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে পুরুষ সঙ্গী যদি নিয়ম মেনে চলে, সেক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। গবেষণার জন্য একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সেই সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মেয়েরা দাবি করে, এটা খাব না, সেটা খাব না, মোটা হয়ে যাব বলা পুরুষের চেয়ে অল্প মোটা পুরুষই ভালো। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, অল্প স্থূল পুরুষদের কাজের প্রতি বেশি মনযোগী বলে মনে করেন নারীরা। তারা পরিবারকেও বেশি সময় দেন বলে মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে সামাজিকভাবে মোটা ছেলেদের বেশি নিরাপদ মনে করে মেয়েরা। এ ছাড়া বডি ইমেজ নিয়ে চিন্তিত মেয়েরা একটু ভুড়িওয়ালা ছেলেই পছন্দ করে।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, মোটা ছেলেরা বেশি মজার হয়। তারা নিজেও যেমন হাসে তেমনি অন্যকেও হাসি আনন্দের মাঝে রাখতে পারে। আর হাসি খুশি থাকতে কারা না ভালোবাসা। এজন্যই মোটা ছেলেদেরকে মেয়েরা বেশি পছন্দ করে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
ডাবের পানি যে শরীরের জন্য উপকারী, সেটা তো সকলেই জানেন। কিন্তু জানেন কি রূপচর্চাতেও কাজে লাগতে পারে ডাব? নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া ত্বক কিংবা শুষ্ক চুলের সমস্যা কমাতে ডাবের জলের জুড়ি নেই। শুধু জল নয়, ডাবের শাঁসও রূপচর্চায় কাজে আসতে পারে। ডাবের পানি এবং শাঁস ত্বককে শুধু ভিতর থেকে নয় বাইরে থেকেও আর্দ্র রাখে। ব্যবহারের উপায় জেনে নিন-
জেল্লা বৃদ্ধি করতে :
সকালে বা রাতে ঘুমোনোর আগে ডাবের শাঁস দিয়ে মালিশ করতে হবে। মালিশ করার পর ১০ মিনিট রেখে দিন এবং তার পর হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। ঘুম থেকে উঠে কোথাও যেতে হলে চোখের তলায় ফোলাভাব দেখা যায়। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা ডাবের শাঁসের মিশ্রণ চোখের তলায় লাগিয়ে নিলে ফোলা ভাব কমে যাবে।
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর করতে :
সারা বছর কেউ কেউ তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা দূর করতে একটি পাত্রে ডাবের শাঁস বাটা, বেসন, মুলতানি মাটি ও গোলাপজল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগান। মিনিট ১৫ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার এই প্যাক ব্যবহার করুন, তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর হবে।
ট্যান দূর করতে :
ডাবের শাঁস বেটে নিয়ে ডাবের পানির সঙ্গে মিশিয়ে বরফের ট্রে-তে ভরে রাখুন। রোদ থেকে ফিরে সেই বরফ মুখে ঘষে নিন। এই টোটকা মানলে ট্যান পড়বে না।
|
|
|
|
|
|
|