স্টাফ রিপোর্টার : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ঢাকার মিরপুর ও বাসাবো এলাকায়। রোববার দুপুরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আপনারা জানেন মিরপুরের টোলারবাগে একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল, সেখানে আরও ৬ জন করোনায় আক্রান্ত হন। সবমিলিয়ে মিরপুরে এখন ১১ জনের শরীরে করোনার নমুনা পাওয়া গেছে। এছাড়া বাসাবোতে ৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, নতুন আক্রান্তরা সবাই ক্লাস্টারের (একজন রোগীকে কেন্দ্র করে তার পরিবারের সবার আক্রান্ত হওয়া) অংশ। সংস্পর্শে এসে তারা আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা ক্লাস্টার পেয়েছি নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, গাইবান্ধা, ঢাকার বাসাবো এবং মিরপুরে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষার পরিধি বাড়ানোর পর বাংলাদেশে একদিনেই নতুন করে ১৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ জনে পৌঁছাল। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে পৌঁছাল।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সারাদেশের গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪টি কেন্দ্রে ৩৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জনের পরীক্ষা আইইডিসিআরে হয়েছে। পাঁচ জনের অন্যান্য হাসপাতালে পরীক্ষা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ৫৫ বছর, তিনি পুরুষ। তিনি নারায়ণগঞ্জের অধিবাসী। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাদের দুই বার পরীক্ষা করা হয়েছে।