|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
৫জি চালুর সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার সামিল: বিএমপিসিএ
স্টাফ রিপোর্টার: বর্তমান সময়ে টেলিযোগাযোগ নেটোয়ার্ক ব্যবস্থা ও কোয়ালিটি অব সার্ভিস এতোটাই খারাপ যে, ৪জি’র যায়গায় ৩জি পাওয়া দুষ্কর। এমতাবস্থায় বিটিআরসি ও সরকারের ৫জি চালুর সিদ্ধান্ত হবে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। আজ ৩ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারলাম বিটিআরসি ৫জি চালুর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এ খবরে সবচাইতে খুশি হবার কথা আমাদের। কিন্তু খুশি না হয়ে এ ধরণের সিদ্ধান্তে আমরা আতঙ্কিত হচ্ছি। কারণ ৪জি চালুর সময় টেলিযোগাযোগের যে অবস্থা ছিল বর্তমানে তা নেই। ৪জি চালুর ১৭ মাস পার হলেও সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৪জি দুরে থাক ৩জি নিশ্চিত করা যায়নি। সেই সাথে বর্তমানে যোগ হয়েছে ৬৪ ভাগ মার্কেট দখলকারী গ্রামীণ ফোন ও রবি’র বিরুদ্ধে পাওনা নিয়ে ঝামেলা। বিটিআরসি তাদের ব্যান্ডউইথ ও এনওসি বন্ধ করার ফলে গ্রাহকরা কাঙ্খিত সেবা থেকে এমনিতি বঞ্চিত। বর্তমান সময়ে কোয়ালিটি অব সার্ভিস যদি মাপা হয় তাহলে দেখা যাবে যে কোন সময়ের চাইতে অনেক নি¤œমানের। নিয়ন্ত্রক সংস্থা একদিকে পাওনা আদায়ের জন্য অপারেটর দুটি লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আবার অন্যদিকে ৫জি চালুর সিদ্ধান্ত নিতে যাচে। বিষয়টি এমন যে, যে ডালে বসে আছেন সে ডালই আপনি কাটছেন। এনওসি বন্ধের ফলে তারার আর নতুন করে স্পেকট্রাম ক্রয় করতে পারবে না এমনিতি। রাষ্ট্রীয় অপারেটর টেলিটক এখনও ৪জি চালু করতে পারেনি। গ্রাহকদের ৯০ শতাংশ এখনও ৪জি সেবা গ্রহণ করেননি। ৫জির ডিভাইস দেশে পর্যাপ্ত নয়, তাও আবার অতি উচ্চ মূল্যে। নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অত্যান্ত দুর্বল। অপারেটরদের এখন পর্যন্ত সেপ্কট্রাম আছে ৩৫ মেগাহার্জ। অথচ ৫জিতে লাগবে প্রায় ১০০ মেগাহার্জ। এখন পর্যন্ত সবচাইতে বড় স্ট্রেক হোল্ডার গ্রাহকদের সাথে সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আলোচনা করে নাই। এমতাবস্থায় যদি ৫জি চালু করা হয় তা হবে শুধু কাগজে কলমে। এটি একদিকে যেমন হাস্যকর অন্যদিকে গ্রাহকদের কাছে প্রতারণা ছাড়া কিছুই না।
|
স্টাফ রিপোর্টার: বর্তমান সময়ে টেলিযোগাযোগ নেটোয়ার্ক ব্যবস্থা ও কোয়ালিটি অব সার্ভিস এতোটাই খারাপ যে, ৪জি’র যায়গায় ৩জি পাওয়া দুষ্কর। এমতাবস্থায় বিটিআরসি ও সরকারের ৫জি চালুর সিদ্ধান্ত হবে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। আজ ৩ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারলাম বিটিআরসি ৫জি চালুর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এ খবরে সবচাইতে খুশি হবার কথা আমাদের। কিন্তু খুশি না হয়ে এ ধরণের সিদ্ধান্তে আমরা আতঙ্কিত হচ্ছি। কারণ ৪জি চালুর সময় টেলিযোগাযোগের যে অবস্থা ছিল বর্তমানে তা নেই। ৪জি চালুর ১৭ মাস পার হলেও সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৪জি দুরে থাক ৩জি নিশ্চিত করা যায়নি। সেই সাথে বর্তমানে যোগ হয়েছে ৬৪ ভাগ মার্কেট দখলকারী গ্রামীণ ফোন ও রবি’র বিরুদ্ধে পাওনা নিয়ে ঝামেলা। বিটিআরসি তাদের ব্যান্ডউইথ ও এনওসি বন্ধ করার ফলে গ্রাহকরা কাঙ্খিত সেবা থেকে এমনিতি বঞ্চিত। বর্তমান সময়ে কোয়ালিটি অব সার্ভিস যদি মাপা হয় তাহলে দেখা যাবে যে কোন সময়ের চাইতে অনেক নি¤œমানের। নিয়ন্ত্রক সংস্থা একদিকে পাওনা আদায়ের জন্য অপারেটর দুটি লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আবার অন্যদিকে ৫জি চালুর সিদ্ধান্ত নিতে যাচে। বিষয়টি এমন যে, যে ডালে বসে আছেন সে ডালই আপনি কাটছেন। এনওসি বন্ধের ফলে তারার আর নতুন করে স্পেকট্রাম ক্রয় করতে পারবে না এমনিতি। রাষ্ট্রীয় অপারেটর টেলিটক এখনও ৪জি চালু করতে পারেনি। গ্রাহকদের ৯০ শতাংশ এখনও ৪জি সেবা গ্রহণ করেননি। ৫জির ডিভাইস দেশে পর্যাপ্ত নয়, তাও আবার অতি উচ্চ মূল্যে। নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অত্যান্ত দুর্বল। অপারেটরদের এখন পর্যন্ত সেপ্কট্রাম আছে ৩৫ মেগাহার্জ। অথচ ৫জিতে লাগবে প্রায় ১০০ মেগাহার্জ। এখন পর্যন্ত সবচাইতে বড় স্ট্রেক হোল্ডার গ্রাহকদের সাথে সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আলোচনা করে নাই। এমতাবস্থায় যদি ৫জি চালু করা হয় তা হবে শুধু কাগজে কলমে। এটি একদিকে যেমন হাস্যকর অন্যদিকে গ্রাহকদের কাছে প্রতারণা ছাড়া কিছুই না।
|
|
|
|
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক : পোস্টের লাইক গোনার অপশন শিগগিরই বন্ধ করতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জেন ওয়ানচুন মেং-এর বরাত দিয়ে ভারতীয় প্রযুক্তি বিষয়ক গণমাধ্যম গেজেটস নাউ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে লাইক দেখার অপশন তুলে নেওয়া হবে।
ফেসবুক জানিয়েছে, যাদের পোস্টে কম লাইক পড়ে তারা বেশি লাইক পাওয়া ব্যক্তিদের চেয়ে নিজেকে হেয় মনে করেন। তাদের পোস্টটি সঠিক নয় মনে করে ডিলিটও করেন। যদি লাইক গোনা বন্ধ করা যায় তাহলে এ সমস্যা থাকবে না।
পরীক্ষামূলকভাবে লাইক দেখার অপশন তুলে দেয়া নিয়ে কাজ করবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে ঠিক কবে এটি শুরু হবে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: গুগল কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মীদের জন্য নতুন নীতিমালা জারি করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী রাজনৈতিক আলাপ ও সাম্প্রতিক খবর নিয়ে বিতর্ক করতে পারবেনা গুগলের কর্মীরা। এ বিষয়ে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে তাদের।
নতুন এক ব্লগ পোস্টে গুগলের নীতিমালা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, যাঁকে যে কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁর সেই কাজ করাই হচ্ছে প্রাথমিক দায়িত্ব। কাজের সময় কাজবর্হিভূত আলাপ নিয়ে সময় নষ্ট করা যাবে না। কাজেই এখন থেকে গুগলের কর্মীদের কাজের সময় রাজনৈতিক আলাপ বাদ দিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্টেনভিউভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গুগলের ব্লগ পোস্টে আরও বলা হয়, ‘গুগলে কাজ মানেই ব্যাপক দায়িত্বের কাজ। কোটি কোটি মানুষ গুগলের ওপর মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য সেবার ওপর প্রতিদিন নির্ভর করে। তাদের আস্থাকে সম্মান জানানো ও আমাদের পণ্য ও সেবার স্বচ্ছতা ধরে রাখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।’
গুগলের নতুন নীতিমালায় কর্মীদের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। যিনি যা বলবেন, তার জন্য তিনি দায়ী হবেন। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ বা ট্রল করা হলে সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া গুগল সম্পর্কে কোনো খারাপ তথ্য দেওয়া যাবে না। গুগলের পণ্য ও সেবা সম্পর্কে কোনো কর্মী ভুয়া তথ্য দিলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।
গুগলের সাবেক একজন প্রকৌশলীর অভিযোগের ভিত্তিতেই নীতিমালায় পরিবর্তন আনছে গুগল। ওই কর্মীর অভিযোগ ছিল, রক্ষণশীল দল নিয়ে উচ্চকণ্ঠ থাকায় তাঁকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। গুগলে রাজনৈতিক পক্ষপাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
|
|
|
|
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশের বৃহত্তম-অন-ডিমান্ড ডিজিটাল প্ল্যাটফরম পাঠাও লিমিটেড সম্প্রতি তাদের ইউজার এবং রাইডারদের জন্য বেশ কিছু নতুন সেবা নিয়ে এসেছে।
নতুন ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে ঝামেলাহীন ডিজিটাল লেনদেন, পাঠাও অ্যাপের মাধ্যমে পাওনা সামঞ্জস্য করা, ড্রাইভারদের জন্য ভয়েস ইন্সট্রাকশন ট্রেনিং এবং সবার জন্য লাইভ চ্যাট সাপোর্ট। নতুন এই ফিচারগুলো গ্রাহকদের জন্য এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন এই ফিচারগুলো পাঠাও অ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরো উপভোগ্য করে তুলতে পারে।
ডিজিটাল পেমেন্ট প্রসেসকে আরো সুবিধাজনক করতে পাঠাও শুরু করেছে ঝামেলাহীন ওয়ান স্টেপ প্রসেস। এখন থেকে পাঠাও ব্যবহারকারীরা তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট অ্যাপে সংরক্ষণ করার সুবিধা পাবেন। পূর্বে ডিজিটাল পেমেন্টের জন্য গ্রাহকদের কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হতো। অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিবার তাদের অ্যাকাউন্ট নম্বর, ওটিপি এবং পিন নম্বর প্রবেশ করতে হতো। এই নতুন ফিচারের ফলে এখন ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সংরক্ষিত অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর প্রদান করলেই হবে।
ইতিপূর্বে, পাঠাও এর ফ্রিল্যান্স ড্রাইভারদের জন্য পাঠাও এর কমিশন প্রদান করা তুলনামূলকভাবে একটু দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া ছিল। এখন থেকে ড্রাইভাররা খুব সহজেই পাঠাও ড্রাইভ অ্যাপ থেকে থার্ড পার্টি ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে এই অর্থ সরাসরি প্রদান করতে পারবেন। নতুন এই সিস্টেমের ফলেই মুহূর্তের মধ্যেই বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হবে।এছাড়াও, পাঠাও রাইডার এবং ক্যাপ্টেনদের জন্য রয়েছে ভয়েস ইন্সট্রাকশন ফিচার। এটি এমন একটি প্রাক-রেকর্ডকৃত ভয়েস নির্দেশাবলী, যেখানে সহজেই পাওয়া যাবে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং এই সেবার মাধ্যমে ড্রাইভাররা নিজেরাই বেশিরভাগ সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ড্রাইভাররা গাড়ি চালানোর যাবতীয় সব নির্দেশাবলীসহ কীভাবে পাঠাও কাজ করে এবং ব্যবহারকারীদের পরিষেবা প্রদানের নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। ফলে তাদের পেশাদারিত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া পাঠাও ড্রাইভ অ্যাপের ভয়েস প্রশিক্ষণ বিভাগে রাইডার এবং ক্যাপ্টেনরা সাধারণত যেসব প্রশ্নের সম্মুখীন হন সেগুলোর উত্তরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সবশেষে, গ্রাহকদের আরো উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য পাঠাও চালু করেছে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট।
ব্যবহারকারী এবং চালকরা এখন থেকে তাদের যে কোনো ধরনের প্রশ্ন নিয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পাঠাও সাপোর্টের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারবেন। এটি অনেকটা মোবাইল ফোন কলের মতোই সমাধান প্রদান করবে এবং কিছুকিছু ক্ষেত্রে ফোন কলের চেয়েও দ্রুত সমাধান দিতে সক্ষম এই সেবা। লাইভ চ্যাট অপশনটি ইতোমধ্যে পাঠাও এর ফেসবুক মেসেঞ্জারে চালু করা হয়েছে এবং অতি শিগগিরই পাঠাও অ্যাপেও পাওয়া যাবে এই সেবা।
|
|
|
|
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক : চলতি বছরে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন বিক্রি আড়াই শতাংশ কমতে পারে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গার্টনারের মতে, স্মার্টফোন বিক্রি কমার হার এটাই হবে সর্বোচ্চ।
গার্টনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে পিসি, ট্যাবলেট ও মোবাইল ফোন মিলিয়ে মোট ২২০ কোটি ডিভাইস বাজারে ছাড়া হবে, যা গত বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কম। তবে ডিভাইসের বাজারে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মোবাইল ফোন বাজারের। স্মার্ট ও ফিচার ফোন মিলিয়ে মোবাইল ফোনের বাজার দখল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ কমে যেতে পারে।
গার্টনারের গবেষণা পরিচালক রঞ্জিত আতওয়াল বলেন, বর্তমান মোবাইল ফোন বাজারের শিপমেন্ট ১৭০ কোটি ইউনিট, যা ২০১৫ সালের তুলনায় ১০ শতাংশ কম। মোবাইল ফোনে যদি গুরুত্বপূর্ণ দরকারি ফিচার, অভিজ্ঞতা বাড়াতে সক্ষম এমন দক্ষতা যুক্ত না করা হয়, তবে মানুষ নতুন ফোন হালনাগাদ করে না। এতে ডিভাইসের আয়ুষ্কাল বেড়ে যায়। ২০১৮ সালে যেসব মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুরু হয়েছে, তা ২০১৯ সাল জুড়ে থাকবে। গার্টনার তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, হাই এন্ডের স্মার্টফোনগুলোর আয়ু আড়াই বছর থেকে ২ বছর ৯ মাস পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। চলতি বছরের শুরুতে কয়েকটি মোবাইল অপারেটর ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সুবিধা যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের কিছু এলাকায় চালু করেছে।
এ সেবা বিস্তৃত হতে আরও সময় লাগবে। ২০২০ সাল নাগাদ ৭ শতাংশ বৈশ্বিক যোগাযোগ সেবা বাণিজ্যিক ফাইভ-জি সেবার আওতায় আসতে পারে। আগামি বছর ফাইভ-জি-সমর্থিত স্মার্টফোন বিক্রি দাঁড়াবে ৬ শতাংশে। ফাইভ-জি সেবা বাড়তে থাকলে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা বাড়বে ও ফোনের দাম কমবে। ২০২৩ সাল নাগাদ ৫১ শতাংশ ফাইভ-জি ফোন বিক্রি হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেকার বাণিজ্যযুদ্ধ ও চীনের ওপর সম্ভাব্য শুল্কারোপের হুমকি চলতি বছরে পিসির বাজারেও প্রভাব ফেলতে পারে।
|
|
|
|
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি, তথ্য এবং ভিডিও ভুয়া বা অসত্য কি না সেটা বোঝার কিছু উপায় আছে। ভুয়া তথ্য বা গুজব সব সময়ই একটু থ্রিলধর্মী হয়। শব্দে-ছবিতে থাকে চমক। বেশ সম্মোহনী হয়ে থাকে। তাই এই খবর বা ছবি কোথা থেকে প্রচার হচ্ছে তা দেখে নেওয়াটাই সবচেয়ে নিরাপদ। কেননা এসব খবর বা ছবি কেবল বিভ্রান্তই করে না, বিপদও ডেকে আনে। গুজব বা ভুয়া খবর আসলে একটি বড়শির মতো, যার অগ্রভাগে গাঁথা থাকে মুখরোচক খাবার। অর্থাৎ খাবারটা গ্রহণ করা মানেই বড়শির টোপ গিলে ফেলা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব/ভুয়া তথ্য-উপাত্ত চেনাটা বেশি কঠিন। এক্ষেত্রে তথ্য-উপাত্তের শিরোনামে বিভ্রান্ত হওয়ার চেয়ে এর উৎসটি যাচাই করা মঙ্গল। ফেসবুকের ক্ষেত্রে ভেরিফায়েড পেজ ছাড়াও প্রোফাইলের ছবি বা নেচারও গুরুত্বপূর্ণ। একটু বুদ্ধি খাটালেই নকল প্রোফাইলের ফাঁদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ছবি আসল-নকল যাচাই করার ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ জ্ঞান কাজে লাগানো যেতে পারবে। যদি কোনো ছবির আকার ছোট ও রেজ্যুলেশন কম হয় তবে তা নকল হওয়ার সুযোগ বেশি। মূলত ভুয়া ছবিগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মূল ছবিকে ক্রপড, এডিট ও মিরর করে ছবির ক্যাপশন পরিবর্তন করে তা নকল হিসেবে ছড়ানো হয়। তাই যাচাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই ছবিটির প্রকৃত তারিখ, স্থান এবং এটি প্রকাশের প্রেক্ষাপট জানা জরুরি।
সামাজিক যোগাযোগে কৌশলী হোন: সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা ২০১৬ অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিমোক্ত বিষয়সমূহ প্রকাশ করা যাবে না: ১. জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থি কোনোরকম কনটেন্ট। ২. কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থি কোনো কনটেন্ট। ৩. রাজনৈতিক মতাদর্শ বা আলোচনা-সংশ্লিষ্ট কোনো কনটেন্ট । ৪. বাংলাদেশে বসবাসকারী কোনো ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয়প্রতিপন্নমূলক কনটেন্ট। ৫. কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয়প্রতিপন্ন করে এমন কনটেন্ট। ৬. লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো কনটেন্ট। ৭. জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো বিষয়। সুরক্ষিত থাকার উপায়: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবার সঙ্গে নিজের সব ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা একদম বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যত বেশি অচেনা মানুষকে নিজের ফ্রেন্ডলিস্টে যোগ করবেন আপনার ব্যক্তিগত তথ্য তত বেশি অচেনা মানুষের কাছে পৌঁছাতে শুরু করবে। তাই অচেনা মানুষকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধু করার অভ্যাস বন্ধ করুন। আপনার জন্মদিন, পড়াশোনা পছন্দ, প্রথম পোষ্যের নাম ইত্যাদি তথ্য ব্যবহার করে সহজে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নেওয়া সম্ভব। আর তাই হ্যাকাররা আপনার এই সব তথ্য জেনে সহজেই আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ফেলতে পারে। পাবলিক কম্পিউটার ব্যবহার করলে সবশেষে প্রত্যেকবার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে লগ আউট করুন। এছাড়াও নিজের কম্পিউটার থেকে মাঝেমধ্যে লগ আউট করা অভ্যাস করুন। সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার অভ্যাস এখনি বন্ধ করুন। এর ফলে একটি অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলেই আপনার সব অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাবে। তাই বুদ্ধিমানের মতো প্রত্যেক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
|
|
|
|
তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিবেদক : দিন দিন বেড়েই চলেছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। সরকারি ও বেসরকারি নানা সেবা এখন ওয়েবসাইটেই পাওয়া যায়। এসব সেবা পেতে প্রয়োজনীয় ফরম পূরণের কাজও এখন সহজে অনলাইনে সেরে নেওয়া যায়। বাংলাদেশে অনলাইনে ভর্তির আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০৯ সালে, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর একে একে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজেও এ প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম চালু হয়। এখন তো একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কাজও হয় অনলাইনে। নানা সরকারি-বেসরকারি কাজের ফরমও পূরণ করা যায় ওয়েবসাইটে।
কাজ হয় সহজে : ২০১৭ সালে অনলাইন ভর্তির কার্যক্রম নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সহযোগিতায় একটি সমীক্ষা চালায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন বা এটুআই। ওই সমীক্ষায় দেখা যায়, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা অনলাইনে ভর্তির আবেদন করেন, তাদের খরচ ৭৫ শতাংশ কম হয়। সাধারণ প্রক্রিয়ার চেয়ে অনলাইনে সময়ও কম লাগে ৮০ শতাংশ। অর্থ, সময় এবং আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে এসব সুবিধার পাশাপাশি নানা ভোগান্তি থেকেও রক্ষা পান শিক্ষার্থীরা।
অনলাইন ফরম পূরণের সুবিধা হলো, দেশের যে প্রান্তেই থাকুন, ইন্টারনেট সুবিধা নিয়ে যেকোনো সময় বা পরিস্থিতিতে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। কম্পিউটারের পাশাপাশি মোবাইল ফোনেও কাজ সারা যায়। একাধিক প্রতিষ্ঠানের সামনে লাইন ধরতে হয় না।
অনলাইন ফরমপূরণ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে গতিশীল করেছে। মানুষের শারীরিক কষ্ট কমে গেছে। অনলাইনে ফরম পূরণের মত বিষয়গুলো এমন পরিবর্তন এনেছে দেশে। প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলোকে যদি আরো সুষ্ঠু এবং সংগঠিতভাবে করা যায়, তাহলে অনলাইন ফরম পূরণ নিঃসন্দেহে একটা ভালো উদ্যোগ।
পাওয়া যায় সরকারি-বেসরকারি সেবা : এখন শুধু কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে নয়, সরকারি ও বেসরকারি নানা সেবা ও উদ্যোগের ফরম অনলাইনে পূরণ করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে অনলাইন টিন সনদ, পাসপোর্ট আবেদন, সঞ্চয়পত্রের ফরমের মত নানা দরকারি ফরম। সরকারি নানা ফরম নিয়ে বেশ আগেই সরকারের ই-সিটিজেন সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ধরনের ফরম অনলাইনে যুক্ত করা হয়েছে। ইউএনডিপির সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালিত forms.gov.bd ঠিকানার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন থেকে সরাসরি এসব ফরম দেখা ও নামানো যায়। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দেওয়া ফরমগুলো পিডিএফ এবং ওয়ার্ড ডকুমেন্ট-দুভাবেই পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ ফরম নামের ওই ওয়েব পোর্টালের স্লোগান হচ্ছে, ‘সকল ফরম এক ঠিকানায়’। সাইটটিতে ১ হাজার ৬৮০ রকম ফরম পাবেন। এর বাইরেservice.gov.bd ঠিকানার ওয়েবসাইটে সরকারি সেবাসংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। সেখানেও বিভিন্ন ফরম পাওয়া যায়।
এক ঠিকানায় সব ফরম : বাংলাদেশ ফরম সাইটটিতে ধরন অনুযায়ী অর্থ ও ব্যাংকসংক্রান্ত ফরম সংখ্যা ৫২, আইনশৃঙ্খলা ও আদালতসংক্রান্ত ১০৬টি, কৃষি ও সার নিয়ে ৬০টি, চাকরিসংক্রান্ত ১৮৫টি, তথ্যডাক ও টেলিযোগাযোগ-সংক্রান্ত ৫০টি, নিবন্ধনসংক্রান্ত ৫৭টি, পরিবহন ও যোগাযোগসংক্রান্ত ২৪টি, পরিবেশ ও বন নিয়ে ২২টি, পুরস্কার প্রাপ্তির আবেদন ১১টি, প্রতিবেদন ২০টি, ভূমিসংক্রান্ত ২৮টি, মৎস্য ও প্রাণিসংক্রান্ত ১২টি, লাইসেন্সসংক্রান্ত ৫৯টি, শিক্ষা বোর্ড ১৯৩টি, শিক্ষাসংক্রান্ত ১৪৫টি, শিল্প ও বাণিজ্য ৭৬টি, সিটি করপোরেশন ২৮২টি, স্থানীয় সরকার ৩৪টি, স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ৪৪টি এবং অভিযোগ ও পরামর্শসংক্রান্ত ২১৮টি ফরম রয়েছে।
এর বাইরে দপ্তর অনুযায়ী সরকারের বিভিন্ন কাজের ফরম পাওয়া যাবে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন ধরনের ফরম এখানে দেওয়া আছে। এর বাইরে সব ফরমের মধ্যে পাসপোর্ট, ভিসা, নাগরিকত্ব, জন্মনিবন্ধন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, আয়কর রিটার্ন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন, টেলিফোন, গ্যাসসংযোগসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা রকম ফরম এ বিভাগে পাওয়া যাবে। ফরম নামাতে প্রথমে নির্ধারিত ফরমের নামের ওপর ক্লিক করতে হবে। এরপর পরবর্তী পৃষ্ঠায় দেওয়া ওই ফরমের পিডিএফ বা ওয়ার্ড ফরমেটে মুদ্রণ ও পূরণযোগ্য ফরম নামানো যাবে। ওয়েবসাইটটিতে ফরম পূরণ করে কিছু নমুনাও রাখা হয়েছে। সাইটটিতে জনপ্রিয় ফরম নামে একটি বিভাগে সব ধরনের জনপ্রিয় ফরম রাখা হয়েছে।
|
|
|
|
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক : মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ৫টি ফিচার আনছে চলেছে ফেসবুক। গত মে মাসে ফেসবুকের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলনে মেসেঞ্জারের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করেন মার্ক জুকারবার্গ। সেখানে মার্ক জুকারবার্গ তার আলোচনায় তুলে ধরেন মেসেঞ্জারকে শুধুমাত্র মেসেজিং ও কলিং অ্যাপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছে না ফেসবুক। ২০২০-এর মধ্যেই আরও উন্নত মেসেঞ্জার অ্যাপ আনতে চাইছে ফেসবুক।
গতি বৃদ্ধি: ফেসবুক তাদের মেসেঞ্জার অ্যাপের গতি আরও বাড?াতে চাইছে। সেই উদ্দেশে আনা হচ্ছে বেশ কিছু ডিজাইন ও ইউআই-গত পরিবর্তন। পাশাপাশি স্মার্টফোনে যাতে কম জায়গা নেয় মেসেঞ্জার অ্যাপ, সেই দিকেও রাখা হচ্ছে নজর। ৩০ এমবি -এর কম আকারে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে মেসেঞ্জারকে।
ক্লোজ-ফ্রেন্ডস গ্রুপ: ফেসবুক অ্যাপে এই ফিচার থাকলেও মেসেঞ্জারে এ রকম কোনও ফিচার নেই। আগামী দিনে এই ফিচার থাকবে মেসেঞ্জারেও। পছন্দের কাছের বন্ধুদের নিয়ে তৈরি করা যাবে গ্রুপ। ফেসবুক অ্যাপে কোনও পোস্টের প্রাইভেসি সেটিংস-এ সেই গ্রুপকে সিলেক্ট করা যাবে।
গ্রুপে ভিডিও দেখা: ২০১৮-এর জুলাইতেই চালু হয়েছিল ফেসবুক ওয়াচ পার্টি। সেই ফিচারে ফেসবুকের বন্ধুদের সঙ্গে এক সঙ্গে ভিডিও দেখা যেত। সেই ফিচার জনপ্রিয়তা পাওয়ায় এবার মেসেঞ্জারেও এই ফিচার আনতে চাইছে ফেসবুক। ফলে গ্রুপে পছন্দের বন্ধুদের সঙ্গেই দেখা যাবে ভিডিও।
মেসেঞ্জার ডেক্সটপ অ্যাপ: মোবাইলের মতোই ডেক্সটপের জন্য অ্যাপ আনতে চলেছে মেসেঞ্জার। বর্তমানে ফেসবুকে লগ ইন করার মাধ্যমে মেসেঞ্জার ব্যবহার করা যায়। কিন্তু সহজে চ্যাট করা এবং ভিডিও কল করার সুবিধার উদ্দেশে এই অ্যাপ আনছে ফেসবুক।
অধিক উন্নত চ্যাট বটের সুবিধা: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি তাদের ফেসবুক পেজের মেসেঞ্জারে চ্যাট বট অপশান অন করে থাকেন। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একাধিক মেসেজের উত্তর দেওয়া যায়। এই চ্যাট-বট আরও উন্নত ও মসৃণ করতে চাইছে ফেসবুক। অ্যাপয়েন্টমেন্ট তৈরি করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে সক্ষম চ্যাট-বট বানাতে কাজ করছেন ডেভেলপাররা।
|
|
|
|
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক : এখন ফ্রিল্যান্সিং দারুণ আকর্ষণীয়। অনেকেই চাকরি না করে ফ্রিল্যান্সিং করার স্বপ্ন দেখেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে একদিকে যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে তেমনি আয়ের পরিমাণও বেশি। কাজের স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি কাজের স্থান ও সময়ের কোনো বাঁধাধরা নিয়ম থাকে না বলে অনেকেই এ পেশায় আসতে চান। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার আগে এ ক্ষেত্রের চ্যালেঞ্জগুলোও জানা থাকা জরুরি। একাকিত্ব, রাত জেগে কাজ করে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা, সামাজিক স্বীকৃতির আক্ষেপের মতো অনেক বিষয় এর সঙ্গে যুক্ত। বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার মনে করেন, অনেক সময় ক্লায়েন্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হয় বলে ফ্রিল্যান্সারকে দিন-রাত পরিশ্রম করা লাগে। এ ছাড়া চাকরিতে নির্দিষ্ট বেতন থাকলেও ফ্রিল্যান্সিং কাজ সব সময় হাতে না-ও থাকতে পারে। কাজের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। যাঁরা চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান, তাঁদের জন্য কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি। জেনে নিন বিষয়গুলো:
একাকিত্বের সঙ্গী প্রয়োজন : মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে একাকী করে দেবে। আপনার জীবনযাপন অন্যান্যের চেয়ে আলাদা হয়ে যাবে। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে। রাতের বেলা জেগে কাজ করতে হবে। আপনার কাজে সহকর্মী না থাকায় নির্দিষ্ট সময় অফিসে যাওয়া লাগবে না। কাজের সময় তাই অফিসের পরিবেশ পাবেন না। তাত্ত্বিকভাবে এটা ভালো শোনালেও প্রকৃতপক্ষে আপনি একাকী হয়ে যাবেন। এই একাকিত্ব দূর করতে সাপোর্ট নেটওয়ার্ক থাকা জরুরি। এতে দিনের বেলা বা অন্য সময় গল্প-গুজব বা আড্ডা দিতে পারেন। তা না হলে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা জরুরি। কাজের সময় নির্ধারিত না থাকায় সকাল-বিকেল কাজ করা লাগতে পারে, এ কারণে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়।
নিজের অর্থের ব্যবস্থাপনা : যখন বড় কোম্পানিতে কাজ করেন, তখন অনেক জটিল অর্থনৈতিক বিষয় কোম্পানি ঠিক করে রাখে। বিশেষ করে বেতন ও ট্যাক্সের মতো বিষয়টি। যখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো স্বাধীন কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন, তখন নিজের অর্থ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। সঠিক সময়ে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করার পাশাপাশি অর্থ জমানোর মতো বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া প্রয়োজন। চাকরি শেষে যেমন পেনশনের সুবিধা থাকে, তেমনি নিজের কাজের শেষ বছরান্তে যাতে অর্থ গচ্ছিত থাকে, সে বিষয়টিতে ফ্রিল্যান্সারকে গুরুত্ব দিতে হবে।
অসুস্থতার জন্য অর্থ সাশ্রয় : অসুস্থ হলে চাকরিতে ছুটি পাওয়া যায়। আপনার কাজের জন্য অসুস্থতাজনিত বিরতি বা বছর শেষে বেড়ানোর মতো সময় রাখবেন। একটা কথা মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করলে তবে অর্থ পাবেন। যদি কাজ না করেন, তবে সে সময়গুলোতে আপনার অর্থ আসবে না। তাই ফ্রিল্যান্সিং বা স্ব-উদ্যোগে কাজ করার আগে থেকে অর্থ জমানোর অভ্যাস করা প্রয়োজন। অনেক সময় কাজ শুরু করার সময় হাতে অর্থ না-ও থাকতে পারে। কোন মাসে কত আয় করবেন, তারও কোনো বাঁধাধরা নিয়ম থাকে না। কোনো মাসে অনেক আয় আসতে পারে, আবার কোনো মাস একেবারে শূন্য যেতে পারে। তাই আয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য রাখা অবশ্যই উচিত। এ ছাড়া নিজের জন্য ছুটি রাখার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের দক্ষতা বাড়ান : যাঁরা নতুন কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বেশ কঠিন। কাজ পাওয়া এখন অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যাঁরা ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত ও যাঁদের অনেক কাজদাতা আছে, তাঁদের জন্য সুবিধাও বেড়েছে। তাই যাঁদের ক্লায়েন্ট কম ও যাঁরা কাজ খুঁজছেন, তাঁরা অনলাইনে দারুণ পোর্টফোলিও তৈরি করুন। এ ছাড়া শুরুতে কঠোর পরিশ্রম করুন। নিজের সম্মান ও দক্ষতা অর্জন করুন। ক্লায়েন্টকে আপনার কাজ দিয়ে, যোগাযোগ দক্ষতা দিয়ে মুগ্ধ করুন। পেশাদার আচরণ করুন। তবে সবার আগে প্রয়োজন নিজের দক্ষতাকে প্রমাণ করার। আপনি যে কাজে দক্ষ, তা ভালোভাবে চর্চা করুন। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে নিয়ে তা সম্পন্ন করে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ইতিবাচক ফিডব্যাক নিন। এটাই আপনার উন্নতির চাবিকাঠি। যখন আপনি সফল হতে শুরু করবেন, তখন কোন সুযোগটি আপনার জন্য অধিক জুতসই, তা নির্বাচন করতে ভুলবেন না।
কাজ করুন দক্ষতা অনুযায়ী : আপনার দক্ষতা কি ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপযোগী? অনেকেই না বুঝে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে চান। মনে রাখবেন, এটা দক্ষ ব্যক্তিদের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র। এ ক্ষেত্রে সীমিত দক্ষতা নিয়ে টিকে থাকা কঠিন। আপনি কাজের ক্ষেত্র নষ্ট করলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তাই কাজ না জেনে এ ক্ষেত্রে আসা উচিত হবে না। বাড়িতে বসে কাজ করার বিষয়টি আকর্ষণীয় হতে পারে। তবে এ কাজ শুরুর আগে এ ক্যারিয়ারে আসার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন। ফাইবার, আপওয়ার্কের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর কারণে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি, যেমন ডিজাইন, মিউজিক ও অডিওর পাশাপাশি প্রোগ্রামিং ও টেক খাতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যাপক কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে এ খাতে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবার আগে আপনি কোন খাতে ভালো করবেন, সেটি ভাবুন।
প্রয়োজন নিজস্ব প্রণোদনা : আপনি কি স্ব-উদ্যোগী? আপনার নিজের কাজ ঠিক রাখতে মোটিভেশন বা প্রণোদনার প্রয়োজন হবে। অনেক সময় ফ্রিল্যান্সিং খাতে কাজ করতে এসে ফ্রিল্যান্সাররা হতাশ হন। এমন সময়ে নিজের দায়িত্ব নিজেকে নিতে হবে। ফ্রিল্যান্সার মানে নিজের ব্যবসা, নিজেই ব্যবস্থাপক, নিজেই হিসাবরক্ষক। নিজের সঙ্গে মিটিং করতে হবে। সময়সীমার মধ্যে কাজ করার তাড়া থাকতে হবে। ক্রেতার প্রত্যাশা পূরণের তাড়া থাকতে হবে। অর্থাৎ, সব সময় নিজেকে কাজের চাপ, যোগাযোগের মতো বিষয়ে তটস্থ থাকতে হবে। তবে অনেক সময় হাতে কাজ না থাকতে পারে, তখন হতাশ হলে চলবে না। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি কাজে ওঠানামা থাকে। নিজেকে মোটিভেশন দিতে হবে। নিজের কাজের প্রতি সদিচ্ছা ও আত্মনিয়োগ আপনাকে এগিয়ে রাখবে। নিজের কাজে শৃঙ্খলা থাকলে, স্বাধীন ও নমনীয় সময়ে কাজ করার সুবিধাও নিতে পারবেন।
|
|
|
|
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক : চলতি বছরই আইফোন ১১ উন্মোচন করতে পারে অ্যাপল। বলা হচ্ছে পানির নীচেও কাজ করবে এই আইফোন। আইফোন ৭ থেকে শুরু করে পরবর্তী সব আইফোনকে পানি নিরোধী করেছে অ্যাপল। দেওয়া হয়েছে আইপি৬৭ রেটিং। ফলে পানির নীচে এক মিটার গভীরতায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঠিক থাকে আইফোন।
প্রতিষ্ঠানের নতুন আইফোন ঢএস-এ দেওয়া হয়েছে উন্নততর আইপি৬৮ রেটিং। ফলে দুই মিটার গভীরতা পর্যন্ত ঠিক থাকবে ডিভাইসটি।
আগের বছর সেপ্টেম্বর ইভেন্টে অ্যাপলের প্রচারণা বিভাগের প্রধান ফিল শিলার বলেন, আপনি যদি পুলের পাশে বসে থাকেন, আপনার ফোন পানিতে পড়ে যায়, চিন্তা করবেন না, পানিতে ঝাঁপ দিন, এটি উঠান, মুছে ফেলুন এবং এটি ঠিক থাকবে।
বর্তমান আইফোনগুলো পানির নীচে টিকে থাকতে পারলেও এটি কাজ করে না। পর্দায় টাচ বা স্ক্রল করা যায়না। পানির মাধ্যমে বিদ্যুত সঞ্চালনের কারণে স্মার্টফোন বুঝতে পারে না পর্দায় পানি স্পর্শ করছে নাকি আঙ্গুল।
এবার নতুন আইফোনে আনা হতে পারে এই সমস্যার সমাধান। বলা হচ্ছে নতুন পর্দা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে অ্যাপল, যা পানির নীচেও আঙ্গুলের স্পর্শ বুঝতে পারবে— খবর ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের।
আগের বছরই এই প্রযুক্তির পেটেন্ট আবেদন করেছে অ্যাপল। চলতি বছরের শেষ দিকেই এটি ব্যবহারের জন্য তৈরি হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। পানির নীচে কিভাবে টাচস্ক্রিন কাজ করবে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানের ৩ডি টাচ প্রযুক্তি কাজে লাগানো হতে পারে এতে।
চলতি বছর নতুন তিনটি আইফোন উন্মোচন করতে পারে অ্যাপল। ৫.৮ ইঞ্চি ও ৬.১ ইঞ্চি মডেলের পাশাপাশি পেছনে তিন ক্যামেরার ৬.৫ ইঞ্চি মডেলের একটি আইফোন আনা হতে পারে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: রোববার রাত ১২টার পর মোবাইল ইন্টারনেট চালু হওয়ার কথা থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ২ ঘণ্টা পরেই (সন্ধ্যা ৬টার দিকে) টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট উন্মুক্ত করে দিয়েছে অপারেটররা।
৭ ডিসেম্বর রাত ১০টা থেকে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রথমবার দেশের সব মোবাইল ফোনে থ্রিজি ও ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হয়েছিল। এরপর ২৯ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকাল ৩টা থেকে দ্বিতীয় দফায় থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় দফায় থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধ করা হলেও টুজি ইন্টারনেট চালু ছিল। তবে এদিন মধ্যরাত থেকে টুজি ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেয়া হয়। কার্যত মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে ইন্টারনেট সেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে ও গুজব প্রতিরোধে’ সরকারের নির্দেশনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ভোটের দিন (৩০ ডিসেম্বর) মধরাত পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছিল।
তবে যথা সময়ের ৬ ঘণ্টা আগে ভোট শেষ হওয়ার পরেই টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট চালু করার নির্দেশ দেয় বিটিআরসি।
মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি’র সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক।
প্রসঙ্গত, আসন্ন সংসদ নির্বাচনের ভোটের আগে ‘অপপ্রচার’ ঠেকাতে গত ১৩ ডিসেম্বর এক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ইন্টারনেটের গতি কমানোর প্রস্তাবনা দেয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: আজই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের দায়িত্ব গ্রহণ করবে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটিড (বিসিএসসিএল) সূত্র এ তথ্য জানায়। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টায় ফ্রান্সের থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের দায়িত্ব গ্রহণ করবে সরকার। চলতি বছরের ১১ মে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। নিজ কক্ষপথ ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রিতে পৌঁছানোর পর এটির ইন অরবিট টেস্ট (আইওটি)সহ নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সবই সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সরাসরি সম্প্রচার করার পরীক্ষাতেও এটি সফলতা দেখিয়েছে। পরে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দুবাইতে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের সম্প্রচারসহ আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করেছে বাংলাদেশ টেলিভিশন। একইসঙ্গে অন্য কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। স্যাটেলাইটটিকে ব্যবসায়িকভাবে সফল করতে ইতোমধ্যেই থাইল্যান্ডের কম্পানি থাইকমের সঙ্গে চুক্তি করেছে বিসিএসসিএল। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসার দিকটি তারাই দেখবে। সব মিলে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করতে সরকারের খরচ হয়েছে দুই হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। আগামী সাত বছরের মধ্যে এ খরচ উঠে আসবে বলে হিসাব করেছে উৎক্ষেপণকারী সংস্থা বিটিআরসি। ইতোমধ্যে সরকারের বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় এ স্যাটেলাইট থেকে সংযোগ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাছাড়া কম্পানির পক্ষ থেকে সেবা নিতে ৪৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: যানজটের অসহনীয় ভোগান্তি থেকে মানুষকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছে আন্তর্জাতিক রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবার। আপনি অ্যাপের মাধ্যমে কল দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজির হবে আন্তর্জাতিক রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবারের নতুন সংস্করণ উড়ন্ত ট্যাক্সি। আপনার বাড়ির লেনেই ল্যান্ড করবে এটি!
আপনি যেখান থেকে কল দিবেন সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড়ে আসবে এটি। এরপর উপযুক্ত স্থান দেখে অবতরণ করে দরজা খুলে দেবে। আপনি উঠে বসার সাথে সাথে দরজা বন্ধ করে আপনাকে নিয়ে উড়ে গিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। যেহেতু এতে কোনো চালক থাকবে না তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাড়া কেটে নেয়া হবে আপনার ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড থেকে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, মানুষের জীবনযাত্রা যতটুকু সহজ করা সম্ভব তা তারা করার চেষ্টা করবে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, ট্যাক্সিগুলো উড়বে সম্পূর্ণ ইলেক্ট্রিক পাওয়ার ব্যবহার করে। ফলে এগুলোর ইঞ্জিন থেকে চুলপরিমাণ পরিবেশ দূষণও ঘটবে না। একজন যাত্রী ওই ট্যাক্সিতে বসে, ভিতরের টাচ স্ক্রিন ছুঁয়ে নিজের গন্তব্য বেছে নিতে পারবেন৷ তবে এধরনের ট্যাক্সিতে ভিতরে অন্য কোনও কন্ট্রোল সিস্টেম নেই। একবার গন্তব্য বেছে নিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই উড়ে যাবে আপনার ফ্লাইং ট্যাক্সি।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: টিভি দেখলেই মিলবে টাকা। টাকার পরিমাণও নেহাত কম নয়। পুরো দেড় লাখ টাকা! তবে এর জন্য আপনাকে দেখতে হবে টানা ১০০ ঘন্টা। হাউ টু ওয়াচ ডট নামের একটি ওয়েবসাইট সম্প্রতি এ ঘোষণা দিয়েছে। তারা জানায়, অক্টোবর মাসে টানা ১০০ ঘন্টা টিভি দেখার জন্য বেতন হিসেবে দেড় লাখ টাকা দেওয়া হবে। ওয়েব সাইটটির ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করা আছে, ডিরেক টিভি নাউ, ফুবো টিভি, হুলু উইদ লাইভ টিভি, ফিলো, প্লে স্টেশন ভিউ, স্লিং টিভি। সাইটটিতে ঢুকে এসব চ্যানেল দেখতে হবে। প্রতিটা চ্যানেল কমপক্ষে ১৪ ঘন্টা করে দেখতে হবে। নভেম্বর মাসের এক তারিখের মধ্যে পূরণ করতে হবে ১০০ ঘন্টা। তবে আরো কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন সাইটটি। চ্যানেলগুলোতে অনুষ্ঠান দেখার সময় অন্য কোন কাজ করা যাবে না। অনুষ্ঠান দেখে জানাতে হবে মতামত। দিতে হবে অনুষ্ঠানের স্কোর। সোশ্যাল মিডিয়াতে জানাতে হবে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া। এসব শর্তে রাজি থাকলে ওই ওয়েবসাইটে যে কেউ আবেদন করতে পারবেন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: ফেসবুক তাদের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার গত ছয় মাসে ভিন্ন ভিন্ন অনুরোধের মাধ্যমে ৯৫টি অ্যাকাউন্ট-সম্পর্কিত তথ্য চেয়েছে। ওই অনুরোধে সাড়া দিয়ে ৪৭ শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহ করেছে ফেসবুক। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ফেসবুকের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেসবুকের কাছে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য চাওয়ার হার অনেক বেড়েছে। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসে চাওয়া তথ্যের পরিমাণ এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে করা অনুরোধে সাড়া দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তথ্য নিয়ে ওই বছরের ২৮ এপ্রিল ফেসবুক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এরপর থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কী ধরনের অনুরোধ জানায়, তা তুলে ধরা হয়। তবে কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়, তা উল্লেখ করা হয় না।
ফেসবুকের এবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুককে ৪টি অ্যাকাউন্টের তথ্য সংরক্ষণের অনুরোধ করা হলে ফেসবুক তাতে সাড়া দিয়েছে। মোট ৬০টি অনুরোধে ৯৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হলে ৪৭ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া দিয়েছে ফেসবুক। এর মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার অনুরোধ ১৭টি। তাতে ৩৬টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়। ফেসবুক ২৯ শতাংশ ক্ষেত্রে তাতে সাড়া দিয়েছে। জরুরি ৪৩ অনুরোধে ৫৯টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হওয়ার ঘটনায় সমালোচনার মুখে থাকা ফেইসবুক এবার ডেটিং সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে, যার লক্ষ্য বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত এই সোশাল নেটওয়ার্কে আরও বেশি সময় মানুষকে আটকে রাখা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান হোসের ম্যাকইনারি কনভেনশন সেন্টারে মঙ্গলবার শুরু হওয়া বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলনে ফেইসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ নতুন এই ফিচার চালুর পরিকল্পনার কথা জানান।
জাকারবার্গ বলেন, তাদের এই ‘ম্যাচ মেকিং ফিচার’ শিগগিরই আসছে এবং গ্রাহকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়টি তাদের মাথায় আছে।
“ফেইসবুকে ২০ কোটি মানুষ আছে, যারা নিজিদের বর্ণনা করেছে ‘সিঙ্গেল’ হিসেবে। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে এখানে আমাদের কাজ করার সুযোগ আছে।”
তিনি জানান, ফেইসবুকের এই ফিচার নিছক ডেটিং অ্যাপ হবে না। মনোযোগ থাকবে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের দিকে, অর্থাৎ ঘটকালিতে।
জাকারবার্গের এই ঘোষণার পর মঙ্গলবারই ফেইসবুকের শেয়ারের দাম ১.১ শতাংশ বেড়ে ১৭৩.৮৬ ডলারে উঠেছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত কিছু অনলাইন ডেটিং সার্ভিস কোম্পানির শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স।
জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারের মালিক ম্যাচ গ্রুপের শেয়ারের দাম পড়ে গেছে এক ধাক্কায় ২২ শতাংশ। টিন্ডার তাদের ব্যবহারকারীর তথ্যের জন্য তাদের ফেইসবুক প্রোফাইলের ওপরই নির্ভর করে।
রয়টার্স লিখেছে, ফেইসবুকের ডেটিং সার্ভিস চালুর বিষয়টি গত এক দশক ধরেই আলোচনায় ছিল। এখন ওই ফিচার চালু হলে তা তরুণদের মধ্যে ফেইসবুকের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রাহককে আরও বেশি সময় ফেইসবুকে রাখতে সাহায্য করতে পারে, যা এই সোশাল নেটওয়ার্কের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য দুটি বড় চ্যালেঞ্জ।
গত জানুয়ারিতে ফেইসবুক জানিয়েছিল, ২০১৭ সালের শেষ দিকে ডিজাইনে পরিবর্তন আনার পর গ্রাহকদের ফেইসবুকে থাকার সময় দিনে প্রায় পাঁচ কোটি ঘণ্টা কমে গেছে।
তাছাড়া ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মাধ্যমে বেহাত হওয়া কয়েক কোটি ফেইসবুক গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রচারের কাজে ব্যবহারের বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর নানামুখী চাপের মধ্যে আছেন জাকারবার্গ।
আস্থা ফেরানোর চেষ্টায় ডেভেলপার সম্মেলনে জাকারবার্গ বলেন, ফেইসবুক একটি নতুন টুল নিয়ে কাজ করছে, যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ পান। কোনো কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ ফেইসবুক থেকে তাদের তথ্য সংগ্রহ করছে তা তারা জানতে পারবেন এবং প্রয়োজন মনে করলে সেই তথ্য তারা মুছে দিতে পারবেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আখলাকুল আম্বিয়া নির্বাহী সম্পাদক: মাে: মাহবুবুল আম্বিয়া সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: স্বাধীনতা ভবন (৩য় তলা), ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০। Editorial & Commercial Office: Swadhinota Bhaban (2nd Floor), 88 Motijheel, Dhaka-1000. সম্পাদক কর্তৃক রঙতুলি প্রিন্টার্স ১৯৩/ডি, মমতাজ ম্যানশন, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত । ফোন : ০২-৯৫৫২২৯১ মোবাইল: ০১৬৭০৬৬১৩৭৭ Phone: 02-9552291 Mobile: +8801670 661377 ই-মেইল : dailyswadhinbangla@gmail.com , editor@dailyswadhinbangla.com, news@dailyswadhinbangla.com
|
|
|
2015 @ All Right Reserved By dailyswadhinbangla.com
|
Developed By: Nytasoft |
|