|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কাল পবিত্র আশুরা
ধর্ম ডেস্ক : ১৪৪০ হিজরির মহররম মাসের ১০ তারিখ মোতাবেক ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দেশব্যাপী পবিত্র আশুরা পালিত হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মহররমের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা সভা। আরব দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ পবিত্র আশুরা পালিত হলেও বাংলাদেশসহ কিছু দেশে আগামীকাল মহররম পালিত হবে।
দেশে শিয়া সম্প্রদায় মুহররম মাসের প্রথম দশ দিন শোক স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করে। আশুরার দিনে তাজিয়া বের করা হয় শোকের আবহে। মূলত ইমাম হোসেন (রা.) এর সমাধির প্রতিকৃতি নিয়ে এই মিছিলে হয়। আরবি ‘তাজিয়া’ শব্দটি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করতে ব্যবহার করা হয়।
রাজধানীর হোসাইনী দালান ইমাম বাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল বের হবে। রাজধানীতে আশুরা উপলক্ষে বড় আয়োজন পুরান ঢাকায় হোসাইনী দালান থেকে তাজিয়া মিছিল হলেও মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বকশিবাজার, লালবাগ, পল্টন, মগবাজার থেকেও আশুরার মিছিল বের হয?। হাজারও মানুষ এই শোক মিছিলে ‘হায় হোসেন-হায় হোসেন’ মাতম তুলে অংশ নেয়। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটি পালিত হবে।
এদিকে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তাজিয়া মিছিলে প্রবেশের সময় দা, ছোরা, কাচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি ও টিফিনক্যারি ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। একইসঙ্গে মিছিলে আতশবাজি ও পট্কা ফোটানো নিষিদ্ধ করা হয়।
|
ধর্ম ডেস্ক : ১৪৪০ হিজরির মহররম মাসের ১০ তারিখ মোতাবেক ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দেশব্যাপী পবিত্র আশুরা পালিত হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মহররমের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা সভা। আরব দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ পবিত্র আশুরা পালিত হলেও বাংলাদেশসহ কিছু দেশে আগামীকাল মহররম পালিত হবে।
দেশে শিয়া সম্প্রদায় মুহররম মাসের প্রথম দশ দিন শোক স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করে। আশুরার দিনে তাজিয়া বের করা হয় শোকের আবহে। মূলত ইমাম হোসেন (রা.) এর সমাধির প্রতিকৃতি নিয়ে এই মিছিলে হয়। আরবি ‘তাজিয়া’ শব্দটি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করতে ব্যবহার করা হয়।
রাজধানীর হোসাইনী দালান ইমাম বাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল বের হবে। রাজধানীতে আশুরা উপলক্ষে বড় আয়োজন পুরান ঢাকায় হোসাইনী দালান থেকে তাজিয়া মিছিল হলেও মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বকশিবাজার, লালবাগ, পল্টন, মগবাজার থেকেও আশুরার মিছিল বের হয?। হাজারও মানুষ এই শোক মিছিলে ‘হায় হোসেন-হায় হোসেন’ মাতম তুলে অংশ নেয়। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটি পালিত হবে।
এদিকে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তাজিয়া মিছিলে প্রবেশের সময় দা, ছোরা, কাচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি ও টিফিনক্যারি ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। একইসঙ্গে মিছিলে আতশবাজি ও পট্কা ফোটানো নিষিদ্ধ করা হয়।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: পবিত্র হিজরি নববর্ষ আগামীকাল বুধবার। বিশ্বনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হিজরি সনের শুভ সূচনা। আগামীকাল বুধবার পয়লা মহররম। শুরু হবে আরবি নববর্ষ,হিজরী ১৪৪০। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার (১০ মহররম) পবিত্র আশুরা পালিত হবে। বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষে আমাদের দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন তথা কর্মসূচি পালিত হয়ে থাকে। আরবি নববর্ষের অনেক গুরুত্ব ও তাৎপর্য থাকা সত্ত্বেও উল্লেখ করার মতো কোনো কর্মসূচি পালন করা হয় না বললেই চলে। হিজরি বছরের শেষ মাস এবং শুরুর মাস অনেক মর্যাদা ও ফজিলতের মাস। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) জিলহজ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ১০ মহররম শুক্রবার দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে। আশুরার দিন দেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। শিয়ারা বিশেষভাবে আশুরা পালন করে থাকে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার : রমজান মাসের তারিখ নির্ধারণের জন্য আজ বুধবার বৈঠক করবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। ১৪৩৯ হিজরি সালের রমজান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে কমিটি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে জানানোর অনুরোধও জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। চাঁদ দেখা গেলে এসব নম্বরে ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৯৬৪৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭ ফোন করত বলা হয়েছে।
|
|
|
|
ইসলাম ডেস্ক : ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ নামাজ। ঈমানের পর নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কোরআনে কারিমে ৮৩ বার নামাজের আলোচনা এসেছে। নামাজ ফরজ হওয়া প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে নবী! আমার বান্দাদের মধ্যে যারা মুমিন তাদের বলুন, নামাজ কায়েম করতে।’ -সূরা ইবরাহিম: ৩১ তাছাড়া নামাজের ব্যাপারে যারা উদাসীন থাকে তাদের ব্যাপারে শাস্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘দুর্ভোগ সেসব নামাজির জন্য নিজেদের নামাজের ব্যাপারে যারা থাকে গাফেল।’ -সূরা মাউন: ৪-৫ রোজ হাশরে নামাজের মাধ্যমেই হিসাব-নিকাশ শুরু হবে। যার নামাজ সঠিক হবে তার অন্য আমল সঠিক বলে বিবেচিত হবে। আর যার নামাজ অসুন্দর হবে তার অন্যান্য আমল অসুন্দর বলে গণ্য হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে যে ব্যক্তি একেবারে নামাজ ছেড়ে দেবে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে কাফের হয়ে যাবে। এ মর্মে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘বান্দা ও কুফরের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য হলো- নামাজ ত্যাগ করা।’ -সহিহ মুসলিম যে ব্যক্তি নামাজের ব্যাপারে অলসতা করবে, চাই সে অলসতা যথাসময়ে আদায় না করার মাধ্যমে হোক বা ঘুমের মাধ্যমে হোক কিংবা শরিয়তসম্মত পদ্ধতিতে নামাজ আদায়ে ত্রুটির মাধ্যমে হোক, সে কাফের না হলেও তার ব্যাপারে কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে হাদিসে। হজরত উবাদা ইবনে সামির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাতটি অসিয়ত করেন, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি কাজ হলো- তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করো না। যদিও তোমাকে টুকরা টুকরা করে ফেলা হয় বা অগ্নিকু-ে নিক্ষেপ করা হয় আর ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ করো না। কেননা যে ইচ্ছে করে নামাজ ছেড়ে দেয় সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়। আল্লাহতায়ালা নামাজের উপকার সম্পর্কে ইরশাদ করেন, এবং নামাজের পাবন্দি করো দিনের দুপ্রান্তে ও রাতের কিছু অংশে। নিঃসন্দেহে সৎ কাজসমূহ অসৎ কাজসমূহকে মিটিয়ে দেয়। -সূরা হূদ: ১১৪ নামাজেরব্যাপক কল্যাণসমূহের উল্লেখযোগ্য একটি হলো- নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, নামাজের পাবন্দি করো। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। -সূরা আনকাবুত: ৪৫ সূরা বাইয়্যিনাতে আম্বিয়ায়ে কেরামের দাওয়াতের দ্বিতীয় ধাপ স্বরূপ নামাজকে উল্লেখ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের এ ছাড়া কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহতায়ালার ইবাদত করবে এবং নামাজ কায়েম করবে।’ -সূরা বাইয়্যিনাহ: ৫ যে ব্যক্তি ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ নামাজকে সব শর্তসহ খুশু-খুজুর সঙ্গে নবীর তরিকায় আদায় করবে তার এই নামাজ তাকে সব ধরনের অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে। আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক মুসলমানকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নবীর তরিকামতে পড়ার তওফিক দান করুন। আমিন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: বর্তমান সমাজে বহু ছেলে-মেয়েদের গোপনে বিয়ে করার কথা শোনা যায়। অনেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করেন আবার কেউ কেউ পরিবার মেনে নেবে বিধায় আগে ভাগে গোপনে বিয়ে করে। এরা মনে করেন কোনো না কোনো সময় পরিবার তাদের এই সম্পর্ক মেনে নেবে। এছাড়াও অনেকে গোপনে বিয়ে করে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য, পরে তারা প্রতারণার পথ বেছে নেয়। এটি নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। চলুন জেনে নেই, গোপনে বা পালিয়ে বিয়ে করা নিয়ে ইসলাম ধর্ম কি বলে-
এমনই একটি প্রশ্ন করা হয় দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের সরাসরি ইসলাম নিয়ে প্রশ্নোত্তরমূলক বিশেষ অনুষ্ঠান ‘শরিফ মেটাল প্রশ্ন করুন’ এ। এই অনুষ্ঠানে কোরআন ও হাদিসের আলোকে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন দর্শকের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ইসলামী চিন্তাবিদ হাফেজ মুফতি কাজী মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
প্রশ্ন: বাবা-মাকে না জানিয়ে পালিয়ে বিয়ে করা ইসলামী শরিয়ত মতে জায়েজ কিনা?
উত্তর: এ বিষয়ে নবী করীম (সা.) বলেছেন, যদি কোনো নারী তার অভিভাবকের অমতে বা অভিভাবককে না জানিয়ে বিয়ে করে তার সে বিয়ে বাতিল, বাতিল, বাতিল। এটা একেবারেই উচিৎ নয়। এছাড়া বাব-মা যদি সন্তানের বিয়ের ব্যাপারে উদাসীন হন তাহলে তার বড় ভাই বা চাচার মতামত নিয়ে বিয়ে করতে পারেন। মোট কথা হচ্ছে বিয়ের ক্ষেত্রে পরিবারের যেকোনো বয়োজ্যেষ্ঠ অভিভাবকের মতামত নিতেই হবে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: আগামী ১৪ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাতে সারা দেশে পবিত্র লাইলাতুল মি’রাজ পালিত হবে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ্ নূরী এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৩৯ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আজ সোমবার পবিত্র জমাদিউস সানি মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ১৪ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল মি’রাজ পালিত হবে।
সভায় তথ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. মিজান-উল-আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. সাইদুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নুরুল ইসলাম, উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মু. সাইফুল্লাহ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান, ঢাকা জেলার আরডিসি মো. ইলিয়াস মেহেদী, ওয়াক্ফ প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. ইউসুফ আলী, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আবদুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতীব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব আবু রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ১৪৩৯ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।
এ অবস্থায়, আজ সোমবার পবিত্র জমাদিউস সানি মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে।
|
|
|
|
হযরত মূসা আ. আল্লাহর অনেক বড় প্রিয়পাত্র ছিলেন। তিনিই একমাত্র নবী ছিলেন যিনি দুনিয়াতেই আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন। তিনি শারীরিকভাবে অত্যন্ত সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন। মূসা আ. এর বিষয়ে অনেক আশ্চর্যজনক ঘটনা রয়েছে।
যেমন, হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মৃত্যুর সময় ফেরেশতাকে হযরত মূসা আ. এর নিকট পাঠানো হলো। ফেরেশতা মূসা আ. এর নিকট আসলে তিনি তাকে চপেটাঘাত করলেন। ফেরেশতার চোখ অন্ধ হয়ে গেল।
ফেরেশতা আল্লাহর নিকট ফিরে গিয়ে বললেন, আপনি এমন লোকের কাছে আমাকে প্রেরণ করেছেন যিনি মৃত্যুবরণ করছে ইচ্ছুক নন। আল্লাহ তার চুক্ষু ভালো করে দিলেন। অত:পর ফেরেশতাকে বললেন, তুমি পুনরায় তার নিকট গিয়ে তাকে একটি ষাড়ের পিঠে হাত রাখতে বল।
এরপর তাকে একথা বলো যে, যতটুকু স্থানে তার হাত পড়বে প্রতিটি পশমের বদলে তাকে এক বছর আয়ু দান করা হবে।
মুসা আ. আল্লাহকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আমার প্রভু ! তারপর কি হবে ? তিনি বললেন, অবশ্যই মৃত্যু হবে। একথা শুনে হযরত মুসা আ. বললেন, তবে তো এখনই শ্রেয়। (সহিহ বুখারি, হাদীস নং ১২৫৮) হযরত মুসা আ. এর ইন্তেকালের ঘটনা।
|
|
|
|
হাবীব আহমদ: জান্নাত ও জাহান্নাম। দুই পথ। দুই পরিণাম। দুই বাসস্থান। নেককারদের জান্নাতের বিপরীতে অসৎ কর্মশীলদের জন্যে রয়েছে জাহান্নাম। জাহান্নামের স্তর সাতটি। অন্যায় ও জুলুমের স্তর বিবেচনা করে অপরাধীদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে উপযুক্ত স্থানে। টেনে নেওয়া হবে মাথার চুল ধরে। পুলসিরাতের ওপর চলতে গিয়ে জাহান্নামিরা একে একে পরতে থাকবে ক্বারার তথা স্বীয় অবস্থানস্থলে। তন্মধ্যে যাদের অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ইমান আছে, নির্দিষ্ট পরিমাণে শাস্তি ভোগ করার পর তারা আসবেন জান্নাতে। আর নাস্তিক, মুরতাদ কিংবা অবিশ্বাসীরা অনন্তকালের জন্যে থেকে যাবে ওখানেই। আল্লাহতায়ালা আগুনের থাম দিয়ে তাদের বাসস্থানকে এমনভাবে চারদিক থেকে আবদ্ধ করে দেবেন, যেন তিনি তাদের ভুলে গেছেন। কিন্তু অভ্যন্তরে যথারীতি চলতে থাকবে তাদের কৃতকর্মের ফলাফল। জাহান্নামিদের শাস্তির বর্ণনা দিতে গিয়ে কোরআনে কারিমে বারবার বলা হয়েছে- ‘নার’ তথা আগুন। যে আগুনের তীব্রতা গায়ের চামড়া খসিয়ে দেবে পুরোপুরি, পরক্ষণেই তা আবার পুনরায় পূর্বের রূপে ফিরে যাবে। আবারও আগুন তা খসিয়ে দেবে। তাদের আঘাত করা হবে আগুনের মুগুর দিয়ে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘কখনও না! তারা নিক্ষিপ্ত হবে হুতামায়। তুমি কি জানো হুতামা কি? (তা তো হলো) আল্লাহর প্রজ¦লিত আগুন। যা অন্তরসমূহকে গ্রাস করে। তা তাদেরকে বেষ্টন করে রাখবে। অতি উঁচু স্তম্ভসমূহে।’ -সূরা হুমাযাহ: ৪-৯ কোরআনে জাহান্নামের পানি আর ছায়ার বর্ণনাও রয়েছে। তার ধরণ হলো- তারা পানি চাইলে দেওয়া হবে গলিত সীসা আর ছায়া হবে উত্তপ্ত। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তারা থাকবে অতি উষ্ণ বাতাস ও গরম পানিতে। ছায়া হবে উত্তপ্ত।’ -সূরা ওয়াকিয়া: ৪২-৪৩ কোরআনের বর্ণনায় উঠে এসেছে এমন আরও বহুবিধ শাস্তির কথা। আর এসব বর্ণনার মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা চেয়েছেন প্রিয় বান্দাদের সতর্ক করতে। জাহান্নামের এতসব বর্ণনা থাকলেও কিন্তু কোথাও আসেনি শীতল শাস্তির বর্ণনা। তাই বলে কি শীতল কোনো শাস্তি আখেরাতে হবে না? ‘তারা সেখানে আস্বাদন করবে না শামস (উত্তপ্ততা) এবং যামহারির (শীতলতা) এ প্রশ্নের উত্তর জানতে আসুন শুনে নেই কোরআনের একটি আয়াত। ওই আয়াতে আল্লাহতায়ালা জান্নাতিদের নিয়ামতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘তারা সেখানে আস্বাদন করবে না শামস (উত্তপ্ততা) এবং যামহারির (শীতলতা)।’ -সূরা দাহর: ১৩ কোরআনের কারিমের ব্যাখ্যাকাররা এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন- গরমও নয়, ঠান্ডাও নয়। -তাফসিরে জালালাইন, সফওয়াতুত তাফাসির আর যামহারির শব্দের অর্থ হলো- প্রচ- ঠান্ডা। -আল মুজাম আল ওয়াসিত, হাশিয়ায়ে বোখারি তীব্র গরম এবং তীব্র শীত অনুভূত না হওয়াকে জান্নাতিদের নিয়ামত বলা হয়েছে। এর দ্বারা বুঝা যায়, উভয় অনুভূতি জাহান্নামিদের শাস্তি হবে, যা না থাকাটা জান্নাতিদের কাছে নিয়ামত মনে হবে। এবার আসি হাদিসের দিকে। সহিহ বোখারি ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করলো- আমার এক অংশকে অপর অংশ খেয়ে ফেলছে। তখন রাব্বে কারিম তাকে দু’বার শ্বাস নেওয়া অনুমতি দিলেন। একবার গ্রীষ্মকালে, আরেকবার শীতকালে। তোমরা গরমের যেই প্রচ-তা অনুভব করো- তা জাহান্নামের উত্তপ্ততা থেকে আর শীতের যে তীব্রতা অনুভব করো; তা জাহান্নামের শীতলতা (যামহারির) থেকে।’ -সহিহ বোখারি ও মুসলিম বর্ণিত হাদিস দ্বারা বুঝা যায়- জাহান্নামের শাস্তিসমূহ থেকে শীতলতাও এক ধরণের শাস্তি। কিন্তু জান্নাতের আনন্দদায়ক অনুভূতি যেমন শোনেনি কোনো কান, দেখেনি কোনো চোখ, কল্পনা করেনি কোনো অন্তর, তেমনি জাহান্নামের শাস্তির কণা পরিমাণও দুনিয়াতে আমরা অনুভব করতে পারবো না। বস্তুত জাহান্নামের শাস্তির ভয়াবহতা মানুষের ধারনার বাইরে। এখন প্রশ্ন হতে পারে, তবে কোরআনের কোথাও কেন শীতল কোনো শাস্তির বর্ণনা আসেনি? এর উত্তরে আরেকটি আয়াত উল্লেখ করা যায়- ‘অবাধ্যদের জন্যে রয়েছে নিকৃষ্ট বাসস্থান। তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে, তা কতই না নিকৃষ্ট স্থান। সে আস্বাদন করুক- গাসসাক্ব (পুঁজ) এবং হামিম (গরম পানি)-এর স্বাদ এবং একই আকৃতির আরও অনেক।’ সূরা সোয়াদ: ৫৫-৫৮ আয়াতে ‘একই আকৃতির আরও অনেক’ অংশের ব্যাখ্যায় মুফাসসিররা বলেন, উল্লিখিত আজাবের অনুরূপ অন্যান্য আজাব। যেমন- প্রচ- ঠান্ডা। অতি উষ্ণ বাতাস, জাক্কুম ভক্ষণ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার শাস্তি। -সফওয়াতুত তাফসির সুতরাং আয়াতে শীতলতার নেতিবাচক কোনো কিছু তো নেই-ই বরং পরোক্ষভাবে এর উল্লেখ রয়েছে। আল্লামা ইবনুস সুন্নি (রহ.) ‘আমালুল লাইল ওয়াল ইয়াওম’ কিতাবে এক দুর্বল হাদিস উল্লেখ করেছেন। তা এই- সাহাবি হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রচন্ড গরমের দিনে যখন বান্দা বলে- ‘আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই। আজ কি গরম! হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিন।’ তখন আল্লাহ জাহান্নামকে বলেন, আমার এক বান্দা তোমার উত্তপ্ততা থেকে মুক্তি চেয়েছে। তুমি তোমাকে সাক্ষী রাখছি, আমি তাকে তা থেকে মুক্তি দিলাম।’ প্রচন্ড শীতের দিনে যখন বান্দা বলে- আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই। আজ কি শীত! হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের যামহারির (শীতলতা) থেকে মুক্তি দিন। আল্লাহ জাহান্নামকে বলেন- আমার এক বান্দা তোমার শীতলতা থেকে মুক্তি চেয়েছে। আমি তোমাকে সাক্ষী রাখছি, আমি তাকে তা থেকে মুক্তি দিলাম। সাহাবায়ে কেরাম জানতে চাইলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যামহারির কি? তিনি বললেন, একটি ঘর, যাতে কাফেরদের নিক্ষেপ করা হবে। তা দেহের এক অংশকে আরেক অংশ থেকে পৃথক করে ফেলবে।’ আল্লাহ প্রত্যেক মুসলমানকে জাহান্নামের আগুন ও কষ্টদায়ক শীতলতা ইত্যাদি শাস্তি থেকে মুক্তি দিন। আমিন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা)-এর পীড়া যখন বেড়ে গেল, তখন একদিন বিলাল (রা) এসে আযান দিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, “আবু বকরকে বলো, লোকজনকে নিয়ে জামায়াতে সালাত আদায় করতে।” তখন আমি বললাম, আবু বকর অত্যন্ত কোমলহুদয় মানুষ। আপনার জায়গায় দাঁড়িয়ে সালাতে ইমামতি করতে গেলে কান্নার দরুন লোকজনকে তিনি (কুরআনের) কিছুই শোনাতে পারবেন না। আপনি যদি তার পরিবর্তে উমারকে আদেশ করতেন, তবে ভাল হতো। আমার কথা বলার পরেও তিনি বললেন, “আবু বকরকে সালাতে ইমামতি করতে বলো।”
তারপর আমি হাফসার কাছে গিয়ে বললাম, তুমি রাসুুলুল্লাহ (সা)-কে একটু বলো যে, আবু বকর নরম দিলের মানুষ। তিনি যদি আপনার জায়গায় ইমামতি করার জন্য দাঁড়ান তবে কান্নার দরুন লোকজনকে কুরআনের কিছুই শোনাতে পারবেন না। আপনি যদি এ ব্যাপারে উমার কে আদেশ করতেন, তবে খুব ভাল হবে। হাফসা (রা) যখন তাঁকে একথা বললেন, তখন তিনি তিরষ্কারের ভংগিতেই বললেন, তোমরা তো দেখছি ইউসুফ (আ)-এর সাথীদের ন্যায় আচরণ শুরু করে দিয়েছো। আবু বকর লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে বলো। অতঃপর আবু বকরকে (রা) যখন সালাত আদায় করা শুরু করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (সা) একটু আরাম বোধ করলেন এবং দু’জন লোকের কাঁধে ভর করে পা হেঁচড়াতে-হেঁচড়াতে মসজিদে প্রবেশ করলেন।
এদিকে আবু বকর যখন নবী (সা)-এর আগমন টের পেলেন, তখন ইমামের জায়গা থেকে পিছিয়ে আসার উপক্রম করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা) ইশারায় আবুবকরকে স্বস্থানে অবস্থান করার আদেশ দিলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (সা) মসজিদে প্রবেশ করে তার বাম পাশে বসে পড়লেন। সে সময় আবু বকর (রা) দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন এবং রাসূলুল্লাহ (সা) বসে-বসে সালাত আদায় করছেন। আবু বকর (রা) রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সালাতের অনুসরণ করছিলেন এবং জনগণ আবু বকর (রা)-এর সালাতের অনুসরণ করছিলেন।” (বুখারী-কিতাবুল আযান)
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: পবিত্র কা’বা শরীফের ইমাম শাইখ সালেহ বিন আব্দুল্লাহ বলেছেন, কাউকে মুরতাদ আখ্যা দেওয়া কিংবা কাফের বলা ও হত্যা করার অধিকার রাখে ইকমাত্র ইসলামি রাষ্ট্র।
পাকিস্তানের জিও নিউজের একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শাইখ সালেহ বিন আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি গোটা বিশ্বে জেহাদ ও হত্যা সংগঠিতভাবে ইসলামি দেশের ইমাম ও সরকারকে অনুসরণ করেই করা উচিত। এর বাইরে যারা জেহাদ ও হত্যা করার চেষ্টা করে তারা কখনো সফল হবে না। ইতিহাসও এ কথা বলে।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কিংবা সাংগঠনিক জেহাদের কোনো অবস্থাতেই সুযোগ নেই। ইসলামি দেশ যতই দুর্বল হয়ে পড়–ক। এ দায়িত্ব সরকারের। যদি মুসলিম রাষ্ট্র দুর্বল পড়ে জেহাদ অপরিহার্য নয়। একজন মাজুর মুসলমানের ক্ষেত্রে যেমন সকল বিধান রহিত হয়ে যায় তেমনিভাবে ইসলামি দেশ থেকে কিছু কাজের দায়িত্ব রহিত হয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমাদের দুর্দশার কারণ আমরা বসে আছি। একে অপরকে সহ্য করতে পারি না, পারস্পরিক মতবিরোধ আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরিয়েছে। নিজেদের মাঝে ঐক্য তৈরি না করলে আরও সঙ্কটময় মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সূত্র : জিও নিউজ উর্দু
|
|
|
|
সামিউল ইসলাম: প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। একবার ঘুমানোর পর যদি আর জ্ঞান না ফিরে আসে তাহলেই তো সব শেষ। আর এ সম্ভাবনা তো অসম্ভব কিছু না। বরং ধ্রুব সত্য। সুতরাং আমাদের মৃত্যু যেন আল্লাহর নাম জপতে জপতে হয় সে জন্য প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিখিয়ে গেছেন বিভিন্ন দুয়া। নিচে ঘুমানোর এবং ঘুম থেকে ওঠার দুয়া উল্লেখ করা হলো,
হযরত হুযাইফ্হা ইবনুল ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিদ্রা যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখন বলতেন,
আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া-আহইয়া। অর্থ : “হে আল্লাহ! আমি তোমার নামেই মৃত্যুবরণ করি ও জীবন লাভ করি”।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ঘুম হতে উঠতেন তখন বলতেন, আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর। অর্থ: “সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর, যিনি মৃত্যুদানের পর আমার এ দেহকে পুনরায় জীবিত করেছেন এবং তাঁর নিকটই ফিরে যেতে হবে”। (জামে তিরমিজি হা : ৩৪১৭ ; সুনানে ইবনে মাজাহ হাঃ ৩৮৮০; সহিহ বুখারী)
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: আল্লাহতায়ালা হজরত আদম (আ.) কে সৃষ্টির পর তার একাকিত্ব অবসানের জন্য হজরত হাওয়া (আ.) কে সৃষ্টি করে বিয়ের মাধ্যমে তার জীবন সঙ্গী নির্ধারণ করে দেন। এটাই মানব ইতিহাসের প্রথম বিয়ে। কোনো নারীর সঙ্গে পুরুষের সর্ম্পক স্থাপনের জন্য বিয়ে হচ্ছে একমাত্র বৈধ, বিধিবদ্ধ, সার্বজনীন এবং পবিত্র ব্যবস্থা। মানবতার ধর্ম ইসলাম নারী-পুরুষের মাঝে সুন্দর ও পুতঃপবিত্র জীবন-যাপনের জন্য বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন। ইসলামে বৈরাগ্য নীতির কোনো স্থান নেই। ইসলামে সামর্থ্যবান ব্যক্তিকে বিয়ে করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিয়ে না করা ইসলাম নিষিদ্ধ বিষয়। বিয়ে প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের জন্য পোশাকস্বরূপ আর তোমরা তাদের জন্য পোশাকস্বরূপ।’ -সূরা বাকারা: ১৮৭ হাদিসে স্ত্রীদের জগতের অস্থায়ী সম্পদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে ঘোষণা দিয়েছেন নবী করিম (সা.)। ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ে একটি দেওয়ানি চুক্তির ফল। অভিভাবকের মাধ্যমে নারী নিজেকে বিয়ের জন্য উপস্থাপিত করে আর পুরুষ তা গ্রহণ করে অর্থাৎ ইজাব এবং কবুলের মধ্য দিয়ে একটি বিয়ে সুসম্পন্ন হয়। ইসলামে বিয়ের রুকন তিনটি। এক. বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সমূহ প্রতিবন্ধকতা হতে বর-কনে উভয়ে মুক্ত হওয়া। দুই. ইজাব বা প্রস্তাবনা। এটা মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে পেশকৃত প্রস্তাবনামূলক বাক্য। তিন. কবুল বা গ্রহণ। এটা বর বা বরের প্রতিনিধির পক্ষ থেকে সম্মতিসূচক বাক্য। বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্তগুলোর অন্যতম হলো- ১. ইশারা করে দেখিয়ে দেওয়া কিংবা নামোল্লেখ করে সনাক্ত করা অথবা গুণাবলী উল্লেখ অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে বর-কনে উভয়কে সুনির্দিষ্ট করে নেওয়া। ২. বর-কনে প্রত্যেকে একে অপরের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া। ৩. বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখা। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোনো বিয়ে নেই।’ এই হলো সংক্ষেপে বিয়ে প্রসঙ্গে ইসলামের বিধান। এর অনেকেই আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেন। ইসলামের দৃষ্টিতে ওই বিয়ে শুদ্ধ নয়। পূর্বেই বলা হয়েছে, বিয়ের জন্য সাক্ষী জরুরি। সাক্ষীর দু’জন বিবেকবান প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ অথবা একজন পুরুষ, দু’জন মহিলা সাক্ষীর সামনে ইজাব-কবুল করা অত্যাবশ্যক। সাক্ষী ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হয় না। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী মনে করা এবং সে রকম আচরণ করা কবিরা গোনাহ। পরকাল ও চিরস্থায়ী আজাবের কথা মাথায় রেখে এ জাতীয় গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাক্ষী ছাড়া কোনো বিয়ে হয় না। -তিরমিজি শরিফ হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত অপর এক হাদিসে রয়েছে, যেসব নারী সাক্ষী ছাড়া বিয়ে করেন, তারা ব্যভিচারী। বিয়ে মানব জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই দুনিয়ার জীবনে স্বামী-স্ত্রীদের উচিত স্বচ্ছ এবং পবিত্রভাবে জীবন যাপন করা।
|
|
|
|
ইকবাল কবীর মোহন
তিনি মহানবী সা: সবার সেরা নবী। সব যুগের সেরা মানুষ। সর্বশেষ নবী তিনি। আবদুল্লাহর ছেলে হজরত মুহাম্মদ সা:, যাকে সৃষ্টি না করলে এ দুনিয়া শোভায় সৌন্দর্যে কুসুমিত হতো না। সেই নবীর উম্মত আমরা। শ্রেষ্ঠ নবীর শ্রেষ্ঠ উম্মত। মহানবীর আদর্শও তেমনি শ্রেষ্ঠ। তাঁর জীবনও ছিল উত্তম আদর্শের নমুনা। ব্যক্তিগত, সমাজ, রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন মহত্তম আদর্শের মডেল। তাঁর জীবনাচরণ ছিল সুষমা আর সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। দয়ামায়া, ভ্রাতৃত্ব-ভালোবাসা, ক্ষমা-করুণা, ধৈর্য-সাহস, সততা, ন্যায়নিষ্ঠা সব ক্ষেত্রেই তিনি মহান আল্লাহর নিয়ামতে পূর্ণ এক মহামানব। তাই তো তখনকার দিনে তাঁর শত্রুরাও ছিল তাঁর অনুরক্ত, ভক্ত। তারাই তাঁকে ডাকত ‘আল আমিন’ বা বিশ্বাসী বলে। আজকের যুগে বিধর্মী কাফের গবেষক চিন্তাবিদেরাও তাঁকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বলে বিবেচনা করেন, মান্য করেন। মহানবী সা:-এর জীবনের কয়েকটি অপূর্ব ঘটনার উল্লেখ করছি এই প্রবন্ধে।
এক. সুমামা নামে ইয়ামামার এক সরদার মুসলমান হলেন। এতে মক্কার কুরাইশরা ভীষণ ুব্ধ হলো। তারা সুমামাকে মক্কায় খুব অপদস্থ করল, মারধর করল। সুমামা কুরাইশদের আচরণে খুবই ব্যথিত হলেন। সুমামা তার দেশে ফিরে গেলেন। গোত্রের সবাইকে তার অপমানের কথা জানালেন। খাদ্যশস্যের ভা-ার ইয়ামামা। মক্কার লোকেরা এখানকার শস্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই ইয়ামামার লোকেরা ঠিক করল তারা মক্কায় কোনো খাদ্যশস্য পাঠাবে না। তাই করা হলো। এতে মক্কায় খাদ্যের অভাব পড়ে গেল। ফলে মক্কাবাসীরা বিচলিত হয়ে পড়ল। তাই সবাই সুমামার কাছে মাফ চাইতে ছুটে গেল ইয়ামামায়। সুমামার কাছে তারা ক্ষমা চাইল এবং খাদ্য সরবরাহের অনুরোধ জানাল। সুমামা বিনয়ের সাথে বললেন, বিষয়টি নবীজীর কাছে গিয়ে সুরাহা করতে হবে। তিনি অনুমতি দিলেই কেবল মক্কায় খাদ্য সরবরাহ করা হবে। কুরাইশদের মাথায় এবার বাজ পড়ল। তাদের প্রধান শত্রুÑ উজ্জার দুশমন, বাবা হোবলের দুশমন মুহাম্মদের কাছে যেতে হবে! কিন্তু কিছুই করার ছিল না তাদের। তারা যে নিরুপায়। খাদ্যশস্যের বিষয়ে একটা সুরাহা না হলে না খেয়ে মারা যাবে তারা। অগত্যা তারা মদিনায় ছুটল। তাদের মনে ভয় মুহাম্মদ যে কঠোর, নির্মম এক মানুষ সে কি রাজি হবে? এ রকম ভাবতে ভাবতে তারা হাজির হলো মদিনায়। সব কিছু তারা মহানবী সা:-কে খুলে বলল। কুরাইশদের দুঃখের কথা শুনে নবীজীর মন বিগলিত হলো। তখনই তিনি সুমামাকে খবর পাঠালেন অবরোধ তুলে নিতে। তিনি বললেন, ‘একজন মুসলমান ুধাতুরের খাবার কেড়ে নেয় না, ুধার্তকে খাওয়ায়।’ মহানবীর আদর্শ দেখে কুরাইশরা অবাক হলো। বিস্মিত হলো হৃদয়বান মুহাম্মদের মহত্ত্ব দেখে।
দুই. এক যুদ্ধে জয় লাভ করে সসৈন্যে মদিনায় পা রাখলেন নবী মুহাম্মদ সা:। সারা মদিনা তখন আনন্দে উতরোল। মুসলমানদের চোখেমুখে খুশির ঝিলিক। কিন্তু নবীজীর মুখে হাসি নেই, মনে তেমন উত্তাপ ও উচ্ছ্বাস নেই। মদিনায় এসেই তিনি প্রথমে গেলেন মসজিদে নববীতে। কৃতজ্ঞতায় সিজদায় লুটিয়ে পড়লেন সেখানে। আল্লাহকে যুদ্ধ জয়ের জন্য ধন্যবাদ জানালেন। তারপর নামাজ শেষে সাহাবাদের সাথে জরুরি বিষয় নিয়ে আলোচনায় মগ্ন হলেন। খুশির কোনো আমেজই ছিল না তাতে। এ দিকে নবীর স্ত্রী আয়েশা রা:-এর মনজুড়ে উল্লাস। তার স্বামী বিজয়ের বেশে ফিরছেন। তিনি উল্লসিত, উচ্চকিত। স্বামীকে অভিনন্দন জানাতে তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তার পর্ণকুটিরে আজ আনন্দের ধারা যেন বইছে। খেজুরপাতার ছাউনি দিয়ে বানানো ঘর, যার ফাঁকে ফাঁকে সূর্যের আলো দেখা যায়। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে, সেই কুটিরকে আয়েশা রা: আজ সাজালেন সুন্দর করে। ঘরের ছাদে সুন্দর একটি সামিয়ানা টানিয়ে দিলেন। ঘরের দেয়ালগুলো রঙিন কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলেন। এতে ঘরটা ঝকঝক করছে। ভাবলেন, রাসূল সা: এগুলো দেখে আনন্দিত হবেন। তার মনে খেলে যায় আনন্দের ঢেউ। একসময় নবীজী এসে ঘরে ঢুকেলন। আয়েশা রা: রাসূলের মুখের দিকে তাকালেন। কিন্তু এ কি! ভীষণ গম্ভীর তাঁর মুখাবয়ব। আয়েশা রা: বুঝতে পারলেন, নবীজী খুশি হননি। এবার আয়েশার দিকে তাকিয়ে রাসূল সা: বললেন, ‘দেখো আয়েশা! ইট-পাথরকে পোশাক পরানোর জন্য আল্লাহ আমাদেরকে দৌলত দেননি।’ আÍসংযমের কী মহৎ নমুনা ছিল নবীজীর জীবনে।
তিন. মক্কায় কাবাঘর মেরামতের কাজ চলছিল। সবাই কাজ করছে। কেউ পাথর আনছে, কেউ পানি তুলছে। কেউ বা কাঠ চেরাই করছে। বালক মুহাম্মদের মনও তা থেকে দূরে থাকতে চাইল না। তিনিও পাথর টেনে আনছিলেন। বড় পাথর। বইতে পারছিলেন না। কাঁধে পাথর বসে যাওয়ার উপক্রম হলো। অসম্ভব ভারে পাথরটা এক সময় মাটিতে পড়ে গেল। তিনি ঘর্মাক্ত ও রক্তাক্ত হয়ে গেলেন। সবাই ছোট বালকের প্রতি সমবেদনা দেখাল। তারা তাকে পাথর টানতে নিষেধ করল। তিনি শুনলেন না কিছুই। তার পরনে কাপড়, সারা গা খালি। কেউ কেউ বলল, পরনের কাপড়টা খুলে কাঁধে ভাঁজ করে দিয়ে প্রয়োজনে পাথর টানতে। তখন বালক-বালিকা, পুরুষ-মহিলাদের উলঙ্গ হওয়া কোনো ব্যাপারই ছিল না। তরুণ-তরুণীরা উলঙ্গ হয়ে কাবাগৃহ তাওয়াফ করত। মুহাম্মদ সা: কাপড় খুলতে মোটেও রাজি হলেন না। একজন এসে মুহাম্মদের পরনের কাপড়টা টান মেরে খুলে ফেলল। বালক মুহাম্মদ বিস্মিত হলেন। মুহূর্তেই তিনি জ্ঞান হারালেন। তিনি লুটিয়ে পড়লেন বালুর ওপর। তাঁর এ অবস্থা দেখে সবাই ব্যাকুল হয়ে পড়ল। তারা ঘাবড়ে গেল। এমন সময়ে একজন এসে কাপড়টা বালক মুহাম্মদের উলঙ্গ দেহের ওপর ছুড়ে মারল। আর অমনি মুহাম্মদ সা: জ্ঞান ফিরে পেলেন। তাঁর চোখের পাতা নড়ে উঠল। তিনি সম্বিৎ ফিরে পেলেন। কী অপূর্ব লজ্জাবোঁধ ছিল এই মহামানবটির! শিশু বয়সেও তাঁর লজ্জাজ্ঞান ছিল কতই না গভীর!
চার. মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনা। মাখদুম গোত্রের এক মহিলার ঘটনা। কুরাইশদের একটি শাখা মাখদুম গোত্র। বড় সম্মানিত গোত্র এটি। অন্য গোত্রের বিচার-সালিশ করে এই গোত্র। কিন্তু এখন চুরির ঘটনায় মহিলার হাত কাটার ব্যবস্থা। ইসলামী আইনে এর কোনো ব্যতিক্রম নেই। এত বড় একটা মানি গোত্র। সম্ভ্রান্ত ঘর। আর এই গোত্রের মহিলার হাত কাটা গেলে কী যে লজ্জায় পড়তে হবে, তা ভেবে সবাই পেরেশান হলো। তাই তারা নবীজীকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ক্ষমা পাওয়ার একটা পথ বের করতে চেষ্টা চালাল। তাই তারা বেছে নিলো উসামাকে। রাসূল সা:-এর পালিত ছেলে মুক্ত ক্রীতদাস জায়েদের ছেলে উসামা। নবীজীর কাছে বড় আদরের পাত্র তিনি। এই উসামাকেই আপন উটের ওপর বসিয়ে মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী সা: মক্কা শহরে প্রবেশ করেছিলেন। উসামাকে গভীরভাবে ভালোবাসেন নবী মুহাম্মদ সা:। সেই উসামা মহিলাকে নিয়ে হাজির হলেন রাসূল সা:-এর কাছে। মাখদুমের লোকেরাও রয়েছে তার সাথে। নবীজী উসামাকে তার কথা শোনাতে বললেন। উসামা বিনীতভাবে নবীজীকে বললেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! মাখদুম গোত্রের কথা বিবেচনা করে তাকে ক্ষমা করা যায় কি না?’ নবীজী উসামার কথা শুনে বেশ গম্ভীর হয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ নীরব থেকে তারপর উসামাকে বললেন, ‘উসামা! আল্লাহ যে শাস্তি নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তুমি কি আমাকে তার ব্যতিক্রম করতে বলছো?’ উসামা কথা শুনে লজ্জা-শরমে লাল হয়ে গেলেন। তিনি বিনীতভাবে ক্ষমা চাইলেন নবীজীর কাছে। নবীজী তারপর বললেন, ‘তোমরা নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো বিচারে নিরপেক্ষতার অভাবে অতীতে বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। বড়লোকেরা অন্যায় করলে নামমাত্র বিচারে তারা ছাড়া পেয়ে যেত, আর একই অপরাধে গরিবের ওপর নেমে আসত কঠোর ও নির্মম সাজা। কেবল এই কারণে বনি ইসরাইল জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। নবীজীর কথা শুনে সাহাবারা সবাই নীরব হয়ে গেলেন। মাখদুম গোত্রের লোকেরাও নীরব। সবার নীরবতা ভেঙে নবীজী বললেন, ‘তোমরা জেনে রাখো, যার হাতে আমার জীবন সেই আল্লাহর কসম! আজ যদি আমার কন্যা ফাতেমাও এ অপরাধে লিপ্ত হতো সেও আল্লাহর নির্ধারিত সাজা থেকে রেহাই পেত না। আমি তখনই তার হাত কাটতাম। ন্যায়বিচারের কী পরাকাষ্ঠাই না ছিল নবী মুহাম্মদ সা:-এর মধ্যে।
পাঁচ. বনু হানিফা গোত্র। দুর্ধষ এক কুচক্রী গোত্র এটি। বহু অপরাধের ধারক-বাহক এই গোত্রের লোকেরা। মুসাইলামার মতো মিথ্যুক নবীর জন্ম এই গোত্রে। এই গোত্রেরই প্রচ- বিদ্বেষী ও খুনি সরদার সুমামা ইবনুল আদাল। বহু খুনে তার হাত রঞ্জিত হয়েছে। অসংখ্য মুসলমানের সর্বনাশ হয়েছে তার হাতে। এবার সে বন্দী। সবাই তার কতলের জন্য দাবি তুলল। ইসলামের এই বড় দুশমনের একমাত্র শাস্তি হলো কতল। বন্দীকে হাজির করা হলো নবীজীর কাছে। তিনি বন্দীর দিকে তাকালেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার কি কিছু হয়েছে?’ বন্দী বলল, ‘হে মুহাম্মদ! আপনি যদি আমাকে হত্যা করেন তাহলে একজন বড় দুশমন, অপরাধী ও হত্যাকারীকেই হত্যা করবেন। আর যদি দয়া করেন তাহলে একজন সত্যিকার অকৃতজ্ঞ ব্যক্তির প্রতি অনুগ্রহ করবেন। আর তা না করে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিলে বলুন তাহলে কত মুক্তিপণ দিতে হবে?’ সুমামার কথা শুনে রাসূল সা: চুপ থাকলেন এবং কিছু না বলে উঠে চলে গেলেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনও একই প্রশ্ন করল সুমামা, এ দিনেও নবীজী আর কোনো কথাই বললেন না। সুমামা জানত মৃত্যুই তার শাস্তি। এ জন্য সে প্রস্তুতও ছিল। একদিন অকস্মাৎ নবী সা: সুমামাকে মুক্ত করে দিতে এক সাহাবিকে নির্দেশ দিলেন। সাহাবি তাই করল। নবীজীর কা- দেখে বিস্মিত হলো সুমামা। এটা যে কল্পনাও করা যায় না। মুক্ত হয়ে সে চলে গেল নীরবে। সাহাবিরা ভাবলেন সুমামা আবার গোত্রের লোকদের নিয়ে আক্রমণের প্রস্তুতি নেবে। কিন্তু না, একটু পরেই সে ফিরে এলো নবীজীর নিকট। মদিনার উপকণ্ঠে একটা কূপ থেকে গোসল সেরে এসেছে সুমামা। এসেই নবীজীকে মিনতির সুরে বলল, ‘আমাকে সত্য ধর্মের দীক্ষা দিন।’ নবীজী তাকে ভাবতে বললেন। সুমামা বললÑ ‘না, এখনই আমি সত্য ধর্মে ফিরে আসতে চাই।’ সে আবেগভরা কণ্ঠে জানাল, ‘এ শহর ছিল আমার কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য আর আজ তা হলো সবচেয়ে প্রিয়। একটু আগেও এই ধর্ম ছিল আমার কাছে সবচেয়ে জঘন্য, আর এখন সবচেয়ে উত্তম। আর আপনার চেয়ে অধিক প্রিয় মানুষ আমার আর কেউ নেই।’ এ কথা বলেই সুমামা ইবনুল আদাল নবী সা:-এর পা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল। ক্ষমার মহিমায় রাসূলুল্লাহ সা: মানুষকে এভাবেই আপন করে নিলেন, দীক্ষিত করলেন আল্লাহর দ্বীন ইসলামে।
মহানবী সা:-এর জীবনের প্রতিটি ঘটনায় তিনি যে উত্তম আচরণ, আদর্শ পেশ করেছেন তারই কারণে ইসলাম হয়েছিল বিজয়ী। দুনিয়াজুড়ে ইসলাম মানুষের মুক্তির দিশা হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছিল। আজো এই মহান আদর্শ ফুরিয়ে যায়নি। আমরা মুসলমানেরা সেই উত্তম আদর্শ থেকে বিচ্যুত বলেই আমাদের আজকের এই দুর্দশা। আমরা যেন মহানবী সা:-এর আদর্শে উদ্ভাসিত হতে পারি, আল্লাহ আমাদের সেই তাওফিক দান করুন।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীতে প্রায় প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর এক বা একাধিক জানাজার নামাজ হয়ে থাকে। জানাজার নামাজ ফরজে কেফায়া। ফরজ নামাজ শেষে ‘আস সালাতু আলাল আমওয়াতি ইয়ারহামু কুমুল্লাহ’ বা এই জাতীয় শব্দ বলে জানাজার নামাজের ঘোষণা দেওয়া হয়।
হজযাত্রী এবং আশপাশের এলাকার স্থানীয় সৌদি নাগরিক মারা গেলে তাদের জানাজা এই দুই মসজিদে হয়ে থাকে। কোনো কোনো ওয়াক্তে একাধিক জানাজাও হয়ে থাকে। হজযাত্রীরা ফরজ নামাজের পর সঙ্গে সঙ্গে সুন্নত নামাজ শুরু না করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন জানাজার জন্য। এটাই রীতি।
বিদায়ি তাওয়াফ শেষে হাজিরা ফিরতে শুরু করেছেন চলতি বছর হজ পালন করতে এসে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত পযন্ত মোট ৮১ বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ৫৮ জন, মদিনায় ৭ জন, মিনায় ১৬ জন। মৃতদের মধ্যে ৬৫ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারী। হজ বুলেটিন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
স্ট্রেস, হজের আমলের চাপ এবং অধিকাংশ হাজি বৃদ্ধ হওয়ার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা এবার বেশি। সৌদি আরবে পবিত্র হজপালন করতে এসে কোনো হজযাত্রী বাড়িতে কিংবা রাস্তায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অথবা হাসপাতালে মারা গেলে তার মরদেহ দেশে পাঠানো হয় না। তবে লাশ দেশে না পাঠালে মৃত্যুবরণকারী হাজিদের মৃত্যুর সনদ যথাসময়ে তাদের পরিবার বা তাদের প্রতিনিধি কিংবা এজেন্সির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে প্রত্যেক হজযাত্রী হজ গমনের আবেদনপত্রে অঙ্গীকার করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে তার মৃত্যু হলে মরদেহ এখানেই দাফন করা হবে। কোনো ধরনের ওজর-আপত্তি থাকবে না। এমনকি পরিবার-পরিজনেরও কোনো আপত্তি গ্রহণ করা হবে না। মক্কা, মিনা ও মুজদালিফায় অবস্থানরত কোনো হজযাত্রী মারা গেলে তার জানাজা হয় মসজিদুল হারামে। মদিনায় মারা গেলে তার নামাজের জানাজা হয় মসজিদে নববীতে। কেউ জেদ্দায় মারা গেলে জানাজা হয় জেদ্দায়। মরদেহের গোসল করানো, কাফন পরানো, জানাজা পড়ানো ও দাফন করাসহ যাবতীয় কাজ নির্দিষ্ট বিভাগ করে থাকে। জান্নাতুল মোয়াল্লা। মসজিদুল হারামের পূর্ব দিকে অবস্থিত মক্কা শরিফের একটি বিখ্যাত কবরস্থান। এই কবরস্থানের কোনো কবর বাঁধানো নয়, নেই কোনো কবরে নামফলক। এখানে অনেক সাহাবির কবর আছে। আছে নবী করিম (সা.)-এর স্ত্রীদের কবর। আগে হজ করতে এসে কেউ মক্কায় মারা গেলে এখানে কবর দেওয়া হতো। স্থান সংকুলান না হওয়ায় এখন ভিন্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়। পবিত্র মক্কার রুশাইফায় রযেছে লাশের গোসল ও কাফন পরানোর ব্যবস্থা। হজপালনকারীদের লাশ বহন করার জন্য সরকারি গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশের এখানে কোনো কিছু করতে হয় না। মসজিদে হারামে জানাজার জন্য লাশ গাড়িতে করে কাবা শরিফের দক্ষিণে নবী করিম (সা.)-এর জন্মস্থানের পাশে বাবে ইসমাইলের কাছে রাখা হয়। ফরজ নামাজের পর ইমাম সাহেব লাশ রাখার স্থানে এসে জানাজার নামাজ পড়ান। আরবদের মাঝে লাশ বহরকারী খাটিয়া কাঁধে নেওয়ার আগ্রহ অনেক। এটা তাদের একটি বিশেষ গুণ। এটাকে তারা সৌভাগ্য মনে করে। এজন্য লাশ পরিচিত হওয়া জরুরি নয়। কাবা শরিফের দক্ষিণে মাতাফ সংলগ্ন তুর্কি হারাম। এর ওপরের তলায় মুয়াজ্জিন আযান দেয়। লোক সমাগম বেশি হলে ইমাম সাহেব এখান থেকেই জানাজার নামাজ পড়ান। এখানে ৭/৮ জন পুলিশের পাশাপাশি মাইক পরিচালনার লোক রয়েছে। ইমাম সাহেব যেন সুন্দরভাবে জানাজার নামাজ পড়াতে পারেন, সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশের লোক সমাজে একটি কথার প্রচলন রয়েছে, ‘হজ করতে গিয়ে কেউ যদি মারা যায়, সে মক্কার মাটি পেল।’ এটাকে বেশ সৌভাগ্যের বিষয়ও মনে করা হয়। কিন্তু ইসলামি শরিয়েতে এমন কথা ও বিশ্বাসের বিশেষ কোনো মর্যাদা নেই। তবে মক্কা অর্থাৎ আল্লাহর ঘরের কাছে দাফন হলে, তিনি যদি সত্যিকার ঈমানদার হয়ে থাকেন- তাহলে এটি তার জন্য একটা মর্যাদার বিষয়। কিন্তু এর জন্য অতিরিক্ত ফজিলতের কোনো কথা বা প্রসঙ্গে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হাদিসের কোথাও বলেননি। তবে হ্যাঁ, ইহরাম অবস্থায় কেউ মারা গেলে তিনি বিশেষ মর্যাদার অধিকারী বলে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: শুরু হলো বিশ্ব মুসলিমের মহাসম্মিলন পবিত্র হজ। আরাফাতের আদিগন্ত মরু প্রান্তর এক অলৌকিক পুণ্যময় শুভ্রতায় ভরে উঠেছে। সফেদ-শুভ্র দুই খণ্ড কাপড়ের এহরাম পরিহিত হাজীদের অবস্থানের কারণে সাদা আর সাদায় একাকার। পাপমুক্তি আর আত্মশুদ্ধির আকুল বাসনায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ এই পবিত্র হজ পালন করেছেন।
‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’ মাতা লাকা ওয়ালমুলক লা শারিকা লাক....মধুধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে পবিত্র আরাফাতের পাহাড় ঘেরা ময়দান ছাপিয়ে আকাশ-বাতাস মুখর ও প্রকম্পিত এখন।
সু-উচ্চকণ্ঠ নিনাদের তালবিয়ায় মহান আল্লাহ তায়ালার একত্ব ও মহত্ত্বের কথা বিঘোষিত হচ্ছে প্রতি অনুক্ষণ। ‘আমি হাজির। হে আল্লাহ! আমি হাজির। তোমার কোনো শরিক নেই। সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধুই তোমার। সাম্রাজ্য তোমারই। তোমার কোনো শরিক নেই।’
আজ ফজরের পর গোটা দুনিয়া থেকে আগত লক্ষ লক্ষ মুসলমান ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন। ৯ জিলহজ মূল হজের দিন তারা এখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকবেন। চার বর্গমাইল আয়তনের এই বিশাল সমতল মাঠের দক্ষিণ দিকে মক্কা হাদা তায়েফ রিং রোড, উত্তরে সাদ পাহাড়। সেখান থেকে আরাফাত সীমান্ত পশ্চিমে আরো প্রায় পৌনে ১ মাইল বিস্তৃত। মুসলমানদের অতি পবিত্র এই ভূমিতে যার যার মতো সুবিধাজনক জায়গা বেছে নিয়ে তারা ইবাদত করবেন; হজের খুতবা শুনবেন এবং জোহর ও আছরের নামাজ পড়বেন। আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরায় জোহরের নামাজের আগে খুতবা পাঠ করবেন গ্র্যান্ড ইমাম। সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহ তা’আলার জিকির আসকার ইবাদতে মশগুল থাকবেন। অতঃপর মুজদালিফার উদ্দেশে আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করবেন এবং মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশা’র নামাজ এশা’র ওয়াক্তে একত্রে পড়বেন এবং সমস্ত রাত অবস্থান করবেন। মীনায় জামরাতে নিক্ষেপ করার জন্য ৭০টি কংকর এখান থেকে সংগ্রহ করবেন। মুজদালিফায় ফজরের নামাজ পড়ে মীনার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। ১০ জিলহজ মীনায় পৌঁছার পর হাজীদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। প্রথমে মীনাকে ডান দিকে রেখে হাজীরা দাঁড়িয়ে শয়তানকে (জামারা) পাথর নিক্ষেপ করবেন। দ্বিতীয় কাজ আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি করা। অনেকেই মীনায় না পারলে মক্কায় ফিরে গিয়ে পশু কোরবানি দেন। তৃতীয় পর্বে মাথা ন্যাড়া করা। চতুর্থ কাজ তাওয়াফে জিয়ারত। জিলহজের ১১ তারিখ মীনায় রাত যাপন করে দুপুরের পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হাজীরা বড়, মধ্যম ও ছোট শয়তানের উপর সাতটি করে পাথর নিক্ষেপ করবেন। আর এ কাজটি করা সুন্নত। পরদিন ১২ জিলহজ মীনায় অবস্থান করে পুনরায় একইভাবে হাজীরা তিনটি শয়তানের উপর পাথর নিক্ষেপ করবেন। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করা শেষ হলে অনেকে সূর্যাস্তের আগেই মীনা ছেড়ে মক্কায় চলে যাবেন। আর মক্কায় পৌঁছার পর হাজীদের একটি কাজ অবশিষ্ট থাকে। সেটি হচ্ছে ক্বাবা শরীফ তাওয়াফ করা। একে বলে বিদায়ী তাওয়াফ। স্থানীয়রা ছাড়া বিদায়ী তাওয়াফ অর্থাত্ ক্বাবা শরীফে পুনরায় সাতবার চক্কর দেওয়ার মাধ্যমে হাজীরা সম্পন্ন করবেন পবিত্র হজব্রত পালন।
এদিকে গতকাল সারাদিন এবং গত রাতে হজযাত্রীরা মীনায় অবস্থান করেন। সেখানেই শুরু হয় পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। প্রতি বছর হজের সময় মুসলিমদের অস্থায়ী আবাস হিসেবে মীনায় বসানো হয় লাখ লাখ তাঁবু। পবিত্র মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার অদূরের মীনা যেন তাঁবুর শহর। যেদিকে চোখ যায়, তাঁবু আর তাঁবু। তাঁবুতে প্রত্যেকের জন্য আলাদা ফোম, বালিশ, কম্বল বরাদ্দ। ফোমের নিচে বালু। মীনায় অবস্থান করা হজের অংশ। হজযাত্রীরা নিজ নিজ তাঁবুতে নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন।
পবিত্র হজ উপলক্ষে মক্কা, মদীনা, মীনা, আরাফাত ময়দান, মুজদালিফা ও এর আশেপাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদী সরকার। মোতায়েন আছে এক লাখের বেশি নিরাপত্তাকর্মী।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: ১০৪ বছরের বাইক মারিয়া (ইধরয় গধৎরধয) এবারের হজে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষ। তিনি ইন্দোনেশিয়া থেকে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব এসে পৌঁছেছেন। ইন্দোনেশিয়া থেকে এবার ২ লাখ ২১ হাজার মানুষ হজ পালন করবেন। সৌদি আরবে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহম্মদ হ্যারি সারিপুদিন (গড়যধসসবফ ঐবৎু ঝধৎরঢ়ঁফরহ) এ তথ্য জানান।
আরব নিউজকে সারিপুদিন জানান, মারিয়ার স্বাস্থ্য ভালো এবং তিনি কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই হজ পালনে সক্ষম।
সারিপুদিন বলেন, ‘মারিয়া যখন হজ পালনের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন, তখন ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় থেকে তাকে বিশেষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়।’ ইন্দোনেশিয়ার লববক ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (খড়সনড়শ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অরৎঢ়ড়ৎঃ) থেকে মারিয়া প্রথমবারের মতো বিমানে চড়েন।
তবে, হজপালন করা এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষ হলেন হাবিব মিয়া।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২০ বছর বয়সে ২০০৪ সালে তিনি ভারত থেকে সৌদি আরব গিয়ে হজ পালন করেন। যদিও ওই সময় হাবিব মিয়ার পেনশনের কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছিলো যে, তার বয়স ছিলো- ১২৫ বছর। আর হাবিব নিজে দাবি করেছিলেন তার বয়স ১৩২ বছর।
সারিপুডিন জানান, ইন্দোনেশিয়ায় হজ পালনের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকায় প্রায় ১০ লাখ লোক রয়েছে। দেশটিতে হজ পালনের জন্য আবেদন করলে একজনকে গড়ে প্রায় ৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়। সে ক্ষেত্রে হজ পালনের জন্য বয়স্কদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই ইন্দোনেশিয়ার হজযাত্রীরা প্রায় সময়ই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভোগেন।
ইন্দোনেশিয়ান কর্তৃপক্ষ তাদের দেশ থেকে হজ পালন করতে যাওয়া যাত্রীদের আরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চায়। এজন্য তারা মক্কা ও মদিনাতে আরও বেশি পরিমাণে হজ অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। -আরব নিউজ অবলম্বনে
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আখলাকুল আম্বিয়া নির্বাহী সম্পাদক: মাে: মাহবুবুল আম্বিয়া সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: স্বাধীনতা ভবন (৩য় তলা), ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০। Editorial & Commercial Office: Swadhinota Bhaban (2nd Floor), 88 Motijheel, Dhaka-1000. সম্পাদক কর্তৃক রঙতুলি প্রিন্টার্স ১৯৩/ডি, মমতাজ ম্যানশন, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত । ফোন : ০২-৯৫৫২২৯১ মোবাইল: ০১৬৭০৬৬১৩৭৭ Phone: 02-9552291 Mobile: +8801670 661377 ই-মেইল : dailyswadhinbangla@gmail.com , editor@dailyswadhinbangla.com, news@dailyswadhinbangla.com
|
|
|
2015 @ All Right Reserved By dailyswadhinbangla.com
|
Developed By: Nytasoft |
|