মাহবুবুল আম্বিয়া : বিশ্বব্যবস্থা স্পষ্টতই এখন দ্বিধাবিভক্ত- করোনাভাইরাস পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী। প্রাণসংহারী এই রোগের আক্রমণে বিশ্ব অর্থনীতিতে শুরু হয়েছে টালমাটাল অবস্থা। বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর দিয়েও বয়ে যাচ্ছে সুনামি। করোনা-পরবর্তী নতুন বিশ্বব্যবস্থায় অর্থনীতিতে বদলের হাওয়া স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপী কমে যাচ্ছে পণ্য চাহিদা; ব্যাহত হচ্ছে শিল্প ও কৃষি উৎপাদন।
অস্বাভাবিক বেকারত্বের ভারে কাঁপছে বিশ্ব। সরকারের আয় ধসে পড়ায় জনগণকে বাঁচাতে দেশে দেশ শুরু হয়েছে নতুন ভাবনা-উদ্যোগ-আয়োজন। স্মরণযোগ্য, ১৯৩০-এর দশকে যে মহামন্দা বিশ্বকে গ্রাস করেছিল, করোনা মহামারীতে সৃষ্ট বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ।
এমন বাস্তবতায় আজ জাতীয় সংসদে পেশ হতে যাচ্ছে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট। সব মিলিয়ে কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেশি ব্যয়ের লক্ষ্য নিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন মিলে মোট পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার ৯০ কোটি টাকার বিশাল বাজেট আসছে।
বাজেট প্রণয়নে সম্পর্কীত সূত্র থেকে জানা যায়, করোনা-পরিস্থিতির কারণে রাজস্ব আয়ের নাজুক অবস্থায় অর্থ জোগানের ক্ষেত্রে আগামী বাজেটে ব্যাংক ঋণের ওপর বেশি ঝুঁকছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ এবার সরকারকে আগের চেয়ে বেশি ধার করে চলতে হবে। তবে বাজেটে নতুন কোনো কর আরোপ কিংবা কর হার বাড়ানো হচ্ছে না। বরং আসন্ন বাজেটে কর কমানো, কর রেয়াত, কর আইন সহজকরণসহ রাজস্ব খাতে সংস্কারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, বাজেটে সরকারের জন্য অর্থের জোগান নিশ্চিত করাটাই হবে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে ধস নেমেছে। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। আগামীতেও রাজস্ব আয় বাড়বে না। রাজস্ব আদায় না হলে এবং প্রত্যাশিত ঋণ সহায়তা না পেলে উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে সংশয় থাকছে। আগামী বাজেটটি হবে মূলত ঋণনির্ভর। অর্থায়নের মূল ভরসাই হচ্ছে ব্যাংক থেকে টাকা ধার করা। পাশাপাশি বিদেশি ঋণ আনার বিষয়েও অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে বলেছে, দীর্ঘ মেয়াদে লকডাউন এবং অর্থনৈতিক স্থবিরতায় বেসরকারি ভোগ ব্যয় ব্যাপক হারে কমে গেছে। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের ব্যবসা ধসে গেছে। বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। আস্থা কমেছে বিনিয়োগকারীদের। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স অনেক কমে গেছে। দীর্ঘ মেয়াদে ছুটির কারণে শিল্প উৎপাদনও কমে গেছে। এরকম পরিস্থিতিতে সামনের বছরগুলোতে রাজস্ব আদায়ের চাপ বাড়বে।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে প্রাক-বাজেটের সব আলোচনা বাতিল করে দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। ফলে অন্যান্য বারের মতো এবার অংশগ্রহণমূলক বাজেট প্রণয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, কভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী বাজেট সাজানো হচ্ছে। এতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে স্বাস্থ্য খাত। এ ছাড়া বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রণোদনাসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ থাকছে। বাড়ছে সামাজিক সুরক্ষার আওতা। উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা প্রতিফলিত হবে আগামী বাজেটে।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য সিনিয়র সচিব ডক্টর শামসুল আলম বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি কত হবে, সেই বিতর্কে না গিয়ে জনগণের জীবন রক্ষাই এখন প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। সরকারের প্রধান কাজ হবে জনগনের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলা করা। এর পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকা- কীভাবে সক্রিয় করা যায়, সেই প্রচেষ্টা নেওয়া। এ লক্ষ্যে আগামী বাজেট সাজানো হচ্ছে।
করোনা-পরবর্তী সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ অপ্রচলিত মুদ্রা নীতি গ্রহণ করেছে। ভর্তুকি দিয়ে অর্থনীতিকে মন্দার হাত থেকে রক্ষা করতে চাইছে। বাংলাদেশও প্রণোদনাসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে; কিন্তু তার পরও বাজেটে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কী ম্যাজিক দেখাবেন অর্থমন্ত্রী, তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাসহ সচেতন মানুষ।
শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করাই হবে অর্থমন্ত্রীর জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ। এ জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনার গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে তারা বলেন, বর্তমান সংকট মোকাবিলায় অনেক দেশই প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে নোট ছাপিয়ে। সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে বাংলাদেশকেও সেই পথে হাঁটতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ডক্টর মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আগামী অর্থবছরেও রাজস্ব আদায় তেমন বাড়বে না; কিন্তু সরকারের ব্যয় বাড়বে। ফলে সঙ্গত কারণেই বাজেটে বড় ঘাটতি হবে। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার করে ঘাটতি মেটাতে হবে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে দিতে হবে। অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধির দিকে ছোটার মানসিকতা পরিহার করে অর্থনীতিকে সচল রাখার ব্যবস্থা নেওয়াই এ সময়ে সবচাইতে জরুরি।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বিআইডিএসের সাবেক ঊর্ধ্বতন গবেষণা পরিচালক বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডক্টর জায়েদ বখত বলেন, আমাদের দেশে বাজেটের মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়, তা জিডিপির তুলনায় অনেক কম। ভারতসহ পৃথিবীর অনেক দেশে আরও বেশি খরচ করা হয়। কাজেই, আমাদের বাজেটে আরও বেশি ব্যয় করার সুযোগ আছে। এত বড় বাজেট বাস্তবায়নে অর্থায়ন কোথা থেকে আসবে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজস্ব আয়ের অবস্থা খারাপ। বিকল্প হিসেবে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিতে হবে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হবে। এখন সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে গেলেও আগামীতে বাড়বে। ফলে আমি শঙ্কিত নই। ডক্টর জায়েদ বখত আরও বলেন, এবার রাস্তাঘাট জরুরি নয়। কভিড-১৯-এর অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন বাজেট সাজাতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বড় বাজেট এবার দরকার আছে বলে মনে করেন তিনি।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন বাজেটে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলন করা হয় প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের ঋণ অপেক্ষা ৮৭ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটে ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। পরে সংশোধন করে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, রাজস্ব আয় নাজুক। ক্রয়সীমা কমানোসহ সঞ্চয়পত্র ব্যবস্থাপনায় সংস্কার করায় এর বিক্রি কমে গেছে। ফলে সরকারের সুদ পরিশোধ ব্যয় কিছুটা কমলেও আগের চেয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে অনেক বেশি।
জানা যায়, আগামী বাজেটে অর্থায়নের জন্য অভ্যন্তরীণ ঋণের আরেকটি উৎস সঞ্চয়পত্র থেকে নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলন করা হয় ২০ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ২৭ হাজার কোটি টাকা। তবে বিক্রি কমে যাওয়ায় সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। অন্যদিকে, বিদেশি উৎস থেকে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটে নির্ধারণ করা হয় ৬০ হাজার কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে কভিড-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেশি ব্যয়ের লক্ষ্য নিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন মিলে মোট পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার ৯০ কোটি টাকার বিশাল বাজেট আসছে। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি দুই লাখ পাঁচ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা, যা ইতোমধ্যে একনেকে পাস হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন বাজেটে এনবিআর ও এনবিআরবহির্ভূত খাত মিলিয়ে মোট রাজস্ব প্রাপ্তি প্রাক্কলন করা হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজার ৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু এনবিআর থেকে আসবে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। অবশিষ্ট জোগাড় হবে এনবিআরবহির্ভূত খাত থেকে।
নতুন বাজেটের ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে জিডিপির ৬ শতাংশের কাছাকাছি, যা টাকার অঙ্কে এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। আর মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আগামী বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার পাঁচ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা। এতে ঘাটতি ধরা হয় এক লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। বর্তমানে মূল বাজেট সংশোধন করে পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
সরকারি নীতিনির্ধারক সূত্রে জানা গেছে, সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আরও বড় বাজেট দিচ্ছে সরকার। যুক্তি হলো- করোনা দুর্যোগে স্বাস্থ্য, খাদ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ নানা খাতে সরকারি ব্যয় বেড়ে গেছে। বিনামূল্যে চাল বিতরণ, দশ টাকা দামে গরিব মানুষকে চাল সরবরাহ করা, করোনাকালীন কর্মহীন মানুষকে নগদ টাকা দেওয়া, অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণাসহ নানা আর্থিক সুবিধা দেওয়ায় ভর্তুকির চাপ বেড়ে গেছে। এজন্য বাড়তি অর্থ জোগান দিতে হবে। এ ছাড়া বেশি ব্যয় করলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা চাঙ্গা হবে। এতে করে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি নতুন জীবন পাবে। এসব বিবেচনা করে করোনাকালীন সংকট মোকাবিলায় বিশাল অঙ্কের বাজেট করছে সরকার।
সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত নতুন বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে আগের চেয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ভর্তুকিতে বরাদ্দ থাকছে ৯ হাজার কোটি টাকা। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে অতিরিক্ত তিন হাজার কোটি টাকা, ভর্তুকি দেড় হাজার কোটি টাকা। একই সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সামগ্রিকভাবে বর্তমান ৭৪ হাজার কোটি টাকার থেকে বাড়িয়ে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব থাকছে আসন্ন বাজেটে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, নতুন কোনো কর বা কর হার বাড়ছে না। তবে তালিকাবিহীন অর্থাৎ ননলিস্টেড কোম্পানির করপোরেট কর কমানো হচ্ছে বর্তমানের চেয়ে আড়াই শতাংশ। উচ্চবিত্তদের কাছ থেকে আদায় বাড়াতে সারচার্জ বাড়ানো হতে পারে। ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে বিনা শর্তে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অবারিত করা হচ্ছে। যারা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেবেন তাদের কর রেয়াত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমদানি ক্ষেত্রে বিলাস ও অপ্রয়োজনীয় পণ্যে আমদানি নিরুৎসাহিত করতে কিছু পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে সিগারেট ও টোব্যাকোতে শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকছে। করোনা পরিস্থিতিতে এবারের বাজেট অধিবেশনটি হবে সংক্ষিপ্ত। সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিও থাকবে সীমিত। গণমাধ্যম কর্মীদের এই অধিবেশনে যেতে দেওয়া হবে না। সংসদের বাইরে বিশেষ ব্যবস্থায় বাজেট ডকুমেন্ট সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করা হবে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে।