স্টাফ রিপোর্টার : কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রেড জোনে থাকা পুরান ঢাকার ওয়ারী লকডডাউন তথা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ফলে এলাকার বাসিন্দাদের টানা ২১ দিন ঘরবন্দি থাকতে হবে।
শনিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। অবরুদ্ধ এলাকায় ৪ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি চলবে। দোকান-পাট, বিপণি বিতান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে, খোলা থাকবে শুধু ওষুধের দোকান। তবে জরুরি পরিষেবা সাধারণ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। লকডাউন চলাকালে হত দরিদ্রদের জন্য ত্রাণসহ অন্যান্য সহায়তা দেবে ডিএসসিসি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের টিপু সুলতান রোড, জাহাঙ্গীর রোড, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) আউটার রোড এবং ইনার রোড হিসেবে লারমিনি রোড, হরে রোড, ওয়ার রোড, র্যানকিন রোড এবং নওয়াব রোড রেড জোনের আওতায় রয়েছে। প্রবেশ পথ খোলা রয়েছে দুটি।
পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউন শুরুর পর রেড জোনে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়া মানা। এসব এলাকার ভেতরে সব ধরনের চলাচল বন্ধ, প্রবেশ বা বের হওয়ার সুযোগ থাকবে নিয়ন্ত্রিত।
বলধা গার্ডেনের কাছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশের একটি কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। লকডাউন চলাকালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের একটি বুথ রাখা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মহানগর জেনারেল হাসপাতালে আক্রান্তদের আইসোলেশনের ব্যবস্থাও হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকালে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন বিষয়ক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ওয়ারী লকডাউনের দিনক্ষণ জানিয়েছিলেন।
মেয়র তাপস জানিয়েছিলেন, লকডাউন চলাকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর ও সিভিল সার্জন অফিস সার্বক্ষণিক তদারকি করবে। সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন থেকে ২৪ ঘণ্টা লকডাউন বাস্তবায়ন করবে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ওয়ার্ডভিত্তিক কাজ করবে।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল সারাদেশে লকডাউন চলে। এরপর বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এখন এলাকাভিত্তিক লকডাউন হচ্ছে। এর আগে ঢাকার রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে পরীক্ষামূলকভাবে রেড জোন ঘোষণা করা হয়। যা চলে ২১ দিন।