স্বাধীন বাংলা রিপাের্ট : করোনাভাইরাসে দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৬ জনের। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১৫১ জনের। একদিনে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৭২ হাজার ১৩৪ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৭৬ জন। এ নিয়ে সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮৩৮ জন।
করোনাভাইরাস বিষয়ে বুধবার (৮ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ হাজার ৮৮৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৫ হাজার ৬৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো আট লাখ ৮৯ হাজার ১৫২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৪৮৯ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৭২ হাজার ১৩৪ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৬ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১৯৭ জনের। তাদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৭৪১ জন ও নারী ৪৫৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৩৬ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮০ হাজার ৮৩৮ জনে।
মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ জন এবং আট জন নারী। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৭৪১ জন এবং নারী ৪৫৬ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, বরিশাল বিভাগে তিন জন,রাজশাহী বিভাগে তিন জন, খুলনা বিভাগে ৯ জন,সিলেটে চার জন এবং রংপুরে এক জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৮ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন আট জন।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে এক জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছয় জন,৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুই জন।
বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ। সবমিলিয়ে, নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৭ দশমিক ৯৬ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৮ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭৯২ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৬ হাজার ৮৫৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮০৯ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১৬ হাজার ২৮৭ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৩৩ হাজার ১৪৩ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৬৯১ জনকে। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৪ হাজার ২৯৯ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৪ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ২১ হাজার ৩০১ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬২ হাজার ৯৯৮ জন।