স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বাক্সে ঘষামাজা করে তারিখ পরিবর্তন, সরকার ও ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন নেই এবং লাগেজ পার্টির আমদানি করা ওষুধ বিক্রির অপরাধে লাজ ফার্মার কাকরাইল শাখাকে ২৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া, অভিযানে প্রায় ৭৬ প্রকারের ৫০ লাখ টাকার অননুমোদিত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ইনজেকশন জব্দ করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অভিযান শুরু করে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। শেষ করে সন্ধ্যার দিকে। এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু গণমাধ্যমকে বলেন, কোন ধরনের ওষুধ আমদানি করা যাবে, কোনগুলো আমদানি নিষিদ্ধ তা সরকার নির্ধারণ করেছে। তাছাড়া ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রেও বাধ্যবাধকতা রয়েছে, রয়েছে রাজস্ব পরিশোধের বাধ্যবাধকতাও। কিন্তু কাকরাইলের লাজ ফার্মায় আমরা দেখতে পেয়েছি বিপুল পরিমাণ অননুমোদিত ওষুধ ও ইনজেকশন মজুত করা হয়েছে। যার রাজস্ব পরিশোধ কিংবা যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এর অধিকাংশই তারা আমদানি করেছে লাগেজ পার্টির মাধ্যমে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, অভিযানে লাজ ফার্মায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বাক্সে ঘষামাজা করে তারিখ পরিবর্তনের প্রমাণও পাওয়া যায়। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটির সাতজনকে অভিযুক্ত করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে পাঁচ লাখ করে এবং দুজনকে দুই লাখ টাকা করে মোট ২৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।