স্টাফ রিপোর্টার : করোনা টেস্ট না করে ফলাফল দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রতারণা আর জালিয়াতির মামলায় এক সপ্তাহ ধরে পলাতক রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকায় আনা হয়েছে।

বুধবার সকাল নয়টা ৭ মিনিটে র‌্যাবের হেলিকপ্টারে করে তাকে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার পুরাতন বিমানবন্দরে আনা হয়। পরে তাকে বিপুল নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরায় র‌্যাব সদরদপ্তরে।

এর আগে বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের এই এলিট ফোর্সটি। এ সময় তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বিদেশে পালিয়ে যাবার পরিকল্পনা করছিল সাহেদ।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বলেন, বোরকা পরে নৌকায় করে পাশের দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন সাহেদ। আর কিছুক্ষণ দেরি হলে হয়ত তাকে আর পাওয়া যেত না।

করোনা টেস্ট না করে ফলাফল দেয়া, লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গত ৬ জুলাই রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাব। এর একদিন পর ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব। এরপর উত্তরা এবং মিরপুরে হাসপাতালের দুটি শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। সেই মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. শাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।

এর মধ্যে রিজেন্ট চেয়ারম্যান শাহেদসহ নয়জনকে পলাতক হিসেবে এজাহারে দেখানো হয়েছিল। সেই মামলায় গত ৯ জুলাই সকালে সাহেদের সহযোগী তরিকুল ইসলাম তারেক শিবলীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর আজ ভোরে গ্রেপ্তার হলেন রিজেন্টের মালিক সাহেদ।