স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : বিটিভির সাবেক প্রযোজক, নির্মাতা ও শিক্ষক সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার কৃতি সন্তান আহসান হাবীব কোহিনূর আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ মেয়ে, ৩ ভাই, ২ বোনসহ অসংখ্য আত্বীয় স্বজন রেখে গেছেন।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, চলে গেলেন আজীবনের বন্ধু আহসান হাবীব কোহিনূর। এই আকস্মিক মৃত্যুতে আমি বাকরুদ্ধ। এ শোক কাটবে না বহুকাল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনের প্রারম্ভিককালের অন্যতম পথিকৃৎ। চট্টগ্রামের থিয়েটার ৭৩ নাট্যদলের অন্যতম কান্ডারী কোহিনূর। ‘তরুণ ও বহমান ক্ষত’ নাটক রচনার মধ্য দিয়ে সেইকালে বাংলাদেশের নাট্যচর্চায় ভিন্নমাত্রা যোগ করেন। নিভৃতচারী এই মানুষটির সাহিত্য ও সংগীতের পান্ডিত্যে আমরা মুগ্ধ ছিলাম। বিশেষ করে শাস্ত্রীয় সংগীত ও যন্ত্র সংগীতের চর্চায় তার শেষ জীবন অতিবাহিত করছিলেন।
নাট্যব্যক্তিত্ব ম হামিদ ফেসবুকে লিখেছেন, ১৯৮০ সালে একসাথে আমরা যোগ দিয়েছিলাম বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবে। তারপর একসাথে কত দিন পথ চলা। টেলিভিশনে অনুষ্ঠান নির্মাণের বাইরে ও বহুগুণের অধিকারী ছিলেন আহসান হাবীব। ফটোগ্রাফির হাত ছিল চমৎকার। বাঁশি বাজাতে পারতেন, তবলা বাজাতেন, বেহালা বাজাতেন, সুন্দর ছবি আঁকতেন। আড্ডায় হয়ে উঠতেন মধ্যমণি। লেখালেখি করতেন। টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনার ওপর দুটি বই লিখেছেন। অবসর জীবনে শিক্ষকতা করেছেন। আমাদের এই বন্ধু-স্বজন আহসান হাবীব চলে গেলেন পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে। তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি এবং বন্ধুদের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা। তার পারলৌকিক শান্তি কামনা করি।
কর্মজীবনে বিটিভি ছাড়াও একাধিক টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আহসান হাবীব কোহিনূর। তিনি গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের `ফিল্ম, টেলিভিশন এন্ড ডিজিটাল মিডিয়া (এফটিডিএম)` ডিপার্টমেন্টসহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে খ-কালীন শিক্ষকতা করেছেন।