স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেলে চীনা কোম্পানি ‘সাইনোভ্যাট’র তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক ব্যবহার বাংলাদেশে করার অনুমোদন দিতে পারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেলেই কেবল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হবে। আজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়ার পর যদি এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় তারপরও ফলাফল পেতে ছয় মাস সময় লেগে যাবে। এরমধ্যে যদি বিশ্বের অন্য কোনো দেশে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে যায়, সেটি পাওয়ার জন্যও যোগাযোগ রাখছি মন্তব্য করে সচিব জানান, আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে চীনা ওই কোম্পামীর আবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতর হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসেছে। এ বিষয়ে আজ আইসিডিডিআরবি প্রতিনিধিদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে আমরা জরুরি বৈঠক করেছি।
বৈঠকে আইসিডিডিআরবি প্রতিনিধি দলের সদস্য ডিজি ড্রাগের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সচিব বলেন, চীনের ওষুধ কোম্পানিটি সম্পূর্ণ একটি বেসরকারি কোম্পানি। এরর সঙ্গে চীনা সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এই প্রতিষ্ঠানটির তৈরি ভ্যাকসিন ইতোপূর্বে চীনে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে নিরীক্ষা চালিয়ে সফল হয়েছে। সেটা বিবেচনায় রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যদি তা সন্তোষজনক হয় তবে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রয়োগের জন্য আইসিডিডিআর,বির মাধ্যমে এ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া হবে।
তিনি বলেন, তৃতীয় পর্যায়ে ট্রায়ালের জন্য অন্তত ৪২শ’ লোকবলের প্রয়োজন। বাংলাদেশের কোভিড স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই সংখ্যক কর্মী রয়েছে। এজন্য তারা বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের সময় চীনে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। এটি বাংলাদেশের জন্যও আশার কথা বলে জানান সচিব।