স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আজ রবিবার থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করছে। ঢাকাসহ সারা দেশের ২৭৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পেঁয়াজের সঙ্গে নিয়মিত আরো ৩ পণ্য তেল, চিনি ও ডালও বিক্রি করবে টিসিবি।
একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এ ছাড়া চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি হবে ৫০ টাকা কেজি দরে। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই কেজি করে কিনতে পারবেন। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা দরে (দুই ও পাঁচ লিটারের বোতল) কিনতে পারবেন।
বন্যার কারণে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি করে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানো এবং তুরস্ক থেকে নতুন করে আমদানির জন্য টেন্ডার দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনিশ বলেছিলেন, পেঁয়াজের দাম বাজারে একটু বেড়েছে। বন্যার কারণে সরবরাহে সমস্যা হয়েছে। আমরা দাম কমাতে চেষ্টা করছি।
টিসিবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করোনা ও বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে টিসিবি ২৭৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করবে। এর মধ্যে ঢাকায় ৪০টি, চট্টগ্রামে ১০টি, রংপুরে ৭টি, ময়মনসিংহে ৫টি, রাজশাহীতে ৫টি, খুলনায় ৫টি, বরিশালে ৫টি, সিলেটে ৫টি, বগুড়ায় ৫টি, কুমিল্লায় ৫টি, ঝিনাইদহ ও মাদারীপুরে ৩টি করে এবং অবশিষ্ট জেলা ও উপজেলায় প্রতিটিতে দুটি করে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাভুক্ত উপজেলায় অতিরিক্ত ৫টি ট্রাকে এবং বন্যাকবলিত জেলা ও উপজেলায় পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি করবে। আর এই বিক্রি কার্যক্রম শুক্র ও শনিবার বাদে ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
প্রতিটি ট্রাকে চিনি ৫০০-৭০০ কেজি, মসুর ডাল ৪০০-৬০০ কেজি, সয়াবিন তেল ৭০০ থেকে এক হাজার লিটার এবং পেঁয়াজ ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ কেজি বরাদ্দ থাকবে।