দিরাই প্রতিনিধি:

ভাটির রাজনীতির রাজধানী খ্যাত সুনামগঞ্জ-২ আসন দিরাই ও শাল্লা দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত। হাওর-বাওর, কৃষি আর মৎস্য সম্পদের জন্য এ জনপদের সুখ্যাতি রয়েছে দেশব্যাপী। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ আসন থেকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত উপনির্বাচন সহ ৮ বার ও তার মৃত্যুর পর স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা উপনির্বাচন সহ দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। ৯৬ সালে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আওয়ামী লীগে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন সেন পরিবারের হাতে থাকলেও এবারই ব্যতিক্রম। সেন পরিবারকে টপকে দলের মনোনয়ন ভাগিয়ে চমক সৃষ্টি করেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন)। তবে নিশ্চুপ থাকেননি বর্তমান এমপি জয়া সেনগুপ্তাও। কাঁচি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তিনি। এ আসনে গণতন্ত্রী পার্টির মিহির রঞ্জন দাস কবুতর প্রতীকে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান ঈগল মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই দুটি উপজেলায় ২ লক্ষ্য ৮৪ হাজার ৮শ ৯৩ জন মোট ভোটার রয়েছেন। দিরাই উপজেলার ৭৪টি ভোট কেন্দ্রে ভোট সংখ্যা-১ লক্ষ্য ৯৩ হাজার ৫শ ২৫ জন, এতে পুরুষ ভোটার ৯৭ হাজার ৬শ ৮৭ জন ও মহিলা ভোটার ৯৫ হাজার ৮শ ৩৮ জন ও শাল্লা উপজেলার ৩৭টি ভোট কেন্দ্রে ভোট সংখ্যা-৯১ হাজার ৩শ ৬৮ জন, এতে পুরুষ ভোটার ৪৫ হাজার ৯ শ ৫৬ জন ও মহিলা ভোটার ৪৫ হাজার ৪শ ১২জন। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততোই বারছে প্রার্থীদের নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে প্রচার প্রচারণা, দিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ ভোটারদের নানান প্রতিশ্রুতি। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাধারণ ভোটার মো. সুজাত মিয়া তালুকদার বলেন, আমি অত্যান্ত আনন্দিত দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। এবার এই নির্বাচনে আমি আমার যোগ্য প্রার্থী দেখেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করবো।

উপজেলার একাধিক ভোটারদের সাথে কথা হলে তার গণমাধ্যমকে জানান, দিরাই শাল্লা আসনে আমরা সরকার দলের এমপিও পেয়েছি বিরোধী দলের এমপিও পেয়েছি। কিন্তু কাঙ্খিত উন্নয়ন আজও পাইনি। নির্বাচন আসলেই সাধারণ ভোটারদের কথা মনে করেন প্রার্থীরা। তাই প্রতীক বা ব্যক্তি দেখে নয়, যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চান সাধারণ ভোটারা।

উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বিঘ্নে ভোটররা কেন্দ্রে যাহাতে আসতে পারে সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে এবং যে কোনো ধরনের নাশতা এরাতে নির্বাচনে দুইদিন আগ থেকে ও নির্বাচনে তিনদিন পর পর্যন্ত র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে কাজ করবে।