প্রশান্ত কুমার দাস:

রাষ্ট্রায়াত্ব সোনালী ব্যাংক কর্তৃক নিয়োগকৃত এজেন্টদেরকে অন্যান্য এজেন্ট ব্যাংকের ন্যায় গ্রাহক বান্ধব সেবা প্রদান, ব্যাংকিং জটিলতা নিরসন, প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রেসক্লাবে এ মানববন্ধন করেছেন ব্যাংকটির নিয়োগকৃত এজেন্টরা।

এসময় এজেন্ট নিয়োগে ছলছাতুরি, এজেন্ট অফিসের ব্যয় প্রদান না করা ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করাসহ বেশ কিছু অভিযোগ করেন তারা।

মানববন্ধনে এজেন্টরা বলেন, এজেন্ট নিয়োগের শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রকার ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে তাদের যাচাই-বাছাই শেষে প্রায় ১২০০ এজেন্ট চূড়ান্ত করেছিল কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্য থেকে কিছু এজেন্টকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেও সর্বশেষ ২২৭ জন এজেন্টকে চালু কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেন। পরে কোন ঘোষণা ছাড়াই বাকি এজেন্ট নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।

২০২০ সালের জুলাইয়ের পর থেকে আমাদের ঘর ভাড়া নেয়া ডেকোরেশন করার নির্দেশনা দেয়া হয় যা চালুর কয়েক বছর আগে থেকে এজেন্টদেরকে এসবের ব্যয় বহন করছেন।

এজেন্টরা আরও বলেন, দুই বছর আগে এজেন্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তখন থেকে শুধু জমা, উত্তোলন এবং ব্যক্তিগত হিসাব খোলা দিয়ে আমাদের কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা যে সকল সার্ভিস দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তার একাংশও আজ পর্যন্ত দেয়নি। অন্যান্য এজেন্ট ব্যাংকগুলো সকল হিসাবে লেনদেন করতে পারলেও আমাদের সে সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। এতে বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়েছে সোনালী ব্যাংকের নিয়োগকৃত এজেন্টরা।

এছাড়া এজেন্ট কমিশনের চুক্তি কৌশল করে বদলে দেওয়ারও অভিযোগ করেন এজেন্টরা। সার্ভার বন্ধের নামে বিশেষ কিছু সেবা বন্ধের বাহানা দিয়ে হাজারো এজেন্টদের স্বপ্ন নষ্ট করে ব্যাংকিং লেনদেনের আর্থিক সংকট তৈরি করে পথে বসানোর পাঁয়তারা চলছে বলেও অভিযোগ করেন এজেন্টরা। এসময় আর্থিক ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা করে দ্রুত এজেন্টদের সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করার দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জ্যোতি বিশ্বাস বলেন, দ্রুত এজেন্ট নিয়োগ জটিলতা নিরসন করে সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করা না হলে আর্থিক সংকট থেকে মুক্তির উপায় নেই আমাদের। তাই আমাদের পরিবার ও নিজেকে বাঁচাতে হলেও দ্রুত আমাদের সকল সংকট দূর করে নীতিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানাই।