স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: কোরবানির শিক্ষা নিয়ে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের শপথ নিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল বলেন, আমরা আজকে বিশেষ এই দিনে চলমান সংকট ও দুর্দিনে সাধ্যমত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিয়েছি। একইসাথে গণতন্ত্র রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের শপথ নিয়েছি।

আজ শনিবার ঈদুল আজহার নামাজের পর সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেই বন্যা হানা দিয়েছে। ক্ষমতাসীনদের এ ব্যাপারে কোন ত্রাণ তৎপরতা নেই উল্লেখ করেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে করোনার মধ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে। সরকারের সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। আমরা বারবার আহ্বান জানিয়েছি বনবন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে। আবারো দাবি জানাতে চাই তাদেরকে ত্রাণ ও অবিলম্বে পুনর্বাসন করা হোক।

এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও বিশেষ মুনাজাতে শরিক হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ। জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত, জিয়া পরিবার ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা এবং করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন তারা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা ঈদুল আযহা উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। ঈদুল আযহার যে শিক্ষা সেই তার্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র রক্ষার ও পুনরুদ্ধারের শপথ নিয়েছি। আমরা প্রতিবছরই আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মাজারে আসতাম। কিন্তু তাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বন্দি রাখা হয়েছে। বিভিন্ন শর্তে কয়েকমাসের মুক্তি দিয়েছে। আমরা তার বিনা শর্তে অবিলম্বে মুক্তি চাই। তিনি এখনো পুরো সুস্থ নন। তার সমস্যাগুলোর সমাধান হয়নি।