মির্জাপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীর উপর হামলা, থানায় অভিযোগ
17, January, 2024, 9:45:12:PM
মীর মঈন হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে প্রতিহিংসার রাজনীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ, নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর।
একই ধারায় প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন হচ্ছেন টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) সংসদীয় আসন এলাকার আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। এই আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে দুইজন প্রার্থী। একজন আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ও অপরজন স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক ৫ বারের ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ বারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু। এ আসনে নির্বাচনে জয়লাভ করে নৌকা মার্কার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অনেক নেতৃবৃন্দ স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুকে সমর্থন জানান। কিন্তু নির্বাচনে জয়লাভকারী নৌকা প্রার্থী খান আহমেদ শুভ এর লোকজন পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছেন।
বুধবার (১৭ই জানুয়ারি) দুপুররে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী নজরুল ইসলাম (৪১) নামে এক ব্যাবসায়ীর উপর হামলা করেছেন এমপির কর্মী সমর্থকরা। এসময় তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। হামলাকারীরা লাঠি-সোঠা হাতে নিয়ে নিয়ে তার উপর হামলে পড়ে বলে তিনি অভিযোগ করেন। নজরুল ইসলাম বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এই ঘটনায় মির্জাপুর থানায় ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মোট ৭ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘামলার ঘটনায় উপজেলার নেতৃবৃন্দদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা বলেন, এমন জঘন্যতম কাজ করা মোটেও ঠিক হয়নি। নির্বাচন যে কেউ যে কারোটা করতে পারে এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, এর আগেও আমার ৬-৭ জন কর্মীকে মারধর করেছে। আমার বাড়িতেও ওরা হামলা করেছে। আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।