১ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে না মুলা; কৃষকের মাথায় হাত
5, December, 2020, 10:00:50:AM
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন হাটে ১টাকা কেজি দরে মুলা বিক্রি হচ্ছে। মাত্র ১ টাকা কেজি দরে মুলা বিক্রি করতে গিয়েও ক্রেতা পাচ্ছেন না কৃষকরা। হতাশায় নিমজ্জিত কৃষকরা মুলা নিয়ে বসে আছেন বিভিন্ন হাটে। শুধু মুলা নয়, দম কমেছে অন্যান্য সবজিরও।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুলার মণ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০টাকায়। ফুলকপির মণ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতিমণ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। আর বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়।
সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে এতো পরিমাণ মুলার আমদানি বেড়েছে যে, স্থান সংকুলান না পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন মাঠে মুলা নিয়ে বসে আছেন চাষীরা। চাষীরা জানান, মাত্র ১ টাকা দরে মুলার কেজি বিক্রি করতে গিয়েও ক্রেতা পাচ্ছেন না। মুলা নিয়ে হাটে বসে অলস সময় কাটাতে হচ্ছে চাষীদের। হতাশা নিয়ে চাষীরা বলেন, মূল্যপতনের ফলে লাভ তো দূরের কথা, মূল খরচটাই আসবে না। তারপরও ক্রেতা নেই।
স্থানীয় মূলা ব্যবসায়ীরা জানান, ধাপেরহাটে প্রতি মণ মুলা প্রকার ভেদে ৪০-৬০ টাকা মণ দরে ক্রয় করছি। হাটে প্রচুর মুলার আমদানি হয়েছে। তাই দাম কম। এসব মুলা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, বন্যার পর চাষিরা এক সঙ্গে সবজি চাষ করেছে। ফলও ভাল হওয়ায় হাট-বাজারে আমদানিও বেশি। তাই দাম দ্রুত কমে যাচ্ছে।