আমার কারণে রুচি নষ্ট হলে আমাকে মেরে ফেলেন: হিরো আলম
নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘রুচির দুর্ভিক্ষে হিরো আলমের উত্থান হয়েছে’- সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন অভিনয়শিল্পী, নাট্যনির্দেশক ও সংগঠক মামুনুর রশীদ। তার এমন বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম (হিরো আলম)।
সোমবার (২৭ মার্চ) রাতে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তিনি মামুনুর রশীদের উদ্দেশে বলেন, যেহেতু আমার কারণে দেশের মানুষের রুচি নষ্ট হচ্ছে, আপনি ইচ্ছা করলে আমাকে তৈরি করতে পারতেন। তাহলে মানুষের রুচি নষ্ট হত না। বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষ, শুধু হিরো আলমের কারণে যদি সবার রুচি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে হিরো আলমকে আপনারা মেরে ফেলে দেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘এখন রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে। এর মধ্য দিয়েই হিরো আলমের উত্থান হয়েছে। ’ বক্তব্যটি সামাজিকমাধ্যমে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
সোমবার নাট্য দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি আবারো একই কথা বলেন। মামুনুর রশীদ বলেন, আপনারা যারা স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করেন, তারা দেখেছেন, আমার একটি উক্তি নিয়ে হাজার হাজার কমেন্ট হচ্ছে। আমি বলেছি, রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে- সেই দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে হিরো আলমের উত্থান হয়েছে। এই উত্থান জাতির জন্য আমাদের সংস্কৃতির জন্য ভয়ংকর। এই উত্থানের মূলে আমাদের রাজনীতি আছে, আমাদের মিডিয়ার একটা বড় ভূমিকা আছে।
পরে ফেসবুক লাইভে জবাব দিতে এসে হিরো আলম বলেন, হয় হিরো আলমকে মেরে ফেলে দেন; নয়তো এমন কাউকে কোনো লোককে আপনারা তৈরি করে দেখান, যে কাজ করলে রুচি ফিরে আসবে। নিজের যোগ্যতায়, পরিশ্রম করে আলম থেকে হিরো আলম হয়েছি। রুচিবান লোকেরা হিরো আলম তৈরি করেন নাই। হিরো আলমকে মেরে না ফেললে আপনারা থামাতে পারবেন না।
মামুনুর রশীদের উদ্দেশে আলম বলেন, মামুনুর রশীদ স্যার, আপনি আমাকে তৈরি করুন। বাংলাদেশের যারা বড় বড় কথা বলছে, তারা সবাই আপনাকে ধুয়ে দেবে। তারা বলবে, ‘মামুনুর রশীদের মতো লোক হিরো আলমকে নিয়ে নাটক বানাচ্ছে। ’
হিরো আলম প্রশ্ন রাখেন, তাহলে আমাকে তৈরি করবে কে?
দেশের রুচির পরিবর্তন ‘কোনোদিনই হবে না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা রুচিবান লোক, তারা রুচিসম্পন্ন লোক তৈরি করবে না। কারণ আপনারা তেল ওয়ালা মাথায় তেল দেবেন। যাদের টাকা আছে তাকেই দাম দেবেন। যার সুন্দর চেহারা আছে তাকেই দাম দেবেন।
হিরো আলম তার সমালোচকদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুক লাইভে বলেন, এফডিসিতে বড় বড় আর্টিস্টরা আমার সমালোচনা করেন। কেন রে ভাই, আমাকে নিয়ে কেন কথা বলেন? আমি কোনদিন কোন পরিচালকের কাছে গিয়েছি? কোন শিল্পীর হাতে পায়ে ধরে বলেছি যে আমাকে সুযোগ করে দেন?
লাইভে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যদি এসব করতে থাকেন, এত লোকের সামনে বলতেছি, একদিন লাইভে থাকা অবস্থায় আত্মহত্যা করে পৃথিবী থেকে চলে যাব। আপনাদের, এই দুনিয়া, সমাজকে রুচির দায় থেকে মুক্ত করে যাব।
পরক্ষণেই তিনি বলেন, আপনারা এতোই সমালোচনা করেন, হিরো আলমের এখনকার কাজগুলো দেখেন। হিরো আলমের কাজগুলো রুচিসম্মত আছে কি না? আমি নিজে কামাই করে নাটক বানাই, সিনেমা বানাই। আমি কত কামাই করি যে রুচিসম্মত কাজ দিতে পারব? সেই অর্থ সম্পদ আমার আছে? আপনারা আমাকে মেনেই নিতে চান না। এতে আমার কী করণীয় আছে?
সমালোচনাকারীদের নিজেদের রুচি পাল্টানোর পরামর্শ দিয়ে হিরো আলম বলেন, আমি সুন্দরবন নাটক দেখার পর থেকে মামুনুর রশীদ স্যারকে শ্রদ্ধা করি। তার মতো এতো বড় একজন অভিনেতা আমাকে নিয়ে কথা বলেছেন এটা আমার জন্য সৌভাগ্য। সে নেগেটিভ বলুন আর পজেটিভ বলুক। আমি তাকে সাধুবাদ জানাই যে আপনার মতো লোক আমাকে চেনে। আমি তো মনে করেছিলাম আপনারা এতো বড় অভিনেতা আমাকে চেনেন না।
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘রুচির দুর্ভিক্ষে হিরো আলমের উত্থান হয়েছে’- সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন অভিনয়শিল্পী, নাট্যনির্দেশক ও সংগঠক মামুনুর রশীদ। তার এমন বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম (হিরো আলম)।
সোমবার (২৭ মার্চ) রাতে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তিনি মামুনুর রশীদের উদ্দেশে বলেন, যেহেতু আমার কারণে দেশের মানুষের রুচি নষ্ট হচ্ছে, আপনি ইচ্ছা করলে আমাকে তৈরি করতে পারতেন। তাহলে মানুষের রুচি নষ্ট হত না। বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষ, শুধু হিরো আলমের কারণে যদি সবার রুচি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে হিরো আলমকে আপনারা মেরে ফেলে দেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘এখন রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে। এর মধ্য দিয়েই হিরো আলমের উত্থান হয়েছে। ’ বক্তব্যটি সামাজিকমাধ্যমে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
সোমবার নাট্য দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি আবারো একই কথা বলেন। মামুনুর রশীদ বলেন, আপনারা যারা স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করেন, তারা দেখেছেন, আমার একটি উক্তি নিয়ে হাজার হাজার কমেন্ট হচ্ছে। আমি বলেছি, রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে- সেই দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে হিরো আলমের উত্থান হয়েছে। এই উত্থান জাতির জন্য আমাদের সংস্কৃতির জন্য ভয়ংকর। এই উত্থানের মূলে আমাদের রাজনীতি আছে, আমাদের মিডিয়ার একটা বড় ভূমিকা আছে।
পরে ফেসবুক লাইভে জবাব দিতে এসে হিরো আলম বলেন, হয় হিরো আলমকে মেরে ফেলে দেন; নয়তো এমন কাউকে কোনো লোককে আপনারা তৈরি করে দেখান, যে কাজ করলে রুচি ফিরে আসবে। নিজের যোগ্যতায়, পরিশ্রম করে আলম থেকে হিরো আলম হয়েছি। রুচিবান লোকেরা হিরো আলম তৈরি করেন নাই। হিরো আলমকে মেরে না ফেললে আপনারা থামাতে পারবেন না।
মামুনুর রশীদের উদ্দেশে আলম বলেন, মামুনুর রশীদ স্যার, আপনি আমাকে তৈরি করুন। বাংলাদেশের যারা বড় বড় কথা বলছে, তারা সবাই আপনাকে ধুয়ে দেবে। তারা বলবে, ‘মামুনুর রশীদের মতো লোক হিরো আলমকে নিয়ে নাটক বানাচ্ছে। ’
হিরো আলম প্রশ্ন রাখেন, তাহলে আমাকে তৈরি করবে কে?
দেশের রুচির পরিবর্তন ‘কোনোদিনই হবে না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা রুচিবান লোক, তারা রুচিসম্পন্ন লোক তৈরি করবে না। কারণ আপনারা তেল ওয়ালা মাথায় তেল দেবেন। যাদের টাকা আছে তাকেই দাম দেবেন। যার সুন্দর চেহারা আছে তাকেই দাম দেবেন।
হিরো আলম তার সমালোচকদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুক লাইভে বলেন, এফডিসিতে বড় বড় আর্টিস্টরা আমার সমালোচনা করেন। কেন রে ভাই, আমাকে নিয়ে কেন কথা বলেন? আমি কোনদিন কোন পরিচালকের কাছে গিয়েছি? কোন শিল্পীর হাতে পায়ে ধরে বলেছি যে আমাকে সুযোগ করে দেন?
লাইভে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যদি এসব করতে থাকেন, এত লোকের সামনে বলতেছি, একদিন লাইভে থাকা অবস্থায় আত্মহত্যা করে পৃথিবী থেকে চলে যাব। আপনাদের, এই দুনিয়া, সমাজকে রুচির দায় থেকে মুক্ত করে যাব।
পরক্ষণেই তিনি বলেন, আপনারা এতোই সমালোচনা করেন, হিরো আলমের এখনকার কাজগুলো দেখেন। হিরো আলমের কাজগুলো রুচিসম্মত আছে কি না? আমি নিজে কামাই করে নাটক বানাই, সিনেমা বানাই। আমি কত কামাই করি যে রুচিসম্মত কাজ দিতে পারব? সেই অর্থ সম্পদ আমার আছে? আপনারা আমাকে মেনেই নিতে চান না। এতে আমার কী করণীয় আছে?
সমালোচনাকারীদের নিজেদের রুচি পাল্টানোর পরামর্শ দিয়ে হিরো আলম বলেন, আমি সুন্দরবন নাটক দেখার পর থেকে মামুনুর রশীদ স্যারকে শ্রদ্ধা করি। তার মতো এতো বড় একজন অভিনেতা আমাকে নিয়ে কথা বলেছেন এটা আমার জন্য সৌভাগ্য। সে নেগেটিভ বলুন আর পজেটিভ বলুক। আমি তাকে সাধুবাদ জানাই যে আপনার মতো লোক আমাকে চেনে। আমি তো মনে করেছিলাম আপনারা এতো বড় অভিনেতা আমাকে চেনেন না।
|
|
|
|
বিনোদন ডেস্ক :
সাদিয়া জাহান প্রভা। দীর্ঘ দেড় যুগের বেশি সময় ধরে মিডিয়ায় নিয়মিত অভিনয় করছেন। সেই ২০০৫ সাল থেকে মডেলিংয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। তারপর বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু করে প্রভা অনেক জনপ্রিয় টেলিফিল্ম, নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে বেশ আলোচনায় চলে আসেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করেননি তিনি। ছোট পর্দার এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী নিপুণ রূপ-লাবণ্যে যেমন দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে আলোচিত হয়েছেন, ঠিক তেমনি বিয়ে এবং একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে হোঁচট খেয়েছেন তিনি। এই গল্পটি সবারই জানা। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় কথাও বলেছেন তিনি।
এবার সেই স্ক্যান্ডালের কারণে পেলেন আইনি নোটিশ। ভাইরাল সেই স্ক্যান্ডালের বিষয়ে ভুল স্বীকার করে জনসম্মুখে ক্ষমাপ্রার্থনা করে ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবেন না মর্মে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন জয়নাল আবেদীন মাযহারী নামের কুমিল্লার এক আইনজীবী। জবাব না দিলে ভাইরাল হওয়া স্ক্যান্ডালের কারণে গণউৎপাত, নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টির অভিযোগে মামলা দায়ের করার ঘোষণা দেন ওই আইনজীবী।
নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি লিগ্যাল নোটিশ গ্রহীতা আপনার কিছু কর্মকাণ্ডকে ধর্ম এবং প্রচলিত আইনের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তরুণ প্রজন্মকে গণউৎপাত হেতুতে বিপদগামী করবে বলে আমার বিশ্বাস জন্মানোর কারণে জনস্বার্থে এবং নিজে সংক্ষুব্ধ হয়ে আপনাকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করলাম। আমরা বিভিন্ন মারফত জানতে পেরেছি কয়েক বছর আগে আপনার একটি স্ক্যান্ডাল ভাইরাল হয়েছে। মিডিয়া জগতে কাজ করলে সত্য মিথ্যা অনেক স্ক্যান্ডাল ভাইরাল হয়ে থাকে। আপনার স্ক্যান্ডালের বিষয়ে আমরা সে ঘটনা রটনা হিসেবে গণ্য করায় তা আমাদের কাছে তেমন গুরুত্ব পায়নি। ’
‘উক্ত বিষয়ের আপনার নৈতিক ভিত্তির জবাব আপনার বিবেকের কাছে দেবেন বলে বিশ্বাস করি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের জাতীয় কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত আপনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে জানতে পেরেছি আপনার ২০১০ সালে ২২ বছর বয়স ছিল। সেসময় জনৈক ব্যক্তির সাথে আপনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের একপর্যায়ে আপনারা বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। যা পরবর্তীতে আপনার পার্টনার দ্বারা পাবলিক হয়। ’
‘আপনার বক্তব্য অনুযায়ী, গত ১০ বছর আগে আপনার সাথে যা হয়েছে তার জন্য আপনি দায়ী নন। ‘একজনের অসততার কারণে আমাকে সারাজীবন ভুগতে হয়েছে’। অর্থাৎ উক্ত বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কে আপনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এ ঘটনা মিথ্যা মর্মে আপনি দেশের প্রচলিত আইনে কোনো আশ্রয় নেননি। এমনকি উক্ত ঘটনা একটা ভুল ছিল, ভবিষ্যতে আর এমন ভুল হবে না মর্মে কোনো বিবৃতি দেননি। যা আপনার দোষী মানসিকতাকে নির্দেশ করে মর্মে সচেতন মহল মনে করে। ’
আপনি একজন অভিনেত্রী বিধায় আপনার অনেক ফ্যান, ফলোয়ার রয়েছে। আপনার এহেন কর্মকাণ্ডে আপনার ফ্যান, ফলোয়ারদের মনে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে এবং সমাজে আপনার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। এমনকি এর ফলে নৈতিক অবক্ষয়ের পাশাপাশি সমাজে প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছি।
আপনি লিগ্যাল নোটিশ গ্রহীতাকে এই মর্মে অবগত করা যাচ্ছে, আপনি দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অত্র নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে আপনার উক্ত বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক সঠিক ছিল না, এমনকি উক্ত ঘটনার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে পাবলিকলি ক্ষমাপ্রার্থনা করবেন। আপনার ফ্যান, ফলোয়াররা যেন আপনার মত এমন ভুল কাজ না করে সে আহ্বান জানাবেন এবং উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা সংযুক্ত অত্র লিগ্যাল নোটিশের জবাব প্রদানপূর্বক তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন।
অন্যথায় আমরা আপনার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব। যার দরুন আপনি আইনের আমলে আসবেন এবং উক্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য কেবল আপনি এককভাবে দায়ী থাকবেন। ’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ডাক বিভাগের রেজিস্ট্রি ৫১৪ নম্বর রশিদের মাধ্যমে এডি (প্রাপ্তিস্বীকার) সহ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশটি অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা, প্রযত্নে আহসান হাবীব নাসিম, অভিনয়শিল্পী সংঘ কার্যালয় ১০/এ, ব্লক-এ রোড নম্বর ২, নিকেতন, গুলশান-১ ঢাকা, এই ঠিকানায় পাঠানো হয়। ০৫৫/২৩ রেফারেন্স নম্বরীয় লিগ্যাল নোটিশটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রভার উল্লেখিত ঠিকানায় পৌঁছবে।
লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মাযহারী কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং কুমিল্লা জজকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত আছেন।
এ প্রসঙ্গে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘আমাদের অফিসের ঠিকানায় এখনও নোটিশটি আসেনি। তাই এখন কিছু বলতে পারছি না বিস্তারিত। ’
এদিকে প্রভার সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করতে গেলে তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। ’
|
|
|
|
বিনোদন ডেস্ক :
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রয়াত নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুলের স্ত্রী-সন্তানের পাশে দাঁড়িয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় মাসুম বাবুলের দুই সন্তানের হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দেন তিনি। এছাড়া তাদের পড়ালেখার যাবতীয় ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন এই অভিনেতা।
বিষয়গুলো জানিয়ে আরেক অভিনেতা চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, আমাদের প্রয়াত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল সাহেব দুই সন্তান রেখে গেছেন। তাদের দেখতে আসেন আমাদের সবার প্রিয় ডিপজল ভাই। তাদের পড়ালেখা ভালোভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি দুই ভাই-বোনকে দুই লাখ টাকা প্রদান করেন।
ডিপজলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। তিনি বলেন, অশেষ কৃতজ্ঞতা ডিপজল ভাইয়ের প্রতি। যিনি প্রতিনিয়ত সকলের পাশে এসে দাঁড়ান। তার এই মহানুভবতার সত্যিকার অর্থেই কোনো তুলনা হয় না।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৬ মার্চ মারা গেছেন মাসুম বাবুল। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
দীর্ঘ চার যুগের ক্যারিয়ারের তিনবার (দোলা, কি যাদু করিলা, একটি সিনেমার গল্প) জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন মাসুম বাবুল। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর বায়োগ্রাফিতে একমাত্র বাংলাদেশি টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী উর্মিলা শ্রাবন্তী কর।
বুধবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন উর্মিলা। সকালে অবস্থা খারাপ হওয়ায় দ্রুত হাসাপাতালে নেওয়া হয় তাকে। বর্তমানে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন অভিনেত্রী।
ডাক্তার জানিয়েছেন, উর্মিলার হার্টে বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। এ মুহূর্তে বেশি কথা বলতে পারছেন না তিনি।
অভিনেত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে, যাতে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরতে পারেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহ। গত ১৫ মার্চ অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পর শাকিবও অভিযোগ নেয়ার জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন। প্রথমে রাজধানীর গুলশান থানায় ও পরে ডিবি কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন চিত্রনায়ক। অভিযোগ নিয়ে আলাদা আলাদা সময়ে নানা কথা বলছেন ওই প্রযোজক ও শাকিব।
এবার অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশ সময় পৌনে ৪টায় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে শাকিবের মামলার চেষ্টা ও সংবাদমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যসহ অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন রহমত উল্লাহ। পাঠকদের জন্য সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো নিচে।
রহমত উল্লাহ লিখেছেন, ‘গতকাল স্থানীয় সময় রাত ৮টায় আমি অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছি। এখানে আসার পর জানতে পারলাম অভিনেতা শাকিব আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে প্রথমে গুলশান থানায় যান। সেখানে অভিযোগ দায়েরে ব্যর্থ হয়ে তিনি ডিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন। তিনি বলেছেন আমি নাকি প্রযোজকদের একজন ছিলাম না। তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেন যে আমি চাঁদাবাজি এবং প্রতারণা করছি। এই ব্যাপারে আমার জবাব এবং বক্তব্য তুলে ধরা হল। ’
‘বিগত ছয় বছর ধরে আমি নানাভাবে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে একরকম নিরুপায় হয়েই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প সমিতিতে অভিযোগ দিয়েছিলাম। আমার অভিযোগটি খুবই সিম্পল। অভিনেতা শাকিবকে অভিনয় করার জন্য অস্ট্রেলিয়াতে আনা হয়েছিল। এই জন্য তো তাকে পারিশ্রমিক দেয়া হয়েছিল। পেশাগত কাজে মনোনিবেশ না করে তিনি এমন কিছু অনৈতিক এবং অবৈধ কাজ করেছিলেন যেগুলোর কারণে ঐ চলচ্চিত্রটির কাজ আর শেষ হলো না। একটি প্রজেক্টে অর্থ লগ্নি করে যদি অন্য ব্যক্তির কারণে আমার সেই বিনিয়োগ নষ্ট হয়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে পারার নৈতিক এবং আইনি অধিকার আমার আছে। ’
তিনি লেখেন, ‘নিজের নাম, পরিচয় এবং যোগাযোগের মাধ্যম সঠিকভাবে উল্লেখ করে, প্রকাশ্য দিনের আলোয় বাংলাদেশ শিল্পী সমিতিতে সশরীরে হাজির হয়ে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। গভীর রাতের অন্ধকারে চুপিসারে এমনটি করিনি। ঐ অভিযোগে যদি একটুও মিথ্যা থাকতো, অথবা আমার যদি অসৎ কোনো উদ্দেশ্য থাকতো, তাহলে কি আমি এমন সাহস দেখাতে পারতাম বলে আপনাদের মনে হয়? আমার সঙ্গে কথা বলে কি আপনাদের কখনো মনে হয়েছে যে আমার মধ্যে মিথ্যা বলার প্রবণতা আছে? বিগত প্রায় দুই যুগের মতো সময়ে ধরে আমি অগণিতবার বাংলাদেশি শিল্পীদের অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করার ব্যাপারে স্পন্সর করেছি। কেউ কি বলতে পারবেন আমি কখনো কোনোদিন কারো সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলাম? অভিনেতা, অভিনেত্রী, গায়ক, গায়িকা, এমন কেউ কি আছেন আমার সততা নিয়ে একটি অভিযোগ করতে পারবেন?’
‘আমি অভিযোগ জমা দিয়েছিলাম ১৫ মার্চ ২০২৩ তারিখ দুপুর বেলা। সেদিন ছিল বুধবার। এটি ছিল একটি কার্যদিবস। এর পরদিন, বৃহস্পতিবারও একটি কার্যদিবস ছিল। শাকিব একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি। তার তো লিখিত অভিযোগ দেখেই বুঝে যাওয়ার কথা এখানে কোনো মিথ্যা বলা হয়েছিল কিনা। যদি শাকিবের সেই সৎ সাহস থাকতো, এই দুটি কার্যদিবসের মধ্যেই তিনি আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারতেন। ’
আইনের আশ্রয় না নিয়ে শাকিব চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে পাঠিয়েছিলেন উল্লেখ করে রহমত উল্লাহ লিখেন, ‘অপু আমাকে জানালেন, শাকিব মধ্যস্থতা করতে চায়। আমি সরল বিশ্বাসে শাকিবের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হলাম। ১৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে গুলশানের একটি রেস্তরাঁয় শাকিবের সঙ্গে আমার দেখা হয়। তিনি আমাকে লগ্নিকৃত অর্থ ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবার প্রস্তুতি দেন। শাকিব ছাড়াও সেই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির প্রাক্তন সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, অপু বিশ্বাস, শাকিবের চাচাত ভাই মনির এবং অন্য একজন ব্যক্তি, যার নাম আমার জানা নেই। ’
সবশেষ তিনি আরও লেখেন, ‘১৬ মার্চের সেই মিটিংয়ে আমি শাকিবকে জানাই যে ১৯ মার্চ ২০২৩ তারিখ রাত ১টা বাজে আমি ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ার লাইনের ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করছি। আমি পালিয়ে যাইনি। সেই প্রয়োজনও আমার নেই। প্রয়োজনে আমি আবার দেশে আসব। আমাকে যারা সহযোগিতা করেছেন আমি তাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। ’
|
|
|
|
গাজীপুর, প্রতিনিধি :
কারাগারে পাঠানোর সাড়ে তিন ঘণ্টা পর মাহিয়া মাহিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন মাহির জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রেগনেন্সি ও সেলিব্রেটি বিবেচনায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানান মাহির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার শাহাদাত সরকার। তিনি বলেন, তার মক্কেল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই মামলা হওয়ার পরও দেশে চলে এসেছেন।
এর আগে দুপুরে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে মাহিকে গাজীপুর জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
এদিন দুপুর ১২টার দিকে জিএমপির সদস্যরা হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে মাহিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি এতিমখানায় খাবার বিতরণ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পুলিশের বিরুদ্ধে করা মাহির অভিযোগ সঠিক কি না তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তবে তাকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি শুনেছি গাজীপুরের কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে এসে মাহি কিছু বক্তব্য দিয়েছেন। এজন্য মামলা হয়েছে। আমি সব কিছু জানি না, শুনেছি। এটা ভালো করে জেনে বলতে পারবো।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (আইসিটি) পুলিশের করা মামলায় চিত্রনায়িকা মাহিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ (শনিবার) বেলা দেড়টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এমনটি জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন।
শাহাদাত হোসেন বলেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন মাহিকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই মামলায় তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা রাকিব সরকারকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে যাওয়া মাহিয়া মাহি সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে শুক্রবার ভোরে ফেসবুক লাইভে আসেন। লাইভে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে তার স্বামীর গাড়ির শোরুম দখল করে দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। আজ শনিবার ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার পর তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই মামলার আসামি তাঁর স্বামী রকিব সরকার পলাতক আছেন। এদিকে মাহির গ্রেপ্তারের পর আজ দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন আরেক চিত্রনায়িকা জাহারা মিতু।
মাহির এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়ে ফেসবুকে তিনি লেখেন, `মাহি আপু কি করেছেন? কাউকে খুন করেছেন? বিদেশে টাকা পাচার করেছেন? মানব পাচার করেছেন? ধর্ষণ করেছেন? নাহ, তিনি এগুলোর কিছুই করেন নি। তার অপরাধ তিনি বিপদে বাস্তবসম্মত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। বাংলাদেশ থেকে পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে যা তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে তাই বলেছেন, তাই করেছেন। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ে তিনি যা বলেছেন তা সত্যিই উচিৎ হয়নি। হয়তো তার উচিৎ ছিলো তার কাছে যে তথ্য গিয়েছে তার উপর বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপরমহলের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা। কিন্তু তিনি বোকামী করে বসেছেন`।
জাহারা মিতু লেখেন, `আমরা বোকা বলেই হয়তো ভাবি বিনোদন মাধ্যমে কাজ করে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় যেমনটি পেয়েছিলেন আমাদের পূর্বসূরীরা কিন্তু আমাদের বোকামী আমাদেরকে বাঁচতে দেয় না, হাসতে দেয়না। তিনি গ্রেফতার হয়েছেন, অবাক হইনি। লাইভ দেখার পর এটাই কাম্য ছিলো। সত্যি বলছি। কিন্তু এতোগুলো নারী পুলিশ দিয়ে দেশে পা রাখার সাথে সাথেই কেনো? তিনিতো পালিয়ে যেতেন না। তাকে ডাকা যেতো। ওখানেই কথা বলা যেতো`।
তিনি আরও লেখেন, `আমি আইনের মার-প্যাঁচ বুঝিনা, এজন্য হয়তো নিজেও অজ্ঞের মতন কথা বলতে পারি। তবে এতটুকু বুঝি তাকে একজন শিল্পী হিসেবে এতটুকু সম্মান দেওয়া যেতো। আশা করছি ভুল বোঝা-বুঝির অবসান হবে। হয়তো কিছুক্ষণ/কিছুদিন পরেই আপু লাইভে আসবেন, মুচলেকা দিবেন। বলবেন আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে সহযোগিতা করেছেন, হয়তো!! অন্তত সেই আশাই করছি। আপু ফিরে আসুক, জলদি আসুক। শেষে একটি লাভ ইমোজিও জুড়ে দেন নায়িকা।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। ওমরাহ থেকে ফেরার পর শনিবার দুপুর পৌনে বারোটার দিকে তাকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কামাল গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাহিয়া মাহিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে শুক্রবার মাহি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন জিএমপির বাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রোকন মিয়া। মামলায় ফেসবুক লাইভে মানহানিকর তথ্য প্রচার করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকা এবং খুন, অস্ত্র ও নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে মাহিয়া মাহির স্বামী গাজীপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের একটি গাড়ির শো-রুমে হামলা ও ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। নগরীর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে সনিরাজ কার প্যালেস নামের ওই শো-রুমে হামলার ঘটনা ঘটে।
কয়েক মাস আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর-নাচোল-ভোলাহাট) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন মাহিয়া মাহি। এলাকায় গণসংযোগও করেন। তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের মনোনয়ন পাননি এই ঢাকাই নায়িকা। গত ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচনের ভোট হয়।
মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব সরকারও আওয়ামী লীগের বিগত কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গেও তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
|
|
|
|
বিনোদন ডেস্ক :
ঢালিউড চিত্রনায়িকা পরীমনি। স্বামী শরীফুল ইসলাম রাজ আর তাদের একমাত্র ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যকে নিয়ে চলছে তার সংসার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব পরী। নিজেদের ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্ত কিংবা তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া কোনো না কোনো ঘটনা প্রায়ই শেয়ার করে ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করেন নায়িকা।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরী। সেই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, `রাত সাড়ে ৩টায় বাসা থেকে বের হয়ে…, ফ্যামিলি লাভিং স্ট্যাটাস আমিও দিতে চাই! কিন্তু পারি না। কারণ আমি লোক দেখানো নকল মানুষ না। `
তবে কার উদ্দেশে স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন পরীমনি সে ব্যাপারে কিছু বলেননি এমনকি নামও উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও পরীমনির সেই স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেছেন তার স্বামী শরিফুল রাজ।
তিনি লেখেন, `দেখায়ে কেউ আসল আর নকল হতে পারলে তো হতোই। আমারা সবাই মানুষ। এবং তুমি একজন মহান মা। `
রাজের সেই মন্তব্যের পাল্টা উত্তরও দিয়েছেন পরী। লেখেন, `সেটাই কেউ দেখায়ে হইতে পারে না। সাময়িক দেখায়ে সরাইতে বাধ্য হয়। কারণ ওই যে, সবশেষে মানুষের বিবেকের তাড়না বলে একটা জিনিস আছে তো। `
পরীমনির এই মন্তব্যের সঙ্গেও তাল মিলিয়ে উত্তর দিয়েছেন রাজ। তিনি লেখেন, `পরী বিবেকের তাড়নায় তো বেঁচে আছি। `
স্ট্যাটাস, পাল্টাপাল্টি মন্তব্য, তবে কোথাও কারও নাম উল্লেখ করেননি এ তারকা।
এদিকে পরীমনির এমন স্ট্যাটাসে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন অনুরাগীরা। রাজের মন্তব্যের কারণে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়। ভক্তদের অনেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তবে বেশির ভাগই পজেটিভ মন্তব্য ছিল।
অনুরাগীদের দুই-একজনকে পরীমনিকে স্বান্তনা দিতে দেখা গেছে। একজন লেখেন, `আরে এটা কোনো ব্যাপার না। তবে মায়েদের কষ্ট বেশিই। ভাইও সতর্ক হবে আরও হেল্পফুল হবে। `
আরেকজন লেখেন, `আসল মানুষদের দোষ, ভুল বেশী। `
|
|
|
|
বিনোদন ডেস্ক :
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন একজন প্রযোজক। অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ নামের একটি সিনেমার শুটিং চলাকালীন সহ-প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন এই নায়ক-এমনটাই বলছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাঙালি এই প্রযোজক সশরীরে এফডিসিতে উপস্থিত হয়ে এ অভিযোগ করেন। এছাড়া আরও নানান অভিযোগ উঠে শাকিব খানের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে শাকিব খান এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এ বিষয়ে কথা বলেছেন শিল্পী সমিতির নেত্রী নিপুণ আক্তার। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, `এই ইস্যুতে আমরা আমাদের আর্টিস্টকে প্রায়োরিটি দেব। `
নিপুণ বলেন, যে কেউ সমিতিতে অভিযোগ দিতে পারেন। এটাও তেমনই একটি অভিযোগ। আমরা সেটা রিসিভ করেছি। আপনারা জানেন, আমাদের সভাপতি (ইলিয়াস কাঞ্চন) এখন দেশের বাইরে। তিনি দেশে আসলেই আমরা বিষয়টি সাংগঠনিক টেবিলে বসে পর্যালোচনা করব।
নিপুণ আরও বলেন, শাকিব খান ইন্ডস্ট্রির একজন সুপারস্টার। আমরা তার সঙ্গে পুরো বিষয়টি আলাপ করব। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করব। মোট কথা আমরা আমাদের আর্টিস্টকে প্রায়োরিটি দেব। এরপর যিনি অভিযোগ করেছেন, তার সঙ্গেও কথা বলব। তারপর একটা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে।
রহমত উল্লাহ অভিযোগপত্রে বলছেন, ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ (২০১৭) সিনেমায় অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ (মামলা নং: NSW Police reference no: E ৬২৪৯৪৯৫৯) এবং পেশাগত অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতি সাধন, চলচ্চিত্রের শুটিং সম্পন্ন করতে অথবা লগ্নিকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে অভিযোগ করেছেন।
২০১৭ সালে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির শুটিং চলাকালীন শাকিব খান দ্বারা যেসব ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তার একটি তালিকা উল্লেখ করেছেন এই প্রযোজক। তা হলো―
১. আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও কোনো রকমের পূর্বঘোষণা ছাড়াই শুটিং বাতিল করে দিতেন।
২. তার খাদ্যাভ্যাসজনিত চাহিদা ছিল এমন যে হঠাৎ করে তিনি অদ্ভুত রকমের খাবার খেতে চাইতেন, আর তাতেই পুরো শুটিং ইউনিট নিয়োজিত হতো তার পছন্দের খাবার খুঁজে বের করার জন্য। এতে করে শুটিংয়ের কাজে যেমন ব্যাঘাত হতো, তেমনি চলচ্চিত্রের নির্মাণ ব্যয় নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে গিয়েছিল।
৩. তিনি শুটিং করতে আসতেন নিজের ইচ্ছামতো সময়ে। অনেক সময় এমন হতো যে অত্যন্ত ব্যয়বহুল সেট বানিয়ে আমরা তার জন্য অপেক্ষা করতাম। তিনি হয়তো শেষ বেলায় দুই-এক ঘণ্টা অভিনয় করার জন্য আসতেন। এভাবে শুটিং না করেও সবার বেতন দিয়ে আমরা শুধু অপেক্ষা করতাম তিনি আসবেন বলে।
৪. এখন বর্ণনা দিচ্ছি তার ব্যয়বহুল যৌনাচারের। তাকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো, আর তা না হলে তার হোটেলকক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হতো। এই ব্যাপারটি ছিল প্রতিদিনের রুটিন। কখনো কখনো একাধিকবার। এই সব যৌনকর্মীদের মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক আমাদেরকেই দিতে হতো।
৫. একবার তিনি আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এই ঘটনার পর তিনি এবং তার পরিবার সামাজিকভাবে যেই গ্লানি এবং কুৎসার স্বীকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের এবং তার পরিবারের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওই দিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান সেদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে চলে যান।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, এর পর থেকে শাকিবের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তিনি আবার অস্ট্রেলিয়ায় আসলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। সামাজিক চাপে এবং আরো নিগ্রহের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই যাত্রায় ছাড়া পেয়ে যান।
উল্লেখ্য, ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার পরিচালনা করছিলেন আশিকুর রহমান। এতে শাকিবের নায়িকা হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন সিবা আলী খান। তাদের পক্ষ থেকে অবশ্য কোনো অভিযোগের খবর প্রকাশ্যে আসেনি। সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, টাইগার রবি প্রমুখ।
|
|
|
|
বিনোদন ডেস্ক :
দুবাইয়ের ‘আরাভ জুয়েলার্স’ উদ্বোধন নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির মালিক আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি!
এই জুয়েলার্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন চিত্রনায়িকা দীঘি। এক ফেসবুক ভিডিও বার্তায় দীঘি জানিয়েছিলেন, তিনি দুবাই যাচ্ছেন জুয়েলার্স উদ্বোধনে। এরপর দীঘি দুবাই যান এবং জুয়েলার্স উদ্বোধনে অংশ নেন।
এই অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দীঘির দেখা হয়। তিনি সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ছবি তুলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট না করলেও প্রার্থনা দীঘি নামের একটি পেইজে পোস্ট করেছেন।
জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ উদ্বোধনে নিজের মামা ভিক্টরকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন।
২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে খুন হন পরিদর্শক মামুন। তাকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ভারতে পালিয়ে যান। এই মামলায় ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল গোয়েন্দা পুলিশ রবিউলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। পুলিশ হত্যার মামলায় রবিউলের ভাড়া করা এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করে ৯ মাস জেল খেটে বের হন!
২০২০ সালে রবিউল ভারতীয় পাসপোর্ট পান। যাতে তার নাম বদলে লেখা হয় ‘আরাভ খান’। সেখান থেকে চলে যান দুবাই। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আরব আমিরাত সরকার তাকে রেসিডেন্ট পারমিট দেয়। রবিউল এখন সেখানেই আছেন, জুয়েলারি ব্যবসা করছেন। বুধবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ‘আরাভ জুয়েলার্স’ উদ্বোধন করা হয়।
|
|
|
|
বিনোদন ডেস্ক :
আবারও আলোচনায় চিত্রনায়ক শাকিব খান। এবার তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ।
বুধবার (১৫ মার্চ) এফডিসি উপস্থিত হয়ে এ অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ (২০১৭) সিনেমার এ প্রযোজক।
শাকিব খানের জন্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার নির্মাণ কাজ থেমে গিয়েছে বলেও জানান এ প্রযোজক। সেই সঙ্গে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।
অভিযোগ পত্রে যা আছে পাঠাকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-
২০১৭ সালে পূর্ব চুক্তি মোতাবেক অভিনেতা শাকিব খান ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ নামক সিনেমার কাজে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। আমি সেই চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রযোজক। তার মতো একজন বিখ্যাত অভিনেতাকে নিজের চলচ্চিত্রে অভিনয় করাতে পারব জেনে পুলকিত ছিলাম। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেলে ব্যবসাসফল হবে সেই বিশ্বাস ছিল। ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ মুক্তি পেলে সেটি হতো অস্ট্রেলিয়ায় অভিনীত প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র। আমার এবং এটার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের আশা ছিল সিনেমাটির হাত ধরে অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্কে নতুন একটি অধ্যায় রচিত হবে।
শাকিব খান একজন বিখ্যাত অভিনেতা। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের দর্শক চাহিদা অনেক। তাই আমাদের প্রত্যাশা ছিল তিনি আমাদের সাথে পেশাগত আচরণ করবেন। অথচ, আজ পর্যন্ত এই সিনেমার কাজ তিনি শেষ করেন নাই। ২০১৭ সালে অপারেশন অগ্নিপথের চিত্রায়নের সময় তিনি যে সকল ক্ষতিকর কাজ করেছিলেন তার সংক্ষিপ্ত তালিকা নিম্নে দেয়া হল—
১. আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেয়া সত্ত্বেও কোনো রকমের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শুটিং বাতিল করে দিতেন।
২. তার খাদ্যাভ্যাসজনিত চাহিদা ছিল এমন যে হঠাৎ করে তিনি অদ্ভুত রকমের খাবার খেতে চাইতেন; আর তাতেই পুরো শুটিং ইউনিট নিয়োজিত হতো তার পছন্দের খাবার খুঁজে বের করার জন্যে। এতে করে শুটিংয়ের কাজে যেমন ব্যাঘাত হতো, তেমনি চলচ্চিত্রের নির্মাণ বায় নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে গিয়েছিল।
৩. তিনি শুটিং করতে আসতেন নিজের ইচ্ছা মতো সময়ে। অনেক সময় এমন হতো যে অত্যন্ত ব্যয়বহুল সেট বানিয়ে আমরা তার জন্যে অপেক্ষা করতাম। তিনি হয়ত শেষ বেলায় দুই এক ঘণ্টা অভিনয় করার জন্য আসতেন। এভাবে শুটিং না করেও সকলের বেতন দিয়ে আমরা শুধু অপেক্ষা করতাম তিনি আসবেন বলে।
৪. এখন বর্ণনা দিচ্ছি তার ব্যয়বহুল যৌনাচারের। তাকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো, আর তা না হলে তার হোটেল কক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হতো। এই ব্যাপারটি ছিল প্রতিদিনের রুটিন। কখনো কখনো একাধিকবার। এই সকল যৌনকর্মীদের মোটা অংকের পারিশ্রমিক আমাদেরকেই দিতে হতো
৫. একবার শাকিব খান আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করে বসলেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করলেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। (মামলা নং: NSW Police reference no: E 62494959) নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এই ঘটনার পর তিনি এবং তার পরিবার সামাজিকভাবে যেই গ্লানি এবং কুৎসার স্বীকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের এবং তার পরিবারের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওইদিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান সেইদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে চলে যান।
এরপর থেকে শাকিবের সাথে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তিনি আবার অস্ট্রেলিয়ায় আসলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্ততার হন। সামাজিক চাপে এবং আরও নিগ্রহের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই যাত্রায় ছাড়া পেয়ে যান।
আশিকুর রহমান পরিচালিত ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমাটি ২০১৭ সালে শুটিং শুরু হলেও এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। এ সিনেমায় অভিনয় করছিলেন শাকিব খান ও অভিনেত্রী শিবা আলী খান, মিশা সওদাগর, টাইগার রবি প্রমুখ।
প্রযোজকের এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শাকিব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
|
|
|
|
বিনোদন ডেস্ক :
সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে একটি স্টেজ শো-তে পারফর্ম করতে গিয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস এবং নায়ক নিরব হোসাইন। স্টেজ শো অনুষ্ঠানে প্রতীক হাসানের ‘বিয়াইনসাব আপনার জন্য ঢাকা থেকে ডিজে আনসি’ গানের তালে মঞ্চ মাতাচ্ছিলেন তারা। গানের এক পর্যায়ে অপুকে কোলে তুলতে গিয়ে উল্টে পরে যান দুজনই। তবে মঞ্চের অন্যান্যদের সহযোগিতায় নিজেদের সামলে নিয়ে বাকি পারফরম্যান্স শেষ করেন অপু ও নিরব।
এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা নানা কথা বলতে শুরু করেন। অপু বিশ্বাসের অতিরিক্ত ওজনের কারণে নিরব ফেলে দিয়েছেন- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন কথা ছড়িয়ে পড়ে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে নিরব জানান, ওজন নিয়ে যারা কথা বলছেন তারা আসলে খুব খারাপ কাজ করছেন।
নিরব স্পষ্ট বলেন, অপু বিশ্বাসের ওজনে সমস্যা ছিল না, এটাই মূল কথা।
তিনি বলেন, পলিয়েস্টার কাপড়ে পা পিছলে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই মনে করছেন, অপুর ওজন বেশি, তাকে কোলে তুলতে গিয়ে পড়ে গিয়েছি। কিন্তু আসলে তা নয়। অপুর ওজনে সমস্যা ছিল না, সমস্যা ছিল স্টেজে। স্টেজটির দৈর্ঘ্য ছিল স্বল্প। আটজন নৃত্যশিল্পীসহ আমরা দুজন স্টেজে ছিলাম।
গত শনিবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সিরাজদিখানের একটি অভিজাত রিসোর্টে একটি অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় উপস্থিত দর্শকরা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন।
|
|
|
|
বিনোদন ডেস্ক :
অভিনয়শিল্পী জ্যোতিকা পাল জ্যোতিকে শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তিনি দুই বছরের জন্য এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। তাকে চুক্তিতে এ নিয়োগ দিয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন বলা হয়, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২০০৫ সালে জ্যোতিকা জ্যোতি অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র আয়না মুক্তি পায়। এরপর তিনি বেলাল আহমেদের নন্দিত নরকে এবং তানভীর মোকাম্মেলের রাবেয়া চলচ্চিত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন। পরবর্তীসময় তার অভিনীত তানভীর মোকাম্মেলের জীবনঢুলী ও আজাদ কালামের বেদেনী চলচ্চিত্র দুটি মুক্তি পায়।
জ্যোতি অভিনীত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ব্রেক আপ। ২০১০ সালের শুরুর দিকে এ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। ২০০৪ সালে লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় সেরা দশে স্থান করে নিয়েছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি।
জ্যোতির পৈতৃক নিবাস ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। আনন্দমোহন কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি। স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নকালীন তিনি ময়মনসিংহের বহুরূপী থিয়েটারে যোগ দেন। তবে এ নাট্যদলের হয়ে মঞ্চে ওঠার সুযোগ হয়নি তার।
|
|
|
|
বিনোদন ডেস্ক :
‘বিয়াইনসাব আপনার জন্য ঢাকা থেকে ডিজে আনসি’ গানের তালে মঞ্চ মাতাচ্ছিলেন ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস আর নায়ক নিরব। নাচের শেষ অংশে অপুকে কোলে তোলার চেষ্টা করেন নিরব।
তখনই ঘটে বিপত্তি, উল্টে পড়েন দুজন। এতে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন উপস্থিত দর্শকরা।
তবে মঞ্চের কয়েকজনের সহযোগিতায় নিজেদের সামলে নিয়ে বাকি পারফরম্যান্স শেষ করেন দুজন।
শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে এই ঘটনা ঘটে। মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সিরাজদিখানের একটি অভিজাত রিসোর্টে হয় এই অনুষ্ঠান।
এদিকে নাচ শেষে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার না করার জন্য অনুরোধ করেন অপু বিশ্বাস।
তিনি বলেন, বিনীতভাবে অনুরোধ করবো আপনারা আমার নিজের মানুষ। আমি একজন চিত্রনায়িকা ও আপনাদের বোন হিসেবে অনুরোধ করবো, যেহেতু স্টেজে পারফর্ম করতে গিয়ে স্কাটের কারণে দুজনই পড়ে গেছি। আমাদের একটি অবস্থান রয়েছে, ভালোবাসার মানুষ আছে। আমি বিনীত অনুরোধ করবো, এই জায়গার ভিডিও কেউ ছাড়বেন না।
নায়ক নিরব দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, আমরা আসলে ভালোর চেয়ে খারাপটি দেখতে চাই, দেখাতে চাই। নতুন কিছু বলতে চাই না, পাগলকে সাঁকো নাড়াতে না করলে পাগল আরো বেশি করে। আপনারা অনেক বিবেকবান, বিষয়টি বোঝেন।
|
|
|
|
|
|
|