অর্থাভাবে সাবিনাদের সফর বাতিল
ক্রীড়া, প্রতিবেদক :
একের পর এক আন্তর্জাতিক সফর বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশ সিনিয়র নারী ফুটবল দলের। গত মাসে সিঙ্গাপুরের পর এবার সাবিনাদের মিয়ানমার সফরও বাতিলের পথে।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে মিয়ানমারে প্যারিস অলিম্পিকের নারী ফুটবলের এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ের প্রথম পর্বের খেলা ছিল। বাংলাদেশ এই বাছাইয়ে অংশ নিতে মিয়ানমার যাচ্ছে না। বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টটি এএফসির সাধারণ সূচির বাইরে। ফলে অংশগ্রহণের সকল খরচ বাফুফেকে বহন করতে হবে। এত পরিমাণ অর্থ আমাদের নেই। আর্থিক কারণেই আমরা এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারছি না’।
আজকের মধ্যেই এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকে না খেলার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর কথা। এন্ট্রি দিয়ে শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করলে জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে বাফুফে।
খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ সব মিলিয়ে বিমান খরচ হতো বিশ লাখের মতো। যাতায়াতের মতো আবাসন খরচও বাংলাদেশকে বহন করতে হতো। সব মিলিয়ে এই সফরের জন্য অর্ধ কোটি টাকার বেশি প্রয়োজন ছিল। বাফুফের এই অর্থ নেই তাই আর্থিক সহায়তার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দিয়েছিল। সেই চিঠির কোনো ইতিবাচক সাড়া না আসাতেই মূলত মিয়ানমার সফরের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না কিরণ, ‘আমরা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। সেই সাহায্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এরপরই আমরা দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ বাফুফের চিঠির প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আলোচনা চলমান। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো না করিনি।’
আনুষ্ঠানিকভাবে না করলেও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এত স্বল্প সময়ের মধ্যে অর্ধ কোটি টাকার বেশি বাফুফেকে প্রদান করা সম্ভব না বলে জানা গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত বাজেটের প্রেক্ষিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বার্ষিক কার্যাদি সম্পন্ন করে। অর্থ বছরের প্রায় শেষের দিকে এসে অনুমোদিত বাজেটের বাইরে প্রায় কোটি টাকা সংস্থান করা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য দূরহ। নারী ফুটবলে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। মিয়ানমার সফরের জন্য বসুন্ধরার কাছে আর্থিক সাহায্য চায়নি বাফুফের নারী উইং।
সেপ্টেম্বরে সাবিনারা সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। ফুটবল ফেডারেশন গত মাসে সিঙ্গাপুরে প্রীতি ম্যাচ সিরিজে খেলার ব্যবস্থা করেছিল। শেষ মুহূর্তে সিঙ্গাপুর অপরাগতা প্রকাশ করায় সেটি হয়নি। আগামী মাসের মিয়ানমার সফরও বাতিল হচ্ছে। টুর্নামেন্ট বাতিল হলেও সাবিনাদের জন্য ফিফা প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা চলমান, ‘আমরা নারীদের খেলার মধ্যেই রাখতে চাই। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযাগ চলছে। আশা করছি সামনে প্রীতি ম্যাচ খেলা যাবে’।
|
ক্রীড়া, প্রতিবেদক :
একের পর এক আন্তর্জাতিক সফর বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশ সিনিয়র নারী ফুটবল দলের। গত মাসে সিঙ্গাপুরের পর এবার সাবিনাদের মিয়ানমার সফরও বাতিলের পথে।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে মিয়ানমারে প্যারিস অলিম্পিকের নারী ফুটবলের এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ের প্রথম পর্বের খেলা ছিল। বাংলাদেশ এই বাছাইয়ে অংশ নিতে মিয়ানমার যাচ্ছে না। বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টটি এএফসির সাধারণ সূচির বাইরে। ফলে অংশগ্রহণের সকল খরচ বাফুফেকে বহন করতে হবে। এত পরিমাণ অর্থ আমাদের নেই। আর্থিক কারণেই আমরা এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারছি না’।
আজকের মধ্যেই এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকে না খেলার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর কথা। এন্ট্রি দিয়ে শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করলে জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে বাফুফে।
খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ সব মিলিয়ে বিমান খরচ হতো বিশ লাখের মতো। যাতায়াতের মতো আবাসন খরচও বাংলাদেশকে বহন করতে হতো। সব মিলিয়ে এই সফরের জন্য অর্ধ কোটি টাকার বেশি প্রয়োজন ছিল। বাফুফের এই অর্থ নেই তাই আর্থিক সহায়তার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দিয়েছিল। সেই চিঠির কোনো ইতিবাচক সাড়া না আসাতেই মূলত মিয়ানমার সফরের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না কিরণ, ‘আমরা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। সেই সাহায্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এরপরই আমরা দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ বাফুফের চিঠির প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আলোচনা চলমান। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো না করিনি।’
আনুষ্ঠানিকভাবে না করলেও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এত স্বল্প সময়ের মধ্যে অর্ধ কোটি টাকার বেশি বাফুফেকে প্রদান করা সম্ভব না বলে জানা গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত বাজেটের প্রেক্ষিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বার্ষিক কার্যাদি সম্পন্ন করে। অর্থ বছরের প্রায় শেষের দিকে এসে অনুমোদিত বাজেটের বাইরে প্রায় কোটি টাকা সংস্থান করা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য দূরহ। নারী ফুটবলে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। মিয়ানমার সফরের জন্য বসুন্ধরার কাছে আর্থিক সাহায্য চায়নি বাফুফের নারী উইং।
সেপ্টেম্বরে সাবিনারা সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। ফুটবল ফেডারেশন গত মাসে সিঙ্গাপুরে প্রীতি ম্যাচ সিরিজে খেলার ব্যবস্থা করেছিল। শেষ মুহূর্তে সিঙ্গাপুর অপরাগতা প্রকাশ করায় সেটি হয়নি। আগামী মাসের মিয়ানমার সফরও বাতিল হচ্ছে। টুর্নামেন্ট বাতিল হলেও সাবিনাদের জন্য ফিফা প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা চলমান, ‘আমরা নারীদের খেলার মধ্যেই রাখতে চাই। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযাগ চলছে। আশা করছি সামনে প্রীতি ম্যাচ খেলা যাবে’।
|
|
|
|
ক্রীড়া, প্রতিবেদক :
শুরুটা করেছিলেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। টসের পর নেমে আসা ঝড় তারা টেনে এনেছিলেন ইনিংসের শুরুতে।
পরে সাকিব আল হাসান-তাওহিদ হৃদয়রা শেষটা করেছিলেন ঠিকঠাক। আইরিশদের ইনিংসের শুরুতে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। বাকিটা সাকিব ‘ম্যাজিকের’। একাই লড়াই করা কার্টিস ক্যাম্পার কমিয়েছেন কেবল হারের ব্যবধান।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আয়ারল্যান্ডকে ৭৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে ১৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০২ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সবচেয়ে বড় জয় ২০২১ বিশ্বকাপে পাপুয়ানিউগিনির বিপক্ষে, ৮৪ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে কোনো বাউন্ডারির দেখা পায়নি বাংলাদেশ। এরপরই ঝড় শুরু করেন রনি তালুকদার ও লিটন দাস। কেবল ২১ বলেই দল দেখা পায় হাফ সেঞ্চুরির। এটিই দ্রুততম দলীয় পঞ্চাশ। এর আগে ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ বলে ৫০ করেছিল বাংলাদেশ।
রেকর্ড গড়েন লিটন দাসও। কেবল ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ভেঙে দেন ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মোহাম্মদ আশরাফুলের গড়া ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। এই ব্যাটারের সামনে সুযোগ ছিল অনায়াসে সেঞ্চুরি করারও। কিন্তু ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ বলে ৮৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।
বেন হোয়াইটের অনেক বাইরের বল কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তার আগেই অবশ্য রনি তালুকদারের সঙ্গে ১২৪ রানের উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড গড়েছেন আরও একটি। উদ্বোধনে তাদের এই রানই এখন সর্বোচ্চ। টি-টোয়েন্টিতে আগের সেরা জুটি ছিল ১০২ রানের। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গড়েছিলেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও সৌম্য সরকার।
লিটনের উদ্বোধনী সঙ্গী রনি তালুকদারও ছিলেন হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি। এই ব্যাটার ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৩ বলে ৪৪ রান করে আউট হন দলের প্রথম ব্যাটার হিসেবে। বেন হোয়াইটের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফেরার পর লিটনের সঙ্গে ১২৪ রানের জুটি ভাঙে।
দুই উদ্বোধনী ব্যাটারের পর দলকে টানেন তাওহিদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান। এক বল আগেই অবশ্য তাওহিদ ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৩ বলে ২৪ রান করে আউট হন। তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা বাজে হয় আয়ারল্যান্ডের। তাসকিনের করা প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরত যান পল স্টার্লিং। উইকেটের পেছনে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরেন লিটন দাস। এরপরই শুরু হয় সাকিব আল হাসান ‘ম্যাজিক’। শুরুটা অবশ্য লরকান টাকারের সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরায়। ৫ বলে ৬ রান করেন তিনি।
এরপর ৫ বলে ৬ রান করা রস অ্যাডাইয়ারকে বোল্ড করেন সাকিব। পরে তিনি সাজঘরে ফেরান গ্যারেথ ডেলোনিকে। সাকিবের চতুর্থ শিকার হিসেবে সাজঘরে ফেরত যান জর্জ ডকরেল। ৩ বলে ২ রান করা এই ব্যাটারকে ফিরিয়েই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাকিব হয়ে যান সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। ১৩৪ উইকেট নিয়ে ছাড়িয়ে যান টিম সাউদিকে।
এরপর হেরি টেক্টরকে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূরণ করেন সাকিব। বোল্ড হওয়ার আগে আইরিশ ব্যাটার ১৬ বলে করেন ২২ রান করেন। আইরিশদের পক্ষে পরের পথ অনেকটা একাই টানেন কার্টিস ক্যাম্পার। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে পুরো সফরেই প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি।
তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩ চার ও সমান ছক্কায় ৩০ বলে ৫০ রানে আউট হন তিনি। শেষদিকে নেমে ১৭ বলে ২০ রান করেন গ্রাহাম হিউম। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট পান সাকিব। ৩ ওভারে ২৫ রান দিয়ে তাসকিন নেন ৩ উইকেট।
|
|
|
|
ক্রীড়া, প্রতিবেদক :
নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বাংলাদেশ রাগবি ফেডারেশন ইউনিয়নের সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ পৃষ্ঠপোষকতায় গত ২২ মার্চ থেকে নড়াইল জেলার ৬ টি স্কুল নিয়ে দুইদিনব্যাপী স্কুল রাগবি প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় মাইজপাড়া ইউপি দাখিল মাদ্রাসা এবং রানার্স-আপ হয় পি.বি.এম. মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন আশিকুর রহমান মিকু(সাধারণ সম্পাদক, নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশন)।বিশেষ অতিথি জাহিদুল আলম কিবরিয়া, এফ.এ.ভি.পি এবং ম্যানেজার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, নড়াইল শাখা, নড়াইল। সভাপতিত্ব করবেন মোঃ আয়ুব খান বুলু, সহ-সভাপতি, নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
অংশগ্রহনকারী স্কুলগুলোর নামঃভিক্টোরিয়া কলিজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়,পি বি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাইজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাইজপারা ইউপি দাখিল মাদ্রাসা, শাহাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কে ডি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
|
|
|
|
মো. আনোয়ার হোসেন :
মেয়েদের ফুটবল মানেই এখন দর্শকদেও উন্মাদনা। মেয়েরা এনে দিচ্ছেন সাফল্য অথচ ছেলেরা ভোগ করছেন সব সুযোগ-সুবিধা।
এশিয়া ও সাফে বাংলাদেশের ফুটবল বিশেষ করে ছেলেদের ফুটবল তেমন একটা উল্যেখ করার মতো না হলেও, নারী ফুটবল এখন চলছে সোনালী যুগ।তাদের একের পর এক সাফল্য আর ইতিহাস বর্তমানে সাফে তো বটেই এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনে (এএফসি) আলোচনার দাবী রাখে। মেয়েদের এই ধারাবাহিক সাফল্যে এখন উৎসাহিত করছে বাবা-মা দেরও। সাবিনা খাতুন, রূপনা চাকমা, মারিয়া মান্দা, কৃষ্ণা, মার্জিয়া, মনিকা, আঁখি খাতুনরা একেকজন এখন ব্র্যান্ড নারী ফুটবলে। তাদের দেশের মানুষ সারাজীবন মানুষ মনে রাখবে নিঃসন্দেহে। সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি দেশেবাসিকে উপহার দিয়েসম্প্রতি অভিনন্দনের বন্যায় ভেসেছে সাবিনারা।এতে বাংলাদেশের নারী ফুটবলে ইতিহাস গড়ে সোনালী যুগে এখন তারা। এই ইতিহাস রচনায় খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, ট্রেনার আর অফিসিয়ালদের মাঝে একটা বড় একটা পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।
এএফসি ও ফিফা আমাদের এতদিন ফুটবল জাতি হিসেবে গণ্য করতো বলে মনে হয়না, এখন আমাদের অনেকটাই মার্যাদা বাড়িয়েছে তাদের কাছেসাবিনা-আখিঁরা। এতে নারী ফুটবলের জাগরণ উঠেছে। সাবিনা-মারিয়ারা বছরের পর বছর চেষ্টা, কঠোর পরিশ্রম, আর মেধাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের গড়ে তুলেছে। তাদের ওই পরিশ্রম ও ত্যাগের ফসল আজ দেখতে পারছি আমরা। শুধু তাই নয় এ সাফল্যে মেয়েরা আর্থিক ও সামাজিকভাবে বেশ লাভবানও হচ্ছে। সরকারি ভাবে তারা বাহবা পাচ্ছে। দেশের মানুষ তাদের সম্মান করছে। একদিন এই মেয়েরা সমাজে না খেয়ে দিন কাটাতো আজ তারা যাকাত ফেতরা দেয়ার যোগ্য হয়েছে। এটা তাদের ফুটবলই দিয়েছে। আজকের সাফ জয়ী নারী ফুটবলাররা কেবল দেশেই না বিদেশের ফুটবল লিগেও খেলার অফার পাচ্ছে। এই স্বীকৃতি তাদের বিশাল প্রাপ্তি।এটাকম কিসের। এদিকে ফিফা ওয়ার্ল্ড র্যাংঙ্কিয়ে যেখানে ২১১ দেশের মধ্যে আমাদের ছেলেদের অবস্থান ১৯২ তম, সেখানে মেয়েরা ১৮৮ দেশের মধ্যে ১৪০ তম। সাম্পতিক সাফল্যের বিবেচনায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই এগিয়ে আছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, মেয়েরা এনে দিচ্ছেন সাফল্য অথচ ছেলেরা ভোগ করছেন সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা!
বঙ্গমাতা ফজিলাতুনেসা ফুটবল টুর্নামেন্ট ফ্যাক্টরি থেকে জন্ম নেয়া এই নারী ফুটবলাররা এখন দক্ষিন এশিয়ার সেরা। সরকারের পক্ষ এমন সুযোগ করে না দিলে এমন ফলাফল আমরা হয়তো দেখতে পেতাম না। এ জন্য অবশ্যই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। বিগত দিনে ভারত এর মতো শক্তিশালী দলের কাছে বাংলাদেশের মেয়েরা কোনঠাসা ছিলো- এখন অনুর্ধ্ব-১৬-১৭, অনুর্ধ্ব-২০ এমনকি জাতীয় দলও ধরাশাহী হচ্ছে। এটা আশার কথা। সত্যিই অসম্ভব উন্নতি করেছে বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। এদিকে, ধারাবাহিক সাফল্যের কারনে সাবিনা-কৃঞ্চাদেরক্যাটাগরিভিত্তিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) পরিশ্রমিকের পরিমান বাড়িয়েছে।এক সময়ে `এ` ক্যাটাগারিররাবেতন পেতেন ১০ হাজার, বাকিরা ৫ হাজার ৩ হাজার টাকা করে। সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাদের বেতন এখন আলোচনার মাধ্যেমে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। তাদের দাবী ছিলো অবশ্য মাসিক বেতন ৫০ হাজার। বাফুফের সভাপতি অবশ্য জানিয়েছেন, মেয়েদের দাবী বাস্তবায়ন করতে পারলে খুশি হবো। বাফুফে ভবনেই নারী ফুটবলারদের আবাসিক ক্যাম্প। এক ছাদের নিচে ৬০-৭০ জন ফুটবলার থাকেন। মাসিক কিছু বেতনের সঙ্গে তাঁদের সবকিছুই দেখভাল করে ফেডারেশন। ক্যাম্পে থাকা প্রতি ওদেরখাবার বাবদ প্রতিদিন বাফুফের ব্যয় করতে হয় ৭০০ টাকা। তাঁদের চাওয়া পূরণ করতে হলে ব্যয় বেড়ে গিয়ে দাঁড়াবে ১২০০ টাকা। মেয়েদের সব দাবি অযৌক্তিক দেখছেন না বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
বাংলাদেশের নারী ফুটবল আসলে শুরুতে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর চেষ্টায়বদলে গেছে আদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সিরাজুল ইসলাম বাচ্চু। দেশের মহিলা ফুটবল প্রসারে রেখেছেন বিশেষ অবদান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাফুফের মহিলা কমিটির প্রধানের পদটি ছিল তাঁরই। বাফুফে ভবনের তৃতীয় তলায় বসতেন। সাফের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ওখান থেকেই পরিচালনা করেন। তারপর মহিলা ফুটবল নিয়ে তাঁর কাজের সময়টা ওই কক্ষেই কাটত। এসেছে একের পর এক সাফল্য। বিশেষ করে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বড় শক্তি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। যার নেপথ্যের নায়ক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তারই হাত ধরেই বদলে গেছে দেশের নারী ফুটবল। শুধু শিরোপাগুলোর কথা বলে গেলে মাঠে বাংলাদেশের মেয়েদের দাপটের কথা পুরোপুরি ফুটে উঠবে না। যদি না অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে পাকিস্তানের জালে ১৭ গোল,অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে পাকিস্তানকে ১৪-০ গোলে হারানোর খবরটা ছিলো সুখের। বয়সভিত্তিতে প্রায় সবগুলো প্রতিযোগিতাতেই বাংলাদেশের সাফল্যগুলো ছিলো গোল উৎসবের। অথচ একটা সময় বাংলাদেশের মেয়েদেরও ডজন ডজন গোল হজম করছে। ২০০৩ সালে ঘরোয়া ফুটবল চালুর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের অভিষেক ঘটে ২০০৫ সালে। দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলের সেই আসরে জাপানের কাছে ০-২৪ গোলে হেরেছে সাবিনারা।
সর্বশেষ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক নারী গোল্ডকাপ ফুটবলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আসরের ফাইনাল হতে পারেনি। লাওসের সঙ্গে বাংলাদেশ যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়। অপরাজিত থেকেই মৌসুমী-মনিকারা ফাইনালে ওঠে এবং সেটা সংযুক্ত আরব আমিরাত, কিরগিজস্তান, মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে দাপুটে ফুটবল খেলে। ২০১৮ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাইয়ে আরব আমিরাতকে ৭-০ ও লেবাননকে ৮-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। মেয়েদের ফুটবল মানেই এখন দর্শকদের এমন উন্মাদনা। তাদের নিয়ে প্রত্যাশা অনেক। নারী ফুটবলে এখন আসলে এটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। যে কোন টুর্নামেন্ট খেলতে নামলেই দর্শকরা জয় ছাড়া অন্য কিছু মেনে নিতে চায়না, সেটা যে কোন দলের বিপক্ষেই হোক। অবস্থানটা এমনই তৈরি হয়েছে। আসলেসাফ ট্রফি জয়ের পর থেকে বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের প্রতি ভক্ত সমর্ধকদের আস্থা প্রত্যাশা বেছে গেছে এটাই স্বাভাবিক। এক নজরে নারী ফুটবল দলের সাফল্য- এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ গার্লস রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৫, নেপাল। ২০ ডিসেম্বর ২০১৫, ফাইনাল। বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ গার্লস রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৬, তাজাকিস্তান। ২৮ এপ্রিল ২০১৬ ফাইনাল। বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ওমেন্স চ্যাম্পিয়ন্সশিপ ২০১৭, কোয়ালিফায়ার্স। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ফাইনাল। বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৭, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ফাইনাল। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। জকি ক্লাব গার্লস ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৮, হংকং। ১ এপ্রিল ২০১৮। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ওমেন্স চ্যাম্পিয়ন্সশিপ ২০১৯, কোয়ালিফায়ার্স, ঢাকা। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮। বাংলাদেশের মেয়েরা অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৮, নেপাল। ৭ অক্টোবর ২০১৮। বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা ২০১৯, ঢাকা। ৩ মে ২০১৯। বাংলাদেশ অপরাজিত যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ওমেন্স চ্যাম্পিয়ন্সশিপ ২০২১। ২২ ডিসেম্বর ২০২১। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন। সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২। ভারত। ২৫ মার্চ ২০২২। বাংলাদেশ রানার্স আপ। দুটি ফিফা টায়ার ওয়ান আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ। প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া। ২৩ ও ২৬ জুন ২০২২। দুটি ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা দলের সিরিজ জয়। সাফ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২, নেপাল। ০৬-১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২। বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন।
|
|
|
|
ক্রীড়া, প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে আপাতত বন্ধ আছে। দাপুটে ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টিতেও দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎ করেই বাধ সাধে বৃষ্টি।
সোমবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড় তোলার আভাস দেন লিটন দাস। লিটনের পর বোলারদের ওপর চড়াও হন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। এ দুজনের ব্যাটে পাওয়ারপ্লেতে টাইগারদের হয়ে রেকর্ড রানই (৮১) তুলল বাংলাদেশ।
বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি লিটন। ক্রেইগ ইয়াংয়ের স্লোয়ার বল মিড অফের মাথার ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। টাইমিংটা ঠিকঠাক হয়নি, সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করেন পল স্টার্লিং। ভাঙে ৪৩ বল স্থায়ী ৯১ রানের জুটি। ২৩ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪৭ রান করেন লিটন।
লিটনের বিদায়ের পরপরই ফিফটি তুলে নিয়েছেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা রনি তালুকদার। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ম্যাচে প্রথম ফিফটির জন্য তিনি খেলেছেন স্রেফ ২৪ বল। ৬টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মেরেছেন ৩২ বছর বয়সী ওপেনার।
|
|
|
|
ক্রীড়া, প্রতিবেদক :
পূর্ব আফ্রিকার দেশ সিশেলসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। বিদেশি ডিফেন্ডার তারিক কাজীর একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে অভিষেক হয়েছে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলের।
প্রায় এক বছর ঘরের মাঠে খেলতে নেমে জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। সবশেষ ২০২০ সালে ঘরের মাঠে নেপালের বিপক্ষে জিতেছিল লাল-সবুজের দল। আর গত বছরের সেপ্টেম্বরে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। হাভিয়ের কাবরেরার অধীনে ৯ ম্যাচে এটি দ্বিতীয় জয়। হার পাঁচটি এবং ড্র দুইটিতে।
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর ১৫ মিনিট পর বাড়তে দর্শকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে রমজান মাস বলেই প্রত্যাশা মাফিক দর্শকের দেখা মিলেনি। অপেশাদার দল হলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াই করেছে সিশেলস। শুরুতে বাংলাদেশের খেলায় ছিল না চেনা ধার। প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোলের পর খেলায় ধার বাড়ে বাংলাদেশের। দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ নষ্টের পর আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। আর র্যাংকিংয়ের ১৯৯তম দল সিশেলস তেমন পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
শুরুর দশ মিনিটে তিনটি কর্নার পায় বাংলাদেশ। সোহেল রানার নেওয়া তিনটি কর্নার কোনো কাজেই আসেনি। একটিও বক্সে ঠিকঠাক ফেলতে পারেননি তিনি। ১৯তম মিনিটে সোহেল রানাকে কাটিয়ে দূরপাল্লার বুলেট গতির শট নেন ব্র্যান্ডন রশিদ। তবে বল চলে যায় পোস্টের পাশ দিয়ে। আক্রমণে যায় বাংলাদেশও। ৩৩তম মিনিটে জামাল ভুঁইয়ার ক্রসে তপুর হেড চলে যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে। পরের মিনিটে প্রতি আক্রমণে যায় সিশেলস। ব্র্যান্ডন রশিদ বল পাওয়ার আগেই জায়গা ছেড়ে বেড়িয়ে ক্লিয়ার করেন আনিসুর রহমান।
ম্যাচের ৪২ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। গোল করেন তারিক কাজী। আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম গোলের দেখা পেলেন এই সেন্টার ব্যাক। জামালের ফ্রিকিকে ব্র্যান্ডন শ্যাফি মোলে হেডে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও হাওয়ায় ভেসে থাকা ওই বলেই হেডে লক্ষ্যভেদ করেন তারিক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সজীবের বদলি মাঠে নামেন এলিটা কিংসলে। মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস গড়েন তিনি। বাংলাদেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে নাইজেরিয়া থেকে বাংলাদেশি হওয়া কিংসলের। এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলেন তিনি। এ ম্যাচেই অভিষেক হয়েছে ১৮বছরের মিডফিল্ডার মজিবুর রহমান জনি। পিছিয়ে পড়া সিশেলস গোলে জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৮৭ মিনিটে ফ্রিকিকে বাংলাদেশের পোস্ট কাঁপান ডন ম্যাক্সিমে।
স্বস্তির জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। আগামী ২৮মার্চ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক :
যেন নিজের পায়েই কুড়াল মারলেন হুইলেন বারবিয়েরি। পানামার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার খেলা দেখতে এসে চাকরি হারালেন তিনি। অবশ্য খেলা দেখতে আসার জন্য নয়, চাকরিটি হারিয়েছেন তিনি মিথ্যা বলার জন্য। বিশ্বকাপ জয়ের পর গত বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচ খেলে আর্জেন্টিনা।
পানামার বিপক্ষে ম্যাচটিতে ২-০ গোলের জয় পায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শেষে পরিবারসহ মনুমেন্তাল মাঠে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ উদ্যাপন করে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি-আনহেল ডি মারিয়াদের সেই উৎসবের সাক্ষী হতেই মাঠে উপস্থিত থাকতে চেয়েছিলেন বারবিয়েরি।
সেদিন ম্যাচ জয় ও উৎসবের সাক্ষীও হয়েছেন বারবিয়েরি। কিন্তু ইচ্ছাটি সফল করতে বড় অপরাধই করেছেন তিনি। অফিসে অসুস্থতার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে ছুটি নিয়েছেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণী, যার সত্যতা প্রকাশ পাওয়ার পর চাকরি হারিয়েছেন তিনি।
চাকরি হারানোর দায়টা অবশ্য বারবিয়েরির নিজেরই। সত্যটা যে নিজেই জানিয়েছেন তিনি। খেলা দেখতে এসে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টসের’ সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই বিপদে পড়েছেন এই তরুণী। অনেকের সঙ্গে কথা বলার সময় সংবাদমাধ্যমটির রিপোর্টার তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন খেলা দেখতে এসে কী ফেলে রেখে এসেছেন তিনি। এর উত্তরে কাজের কথা জানান তিনি।
এর পরেই নিজের মিথ্যাটা প্রকাশ্যে আনেন বারবিয়েরি। তিনি বলেন, ‘আমার বস রোলিকে শুভেচ্ছা। হয়তো আমাকে এখন টিভিতে দেখছেন তিনি। একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট তাঁকে দিয়েছি। কিন্তু ভালো আছি। ডায়রিয়া হয়েছিল, তবে এতটুকুই। ’
তারপর বারবিয়েরি হাসিমুখে বলেন, ‘জাদুবলে বন্ধুদের সঙ্গে মনুমেন্তালে উপস্থিত হয়েছি। রোলি, শপথ করছি, পুরো বছর দ্বিগুণ কাজ করে দেব। শুধু আমাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উপভোগ করতে দাও। ’ এটা শোনার পর রিপোর্টার বারবিয়েরিকে চাকরি হারানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি আগামীকালের সমস্যা। আজ আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ’
পরের দিন সত্যি সত্যি বারবিয়েরি চাকরি হারিয়েছেন। কর্মক্ষেত্র ইভা পেরন হেলথ কেয়ার তাঁকে বরখাস্ত করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বারবিয়েরির বস রোলি সান্তাক্রোচ্চে। এর চেয়েও বড় পরিচয় ফুনেস শহরের মেয়র তিনি।
গত শুক্রবার মেয়র রোলি বলেছেন, ‘সে আমাদের সঙ্গে আর কাজ করছে না। বিষয়টি খুবই দুঃখের। সে আমার ব্যক্তিগত সচিবের ছোট বোন। করোনা মহামারিতে সে দুর্দান্ত কাজ করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, সে গুরুতর ভুল করেছে। তাই এমন ভুলের জন্য তাকে শাস্তি পেতেই হচ্ছে। ’
পরে সামাজিক মাধ্যমে মেয়রের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বারবিয়েরি। কিন্তু এতে ক্ষমা চেয়েও কোনো লাভ হয়নি তাঁর। তিনি বলেছেন, ‘ফুনেসের মেয়রের কাছে ক্ষমা চাইছি। ক্যামেরার সামনে করা মজার বিষয়টি এত দূর গড়াবে তা কখনো ভাবিনি। ’
|
|
|
|
ক্রীড়া, প্রতিবেদক :
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিলো টাইগাররা। সিলেটে প্রথম ওয়ানডেতে ১৮৩ রানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে স্বাগতিকরা রেকর্ড স্কোর করলেও বৃষ্টির কারণে বাতিল হয় ম্যাচটি।
আজ বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১০১ রানেই। ছোট সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কোনো উইকেট না হারিয়েই। লক্ষ্য ছোট বলেই কি-না, ম্যাচ দ্রুত শেষ করার বড্ড তাড়া ছিল তামিম-লিটনের। দুজনে ১৩ ওভার ১ বলে শেষ করে আসেন ম্যাচ। জয় নিশ্চিত হওয়ার সময় ইনিংসে বাকি ছিল ২২১ বল। রানতাড়ায় বল বাকি থাকার হিসেবে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম বাংলাদেশের জন্য।
রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভার থেকেই আগ্রাসী ছিলেন দুই বাংলাদেশি ওপেনার। প্রথম ওভারে তামিম ইকবাল নেন ৬ রান। দ্বিতীয় ওভারে লিটন দাস সংগ্রহ করেন ৮ রান। তৃতীয় ওভারে তামিম ছিলেন বিস্ফোরক। ১২ রান তুলে নেন তিনি। চতুর্থ ওভারে মাত্র ২ রান এলেও, পরের ওভার থেকে ৬ এর কমে রান নেয়নি বাংলাদেশ। এর মধ্যে পঞ্চম ওভারে ১০, সপ্তম ওভারে ১১, অষ্টম ওভারে ১৫ রান করে নেন তামিম-লিটন জুটি।
দুজনের মধ্যে ফিফটি পেয়েছেন কেবল লিটন। ৩৭ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নেন লিটন। তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৮ বলে ৫০ রান করে। অপরদিকে, তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৪১ রান।
এর আগে, সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে বোলিংয়ে নেমে তাসকিন-হাসান-এবাদতরা তুলে নেন উইকেটের ফায়দা। কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে টপাটপ তুলে নিতে থাকেন উইকেট। অ্যালান ডোনাল্ডের শিষ্যরা রীতিমতো তাণ্ডব চালান অতিথি ব্যাটারদের ওপর। সেই তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে আইরিশদের ব্যাটিং ইনিংস গুঁড়িয়ে যায় মাত্র ১০১ রানেই। ২৮ ওভার ১ বল স্থায়ী হয় সফরকারীদের ব্যাটিং ইনিংস।
বাংলাদেশের পেসারদের সামনে আজ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি কোনো আইরিশ ব্যাটারই। তাদের সবকটি উইকেটই গেছে পেসারদের পকেটে। এর মধ্যে হাসান মাহমুদ একাই নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ফাইফার পেলেন তিনি। তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন তিনটি উইকেট। অন্য দুই উইকেটের মালিক এবাদত হোসেন।
শুরুর দিকে উইকেট থেকে পেসাররা সহায়তা পাবেন বলে সতর্ক শুরু ছিল আয়ারল্যান্ডের। তবে পঞ্চম ওভারে আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। তার অফ স্টাম্পের বাইরে গুডলেংথের বলটা শেষ মুহুর্তে ঘুরে যায়। ব্যাট বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে আউটসাইড-এজড হয়ে উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দেন স্টেফেন ডোহেনি।
নবম ওভারের প্রথম বলে আবারও আঘাত হানেন হাসান। এবার তার শিকার আরেক ওপেনার পল স্টার্লিং। হাসানের লেংথ থেকে ভেতরের দিকে ঢোকা বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লু হন ৭ রান করা স্টার্লিং। ২ বল পর হ্যারি টেক্টর ধরেন তারই পথ। তিনিও এলবিডব্লুর ফাঁদে পা দিয়ে ফেরেন শূন্য হাতেই। পরের ওভারে সাফল্য পান তাসকিনও। এই পেসার ফেরান ৬ রান করা আইরিশ অধিনায়ক বালবার্নিকে।
দুই ওভারের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বসা আয়ারল্যান্ড এরপর চেষ্টা করে ধরে খেলে ইনিংস বড় করার। লরকান টাকার এবং কার্টিস ক্যাম্ফার উইকেটে টিকেও যান। তবে ঘরের ছেলে এবাদত হোসেন বাধ সাধেন তাতে। ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে দুই ব্যাটারকে ফেরান তিনি। পঞ্চম বলে ২৮ রান করা টাকারকে এলবিডব্লু করার পর জর্ড ডকরেলকে বোল্ড করেন তিনি। খালি হাতেই ফেরেন ডকরেল।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে বাকি চার উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে তাসকিন একই ওভারে তুলে নেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রায়ান (১) ও মার্ক অ্যাডায়ারের উইকেট। আর শেষ দুই উইকেট পকেটে পুরে ফাইফার পূরণ করেন হাসান। আইরিশদের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৬ রান করে ক্যাম্ফারকে ফেরানোর পর গ্রাহাম হিউমকে এলবিডব্লু করে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি।
পেসারদের দুরন্ত বোলিংয়ের দিনে তামিম ইকবাল আজ স্পিনারদের দিয়ে বোলিং করিয়েছেন মোটে ৪ ওভার। এর মধ্যে নাসুম আহমেদ করেন ৩ ওভার। চোট কাটিয়ে দলে ফেরা মেহেদী হাসান মিরাজ করেছেন হাত ঘুরিয়েছেন এক ওভার। দলের সেরা স্পিনার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে এদিন ব্যবহারই করেননি তামিম।
|
|
|
|
স্পোর্টস ডেস্ক :
বিশ্বকাপের পর প্রথম ম্যাচ খেলতে আগামীকাল মাঠে নামছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দেশের মাটিতে লিওনেল মেসিদের প্রতিপক্ষ পানামা। বুয়েন্স আয়ার্সের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে পাঁচটায় শুরু হবে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি।
গত ডিসেম্বরে ফ্রান্সকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার পর আর মাঠে নামেনি দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল পরাশক্তি আর্জেন্টিনা।
‘তিন তারকা’ খচিত জার্সিতে দলটি শুক্রবার প্রথম মাঠে নামবে পানামার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে। মধ্য আমেরিকার দেশটির বিপক্ষে এর আগে দু’টি ম্যাচ খেলে দুটিই বড়ো ব্যবধানে জিতেছে আর্জেন্টিনা। প্রথমটি ২০০৯ সালে প্রীতি ম্যাচে ৩-১ গোলে, দ্বিতীয়টি ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকায় মেসির হ্যাটট্রিকে ৫-০’তে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর যে কোনো দলেরই আত্মবিশ্বাস থাকে তুঙ্গে। এতে খেলোয়াড়দের আত্মতুষ্টিতে ভোগার পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেওয়ার প্রবণতা থাকা অস্বাভাবিক নয়। আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি পানামার বিপক্ষে মেসিদের লড়াকু মানসিকতা বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন।
|
|
|
|
মহসিন পারভেজ :
কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ক্রিকেট, ফুটবল সহ বিভিন্ন খেলার টূর্নামেন্ট আরো বেশি বেশি করার আহবান করেন প্রবাসী সুধিজনদের। ২০ মার্চ রাতে সালমিয়া ভোজন বাড়ী রেষ্টুরেন্ট জিলিব প্রবাসী ক্রিকেট ক্লাব কুয়েত কর্তৃক আয়োজিত এক অনৃুষ্ঠানে খেলার গুরুত্ব নিয়ে অতিথিরা এই বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আলির সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, বিশেষ অতিথি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি জাহাঙ্গীর খান পলাশ, প্রধান উপদেষ্টা প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব এর সভাপতি এবং ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন উপদেষ্টা মঈন উদ্দিন সরকার সুমন, সাধারন সম্পাদক আ হ জুবেদ, ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক কুরবান আলী, সংগঠক সারোয়ার, শহিদুল ইসলাম, নজরুল শাহিন, সাংবাদিক সাদেক রিপন, নাছির উদ্দিন খোকন সহ আরো অনেকে। এছাড়া অনুষ্ঠানে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, ফুটবল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও খেলোয়াড়রা উপস্থিত ছিলেন।
জিলিব প্রবাসী ক্রিকেট ক্লাব এবং ফ্রেন্ডস ক্রিকেট ক্লাব কুয়েতের সাথে খেলার চুক্তি সম্পন্ন করায় এই ফ্রেন্ডস পার্টির আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা। খেলার সংবাদ প্রচার করে খেলোয়াড়দের পাশে থেকে সব সময় উৎসাহ যোগানোর জন্য বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েত কে সম্মাননা স্বারক প্রধান করা হয়।
প্রেসক্লাবের পক্ষে স্বারকটি গ্রহন করেন প্রেসক্লাব এর সভাপতি সাংবাদিক মঈন উদ্দিন সরকার সুমন। এছাড়াও ক্রিকেট খেলায় অবদানের জন্য কয়েকজনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
|
|
|
|
মো. আনোয়ার হোসেন :
১১ দেশকে পিছনে ফেলে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতার আনন্দটাই আলাদা। আবার সেটা যদি হয় পরপর তিন বার। মানে হ্যাটট্রিক শিরোপা, তাহলে সেটার মাহাত্ম্যই থাকে ভিন্ন।
বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দল মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে এবার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এর আগের একই টুর্নামেন্টে পরপর দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো তুহিন-মিজানরা। ঢাকার পল্টনের শহীদ নুর হোসেন ভলিবল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বাংলাদেশ ৪২-২৮ পয়েন্টে চাইনিজ তাইপেকে (৩টি লোনাসহ) পরাজিত করে। বিজয়ী দল খেলার প্রথমার্ধে এগিয়েছিল ২০-১৪ পয়েন্টে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তুহিন তরফদার টুর্নামেন্টের বেস্ট ক্যাচার ও ম্যান অব দ্য ফাইনাল হন। একই দলের মিজানুর রহমান ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট ও বেস্ট রেইডারের পুরস্কার লাভ করেন। এই টুর্নামেন্টে ২০২১ এবং ২০২২ সালের ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়া। ওই দুই আসরে কেনিয়াকে যথাক্রমে ৩৪-২৮ এবং ৩৪-৩১ পয়েন্টে হারিয়েছিল তুহিনরা। তৃতীয় আসরের ফাইনালে ওঠার সময়ই বিশ্বকাপ কাবাডিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনের সুখবর পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবার বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডির শিরোপা জিতে দেশবাসীর জন্য আরেক সুখবর দেয় সাজুরাম গয়াতের শিষ্যরা।
মঙ্গলবার ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত তুহিন তরফদারদের অকুণ্ঠ সমর্থন জোগাতে স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল দর্শকে পরিপূর্ণ। দু’দলই ধীরস্থির-সর্তক ভঙ্গিতে শুরু করে। বোনাস পয়েন্ট পাওয়ার মাধ্যমে পয়েন্টের খাতা খোলে বাংলাদেশ। এরপর সংগ্রহ করে আরেকটি পয়েন্ট। তবে টানা ২ পয়েন্ট পেয়ে দ্রুতই সমতায় ফেরে চাইনিজ তাইপে। মিজানুর রহমান রেইড দিয়ে সফল হলে আবারও লিড নেয় স্বাগতিকরা (৩-২)। তবে পিছিয়ে থাকেনি প্রতিপক্ষ তাইপেও। সমানতালে খেলতে থেকে কখনও সমতায় ফেরে, কখনও আবার এগিয়েও যায় তারা (৫-৪)। একপর্যায়ে ১০-৯ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকার পর ১০-১০ এ সমতা আনে স্বাগতিকরা। এররেই ১৪ মিনিটের সময় তাইপেকে প্রথমবারের মতো অলআউট করে বাংলাদেশ। ১৪-১০ পয়েন্টে এগিয়ে যায় তারা। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। বাংলাদেশ এই ম্যাচে রেইডের চেয়ে সফল ক্যাচারের ভূমিকায় বেশি সফল হয়। মূলত তাদের অভিজ্ঞতার কাছেই হার মানে চাইনিজ তাইপে। প্রথমার্ধে ২০-১৪ পয়েন্টে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ আরও ২২ ও তাইপে ১৪ পয়েন্ট স্কোর করে। তুহিনের রেইডে লোনা ও বোনাস পয়েন্ট মিলিয়ে ৪ পয়েন্ট পেয়ে বাংলাদেশ স্কোরলাইন ২৪-১৪ করে ফেলে। মিজানুর, আরদুজ্জামান ও তুহিনের একের পর এক সফল রেইড ও দলগত নৈপুণ্যে নিজেদের পয়েন্ট আরও বাড়িয়ে নিতে থাকে লাল-সবুজ বাহিনী। এক পর্যায়ে তুহিনের রেইডে তৃতীয় লোনা পেয়ে যায় বাংলাদেশ (৩৭-২১)। তখনই মোটামুটি বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ফলে একটু যেন হাল্কা মুডে খেলতে থাকে তারা। এটাকে কাজে লাগিয়ে তাইপে দ্রুত কিছু পয়েন্ট আদায় করে নেয়। শেষ আড়াই মিনিট। শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ রেইড দিতে গিয়ে কোন চাপ নেয়নি। বরং কৌশলগত কারণে ধীরগতিতে খেলে সময় পার করতে থাকে। বাকি সময়ে তাইপে দুটো লোনার পয়েন্ট দিয়েও লিড নিতে পারতো না বা সমতায় ফিরতে পারতো না। তবে তাইপে এই সময়ে কিছু পয়েন্ট আদায় করে। ম্যাচের শেষ রেইড দেন তুহিন। খেলা শেষ হবার বাঁশি বাজতেই দর্শক উল্লাস শুরু হয়। শিরোপাজয়ের আতিশয্যে তুহিন দর্শনীয়ভাবে ডিগবাজি খান। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন। লাউড স্পিকারে গান বেজে ওঠে, জয় বাংলা, বাংলার জয় ..। চারটি জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে দৌড়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন তুহিনরা।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে টানা তিনবার শিরোপা জিতে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, এ টুর্নামেন্টে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দলকে। আমার জানা মতে, এখানে তিনটি অর্জন রয়েছে বাংলাদেশের। প্রথমত, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দ্বিতীয়ত, হাংজু এশিয়ান গেমসে কোয়ালিফাই করেছে। তৃতীয়ত, বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছে বাংলাদেশ। এমন একটি অর্জন ছিনিয়ে আনায় বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি মহোদয়সহ অন্যদের ধন্যবাদ জানাই।
২০২১ সালে পাঁচ দেশ, গত বছর ৮ দেশ এবং এবার ১২ দেশের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৩ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট। ধীরে ধীরে কলেবর বাড়ছে এই টুর্নামেন্টের। আকার বাড়ায় এবার আলাদা একটি স্টেডিয়ামের দাবী জোড়দার হয়েছে কাবডিতে।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ঢাকার কেরানীগঞ্জে কাবাডির জন্য একটি জায়গা তৈরী করার পরিকল্পনা করেছিলাম। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আপাতত কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমরা হাল ছাড়িনি। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে গেলে কমপ্লেক্স তৈরীর কাজ শুরু করবো। কারন একটার পর একটা অর্জন কাবাডি থেকে এসেছে। তাদের জন্য কিছু করা দরকার। কেরানীগঞ্জে কমপ্লেক্স তৈরীর আগে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম ও শেখ রাসেল রোলার স্কেটিংয়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করা যায়। কারন এই দুটি স্টেডিয়ামও আমাদের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় দলের কাবাডি খেলোয়াড়দের দেখা করার প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতবার চ্যাম্পিয়ন হওযার পর উনারা চেষ্টা করছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। সেটা হয়তো হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রীর আমার দেখা হলে সেখানেই প্রধানমন্ত্রীকে আমি জাতীয় কাবাডি দলের খেলোযাড়দের দেখা করার বিষয়টি জানাবো। প্রধানমন্ত্রী সব সময়েই পৃষ্ঠপোষকতা করেন জাতির পিতার ঘোষিত জাতীয় খেলা কাবাডিকে। কাবাডিতে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা সম্পর্কে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইজিপি মহোদয় ও কাবাডি ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক অত্যতন্ত যোগ্য মানুষ। উনারা কার্যক্রম দেখিয়েছেন বলেই পৃষ্ঠপোষকরা এগিয়ে এসেছেন এই টুর্নামেন্টে। আগে এত ব্যাপক আয়োজন দেখা যায়নি। আগামীতেও পৃষ্ঠপোষকরা এগিয়ে আসবেন। আমরাও বরাদ্ধ বাড়ানোর চেষ্টা করবো। কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কাবাডি ফেডারেশনের যে কোন বড় ধরনের আয়োজন নিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকে। অদম্য ইচ্ছা ও শক্তি দিয়ে এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সহায়তায় আমরা বড় টুর্নামেন্ট আয়োজনের চেষ্টা করেছি। দেশের জাতীয় খেলা হিসেবে কাবাডির উন্নয়নে আমরা সবাই এক সঙ্গে কাজ করে দেখিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি যে, বড় টুর্নামেন্টের আয়োজনও আমরা করতে পারি। বিশ্বকাপ কাবাডি আয়োজনের ভেন্যু এখনো ঠিক হয়নি। তবে আমাদের দিলে আমরা চেষ্টা করবো।
কাবাডি ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ও পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের মুল কাজ আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রন করা। এমন কোন সংগঠক যদি থাকে যে, তারা অপরাধি তাহলে আমরা তার ব্যবস্থা নেব। যদি কাবাডিতে এমন কেউ থাকেন, তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নেবো। এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় অধিনায়ক তুহিন তরফদার বলেন, কাবাডি ফেডারেশনের কর্মকতাদের ধন্যবাদ যে তারা এতো সুন্দর একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছেন এবং আমাদের সেখানে খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন। খেলা না থাকলে আসলে খেলোয়াড়দের কোনো মূল্য নেই। এই দলে যারা ছিলেন আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই। সবাই মিলে আমাকে সহযোগিতা না করলে এত বড় সাফল্য আসত না। তারুণ্যে গতিই আলাদা। ৬ জন খেলোয়াড় ইনজুরির কারণে শুরুতেই মাঠের বাইরে ছিল। আমি খুব টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে কিভাবে ম্যাচগুলো ওভারকাম করব এই ভাবনায় ছিলাম। তরুণদের আমি যাকে যেভাবে বলেছি তারা সেভা্বেই খেলেছে। আমাদের কোচরা যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন সেগুলো আমি প্লেয়ারদের বুঝিয়ে মাঠে সেটা বাস্তবায়ন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। টোটাল টুর্নামেন্টে আমরা টানা জয় পেয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করেছি। তৃতীয়বারের মতো আমার নেতৃত্বে দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দলের অধিনায়ক হিসেবে আমি খুব আনন্দিত, গর্বিত। বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা। যার নেতৃত্ব আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই আসরের ট্রফি বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের নামে উৎসর্গ করছি। মিডিয়াকেও ধন্যবাদ আমাদের উৎসাহিত করতে মিডিয়া ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের জাতীয় খেলা কাবাডিকে সবাই আরো ভালোভাবে জানতে পারছে। প্রচার-প্রসার বেড়েছে। আমরা এশিয়ান পর্যায়ে, বিশ্বকাপ থেকে ট্রফি এনে দিতে চাই।
কোরিয়া, পাকিস্তান, ইরান বলেন তারা অনেক আগ থেকে প্রো-কাবাডিতে সুযোগ পেয়েছে। ভারতে থেকে নার্সিংয়ের সুযোগ পাচ্ছে। আমরাও প্রো-কাবাডিতে অংশ নিচ্ছি। তবে সেটা ব্যাপকভাবে নয়। আমাদের ফেডারেশনের সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান স্যার আশ্বস্ত করেছেন ঈদের পর ভারতে সিনিয়র-জুনিয়র খেলোয়াড়দের নিয়ে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের সঙ্গে আমরা টুর্নামেন্ট খেলব। যদি আমরা টুর্নামেন্টগুলো খেলতে পারি এবং প্লেয়ারদের ঝালানোর সুযোগ পাই। তাহলে এশিয়ান গেমসে ভালো একটা পদক বলছি না গোল্ডই পাব তবে একটা না একটা পদক নিয়ে বাড়ি ফিরব। এক নজরে :
চ্যাম্পিয়ন : বাংলাদেশ রানার্সআপ : চাইনিজ তাইপে তৃতীয় স্থান : ইরাক ও থাইল্যান্ড (যুগ্মভাবে)। ম্যান অব দ্য ফাইনাল : তুহিন তরফদার (বাংলাদেশ, ১০ হাজার টাকা)। সেরা ক্যাচার : তুহিন তরফদার (বাংলাদেশ, ১০ হাজার টাকা)। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় : মিজানুর রহমান (বাংলাদেশ, ১৫ হাজার টাকা)। সেরা রেইডার : মিজানুর রহমান (বাংলাদেশ, ১৫ হাজার টাকা)।
|
|
|
|
ক্রীড়া, প্রতিবেদেক : বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৩ আন্তর্জাতিক কাবাডির ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ চাইনিজ তাইপে।সোমবার শহিদ নুর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইরাককে ২-১টি লোনাসহ (চাইনিজ তাইপে দুটি ও ইরাক একটি লোনা পায়) ৫২-৪৪ পয়েন্টে হারিয়ে প্রথমবার টুর্নামেন্টে খেলতে এসেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা। প্রথমার্ধে ৩১-১৬ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল বিজয়ীরা। ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন চাইনিজ তাইপের চেং চিন চ্যাং। মঙ্গলবার দুপুর সোয় ১২টায় একই মাঠে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
ফাইনার খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম এর সভাপতিত্বে এ সময় বিশ্ব কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি সত্যশিভাম মুনিস্বামী, এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ সারোয়ার, যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ও পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমান এবং যুগ্ম সম্পাদক ও পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির সেমিফাইনালে শক্তিশালী থাইল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে অনেক অর্জনের খাতা পূর্ণ তুহিন তরফদার, আরদুজ্জামান, মিজানরা। আন্তর্জাতিক কাবাডি আগেই ঘোষণা করেছিল বঙ্গবন্ধু কাপে যে দুই দল ফাইনালে উঠবে তারা এশিয়ান গেমস এবং বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পাবে। সেই হিসাবে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠার মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান গেমসের মেগা ইভেন্ট দুটিতে খেলার টিকিট নিশ্চিত করল লাল-সবুজের বাংলাদেশ। আর এ কথা অফিসিয়ালি ঘোষণা করেছেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি হাবিবুর রহমান। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান গেমসের টিকিট নিশ্চিত করতে পেরে খুশি হাবিবুর রহমান।
দলের এত বড় অর্জনে খুশি বাংলাদেশের অধিনায়ক তুহিন তরফদার। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আমরা ফাইনালে ওঠার মধ্য দিয়ে এশিয়ান গেমস ও বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছি। খুব ভালো লাগছে। বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। বিশ্বকাপে কাবাডি দল থাকবে না- এটা বেমানান হয়ে যায়। আমরা এটা অর্জন করতে পেরে খুশি।
|
|
|
|
ক্রীড়া, প্রতিবেদক :
আইরিশদের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ৮১ রানে হারায় তিন উইকেট। সেখান থেকে অভিজ্ঞ সাকিব এবং তরুণ তৌহিদ হৃদয়ের শতক ছাড়ানো জুটিতে ভালো করেছে বাংলাদেশ। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হলো না সাকিবের ৯৩ রান করে ফিরে গেছেন তিনি।
সিলেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা ৩৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে অভিষেক হওয়া হৃদয় ৬২ রান করে খেলছেন।
এর আগে ইনিংসের ইনিংসের শুরুতেই অধিনায়ক তামিম ইকবালকে হারায় স্বাগতিকরা। ৯ বলে ৩ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল ধরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও ওপেনার লিটন দাস।
তবে দারুণ খেলতে থাকা লিটনের বিদায়ে ভাঙল এই জুটি। ক্যাম্ফারের বলে স্টার্লিংয়ের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ৩১ বলে ২৬ রান করেন লিটন। তার বিদায়ে ভাঙে ৪২ বলে ৩৪ রানের জুটি।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, ইয়াসির আলী, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন ও নাসুম আহমেদ।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: অ্যান্ড্রু বলবার্নি (অধিনায়ক), মার্ক এডেয়ার, কার্টিস ক্যাম্ফার, গ্যারেথ ডিলানি, জর্জ ডকরেল, স্টিফেন ডোহেনি, গ্রাহাম হিউম, অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইন, পল স্টার্লিং, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার।
|
|
|
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক : বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ; যেকোনো ফরম্যাটে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম। সেই সুখস্মৃতির রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও মাঠের লড়াইয়ে নামছে টাইগাররা। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টায়।
তবে টাইগার শিবিরে দুশ্চিন্তার কারণ ইনজুরি। চোট শঙ্কায় রয়েছেন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। অধিনায়ক তামিম ইকবালের পর আগের দিন চোখের ব্যাথা নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
কেবল টাইগাররাই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের প্রায় সব দলই বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছে। সে কারণে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই টানা অনুশীলনের ধকল সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে টাইগারদের। আইরিশদের সিরিজ থেকে ইতোমধ্যে ছিটকে গেছেন তরুণ ব্যাটার জাকির হাসান। তবে সবমিলিয়ে ইংলিশদের হারানো দুরন্ত টাইগাররা তাদের জয়রথ ধরে রাখার লক্ষ্যেই আইরিশদের মুখোমুখি হচ্ছে।
তবে আইরিশদের একেবারেই সহজ ভাবতে রাজি নয় টাইগার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সে কথাই জানিয়েছেন এই লঙ্কান কোচ। তার মতে, ‘আয়ারল্যান্ড, ভেরি ডেঞ্জারাস। কোনোভাবেই সহজ প্রতিপক্ষ নয়। আমরা আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দলকে ইংল্যান্ডের মতো করেই সমীহ করছি। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আপনার (সাংবাদিক) মতো করে চিন্তা করাটা কতটা ভুল হবে আমার ক্যারিয়ারের জন্য। আমরা আয়ারল্যন্ডকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছি না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি তাদের বিপক্ষেও আমাদের মানসিকতা একই। আমরা তাদের সম্মান করছি।`
একইসঙ্গে আয়ারল্যান্ডকে হারানোর আশাও ব্যক্ত করেছেন হাথুরু, ‘আমরা দুটো (সিরিজ জয় ও এক্সপেরিমেন্ট) জিনিস করতে চাই। আমাদের সব সময়ই মূল লক্ষ্য থাকে জয়, আমরা যাদের বিপক্ষেই খেলি। এখনকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনো দলই সহজ দল নয়। পরিসংখ্যানটা মনে হয় সবাই জানি, তারা ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারিয়েছে। নিজেদের দিনে যেকোনো দলই যে কাউকে হারাতে পারে। আমরা আমাদের সুযোগগুলো নেব অবশ্যই। সঙ্গে অবশ্যই জিততে চাইবো।’
এদিকে, আগে থেকেই বাংলাদেশকে হারানোর হুমকি দিয়ে রেখেছে আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি, ‘ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দিনে আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি। এখন এটা ধারাবাহিকভাবে করতে পারাটাই চ্যালেঞ্জ। অধিনায়ক এবং দল হিসেবেও চ্যালেঞ্জ। তবে এই দলে (বাংলাদেশে) অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে, আমাদের চেয়ে বেশি।’
হালকা জ্বর থাকায় অধিনায়ক তামিম ইকবালের খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কোনো কারণে তামিম খেলতে না পারলে লিটন নেতৃত্ব দেবেন। গতকাল অনুশীলনে ফুটবল খেলার সময় অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ চোখে আঘাত পেয়েছেন। সিটি স্ক্যান রিপোর্ট যদিও ভালো এসেছে, তবে আজ তার মাঠে নামা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এদিকে দুবাই থেকে ফিরে সাকিব আল হাসান গতকাল পুরোদমে অনুশীলন করেছেন। অবশ্য পুরো দল ম্যাচ খেলার মধ্যে ছিল বলে অনুশীলন নিয়ে চিন্তা করছেন না কোচ।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করে দেখতে চায় বাংলাদেশ। তাই বোলারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানো হবে বলে জানা গেছে। তাই বলে সিরিজ জয় থেকে চোখ সরছে না বাংলাদেশ কোচের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সুযোগ হতে পারে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা তৌহিদ হৃদয়ের। এছাড়াও এ সিরিজে তাইজুল ইসলাম না থাকায় দলে অনেকটাই জায়গা পাকা নাসুম আহমেদের।
|
|
|
|
ক্রীড়া, প্রতিবেদক :
জমে উঠেছে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রথম বিভাগ হকি লিগ। বৃহস্পতিবার বড় জয় পেয়েছে ঊষা ক্রীড়া চক্র ও মুক্তবিহঙ্গ ক্রীড়া চক্র। বৃহস্পতিবার মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচে ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হয় ঊষা ক্রীড়া চক্র। ম্যাচে ঊষার বিপক্ষে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি ফরাশগঞ্জের খেলোয়াড়রা। অসীম গোপ, দেবাশীষ রায়দের কাছে ৫-০ গোলে পরাজিত হয় ফরাশগঞ্জ। ম্যাচে ঊষার হয়ে হাবিব হোসেন ও হুজাইফা জোড়া গোল করেন। এছাড়া ম্যাচের অপর গোলটি করেন তৈয়ব আলী।
এদিকে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ এক জয় তুলে নেয় মুক্তবিহঙ্গ তরুণ সংঘ। ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম দুই কোয়ার্টার গোলশূন্য থাকলেও শেষ দুই কোয়ার্টারে দারুণ খেলে ৬-০ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠে ছাড়েন মুক্তবিহঙ্গের খেলোয়াড়রা।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে প্রিন্সের পেনাল্টি কর্নার থেকে পাওয়া গোলে গোলমুখ খোলে মুক্তবিহঙ্গ। এরপর দলটির হয়ে সাকিল জোড়া গোল করেন। ম্যাচের বাকি তিনটি গোল করেন সৌরব, মাসুম ও আসিফ।
|
|
|
|
আনোয়ার হোসেন :
বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডিতে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। অন্যদিকে টুর্ণামেন্টে প্রথম জয়ের মুখ দেখলো আফ্রিকা কেনিয়া। বৃহস্পতিবার পল্টনস্থ শহীদ নূর হোসেন ভলিবল স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ছিল মালয়েশিয়া। ম্যাচটি একতরফাভাবে ৫৯-২৪ পয়েন্টে জিতে নেয় থাইল্যান্ড। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে ২৫-১৪ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে ম্যাট ছাড়েন থাই খেলোয়াড়রা। দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখেন থাইরা। এ জয়ে সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখল দলটি।
এদিকে, টানা দুই হারের পর বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডিতে অবশেষে জয়ের মুখ দেখল কেনিয়া। গেল আসরের রানার্স আপ দলটি আজ ইন্দোনেশিয়াকে ৩৩-৬৫ পয়েন্ট ব্যবধানে হারিয়ে জয়ের খাতায় নাম তোলে। চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে হার দিয়ে এবারের আসর শুরু করে কেনিয়া। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হারে থাইল্যান্ডের কাছে। ইন্দোনেশিয়াকে হারানোর মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে থাকল আফ্রিকার একমাত্র প্রতিনিধি কেনিয়া।
অপরদিকে দিনের তৃতীয় ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক বাংলাদেশ ৪০-২৪ পয়েন্টে নেপালকে পরাজিত করে সেমিফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলো। খেলার প্রথমার্ধ্যে বাংলাদেশ ২১-০৯ পয়েন্টে এগিয়েছিলো। খেলায় দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ম্যান আব দ্যা ম্যাচ পুরস্কার পান বাংলাদেশের মো. রাসেল হাসান।
|
|
|
|
|
|
|