কার্টুনিস্ট কিশোরের কানে অস্ত্রোপচার
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : নির্যাতনের শিকার কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের ডান কানে আজ শনিবার দুপুর রাজধানীর একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার শুরু হয় বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই আহসান কবির।
তিনি জানান, আঘাত পেয়ে কিশোরের কানের পর্দায় গর্তের মতো হয়ে গেছে। এই কান দিয়ে শুনতে হলে ভেতরে বিশেষ ধরনের হিয়ারিং এইড বসাতে হবে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আজ সেটি বসানো হবে। এর ছয় মাস পর চিকিৎসকেরা পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। কিশোরের চোখেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। চোখে অস্ত্রোপচার করতে হবে।
কার্টুনিস্ট কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র্যা ব-৩। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়ে কিশোরের সঙ্গী লেখক মুশতাক গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কারাগারেই মারা যান।
৬ বার আদালতে জামিন আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ৩ মার্চ উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান কিশোর। এরপর দিন তিনি কারাগার থেকে বের হন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আহমেদ কবির কিশোর জানান, তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। দুদিন আগে আদালতে মামলা করে কিশোর তার ওপর যে অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে তার বর্ণনা দেন।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : নির্যাতনের শিকার কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের ডান কানে আজ শনিবার দুপুর রাজধানীর একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার শুরু হয় বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই আহসান কবির।
তিনি জানান, আঘাত পেয়ে কিশোরের কানের পর্দায় গর্তের মতো হয়ে গেছে। এই কান দিয়ে শুনতে হলে ভেতরে বিশেষ ধরনের হিয়ারিং এইড বসাতে হবে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আজ সেটি বসানো হবে। এর ছয় মাস পর চিকিৎসকেরা পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। কিশোরের চোখেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। চোখে অস্ত্রোপচার করতে হবে।
কার্টুনিস্ট কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র্যা ব-৩। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়ে কিশোরের সঙ্গী লেখক মুশতাক গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কারাগারেই মারা যান।
৬ বার আদালতে জামিন আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ৩ মার্চ উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান কিশোর। এরপর দিন তিনি কারাগার থেকে বের হন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আহমেদ কবির কিশোর জানান, তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। দুদিন আগে আদালতে মামলা করে কিশোর তার ওপর যে অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে তার বর্ণনা দেন।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : স্ত্রী নির্যাতনে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিশ্বের। দেশের ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ৫০ শতাংশই জীবনে কখনও না কখনও সঙ্গীর হাতে শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ৯ মার্চ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
২০০০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৬১টি দেশ ও অঞ্চলে নারী নির্যাতনের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ কিরিবাতিতে স্বামী অথবা সঙ্গীর হাতে নারী নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। দরিদ্র এ দেশটিতে ৫৩ শতাংশ নারীই এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন।
এরপর রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আরও দুটি দ্বীপদেশ ফিজি (৫২ শতাংশ) ও পাপুয়া নিউগিনি (৫১ শতাংশ)। বাংলাদেশে ৫০ শতাংশ নারী নির্যাতনের শিকার হন। হারটি সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ক্ষেত্রেও একই। নারী নির্যাতন সবচেয়ে বেশি যেসব দেশে, তার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ আফগানিস্তান রয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে স্বামী বা সঙ্গীর হাতে নির্যাতন সবচেয়ে কম (১০ থেকে ১৪ শতাংশ) ঘটেছে ১২টি দেশ ও দুটি অঞ্চলে। এর মধ্যে রয়েছে ইউরোপের ছয়টি দেশ, পশ্চিম এশিয়ার তিনটি দেশ এবং কিউবা (১৪ শতাংশ), ফিলিপাইন (১৪ শতাংশ) ও সিঙ্গাপুর (১১ শতাংশ)।
ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষায় নারী নির্যাতনের যে চিত্র উঠে এসেছিল, তার চেয়ে অবস্থার উন্নতি হয়নি। ঘনিষ্ঠ নয়, এমন ব্যক্তিদের হাতেও শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন নারী। অল্প বয়স থেকেই তাঁদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : নোয়াখালীর ভাসানচরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আরো ১ হাজার ৭৫৯ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী চট্টগ্রাম ছেড়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এসব রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয় নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ।
বন্দর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার অলক বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে উখিয়া কলেজ মাঠে ট্রানজিট পয়েন্টে জড়ো হন রোহিঙ্গারা। পরে তাদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।
সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দফায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গা। প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গেছেন।
এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে যান ১ হাজার ৮০৫ জন ও তৃতীয় ধাপে দুইদিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০জন রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২ হাজার ১৪ জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছেন। ৩রা মার্চ পঞ্চম ধাপের প্রথম দিনে ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : পঞ্চম ধাপে ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয় জাহাজগুলো। গতকাল মঙ্গলবার স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে উখিয়া কলেজ মাঠে ট্রানজিট পয়েন্টে জড়ো হন রোহিঙ্গারা। পরে তাদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। এর আগে চার দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে আবাসন নিশ্চিত করেছে ৯ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গা।
কক্সবাজারের আরআরআরসি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দফায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৯ হাজার ৫শ` ৪০ জন রোহিঙ্গা। প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গেছেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে যান ১ হাজার ৮০৫ জন ও তৃতীয় ধাপে দুই দিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০জন রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন ২ হাজার ১৪ জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করে। ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকাদের মাঝ থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করার পরিকল্পনায় কাজ করছে সরকার।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান নিয়েছিল। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ লাখ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
গাজীপুর প্রতিনিধি : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর আগে তার চিকিৎসায় কারো কোন অবহেলা ছিল কি-না তা খতিয়ে দেখতে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ও উম্মে হাবিবা ফারজানা।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুশতাক আহমেদ বাথরুমে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর আগে তার চিকিৎসায় কারো কোন অবহেলা ছিল কি-না তা খতিয়ে দেখতেই অভ্যন্তরীণভাবে এ কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তার মৃত্যুর ঘটনায় অন্য কোনো কারণ আছে কি-না তা ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা জানাবেন।
লেখক মুশতাক আহমেদ (৫৩) বৃহস্পতিবার কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন শুক্রবার ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে দুপুরে পুলিশ তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে শোক ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উন্নত দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক করপোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) ১৩টি দেশের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূতরা। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে গত বছর মে মাসে আটক হওয়া লেখক মুশতাক আহমেদ কাশিমপুর কারাগারে বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে পড়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। খবর বিবিসির।
এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূতরা কী পরিস্থিতিতে মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ঘটেছে—তার দ্রুত, স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং যুক্তরাজ্য ও কানাডার হাইকমিশনাররা।
মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি বিদ্রূপাত্মক কার্টুনের ক্যাপশন দেওয়া এবং সরকারের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল। সরকার বলছে, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর কারণ যাই হোক—তদন্ত করে দেখা হবে।
রাষ্ট্রদূতরা বিবৃতিতে আরও বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টের ধারাগুলো এবং তার বাস্তবায়ন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনগুলোর সঙ্গে এর সঙ্গতিবিধান নিয়ে তাদের যে উদ্বেগ; তা নিয়ে তারা বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাবেন।
এছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও এক বিবৃতিতে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। এর আগে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বামপন্থী ছাত্র সংগঠন মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি বিদ্রূপাত্মক কার্টুনের ক্যাপশন দেয়া এবং সরকারের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত বছরের মে মাসে লেখক মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
ওই মামলায় গ্রেফতারের পর গত নয় মাস ধরে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। তিনি ছয়বার জামিন আবেদন করলেও তা নাকচ হয়ে যায়। সামনের সপ্তাহে হাইকোর্টে তার জামিন শুনানির কথা ছিল।
কারাবন্দি মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে তার চিকিৎসায় কোনো অবহেলা ছিল কিনা খতিয়ে দেখে দুই সদস্যের এই কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। এ সময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান তারা। আজ রোববার দুপুর ১২টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, উন্নয়নকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক মুজাক্কিরের খুনিদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনকে আলটিমেটাম দেন বক্তারা। এতে প্রশাসন ব্যর্থ হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। মুজাক্কিরের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলার কোম্পানীগঞ্জ ও চাটখিলসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত মুজাক্কির দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও অনলাইন পোর্টাল বার্তা বাজারের প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের নোয়াব আলী মাস্টারের ছেলে। নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে সম্প্রতি রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করে সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
নোয়াখালী প্রতিনিধি : চতুর্থ দফার দ্বিতীয় দিনে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ১ হাজার ১১ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে রওনা দেয় তারা। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় সূত্র জানা যায়, কুয়াশার কারণে আজ একটু দেরি করেই জাহাজ ছেড়েছে। বেলা ১টার পর তারা ভাসানচর পৌঁছেছেন।
সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে মিয়ানমার ছেড়ে আসার পর এসব রোহিঙ্গা উখিয়ার বালুখালীর বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন। এর আগে সোমবার অপরাহ্নে বাসযোগে এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম আসে। চট্টগ্রাম পৌঁছানোর পর তাদের বিএএফ শাহীন কলেজে রাখা হয়।
এদের স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে চতুর্থ দফায় তিন হাজার ২১ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হলো। সোমবার চতুর্থ দফার প্রথম দিনে দুই হাজার ১০ জন ভাসানচর যান। রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে প্রথম দফায় ২২টি গাড়িতে এক হাজার ১৫২ জনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। এর আগে তিন দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৬ হাজার ৬৮৮ জনকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
২০২০ সালের ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দুই দফায় তিন হাজার ৪৪৬ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
জামালপুর পুতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শিপপু (৪০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহত শিপপু উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের লাউচাপড়া এলাকার ফারাজউদ্দিনের ছেলে। বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাধীন বাংলা/ন উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : চতুর্থ দফায় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে যাচ্ছেন আরও ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে তারা ভাসানচরে যাচ্ছেন। ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে রোববারই কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছান ওই শরণার্থীরা। রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে প্রথম দফায় ২২টি গাড়িতে এক হাজার ১৫২ জনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
জানা যায়, চতুর্থ দফায় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবির থেকে ৩ হাজার ৬০০ জনের ভাসানচর যাওয়ার কথা আছে। এর আগে তিন দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৬ হাজার ৬৮৮ জনকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালের ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দুই দফায় তিন হাজার ৪৪৬ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এরও আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের সীমান্তে ফের রোহিঙ্গা শরণার্থী ঢলের আশঙ্কা করছে পশ্চিমা দুনিয়া। মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে এই আশঙ্কায় ইউরোপের দুটি রাষ্ট্র অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখে পড়লে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে? তা জানতে চেয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অবশ্য এ নিয়ে আগাম কোন মন্তব্য করতে চাইছেন না। তবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এটা নিশ্চিত করেছেন যে সীমান্তে রুটিন দায়িত্বের বাইরেও অতিরিক্ত নজরদারি রাখছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশি বাংলাদেশ কী ভাবছে? তা জানতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূতদ্বয় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন।
সোমবারের ওই বৈঠক দু`টি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল বলে জানানো হয়েছে। তবে বৈঠকে বাংলাদেশ কী বলেছে এ বিষয়ে কেউ এখনই মুখ খুলতে রাজি হননি।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে তৃতীয় দফায় আরও এক হাজার ৪৬৪ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নেওয়া হচ্ছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে চারটি জাহাজ। বেলা ১টার দিকে তাদের ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা।
শুক্রবার নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে এক হাজার ৭৭৮ জন রোহিঙ্গা। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রায় এক হাজার ৮০০ রোহিঙ্গা রওনা হন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের আরও একটি দলকে চতুর্থ দফায় ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। ২০২০ সালের ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দুই দফায় তিন হাজার ৪৪৬ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় আরাকানের আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে আরও ১ হাজার ৭৭৮ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে। আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে চারটি জাহাজে ভাসানচরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন তারা। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রায় ১৮০০ রোহিঙ্গা রওনা হয়ে গেছেন।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ থেকে ভাসানচরে এটি হচ্ছে তৃতীয় দফা ও বৃহৎ সংখ্যায় রোহিঙ্গা স্থানান্তর। এছাড়া ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের আরও একটি দলকে চতুর্থ দফায় ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সালের ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দুই দফায় ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৮ লাখ আরাকান মুসলিম নারী-পুরষ ও শিশু । এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় কামারপুকুর ইউনিয়নে গৃহহীন অসহায় ও দরিদ্র মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করতে বানানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঘর। কেউ থাকেন অন্যের বাড়িতে, কেউ খাসজমিতে, আবার কেউ রাত কাটান রেলস্টেশন বা খোলা আকাশের নিচে। এমন মানুষই পেতে যাচ্ছেন এসব ঘর। নতুন বছরের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ৩৪টি পরিবারকে এসব ঘর দেয়া হবে।
আগামী ২০ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘জমি নেই, ঘর নেই’ এমন অসহায় পরিবারের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে চাবি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ জানান, ৩৪টি গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর। প্রতিটি ঘরে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রতিটি ঘরে দুটি শয়নকক্ষ ছাড়াও রয়েছে একটি করে বারান্দা, রান্নাঘর ও বাথরুম। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এর আওতায় সরকারি খাসজমিতে এসব ঘর তৈরি করা হয়েছে।
হতদরিদ্র অসহায় পরিবারগুলোর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। এখনই উল্লসিত ও আনন্দিত অসহায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত পরিবারগুলো। তারা বলেন, বৃদ্ধ মা-বাবা ও সন্তানদের নিয়ে রাতযাপনের জন্য ভাঙাচোরা ঝুপড়িঘরে থেকেছি অনেক দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছেন। তিনি আমাদের মায়ের দায়িত্ব পালন করছেন।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে ঘরগুলো নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানির ব্যবস্থার জন্য অগভীর নলকূপ বসানোর কাজ চলছে।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : বিশ্ব মানচিত্রে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন, সুসংহত ও টেকসই শান্তিপূর্ণ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে বাংলাদেশ তার অবস্থান পূণর্ব্যক্ত করেছে।
আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবস উপলক্ষে পৃথক বার্তায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, জাতীয় স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের প্রতি বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বার্তায় বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দেয়ার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করছে। আমরা পূর্ব জেরুজালেমের সঙ্গে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে আল কুদস আল-শরিফকে রাজধানী করে দ্বিরাষ্ট্র নীতির ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে আমাদের নীতিগত অবস্থানের বিষয়টি পুনরুল্লেখ করছি।’
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনা ও আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, বাংলাদেশ সব সময় সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এগুলোর বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকার আদায়ে সংগ্রামরত মানুষকে সমর্থন দিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার প্রথম ভাষণে, ১৯৭৪ সালে ওআইসির দ্বিতীয় সম্মেলনে এবং ১৯৭৩ সালে চতুর্থ নাম সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রাম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ এ অবস্থানে অটল রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্তায় বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণহত্যার যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতিই আমাদের ফিলিস্তিনিদের ওপর হওয়া অন্যায় এবং অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রেরণা জুগিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর বহু বছর ধরে অন্যায় করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এই সংকটের দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর এ অব্যাহত মানবাধিকারের লঙ্ঘনের অবসানের আহ্বান জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার রক্ষায় এবং জাতিসংঘ প্রস্তাব, আরব পিস ইনিশিয়েটিভ ও কার্টেট রোডম্যাপের আলোকে এই সংকটের একটি টেকসই এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
সাভার প্রতিনিধি : ধামরাইয়ের একটি মসজিদে সামনে থেকে কুড়িয়ে পাওয়া সেই অজ্ঞাতপরিচয় নবজাতকের ঠাঁই হলো রাজধানীর আজিমপুরে। গতকাল বুধবার রাতে তাকে আজিমপুর শিশু-দিবাযত্ন-কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কালামপুর বাজার জামে মসজিদের সামনে চিৎকার শুনে ৭ দিন বয়সী সেই নবজাতককে উদ্ধার করেন কালামপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি রবিউল করিম।
তিনি ধামরাই থানাকে জানালে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাঠিয়ে দেয়। পরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে গতকাল রাতে রাজধানীর আজিমপুর শিশু-দিবাযত্ন-কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়।
ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও শিশুটির প্রকৃত অভিভাবকের খোঁজ না পেয়ে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শিশুটিকে আজিমপুর শিশু-দিবাযত্ন-কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি জানান, দুটি পায়ে জন্মগত ত্রুটির কারণেই সম্ভবত তার পরিবার নবজাতককে ফেলে রাখে- আমরা এমনটাই ধারণা করছি।
স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ
|
|
|
|
|
|
|