গাজীপুরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
গাজীপুর থেকে হাসমত:
গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। মানববন্ধনকারী সাংবাদিকদের অভিযোগ, কাশিমপুরের ২নং ওয়ার্ডের লোহাকৈর মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে নির্মম নির্যাতনের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন নিজ ক্লাবের সদস্য ও বিভিন্ন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্যাতনকারী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে আঁতাত করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তিনি বিভিন্ন অপপ্রচার চালান বলে সাংবাদিকদের অভিযোগ।
রবিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কাশিমপুর প্রেসক্লাবের ভুক্তভোগী সদস্য ও অন্যান্য সাংবাদিকরা এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে থাকে।
এসময় ভুক্তভোগী কাশিমপুর প্রেসক্লাবে বর্তমান কমিটির সদস্য ও সাধারণ সদস্য এবং ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা বলেন, ‘কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আমজাদ হোসেন কাশিমপুর প্রেসক্লাবে একক আধিপত্য বিস্তার এবং নিজের অপকর্ম ঢাকতে ক্লাবের সদস্য ও বিভিন্ন সাংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজের আইডি থেকে একটি সিসি টিভির ফুটেজকে বিভিন্নভাবে কেটে প্রচার করেছেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে আমজাদ হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।’
এসময় কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য বাংলা টিভির কাশিমপুর প্রতিনিধি হাসান সরকার বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর ২নং ওয়ার্ড এর লোহাকৈর এলাকার মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ৭ বছরের একটি শিশুকে নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন করে মাথায় তুলে আছাড় মারেন। এতে শিশুটি মারাত্মকভাবে আহত হলে তাকে গাজীপুর শহিদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে শিক্ষক শামীম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে আঁতাত করে কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সদস্য ও অন্যান্য সাংবাদিকদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে অপপ্রচার করেন আমজাদ হোসেন। তার এধরণের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাশিমপুর প্রেসক্লাবে সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন আমাদের মান-সম্মান নষ্ট করে একটি মামলাও করেছেন বলে জানতে পেরেছি। তার এধরণের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে অনুরোধ ঘটনার সততা যাচায় করে দোষীব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান সরকার, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম শাহীন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোত্তাকিম সিকদার রাজীব, কার্যকরী সদস্য মানসুরা আক্তার কাকলি, সদস্য মোঃ আসিফ, মোঃ ইউসুফ আলী খানসহ প্রমুখ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন সাজু, নুরে আলম সিদ্দিক মানু, মোঃ জামাল আহমেদ, শাহাজুদ্দিন আহমেদ সুমন, রবিউল হোসেন, সেকেন্দার আলী, এম এ আজিজ, নাসির উদ্দিন, বিপ্লব হোসেন ফারুকসহ গাজীপুর জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।
|
গাজীপুর থেকে হাসমত:
গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। মানববন্ধনকারী সাংবাদিকদের অভিযোগ, কাশিমপুরের ২নং ওয়ার্ডের লোহাকৈর মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে নির্মম নির্যাতনের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন নিজ ক্লাবের সদস্য ও বিভিন্ন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্যাতনকারী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে আঁতাত করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তিনি বিভিন্ন অপপ্রচার চালান বলে সাংবাদিকদের অভিযোগ।
রবিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কাশিমপুর প্রেসক্লাবের ভুক্তভোগী সদস্য ও অন্যান্য সাংবাদিকরা এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে থাকে।
এসময় ভুক্তভোগী কাশিমপুর প্রেসক্লাবে বর্তমান কমিটির সদস্য ও সাধারণ সদস্য এবং ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা বলেন, ‘কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আমজাদ হোসেন কাশিমপুর প্রেসক্লাবে একক আধিপত্য বিস্তার এবং নিজের অপকর্ম ঢাকতে ক্লাবের সদস্য ও বিভিন্ন সাংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজের আইডি থেকে একটি সিসি টিভির ফুটেজকে বিভিন্নভাবে কেটে প্রচার করেছেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে আমজাদ হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।’
এসময় কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য বাংলা টিভির কাশিমপুর প্রতিনিধি হাসান সরকার বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর ২নং ওয়ার্ড এর লোহাকৈর এলাকার মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ৭ বছরের একটি শিশুকে নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন করে মাথায় তুলে আছাড় মারেন। এতে শিশুটি মারাত্মকভাবে আহত হলে তাকে গাজীপুর শহিদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে শিক্ষক শামীম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে আঁতাত করে কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সদস্য ও অন্যান্য সাংবাদিকদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে অপপ্রচার করেন আমজাদ হোসেন। তার এধরণের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাশিমপুর প্রেসক্লাবে সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন আমাদের মান-সম্মান নষ্ট করে একটি মামলাও করেছেন বলে জানতে পেরেছি। তার এধরণের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে অনুরোধ ঘটনার সততা যাচায় করে দোষীব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান সরকার, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম শাহীন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোত্তাকিম সিকদার রাজীব, কার্যকরী সদস্য মানসুরা আক্তার কাকলি, সদস্য মোঃ আসিফ, মোঃ ইউসুফ আলী খানসহ প্রমুখ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন সাজু, নুরে আলম সিদ্দিক মানু, মোঃ জামাল আহমেদ, শাহাজুদ্দিন আহমেদ সুমন, রবিউল হোসেন, সেকেন্দার আলী, এম এ আজিজ, নাসির উদ্দিন, বিপ্লব হোসেন ফারুকসহ গাজীপুর জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।
|
|
|
|
মো. সোহাগ হাওলাদার, আশুলিয়া :
সাভারের ভার্সেটাইল এটায়ার লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষের করা মামলায় চার শ্রমিক নেতা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে জামিন নাহ মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রকিবুল হাসানের আদালত চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চার শ্রমিক নেতারা হলেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সাভার, আশুলিয়া-ধামরাই শিল্পাঞ্চল কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জীবন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের আশুলিয়া থানার সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, জাতীয় গার্মেন্স শ্রমিক জোটের আশুলিয়া থানার সভাপতি কামরুল ইসলাম, মাদারল্যান্ড গার্মেন্স শ্রমিক ফেডারেশনের আশুলিয়া থানার সভাপতি আল মামুন।
এই মামলার প্রধান আসামিসহ ৯ জন জামিনে থাকলেও আহমেদ জীবনসহ চার শ্রমিক নেতার জামিন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তাদের আইনজীবী সৌমিত্র কুমার দাস।
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী সৌমিত্র কুমার দাস বলেন, “বিচারক তার স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা আইনসঙ্গতভাবে প্রয়োগ করেননি।”
শ্রমিক নেতাদের জামিন শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবি জহিরুল ইসলাম মোল্লাও অংশ নেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রেজাউল করিম।
জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কমকর্তা এসআই মাসুদ।
আইনজীবী সৌমিত্র কুমার দাস বলেন, সাভারে ভার্সেটাইল এটায়ার লিমিটেডের দুইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। একটি পৌর এলাকার রাজফুল বাড়িয়ায় অন্যটি আশুলিয়ার শ্রীপুরে। রাজ ফুলবাড়িয়ার ওই কারখানার সাড়ে ৩ শতাধিক শ্রমিকের বেতন ও অন্যান্য পাওনা না দিয়ে কারখানাটি হঠাৎ বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ২০২১ সালের ৭ মে থেকে ভার্সেটাইল এটায়ার লিমিটেডের শ্রীপুরের কারখানার সামনে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল শ্রমিকরা। সেই আন্দোলনে সমর্থন দেয় শ্রমিক নেতারা। পরে ৯ মে শ্রমিকদের টাকা পরিশোধের আশ্বাস দেখ কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মালিক পক্ষ তাদের কথা না রাখায় সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান নেয় কারখানার শ্রমিকরা। পরে মীমাংসার কথা বলে ডেকে নিয়ে শ্রমিক নেতা বাংলাদেশ রেডিমেড গার্মেন্টস ও ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি (আশুলিয়া অঞ্চল) জাহিদুর রহমান জীবন, শ্রমিক নেতা শাহ আলম, আশিক, মোতালেব, বকুল ও সুলতানকে আটকে রাখা হয়।
অন্য শ্রমিক নেতারা আটকে রাখার বিষয়টি পুলিশকে জানালে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে অদৃশ্য কারণে ২০২১ সালের ১০ মে ভার্সেটাইল এটায়ার লিমিটেড এর স্টোর ইনচার্জ মো: ফেরদৌস বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ১৩ জন শ্রমিক নেতার নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে চলতি বছরের ২ মে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার এ বি এম রশিদুল বারী। জামিন আবেদন করলে ৪ জন শ্রমিক নেতার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কারাগারে থাকা চার শ্রমিক নেতার অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, জাতীয় গার্মেন্স শ্রমিক জোট বাংলাদেশ, মাদারল্যান্ড গার্মেন্স শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা তাদের দ্রুত মুক্তি না হলে আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন।
|
|
|
|
মো. সোহাগ হাওলাদার, আশুলিয়া :
রুট পারমিট বিহীন বিপদজনক এক যানের নাম লেগুনা। পুরাতন মাইক্রোবাস কেঁটে তৈরি এই লেগুনা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আশুলিয়ার অন্তত ৪টি সড়কে। আনফিট লেগুনা আর ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা এখন এই সড়কের আতংক। তাও আবার এগুলোর বেশিরভাগ চালক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর। শুধু কি তাই, এসব যান চালকদের সহকারীরাও কোমলমতি শিশু।
লেগুনার এসব অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর চালকরা মাঝে মধ্যেই সড়কে একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করে বেপরোয়া গতির প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে। যার কারণে মাঝেমাঝেই দূর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এছাড়ও এ সকল লেগুনায় যাত্রীদেরও বাদুর ঝোলার দৃশ্যও কিন্তু নতুন নয়। আর এমন সব ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনি গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ। সড়কেও চলছে বছরের পর বছর, তবুও যেন দেখার কেউ নেই।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর ও নবীনগর-কালিয়াকৈর মহাসড়ক ঘুড়ে জানা গেলো এমন ভয়ঙ্কর সব তথ্য। শুধু এই দুই সড়কই নয়, সিএন্ডবি টু আশুলিয়া বাজার এবং নবীনগর টু ধামরাইয়ের ঢুলিভিটার পর্যন্ত চলাচলরত লেগুনার বেশিরভাগ সড়ক আশুলিয়ায় পড়েছে। মাঝে মধ্যেই এ সকল গণপরিবহনের সহকারী ও ড্রাইভার সহ আরও ৩/৪ জন মিলে যাত্রি উঠে নিয়ে যাচ্ছে অজানা ঠিকানায়। পথে মধ্যে জোরপূর্বক ধর্ষন, টাকা, মালামাল লুটপাতসহ মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে। এ ধরনের ঘটনার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে চেতনানাশক বিভিন্ন ঔষধ, বিষাক্ত মলমসহ দেশীয় অস্ত্র।
জানা যায়, আশুলিয়ার এই চার সড়কে অন্তত তিন শতাধিক লেগুনা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের ডোগায় এভাবে চলাচল করলেও এসব যানবহনের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না।
আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের দিকে চলা একটি লেগুনার পেছনে ছুটে দেখা গেলো তা চালচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক এক কিশোর, নাম তার অনিক। আনুমানিক বয়স ১৫ বছর। এমনকি তার সহকারীও একজন কোমলমতি শিশু। চলন্ত গাড়ির পিছনে ঝুলে আছে বেশ কয়েকজন যাত্রী। এছাড়ও চালকের পাশেও বসা একাধিক যাত্রী। শুধু পাদানিতে দাড়িয়ে ভাড়া আদায় করছে সহকারী শিশুটি। চালক যখন-তখন ব্রেক ধরছে আবার মাঝে মাঝে বেশ জোরে টান দিচ্ছে। এর পরে কার আগে কে যাবে তা নিয়ে মেতে উঠছে গতির লড়াইয়ে। শুধু অনিক, জসিম কিংবা ইয়াছিন নয়, এই চার সড়কে চলাচলরত অন্তত শতাধিক লেগুনার চালকের বয়স ১৮ বছরের নিচে।
নরসিংহপুর থেকে বাইপাইলে আসা মাসুদুর রহমান বলেন, এই লেগুনা চালকদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তারা অন্য কোনো গাড়িকে সাইড দিতে চায় না। নিজেদের ইচ্ছামত গাড়ি চালায়। মাঝে মাঝে ঝুঁকি নিয়ে সড়কের পাশ দিয়ে টান দেয়, যার ফলে গাড়ী উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থাক। এছাড়ও যত্রতত্র থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করে। যেহেতু এটা শিল্পাঞ্চল, যেহেতু গনপরিবহনের স্বল্পতার কারণে জীবনের ঝুকি নিয়েই এ ধরনের পরিবহনে উঠতে হয়।
সাথী আক্তার নামের এক যাত্রী জানান, লেগুনাতে চলাচল করতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। এরা যে পরিমান ছিট থাকে তার থেকে বেশি লোক উঠায়। যার ফলে অনেক লোকজনের সাথে ধাক্কা লাগে। ওদের লাইসেন্স আছে কিনা জানি না, এদের বেশির ভাগ ড্রাইভারের অল্প বয়স্ক। আমার মনে তাদের লাইসেন্স নাই। যার ফলে রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘটে।
লেগুনায় শিশু-কিশোরদের ড্রাইভিং বন্ধের ব্যাপারে সাভার ট্রাফিক বিভাগের এডমিন হোসেন শহিদ চৌধুরী বলেন, এ ধরনের কোনো কিছু পেলে আমরা সব সময় ব্যবস্থা গ্রহন করি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে থাকি এবং রেকারিং এর মত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। এ ধরণের কার্যক্রম আমাদের সব সময় চলছে।
|
|
|
|
মো. সোহাগ হাওলাদার, আশুলিয়া :
সাভারে কিশোরীকে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা সহ ছাদ থেকে ফেলে দেয়ার চেষ্টাসহ নানা অভিযোগে যুব মহিলা লীগ নেত্রী পরিচয় দেওয়া মেহনাজ মিশুকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারওয়ারের স্বাক্ষর নকল করে ঢাকা জেলা যুবলীগের কমিটি সাজিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সাভার উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে মেহনাজ মিশুকে আটক করা হয়। এর আগে সকালে ভুক্তভোগী নারীর মা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
মেহনাজ মিশু নিজেকে ঢাকা জেলা যুব মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিতেন। তবে যুব মহিলা লীগের কোনো কমিটিতে তিনি নেই বলে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সভাপতি ডেইজি সারওয়ার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা জেলা যুব মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করতেন মেহনাজ মিশু। তার বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক নেশাদ্রব্য খাইয়ে পাঁচ তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গুরুতর আহত হয়ে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে মেহনাজ মিশুকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগী কিশোরীকে বিবস্ত্র করে ছবি সংরক্ষণ, অনৈতিক কাজে বাধ্য করার চেষ্টাসহ নেশাদ্রব্য খাইয়ে পাঁচ তলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারওয়ার বলেন, মেহনাজ মিশু যুব মহিলা লীগের কেউ নয়। তিনি আমার স্বাক্ষর নকল করে ঢাকা জেলা যুব মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিতেন। তার বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
|
|
|
|
মো. সোহাগ হাওলাদার, আশুলিয়া :
সাভারের আশুলিয়ায় দুই রাউন্ড গুলি ও একটি বিদেশী পিস্তলসহ মোঃ আব্দুল করিম (৪৪) নামে ১৬ মামলার এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল। পরে তাকে থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হলে বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার বৈশাখী মার্কেটের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মোঃ আব্দুল করিম (৪৪) নাটোর জেলার সিংড়া থানার নাছিয়ার কান্দি এলাকার মৃত পরশ উল্লা প্রামাণিকের ছেলে। তার নামে নাটোরের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, হত্যাসহ অন্তত ১৬টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার বৈশাখী মার্কেটের সামনে কতিপয় অস্ত্রধারী নাশকতার উদ্দ্যেশ্যে অবস্থান করছে। পরে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে দুই রাউন্ড গুলি ও একটি বিদেশি পিস্তলসহ একজনকে আটক করে। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শেষে থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, সকালে দুই রাউন্ড গুলি ও একটি বিদেশি পিস্তলসহ একজনকে থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শেষে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয় এবং বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
|
|
|
|
রোকুনুজ্জামান খান, গাজীপুর :
গাজীপুরে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে আড়তে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে টঙ্গীর নতুন বাজারে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল।
তিনি বলেন, অভিযানে যথাযথ মূল্য তালিকা এবং কেনা-বেচার রশিদ না থাকায় পাঁচ ব্যবসায়ীর প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, এই দাম নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যে ব্যবসায়ীরা ডিমের ধার্য এ দাম মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
|
|
|
মো. সোহাগ হাওলাদার, আশুলিয়া :
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় এক পোশাক শ্রমিককে পাওনাদি পরিশোধ না করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। পরে শ্রমিক নেতাদের কাছে সহায়তার জন্য গেলে সেই শ্রমিক নেতারা কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে শ্রমিকের পাওনা ৩৫ হাজার টাকা আদায় করে। তবে শ্রমিককে ২০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা নিজেরাই আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিক মোসা. মাহিয়া আর্নিকা। এর আগে সোমবার(১৪ আগস্ট) আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
ভুক্তভোগী শ্রমিক মাহিয়া আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার ইথিক্যাল গার্মেন্টস এর সুইং অপারেটর পদে কাজ করতেন। গত ১৪ জুন তাকে কারখানা থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্ত শ্রমিক নেতারা হলেন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু এবং জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাভার আশুলিয়া ধামরাই আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মানিক সরকার।
ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিক মাহিয়ার থানায় লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, কারখানা থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৪০০ টাকা পাওনা পরিশোধ না করে মাহিয়াকে বের করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। পরে ফেডারেশনের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে তারা শ্রমিককে নিয়ে কারখানায় যায়। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও নেতাদের সমঝোতায় ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে। তবে শ্রমিককে শুধু ২০ হাজার টাকা দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আবোল তাবোল বুঝিয়ে কারখানা থেকে বের করে দেয়।
শ্রমিক মাহিয়া বলেন, আমি হিসাব করে দেখেছি আমি ১ লাখ ৬৪০০ টাকা পাব। কিন্তু শ্রমিক নেতা ঠান্ডু আমাকে প্রথমে হিসাব দেখিয়েছিল যে আমি নাকি ৯৭ হাজার টাকা পাব। পরে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করার চেষ্টা করে। আমার সন্দেহ হলে পরে আমি থানায় যাই। পুলিশ এ বিষয় নিয়ে ঠান্ডুকে ফোন দিলে ঠান্ডু ভাই লালন নামে এক শ্রমিক নেতার মাধ্যমে আমার কাছে ১৫ হাজার টাকা ফেরত পাঠায়। আমি এখনো আরও টাকা পাব।
ইথিক্যাল গার্মেন্টসের প্রশাসনিক (মানবসম্পদ) কর্মকর্তা মো. বিল্লাল বলেন, শ্রমিক আমাদের কাছে মাত্র ১২শ টাকা পাওনা ছিল শ্রমিক ফেডারেশনের চাপে আমরা ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছি। ঠান্ডু ভাই এসে আমাদের প্রেশারে ফেলেছে। এইটা ওদের একটা বিশাল ব্যবসা আকারে হয়ে গেছে আরকি। শ্রমিক ফেডারেশনকে সরকার লাইসেন্স দিয়ে আমাদের গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা করা কঠিন হয়ে গেছে।
১২শ টাকা পাওনা হলেও কেন ৩৫ হাজার টাকা দিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, না হলে আমাদের আরএসসিতে দিয়ে দিবে, এই করবে, সেই করবে। আরএসসি (আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল) তে যদি ক্লেইম করে দেয়, আমাদের ব্যবসা বন্ধ। তাই চাপে পড়ে আমরা বাধ্য হয়েছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শ্রমিক নেতা ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু বলেন, এই শ্রমিকের অভিযোগ মানিকের কাছে ছিল। সমাধান করতে পারেনি দেখে আমার কাছে আসছে। পরে আমি মীমাংসা করে দিয়েছি। মানিকই ১৫ হাজার টাকা রেখে দিয়েছিল। পরে আবার ফেরত দিয়েছে।
জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাভার আশুলিয়া ধামরাই আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মানিক সরকার বলেন, আমার কাছেই অভিযোগ নিয়ে আসছিল মেয়ে, কিন্তু এইটা ডিল করছে ঠান্ডু ভাই। আমার কাছে ছবি তোলা আছে টাকা মালিকপক্ষ দিয়েছে শ্রমিককে। সেখানে ঠান্ডু ভাই উপস্থিত ছিল। আমি ব্যস্ত থাকায় ওইদিন যেতে পারিনি। ১৫ হাজার টাকা ঠান্ডু ভাই নিয়ে আসছিল। পরে সোমবার টাকাটা ফেরতও দেয়া হয়েছে। ঝামেলা শেষ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, অন্য শ্রমিক সংগঠনের নেতার মানিকের ঘটনা এটি। আমাদের একজনও ছিল বলে জানতে পেরেছি। আমাদের প্যাড ব্যবহার করে টাকা লেনদেন হয়নি। আমি তদন্ত করে দেখব, আমাদের সংগঠনের ওই নেতার যদি দোষ খুঁজে পাওয়া যায় আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিব।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপুল হোসেন বলেন, শ্রমিকের অভিযোগ পেয়ে আমি কারখানায় গিয়েছি। সেখান থেকে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষ নাকি ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছে। পরে অভিযুক্ত ঠান্ডুর সাথে যোগাযোগ করলে ঠান্ডু স্বীকার করে। পরে শুনেছি ভুক্তভোগীকে বাকি টাকা ফেরত দিয়েছে শ্রমিক নেতা ঠান্ডু।
টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের কাছ থেকে পয়সা নিয়েই তো শ্রমিক সংগঠন চলে। এটাই সংগঠনের সাংবিধানিক নিয়ম। কিন্তু শ্রমিককে ভুল বুঝিয়ে, ২ নাম্বারি করে তো টাকা আদায় করার সুযোগ নেই। এটা অন্যায়। এখন প্রচুর শ্রমিক সংগঠন। সেখানে প্রচুর আগাছাও তৈরী হয়েছে। আগাছা নির্মূল করার দায়িত্ব আমাদেরই। অনেক সময় কোন অপরাধ করলে নেতাকে হয়ত বহিঃষ্কার করা হয়। কিন্তু তখন তারা আবার নতুন সংগঠন তৈরি করে। এভাবে তো চলতে পারেনা।
|
|
|
|
মো.সোহাগ হাওলাদার, আশুলিয়া :
সাভারের আশুলিয়ায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিকাশ পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনায় ৬ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলের ভিডিও দেখে আসামীদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রত্যেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন ঢাকা জেলা এসপি মো. আসাদুজ্জামান। এসময় ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো আব্দুল্লাহিল কাফী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মোবাশশিরা হাবীব খান সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল, ঢাকা জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম(৪৪), ঢাকা জেলা যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুরুজ্জামান (৪৭), ঢাকা জেলা বিএনপির সদস্য মো. মুমিনুল ইসলাম (৪৫), ধামরাই পৌর ছাত্রদলের সদস্য অপূর্ব চন্দ্র দাস (২২), ধামরাই থানা যুবদলের সদস্য মোঃ রাজীব হোসেন, সাভার থানা যুবদলের সদস্য মোঃ সুজন (৩৪)।
পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিওতে শহিদুল ইসলাম, সুরুজ্জামান ও অপূর্ব চন্দ্র দাসকে স্পষ্টভাবেই চিহ্নিত করা গেছে। তাদের ৫ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যে ৭ আগস্ট বাকি ৩ জনকে বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৯ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে আশুলিয়ার নিরিবিলি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিকাশ পরিবহনের একটি বাস ভাংচুর করে ও আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। পরে ৩২ জনসহ নামীয় আসামী সহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসের চালক আনোয়ার হোসেন। সেদিন ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছিল বিএনপি।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ভিডিও দেখে অনেক আসামীকেই চিহ্নিত করা গেছে। তাদের মধ্য থেকে প্রথমে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যে আরও ৩ জনসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা নাশকতার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। নাশকতার সাথে আরো কারা জড়িত আছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুসের কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে মরহুমের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামে এ কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়।
এম এ কুদ্দুসের পরিবারের আয়োজনে কুলখানিতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন তারা।
ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিপ্লবী সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হকের নেতৃত্বে ফোরামের একটি প্রতিনিধিদল কুলখানিতে অংশ নেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত, সাংগঠনিক সম্পাদক অরণ্য গফুর, দপ্তর সম্পাদক শামীম মোল্লা প্রমুখ।
মরহুমের শোকাহত বাবা-মা, স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাকে সান্ত্বনা দেন নূরে আলম সিদ্দিকী হক। ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক ফোরাম সর্বদা পরিবারটির পাশে থাকবে বলে এসময় তাদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
ফোরামের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এম এ কুদ্দুসের সহধর্মিণী তানিয়া সুলতানা বিথী। এসময় দেশবাসীর কাছে মরহুমের জন্য দোয়া কামনা করেন তিনি। পরে মরহুমের কবর জিয়ারত করেন ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক ফোরামের নেতারা।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে ঢাকার নিজ বাসভবনে ইন্তিকাল করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র এম এ কুদ্দুস। দৈনিক সংবাদে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন তিনি। তার অঙ্কিত কার্টুন বিভিন্ন সময় জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি দুর্নীতিগ্রস্তদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার :
গাঁজা কারবার চক্রের মূলহোতাসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩।
গ্রেফতাররা হলেন- মূলহোতা নাসির (৩২), আজিজুল (৩২), সাগর আলী (১৯)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৮ কেজি গাঁজা ও মাদক বহনকারী একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২১ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে ৪৮ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (২২ জুলাই) সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক।
তিনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরস্পর যোগসাজসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে ট্রাকে করে বহন করে। তারা নিজের কাছে রেখে অভিনব পদ্ধতিতে ট্রাকের কেবিনের ভেতরে বস্তায় রেখে নারায়ণগঞ্জসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে আসছিল। তাদের কৃতকর্মের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
|
|
|
|
মোহাম্মদ ইয়াসিন :
ঢাকার সাভারে বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করেছে।
বুধবার(১৯ জুলাই) সকালে ঢাকা আরিচা মহা সড়কের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রায় আয়োজন করা হয়।এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমরের উদ্যোগে শুরু হওয়া কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম রাজীব।
চলমান বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও দেশ বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে বক্তারা বলেন, সরকারের উন্নয়নে মাথা ব্যাথা বিএনপির নেতা কর্মীদের,তাই দেশকে অস্থিতিশীল পর্যায়ে পৌছে দিতে তারা বিশ্বদরবারে আওয়ামিলীগ সরকারের বদনাম প্রচার করছে।এ সময় দেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধীদের যে কোনো চক্রান্ত মোকাবিলায় মাঠে থাকবেন বলে জানান দেন আওয়ামিলীগ নেতারা। শোভাযাত্রাটি সাভারের হেমায়েতপুর বাস স্ট্যান্ড প্রদক্ষিণ করে বিজয় ভাস্কর্যের কাছে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
|
|
|
|
রোকুনুজ্জামান খান, গাজীপুর :
গাজীপুর মহানগরীর বাসন এলাকার বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মুনলাক্স কম্পোজিট গার্মেন্টস্ লিমিটেডের শ্রমিকরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের এসে মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে সন্ধ্যার মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে শ্রমিকরা মহাসড়কে ছেড়ে কারখানার ভেতর অবস্থান নেয়।
সোমবার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে তিনটায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টেকনগপাড়া এলাকায় শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করে।
আন্দোলনরত শ্রমিক, পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গাজীপুরে মহানগরীর বাসন থানা এলাকার মুনলাক্স কম্পোজিট গার্মেন্টস্ লিমিটেডের প্রায় ৫’শ শ্রমিক কাজ করে। শ্রমিকদের জুন মাসের ১৫দিনের বেতন বকেয়া রয়েছে। শ্রমিকরা সোমবার সকাল ৮টায় কারখানায় আসলেও কাজে যোগ না দিয়ে ওই বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে। গত জুন মাসের মাসের ১৫দিনের বেতন আজ সোমবার বেলা ১২টার আগেই পরিশোধের কথা থাকলেও মালিকপক্ষ বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়। পরে আন্দোলনরত শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও বাসন থানা পুলিশের ঘটনাস্থলে পৌঁছে মালিক পক্ষ ও শ্রমিক পক্ষের সাথে আলোচনা আজ (সোমবার) সন্ধ্যার মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিক ৪টা ১৫মিনিটের সময় মহাসড়ক অবরোধ তুলে নিলে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এবিষয়ে জানতে মুনলাক্স কম্পোজিট গার্মেন্টস্ লিমিটেডের মালিক মো. মহিউদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে শ্রমিকদের বেতন নিয়ে রওনা দিয়েছি। আমরা পথিমধ্যে আছি। সন্ধ্যার মধ্যেই বেতনাদি পরিশোধ করা হবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের বাসন থানার ওসি ছানোয়ার জাহান বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে মালিক পক্ষের সাথে সমন্বয় করে বেতন পরিশোধের বিষয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে মালিকপক্ষ বেতন পরিশোধ করবে, এমন খবরে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে কারখানায় চলে যায়। আন্দোলনে কিছু সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
|
|
|
|
রোকুনুজ্জামান খান, গাজীপুর :
গাজীপুরের জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ থানার ৫৯ জন পুলিশ সদস্যকে একসঙ্গে রদবদল করেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তারা সবাই উপ-পরিদর্শক (এসআই) এবং সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদমর্যাদার। এসব পুলিশ সদস্যকে জেলার বিভিন্ন থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও ক্যাম্পে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রুটিন বদলির অংশ হিসেবে এ রদবদল বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী শফিকুল আলম।
এসপি কাজী শফিকুল জানান, উল্লিখিত পাঁচ থানার ৩০ জন উপ-পরিদর্শক (এসআই) এবং ২২ জন সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) রদবদল করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের একজন এসআই এবং পুলিশ লাইন্সের তিনজনকে থানায় পদায়ন করা হয়েছে।
পুলিশ লাইন্সে থাকা সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মফিকুল ইসলামকে কালিয়াকৈরের মৌচাক ফাঁড়িতে এবং মাজহারুল ইসলাম ও খাইরুল ইসলামকে জয়দেবপুর থানায় পদায়ন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মলি রানী ভৌমিককে শ্রীপুর থানায় পদায়ন করা হয়েছে।
গাজীপুর পুলিশ লাইনে থাকা সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) মোজাম্মেল হককে কাপাসিয়া এবং সাইফুল ইসলামকে কালীগঞ্জ থানায় বদলি করা হয়েছে।
জয়দেবপুর থানায় কর্তব্যরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম ও ইবনে সাঊদকে কালিয়াকৈরে এবং শামিম আল মামুন ও ইলিয়াস হোসেনকে কালীগঞ্জ থানায় বদলি করা হয়েছে।
সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খালেকুজ্জামানকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সোহেল মোল্লাকে একই থানার অধীন ফুলবাড়ীয়া পুলিশ ক্যাম্পে এবং সাইফুল রহমান মুন্সীকে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রকিবুল ইসলাম ও ফেনসি বিশ্বাস জুয়েলকে কালীগঞ্জ, নাজীম উদ্দিন ও আফজাল হোসেনকে শ্রীপুর, শওকত আলী ও হাফিজুর রহমানকে জয়দেবপুর, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও ফরিদ মিয়াকে কাপাসিয়া থানায় বদলি করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিয়া রহমান যুথি, আব্দুল রাজ্জাক রাজু, মামুনুর রশিদ ও সাজিদ আহমেদকে কালিয়াকৈরে, অহিদুজ্জামানকে কালীগঞ্জ, শাহাদাত হোসেনকে জয়দেবপুরে, রিপন আলী খানকে কালিয়াকৈর, উজ্জ্বল কুমার মল্লিককে কাপাসিয়া থানায় এবং নয়ন ভূইয়াকে একই থানার অধীন মাওনা পুলিশ ক্যাম্পে বদলি করা হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর রায়হান খানকে কালিয়াকৈর এবং নাহিদ হাসান খানকে শ্রীপুর থানায় বদলি করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেনকে জয়দেবপুরে, সাইফুল ইসলাম খানকে (১) কালিয়াকৈর, রফিকুল ইসলাম লিটন এবং আমিনুল ইসলামকে শ্রীপুর থানায় বদলি করা হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইউনুস মিয়াকে কালিয়াকৈরে, মাহফুজুর রহমানকে কাপাসিয়া থানাধীন টোক নয়ন বাজার তদন্তকেন্দ্রে, হাবিবুর রহমানকে (১) কালীগঞ্জে, হাসান সাঞ্জারীকে কাপাসিয়া এবং হাবিবুর রহমানকে (২) শ্রীপুর থানায় বদলি করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুর রহমানকে জয়দেবপুর, আরিফ হোসেনকে কালীগঞ্জে এবং সেকান্দর আলীকে কাপাসিয়া থানায় বদলি করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মালেক ও শামীম হোসেনকে জয়দেবপুর, সুলতান উদ্দিন ও ইব্রাহিম খলিলকে কালীগঞ্জ, শান্তিপদ চৌধুরীকে কাপাসিয়া এবং যমুনা আক্তারকে কালিয়াকৈর থানায় বদলি করা হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হেদায়েত উল্লাহকে কালিয়াকৈরে, গিয়াস উদ্দিনকে শ্রীপুরে এবং মফিজুল ইসলামকে জয়দেবপুর থানায় বদলি করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম আজাদ ও কাইয়ুম মিয়াকে কালিয়াকৈর, আব্দুল আউয়াল ও আজাদ পারভেজকে জয়দেবপুর এবং খলিলুর রহমানকে শ্রীপুর থানায় বদলি করা হয়েছে।
|
|
|
|
মোহাম্মদ ইয়াসিন :
সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) থেকে গবেষণার জন্য রাখা ৩৮ টি মোরগ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
পবিত্র ঈদুল আজহার আগের রাতে মোরগগুলো চুরি হলেও বিষয়টি গোপন রেখেছিল প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ঈদুল আজহার আগের রাতে গবেষনা ইনস্টিটিউটের একটি ‘পিওর লাইন’ মেল শেড থেকে মোরগগুলো চুরি হয়। এই শেডে মোট ৩০০টি মোরগ ছিল। কিন্তু শেড থেকে আরআরআই ও হোয়াইট লেগ হর্ন জাতের ৩৮টি মোরগ চুরি হয়।
এ বিষয়ে পোল্ট্রি উৎপাদন ও গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কামরুন নাহার মনিরা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, গবেষণার বিষয়টি আমার হলেও এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিষয়, এ ব্যাপারে আমার কথা বলা সমুচিত হবে না।
ঘটনার বিষয় সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান আহসান হাবিবকে মুঠফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে,আপাতত কিছু বলা যাবেনা। এটি নিয়ে তদন্ত হবে তার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
তবে কিভাবে নিরাপত্তা বেষ্টনি থাকা সত্বেও এমন ঘটনা ঘটেছে তার ব্যাক্ষা কেও দিতে পারেনি।
|
|
|
|
রোকুনুজ্জামান খান, গাজীপুর :
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুনের নির্বাচন বাতিল চেয়ে মামলা করেছেন নির্বাচনে পরাজিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) গাজীপুর সিনিয়র সহকারী জজ ১ নম্বর আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন তিনি। বিচারক আগামী ২ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
মামলার বাদী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে গণফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাছ প্রতীকে অংশ নিয়ে পরাজিত হন এবং তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
মামলায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০২৩-এ জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা, বাতিল এবং ২৫ মে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিলের আবেদন করা হয়েছে।
মামলায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুনকে ১ নম্বর বিবাদী এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলামকে মোকাবিলা বিবাদী করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, ১ নম্বর বিবাদী জায়েদা খাতুন তার নির্বাচনী হলফনামায় ‘পিতার নাম’ উল্লেখ করেছেন ‘শামসুল ইসলাম’। কিন্তু তার ২০২২-২০২৩ কর বর্ষের আয়কর রিটার্নে ‘পিতার নাম’ উল্লেখ করেছেন ‘মরহুম মো. শামসুল হুদা’। এতে ১ নম্বর বিবাদী জায়েদা খাতুন তার নির্বাচনী হলফনামায় অসত্য তথ্য প্রদান করেছেন।
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০’ এর ধারা ১৪ এর উপ ধারা (৩) অনুযায়ী ১ নম্বর বিবাদী জায়েদা খাতুনের মনোনয়ন বাতিল করার দায়িত্ব ও সুযোগ থাকলেও ৫ নম্বর মোকাবিলা বিবাদী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০২৩ এর রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম প্রতারণামূলকভাবে জায়েদা খাতুনের মনোনয়ন বাতিল করেননি।
১ নম্বর বিবাদী জায়েদা খাতুন তার নির্বাচনী হলফনামায় ১ নম্বর শর্ত পূরণ করেননি। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ (সংশোধনী)-তে হলফনামায় (প্রার্থীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করতে হবে) বলা থাকলেও জায়েদা খাতুন তার নির্বাচনী হলফনামার সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত না করে প্রতারণামূলকভাবে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনী হলফনামার এই শর্ত পূরণ করতে না পারায় জায়েদা খাতুনের মনোনয়ন অবৈধ ছিল।
জায়েদা খাতুন তার নির্বাচনী হলফনামায় ৪ নম্বর অংশও পূরণ করেননি। নির্বাচনী হলফনামার ৪ নম্বর অংশে ব্যবসা/পেশার বিবরণীতে জায়েদা খাতুন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও ব্যবসার ধরন/বিবরণী উল্লেখ না করে হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন।
১ নম্বর বিবাদী জায়েদা খাতুন ২০২২-২০২৩ করবর্ষে (মহিলাদের আয়সীমা) ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আয় দেখিয়ে শূন্য আয়কর দিয়েছেন। শূন্য আয়কর দেখানোর কারণে জায়েদা খাতুন আয়কর রিটার্নের রসিদের কপি পাননি। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ (সংশোধনী)–তে ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদের কপি এবং সম্পদ বিবরণী সংবলিত সর্বশেষ দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নের রসিদের কপি দাখিল করতে হবে বলা থাকলেও ১ নম্বর বিবাদী জায়েদা খাতুন তার নির্বাচনী হলফনামার সঙ্গে আয়কর রিটার্নের রসিদের কপি সংযুক্ত করেননি। নির্বাচনী হলফনামার এই শর্তও পূরণ করতে না পারায় জায়েদা খাতুনের মনোনয়ন অবৈধ ছিল।
জায়েদা খাতুন তার ২০২২-২০২৩ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী হলফনামার সঙ্গে দাখিল করা ২০২২-২০২৩ কর বর্ষের আয়কর রিটার্নে দেখা যায়, তিনি ব্যবসার পুঁজি (মূলধনের জের) হিসেবে দেখিয়েছেন ৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এই টাকা জায়েদা খাতুন কোথায় রেখেছেন বা কোথায় বিনিয়োগ করেছেন বা এই টাকায় কোথায় কী ব্যবসা চলে তা জায়েদা খাতুন তার নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেননি।
এছাড়া, অনারেবল টেক্সটাইল কম্পোজিট লিমিটেডে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ২৫০০টি শেয়ারের বিপরীতে কত টাকা মুনাফা পেয়েছেন তাও জায়েদা খাতুন তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করেননি।
মামলার আবেদনে আরও বলা হয়েছে, জায়েদা খাতুন তার নির্বাচনী হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন নগদ ৩৫ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ৫০ হাজার টাকা, অনারেবল টেক্সটাইল কম্পোজিট লিমিটেডের ২৫০০টি শেয়ার মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩০ তোলা স্বর্ণ দেখিয়েছেন যার বর্তমান বাজার মূল্য (৭ মে, ২০২৩ তারিখের বাজার দর ৯৮,৪৪৪ /- টাকা ভরি হিসেবে) ২৯ লাখ ৫৩ হাজার ৩২০ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী দেখিয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র দেখিয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ হিসেবে হলফনামায় জায়েদা খাতুন মোট সম্পদ দেখিয়েছেন ৭০ লাখ ২৩ হাজার ৩২০ টাকার। সুতরাং জায়েদা খাতুন ২০২২-২০২৩ কর বর্ষে আয়কর রিটার্নে নিট সম্পদ দেখিয়েছেন ৪ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার টাকার। ফলে হলফনামায় দেখানো সম্পদের মধ্যে ৪ কোটি ৯৬ হাজার ৬৮০ টাকার গড়মিল পাওয়া গেছে।
মামলার বাদী আতিকুল ইসলাম বলেন, এর আগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এবার দেখি ট্রাইব্যুনালে ন্যায় বিচার পাই কিনা।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী নুর নবী সরদার বলেন, গত মঙ্গলবার আতিকুল ইসলাম একটি মামলা করেছেন। নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের গঠিত নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক :
গ্যাস পাইপ লাইনে জরুরি প্রতিস্থাপন কাজের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা টঙ্গী বিসিক ও তদসংলগ্ন এলাকায এবং চেরাগ আলী চৌরাস্তা হতে ভাদাম গামী সড়কের উভয় পাশে সকল গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এছাড়া, উক্ত সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। সম্মানিত গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে।
|
|
|
|
|
|
|