রংপুর সড়ক জোনের আয়োজনে অংশীজনের সভা অনুষ্ঠিত
রবিউল ইসলাম লাভলু, রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুর সড়ক জোনের আওতাধীন আঞ্চলিক পর্যায়ের কার্যালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে ‘অংশীজনের (ঝঃধশবযড়ষফবৎং) অংশগ্রহণ সভা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় রংপুর সড়ক ভবন অডিটোরিয়ামে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের অংশ হিসেবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে বিভিন্ন অংশীজনের উপস্থিতিতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের রংপুর জোনের আওতাধীন মোট ১০টি সড়ক বিভাগের অংশগ্রহনে অংশীজনের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সুরুজ মিয়ার সভাপতিত্বে ও রংপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাজেদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রহিম, দিনাজপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুল আলম ও বগুড়া সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুপ্তা চাকমা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম, লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মোমেন, দিনাজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুনসুরুল আজিজ, পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ, ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাফিউল ইসলাম, নীলফামারীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান, গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী পিয়াস কুমার সেন ও জয়পুরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামানসহ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীবৃন্দ, সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ, উপ-সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ, অফিসের অন্যান্য স্টাফ, ঠিকাদার, সাংবাদিকসহ জনসাধারণ।
উল্লেখ্য উক্ত অংশীজনের সভায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে উপস্থিত ঠিকাদার, সাংবাদিকসহ অন্যান্য জনসাধারণের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়।
|
রবিউল ইসলাম লাভলু, রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুর সড়ক জোনের আওতাধীন আঞ্চলিক পর্যায়ের কার্যালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে ‘অংশীজনের (ঝঃধশবযড়ষফবৎং) অংশগ্রহণ সভা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় রংপুর সড়ক ভবন অডিটোরিয়ামে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের অংশ হিসেবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে বিভিন্ন অংশীজনের উপস্থিতিতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের রংপুর জোনের আওতাধীন মোট ১০টি সড়ক বিভাগের অংশগ্রহনে অংশীজনের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সুরুজ মিয়ার সভাপতিত্বে ও রংপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাজেদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রহিম, দিনাজপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুল আলম ও বগুড়া সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুপ্তা চাকমা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম, লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মোমেন, দিনাজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুনসুরুল আজিজ, পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ, ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাফিউল ইসলাম, নীলফামারীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান, গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী পিয়াস কুমার সেন ও জয়পুরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামানসহ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীবৃন্দ, সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ, উপ-সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ, অফিসের অন্যান্য স্টাফ, ঠিকাদার, সাংবাদিকসহ জনসাধারণ।
উল্লেখ্য উক্ত অংশীজনের সভায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে উপস্থিত ঠিকাদার, সাংবাদিকসহ অন্যান্য জনসাধারণের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়।
|
|
|
|
জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর:
ফরিদপুরের ওলামায়ে কেরাম, তাবলীগের সাথী ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার উদ্যোগে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের খুনি আখ্যা দিয়ে তাদের হামলাা এবং হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। এসময় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার(২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়।
খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা মাওলানা হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা শাহ আকরাম আলী, ইসলামী আন্দোলন ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল, খেলাফত মসজিদ ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আমজাদ হোসাইন, সহ-সভাপতি মাওলানা সৈয়দ শামসুল হক, মুফতি মাহমুদ হাসান ফায়েক, সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবু নাসির, ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশন ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল, মাওলানা আবুল হোসাইন, মুফতি মনসুর আহমাদ, মুফতি মনসুর আহমদ, মুফতি কামরুজ্জামান, মুফতি আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা আবুল হোসাইন, ফরিদপুর ডায়াবেটিস কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ জহিরুল ইসলাম মিয়া, মুফতি কামরুজ্জামান শামসুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সহ উপজেলা হতে আগত মাওলানা মেজবাহ, মাওলানা লিয়াকত আলী, মুফতি মনিরুল ইসলাম, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা মাসুদ, মাওলানা রওশন সাহেব, মাওলানা সালাহ উদ্দিন, মাওলানা সাদিকুর রহমান সহ অন্যান্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, ইসলামের সব থেকে বড় শত্রু ইহুদি, আর এই ইহুদীদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য সাদপন্থীরা রাতের অন্ধকারে নিরীহ মুসলমানদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। আমরা সাদপন্থী এই খুনিদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করি। এছাড়া ফরিদপুর জেলা সাদপন্থী নেতা মাওলানা আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন এবং ফরিদপুর জেলায় সাদপন্থীদের কোন কার্যক্রম করতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিক মিছিল সমাবেশ স্থলে এসে হাজির হয়। এ সময় তারা অবিলম্বে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিভিন্ন রকম স্লোগান প্রদান করেন। মিছিলটি জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ৮শ’ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে লোকনাথ দিঘী (টেংকেরপাড়) মাঠে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উদ্যোগে রোগীদের চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করেন। একই সঙ্গে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেশার চেকআপসহ রোগীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়। ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি ডা এম এ হানিফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. নোমান মিয়া।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. শাখাওয়াত হোসেন, এনডিএফ এর উপদেষ্টা গোলাম ফারুক, মোবারক হোসাইন আখন্দ ও ডা. মো শফিকুল ইসলাম, এনডিএফ এর সহ সভাপতি ডা. ফরিদ উদ্দিন।
আয়োজকরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে সার্জারি, অর্থোপেডিকস, নিউরো, মেডিসিন, গাইনি, ইএনটি, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি ও শিশু বিভাগের বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসকরা ৮ শতাধিক রোগিকে চিকিৎসাপত্র প্রদান করেন।
ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে ৮ বিভাগে চিকিৎসা দেন, মেডিসিন ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আলমগীর হোসেন, বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রায়হান উদ্দিন ভুইয়া, গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ডালিয়া, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহিন, রেডিওলজি ও ইমেজিং বিশেষজ্ঞ ডা. ইসহাক, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. তৈয়বুর রহমান, অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল কাদির নোমানসহ অন্যান্য ডাক্তার ও মেডিক্যাল স্টুডেন্ট।
|
|
|
|
জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর :
পিরোজপুরে ২৫টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার ও বিকাশ প্রতারণার টাকা প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করেছে জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে পিরোজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনগুলো প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার খান মুহাম্মাদ আবু নাসের
এসময় পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন এবং সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পিরোজপুর বিভিন্ন স্থানে হারিয়ে যাওয়া ২৫টি মোবাইল ফোন জিডি মূলে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল কর্তৃক উদ্ধার করে।মোবাইল ফোন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভিকটিমগণ তাদের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
পুলিশ সুপার খান মুহাম্মাদ আবু নাসের বলেন, “আমাদের সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল এখন অনেক দক্ষ। প্রযুক্তির ব্যবহার করে হারানো মোবাইল ফেরত পাওয়াসহ অপরাধী শনাক্তে দারুন ভূমিকা রাখছে। হারানো মোবাইলগুলো প্রকৃত মালিকদের ফেরত দিতে পেরে আমাদেরও খুব ভালো লাগছে। পিরোজপুর জেলা পুলিশের এরকম উদ্ধারজনিত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানা তিনি।
|
|
|
|
জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর: ফরিদপুরে চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ম্যাটসের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ও কর্ম বিরতি অব্যাহত রয়েছে।
এর অংশ হিসেবে আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টা থেকে রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী মোঃ সজিব শেখ, মোহাম্মদ ইয়াসিন, হযরত আলী, মোঃ শিহাব, নিশাত উর্মিসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। চার দফা দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্লোগান প্রদান করেন। দাবি পুরন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানান তারা।
উল্লেখ্য, প্রায় মাস যাবত চার দফা দাবি আদায় লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে ম্যাটসের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
|
|
|
|
জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর:
পিরোজপুরে নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল রাখতে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বাজার মনিটরিংয়ে অভিযান চালিয়েছে। এসময় ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য জব্দ করা হয়েছে এবং দোকানিদের জরিমানা করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত থেকে উক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সেলিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মো: মুকিত হাসান খান, পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সোবাহান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার পিরোজপুরের সহকারী পরিচালক দেবাশিস রায় ও ছাত্র প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম প্রমুখ।
টাস্কফোর্স টিম মাছ-মাংস, মুরগি-ডিম, তরি-তরকারি, মুদি দোকান এবং ফুচকা দোকান পরিদর্শন করে। এই অভিযানে একটি ফুচকা দোকানে ভেজাল টক এবং একটি মুদি দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য পাওয়া যায়। ফলে, সংশ্লিষ্ট দোকানিদের জরিমানা করা হয়।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মো: মুকিত হাসান খান বলেন ভোক্তা অধিকার রক্ষায় প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান জনসাধারণের স্বার্থে করা হচ্ছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রেখে ভোক্তাদের নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পণ্য পাওয়ার সুব্যবস্থার জন্য প্রশাসন সব সময় সচেষ্ট থাকবে।
|
|
|
|
জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর:
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত কোনাবাড়ী এলাকায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে কোনাবাড়ী থানা পুলিশ। সুমাইয়া আক্তার মীম (১৩) নামে ওই শিক্ষার্থীর গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলায়।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে কোনাবাড়ী থানার নীলনগর এলাকার হযরত উম্মে হাবিবাহ্ (র.) মহিলা মাদ্রাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোনাবাড়ী এলাকায় হযরত উম্মে হাবিবাহ্ (র.) মহিলা মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির আবাসিকের ছাত্রী ছিল সুমাইয়া আক্তার মীম। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পড়া শেষ করে সবাই ঘুমাতে যায়। রোববার (২৭ অক্টোবর) ভোর ৫ টার সময় তার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে ওই মাদ্রাসার ম্যাডামরা। সেসময় ওড়না কেটে লাশ নিচে নামিয়ে রাখে তারা। পরে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা এসে পুলিশকে খবর দেয়।
নিহত মীমের বাবা মনু মিয়া জানান, ভোরে মাদ্রাসা থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয় আমার মেয়ে অসুস্থ্য। কিন্তু মাদ্রাসায় এসে দেখি আমার মেয়ের লাশ। তিনি বলেন, আমি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।
উম্মে হাবিবাহ্ (র.) মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ক্বারী মো. শামীম সরকার জানান, সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কেন সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বিষয়টি জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যেও আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এটা কি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিতভাবে হত্যা। এর সঙ্গে জড়িত যেই থাকুক তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন এলাকাবাসী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) তাইম উদ্দিন বলেন, আমরা বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে ওই মাদ্রাসা থেকে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীর লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি অরও বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
|
|
|
|
জেলা প্রতিনিধি, পাবনা:
ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলে পালিয়ে গেছেন। শিক্ষকদের বেতন কাঠামো থেকে শুরু করে সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিলেন। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা শিক্ষা দিয়ে দক্ষ দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান মাদানী।
শনিবার( ১২ অক্টোবর) দুপুর পাবনার বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্রে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
শিক্ষাকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড হলে শিক্ষক এর কর্ণধার হবে। শিক্ষার্থীদের আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আগে শিক্ষককে আদর্শবান হতে হবে। নিজেদের অধ্যাবসায়ের মধ্যে রেখে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করাতে হবে। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, তাই শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে মেরুদণ্ড সম্পুর্ণ একটি জাতি গঠন করা যায়। নৈতিকতা শিক্ষাকে আগে প্রাধান্য দিতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের কথা স্বরণ করে তিনি বলেন, আমাদের কলিজার টুকরা ছেলে মেয়েরা ও সাধারণ জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এই নতুন বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। তাদের আত্মদানকে সমুন্নত রাখতে হলে অব্যশ্যই শিক্ষকদের শিক্ষার কারিগর হতে হবে। ক্লাসে ক্লাসে শহীদদের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
রাসুলের আদর্শের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাসুলের আদর্শ পুরোপুরি মানতে হলে অশান্ত সমাজকে শান্ত করে গড়ে তুলতে হবে। পতিত সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে পালিয়ে গেছে। তিনি একটি জাতিকে ধ্বংস করে গেছে। বিসমিল্লাহ শব্দটি বলতে পারে না অথচ তাদের দেওয়া হয়েছে মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে। আসলে তারাতো মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলেছে। এখন তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কোথাও ঠাঁই হচ্ছে না।
আমরা এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা চাই যেখানে কোরআনের আলো থাকতে হবে। এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা চাই সেখানে রাসুলের আদর্শ পুরোপুরি থাকতে হবে। যেই পড়াশোনা করে এসপি- ডিসি হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে। কোরআন দিয়ে তারা জেলার সকল কাজ পরিচালনা করবে। এমন ব্যক্তিরা ক্ষমতায় আসবে যারা মসজিদের ইমাম হবে আবার ক্ষমতার মসনদে বসে দেশের কল্যাণে কাজ করবে।
যাদেরকে পাঠ্যপুস্তক কারিকুলামে বসানে হয়েছে তারা সেকুলারিজমে বিশ্বাসী। তাদেরকে সেখান থেকে সড়াতে হবে।
মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষক পরিষদে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর অবদানের কথা স্বরণ করে তিনি বলেন, কোরআনের পাখি সাঈদী সাহেব আজীবন মাদরাসা শিক্ষার জন্য আন্দোলন করে গেছেন। তিনি আজকে বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন। তাকেও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সাঁথিয়ার ধুলাউড়ি কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও পাবনা ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল লতিফের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ড. মাওলানা আবু ইউসুফ খান, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক আহমাদ, পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, পাবনা ইসলামীয় ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মো. ইকবাল হোসাইন, পাবনা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খান, পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালী প্রমুখ। সম্মেলনে পাবনা জেলা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়। এতে ধুলাউরি কাউছারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসাইনকে সভাপতি ও পাবনা ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল লতিফকে সেক্রেটারি ঘোষণা করা হয়।
মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের ১০ দফা দাবি সমূহ- শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ করে সরকারি বেসরকারি বৈষম্যসমূহ দূর করা, জাতীয়করণ না করা পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ উৎসব ভাতা, ৫০ শতাংশ বাড়ি ভাড়াসহ সকল সুবিধা দেওয়া, ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন সমন্বয় কমিটি গঠন করা,পতিত স্বৈরাচারী সরকারের গঠিত দুর্নীতিগ্রস্ত অবসর সুবিধাবোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের কমিটি বাতিল করা, এমপিও বিহীন ইবতেদায়ী ও দাখিল, আলিম, ফাজিল, কামিল মাদ্রাসাকে অবিলম্বে এমপিও প্রদান করা এবং স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী শিক্ষকদের সংযুক্ত ইবতেদায়ী শিক্ষকদের সমান বেতন দেওয়া , অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ, সুপার-সহঃসুপারদের দুইটি উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদ সৃষ্টি করা, মাদ্রাসার শিক্ষকদের শূন্যপদসমূহ দ্রুত নিয়োগদানের ব্যবস্থা করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ন্যায় সকল পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স সীমা ৬৫ বছর করতে হবে, শিক্ষক/কর্মচারীদের অবসরের ৩ মাসের মধ্যে অবসর ভাতা এবং কল্যাণ ভাতা প্রদান করা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় ইবতেদায়ী শিক্ষার্থীদেরও উপবৃত্তি প্রদানসহ সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া, বিগত ২০০৯ সাল থেকে বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারী যাদেরকে দীর্ঘদিন যাবত অন্যায় ও অবৈধভাবে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত। বরখাস্ত করা হয়েছিল তাদেরকে পুনরায় বহাল করা।
|
|
|
|
হালিমা খানম, স্টাফ রিপোর্টার:
ফেসবুকভিত্তিক মানবিক ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেল্পলাইন’ এর চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১৬ সামাজিক সংগঠনকে সম্মাননা ও স্বেচ্ছাসেবীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরের কাউতলী এলাকায় স্বপ্নতরী হলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি বাইজিদ আহমেদ ফারদিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ, বিশেষ অতিথি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেল্পলাইনের উপদেষ্টা রবিউল খাঁন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এই সময়ে আমরা সবাই খুব ভালোভাবে অনুধাবন করতে পেরেছি মানুষকে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করতে ভার্চ্যুয়াল প্লাটফর্ম গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যে যেখানে আছি, আমাদের কাজ সততা ও দক্ষতার সঙ্গে করব। দেশের প্রতি আমাদের মায়ামমতা ভীষণভাবে হ্রাস পেয়েছিলে। এই জায়গায় নিষ্ঠুর-নির্দয় হয়ে গিয়েছিলাম আমরা। দেশের মানুষের প্রতি নূন্যতম দায়িত্ববোধ বা দেশপ্রেম থাকলে আমরা এত টাকা–পয়সা দেশের বাইরে নিয়ে যেতে পারতাম না।’
বিশেষ অতিথিরা ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা তাহমিনা উদ্দিন, প্রমিলা দাস, ফারিয়া তাসনিন বর্ষা, জুবায়ের আহমেদ শাওন, সজল খাঁন, তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, মোজাহিদ আরাবি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ১৬টি সামাজিক সংগঠনকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। সম্মাননা স্মারকপ্রাপ্ত সংগঠনগুলো হলো– ‘বেওয়ারিশ লাশের ঠিকানা’, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’, ‘ক্লিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া’, ‘লক্ষ্য আমাদের মানবসেবা’, ‘আলোকিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া’, ‘সেবা-ঐক্য ফোরাম বাংলাদেশ’, ‘রক্ত দানের অপেক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া’, ‘কসবা ব্লাড ফাউন্ডেশন’, ‘উদ্দীপন ব্লাড ব্যাংক’, ‘আস সিয়াজ ফাউন্ডেশন’, ‘প্রিয় পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া’, ‘আমরাই আগামীর চোখ’, ‘রক্তের খোঁজে ব্রাহ্মণবাড়িয়া’, ‘রেডি ডোনার প্লাটফর্ম বাংলাদেশ’, ‘কওমী ব্লাড ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া’, ‘বাঁধন (স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ইউনিট’, ‘উপশম ব্লাড ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া’। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।
‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেল্পলাইন’ পথশিশু ও অসহায় রোগীদের আর্থিকভাবে সহায়তা করে আসছে। এছাড়া সংগঠনি ২৪ ঘণ্টা স্বেচ্ছায় রক্তদানসহ শীতবস্ত্র ও বছরে দুই ঈদে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে থাকা ছাড়াও মাদকবিরোধী কার্যক্রমে জনসচেতনতা তৈরি করার কাজ করছে সংগঠনটি।
এ প্রসঙ্গে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেল্পলাইন’–এর প্রতিষ্ঠাতা গোলাম কিবরিয়া খাঁন বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য মানবিক কাজ করা। চার বছর যাবত সেটাই করে যাচ্ছি। আমাদের সংগঠন থেকে প্রতি বছর রমজানে অসহায় পরিবারের মধ্যে ইফতার বিতরণ করা হয়, শীতকালে কম্বল বিতরণ করা হয়, ঈদুল আজহার কোরবানি উপলক্ষে অসহায় পরিবারকে বাজার–সদাই করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি আমরা আরও বিভিন্ন মানবিক কাজ করে থাকি।
|
|
|
|
গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় কোনাবাড়ী কলেজের সামনে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম রকিবুল ইসলাম(৩৫)। রকিবুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার শাজাহান আলীর ছেলে।
নিহতরে ভাই জানান, শনিবার সকাল ৭টার দিকে কোনাবাড়ি কলেজের সামনে তাকওয়া পরিবহন গাড়ি তার ভাইকে চাপা দিলে সে প্রাণ হারায়।
পুলিশ ও স্থানীরা জানান, মোটরসাইকেল আরোহী রকিবুল সকালে গাজীপুরের চন্দ্রামুখি যাচ্ছিলেন। কোনাবাড়ী কলেজের সামনে পৌঁছালে একটি বাস মোটরসাইকেলে চাপা দেয়। আর এতে ঘটনাস্থলেই রকিবুল প্রাণ হারান।
কোনাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কাশেম বলেন, ঘটনার পর বাসটি পালিয়ে গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
|
|
|
|
হাসি আক্তার:
গাজীপুর মহানগরীর ভেতরে ব্যঙের ছাতার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ওষুধের দোকান। অনেক সময় এসব ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবনে মানুষের প্রাণ হানির আশঙ্কা রয়েছে।
জানা যায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশেনের কোনাবাড়ী থানার ভেতরে রয়েছে ৯শ’ থেকে ৯৫০টি ওষুধের দোকান। এরমধ্যে মাত্র ৩শ’ থেকে ৩২০ফি ওষুধের দোকানের বৈধতার কাগজপত্র আছে। বাকিগুলোর কোনো বৈধতা নেই। অথচ দিব্যি মানুষের জীবন রক্ষাকারী নানারকম ওষুধ বিক্রি করে যাচ্ছে এসব ফার্মেসির মালিকরা। এসব ওষুধ বিক্রেতারা নিজেরাই নানা রোগের ওষুধ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রিও করে থাকেন। এ বিষয়ে গাজীপুর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ বাদল শিকদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লাইসেন্স বিহীন ওষুধের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেলে আইনানুগ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
|
|
|
|
রবিউল ইসলাম লাভলু, রংপুর প্রতিনিধি:
আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশের কাজ লজ্জার ছিল বলে মন্তব্য করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নবাগত পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, আবু সাঈদকে কারা গুলি করলো, কীভাবে মৃত্যু হলো, এটি প্রমাণ করার জন্য খুব বেশি সাক্ষীর প্রয়োজন হবে না। এরপরও আবু সাঈদের হত্যা পরবর্তী পুলিশ যে কাজ করলো, একটা অপ্রাপ্ত ছেলেকে গ্রেফতার করে হত্যাকারী সাজানো হলো, এটিও বিশ্ববাসী দেখলো। এটি অত্যন্ত লজ্জার।
এরকম কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, কোনো লোকদেখানো তদন্ত নয়, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত হত্যাকারীকে বের করা হবে।
নবাগত পুলিশ কমিশনার বলেন, আবু সাঈদ যেভাবে শহীদ হয়েছেন, সেটি দেখে বিশ্বের মানুষ শিহরিত হয়েছে। দেশের মধ্যে বীর আবু সাঈদ ঘরে ঘরে জন্ম নিয়েছে। আবু সাঈদের দৃষ্টান্ত পরবর্তীতে বাংলাদেশের ইতিহাসে বীর হিসেবে চিহ্নিত হবে এটি আমার বিশ্বাস। আমি যোগদানের পরই আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি এবং পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছি।
পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের নবাগত কমিশনার মজিদ আলী বলেন, স্বাধীনতার উষালগ্ন থেকে পুলিশের ভালো ভূমিকা রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী পুলিশ বাহিনী দীর্ঘদিনের মধ্যে সব ভালো কাজ করেছে, সেটা যেমন নয়, তেমনি সব খারাপ কাজও করেনি। রাষ্ট্রগঠনসহ দেশের মানুষের কল্যাণমূলক কাজ করেছে এই পুলিশ। করোনা মহামারিসহ নানাবিধ কাজ করে প্রসংশিত হয়েছে। তবে কিছু স্বার্থান্বেষী ও অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্যের জন্য পুলিশ বাহিনীর আজকের পরিণতি। কিন্তু এটা মাথায় নিয়ে সরে থাকলে কিংবা সমাজ থেকে আলাদা থাকলে এই বাহিনীর অস্তিত্ব থাকবে না। সুতরাং আমাদের পেছনে থাকার সময় নাই, চুপ করে থাকার সময় নাই, আমাদের ফিরে আসতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুক পুলিশিং, ধানকাটা পুলিশিং, মানবিক পুলিশিং, লোক দেখানো পুলিশিং, শো অফ করা পুলিশিং আমি করবো না, কথা দিচ্ছি। পুলিশের যা কাজ, তা করতে চাই। ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে আমাকে তুলে ধরার কিছু নেই। আমি এই শহরকে চিনি, এই অঞ্চলে আমার বাড়ি। এখানেই বেড়ে উঠেছি। পুলিশের যে প্রকৃত কাজ তা করতে চাই। এরমধ্য দিয়ে মানুষ যাতে স্বস্তিতে ঘুমাতে পারে, রাস্তায় চলাচল করতে পারে, যুবতী মহিলা শপিং করতে পারে, রাস্তায় সন্ধ্যায় হাঁটতে পারে নির্বিঘ্নে এসব নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিএসবি প্রধান আবু বক্কর সিদ্দিক, ডিবি প্রধান ইবনে মিনানসহ রংপুরে কর্মরত সাংবাদিক ও অন্যান্য অফিসারবৃন্দ।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার:
গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নূর আলম (২২) নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেলহক, সাবেক স্বরাস্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক এমপি সিমিন হোসেন রিমি, মেহের আফরোজ চুমকি, রুমানা আলী টুসি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমত উল্ল্যাহ খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা মতিউর রহমান মতিসহ ১৩৯জনের নামে এবং তাদের সহযোগী আওয়ামী লীগের অজ্ঞাতনামা আরোও ১০০/১৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানায় মামলাটি রুজু হয়।
মামলার বাদী হয়েছেন নিহত নূর আলমের পিতা মোঃ আমির আলী (৪৪)। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের মোল্লাপাড়া মধ্য কুমরপুর এলাকায়। তিনি গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ১৮নং ওয়ার্ডের তেলিপাড়া এলাকার ডাক্তার নাহিদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৬ জনের নির্দেশ অনুযায়ী বন্দুক, পিস্তল, লাঠি, লোহার রড, রামদা, ছেন, চাপাতি, কোবা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে গত ২০ জুলাই সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কের তেলিপাড়াস্থ হানিমুন রেস্টুরেন্টের সামনে রাস্তায় অবস্থানরত আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার উপর হামলা করে। হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরীভাবে কিল ঘুষি মেরে, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করেছেন ও ধারালো দা দ্বারা কুপিয়ে খোরশেদ আলম রশিদ (১৯) সহ প্রায় ২৫/৩০ জন আন্দোলনকারীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা ও কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে তাদের হুকুমে ও প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় অবৈধ অস্ত্রধারী এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত আসামিরা ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারীভাবে গুলি ছুড়িতে শুরু করে। ঐ সময় তাদের ছোড়া গুলিতে বেলা সোয়া ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নূর আলম (২২) এর ডান চোখের উপর অংশ দিয়ে ভিতরে গুলি ঢকে মাথার পিছন দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে নূর আলম নিহত হয়।
ঘটনার পর ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে শোকাহত হয়ে এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কোন আইনী সহায়তা না নিয়ে তাৎক্ষনিক ছেলের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে চলে যান এবং লাশ দাফনের সম্পন্ন করেন। ছেলের মৃত্যুতে পরিবারের লোকজন মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় এবং বিবাদীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে দেশের বিদ্যমান অরাজকতা পরিস্থিতির কারণে পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে এজাহার দিতে বিলম্ব হয়।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম এ সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
|
|
|
|
রোকুনুজ্জামান খান (স্টাফ রিপোর্টার) গাজীপুর:
গাজীপুরের বিভিন্ন থানা থেকে গত ৫ আগস্টের পর লুট হওয়া বিভিন্ন মডেলের ৩টি পিস্তল, ৫টি শর্টগানসহ বিভিন্ন গুলি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এসব অস্ত্র হস্তান্তর করা হয়।
জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের মাধ্যমে পুলিশের কাছে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ হস্তান্তর করেন ১৪ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টের সিইও লে. কর্নেল লুৎফর রহমান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ঈলতুৎমিশ, জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমসহ পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট বিভিন্ন থানা এলাকায় খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামে ১৪ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টের সেনা সদস্যরা। এসময় বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়া অনেকে স্বেচ্ছায় অস্ত্র সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করেন। ধারাবাহিক অভিযানে সেনা সদস্যরা তিনটি পিস্তল, ৫টি শর্টগান, একটি ওয়ালথার, ৬টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ৪টি পিস্তল বক্স, একটি এসএমজি ম্যাগাজিন, ৮৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ২০ রাউন্ড বল অ্যামো, পুলিশের রায়ট সরঞ্জামসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।
জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, এখন খোয়া যাওয়া অস্ত্র সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হলে কাউকে কিছু বলা হবে না। তবে যৌথ অভিযান শুরু হলে যার কাছে অস্ত্র পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
|
|
|
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুরে ট্রেন স্টপেজের দাবীতে ট্রেন আটকিয়ে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আর রোববার সকালে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের (রাজবাড়ী-ভাঙ্গা- রাজবাড়ী) ফরিদপুর রেলস্টেশনে স্টপেজের দাবীতে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি আবরার নাদিম ইতু সভাপতিত্ব করেন।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সিটি পেইজের সদস্য আশিষ কুমার কুন্ডু, সেলিম মিয়া, আলী মকিম, ঘুরিফিরি ফরিদপুরের সদস্য ইকবাল হোসেন, সোহান আলী, আরিফ শেখ সহ ফরিদপুরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ফরিদপুর একটি প্রাচীন জেলা শহর এবং অসংখ্য যাত্রী ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত যাত্রা করে। স্বল্প খরচ এবং অল্প সময়ে তারা এই ট্রেনে যাতায়াত করতে পারে। কিন্তু স্টপেজ না থাকায় যাতায়াতের সুবিধা হচ্ছে, বঞ্চিত হবে এই অঞ্চলের বাসিন্দারা। আগামীকাল থেকে এই ট্রেন যাতে ফরিদপুরবাসী সুবিধা পেতে পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে মাদারীপুর জেলার শিবচর রেলওয়ে স্টেশনে রাজবাড়ী-ভাঙ্গা- রাজবাড়ী (চন্দনা কমিউটার) ও ভাঙ্গা-ঢাকা-ভাঙ্গা (ভাঙ্গা কমিউটার) ট্রেন দুটির উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
|
|
|
|
সাবরীন জেরীন:
স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রবিবার (২৮এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকাল ৯ টায় জেলা জজ কোর্ট প্রাঙ্গণ হতে পায়রা উড়িয়ে আদালতের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মিলনায়তনে আলোচনা সভা, শ্রেষ্ঠ প্যানেল আইনজীবীকে সম্মাননা প্রদান, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও সেচ্ছায় রক্তদান র্কমসূচী ও ৩দিন ব্যাপী লিগাল এইড মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদারীপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত), লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান লায়লাতুল ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে ও জেলা লিগাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ তানিয়া আক্তারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জাকির হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মামুনুর রশিদ। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট বাবুল আকতার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া হাওলাদারসহ অন্যান্যরা। এসময় শ্রেষ্ঠ প্যানেল আইনজীবীদেরকে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,যুগ্ন জেলা জজ মোঃ শরীফুল হক, যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ কোহিনুর আরজুমান, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ চৌধুরী, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ-উল হাসান, সহকারী জজ মোঃ আতিকুল ইসলাম ভুঁইয়া, সহকারী জজ পলিনা আকতার স্মৃতি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,দরিদ্রদের বিনামূল্য আইনী সহায়তা দেবার জন্য লিগ্যাল এইড চালু করেছে বর্তমান সরকার। প্রতিটি অস্বচ্ছল মানুষের আইন সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বর্তমান সরকার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। তবে আদালতে না গিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আপোস-মিমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি উত্তম পথ। এর ফলে সরকার ‘বিনা বিচারে কারাগারে আটক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বয়স্ক ভাতা ও ভিজিডি কর্মজীবী, নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু কোন ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শ্রমিক যার বার্ষিক আয় করমুক্ত তাদের বিনামূল্যে আইনী সহায়তা প্রদান করছে।
|
|
|
|
|
|
|