বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩ বাংলার জন্য ক্লিক করুন
  
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

   জাতীয় -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
নয়াদিল্লিতে যে কথা হয়েছিল হাসিনা-বাইডেনের মধ্যে

স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক জন কিরবি জানিয়েছেন, নয়াদিল্লিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কোন্নয়নের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জন কিরবি।

গত মাসে নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে বাইডেন, শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ সেলফি তোলেন। তখন তাদের মধ্যে কিছু কথাবার্তা হয়েছিল বলেও সে সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। প্রায় তিন সপ্তাহ পর হোয়াইট হাউসও এ বিষয়ে জানাল।

হোয়াইট হাউসে মঙ্গলবার রাতে ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক দিল্লিতে জো বাইডেন ও শেখ হাসিনার আলোচনার প্রসঙ্গ টানেন।  তিনি জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন কেমন দেখছেন?

জবাবে কিরবি বলেন, ‘তারা (বাইডেন ও শেখ হাসিন) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছেন। তারা জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেছেন।’

নয়াদিল্লির পর গত মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আয়োজিত নৈশভোজেও সাক্ষাৎ হয়েছিল শেখ হাসিনা-বাইডেনের।

নয়াদিল্লিতে যে কথা হয়েছিল হাসিনা-বাইডেনের মধ্যে
                                  

স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক জন কিরবি জানিয়েছেন, নয়াদিল্লিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কোন্নয়নের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জন কিরবি।

গত মাসে নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে বাইডেন, শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ সেলফি তোলেন। তখন তাদের মধ্যে কিছু কথাবার্তা হয়েছিল বলেও সে সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। প্রায় তিন সপ্তাহ পর হোয়াইট হাউসও এ বিষয়ে জানাল।

হোয়াইট হাউসে মঙ্গলবার রাতে ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক দিল্লিতে জো বাইডেন ও শেখ হাসিনার আলোচনার প্রসঙ্গ টানেন।  তিনি জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন কেমন দেখছেন?

জবাবে কিরবি বলেন, ‘তারা (বাইডেন ও শেখ হাসিন) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছেন। তারা জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেছেন।’

নয়াদিল্লির পর গত মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আয়োজিত নৈশভোজেও সাক্ষাৎ হয়েছিল শেখ হাসিনা-বাইডেনের।

দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
                                  

স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:

টানা ১৬ দিনের যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সরকারি সফর শেষে এবার দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের সময় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট(বিজি-২০৮) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা করেছে।

এ সময় যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

ফ্লাইটটি আজ বেলা ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী গত ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজর একটি বিমানযোগে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান।

লন্ডনে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের দ্বারা একটি সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ বিষয়ক এপিপিজি-এর চেয়ার ও রোহিঙ্গা এবং বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী ড. রুশনারা আলী এমপির নেতৃত্বে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) একটি প্রতিনিধিদলেরসহ কয়েকজন বিশিষ্টজনের সঙ্গে কয়েকটি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ২ অক্টোবর।

১৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের পক্ষ ও দ্বিপাক্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেছেন।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে আইনি জটিলতা রয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনি প্রক্রিয়া মোকাবিলা করেই চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে। তাই আইন মেনেই পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে হবে। সেজন্যই তার পরিবারের আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আইডিইবির জেলা ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের দুদিনব্যাপী প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া কয়েকটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, তিনি কারাগারে ছিলেন। কিন্তু তার স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে বাসায় থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যাতে তিনি উন্নত চিকিৎসা পান, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তাকে বিদেশে নিতে তার ভাই একটি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এখানে আইনি জটিলতা রয়েছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এরপর কিছু করতে হলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থায় যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও গতকাল এটা নিয়ে ব্রিফ করেছেন।

তারা স্যাংশনস দিচ্ছে, আরও দেবে
                                  

স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : বাংলাদেশের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে এটা আমাদেরই দাবি ছিল। আন্দোলন করে আমরাই সেটা প্রতিষ্ঠিত করেছি। আজকে এখন তারা স্যাংশনস দিচ্ছে, আরও স্যাংশনস দেবে। দিতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা।

যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসি স্থানীয় সময় বুধবার ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেন ভয়েস অব আমেরিকার শতরূপা বড়ুয়া।

সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে শতরূপা বড়ুয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার এটাই প্রশ্ন যে হঠাৎ কথা নেই, বার্তা নেই তারা আমাদের ওপর ভিসা স্যাংশনস দিতে চাচ্ছে কী কারণে? আর মানবাধিকারের কথা যদি বলে বা ভোটের অধিকারের কথা যদি বলে... আমরা, আওয়ামী লীগ; আমরাইতো এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছি। আমাদের কত মানুষ রক্ত দিয়েছে, এই ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে হয়, সেজন্য যত রকম সংস্কার দরকার, সেটা আমরাই তো করেছি। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটারতালিকা, মানুষকে ভোটের অধিকার নিয়ে সচেতন করার কাজ-তো আমরাই করেছি। তিনি বলেন, আমার ভোট আমি দেবো-যাকে খুশি তাকে দেবো, এ স্লোগান তো আমারই দেওয়া। আমি এভাবে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছি। … সেক্ষেত্রে হঠাৎ এ ধরনের একটা স্যাংশনস দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।

২০২১ সালে র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোন সংস্থা, সেটা র‌্যাব হোক, পুলিশ হোক বা অন্য যে কোনও সংস্থা হোক; তারা অন্যায় করলে আমাদের দেশে সেটার বিচার হয়। কেউ যদি কোনও অন্যায় করে, আমাদের দেশে তার বিচার হয়। এই বিচারে কেউ রেহাই পায় না। অনেক সময় তারা কোনও কাজ অতিরিক্ত করে, করতে পারে। কিন্তু করলে সেটা আমাদের দেশের আইনেই সেটার বিচার হচ্ছে। যেখানে এমন বিচার হচ্ছে, এমন ব্যবস্থা আছে; সেখানে এই স্যাংশনে কী কারণে?’

এক রাতে চলে গেলেন দুই সংসদ সদস্য
                                  

স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : একই রাতে না ফেরার দেশে চলে গেলেন দুই সংসদ সদস্য। তারা হলেন-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এ. কে. এম. শাহজাহান কামাল।

শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ২ মিনিটে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং ৩টা ১৯ মিনিটে একেএম শাহজাহান কামাল মারা গেছেন। আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাইনুল হাসান তুষার বলেন, বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ভোর ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

আব্দুল সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন।

আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও জুনের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আব্দুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন।

অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. কে. এম. শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ভোররাত ৩টা ১৯ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি শাহাজাহান কামালের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শাহজাহান কামাল ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলায় গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে তিনি নবগঠিত লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৫ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

২০১১ সালে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

নির্বাচনে পুলিশ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে : আইজিপি
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন করে থাকেন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকালীন আমাদের ওপর যে দায়িত্ব দেবে, সেই সেই দায়িত্ব আমরা যথাযথভাবে পালন করবো। এসময় ভিসা নীতি নিয়ে পুলিশের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও মন্তব্য করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ৩৫ তোপখানা রোডে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে ‘পর্যটন নিরাপত্তায় ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা : বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনী চললেও পুলিশকে উদ্ধারে দেখা যায়নি। জাতীয় নির্বাচনের আগে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে পুলিশ তৎপর কি না? জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, যে কেউ অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করলে পুলিশ তৎপর হয়। যার কাছে অবৈধ অস্ত্র থাকে তা উদ্ধার করা হয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জাতীয় নির্বাচনে পুলিশ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ কোনো অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে কি না জানতে চাইলে পুলিশপ্রধান আরও বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে যে পরিকল্পনা, অভিযান আমরা যথাসময়ে করবো। কৌশলগত কারণে সেটা আমি বলছি না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশপ্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যে কোন ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পরে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আগেও নিয়েছি এখনো নিচ্ছি। আমি আশ্বস্ত করছি আগেও আশ্বস্ত করেছি, কোনো ঘটনায় আমাদের কোন সদস্যও যদি থাকে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসী যেই হোক তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা দেওয়া হবে।

নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এমন অবস্থায় আপনি কি মনে করে রাজনৈতিক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, নির্বাচন আসছে। নির্বাচনের আয়োজনের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন করে থাকেন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকালীন আমাদের ওপর যে দায়িত্ব দেবে, সেই সেই দায়িত্ব আমরা যথাযথভাবে পালন করবো।

অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
                                  

স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৈনন্দিন কর্মসূচি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করার সময় এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বিশেষে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, সব ঠিকঠাক থাকলে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবো।’

এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসি একটি আইনের আওতায় গঠিত এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করেন না। এমনকি রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীও নির্বাচন কমিশনারদের অপসারণ করতে পারেন না। কোনও সরকারি কর্মচারী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ইসি তাকে সাময়িক বরখাস্ত বা শাস্তি দিতে পারে।

ভোটে কারচুপি হলে ইসি কোনও ভোটকেন্দ্রের ভোট বাতিলও করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ে মোমেন বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সম্পর্ককে আরও জোরদার ও মজবুত করতে চান।’

‘এক বন্ধু অন্য বন্ধুকে পরামর্শ দিতে পারে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের অনেকগুলো পরামর্শ গ্রহণ করেছি। যদি পরামর্শটি বাস্তবসম্মত হয় তবে আমরা অবশ্যই সেটি গ্রহণ করবো।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি সম্পর্কে মোমেন বলেন, যারা নির্বাচন বানচাল করবে তাদের জন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো। কারণ আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। আমরা চাই এখানে কেউ যেন ভোট বিঘ্নিত করতে না পারে এবং সহিংসতা করতে না পারে। সুতরাং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি।’

নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে ব্যবস্থা : সিইসি
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে কারও আচরণ পক্ষপাতমূলক হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সোমবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, তফসিল ঘোষণার আগেই জামালপুরের জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার ও অন্যদের সতর্ক করার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি দেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখতে পেলে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্প্রতি জামালপুরের ডিসি এক সভায় আওয়ামী লীগকে পুনরায় সরকারে আনার জন্য বলায় তাকে প্রত্যাহার করে অন্য ডিসিদের সতর্ক করতে মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি দেয় ইসি। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই কমিশন এমন চিঠি দিতে পারে কি না, সাংবাদিকরা তা জানতে চান।

সিইসি বলেন, তফসিলের আগে চিঠি দিতে বাধা নেই। পাঁচ বছরে নির্বাচনের এখতিয়ার আমাদের রয়েছে। তফসিলের আগেও আচরণ নিয়ে যদি কোনো বিতর্ক উত্থাপন হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন অতি অবশ্যই সেটা সরকারের নজরে আনতে পারে।

কেবিনেট সচিবকে জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার ও সব ডিসিকে সতর্ক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সিইসি।

তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ নিয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ। নির্বাচনের সময় তাদেরই রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে সবকিছু দেখতে হয়। কাজেই কোনোভাবেই আমরা চাইবো না তাদের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ প্রতিফলিত হোক। ভবিষ্যতেও আমাদের কাছে যদি প্রতীয়মান হয়, আমরা এমন উদ্যোগ নেব।

সংলাপের অর্জন বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি এবং দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা আমাদের দায়িত্ব। বিশিষ্টজনরা কী বলতে চান, আমাদের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, সরকার ও রাজনীতিবিদদের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, আমার মনে হয়, এই সংলাপটা ওপেন ছিলো। মিডিয়ায় যখন এই জিনিসটা প্রচার হয়, তাহলে সকলের ওপর একটা চাপ একটা দায়িত্ববোধ সৃষ্টি হতে পারে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি আরও বলেন, এখন সকলেই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। বিএনপি কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে, তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি বলেন, আমাদের ছাড়া কাউকে ভোট দেবেন না, তাহলে নিশ্চয় আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারি।

নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
                                  

স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সময় রবিবার রাত ১০টা ৪২ মিনিটে দেশটির জেএফ কেনেডি বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা ফ্লাইটটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী রবিবার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-২০১ (সোনার তরী)-তে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা ফ্লাইটটি ঢাকা ছাড়ে ১০টা ১২ মিনিটে। বিমানবন্দরে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রথম দিনের উচ্চপর্যারের সাধারণ আলোচনায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজেও প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন।

সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন।

বিশ্বনেতারা ৭৮তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে একত্র হবেন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে এবারের প্রতিপাদ্য ‘আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্ব সংহতির পুনরুদ্ধার: সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্ব ত্বরান্বিত করায় ২০৩০ এজেন্ডা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ’।

১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউএনআইডিও ও ডেলয়েটের উদ্যোগে ‘খাদ্য ভাবনা- খাদ্য সরবরাহ চেইন উদ্ভাবনে এসডিজিকে ত্বরান্বিত করায় সহযোগিতা’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিন তিনি ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে ‘এসডিজি সামিট-লিডার্স’ ডায়ালগ ৪ (এসডিজি অর্জনের জন্য সমন্বিত নীতি ও পাবলিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনেও ভাষণ দেবেন।

এদিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের লেক্সিংটন ভেন্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈশ্বিক শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ দূত ও বিশ্ব স্বাস্থ্য অর্থায়নের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দূত গর্ডন ব্রাউন এবং গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশন ফর এডুকেশনের এক্সিকিউটিভ চেয়ার সারাহ ব্রাউন আয়োজিত জাতিসংঘ ২০২৩ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে দেওয়া একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিগত নৈশভোজে যোগ দিতে পারেন।

১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদরদপ্তরের সিআর-১৬-এ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সভাপতির ‘টুওয়ার্ডস এ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকেও ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

একই দিন জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সিআর-১১ এ বাংলাদেশ, অ্যান্টিগা এবং বারবুডা, ভুটান, চীন, মালয়েশিয়া, চ্যাথাম হাউজ এবং সুচনা ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে চিকিৎসা পরিষেবাভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টেও যোগ দেবেন তিনি।

২০ সেপ্টেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে ‘টেকসই উন্নয়নে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য আন্তর্জাতিক গণঅর্থায়ন বৃদ্ধি এবং দক্ষতা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক উন্নয়ন অর্থায়ন (এফএফডি) বিষয়ে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

একই দিনে তিনি মহাসচিবের ক্লাইমেট অ্যামবিশন সামিট, মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, নারীনেত্রীদের জাতিসংঘ প্ল্যাটফর্মের বার্ষিক সভা, ক্লাইমেট অ্যামবিশন সংক্রান্ত উচ্চ পর্য়ায়ের জলবায়ু বিষয়ভিত্তিক সম্মেলনের পাশাপাশি ন্যাশনাল জুরিসডিকশনের বাইরের এলাকার সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য আইনের ওপর জাতিসংঘের কনভেনশনে যোগ দেবেন।

২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টের পাশাপাশি ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সৃষ্ট হুমকি মোকাবিলা’ শীর্ষক ব্রেকফাস্ট সামিট এবং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার, জাতিসংঘ মহাসচিবের জেনোসাইড উপদেষ্টা, নবনির্বাচিত ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) মহাপরিচালক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় (নিউইয়র্ক সময়) ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে অবস্থান করবেন।

প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে (ওয়াশিংটন সময়) লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।

প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন এবং ৪ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।

বাংলাদেশে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের উপর সরকারের পদ্ধতিগত নিপীড়ন চলছে: মিলার
                                  

স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:

বেশ কিছুদিন থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে বেশ সরব রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার সহ অন্যান্য ইস্যুর ন্যায় সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের বিচারিক ব্যবস্থা নিয়ে পশ্চিমারা কথা বলছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সাজাপ্রাপ্ত অধিকার সম্পাদকের বিচারিক রায় নিয়ে ইঙ্গিহতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেছেন, সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাওয়া সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের ওপর বাংলাদেশ সরকারের পদ্ধতিগত এবং ব্যাপক নিপীড়নে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল শুক্রবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ম্যাথিউ মিলার এসব কথা বলেন।

ম্যাথিউ মিলারের বক্তব্যের ভিডিওর সঙ্গে বাংলায় পোস্ট করা ক্যাপশনে বলা হয়েছে, যেমনটা আমরা আগেও বলেছি, আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রে সাংবাদিকরা অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেন। তাদের করা সংবাদ দুর্নীতির মুখোশ খুলে দেয়।

জনসাধারণের জীবনকে প্রভাবিত করার মতো সব তথ্য জানার অধিকার রক্ষা করে। সাধারণ মানুষ প্রতিদিনের জীবনে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়, সেসব বিষয়ে সাংবাদিকদের মানুষকে সচেতন করতে পারা দরকার।

মিলার বলেন, যেভাবে আপনারা আমার প্রতিদিন বলা কথার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেন, তাদেরও নির্বাচিত প্রতিনিধির জবাবদিহি করতে পারা উচিত। হয়রানি, সহিংসতা বা ভয়ভীতি ছাড়া কাজ চালিয়ে যাওয়া তাদের জন্য আবশ্যিক।

তিনি আরও বলেন, সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাওয়া সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের ওপর বাংলাদেশ সরকারের পদ্ধতিগত এবং ব্যাপক নিপীড়নে আমরা উদ্বিগ্ন।

নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানতে চাই : সিইসি
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা ও বাস্তবতা সম্পর্কে জানতে চাই।

বুধবার সকালে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে পরামর্শ শোনার উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের পাশাপাশি সাবেক আমলা, সিনিয়র সাংবাদিকসহ ২৮ জনকে এজন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে সংস্থাটি।

অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অতিথিদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আমরা কিছুটা নতুন আঙ্গিকে বিষয়টা উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। যারা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নন, বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়, তারা বিদগ্ধজন। তাদের কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশাটা জানতে চাই। আপনাদের মাধ্যমে যতদূর সম্ভব উঠে আসে। প্রত্যাশার বিপরীতে অনুকূল-প্রতিকূল বাস্তবতা রয়েছে। আপনারা একাডেমিক আলোচনা করলে আমাদের জন্য বুঝতে সুবিধা হবে। আমরা সমৃদ্ধ হবো।

তিনি বলেন, আমরা জানি, আমাদের দেশে (রাজনীতি, রাজনীতিক) প্রশ্নে তীক্ষ্ণভাবে বিভক্ত। এতে রাজনৈতিক বিতর্ক উপস্থাপন হলে আলোচনাগুলো খুবই ধারালো, আক্রমণাত্মক হয়ে থাকে। আজ সেদিকে যাবো না। আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাচ্ছি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য কমিশন কাজ করছে। এই নির্বাচন নিয়ে দেশের সম্মানিত ভোটার, সাধারণ নাগরিক, গণমাধ্যমকর্মী, বিদেশে থাকা ভোটার ও প্রবাসীদের আগ্রহ আছে। এছাড়াও দাতা সংস্থা, বন্ধু প্রতীম দেশগুলোর ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। তাই জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে আপনাদের কাছ থেকে পরামর্শ শুনতেই আজকের আয়োজন।

আগামী নভেম্বরে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে চায় নির্বাচন কমিশন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ কিংবা আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ভোট সারতে চায় কমিশন।

বিএনপি সরকারের আমলে অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়েছিল : প্রধানমন্ত্রী
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ বছর এবং সামরিক সরকারের পরবর্তী বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ মন্দার কবলে পড়েছিল।

তিনি বলেছেন, ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সুচিন্তিত এবং পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকি। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতার আসার পর সব উন্নয়নের কাজ থমকে যায়। বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ বছর এবং সামরিক সরকারের পরবর্তী বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ মন্দার কবলে পড়েছিল।

আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কমনওয়েলথ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড ফোরাম ২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও কমনওয়েলথ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর আমরা দেশকে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাই। আমরা স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে দেশ গঠনের কাজে মনোনিবেশ করি। গণতান্ত্রিক পরিবেশ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সরকারের ধারাবাহিকতা এবং পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচি দ্রুত বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির একটি। জিডিপিতে আমরা বিশ্বের ৩৫তম, ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২০তম জিডিপির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে আমরা আশা রাখি।

দুই দিনব্যাপী কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম-২০২৩ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিডব্লিউইআইসি এর চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া এবং কমনওয়েলথ দেশগুলোর কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ প্রসারের লক্ষে ২০২২ সালে প্রবর্তিত দ্বিতীয় ‘কমনওয়েলথ-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। উগান্ডার ইকো ব্রিকস পুরস্কার বিজয়ী হওয়ায় এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

দুই দিনব্যাপী ফোরামে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা ১২টিরও বেশি সেশনে অংশ নিচ্ছেন। কমনওয়েলথ হল ৫৬টি দেশের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যা অভিন্ন মূল্যবোধ দ্বারা একত্রিত হয় এবং বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের আবাসস্থল। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথের ৩৪তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি আঘাত হানার পূর্বের এক দশকে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির গড় হার ছিল সাত শতাংশেরও বেশি। এমনকি করোনা মহামারির সময় যখন বহু দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক, তখনও আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩.৫১ শতাংশ। এটি আমাদের অর্থনীতির স্থিতিস্থাপকতারই প্রমাণ বহন করে। ২০০৬ সালে জিডিপির পরিমাণ ছিল মাত্র ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে তা পৌনে আট গুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুধু জিডিপি বৃদ্ধিই নয়, বাংলাদেশে গত দেড় যুগে দৃশ্যমান বহুমাত্রিক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ার পরও আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। চাল, সবজি, ফল, মাছ, মাংস এবং ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশেগুলোর একটি।

সরকারপ্রধান বলেন, গত প্রায় ১৫ বছরে দারিদ্র্যের হার ৪১.৫ থেকে ১৮.৬ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৫৯ বছরে থেকে ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। এই সময়ে আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২,৭৬৫ মার্কিন ডলার। আমরা স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সে লক্ষ্য অর্জনের পর আমরা কাজ করছি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের। স্মার্ট সরকার, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ গড়ে তোলার মাধ্যমে এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত স্মার্ট দেশে এবং ২১০০ সালের মধ্যে টেকসই বদ্বীপে পরিণত হওয়ার। সে লক্ষ্যে আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

মার্কিন নেতৃত্বের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনায় সন্তুষ্ট : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
                                  

স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনায় সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের সাম্প্রতিক আলোচনা খুবই উৎসাহজনক। এ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। সন্ত্রাস নির্মূলে তারা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৯/১১-এর হামলার ২২তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

টুইন টাওয়ার ধ্বংসযজ্ঞের কথা স্মৃতিচারণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি দুঃখের সঙ্গে ৯/১১ টুইন টাওয়ার ধ্বংসযজ্ঞের কথা স্মরণ করছি। এ ঘটনায় ২ হাজার ৯৮৮ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন; যার মধ্যে ৬ জন বাংলাদেশের। আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আমরা আশা করি, এমন ঘটনা আর কখনও হবে না।

তিনি বলেন, বর্তমানে সন্ত্রাসী হামলার কারণে কোনো বোমা বিস্ফোরণ, গ্রেনেড হামলা এবং মৃত্যুর ভয়ের ঘটনা ঘটেনি। আর এটি বাংলাদেশে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতিরই ফলাফল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যাতে আর কোনো অজুহাতে সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের কুৎসিত চেহারাটি ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠতে না পারে। সকলের এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

গত ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নবম নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। বেসামরিক ও সামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করতেও একমত হয় দুই পক্ষ।

সংলাপে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা শাখার মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক-সামরিকবিষয়ক ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তাবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মীরা রাশনিক দুই পক্ষের নেতৃত্ব দেন।

প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার
                                  

স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট:

বিশ্বখ্যাত গণিতবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক মরহুম ড. মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার। সন্তানহীন আব্দুল কুদ্দুস ২০০৬ সনের ১২ সেপ্টেম্বর চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

মরহুম প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল কুদ্দুস ১৯৪৮ সনের ২৫ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গ্রাম বানিয়াচং এর প্রথমরেখে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মোঃ পারু মিয়া ছিলেন গ্যানিংগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি, এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, জনাব আলী সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও বানিয়াচং হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা। তার মা মরহুমা খায়রুন্নেসা খানম ছিলেন সাগরদিঘির পশ্চিম পারের ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারের মেয়ে।

ড. মোঃ আব্দুল কুদ্দুস শিক্ষাজীবন শুরু করেন চৌধুরী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখানে দুই বছর পড়াশোনা করে ভর্তি হন উপমহাদেশের শতোর্ধ্ব প্রাচীন বিদ্যাপীঠ বানিয়াচং এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। স্কুলে বরাবরই প্রথম স্থান অধিকার করতেন। এ স্কুল থেকে ১৯৬৪ সনে বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। এই ব্যাচটি এখন পর্যন্ত স্কুলের সেরা ব্যাচ এবং ড. আব্দুল কুদ্দুস সেরা ছাত্র।

মেট্রিক পাসের পর তিনি সিলেট এমসি কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৬৬ সনে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। ১৯৭০ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে অনার্সসহ প্রথম শ্রেণীতে এমএসসি পাস করেন। তিনি সেই সময় চাকরিতে যোগদান না করে ১৯৭২ সনে পিএইচডি গবেষণা শুরু করেন এবং ১৯৮১ সনে প্রফেসর ড. মোঃ রমজান আলী সরদারের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তার পিএইচডির বিষয় ছিল- Theory of generalized function. এটি বিশুদ্ধ গণিতের (pure mathematics) একটি অত্যন্ত কঠিন বিষয় কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখ্য যে, অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকাকালীনই তার সাথে পরিচয় ঘটে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আয়ূব খানের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা, প্রথম মুসলমান নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুস সালামের সাথে। কথায় বলে, রতনে রতন চেনে। সালাম সাহেব কিশোর আব্দুল কুদ্দুসের জ্ঞানের প্রখরতা দেখে যারপরনাই মুগ্ধ হন এবং বিশ বছরের জুনিয়রের সাথে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হন। ড. আব্দুস সালাম তার প্রতিষ্ঠিত ইটালীর ট্রিয়েস্টিতে অবস্থিত  Inntenational centre for theoretical physics  এ উচ্চতর গবেষণার জন্য ১৯৮১ সনে পত্র প্রেরণ করেন। সেই চিঠিটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গায়েব করে ফেলে। সেখানে শুধু বিশ্বের নামকরা প্রফেসররাই সুযোগ পায়। পরের বছর তিনি সেখানে গবেষণা করেন। পরে তিনি অস্ট্রিয়ায়ও পোষ্ট ডক্টরেট করেন। ড. আব্দুল কুদ্দুসের প্রায় অর্ধশত প্রবন্ধ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং সেসব বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ানো হয়। দীর্ঘ ষোল বছর পর তিনি ১৯৮৬ সনের ১৪ জানুয়ারি প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৮৮ সনের ১ অক্টোবর সহকারী অধ্যাপক, ১৯৯৩ সনের ২১ জুলাই সহযোগী অধ্যাপক, ২০০১ সনের ২৭ মার্চ অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। তিনি আপাদমস্তক একজন শিক্ষক ছিলেন। যেকারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো দায়িত্ব গ্রহণ করেননি।

তার সম্পর্কে চমৎকার মূল্যায়ন করেছেন সেই সময় ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে তার পাশের কক্ষের বাসিন্দা গবেষক ও বিখ্যাত লেখক আহমদ ছফা ‘পুষ্প, বৃক্ষ ও বিহঙ্গ পুরাণ বইটিতে- কুদ্দুসের দুটি ধনুক ভাঙা পণের কথা আমরা সকলেই জানি। প্রথমটি হল কুদ্দুস ম্যাথমেটিক্স ডিপার্টমেন্টে এসিসট্যান্ট প্রফেসরের চাকরির জন্য অপেক্ষা করবেন। লেকচারার পোস্টে ডাকা হলেও যাবেন না। কারণ, ডক্টরেট পেতে তাকে দশ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর থেকে শুরু করলেই এই এতগুলো বছর পুষিয়ে নিতে পারবেন। তাঁর দ্বিতীয় পণটি ডাক্তার ছাড়া অন্য কোনো পেশার মেয়েকে বিয়েই করবেন না। কুদ্দুসকে সাধারণত আমরা মিথ্যা বলতে দেখিনি। আর অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত মুহূর্তটিতেও একটি খারাপ কথা তাঁর মুখটি থেকে বেরিয়ে আসতে শুনিনি। আমাদের কেমন যেন একটা বিশ্বাস জন্মে গেছে  আল্লাহতালা কুদ্দুসের উভয় দাবিই পূরণ করবেন।

 তিনি অবশেষে নবীগঞ্জের বেতাপুর চৌধুরী বাড়ির কাস্টমসের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মরহুম গোলাম রব্বানী চৌধুরীর কন্যা ডাঃ সাহিরা চৌধুরীর সাথে ১৯৯০ সনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

১৯৯৩ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. আব্দুস সালামকে ডিলিট ডিগ্রী দেয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানে তৎকালীন সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল কুদ্দুস অংশগ্রহণ করেননি। বিষয়টি নজরে আসে ড. আব্দুস সালামের। অনুষ্ঠান শেষে তিনি ভিসি প্রফেসর এমাজ উদ্দীন আহমেদকে কৈফিয়ত তলব করে বলেন-Where is my friend Dr,. Abdul Quddus? সাথে সাথে বেশ কয়েকজন শিক্ষক ড. আব্দুল কুদ্দুসকে বাসা থেকে সসম্মানে ড. সালামের কাছে নিয়ে আসেন এবং দুই ঘন্টা তারা একান্তে আলাপ করেন। বিষয়টা তখন তোলপাড় সৃষ্টি করে।

ড. কুদ্দুস আপাদমস্তক শিক্ষক ছিলেন। যে কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। দেশে সম্ভবত তিনিই একমাত্র উচ্চ শিক্ষিত যিনি টার্গেট পূরণের জন্য ষোল বছর বেকার ছিলেন। তিনি ছিলেন  বানিয়াচং এর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, প্রথম ডক্টরেট, প্রথম সর্বোচ্চ চাকরিজীবী (সচিব পদমর্যাদা), সিলেট বিভাগে গণিত শাস্ত্রে প্রথম ডক্টরেট। দেশপ্রেমিক ড. কুদ্দুসকে ড. আব্দুস সালাম তার ইটালিস্থ প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যাননি। এমনকি কোথাও চাকরির জন্য আবেদন করেননি।

ড. আব্দুল কুদ্দুস সাতটি ভাষা জানতেন- বাংলা, ইংরেজি, হিন্দী, আরবি, ফরাসি, উর্দু ও জর্মন । তিনি পাকিস্তান, ভারত, ইটালি ও অস্ট্রিয়া ভ্রমণ করেন।

ড. আব্দুল কুদ্দুস ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত প্রচারবিমুখ, সৎ, দেশপ্রেমিক, ধার্মিক ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ ছিলেন।

কৌশলগত অগ্রযাত্রা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে : প্রধানমন্ত্রী
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের উন্নয়নে ফ্রান্স সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আমার সার্বিক বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। এই বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত ফ্রান্স প্রতিনিধিদলের সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদও জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার এই নতুন কৌশলগত অগ্রযাত্রা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমরা উভয়েই আশাবাদী।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার পাঁচ দশকের অধিক সময় চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি ঐতিহাসিক দিন। আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন, আজ তা একটি নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিগত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে চলমান সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা উন্নয়ন এবং সুশাসন এই নতুন সম্পর্কের মূল ভিত্তি। ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকারের দায়িত্বশীল ও প্রতিশ্রুতিমূলক কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অভাবনীয় ও ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় ফ্রান্স সরকারের আস্থার কথা দৃঢ়তার সঙ্গে উদ্ধৃত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর এই সফরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং সেই প্রেক্ষিতে আমরা কিছু সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ফ্রান্স আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের কৌশলগত সুরক্ষা অবকাঠামো বিনির্মাণে উন্নত ও বিশেষায়িত কারিগরী সহায়তা প্রদানে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স নেতৃস্থানীয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ফ্রান্সের অগ্রণী ভূমিকাকে আমরা স্বাগত জানাই এবং এ লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে একটি টেকসই তহবিল গঠনে ফ্রান্সের আহ্বানকে আমরা সাধুবাদ জানিয়েছি। এ ছাড়াও, ফ্রান্সের সঙ্গে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভাষা বিনিময়ের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর : এডিসি হারুন প্রত্যাহার
                                  

স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : রাজধানীর শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রবিবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে, এডিসি হারুনকে ডিএমপির সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাকে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) বদলি করা হবে।

এ ব্যাপারে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হচ্ছে। তাকে পিওএম-এ বদলির বিষয়ে দ্রুত আদেশ জারি হবে। পরে তদন্ত কমিটি হবে। সেখানে কে দোষী, কে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।

এর আগে শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতন করেন এডিসি হারুন।

ভুক্তভোগী দুজন হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম।

শনিবার রাতে নারীঘটিত একটি ঘটনার জেরে শাহবাগ থানায় তাদের নির্যাতনের পর মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মীমাংসা করেন।

ঢাবি ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, এডিসি হারুন শনিবার রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাকবিতণ্ডা হয়।

পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে আনেন। তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। এরপর তাদের অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে পাঠানো হয়।


   Page 1 of 465
     জাতীয়
নয়াদিল্লিতে যে কথা হয়েছিল হাসিনা-বাইডেনের মধ্যে
.............................................................................................
দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
.............................................................................................
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে আইনি জটিলতা রয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
.............................................................................................
তারা স্যাংশনস দিচ্ছে, আরও দেবে
.............................................................................................
এক রাতে চলে গেলেন দুই সংসদ সদস্য
.............................................................................................
নির্বাচনে পুলিশ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে : আইজিপি
.............................................................................................
অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
.............................................................................................
নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে ব্যবস্থা : সিইসি
.............................................................................................
নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
.............................................................................................
বাংলাদেশে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের উপর সরকারের পদ্ধতিগত নিপীড়ন চলছে: মিলার
.............................................................................................
নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানতে চাই : সিইসি
.............................................................................................
বিএনপি সরকারের আমলে অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়েছিল : প্রধানমন্ত্রী
.............................................................................................
মার্কিন নেতৃত্বের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনায় সন্তুষ্ট : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
.............................................................................................
প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার
.............................................................................................
কৌশলগত অগ্রযাত্রা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে : প্রধানমন্ত্রী
.............................................................................................
ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর : এডিসি হারুন প্রত্যাহার
.............................................................................................
অন্যায়ের শাস্তি পাবেন এডিসি হারুন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
.............................................................................................
দেশব্যাপী আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি ম্যাটস্ শিক্ষার্থীদের
.............................................................................................
সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মহত্যা প্রতিরোধ সম্ভব
.............................................................................................
৮ মাসে ৩৬১ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
.............................................................................................
কাল ঢাকায় আসছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
.............................................................................................
সেতু নির্মাণে ভুল নকশায় ক্ষোভ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
.............................................................................................
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন : আইনমন্ত্রী
.............................................................................................
ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সহজ করার আহ্বান
.............................................................................................
সাগরে লঘুচাপ, সারাদেশে বাড়তে পারে বৃষ্টি
.............................................................................................
সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ
.............................................................................................
আজ বিকাল ৫টায় বসছে সংসদ অধিবেশন
.............................................................................................
খুলে দেয়া হল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দ্বার
.............................................................................................
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন: জানাল ইসি
.............................................................................................
ফের বাংলাদেশ-জাপান সরাসরি ফ্লাইট চালু
.............................................................................................
ছেঁড়াদ্বীপে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ক্যান বিয়ার জব্দ
.............................................................................................
বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে আর হারাতে চাই না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
.............................................................................................
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা-উদ্ভাবনে সহযোগিতায় আগ্রহী জার্মানি
.............................................................................................
অপহরণের পর শিশু ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
.............................................................................................
বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় ভারত: প্রণয় ভার্মা
.............................................................................................
আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে: আইনমন্ত্রী
.............................................................................................
পলকের সঙ্গে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের বৈঠক
.............................................................................................
ঢাকায় আসছেন ম্যাক্রোঁ
.............................................................................................
রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাবে বাংলাদেশ
.............................................................................................
বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে অবাক লাগে: প্রধানমন্ত্রী
.............................................................................................
সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া পাস হলে তা হবে `কালো আইন`: টিআইবি
.............................................................................................
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
.............................................................................................
হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার
.............................................................................................
একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো তা প্রমাণ হয়েছে : নসরুল হামিদ
.............................................................................................
ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি গার্মেন্টসকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনার দাবি সিপিডির
.............................................................................................
হাতিরঝিলেরও চেয়েও নান্দনিক হবে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল
.............................................................................................
অস্ট্রিয়ার প্রটোকলে বাংলাদেশি দূতের প্রশংসাপত্র উপস্থাপন
.............................................................................................
আইসিটি শিল্পের জন্য দুটি হাব প্রতিষ্ঠা করবে সরকার
.............................................................................................
আদিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় ৫ দফা দাবি
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
    2015 @ All Right Reserved By dailyswadhinbangla.com

Developed By: Dynamic Solution IT