স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্নীতি করতেই সরকার ভ্যাকসিন আমদানিতে ‘মধ্যস্বত্ত্বভোগী’ নিয়োগ দিয়েছে। ভারত থেকে ভ্যাকসিন কেনার প্রক্রিয়ায় দেশের মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন বলেও মনে করেন তিনি। আজ রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
গতকাল শনিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সে সভা নিয়েই আজ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের আশু রোগমুক্তির কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে বলে জানান মহাসচিব। সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ভ্যাকসিন সরকার সরাসরি না কিনে মধ্যস্বত্ত্বভোগী নিয়োগ দিয়েছে দুর্নীতির জন্য। এর মাধ্যমে জনগণের অর্থ নয়-ছয় করে দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। সরকারি সুবিধাভোগী পদবীধারী মধ্যস্বত্ত্বভোগী নিয়োগ নিয়ে নীতিগতভাবেই শুধু নয়, আইনগতভাবেও অপরাধমূলক একটা কাজ হয়েছে। জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে- সরকারের লাভজনক পদে নিয়োগকৃত কোনো ব্যক্তি যিনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা তার এই (ভ্যাকসিন ক্রয়) সম্পৃক্ততা বেআইনি ও অপরাধমূলক।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানুষের জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিন আমদানি প্রক্রিয়ায় অস্পষ্টতা, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির ফলে জনগণের এই ভ্যাকসিন প্রাপ্তি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। ভ্যাকসিন কবে আসবে- এটা নিয়ে গোটা জাতির সঙ্গে আমরাও চরমভাবে উদ্বিগ্ন। এখন পর্যন্ত তারা (সরকার) কোনো সুনির্দিষ্ট সময়ও নির্ধারণ করতে পারেনি। কারণ ভারতের হাই কমিশনার বলেছেন, ভারতের চাহিদা মেটানো হবে তারপরে তারা নির্ধারণ করবেন। তাদের পররাষ্ট্র সচিবও একই কথা বলছেন। আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখছি যে, শ্রীলংকার সাথে তারা চুক্তি করেছেন যে, শ্রীলংকাকে তারা আগে অগ্রাধিকার দেবেন। এই বিষয়গুলো অস্পষ্ট এবং এটা পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশের মানুষকে আবার প্রতারণার শিকার করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভ্যাকসিনটা হচ্ছে জীবন রক্ষার করার একট বিষয়। এটা একটা অগ্রাধিকার। সেই ভ্যাকসিন নিয়েও তারা দুর্নীতি করছে যেটা আমরা পত্র-পত্রিকায়ে দেখছি। এই সরকার যে পুরোপুরিভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন সরকার এবং জনগণের প্রতি যে তাদের কোনো রকম দায়-দায়িত্ব নেই সেটাই এখানে প্রমাণিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন আমদানির দায়িত্ব শেয়ারবাজার লুণ্ঠনকারী বির্তকিত বেক্সিমকো গ্রুপকে প্রদানের সিদ্ধান্তে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।